নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
কালের কণ্ঠ, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাবনা জমা দিতে যাচ্ছে ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন। সংবিধান বিষয়ে ৫৪ হাজার মতামত ও ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ করতে যাচ্ছে কমিশন।
সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, টানা দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হবেন না, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা, ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বিধান, স্পিকারের একক ক্ষমতা নয় ও ২১ বছরেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাবনা এবং ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাবনা। পুনর্লিখন না হলেও কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অংশীজনদের একটা বড় অংশ কথা বলেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাগুলোকে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। সেই আলোকেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার প্রবর্তন, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাবনা আনা হচ্ছে।’
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনেক ধরনের মতের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের একটা ভূমিকা থাকে। তাই এটাকে একটা ইতিবাচক হিসেবে আমরা বিবেচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় একটা জবাবদিহি তৈরি করতে হবে।’
সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বয়স ২৫ আছে। সেটি কমিয়ে ২১ বিবেচনা করেছি। সংবিধান ১৯৭২ সাল থেকে যে ১৭টি সংশোধন হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি যে এগুলোর শেষ পর্যন্ত কী লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।’
(উপরের কথাগুলো নেয়া হয়েছে কালের কণ্ঠ, ০৫ জানুয়ারি থেকে। লিংক : Click This Link)
*****
আমার বক্তব্য।
আমার মতে সংস্কারগুলোর সুপারিশ সন্তোষজনক, খুবই উচ্চমার্গীয় হয় নি। একেকটা পয়েন্টের উপর নীচে আমার সংক্ষিপ্ত মতামত দিলাম।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতা ভাগাভাগি
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়টা দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হচ্ছে। এমন একটা ধারণা কেমন হয় যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে বিরোধী দল থেকে? বর্তমান সংবিধানে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর কোনো দলমতের উল্লেখ না থাকলেও এ যাবত আমাদের প্রেসিডেন্টগণ ক্ষমতাসীন দল থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। সংবিধানে একটা বিধান যোগ করা যেতে পারে - প্রেসিডেন্ট বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত হবেন। সেই সাথে সংবিধানে যে-সব স্থানে প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মতি নেয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো রহিত বা পরিবর্তন করতে হবে, একই সাথে প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কিছু কিছু বিষয়ে পূর্বানুমতি গ্রহণের বিধান যোগ করা যেতে পারে।
এটাও একটা ভালো পদক্ষেপ হবে, যদি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়- তখন তিনি যে-কোনো দলেরই প্রার্থী হতে পারেন, এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন। কমিশন দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করেছে (নীচে দেখুন)। দুই কক্ষের সাংসদদের গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যেতে পারে। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না
টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না - এখান থেকে 'টানা' শব্দ নিয়া মারপ্যাঁচের দরকার নাই। সোজাসুজি বলুন, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হবেন না
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হবেন না - আমার কাছে এটা খুবই দুর্বল সুপারিশ বলে মনে হচ্ছে। এটা বাদ পড়ে যাবে। আমি বালখিল্য বাল হরিদাশ পালই এটা গ্রহণ করতে পারছি না, রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে মানবে? হাস্যকর সুপারিশ মনে হচ্ছে আমার কাছে।
এ ব্যাপারে চ্যাটজিপিটিকে একটা প্রশ্ন করা হয়। নীচে প্রশ্ন ও উত্তরগুলো দেখুন। এর অতিরিক্ত তথ্য জানা থাকলে, বা এ তথ্যগুলো ভুল থাকলে জানাতে অনুরোধ করছি।
আমার প্রশ্ন। এমন কিছু দেশের নাম বলুন, যেখানে রাজনৈতিক দলের প্রধান ব্যক্তি সাংসদ নির্বাচিত হয়ে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না, সংবিধানের আইনের কারণে।
চ্যাটজিপিটির উত্তর
এমন কিছু দেশের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে যেখানে রাজনৈতিক দলের প্রধান ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরেও সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এই নিয়ম বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, বিশেষ যোগ্যতার শর্ত, বা সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. ইসরায়েল। ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য কনস্টিটিউশনাল নিয়মে সংসদ সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যদিও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের মনোনয়ন প্রয়োজন। দলীয় প্রধান হলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে নাও পারেন, যদি প্রেসিডেন্ট অন্য কাউকে মনোনীত করেন।
২. মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য Yang di-Pertuan Agong (রাজা)-এর অনুমোদন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রধান বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার নেতা প্রধানমন্ত্রী হতে নাও পারেন, যদি রাজা মনে করেন যে অন্য কেউ এই পদে বেশি যোগ্য।
৩. জাপান। জাপানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংসদীয় নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে ভোট গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রধান হলেও দলের মধ্যে অন্য কোনও প্রার্থী বেশি সমর্থন পেলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
৪. যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বেশ কিছু সাংবিধানিক যোগ্যতা রয়েছে। যদি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধান এই যোগ্যতা না পূরণ করেন (যেমন জন্মগতভাবে আমেরিকান নাগরিক হওয়া), তবে তিনি প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
৫. ভারত। ভারতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সাংসদ হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যদিও কোনও দলের প্রধান ব্যক্তি সংসদ সদস্য হন এবং তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তবুও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে নাও পারেন, যদি রাষ্ট্রপতি অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেসের প্রধান হওয়ার আগে এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল।
৬. ভুটান। ভুটানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্বাচনের পর বিশেষ নিয়মাবলি মানতে হয়। রাজনৈতিক দলের প্রধান হলেও যদি তিনি সংবিধানের নির্ধারিত যোগ্যতা না পূরণ করেন, তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
এই ধরনের নিয়ম সাধারণত গণতান্ত্রিক ভারসাম্য এবং সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়।
চ্যাটজিপিটির তথ্যগুলো পর্যালোচনা করলে এটা বোঝা যায় যে, আমাদের দেশের সাথে ঐ দেশগুলোর কিছু পার্থক্য আছে। আমাদের দেশে রাজতন্ত্র নেই, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য রাজার অনুমোদনের প্রসঙ্গ অবান্তর। তবে, নির্বাচিত সাংসদগণের গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা যেতে পারে।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ। উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিয়ে নিম্নকক্ষ হতে পারে। এর সাথে জেলাশহরের সংসদীয় আসন বা থানাগুলোকে যোগ করে নিম্নকক্ষ ৫০০ আসন বিশিষ্ট হতে পারে। এদের পদের নাম উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারে, কিংবা মেম্বার অব লোয়ার পার্লামেন্ট (এমএলপি) বা মেম্বার অব লোয়ার ডিভিশন পার্লামেন্ট (এমএলডিপি) হতে পারে। স্থানীয় সরকার ও আইন প্রণয়ন, উভয়ক্ষেত্রেই এদের ভূমিকা সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। লোয়ার ডিভিশন পার্লামেন্টের জন্য একটা আলাদা ভবন ও এলাকা নির্বাচন করা যেতে পারে, যেটি হতে পারে ঢাকার দোহার, সাভার বা গাজীপুরে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হবে
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হবে। জনমনের প্রতিফলন এটা। এটা অনেক ঝামেলা ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। দেখে নিন, উহা কী বস্তু।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ৭০-এ বলা হয়েছে:
৭০। কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
আমার মতে, ৭০(খ) বাদ দেয়াই সমীচীন হবে। পদত্যাগের ক্লজের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি একমত না। তবে, কমিশন এতে কী সংস্কার আনে, তা দেখার অপেক্ষায় রইল জাতি।
১২০টা দেশের সংবিধান পর্যালোচনা
১২০টা দেশের সংবিধান পর্যালোচনা। এই স্বল্প সময়ে ১২০ দেশের সংবিধানের পর্যাপ্ত পর্যালোচনা করা সম্ভব নয় বলে মনে করি, তবু সাধুবাদ, তারা অন্তত ১২০টা দেশের সংবিধান গোনায় ধরেছেন।
ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে
ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে। আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের ভূমিকা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কিংবা সরকার পরিচালনায় এমন কোনো প্রভাব বিস্তারকারী ভূমিকা কি রাখতে পেরেছে, যাতে বিরোধী দলীয় স্পিকার একটা ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারে? এটা তেমন কোনো ফল দিবে বলে মনে হয় না। ডেপুটি স্পিকার বিক্রি হয়ে যাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে, এটা রাজনৈতিক দলগুলো মানবে বলে মনে হয় না।
স্পিকারের একক ক্ষমতা থাকছে না
স্পিকারের একক ক্ষমতা থাকছে না। ডেপুটি স্পিকারের বেলায় যা বলেছি, সেই একই কথা খাটে স্পিকারের বেলায়ও। স্পিকারের ক্ষমতার প্রভাব আমরা কতখানি অনুভব করতে পারি? তার ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানোয় সংসদে বা রাজনৈতিক অঙ্গন ও সরকারে কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে আমি ক্লিয়ার নই।
কমিশন ৫৪ হাজার মতামত পেয়েছেন। তারা কি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করেছেন? গ্রহণ করে থাকলে ভালো, এই সুপারিশগুলো টিকবে, না করে থাকলে রাজনৈতিক দল সরকার গঠনের সাথে সাথে - যখন এ সংবিধান সংসদে অনুমোদনের জন্য উঠানো হবে এবং আলোচনা হবে, এ বিধানগুলো বদলে যাবে খুব দ্রুত।
খলিল মাহ্মুদ
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
নাকি ৯০ এর মত রাজনিতিকগুলোকে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করবে ?
রাজনীতিকগণ জনগণকে পুঁজি করে, জনগণকে সাথে নিয়ে সংগ্রাম করেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় যেয়ে তারা জনগণকে ভুলে যান। কাজেই, তাদের ব্যাপারে প্রতারণার কথাটা আসলে যায় না।
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণই হলো দরিদ্র। কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন তেমন একটা হয় না। তাদের জীবনটা হলো প্রতিদিনই বেঁচে থাকার সংগ্রামে ঠাসা। তারা দুর্ভাগা।
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হয়েছে ছাত্রদের 'সংবিধান বাতিল' সংক্রান্ত বক্তব্যের পর থেকে। সারজিস আলম ছাত্রশিবিরের সম্মেলনে যোগদান করেছেন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন। ছাত্রদের সাথে জামায়াতে সম্পর্ক ভালো বলেই মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, ছাত্ররা বিএনপিকে কটাক্ষ করেছে, তারা একটা বালুর ট্রাকও সরাইতে পারে নাই। এসব কিছু থেকে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাকু হাসান ভাই।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১
শিশির খান ১৪ বলেছেন: বি এন পি নিজেকে আওয়ামীলীগের থেকেও বড় দালাল প্রমান করার জন্য দৌড় ঝাঁপ শুরু করছে। দেখেন না আরেক শালা চুদির ভাই নয় বছর পর ভারত থেকে ফিরে এসে এখন আমাদের সংবিধান শিখাচ্ছে। এরা এখন ভারতের বি টিম ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এরা দেশ কে কয় বার বেঁচে দেখেন।সংস্কার করলে তো জমিদারি প্রথা টিকবে না। দেখেন না মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী ,সাংসদ সদস্যের ছেলে সাংসদ সদস্য ,মেয়রের ছেলে মেয়র কি মজা আর কর্মী গুলা বোকা চোদা কিছুই বলে না। দলের ভিতরেই তো গণতন্ত্র নাই দেখেন না মহাসচিব কে পাশ কাটায়া ভরতের দালাল ফ্রন্টে চইলা আসছে।তারেক জিয়া একেবারেই অসহায় বেচারা ভারত আবার উনাকে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিএনপি হঠাৎ কেন আওয়ামী লীগের জন্য দালালি শুরু করছে তা বেশ রহস্যময়। বিএনপি ভাবছে, আওয়ামী লীগ অতি শীঘ্রই ক্ষমতায় আসবে, তখন যেন তারা বিএনপির উপর চড়াও না হয়, বরং পুরস্কৃত করে, হয়ত বিএনপির স্ট্র্যাটেজি এটাই।
দেখেন না মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী ,সাংসদ সদস্যের ছেলে সাংসদ সদস্য ,মেয়রের ছেলে মেয়র কি মজা আর কর্মী গুলা বোকা চোদা কিছুই বলে না। ভালো বলেছেন। একমত।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
বিষাদ সময় বলেছেন: চমৎকার আলোচনা। পোষ্টে বিস্তারিতভাবে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন এবং নিজের মতামত ব্যক্ত করে পোষ্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছেন। নিচে আমার কয়েকটি মতামত বা প্রশ্ন পয়েন্ট আকারে তুলে ধরলাম-
১) এই কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রিয়াজ কেন? তার কারণ তার যোগ্যতা না অন্য কিছু? বাংলাদেশের গ্রাসরুট লেভেলের মানুষকে তিনি কতটা ঘনিষ্ট ভাবে চিনেন?
২) এই সংবিধান সংষ্কারের ভিত্তি কি গণতান্ত্রিক না মবোতান্ত্রিক? কারণ সংবিধান সংষ্কারের যে প্রস্তাব গুলো দেয়া হয়েছে তার বেশির ভাগের সাথে বিএনপি বা আওয়ামীলীগ একমত হবে না । অর্থাৎ অন্ততঃ ৬০% জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী দল এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত না।
৩) ৫৪ হাজার প্রস্তাব আর ১২০ দেশের সংবিধান ৯০-১০০ দিনে পর্যালোচনা শেষ!! সত্যি সেলুকাস!!!
৪) ভোটারদের বয়স ১৭ বছর করার প্রস্তাব এবং সংসদ সদস্যদের বয়স ২১ করার প্রস্তাব একই সূত্রে গাঁথা।
৫) ছাত্র থাকা অবস্থায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক করেছি, এর ভাল মন্দ উভয়দিকই আছে।
৬) পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী আর রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আছে কিন্তু রাষ্ট্রের কি অবস্থা তাতো দেখতেই পাচ্ছি।
আমার মনে হয় এ দেশের প্রধান সমস্যা হলো রাজনৈতিক দলগুলো প্রচণ্ড ভাবে নীতি, নৈতিকতার ধার না ধেরে পরষ্পর বিরোধী এবং দলগুলোর ভিতরে কট্ররপন্থী নেতারা দলের মধ্যে এবং সরকারে থাকলে সরকারের উপর ভীষণ রকম প্রভাব বিস্তার করে রাখেন । যতদিন রাজনৈতিক দলগুলোকে পারষ্পরিক সংহারক অবস্থান থেকে সরিয়ে আনা না যাবে ততদিন দেশে কোন কিছুই স্থায়ীত্ব লাভ করবে না। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে এর জন্য প্রথমেই বিভিন্ন দলের ভিতরকার উদারপন্থী নেতাদেরকে সামনের দিকে নিয়ে আসার আইন বা কালচার সৃষ্টি করা এ ক্ষেত্রে সংবিধানকে সে মোতবেক সংষ্কার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পরে। উদাহরণ হিসাবে স্পিকার, রাষ্ট্রপতি ইতাদি পদগুলোতে নির্বাচন ব্যবস্থাটি এমন করা যেতে পারে যাতে করে অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী নেতারা এখানে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন। এতে করে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরষ্পর সহশীলতার একটা কালচার গড়ে উঠতে পারে।
দীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। ভাল থাকবেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিষাদ সময় ভাই, শুভেচ্ছা। চমৎকার বিষয়। আপাতত ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সময় নিয়ে পরে এসে বিস্তারিত বলবো।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪
ঢাকার লোক বলেছেন: ১) আমিও'টানা দুইবারের' বেশি থেকে 'টানা' বাদ দিয়ে দুইবার করার পক্ষে।
২) দল থেকে পদত্যাগ করলে সংসদের আসন হারানোর আইন থাকা আবশ্যক যাতে এক দলের হয়ে নির্বাচনে পাশ করে অন্য দলে যোগ দিতে না পারে।
৩) প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট উভয়ই জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করে উভয়ের ক্ষমতার একটা ভাসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫৩
রবিন_২০২০ বলেছেন: ড: আলী রিয়াজ গুড চয়েস। তিনি পশ্চিমা স্টাইল ফলো করবেন। যেখানে মানুষের অধিকার প্রাধান্য পাবে।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি জানে জামাতের চেয়ে আওয়ামীলীগ ভালো।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: ৭২ এর সংবিধান যদি আপনি দেখেন সেটা তৈরি করা হয়েছি শেখ মুজিবকে সামনে রেখে। তার হাতে অসামান্য ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্যই সংবিধান রচনা করা হয়েছিল। কোন গনতান্ত্রিক দেশে কারো হাতে এতো ক্ষমতা থাকা মোটেই উচিৎ না।
আর ৭০ অনুচ্ছেদের বাতিল করা দরকার অবশ্যই। এই ধারার জন্য একটা রাজনৈতিক দল আরো বেশি স্বেচ্ছাচারি হয়ে ওঠে । তারা জানে যে একবার আমার ব্যানারে কেউ এলে আমি খারাপ কাজ করলেও কেউ কোন কথা বলবে না। এটা অবশ্যই হতে পারে না। কেবল মাত্র রাজনৈতিক দলের পরিচয়েই কাউকে নির্বাচিত করা ঠিক না, রাজনৈতিক দলের ব্যানারে যে দাড়াবে কোয়ালিটি দেখেও জনগন ভোট দিবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
রাকু হাসান বলেছেন:
রাজনৈতিক দলগুলো সংষ্কার প্রস্তাবে খুব একটা ঐক্যবদ্ধ হবে বলে মনে করেন? হলেও তা বাস্তবায়নের আশা রাখেন? নাকি ৯০ এর মত রাজনিতিকগুলোকে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করবে ?