নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষে রায় হলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে উভয় দেশের স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভারত এ আইন মেনে কাজ করতে বাধ্য হবে।' আমার মনে হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত বন্দি-বিনিময় চুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
গত শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
অন্যদিকে ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া প্রসঙ্গে যে ভূমিকা নেয়ার কথা, সেই সময় এখনও আসে নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ খবরটি আজ ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক বসছে। বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে আমাদের যে ভূমিকা নেয়ার কথা, সেই সময় এখনও আসেনি। এ বিষয়ে আমার পূর্বসূরি (সাবেক মুখপাত্র তৌফিক হাসান) নিশ্চয়ই একটা বক্তব্য আপনাদের দিয়েছেন। এটার একমাত্র বিষয় শুধু আমরা না। এখানে আমরা একটা অংশ। আমাদের যে অংশে ভূমিকা পালন করার কথা, তা প্রয়োগ করার সময় এখনও আসেনি। ওইটা যখন আসবে তখন আমরা করব।’
অন্য সবার মতো আমার মনেও এই ইনোসেন্ট প্রশ্নটা জাগছে আগে থেকেই, শেখ হাসিনাকে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চাওয়া হচ্ছে না কেন? শেখ হাসিনা একজন জঘন্য অপরাধী, প্রায় ২ হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতার রক্তপানকারী একজন হিংস্র হায়েনা, যার বিরুদ্ধে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী মামলার সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে, যা এতদিনে হয়ত আরো গোটা ৫০-এর মতো বেড়ে গেছে। ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের খবর অনুযায়ী, শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তাকে হাজির করানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পত্রালাপের ব্যাপারটা মিডিয়ায় উঠে এসেছিল।
১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের এক সংবাদে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে, কিন্তু বাংলাদেশের জুরিসডিকশনের বাইরে তিনি চলে গেছেন, সে কারণে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল যাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁর ব্যাপারে অন্তত রেড অ্যালার্ট জারি করে, সেই ব্যাপারে আমরা অনুরোধ পাঠিয়েছি।’
শেখ হাসিনা একজন খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধী, যিনি ০৫ আগস্টে প্রাণের ভয়ে তার দল ও নেতাকর্মীদের পশ্চাতে ফেলে ভারতে পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করেছেন। জানা যায়, ভারত থেকে তিনি অন্য কোনো দেশে যেতে চাইলে কোনো দেশই তাকে আশ্রয় দিতে রাজি হয় নি। ইতিমধ্যে ট্রাইবুন্যালের কাজ শুরু হয়েছে। একজন অপরাধীর বিচার করতে হলে তাকে সশরীরে হাজির থাকা জরুরি, তার বক্তব্য, সাক্ষ্য, জেরা ইত্যাদির জন্য। কোর্টে হাজির করানোর জন্য প্রথম উদ্যোগই নেয়া উচিত ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া। এতে ভারত তাকে ফেরত দিয়ে দিলে ঝামেলা আপাতত ওখানেই শেষ হয়ে যেত; আর ভারত যদি ফেরত না দিত তাহলে কূটনৈতিকভাবে ওখানে ভারতের একটা দোষ চিহ্নিত হতো।
কেন চাওয়া হলো না? ভারত ফেরত দিবে না, এই আশঙ্কা? নাকি শেখ হাসিনা দেশে এলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তা ট্যাকল দেয়া কষ্টকর হবে? কারণ যদি এ দুটো বা যে-কোনো একটাও হয়, তাহলে এখানেই আমাদের দুর্বলতা ফুটে উঠছে।
আমার মনে হয়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্তা নিশ্চিত করে, বিচারের রায়ের পরে নয়, এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া উচিত। তার অনুপস্থিতিতে নয়, তাকে সামনে রেখেই তার বিচার করা হোক।
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো একটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা। বাংলাদেশের আইন-আদালত কোনোদিনই স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে নি, ক্ষমতাসীনদের বন্দুকের নল তাক করা থাকতো সব সময়।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৯
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
২০০০ ছাত্র মারা গেলে ও ৪০০০ আহত হলে, কমপক্ষে ৬০০০ থেকে বেশী মামলা হওয়ার কথা; মামলা করা শেষ হোক, তখন শেখ হাসিনা আদালতে এসে হাজির হবেন, হয়তো।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে মামলার সংখ্যা সম্ভবত নিহত বা আহতদের মোট সংখ্যার সমান হবে না। যদি একজন ব্যক্তি ১০০ জনকে খুন করে এবং প্রতিটি খুন আলাদা ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হয়, তাহলে সাধারণত প্রতিটি খুনের জন্য আলাদা মামলা করা হবে। কারণ প্রতিটি ঘটনার জন্য আলাদা আলাদা তদন্ত, সাক্ষ্য এবং প্রমাণ প্রয়োজন। তবে যদি খুনের ঘটনাগুলো একই সঙ্গে বা একই জায়গায় ঘটে এবং এগুলোকে একই ঘটনায় বিবেচনা করা হয়, তাহলে একটি মামলায় সমস্ত খুন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
খুন বা আহত হওয়া অনেক পরিবার মামলা করার জন্য সমর্থ না। কিছু মামলা হয়ত রাষ্ট্র বাদী হয়ে করবে, কিছু ক্ষেত্রে মামলা নাও হতে পারে আর্থিক সংকটের কারণে।
তবে, মূল পয়েন্ট হলো বিচারের জন্য আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো নিয়ে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিচারের রায়ের পর শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে। আমার প্রশ্ন এখানেই - বিচারের রায়ের পরে কেন? একজনকে বিচার করতে হলে তাকে আদালতে হাজির করা আবশ্যিক। তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে, প্রতিপক্ষকে জেরা করার সুযোগ থাকবে। মূল আসামির অ্যাবসেন্সে বিচার হলে সেই বিচার ত্রুটিপূর্ণ হবে। এজন্য বিচারে তার উপস্থিতি এনশিওর করার জন্য এখনই ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া উচিত।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন: বিচার হোক , অভিযোগ গঠন এবং প্রমান , এরপর অপরাধীকে হস্তান্তরের বিষয় ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই, শেখ হাসিনা প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে মামলা খেয়েছেন। অভিযুক্ত বা আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার হওয়া মানে নিশ্চিতভাবেই তিনি 'অপরাধী' সাব্যস্ত হতে যাচ্ছেন, যেখানে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকছে না, যদিও পরবর্তীতে আপিল করার সুযোগ থাকবে। কিন্তু সেটা হলো পরের ধাপ।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫১
বিষাদ সময় বলেছেন: প্রায় ২ হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতার রক্তপানকারী একজন হিংস্র হায়েনা
কিছুদিন আগে বিটিভির সংবাদে দেখেছিলাম ৮৩৭ জন মৃত্যুর তালিকা করা হয়েছে। ২০০০ এর জন এর সোর্সটা একটু দিলে ভালো হতো।
অন্য সবার মতো আমার মনেও এই ইনোসেন্ট প্রশ্নটা জাগছে আগে থেকেই, শেখ হাসিনাকে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চাওয়া হচ্ছে না কেন?
বিষয়টা আাপনি বুঝতে পারছেন অথচ এই বোকা সরকার এটা বুঝছে না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুলাই বিপ্লবে শহিদ ১৪২৩, আহত ২২ হাজার। লিংকটা ওপেন না হলে 'জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে নিহতের তালিকা' লিখে গুগল করুন। তালিকা বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। এ লিংকটা ২২ সেপ্টেম্বরের। চূড়ান্ত তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করবে বলে শোনা যাচ্ছে।
বিষয়টা আাপনি বুঝতে পারছেন অথচ এই বোকা সরকার এটা বুঝছে না। পোস্টের ভেতরেই উল্লেখ করা আছে, আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক বসছে। বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন ---- অন্যদের মতো আমার মনেও এ প্রশ্ন ছিল।
বিষাদ সময় ভাই, খোঁচা না দিয়েও তো কথা বলা যায়, নাকি যায় না?
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৪
বিষাদ সময় বলেছেন: স্যারি ভাই। দেশের সিচুয়েশন কি তা জানেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে যদি ফেরত আনা হয় তাহলে দেশে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। সে কারণে সরকার নিজেরাই এখন তাকে ফেরত আনতে চায়না ।
তাছাড়া যেভাবে পাইকারী হারে মামলা হয়েছে সেই মামলা গুলোর যে মেরিট নাই তা বিভিন্ন আইনজীবি বলেছেন। ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর সদস্যরা মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন এছাড়াও যদি কেউ ন্যায় বিচার পাবে না বা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আশংকা থাকে তাহলেও কোন দেশই সহজে কাউকে প্রত্যার্পন করবে না।
আসলে আপনার লেখার মধ্যে এক ধরণের জাজমেন্ট এবং তা এ্ক্সিকিউশন এর তাড়া আছে কিন্তু কোথাও ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দিক নির্দশনা নাই। আপনাদের মতো বিজ্ঞ জনেরাও যদি এখনও একই ধারা চালু রাখতে চান তবে এ দেশে আর সুস্থ ধারা কবে চালু হবে। ধন্যবাদ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এ সময় শেখ হাসিনাকে যদি ফেরত আনা হয় তাহলে দেশে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। আমিও এটাই বলতে চেয়েছি, পোস্টের নীচে থেকে ২ নাম্বার প্যারায়।
আসলে আপনার লেখার মধ্যে এক ধরণের জাজমেন্ট এবং তা এ্ক্সিকিউশন এর তাড়া আছে কিন্তু কোথাও ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দিক নির্দশনা নাই। কথাটা ঠিক না ভাই। আমি ন্যায় বিচারের পক্ষে বলেই শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচারের বিপক্ষে কথা বলেছি। রায় হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে দেশে আনা হবে কেন? তার অ্যাবসেনসে বিচার হলে তার স্টেটমেন্ট কে দেবে? ক্রস-এক্সামিন কে করবে? এগুলো করা না হলে তো সূক্ষ্ম বিচার সম্ভব না, আপনি অ্যাডভোকেট, এটা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন।
যাই হোক, ফিরতি কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বিষাদ ভাই।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১
রাকু হাসান বলেছেন:
কিছু বিষয়ে সরকার চাপে আছে হয়তো সে কারণে চাইছে না । আমার মনে হয় দ্রুত চাইবে। লিগেল প্রসেস শুরু করলে ভারতও একটা চাপে পড়বে বলে মনে হয়।অনন্ত তাদের অবস্থান ও বক্তব্য পরিষ্কার হবে। ত্রিপুরা ও আগরতলা থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনাটা কিভাবে দেখছেন?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ত্রিপুরা ও আগরতলা থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনাটা কিভাবে দেখছেন? আমার মনে হচ্ছে এটা সাময়িক, তাদের নিরাপত্তার জন্য এটা করা হয়েছে। সামনে সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে মিটিং আছে। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এর মাধ্যমে দু-দেশের ঠান্ডা সম্পর্কে উষ্ণতা ফিরে আসবে।
কমেন্টের বাকি অংশের সাথে আমি একমত রাকু হাসান ভাই। ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৭
ইথার রহমান বলেছেন: দিদির বিচার হওয়ার চান্স নেই, বিচার প্রক্রিয়া পুরোপুরি শুরু হতে হতে উনি পাড়ি জমাবেন আকাশে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিচার প্রক্রিয়া পুরোপুরি শুরু হতে হতে উনি পাড়ি জমাবেন আকাশে। আকাশে পাড়ি দিয়ে কি বাংলাদেশে ফিরবেন? ফাইন, তাহলে তো আর কোনো সমস্যা রইল না।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওনাকে জোরপুর্বক ভারতে রেখে এসে 'পালিয়ে গেছেন' 'পালিয়ে গেছেন' বলা হচ্ছে কেন?
উনি কি পালিয়ে গেছেন?
সেনা প্রধান নিজেই বলেছিলেন উনি কোন মতেই যেতে চান নি পরে পুতুল ও জয়কে ফোনে ডেকে ভয় দেখিয়ে ওনাকে বাধ্যকরা হয়েছিল চলে যেতে।
সেনাবাহিনির হেলিকপ্টারে ৮ জন উচ্চপদস্থ করমকর্তার পাহারায় ওনাকে প্রথমে আগরতলা, পরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি ১৩০ বিমানে দিল্লি পৌছে ভারতের কাছে অফিসিয়ালি হস্তান্তর করা হয়েছিল।
ইহাকে পালানো বলে না জোরপুর্বক ভারতে রেখে আসা বলে?
এখন আবার হাস্যকর ভাবে ওনাকে ফেরত চেয়ে দেশের ভারত বিরোধী জামাতি রাজনীতি চাঙ্গা করছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় হাসান কালবৈশাখী ভাই, শুভেচ্ছা। আশা করি ভালো আছেন।
ওনাকে জোরপুর্বক ভারতে রেখে এসে 'পালিয়ে গেছেন' 'পালিয়ে গেছেন' বলা হচ্ছে কেন?
উনি কি পালিয়ে গেছেন?
প্রিয় হাসান কালবৈশাখী ভাই, যে-কোনো ব্যাখ্যায় এটা 'পলায়ন' হিসাবেই বিবেচিত হবে। লক্ষ্মন সেন, নবাব সিরাজুদ্দৌলার পর শেখ হাসিনার নামই ইতিহাসে উচ্চারিত হবে, যারা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেনাপ্রধান, জয় বা পুতুলের কথার অর্থ ছিল, আপনি শীঘ্র পালান, শীঘ্র পালান প্রাণে বাঁচতে চাইলে।
আপনি তো অনেক টপ সিক্রেট খবর পেয়ে থাকেন বলে আমার ধারণা। এটাও নিশ্চয়ই জেনেছেন, শেখ হাসিনা ভারতকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন তাকে নেয়ার জন্য প্লেন পাঠাতে। ডিপ্লোমেটিক কারণে ভারত সেটা করে নাই। কিন্তু শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর জন্যই তাকে পালাতে সহায়তা করেছেন সেনা প্রধান, ব্যাপারটা এ ছাড়া আর কিছু না।
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণ মানুষকে এতখানিই ক্ষুব্ধ করেছিল যে, শেখ হাসিনা জানতেন, জনগণের সামনে পড়লে জনগণ তাকে কী করে ফেলবে। ১৯৮১ সালের দেশে ফেরা শেখ হাসিনা যদি হতেন, তিনি পালাতেন না, বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে গিয়ে বুক পেতে দাঁড়াতেন, আর হুংকার ছেড়ে বলতেন, এই দেশ আমার, আমি কোথাও যাব না, তোমরা চালাও গুলি আমার বুকে। জনগণ মুহূর্তে চুপসে যেত। কিন্তু এভাবে জনগণের সামনে যাবার মতো তার সাহস বা নৈতিকতা কোনোটাই ছিল না। যিনি বিএনপি-জামাতকে '২১ বছরের স্বৈর শাসক' বলতে বলতে মুখ ঘা করে ফেলেছিলেন, দম্ভ আর অহংকারে তিনি নিজেই যে সর্বকালের হিংস্রতম স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিলেন, এটা তিনি টের পান নাই।
ভালো থাকবেন প্রিয় হাসান কালবৈশাখী ভাই।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার বিচার হবে ভালো কথা।
কিন্তু যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করলো, আগুন দিলো, শেখ মুজিবের ভাস্কর্যে মুতে দিলো, লুটপাট করলো তাদের বিচার হবে না?
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনার সঠিক বিচারের আশা বাদ দিয়ে দেন। ২১শে আগস্ট কারো উপর হামলা হয়নি।