নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য কত টাকার প্রয়োজন?

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আপনি নিজে যদি দরিদ্র-ঘরে জন্মগ্রহণ করে না থাকেন, তাহলে বুঝবেন না দারিদ্র্য কাকে বলে। একজন হাড়-বেরুনো বৃদ্ধা ভিখারিনীর দুঃখ দেখে সমব্যথী হতে পারেন, কিন্তু তার ক্ষুদায় আর্ত পেটের বেদনা অনুভব করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।

স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকার জন্য একজন মানুষের আসলে কত টাকার প্রয়োজন? এই প্রশ্নের উত্তরের ভেতর আপনার লোভী কিংবা নির্মোহ জীবনের সাক্ষী রয়ে গেছে।

সামহোয়্যারইন ব্লগে একবার একজন ব্লগারের একটা পোস্ট পড়ে আমি খুব অবাক হলাম। তিনি বলেছেন, আপনাকে আজ এক হাজার টাকা দেয়া হলো (প্রথম দিনের টাকার অঙ্কটা ভুলে গেছি, তাই নিজে থেকে এক হাজার বললাম)। প্রতিদিনই আপনাকে আগের দিনের দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা দেয়া হবে। এই টাকা আপনি কীভাবে খরচ করবেন, তার একটা প্ল্যান বের করুন তো দেখি!

আপনারা যারা এ পোস্টটি পড়ছেন, তারাও এ কাজটি করে ফেলতে পারেন। আপনার বয়স এখন ৪০ বছর। ধরুন, আপনি আরো ২৫ বছর বাঁচবেন। এই টাকা আপনি কীভাবে কাজে লাগাবেন? তার আগে আপনি অংক কষে বের করুন তো দেখি, আগামী ১ বছরে আপনি কত টাকা পাবেন? ৫ বছরে কত, ১০, বা ২৪তম বছরের শেষ দিনে আপনার প্রাপ্য টাকার অঙ্ক কত হবে?

একজন ভিখারিনি, যার ঘরে খাবার নেই, তিনি সকালে বের হন এই আশায়, যেন আজকের ভিক্ষার টাকায় সে দিনের খাবারটা কিনতে পারেন।

একজন রিকশাওয়ালার প্রথম টার্গেট থাকে মহাজনের ভাড়ার টাকাটা উঠানো। তারপর যা পান তা দিয়ে দিনের খাবার; এরপর কিছু সঞ্চয়ের আশা করেন, যাতে বৃষ্টিবাদলের দিনে তা খরচ করতে পারেন; বাড়ি ভাড়া, সন্তানের লেখাপড়ার চিন্তা তো মাথায় থাকেই। সব মিলিয়ে আজকের দিনে মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হলে কোনোরকমে তার সংসার চলতে পারে।

একজন ২০তম গ্রেডের চাকরিজীবী টাইম স্কেলের আশায় থাকেন, মনে মনে ভাবেন, ১৫তম গ্রেডের বেতন হলে তার কতই না ভালো হতো। ২০ আর ১৫তম গ্রেডের বেতনে কত টাকার পার্থক্য? আমি পে-স্কেল না দেখেই অনুমান করে বলছি, ২০-৩০ হাজারের মতো হতে পারে।

এভাবে প্রতিটি চাকরিজীবী, কর্মজীবী তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রাপ্ত বেতন বা পারিশ্রমিকের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই শ্রেয়তর একটা টাকার অংকের প্রতি প্রত্যাশা পোষণ করেন।

মানুষ নিজের ইচ্ছা বা লোভকে দমন করতে পারে খুব সহজেই। মোটামুটি সুখে ও শান্তিতে এবং স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকার মতো অর্থ আপনার কাছে থাকলে আপনাকে অধিক পরিশ্রম করে বার্ধক্যে পৌঁছুবার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যেতে হবে না। ‘বিলাসিতা’ কাকে বলে? আপনি অভিধান খুঁজে এর সঠিক অর্থ বের করতে পারেন। ‘বিলাসিতা’ হলো অপব্যয়িতার সাথে সম্পর্কিত। আপনার একটা গাড়ি হলেই চলে, কিন্তু আপনি যখন পরিবারের সব সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ি কিনবেন, সেটা হলো বিলাসিতা। ডোজ বেশি হয়ে গেলে ছোটো উদাহরণ দিই, গাড়ি না হলেও আপনার চলে, কিন্তু আপনি গাড়ি কেনার জন্য পাগল হয়ে গেলেন, এবং শেষমেষ কিনলেনই। আরেকটা উদাহরণ দিই। হাতে টাকা নাই, কিন্তু ভারত বা সিঙ্গাপুর ভ্রমণের জন্য পাগল। ধার দেনা করে ভ্রমণকম্ম সম্পন্ন করলেন, ঋণ শোধ করতে পারবেন বলে মনে হয় না। এর নাম ‘অশ্বরোগ’। এরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে, যেগুলো আপনিই বের করার জন্য উত্তম ব্যক্তি।

আমি এই শিরোনামের বিষয়টা নিয়ে ভাবছি বেশ আগে থেকেই, প্রায় ৪-৫ বছর তো হবেই। আসলেই, একজন চাকরিজীবী মানুষ কত টাকার মালিক হলে মোটামুটি স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারেন? আপনি যদি প্রথম গ্রেডের চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, আপনার বার্ষিক আয় ২০ লাখের মতো। আপনার সমস্ত খরচপাতি, সুখ-বিলাস এই ২০ লাখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো, বেতন ২০ লাখ, কিন্তু ঢাকায় আমার নিজস্ব বিলাস-বহুল অ্যাপার্টমেন্ট থাকা চাই, যা আমার সোশ্যাল স্টেটাসের ইন্ডিকেটর। আমার ছেলেমেয়েদেরকে ইউকে, ইউএস-এ তে পড়াতে হবে, সেটাও আমার সোশ্যাল স্টেটাসের ইন্ডিকেটর। আর এসবের জন্য কত টাকার প্রয়োজন, কোনো আন্দাজ আছে?

জুলাই বিপ্লবের পর দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা বের হচ্ছে, সাথে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের খবর বের হচ্ছে। একদিকে ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট, অন্যদিকে এসব ব্যক্তির কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এসব খবর দেখে আমার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায়, এবং সামান্য সম্বিৎ পাবার পর আমার বিস্মিত প্রশ্নটি উঠে আসে, এত টাকা তারা কীভাবে, কোথা থেকে পেলো?

হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। যারা এসব প্রকল্পে কখনো কাজ করেছেন, তারা আমার চাইতে ভালো বলতে পারবেন এবং কেউ কিছু জ্ঞান দিলে এ পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করা যাবে। ঐ প্রকল্প সূচনা থেকে শুরু করে, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হয়। প্রতিটা ধাপেই প্রকল্পের মোট টাকার একটা নির্দিষ্ট হারে কমিশন দিতে হয় কিছু ব্যক্তিকে, যারা শুধু এই প্রকল্পেরই কর্ণধার নন, পুরো দেশটাকেই যারা নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে, প্রারম্ভিক যে টাকায় প্রকল্প অনুমোদিত হলো, ফিল্ড লেভেলে যাওয়ার পর দেখা যায় প্রকল্পের বড়ো অংশটাই কমিশন খেয়ে ফেলেছে (এগুলো শোনা গল্প থেকে বলা। কেউ যদি দ্বিমত পোষণ করেন, আপত্তি নেই)।

জুলাই বিপ্লবের পর যেসব দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম আমরা প্রকাশিত হতে দেখেছি, তাদের নাম ও দুর্নীতির তালিকা আমি এ পোস্টে উল্লেখ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকজনের দুর্নীতির ফিরিস্তি পড়তে যেয়ে আমি হাঁপিয়ে উঠেছি। আপনারাও নিশ্চয়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় বা কোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তা পড়েছেন। এই ফিরিস্তি পড়তে যেয়ে আমি বার বারই আমার সেই পুরোনো প্রশ্নটা করেছি মনে মনে, একজন মানুষের আসলে কত টাকা, কতগুলো ফ্ল্যাটের প্রয়োজন তার বেঁচে থাকার জন্য? তিনি কি তার পরবর্তী ১৪ পুরুষের জন্য একাই সমস্ত সম্পত্তি করে রেখে যেতে চান? তারা তাহলে কী করবে?

এ পোস্ট পড়তে পড়তে যারা এ পর্যন্ত এলেন, তারা কি বলতে পারবেন, আপনার সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য কত টাকার প্রয়োজন? ঐ যে উপরের দিকে একজন ব্লগারের কথা উল্লেখ করে বলেছিলাম, আপনি কি সেই প্রশ্নের দু-একটা উত্তর নিজে ট্রাই করেছেন?

বরাবরের মতো আমি চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়ে এ প্রশ্নের উত্তর বের করেছি। নীচে আমার প্রশ্ন ও চ্যাটজিপিটির উত্তর দেখুন।

প্রশ্ন।

এক ব্যক্তির প্রথম দিনের বেতন ১০০০ টাকা। প্রতিদিনই তার বেতন আগের দিনের দ্বিগুণ হয়। এই সূত্রানুযায়ী আমাকে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। ক। ৩০তম দিনে তার বেতন কত হবে? খ। ৩৬৫তম দিনে বেতন কত হবে? গ। ২৫তম বছরের শেষ দিনে তার বেতন কত হবে? ঘ। ২৫ বছরে তার বেতন কত হবে?

উত্তর।

প্রশ্নটি একটি জ্যামিতিক ধারার উদাহরণ।
প্রথম দিনের বেতন = ১০০০ টাকা
প্রতিদিন বেতন দ্বিগুণ হয় = এটি জ্যামিতিক ধারা, যেখানে
প্রথম পদ a=১০০০a = ১০০০a=১০০০, সাধারণ অনুপাত r=২r = ২r=২।
প্রতিদিনের বেতন নির্ণয় করতে আমরা ব্যবহার করব:
n-তম দিনে বেতন
Tn=a×rn−1T_n = a times r^{n-1}Tn=a×rn−1

ক। ৩০তম দিনে তার বেতন কত হবে?
T30=১০০০×২৩০−১=১০০০×২২৯T_{30} = ১০০০ times ২^{৩০-১} = ১০০০ times ২^{২৯}T30=১০০০×২৩০−১=১০০০×২২৯
২২৯=৫৩৭,৮৭০,৯১২২^{২৯} = ৫৩৭,৮৭০,৯১২২২৯=৫৩৭,৮৭০,৯১২
T30=১০০০×৫৩৭,৮৭০,৯১২=৫৩৭,৮৭০,৯১২,০০০ টাকাT_{30} = ১০০০ times ৫৩৭,৮৭০,৯১২ = ৫৩৭,৮৭০,৯১২,০০০ , text{টাকা}T30=১০০০×৫৩৭,৮৭০,৯১২=৫৩৭,৮৭০,৯১২,০০০টাকা
উত্তরঃ ৫৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা

খ। ৩৬৫তম দিনে বেতন কত হবে?
T365=১০০০×২৩৬৪T_{365} = ১০০০ times ২^{৩৬৪}T365=১০০০×২৩৬৪
এটি একটি বিশাল সংখ্যা। তবে আমরা সাধারণ ধারণা দিতে পারি যে,
২১০≈১০২৪≈১০৩২^{১০} approx ১০২৪ approx ১০^৩২১০≈১০২৪≈১০৩
তাহলে ২৩৬৪≈(২১০)৩৬.৪≈১০৩×৩৬.৪=১০১০৯.২২^{৩৬৪} approx (২^{১০})^{৩৬.৪} approx ১০^{৩ times ৩৬.৪} = ১০^{১০৯.২}২৩৬৪≈(২১০)৩৬.৪≈১০৩×৩৬.৪=১০১০৯.২
T365≈১০০০×১০১০৯.২=১০৩×১০১০৯.২=১০১১২.২T_{365} approx ১০০০ times ১০^{১০৯.২} = ১০^{৩} times ১০^{১০৯.২} = ১০^{১১২.২}T365≈১০০০×১০১০৯.২=১০৩×১০১০৯.২=১০১১২.২
উত্তরঃ প্রায় ১০১১২১০^{১১২}১০১১২ টাকা
(অর্থাৎ ১-এর পরে ১১২টি শূন্য)

গ। ২৫তম বছরের শেষ দিনে তার বেতন কত হবে?
১ বছরে ৩৬৫ দিন
২৫ বছরে = ২৫×৩৬৫=৯১২৫২৫ times ৩৬৫ = ৯১২৫২৫×৩৬৫=৯১২৫ দিন
T9125=১০০০×২৯১২৪T_{9125} = ১০০০ times ২^{৯১২৪}T9125=১০০০×২৯১২৪
আবার ২৯১২৪≈(২১০)৯১২.৪≈১০৩×৯১২.৪=১০২৭৩৭.২২^{৯১২৪} approx (২^{১০})^{৯১২.৪} approx ১০^{৩ times ৯১২.৪} = ১০^{২৭৩৭.২}২৯১২৪≈(২১০)৯১২.৪≈১০৩×৯১২.৪=১০২৭৩৭.২
T9125≈১০০০×১০২৭৩৭.২=১০৩×১০২৭৩৭.২=১০২৭৪০.২T_{9125} approx ১০০০ times ১০^{২৭৩৭.২} = ১০^{৩} times ১০^{২৭৩৭.২} = ১০^{২৭৪০.২}T9125≈১০০০×১০২৭৩৭.২=১০৩×১০২৭৩৭.২=১০২৭৪০.২
উত্তরঃ প্রায় ১০২৭৪০১০^{২৭৪০}১০২৭৪০ টাকা
(অর্থাৎ ১-এর পরে ২৭৪০টি শূন্য)

ঘ। ২৫ বছরে তার মোট বেতন কত হবে?
মোট বেতন = প্রথম ৯১২৫ দিনের বেতন যোগফল
জ্যামিতিক ধারার যোগফল সূত্র:
Sn=a×rn−১r−১=১০০০×২৯১২৫−১১=১০০০×(২৯১২৫−১)S_n = a times frac{r^n - ১}{r - ১} = ১০০০ times frac{২^{৯১২৫} - ১}{১} = ১০০০ times (২^{৯১২৫} - ১)Sn=a×r−১rn−১=১০০০×১২৯১২৫−১=১০০০×(২৯১২৫−১) ২৯১২৫≈১০২৭৪০.৫⇒২৯১২৫−১≈১০২৭৪০.৫২^{৯১২৫} approx ১০^{২৭৪০.৫} Rightarrow ২^{৯১২৫} - ১ approx ১০^{২৭৪০.৫}২৯১২৫≈১০২৭৪০.৫⇒২৯১২৫−১≈১০২৭৪০.৫ S৯১২৫≈১০০০×১০২৭৪০.৫=১০৩×১০২৭৪০.৫=১০২৭৪৩.৫S_{৯১২৫} approx ১০০০ times ১০^{২৭৪০.৫} = ১০^{৩} times ১০^{২৭৪০.৫} = ১০^{২৭৪৩.৫}S৯১২৫≈১০০০×১০২৭৪০.৫=১০৩×১০২৭৪০.৫=১০২৭৪৩.৫
উত্তরঃ প্রায় ১০২৭৪৩১০^{২৭৪৩}১০২৭৪৩ টাকা
(অর্থাৎ ১-এর পরে ২৭৪৩টি শূন্য)

সারসংক্ষেপ:

• ৩০তম দিনঃ ৫৩৭,৮৭০,৯১২,০০০ টাকা
• ৩৬৫তম দিনঃ প্রায় ১০১১২১০^{১১২}১০১১২ টাকা
• ২৫তম বছরের শেষ দিনঃ প্রায় ১০২৭৪০১০^{২৭৪০}১০২৭৪০ টাকা
• ২৫ বছরে মোট বেতনঃ প্রায় ১০২৭৪৩১০^{২৭৪৩}১০২৭৪৩ টাকা

চরম দ্রুত বর্ধনশীল সংখ্যা, অবিশ্বাস্য স্কেলে!

আমি এখানে এ প্রশ্নটি উত্থাপন করেছি এটা বোঝানোর জন্য যে, একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খুব বেশি টাকার দরকার পড়ে না। কিন্তু সুযোগ পেয়ে যখন কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অঢেল টাকার মালিক বনে যান, তখন নিজেই খেই হারিয়ে ফেলেন ঐ টাকা দিয়ে কী করবেন। ধরুন, আপনাকে দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে দেয়া হলো, সেই সাথে উপরে চ্যাটজিপিটির বের করে দেয়া টাকাও দেয়া হলো, আপনি দেশের জন্য কী কী পরিকল্পনা হাতে নিবেন, ঝটপট বলে ফেলুন তো! হ্যাঁ, কোন প্রকল্পের জন্য কত টাকা দেবেন, তাও বলুন।

মানুষ সম্ভবত জন্মগতভাবেই লোভী, এজন্য অনেকের পক্ষেই লোভ ত্যাগ করা বা লোভ সংযত করা সম্ভব হয় না। অনেক সম্পত্তির অধিকারী হয়েও মানুষের মধ্যে ছাড় দেয়ার প্রবণতা দেখা যায় না – এটা আমার বনে, আমি ছাড় দেব কেন? এ বদ্‌গুণটা পরিহার করা উচিত। আমাদের মধ্যে ‘লোভ’ জিনিসটাই সবচাইতে বেশি ক্রিয়াশীল। লোভ থেকেই উচ্চাশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্ম হচ্ছে, এভাবে দুর্নীতির দিকেও ধাবিত হচ্ছি এই লোভ থেকেই।

আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনেক, অঢেল টাকার দরকার নেই। আপনি আপনার স্ত্রী, সন্তানাদিকে বোঝান কত টাকা হলে শান্তিতে ঘুমানো যাবে, সেভাবে উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করুন। অনেক সময়ে পরিবারের সদস্যদের চাপে আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি; দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অনেক পরিবারের সদস্যরা এই দুর্নীতিকে স্বাগত জানান, বরং তারাই চান এই ‘উপরি’ উপার্জনের পরিমাণটা যেন শুধু অব্যাহতই না, দিনকে দিন যেন বাড়ে।

নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করার অভ্যাস গড়তে হবে। যখন ‘বিলাসী’ জীবনযাপনের দিকে ধাবিত হবেন, যার ব্যয় মেটানোর সামর্থ্য আপনার নেই, তখনই আপনাকে ‘চুরি’ করার দিকে এগোতে হবে, যেটা ‘পুকুরচুরি’ দিয়ে শুরু হয়ে ‘মহাসাগরীয়’ চুরিতে গিয়ে ঠেকবে।

যারা বেশি আয়ের লক্ষ্যে বস্তায় বস্তায় টাকা কামিয়েছিলেন, তাদের টাকাগুলো এখন কোথায়? তারাই বা কোথায়? সেই টাকার কোনো মূল্য আছে? আপনি ১ম গ্রেডের সরকারি কর্মচারি হয়ে থাকলে আপনি এখন সাকুল্যে ১ থেকে ২ কোটি টাকার মালিক, যা আপনার চাকরি থেকে আহরিত। এর বেশি অর্থ আপনার ‘উপরি’ আয়, যা বৈধ ব্যবসা (চাকরির অতিরিক্ত) হতে পারে, আবার ‘উপরি’র পরিমাণ বেশি হয়ে থাকলে সেটা অবৈধ আয়, বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় হবে বলেই অনুমিত।

আমরা ছোটোবেলায় (৮০ সালের দিকে) রচনায় পড়তাম, আমি যদি লটারিতে ১ লাখ টাকা পাইতাম। এখন সম্ভবত রচনায় ‘আমি যদি ১ কোটি টাকা পাইতাম’ হয়ে গেছে। আমি যদি আলাদিনের চেরাগ আপনার হাতে দিয়ে বলি, আপনি ঐ দৈত্যের কাছ থেকে চেয়ে নিন, কত টাকা হলে আপনার চলবে – আপনি কত টাকা চাইবেন?

খলিল মাহ্‌মুদ
১৭ মার্চ ২০২৫

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমি অংক খুব ভুই পাই! তাই যা পাই তাই খাই, পরি, সাজুগুজু করি।


আর এক কোটি টাকা আজকালকার দিনে মানুষ চাইলে এক দিনেই শেষ করে দিতে পারবে। তুমি বলছো এত অভাব হেনো তেনো মার্কেটে গেলে এত এত মানুষের হুড়াহুড়ি আর কেনাকাটি দেখে আমার মনে হয়েছে আড়ংসহ মনে হয় সকল দোকানের জামাকাপড় শেষ হয়ে যাবে মানে সবাইকে দিয়ে কুলাতেই পারবে না। আর মোটেও তারা কোটি কোটি টাকার মালিক না সবাই। সাধারন মানুষের পকেটেই তাড়ি তাড়ি টাকা। মলিন মুখে বের করছে গৃহকর্তা আর পুরা ফ্যামিলী গপাগপ কিনে চলেছে। ঈদ উৎসব ঘিরে মনে হয় লোজনের ধারকর্জ হয়ে গেলো!:(

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লাইক ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।

আমার প্রশ্ন, মানুষ এত টাকায় পায় কোথায়?

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঢাকায় মাসিক ৫০ হাজার!
অন্যান্য স্থানে ৩৫-৪০!



১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গ্রহণযোগ্য।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সৈয়দ কুতুব ভাই।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৬

শায়মা বলেছেন: আমিও এটাই ভাবি ভাইয়া। এত টাকা কই পায় আর চারিপাশে এত এত সুন্দর সুন্দর দামী দামী জিনিস কেনো যে আনে দোকানীরা!!!! :(

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

ভাববার বিষয় সত্যিই।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: সমন্বয়কদের দেখে শিখুন।এতটাকা কোথায় পায়।তিনজনে এক রিকশায় চড়তো।এখন একজনের তিনটা করে গাড়ী।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুলাই বিপ্লবের শিক্ষা হলো, কোনো অপরাধীই পার পাবে না, আজকে সে যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একেকজনের লাইফস্টাইল তো একেক রকম। আমি পরিবার নিয়ে যে টাকায় সংসার চালাই, অনেক ব্যাচেলর সেই টাকায় একা চলতে হিমশিম খায়। যাহোক, বড় ধরনের কোনো বিপদ না হলে মাসে মোটামুটি ২৫-৩০ দিয়ে আমি চালিয়ে নিতে পারি। আর ৫-১০ হাজার বাড়লে ভালো হয়। তবে লাখ বা তার বেশি চাই না। জীবনটাকে উপভোগ করাই কথা।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, এটা লাইফ স্টাইলের ব্যাপার তো অবশ্যই। সেই লাইফ স্টাইলটা নিজের অর্জনের সাথে সম্পর্কিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অশ্বরোগে আক্রান্ত হয়ে গেলেই সমস্যা :)

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সাধু ভাই।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: এটাতো অনেক পুরনো কথা।সেই গ্রীক সভ্যতা থেকে চলে আসছে।তখন বলা হতো নিয়তি।এখন আমরা জেনেছি এটা তার কৃতকর্মের ফল।আর আপনি জানলেন এই দুইনাম্বারী আন্দোলন থেকে।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কামাল ভাই, এটা অবশ্যই কৃতকর্মের ফল। আর, দুর্নীতিগ্রস্ত অপরাধীদের কাছে এটা দুই নাম্বারী আন্দোলনই, কারণ, তারা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছে, কেউ সেই টাকা বিদেশে পাঠাইতে পেরেছে, কেউ পারে নাই। দুর্নীতি করার সকল সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বিপ্লবীরা, এখন সেই পাপিষ্ঠরা হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে।

তবে, বিপ্লবীরাও যদি পতিত ফ্যাসিস্টদের মতো হয়ে ওঠে, তারাও রক্ষা পাবে না - জুলাই বিপ্লবের শিক্ষা এটাই।

ভালো থাকবেন।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি লিখেছেন আপনি নিজে যদি দরিদ্র-ঘরে জন্মগ্রহণ করে না থাকেন, তাহলে বুঝবেন না দারিদ্র্য কাকে বলে। একজন হাড়-বেরুনো বৃদ্ধা ভিখারিনীর দুঃখ দেখে সমব্যথী হতে পারেন, কিন্তু তার ক্ষুদায় আর্ত পেটের বেদনা অনুভব করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না। [/sb

আপনার পোস্টের শুরুর এই দুইটা বাক্য খুব তাৎপর্যপূর্ণ।

আসলে আমরা সামাজিক জীব, যে কারণে সোশ্যাল স্টেটাস বজায় রাখার জন্য আমরা অনেক সময় বাধ্য হই বাহুল্য খরচ করতে। কোন ব্যক্তিকে যদি একটা মহাদেশের সমান দ্বীপে একা নির্বাসনে দেয়া হয়, সেই ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি আলাউদ্দিনের দৈত্যের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা চাবে না। সে চাবে নিয়মিত পৃথিবীর সবচেয়ে উপাদেয় খাবার। একজন পরীর মত সুন্দর জীবনসঙ্গীনী, সুন্দর একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশাল বাগান বাড়ি, বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে আধুনিক চিকিৎসা এবং জীবনের নিরাপত্তা। সে দামী ব্র্যান্ডের কোন কাপড় চোপড়, মোবাইল, ঘড়ি, গ্যাজেট, জুতা, চশমা, সুগন্ধি, গাড়ি ইত্যাদি চাবে না। কারণে ঐ দ্বীপে তাকে দেখার কেউ নেই। পৃথিবীর প্রচণ্ড রকমের ধনী ব্যক্তিরা বেশী ব্যয় করে ভ্রমণ, পোশাক, বিলাস সামগ্রী, দামী হোটেলে থাকার খরচ, গাড়ি, বাড়ি, ইয়াট ইত্যাদির পিছনে। দ্বীপবাসী ঐ ব্যক্তি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে এগুলি চাবে না। কারণ হল এগুলি সে কাউকে দেখাতে পারবে না।

একটা মানুষের ব্যয়ের পরিমান আসলে নির্ভর করে সে সমাজের কোন শ্রেণীর সাথে আছে। সে চায় সেই শ্রেণীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। তাল মিলিয়ে চলতে আসলে সে বাধ্য হয়। এটা সমাজের একটা খারাপ দিক। আরও কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য আরও বড় হয়ে যাবে তাই লিখলাম না। পরে সময় পেলে লিখবো। এখন আমার বউ আমাকে খাওয়ার জন্য ডাকছে।

আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে। অংকের হিসাবে এক জায়গায় এআই লিখেছে ৫৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা। আসলে সংখ্যাটা হবে ৫৩ হাজার ৭ শত সাতাশি কোটি ৯ লক্ষ ১২ হাজার টাকা।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওরে আল্লাহ, এ-আই'র অংকে ভুলে ধরে তো আমাকেও এঙ্গেজ করে ফেলেছিলেন :) আমিও সময় নিয়ে চেক করে দেখলাম, আপনিই ঠিক :) কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, আপনি এই অংক নিরীক্ষা করতে গেছিলেন কোন সুখে, বা দুঃখে? :)

একটা মানুষের ব্যয়ের পরিমান আসলে নির্ভর করে সে সমাজের কোন শ্রেণীর সাথে আছে।

একদম ঠিক। সেজন্যই আমি নিম্নবিত্ত দু শ্রেণির উদাহরণ দিয়ে শুরু করেছি। সেখান থেকে সমাজের উচ্চতম পর্যায়ে যারা আছে, তাদের চাহিদাটা ধরা বা বোঝার চেষ্টা করেছি। তাদের আসলে কত টাকার দরকার? দুর্নীতি করে করে পুরো দেশটাও যদি গলধঃকরণ করে ফেলবে, ক্ষুধা কি মিটবে?

অনেক সুন্দর একটা কমেন্ট, সাড়ে চুয়াত্তর ভাই। এই পোস্টের জন্য অনন্য সংযোজন। ধন্যবাদ সেজন্য। ভালো থাকবেন।



৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: এক হাজার নয়, যদি প্রথম এক টাকা করে পরের দিন গুলোতে দ্বিগুন করে দেওয়া হয় তবুও কিছু দিনের ভেতরেই সংখ্যাটা ভয়ানক ভাবে বেড়ে যাবে! এক মাসেই সেটা হবে ১০৭৩ কোটি টাকা! আর এক বছরে হবে প্রায় ৭৫ সেক্সটিলিয়ন টাকা (৭.৫১৫ × ১০ এর মাথায় পাওয়ার ৫৪)।

আমি যখন প্রথম ঢাকাতে আসি তখন আমার মাসিক খরচ ছিল ৫ হাজারের মত। টিউশনি পাওয়ার পরে সেটা বেড়ে ১০ হাজারে গিয়ে ঠেকে। পড়াশোনা শেষ করার পরে সেটা আরো কিছু বেড়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে গত সাত আট বছরে আমার এই খরচটা একেবারে একই রকম আছে। এই সময়ে কখনো আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে আবার এমনও গেছে একদম বেকারও থেকেছি কিন্তু খরচটা একদম সেই একই রেঞ্জে আছে। সেই হিসাবে আমি যদি স্বাভাবি গড় আয়ুতে মারা যাই তাহলে ৬৫ লাখ যথেষ্ঠ আমার জন্য। অবশ্য ইনফ্লেশনের কারণে আরও কিছু যোগ হবে।

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার যদ্দূর মনে পড়ে, মুঘল আমলের কোনো এক সম্রাটকে নিয়ে একটা গল্প আছে এরকম, যেখানে দেখা যায় এক কর্মচারি এমনভাবে বেতন হাঁকে যে, প্রথম দিন এক পয়সা, পরের দিন ২ পয়সা, অর্থাৎ প্রতিদিনই আগের দিনের চাইতে বেতন দ্বিগুণ হবে।

যাই হোক, আপনার চাওয়াটাও খুবই স্বাবাবিক, সংগত ও বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে।

সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি পেশায় একজন হিসাব রক্ষক। :)

শায়মামণি আলাউদ্দিনের চেরাগ পেলে কী কী জিনিস চাবে সেটা আমি জানি। কিন্তু বলবো না। বললে উনি আমাকে মারতে আসবেন। আমার বাসার ঠিকানাও উনি জানেন (অনেক অনেক আগে আশা দিয়েছিলেন যে ওনার লেখা বই পাঠাবেন)। :)

১৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
:) :) :)

আমি হিসাব রক্ষক না হলেও অংকে বেশ ভালো ইন্টারেস্টই আছে, তবু এ-আই'র এই অংক চেক করার ইচ্ছা আমার হয় নাই :)

একটাতে যেহেতু ভুল পেয়েছেন, বাকিগুলোতেও ভুল থাকা সম্ভব। সময় পাইলে দেইখেন আরো দু-একটা, ভুলটুল আছে কিনা :)

আপনার কমেন্ট পড়ে শায়মামণি কিছু বলেন কিনা দেখি :) তার আগে আপনি লিস্টটা দিয়া রাখতে পারেন, যাতে মেলানো যায় :)

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০৯

সোহানী বলেছেন: এক্সাক্টলি। এক জীবনে কত দরকার??? কত বিলাসীতা, কত বাড়ি, কত গাড়ি!!! কি হবে তা দিয়ে!!

আজ যে এরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তা কি ভোগ করতে পারছে?? অথচ তা না করে দেশের দিকে তাকালে তাদেরকে এভাবে পালিয়ে বেড়াতে হতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.