নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে দলগুলোর করণীয়

৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩০

রাজার ছেলে রাজা, ধনীর ছেলে ধনী, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী, এবং সেই ধারা অনুযায়ীই রাজনীতিকের ছেলেই আমাদের দেশে রাজনীতিক হচ্ছে, এটা একটা চরম বাস্তবতা। মেয়র হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন মেয়র হোন। আমাদের দোহারে সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান কামাল, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা – একই ক্লাস্টারের ব্যক্তি। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পর তার কন্যা এসেছেন তৃণমূলের কাণ্ডার ধরতে। দোহারে অ্যাডভোকেট মান্নানের স্থানে তার কন্যাকে এবং নবাবগঞ্জে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার পর তার কন্যাকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। নিজের এলাকা দিয়ে অনেকটাই দেশের অবস্থা বোঝা যায়।

বাংলাদেশে কোনোদিনই কামারের ছেলে, কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন না। যারা এ কথা বলে বেড়ান, তারা শুধু চটকদার হাততালি পাওয়ার যোগ্য, বাস্তবতা ভিন্ন। আপনি খেয়াল করে দেখুন, আপনার ক্লাসের মেধাবী ছাত্রগুলো ফার্স্ট বেঞ্চে বসতেন, শান্ত ও ভদ্রশিষ্ট ছিলেন, তারা রাজনীতি করেন নি। এরা প্রায়শ মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্য বিত্ত, এমনকি নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান ছিলেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল লেখাপড়া শেষ করে বিরাট এক চাকরি ধরে মা-বাবার দুঃখ দূর করা ও স্বপ্ন পূরণ করা। ঐ মেধাবী ছাত্রদের বিপরীতে কিছু ছাত্র ব্যাকবেঞ্চে বসতেন, কিন্তু তারা দাপুটে ও দুর্দান্ত ছিলেন। তারা সারা স্কুল কন্ট্রোল করতেন এবং রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এরা ছিলেন এলাকার ধনী ও প্রভাবশালী ঘরের সন্তান। মেধাবী ছাত্রগুলো সচরাচর এদের কাছে মাথা নত করে চলতেন। (ধনীর ছেলেরাও যে ক্লাসে ফার্স্ট বয় হতেন না, তাও নয়, তবে, তাদের ফার্স্ট বয় হওয়া, ভবিষ্যতে চাকরিজীবি হওয়ার জন্য কোনো আবশ্যিকতা ছিল না, তাদের চাকরির দরকার পড়ে না)। কালক্রমে এই ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানেরাই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞাও মেধাবী ছাত্রদের চাইতে অধিক বলে প্রতীয়মান হয়। অন্যদিকে, মেধাবীরা একদিন বিসিএস বা অন্যকোনো সরকারি চাকরিতে যোগদান করে মা-বাবার দুঃখ ঘোচান, এবং রাজনীতিবদদের অধীনে থেকে সরকারি চাকরি করেন (এ নিয়ে চমৎকার একটা মীম আছে, যেখানে দেখা যায় এই মেধাবী চাকরিজীবী ও রাজনীতিবিদরা আবার মূর্খ আন্ডার ওয়ার্ল্ড গ্যাঙের ভয়ে কাতর থাকেন)।

এবার ধীরে ধীরে মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। আমাদের রাজনীতিতে এ ধনীতন্ত্র থেকে মুক্তি পাবার উপায় কী, তা খুঁজে বের করা দরকার। একই সাথে আরো অধিক পরিমাণ মানবীয় গুণাবলি সম্পন্ন রাজনীতিবিদ দেখতে চায় জনগণ। অন্যভাবে বলতে গেলে, রাজনীতিবিদগণকে মানবিক মানুষ হতে হবে। মানবতার জননী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভয়ানক খুনি হয়ে ওঠেন, তখন ‘মানবতা’ একটা প্রহসনমূলক টার্মে পরিণত হয়। শুধু বাংলাদেশই নয়, খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প, পুতিন, নেতানিয়াহুর আচরণ থেকে মনে হয়, রাজনীতিবদরা কখনো ভালো ও মানবিক মানুষ হতে পারেন না। তারা একটা দেশ, একটা জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারেন নিজেদের আধিপত্য সৃষ্টি ও বজায় রাখার জন্য। একজন শেখ হাসিনাও নিজের গদি টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে শত শত ছাত্রজনতাকে বুলেটের আঘাতে শুইয়ে দিয়ে সারা বাংলায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে পারেন। এ থেকেই রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের তীব্র ঘৃণার উদ্রেক হয়। কিন্তু নির্মমতা হলো, আধুনিক সরকার ব্যবস্থা এমন যে, আপনাকে এই রাজনীতিবিদদের হাতেই দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট দিয়ে দিতে হবে, যাতে তারা আপনার রক্ত চুষে খেতে পারেন।

এমতাবস্থায় মেধাবী ও ভালো ছাত্ররা, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিবর্গ রাজনীতিবিমুখ হয়ে থাকেন। রাজনীতি আর বিশুদ্ধ দেশচর্চার চারণভূমি হয়ে উঠতে পারে না।

আমাদের দেশীয় রাজনীতি একদিকে যেমন ধনিক শ্রেণির মধ্যেই আবদ্ধ, অন্যদিকে পরিবারতান্ত্রিকও হয়ে উঠেছে। দেশের রাজনীতি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দলের রাজনীতি শেখ ও জিয়া পরিবারকেন্দ্রিক হওয়ায় দেশের মানুষ কথা বলতে শুরু করেছে। অবশ্য, ১/১১-এর সময়েই এই ধারাবাহিকতা বিচ্ছিন্ন করার একটা প্রয়াস ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু বর্তমানে জনগণের মধ্যেই এ পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির উপর বেশ ক্ষোভ লক্ষ করা যাচ্ছে। চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়ে আমি বোঝার চেষ্টা করেছি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কুফল কী কী, এবং এর সুফলই বা কী। চলুন, সেই অংশটুকু দেখে নেয়া যাক।

***

*পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি* বলতে বুঝায়—যখন একটি দেশের শাসনক্ষমতা বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বারবার একটি নির্দিষ্ট পরিবার বা বংশের সদস্যদের মধ্যে আবর্তিত হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।

*বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি*

বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান—এই দুই নেতার উত্তরসূরিরা দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির মূল ধারা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন:

• আওয়ামী লীগ: শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দলীয় প্রধান এবং বহু বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী।

• বিএনপি: জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তাদের পুত্র তারেক রহমান রাজনৈতিক নেতৃত্বে রয়েছেন।

*অন্যান্য দেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির উদাহরণ*

দেশ পরিবার/বংশ উল্লেখযোগ্য নেতারা
ভারত নেহরু-গান্ধী পরিবার
জওহরলাল নেহরু → ইন্দিরা গান্ধী → রাজীব গান্ধী → সোনিয়া গান্ধী → রাহুল গান্ধী

পাকিস্তান
ভুট্টো পরিবার
জুলফিকার আলী ভুট্টো → বেনজির ভুট্টো → বিলাওয়াল ভুট্টো
শ্রীলঙ্কা
বান্দারনায়েকে ও রাজাপাকসে পরিবার স্যারিমাভো → চন্দ্রিকা → মাহিন্দা → গোটাবায়া

ফিলিপাইন
অ্যাকুইনো ও মারকোস পরিবার
কোরি অ্যাকুইনো → বেনিগনো অ্যাকুইনো; ফার্দিনান্ড মারকোস → বংবং মারকোস

কিউবা
কাস্ত্রো পরিবার
ফিদেল কাস্ত্রো → রাউল কাস্ত্রো

উত্তর কোরিয়া
কিম পরিবার
কিম ইল-সাং → কিম জং-ইল → কিম জং-উন

যুক্তরাষ্ট্র (সীমিত পরিসরে) কেনেডি, বুশ, ক্লিনটন পরিবার
JFK → রবার্ট → টেড; জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ → জর্জ ডব্লিউ বুশ; বিল ক্লিনটন → হিলারি


*কুফল*

1. গণতন্ত্রের মূল চেতনার ব্যত্যয়: নেতৃত্ব বাছাইয়ে জনগণের স্বাধীনতা কমে যায়; দলীয় নেতাদের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতার বদলে বংশগত হয়।
2. যোগ্যতার বদলে সম্পর্ক প্রাধান্য পায়: নেতৃত্বে আসা অনেকেই যোগ্য না হয়েও পরিবারের কারণে ক্ষমতায় আসেন।
3. দুর্নীতি ও জবাবদিহিতার অভাব: পরিবারতান্ত্রিক শাসকরা অনেক সময় নিজেদের বাইরে কাউকে প্রাধান্য দিতে চায় না, ফলে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়।
4. জনগণের মাঝে রাজনৈতিক বিকল্প কমে যায়: এক বা দুইটি পরিবার দেশ শাসন করে গেলে নতুন নেতৃত্বের উত্থান ব্যাহত হয়।
5. সংবিধান ও প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়: ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান ও প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করা হয়।

*সুফল (যদি থাকে) *

1. রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা: কিছু ক্ষেত্রে জনগণ পরিচিত পরিবারকে ক্ষমতায় দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, যা স্থিতিশীলতা আনে।
2. অভিজ্ঞতা ও সংযোগের সুবিধা: পরিবারভুক্তরা অনেক আগে থেকেই রাজনীতির ভেতরে থাকে বলে দক্ষতার বিকাশ ঘটে।
3. দলীয় ঐক্য বজায় থাকে: বিভক্তির ঝুঁকি কমে।

*উপসংহার*

পরিবারতন্ত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একধরনের অন্তর্নিহিত বিপদ। যদিও কিছু দেশ ও কিছু সময় এর সুফল দেখা যায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, এবং নতুন নেতৃত্বের বিকাশের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর উচিত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যাতে পরিবারতন্ত্র নয়, যোগ্যতা, নীতি ও জনগণের ইচ্ছাই হয় নেতৃত্ব নির্বাচনের মূল ভিত্তি।

(চ্যাটজিপিটির অংশ শেষ)

***

দেশীয় রাজনীতিতে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা নিশ্চিত করা আবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই গণতন্ত্র চর্চার নিদর্শন নামে মাত্র লক্ষণীয়। এ যাবত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভোটে নির্বাচিত হয়ে এ দেশের সরকার পরিচালনা করেছে, কিন্তু দুটো দলেরই দলীয় প্রধান হিসাবে নির্বাচিত/মনোনীত হয়েছেন শেখ পরিবারের শেখ হাসিনা এবং জিয়া পরিবারের বেগম খালেদা জিয়া। দেশের মানুষের ধারণা এতে বদ্ধমূল হয়েছে যে, এ দেশের রাজনীতি দুই পরিবারের কাছেই জিম্মি। অন্যদিকে এরশাদের জাতীয় পার্টিও এ দুর্নাম থেকে মুক্ত নয় – তার ভাই জিএম কাদের এবং স্ত্রী রওশন এরশাদই হলেন দলের কাণ্ডারি।

এ পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে কি মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় আছে?

শীর্ষপদে পরিবারতন্ত্রের সমূল উৎপাটন কার্যকর করতে চাইলে প্রথমত বাংলার রাজনীতিবিদগণকে সাহসী হতে হবে, দ্বিতীয়ত তৈলবাজি ছাড়তে হবে। আমরা জানি, বাংলার রাজনীতিবিদগণই শ্লোগান তৈরি করেছিলেন, শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। বাংলার রাজনীতিবিদগণই বলেছিলেন, শেখ হাসিনার বেহেশতে যাওয়ার হক আছে। বাঙালিরা তেলের নদীতে সাঁতার কাটতে কাটতে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, শেখ হাসিনা একজন লৌহ মানবী, তার কোনো বিকল্প নাই, শেখ হাসিনা হলেন মানবতার শ্রেষ্ঠ জননী - যেগুলো স্বার্থসিদ্ধি ও ধান্ধাবাজির উদ্দেশ্যেই বলা হয়ে থাকে।

জাতীয় কনভেনশনে দলীয় শীর্ষপদ নির্বাচনের কালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার একটা রেওয়াজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে। নীচে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সংগৃহীত আরো কিছু তথ্য থেকে দেখবেন, যেখানে দেখা যায় শীর্ষপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। বাবার পরে কন্যা, স্বামীর পরে স্ত্রী, ভাইয়ের পর ছোটো ভাই-ই এককভাবে শীর্ষপদের প্রার্থী হয়েছেন আর দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ, বা বিএনপি, বা জাতীয় পার্টিতে কি সত্যিই আর কোনো যোগ্য ব্যক্তি নেই, যারা দল পরিচালনা করতে সক্ষম? ঠিক এই মুহূর্তে তারেক রহমানের স্ত্রী বা কন্যা রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়লে তারা কি বিএনপির বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদের চাইতেও অধিক বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাময়ী হয়ে উঠবেন। কিংবা সজীব ওয়াজেদ জয় বা পুতুল যদি রাজনীতিতে নামেন, তারা কি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের চাইতেও অধিক জ্ঞানী ও দূরদর্শী রাজনীতিক বনে যাবেন?

পরিবারতন্ত্রের লাগাম টেনে ধরতে চাইলে রাজনীতিবিদগণকে সাহসী হতে হবে এবং তৈলবাজি ছাড়তে হবে। দলীয় শীর্ষপদগুলোর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমরা ম্যাঙ্গো মানুষেরা এই পরিবারতন্ত্রের বিপক্ষে যতই চিল্লাচিল্লি করি না কেন, রাজনীতিবিদগণই হলেন আসল কারিগর, যারা এই পরিবারতন্ত্র প্রথার বিলুপ্তি ঘটানোর জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন।

আর যারা খামোখাই গলা ফাডাইতেছেন, তাদের এ বিষয়ে কোনো বাস্তব জ্ঞান নেই বলেই শুধু পরিবারগুলোর উপরই বিষোদগার করছেন। পরিবারগুলোর উপর থেকে আপনাদের দৃষ্টি সরিয়ে নির্বাচক রাজনীতিবিদগণের দিকে ধাবিত করুন, অযথা বিরক্তিকর প্রলাপ না ছড়িয়ে।

এবার দেখুন, চ্যাটজিপিটির তথ্যগুলো।

***

রাজার ছেলে রাজা, ধনীর ছেলে ধনী, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী, এমপির ছেলে এমপি - বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। যদিও গণতন্ত্রে নেতৃত্বের ভিত্তি হওয়া উচিত যোগ্যতা ও জনসমর্থন, তবে বাস্তবে পরিবারতন্ত্র একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এটি গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ এবং রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে এই প্রবণতা প্রতিহত করা প্রয়োজন।

১. বাংলাদেশে কতজন এমপির ছেলে এমপি হয়েছেন, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হয়েছেন?

বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বাস্তবতা। যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন ও গবেষণায় দেখা যায়, অনেক এমপি ও মন্ত্রীর সন্তানরা পরবর্তীতে এমপি বা মন্ত্রী হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ:

• সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি: সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন, তিনি কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এমপি নির্বাচিত হন।
• সিমিন হোসেন রিমি: তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা, তিনি দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি ছিলেন।
• মোহিত উর রহমান শান্ত: আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমানের পুত্র, তিনি ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে ২০২৪ সালে এমপি নির্বাচিত হন।

এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী-এমপিদের সন্তান ও আত্মীয়রা রাজনৈতিক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

২. আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর চেয়ারম্যান/আমির নির্বাচিত হয় কীভাবে?

আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন দলের জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে। তবে, দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন (১৯৮১–বর্তমান)।

বিএনপি

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে। বর্তমানে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। এইচ. এম. এরশাদের মৃত্যুর পর তার ভাই জি. এম. কাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জামায়াতে ইসলামি

জামায়াতে ইসলামির আমির নির্বাচিত হন জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যদের সরাসরি গোপন ভোটে, তিন বছরের জন্য। বর্তমানে শফিকুর রহমান আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

৩. দলগুলোর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত চেয়ারম্যান/আমিরদের তালিকা

আওয়ামী লীগ

• আবদুল হামিদ খান ভাসানী: ১৯৪৯–১৯৫৬
• হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী: ১৯৫৬–১৯৫৭
• আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ: ১৯৫৭–১৯৬৬
• নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান: ১৯৬৬
• শেখ মুজিবুর রহমান: ১৯৬৬–১৯৭৪
• আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান: ১৯৭৪–১৯৭৫
• সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন: ১৯৭৭–১৯৭৮
• আব্দুল মালেক উকিল: ১৯৭৮–১৯৮১
• শেখ হাসিনা: ১৯৮১–বর্তমান

বিএনপি

• জিয়াউর রহমান: ১৯৭৮–১৯৮১
• খালেদা জিয়া: ১৯৮১–বর্তমান

জাতীয় পার্টি

• এইচ. এম. এরশাদ: ১৯৮৬–২০১৯
• জি. এম. কাদের: ২০১৯–বর্তমান

জামায়াতে ইসলামি

• আবদুর রহিম: ১৯৫৬–১৯৬০
• গোলাম আযম: ১৯৬০–১৯৭১ (পূর্ব পাকিস্তান), ১৯৯২–২০০০ (বাংলাদেশ)
• মতিউর রহমান নিজামী: ২০০০–২০১৬
• মকবুল আহমদ: ২০১৬–২০১৯
• শফিকুর রহমান: ২০১৯–বর্তমান

৪. দলগুলোর জাতীয় কনভেনশনের তারিখ

দলগুলোর জাতীয় কনভেনশনের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, সাধারণত এই কনভেনশনগুলো প্রতি ৩ থেকে ৫ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলের নেতৃত্ব নির্বাচন ও নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

৫. বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কারণ। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির মূল কারণগুলো নিম্নরূপ:

• ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নেতৃবৃন্দের হত্যাকাণ্ডের ফলে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হয়, যা পরিবারতন্ত্রের উত্থানে সহায়ক হয়।
• নেতৃত্বের অভাব: দলীয় কাঠামোয় যোগ্য নেতৃত্বের বিকাশ না হওয়ায় পরিবারভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে ওঠে।
• সামাজিক সংস্কৃতি: উপমহাদেশীয় সমাজে পরিবার ও বংশের প্রতি আনুগত্যের প্রবণতা রাজনীতিতেও প্রতিফলিত হয়।
• দলীয় গঠনতন্ত্রের দুর্বলতা: দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অভাব পরিবারতন্ত্রকে উৎসাহিত করে।

৬. পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিহত করার উপায়। পরিবারতন্ত্র প্রতিহত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণযোগ্য হতে পারে:

• দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: দলগুলোর অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
• নেতৃত্বের বিকাশ: যুগোপযোগী ও যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে প্রশিক্ষণ ও সুযোগ প্রদান।
• জনসচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবারতন্ত্রের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।
• আইন প্রণয়ন: রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে আইনগত বাধ্যবাধকতা আরোপ।
• শিক্ষা ও রাজনৈতিক সচেতনতা: শিক্ষার মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্রের প্রবণতা হ্রাস করা সম্ভব।

৭. "রাজার ছেলে রাজা, ধনীর ছেলে ধনী, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী" — বাস্তবতা কি?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। যদিও গণতন্ত্রে নেতৃত্বের ভিত্তি হওয়া উচিত যোগ্যতা ও জনসমর্থন, তবে বাস্তবে পরিবারতন্ত্র একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এটি গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ এবং রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে এই প্রবণতা প্রতিহত করা প্রয়োজন।

আগামী ডিসেম্বর-জুনে জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় কী?

বিএনপিসহ প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলই এখন জাতীয় নির্বাচন চাইছে, যদিও দেশের একটা সুশীল গোষ্ঠী ড: ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ৫ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যদি ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যায়, তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে গণতন্ত্রের কতখানি প্রতিফলন দেখতে পাব, তা অনেকখানিই অস্পষ্ট। ০৫ আগস্ট ২০২৪-এ বিপ্লবের পর পরবর্তী নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত যে-সময়টা পাওয়া গিয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল নিজেদের দলকে গুছিয়ে নেয়া, জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও উদ্যমী ব্যক্তিদের নির্বাচনের মাধ্যমে বিপ্লবী চেতনায় সমৃদ্ধ নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দলগুলোর বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে এমন চিত্র উঠে আসছে যাতে মনে হচ্ছে দেশে এখন চাঁদাবাজির এক ব্যাপক মহোৎসব শুরু হয়েছে – জনগণ দেখতে পাচ্ছে, বিগত স্বৈরাচারী আমলের চাঁদাবাজরা এখন উধাও হয়ে গেলেও তাদের স্থলে দেখা দিয়েছে পরিবর্তিত নতুন মুখ এবং চাঁদার হার ও ব্যাপকতাও আগের চাইতে বেড়ে গেছে। এই চাঁদাবাজি যারা করছে, তারা এলাকার কোনো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ নয়, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হওয়ায় এই বদনামের বড়ো দায়টা পড়ে বিএনপির উপর, যদিও বিএনপি প্রথম দিকে এ ব্যাপারে খুবই সোচ্চার ছিল, এবং চ্যাটজিপিটির তথ্য অনুযায়ী ০৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত সময়কালে চাঁদাবাজি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো অন্তত ৪৭৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু জনগণ চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অবৈধ কাজে যতখানি নির্যাতন ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, তাতে বিএনপির এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কোনো প্রভাব পড়ছে বলে মনে হয় না।

আওয়ামী লীগ বিহীন রাজনৈতিক মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সাধারণ ভাবেই ধরে নেয়া যায় যে, বিএনপিই বিজয়ী হবে। বিএনপি’র এই আত্মবিশ্বাসই হয়ত তাদেরকে আরো বেপরোয়া করে তুলেছে।

জুলাই বিপ্লবের একটা বড়ো শিক্ষা হলো, জনগণ এখন আর কাউকে ভয়ও করে না, পরোয়াও করে না। তারা শেখ হাসিনার মতো ভয়ানক খুনি ও স্বৈরাচারকে উৎখাত করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। আগামী দিনের যে-কোনো শাসক যদি শোষক ও নির্যাতক হয়ে ওঠে, জনগণ তাকেও উৎখাত করতে পিছ-পা হবে না। বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা মনে রাখতে হবে। আর যারা গ্রামে গ্রামে, মহল্লায় চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে, তাদের জন্যও একটা ভয়ঙ্কর বার্তা আছে, দেশে বর্তমানে যেভাবে মব জাস্টিস মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, জনগণ যদি ক্ষেপে যায়, তাহলে যে-কোনো চাঁদাবাজের অবস্থা যে-কোনোদিন, যে-কোনো সময়ে মর্মান্তিক পরিণতিময় হয়ে উঠতে পারে।

বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর এখন উচিত হবে :

১। দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালানো। যারা চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অন্যায়কর্মে লিপ্ত, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা।

২। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই দলীয় কনভেনশন আয়োজন করে নিম্নতম পর্যায় পর্যন্ত দলীয় কাঠামোর আলোকে সৎ, যোগ্য ও উদ্যমী ব্যক্তিগণকে নির্বাচিত/মনোনীত করা।

৩। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, রাজনীতিবিদগণকে জনগণের বন্ধু হতে হবে। রাজনীতিবিদ মানে ক্ষমতাশীল বনে যাওয়া নয়, রাজনীতিবিদ মানে দেশ ও জনগণের সেবক হওয়া। কালের প্রবাহে রাজনীতিবিদগণের অমানবিক ও রূঢ় আচরণ এবং অবাধে দুর্নীতি ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হওয়ার ফলে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদগণের প্রতি মানুষের ঘৃণা ও বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে (কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অবৈধ কাজ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ অতীষ্ঠ এবং রাজনীতিক, বিশেষ করে বিএনপির উপর জনগণ খুবই রুষ্ট বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ও নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন আকাশ স্পর্শ করার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে ঠিক তার উল্টোটি, এবং দিনে দিনে বিএনপির প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে ও আস্থা কমছে। এই বিষয়টি বিএনপির উর্ধ্বমহলের অনুধাবন করে দ্রুত তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের জন্য কল্যাণকর কাযে ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সাথে নিজেদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণই যেন বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য উন্মাদ হয়ে ওঠে, বিএনপিকে এখন ঠিক সেই ধরনের কাজগুলোই করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর এখন শ্লোগান হওয়া উচিত – জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় কনভেনশন চাই। সেই কনভেনশনে আপনিও দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন – আর প্রমাণ করুন, আপনার দলের ভেতর গণতন্ত্রের জোয়ার এসেছে, যেই জোয়ারে দেশের রাজনীতিও সিক্ত হতে যাচ্ছে।

সকল রাজনৈতিক দলের জন্য শুভ কামনা রইল।

খলিল মাহ্‌মুদ
৩১ মে ২০২৫

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ফেনিক্স বলেছেন:




অনেক কিছু লিখেছেন; কিন্তু আপনার পোষ্টগুলোতে লোকজনের ফিডব্যাক আসে না; ইহার কারণ কি?

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন বাই দিস টাইম, কেন লোকজনের ফিডব্যাক আসে না :) ব্লগে ইন্ট্যার‍্যাকশন না হলে কমেন্ট আসবে না। আমার তেমন সময় হয় না ইন্ট্যার‍্যাকশনের। তা ছাড়া বড়ো পোস্ট, পাঠকের সংখ্যাও কম, অন্যদিকে লেখার স্টাইলও অনেক ম্যাটার করে, ইত্যাদি।

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

২| ৩১ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি একমাত্র সমস্যা নয়।

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূলত পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে যারা অধিক সোচ্চার, এটা তাদের জন্য একটা উত্তর। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য কোনো পরিবারই দায়ী নয়, দায়ী হলো জনগণ, যারা পরিবারতন্ত্রকে ভাঙবার সাহস পায় না।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সৈয়দ কুতুব ভাই।

৩| ৩১ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: কয়েকজন সমন্বয়ক এখন বড় ধনী।

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

কয়েকজন সমন্বয়ক তো নাকি আগে থেকেই অনেক ধনী ছিলেন :)

৪| ০১ লা জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১১

রবিন.হুড বলেছেন:

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জাগ্রত জনতা পার্টির জন্য শুভেচ্ছা রইল। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কতখানি?

৫| ০২ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯

রবিন.হুড বলেছেন: জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) হচ্ছে আমজনতার দল। যে দিন বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক সচেতন হয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে সেইদিন জাজপা দেশ পরিচালনার মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায় আনতে পারবে।জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) হচ্ছে আমজনতার দল। যে দিন বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক সচেতন হয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে সেইদিন জাজপা দেশ পরিচালনার মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায় আনতে পারবে।

৬| ০২ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই লেখাটা গতকাল পড়েছি, তবে চিকেন খাওয়াতে ব্যস্ত থাকায় (মানে হলো, আমাদের এখানে সামারে প্রতি রবিবারে কোথাও না কোথাও বার-বি-কিউ পার্টি থাকে!!!! B-) ) মন্তব্য করতে পারি নাই। বাসায় আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল।

যাই হোক, পোষ্টের ব্যাপারে আসি।

এই উপমহাদেশের মানুষজন জেনেটিক্যালি মোটামুটিভাবে অসৎ চরিত্রের। যে সৎ, সে সুযোগের অভাবে সৎ। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, তবে এজ ইউজুয়াল, ব্যতিক্রম উদাহরন হতে পারে না। একজন অসৎ মানুষ ক্ষমতায় যাওয়া মানেই প্রচুর মালপানি কামানো। ফলে ''আমি না খাইতে পারলে আমার গুষ্ঠি খাক'' এই নীতিতে বিশ্বাসী। ফলে, ক্ষমতার বাইরে থাকতে চায় না। আরেকটা কারন আছে। ক্ষমতায় থাকার সময়ে যে চুরি-চামারী করে, ক্ষমতা না থাকলে তো বিচারের সম্মুখীন হওয়া লাগবে। সেটার প্রটেকশানের জন্য কোন একটা খুটি গাড়া খুবই জরুরী হয়ে দাড়ায়। মোদ্দা কথা, একবার ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে গেলে আর তার বাইরে থাকা সম্ভব হয় না। বাইরে থাকা মানেই জেলে থাকা।

এর থেকে উপমহাদেশের দেশগুলোর রাজনীতির বের হতে পারা মোটামুটি দুঃসাধ্য। কোন কোন ক্ষেত্রে সাময়িক ব্যতিক্রম ঘটলেও আবার সেই পুরানো বৃত্তে ফিরে যাওয়া লাগে।

বাংলাদেশে প্র্যাকটিসের দিক দিয়ে প্রকৃত গনতন্ত্র একমাত্র জামায়াতে মধ্যে আছে। তবে এরা এদের খাসলতের জন্যই কোনদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে না। আফসোস!!!!! :-B

৭| ০২ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করে লাভ কি? আপনি তো মন্তব্যের উত্তর দেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.