![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
নিবর্হণ, শায়মা, সোহানী আর আমার অনেক অনুনয় বিনয়ের পর সময়ের সেরা কবিদের একজন কবি পাষাণ ফকির আমাদের ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করলেন। আমরা তাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি এই বলে যে, এ ব্লগে অনেক ভালো মানের কবি আছেন, যেমন আহমেদ জী এস, জাহিদ অনিক, খলিল মাহ্মুদ, প্রমুখ। আরো বলি, কবিতার সমঝদারের সংখ্যাও প্রচুর, যেমন জলদস্যু, মিডল, জুল ভার্ন সহ আরো অনেকে; কবিতার উপর সুন্দর, গঠনমূলক আলোচনা হয়।
আমাদের অনুরোধে তিনি কবিতা পোস্ট করা শুরু করলেন। তিনি ব্যস্ত মানুষ, রুটিন করে দিনে কয়েকবেলা ব্লগে সময় দেন; কারা, কী কী কবিতা, গল্প, বা সমসাময়িক বিষয়ে পোস্ট লিখছেন, কে, কেমন মন্তব্য করছেন, সেগুলোও তিনি দেখেন। ব্লগার শেরজা তপন আর সাড়ে চুয়াত্তরের কমেন্ট দেখে তিনি মুগ্ধ, অভিভূত ও উদ্বেলিত হলেন।
যথারীতি আমরাই তার কবিতার পোস্টে কমেন্ট করা শুরু করলাম। আমাদের মতো চেনা মানুষের কমেন্ট থেকে তিনি তেমন অনুপ্রাণিত হলেন বলে মনে হলো না। এর মধ্যেই একটা কমেন্ট পড়লো - ‘অসাধারণ কবিতা’। পাষাণ ফকিরের কবিতার সঠিক মূল্যায়ন বটে, কবি মনে মনে বিপুল প্রসাদ উপভোগ করবেন, নিঃসন্দেহে।
চার-পাঁচটা কবিতা পোস্ট করার পর দেখা গেল নির্দিষ্ট কয়েকজন পাঠকই তার কবিতা পড়ছেন এবং ‘খুব ভালো লাগলো’, ‘এমন কবিতা এই প্রথম এই ব্লগে’, এ ধরনের প্রশংসাসূচক কমেন্টই ছিল সবগুলো এবং কমেন্টের সংখ্যা নেহায়েতই কম।
তিনি একদিন বললেন, ব্লগে তো দেখি কবির সংখ্যা প্রচুর, কিন্তু কোনো ভালো কবিতা দেখি না কেন?
আমরা আমতা আমতা করে বলি, ভালো কবিরা এখন শীতনিদ্রায় আছেন, তারা কালেভদ্রে কবিতা পোস্ট করেন; বোঝেন তো, ভালো জিনিসের সংখ্যা হয় খুবই কম!
তিনি আমাদের কথায় তেমন সন্তুষ্ট হলেন না। ব্লগের পাতায় একটার পর একটা কবিতা ঘাঁটতে লাগলেন, মুখে তার বিরক্তির ছাপ। তবে শাহ আজিজের কবিতা পড়ার সময় তার মুখটা বেশ উজ্জ্বল দেখালো, অস্ফুটে বললেন, খুব উচ্চমার্গীয় কবিতা।
একফাঁকে বললেন, আপনারা ‘লুল’ শব্দটা কখনো শুনেছেন?
‘লুল’! আমরা একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করেই ফিক করে হেসে দিলাম। কবি ভাই, এই ‘লুল’ শব্দ আপনি কোথায় পেলেন? এটা তো আমাদের ব্লগীয় টার্ম!
হ্যাঁ, ব্লগের টার্মই এটা। আমার এক বন্ধু আমাকে জানালো 'লুল' শব্দটা সম্পর্কে। আপনাদের ব্লগে প্রচুর লুলের উপস্থিতি। আর কবিদের মধ্যেই লুলের সংখ্যা বেশি। কিছু লুল-কবিকে দেখলাম প্রমীলা কবিদের পোস্ট দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন, কিন্তু পুংকবিদের পোস্টে পা-ও মাড়ান না। আজ পর্যন্ত আমার পোস্টেও ঐসব পুংকবিদের টিকিটি পর্যন্ত দেখতে পাই নাই।
এরপর কবির সাথে আমাদের হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি ব্লগে লগিন করেন না। কোনো কবিতাও পোস্ট করেন না।
আমরা আরেকদিন দল বেঁধে কবির বাসায় গেলাম।
তিনি আমাদের উপর একটু বিরক্ত। তিনি অল্প কথার শেষে জানালেন, ব্লগে আর থাকতে পারবেন না।
আমরা মুষড়ে পড়লাম কবির এ কথা শুনে। এত শ্রম দিয়ে একজন বিখ্যাত কবিকে ব্লগে আনলাম, যাতে সবার কাছে বড়াই করে বলতে পারি, দেশের সেরা কবিরাও আমাদের সাথে ব্লগিং করেন, এই অবস্থায় যদি মহামতি পাষাণ কবি ব্লগ থেকে চলে যান, আমাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
তার এ সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে। আমরা নাছোড়বান্দা।
তিনি শেষমেষ যা বললেন, তা শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।
কবি বললেন, ব্লগে যেমন ভালো কবি নাই, ভালো সমঝদারও নাই, কবিতা ভালো বোঝেন, এমন পাঠকও নাই। যে পাঠক আমার কবিতাকে বলে গেলেন ‘অসাধারণ কবিতা’, সেই একই পাঠক অন্য এক কবিতায় দেখলাম একই কমেন্ট লিখেছেন – ‘অসাধারণ কবিতা’, অথচ ওটা কবিতার কোনো জাতই হয় নাই। এ ধরনের মন্তব্যদাতার সংখ্যাই বেশি। কারো কারো কবিতায় কমেন্ট লেখার প্রতিযোগিতা পড়ে যায়, কিন্তু একটা পঙ্ক্তিও তাতে নাই যাতে ওটাকে কবিতার কোনো মানদণ্ডে ফেলা যায়। এদের কমেন্ট দেখে এদের কবিতাজ্ঞান সম্পর্কে আমার সম্যক ধারণা হয়ে গেছে। ব্লগে কেউ কবিতা বোঝেন না, কিন্তু ভান করেন খুবই উঁচু মাপের কবিতাপ্রেমিক - তারা সব কবিতাকেই একই মানের কবিতা মনে করেন, তাই সব কবিতাই তাদের কাছে 'অসাধারণ কবিতা' হয়ে থাকে। তিনি বলতে থাকেন, আরেক পাঠককে দেখলাম, এক কবিকে ‘কবিতার রাজা’ বলে সম্বোধন করে মাথায় তুলে নাচছেন। এতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না, কিন্তু সেই ‘কবিতার রাজা’র কবিতা পড়ে আমার বিস্ময়ের সীমা নাই – এ কবিরাজ কি চ্যাটজিপিটি দিয়ে কবিতা লেখেন নাকি? হেন কোনো বিষয় নাই, যা নিয়ে তিনি লেখনে নাই, কিন্তু সবই হলো বর্জ্যপদার্থ, ঘ্যানর ঘ্যানর ঘ্যানর ঘ্যানর। কবিতা কী, এটাই তো এ কবি মশায় জানেন না। এই কবি আর তার তোষামোদকারী, দুজনেই ঘিলুহীন।
শেষ করলেন, আপনারা প্লিজ মাইন্ড করবেন না। যাদের কাছে গার্বেজ কবিতাও ‘অসাধারণ কবিতা’ মনে হয়, তারা কোনোদিন ‘অসাধারণ’ কবিতাকে চিহ্নিত করতে পারেন না। এমন পাঠক আমার কবিতাকেও না বুঝেই ‘অসাধারণ’ বলুক, তা আমি চাই না। তাই ব্লগ ছেড়ে চলে গেলাম। আমাকে অনেক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমি আপনাদের সাথে সময় দিতে পারবো না বলে খুবই দুঃখিত। তবে শুভেচ্ছা থাকলো সকল ব্লগারের জন্য, তারা সত্যিকারের কবিতাবোদ্ধা হয়ে উঠবেন, এই আশা করি।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ আপু, কবি চলেই গেলেন
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
কবি পাষাণ ফকির পাষাণের মতোই বক্তব্য দিলেন! তবে অপ্সরা র মতোই বলি- কবির কাজ কবিতা লেখা। কেউ পড়লো কি বুঝলো কবির তাতে কি?
কবি লিখে যাবেন - নিজের মনে আপন মনে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কবিদের কাজ কবিরা করেন, লেখেন অযুত কবিতা
আমরা পাঠক তাই বলে কি পড়েই ফেলি সবই তা?
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩৭
মাথা পাগলা বলেছেন: অসাধারন লেখা!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাথা পাগলা। শুভেচ্ছা।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, এভাবে হাল ছাড়লে চলবে না। কবি পাষাণ ফকিরকে আবারও ব্লগে ফিরিয়ে আনতে হবেই। দরকার হলে তার বাসার সামনে হাঙ্গার স্ট্রাইকে যেতে হবে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবে তাই হোক অপু তানভীর ভাই, চলুন, তার বাসার সামনে হাঙ্গার স্ট্রাইকে যাওয়া যাক।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:১৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: গার্বেজ কবিতাও ‘অসাধারণ কবিতা’ মনে হয়,
..................................................................................
হাঁ= হাঁ= হাঁ =
এতদিনে বুঝলাম,
ব্লগে কেন এত মারামারি !!!
তাই তো ভাবি এত অসাধারণ কবিতা
কিন্ত বাংলা একাডেমী কেন পুরস্কৃত করেনা !!?
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনাকে অভিনন্দন প্রিয় শঙ্খচিল ভাই। মূল পয়েন্টে আপনি হাত দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:১৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। পাঠক ছিলনা বলে কি হয়েছে পাঠকতো আসতে পারতো!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চলুন, একদিন কবির বাসায় হানা দেয়া যাক, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি আসবেন তো?
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার রসবোধের প্রশংসা করছি। +
"তবে কবির কাজ কবিতা লেখা। কেউ পড়লো কি বুঝলো কবির তাতে কি?" - অপ্সরার এই মন্তব্যের সাথে একমত।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার রসবোধের প্রশংসা করছি। + ধন্যবাদ স্যার।
"তবে কবির কাজ কবিতা লেখা। কেউ পড়লো কি বুঝলো কবির তাতে কি?" স্যার, এটা শুধু কথার কথা। প্রতিটা সৃষ্টিশীল মানুষই চান, তার সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষ জানুক, এইজন্য তা প্রচারের জন্য উন্মুখ থাকেন। যারা লেখেন, তারা প্রকাশ করবেনই। এমন কেউ কি আছেন, অনেক উচ্চমার্গীয় লেখা লিখে গেছেন, কিন্তু আমরা তার নাম জানি না? এই ব্লগে যাদের লেখা কেউ পড়েন না, তারা হারিয়ে গেছেন, হারিয়ে যান। প্রতিটা ব্লগারই একটা লেখা পোস্ট করার পর আশায় থাকেন, তার লেখা অনেক পাঠক পড়বেন। যখন ব্লগটি শূন্য পড়ে থাকে, খাঁ-খাঁ করে, তা ব্লগারকে কোনো আনন্দ দেয় না।
যা অবাস্তব, আমি তা সাপোর্ট করি না স্যার।
ধন্যবাদ স্যার পোস্টটি পড়ার জন্য ও কমেন্ট করার জন্য।
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
অপ্সরা বলেছেন: "তবে কবির কাজ কবিতা লেখা। কেউ পড়লো কি বুঝলো কবির তাতে কি?" স্যার, এটা শুধু কথার কথা। প্রতিটা সৃষ্টিশীল মানুষই চান, তার সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষ জানুক, এইজন্য তা প্রচারের জন্য উন্মুখ থাকেন। যারা লেখেন, তারা প্রকাশ করবেনই। এমন কেউ কি আছেন, অনেক উচ্চমার্গীয় লেখা লিখে গেছেন, কিন্তু আমরা তার নাম জানি না? এই ব্লগে যাদের লেখা কেউ পড়েন না, তারা হারিয়ে গেছেন, হারিয়ে যান। প্রতিটা ব্লগারই একটা লেখা পোস্ট করার পর আশায় থাকেন, তার লেখা অনেক পাঠক পড়বেন। যখন ব্লগটি শূন্য পড়ে থাকে, খাঁ-খাঁ করে, তা ব্লগারকে কোনো আনন্দ দেয় না
ভাইয়া এই ব্যাপারে মানে আমার সৃষ্টিশীল কাজগুলোর ব্যাপারে মানুষের জানজানি কানাকানির ব্যাপারে সৃষ্টিকর্তা কিন্তু আমার উপরে উদার!!! হি হি হি তাইনা বলো!!!!!!
যাইহোক শুনো একটা কথা আমি মাঝে মাঝে ভাবি। আমি এই ব্লগ কিংবা ওপেন ফেসবুকে যাহা যাহা প্রকাশ করিয়াছি মানে আমার সৃষ্টিশীল প্রতিভার অনং বনং তাহার চাইতেও ঢের বেশি আমি লুকাইয়া রাখিয়াছি আমার নিজের পারসোনাল জগতে। ভাগ্যিস আমি উহাসকল বাহির করি নাই ...... তাইলে পাষান ফকিরেরা শুধু ব্লগ না দুনিয়া ছাড়িয়া চলিয়া যাইতে চাহিতেন কারণটা কি জানোই ..... ভবিতেন এই অনং বনংকে মানুষ এত মাথায় তুলিলো আর আমার এত অধ্যয়নং তপঃ কে কেহ চাহিয়াই দেখিলোনা.... বিদায় পৃথিবী!!!!!!!!!!
হা হা হা যাইহোক একটা কাজ করা যায় কবি বা লেখকের ব্লগ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেমনে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষন ও মনঃ আকর্ষন করিতে হইবেক এই ব্যপারে কিছু অভিজ্ঞ মানুষের কোর্স পরিচালনা করা যায়। তাতে যদি তুমি বলিয়া থাকো প্রমিলা ব্লগারদের লেখা বা প্রমিলা কবিদের লেখা মানুষ পড়ে তবে কিন্তু ভুল হইবেক। সাইয়া ব্লগার ভাইয়া ব্লগারদের লেখাও কেমনে পাঠককে পড়াইতে হয় কোর্স হইবেক সেই বিষয়েই মূলতঃ !!!!!!!
ভাইয়ু কমেন্ট লিখে আমি হাসছি। হাসির কারণ ভাইয়া ব্লগ আর ভাইয়া ব্লগ কি তাহা আমি কানে কানে বলিতে পারি তবে এই মুক্ত মঞ্চে নহে। হা হা হা
ভাইয়া যাই বলো আর তাই বলো পাষান ফকির পাষান হৃদয়। কিন্তু তুমি তো জানো আমি তোমার লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক। ঠিক এমনই আরও অনেকেই আছে যারা ঠিকই জানে ঠিকই পড়ে সাধনার লেখা কি আর মনের ইচ্ছা হলো আর লিখে ফেললাম এই লেখার পার্থক্য! তুমি একজন সাধক লেখক সাধক কবি এমনকি আমার গুরুও বটে । সে কথা আমি সব সময় মনে রাখি। কবি লেখক যারা সত্যিকারের তারা বুঝি অভিমানী হয় তোমার মতই! আমার মত সুলতানা রাজিয়া কখনও অমন অভিমাীনী হইবেক নাহে !!!!!! পেছন দিকে চেয়ে দেখলে আসলেও আমরা অনেক অভিমানী কবি দেখেছি যারা নানা কারণে কষ্ট পেয়েছে। ব্লগ ছেড়ে চলেও গেছে। তাতে কার কি হয়েছে বলো। যা যাবার তারই গেছে। মনের গোপন কথা কথা ও কবিতায় লেখায় প্রকাশ করার বাসনা তক্ষনাৎ আর প্রকাশে জায়গা কোথায় পাওয়া যায় বলো?? সে শুধু অনলাইনই আমাদেরকে এনে দিয়েছে। একজন মানুষও পড়লে তবুও কাউকে জানানো যায়। পত্রিকা বা উপন্যাসের মত প্রকাশের ঝামেলা ছাড়া এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবো আমরা বলো?
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ কমেন্ট। আমার পোস্টের মাহাত্ম্যকে ছাড়িয়ে গেছে।
'তিনি একজন প্রচারবিমুখ কবি।' 'তিনি একজন প্রচারবিমুখ শিল্পী'। এই কথাগুলোতে আমার ঘোর আপত্তি আছে। এ ব্যাপারে এ ব্লগে অনেক কমেন্ট আছে আমার। যিনি প্রচারবিমুখ ব্যক্তি, তার সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না, কারণ, তিনি প্রচার করেন নি কোনোকিছু, ফলে আমরা তার ক্রিয়েটিভিটি সম্পর্কে আদৌ কিছু জানি না। কিন্তু যখন কারো নাম ধরে বলা হয়, তিনি প্রচারবিমুখ লেখক, তখন আর তাকে প্রচারবিমুখ বলা যায় না, কথাটাই হয়ে ওঠে অযৌক্তিক। তিনি প্রচারবিমুখ হলে তার নাম আমরা জানলাম কীভাবে?
এই গল্পে একটা মেসেজ আছে, সেটা কেউ ধরতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয় নি, যদিও শঙ্খচিল ভাইয়ের কমেন্ট থেকে মনে হয় তিনি হয়ত সেটা ধরে ফেলেছেন।
কবির কাজ কবিতা লেখা, কেউ পড়ুক বা না পড়ুক। এটা একটা অসাড় কথা। সার কথা হলো, কবি কিছু একটা লিখেছেন, তার একটা মূল ভাব আছে, কিন্তু পাঠক সেই মূল ভাব নাও বুঝতে পারেন। পাঠক বুঝে নেবেন তার নিজের মতো করে। এটা হলো কবিতার বহুমাত্রিকতা। আমার কাছে মনে হয়, যে-কোনো লেখার ক্ষেত্রেই এই বহুমাত্রিকতা প্রযোজ্য, যেমন, আমি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এ গল্পটা লিখেছি, কিন্তু এ গল্পের আগের পোস্টে এবং এ পোস্টে কোনো পাঠকই আমার মন ছুঁতে পারলেন না, তাই বলে কি লেখাটা ব্যর্থ? মোটেও না। পাঠক নিশ্চয়ই এর স্বাদ নিয়েছেন। কেউ মিঠা স্বাদ, কেউ বা তিতা স্বাদ।
যিনি ঘরে দরজা বন্ধ করে, গাছের তলায় একাকী নিরিবিলি গান গাইছেন, তিনি কেবল নিজের আনন্দে গাইছেন, অন্যকে শোনানোর জন্য না। যিনি সেই গান ব্লগে, ইউটিউবে দিচ্ছেন, তখন তিনি সেটা প্রচারের জন্য দিচ্ছেন, যেমন আমি দিচ্ছি। আমি আদৌ প্রচারবিমুখ না।
ব্লগিং কী, তা তো নিশ্চয়ই বুঝি। মনে হয় ১৬ বছর পার হয়ে গেছে এই ব্লগেই। এর আগে ২০০০/০১ সাল থেকেও ব্লগিঙের অভিজ্ঞতা আছে আমার। বাংলাদেশে সম্ভবত ইন্টারনেটকাহিনিভিত্তিক গল্প আমিই লিখেছি প্রথম, যা 'আই-ফ্রেন্ড' নামে ২০০৫ সালে প্রকাশ করেছি। এখন ব্লগিঙে একটি ভাটা পড়েছে আমার, কারণ, আমি ইউটিউবিং, গান, ফেইসবুকিং, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিঙেও ইনভল্ভড হয়ে গেছি, ইন ফ্যাক্ট আমরা সবাই। ফলে, ব্লগিঙের টাইমিং আমাদের সবারই ভাগ হয়ে গেছে, কমে গেছে। এ নিয়ে আমার একফোঁটা আফসোস নাই।
এর মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। এই ব্লগেই কেউ কেউ আছেন, নিজের লেখাগুলো পোস্ট করেন, কিন্তু প্রথম পাতায় ছাড়েন না, তিনি ব্লগকে রাফখাতা হিসাবে ব্যবহার করছেন। অনেকে ফেইসবুকে লিখে 'অনলি মি' করে রাখেন। এদের উদ্দেশ্য ভিন্ন, ডেইলি লগ হিসাবে লেখা সাজিয়ে রাখা। কিন্তু যিনি প্রকাশ করেন প্রথম পাতায়, তখন আর বলার সুযোগ থাকে না, তিনি ঐ লেখার কোনো পাঠক চান না; অবশ্যই চান। না চাইলে তো তিনি নিজের পাতায়ই রেখে দিতে পারতেন। এমনকি ব্লগেও পোস্ট করতেন না, নিজের পিসিতেই রেখে দিতেন।
প্রতিটা সৃষ্টিশীল মানুষের ধর্মই হলো নিজেকে প্রকাশ করা। যারা এর ব্যতিক্রম, তাদের কারো নামই পৃথিবীর কেউ জানে না।
ভালো থাকবেন আপু।
৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
অপ্সরা বলেছেন: ব্লগিং কী, তা তো নিশ্চয়ই বুঝি। মনে হয় ১৬ বছর পার হয়ে গেছে এই ব্লগেই। এর আগে ২০০০/০১ সাল থেকেও ব্লগিঙের অভিজ্ঞতা আছে আমার। বাংলাদেশে সম্ভবত ইন্টারনেটকাহিনিভিত্তিক গল্প আমিই লিখেছি প্রথম, যা 'আই-ফ্রেন্ড' নামে ২০০৫ সালে প্রকাশ করেছি। এখন ব্লগিঙে একটি ভাটা পড়েছে আমার, কারণ, আমি ইউটিউবিং, গান, ফেইসবুকিং, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিঙেও ইনভল্ভড হয়ে গেছি, ইন ফ্যাক্ট আমরা সবাই। ফলে, ব্লগিঙের টাইমিং আমাদের সবারই ভাগ হয়ে গেছে, কমে গেছে। এ নিয়ে আমার একফোঁটা আফসোস নাই।
ঠিক ঠিক ঠিক এটাই কারণ!! আর এ কারণেই মানে যে কাজে যত সময় দেবে সে কাজে তত ভালো ফল পাবে। তুমি নিজেও জানো তুমি নিজেই আজকাল আগের মত সময় দিচ্ছো না নিজে লিখছো কিন্তু তোমার শাররিক প্রতিকূলতার কারণে অন্যের লেখা পড়ছো না বা কমেন্ট করছো না। ব্লগ তো জানোই যে যত বেশি বক বক করবে তাকে মানুষ চিনবে। কেউ কিচ্ছু না লিখেও যারাদিন মন্তব্য করেও ব্লগে পরিচিতি পেতে পারে যেমন কামাল ভাইয়া। এই কামাল ভাইয়া একটা লেখা লিখলেও হাজার কমেন্ট আসবে কারণ ভাইয়াকে সবাই চেনে কমেন্টার হিসাবে। ভাইয়া আমার মনে হয় ব্লগে লেখার চাইতে কমেন্টাররা বেশি পরিচিতি পায়। আর সেই কমেন্ট তুমি নিজেই আজকাল করছো না। ব্লগে লিখেই দৌড়াচ্ছো ইউটিউব ফেসবুকে। এখন বুঝো নিজেরই এই অবস্থা তাইলে পাষান ফকিরের কি অবস্থা !! তিনি তো অভিমানিনী কবি/ কবিনী!!!!!!! রাগ করে গাল ফুলয় বসে থাকলে ব্লগে দেখহা যায় না ...... তবে হ্যাঁ ইউটিউবে দেখানো যেতে পারে।
ভাইয়া তোমার আই ফ্রেন্ড পড়েই তো ব্লগে তোমাকে দেখে চিনে ফেললাম আর তোমার ফ্যান হয়ে গেলাম। সেই ঘটনা আমার সম্পূর্ণ মনে আছে। আমি আর আমার বুয়েটিয়ান কাজিন গেছিলাম বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে একদম মেলার গেইটের কাছে কি একটা স্টলে দেখি আই ফ্রেন্ বইটার নাম। তখন ছিলো চ্যাটিং এর যুগ। অদেখা চ্যাটিং বন্ধুদেরকে দেখার মনের বাসনা!! সই বইটা হাতে নিয়ে দেখালো আমার কাজিন!! আমি কিনে ফেললাম!! সেই তোমাকে লেখা দিয়ে চেনা এরপর ব্লগে এসে দেখি তুমি সেই লেখক নিজেই!!!! হা হা হা তখন অনেক মজা পেয়েছিলাম। এমনই আরেক মজার ঘটনা নস্টালজিক। সে নাকি পরী গানটা লিখেছে। মানে যেই গানের মেঘের ভাঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম সেই গানের লেখক আমাদের ব্লগে!!!!!!! হাতের কাছেই!!!!!!!! সেই আমার প্রিয় হয় গেলো নস্টালজিকও!!!!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অন্য কিছু কাজে ব্যস্ত আছি বলে সময় করে রিপ্লাই লিখতে পারছি না। খারাপ লাগছে।
বইমেলার দিনগুলোর কথা মনে হলে খুব নস্টালজিক হই। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে বইমেলা ঘুরতাম, সবুজ অঙ্গনের জন্য লেখা সংগ্রহ করতাম। বাংলাবাজারে যেতাম। বই প্রকাশ করতাম। মেলার স্টলে বসতাম প্রকাশের সাথে। প্রাণপ্রাচূর্যের ভরপর সময় ছিল।
আমার বইটা কিনে আসলে আপনি আমাকেই ঋণী করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: এর মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। এই ব্লগেই কেউ কেউ আছেন, নিজের লেখাগুলো পোস্ট করেন, কিন্তু প্রথম পাতায় ছাড়েন না, তিনি ব্লগকে রাফখাতা হিসাবে ব্যবহার করছেন। অনেকে ফেইসবুকে লিখে 'অনলি মি' করে রাখেন। এদের উদ্দেশ্য ভিন্ন, ডেইলি লগ হিসাবে লেখা সাজিয়ে রাখা। কিন্তু যিনি প্রকাশ করেন প্রথম পাতায়, তখন আর বলার সুযোগ থাকে না, তিনি ঐ লেখার কোনো পাঠক চান না; অবশ্যই চান। না চাইলে তো তিনি নিজের পাতায়ই রেখে দিতে পারতেন। এমনকি ব্লগেও পোস্ট করতেন না, নিজের পিসিতেই রেখে দিতেন। প্রতিটা সৃষ্টিশীল মানুষের ধর্মই হলো নিজেকে প্রকাশ করা। যারা এর ব্যতিক্রম, তাদের কারো নামই পৃথিবীর কেউ জানে না।
সৃষ্টিশীল মানুষের ধর্ম যাই হোক না কেনো ব্লগিং ইউটিউবিং ফেসবুকিং সকল কিছুরও তো আলাদা ধর্ম আছে ভাইয়া!!!!!!!!!! মানে কোথায় ঠিক কেমনে করে দাবার ঘুটির চালটা ছাড়তে হবে সে কবি হৌক বা লেখক হোক বা নায়ক নায়িকা গায়ক গায়িকা হোক না কেনো...... না জানলে কেমনে হবে!!!! লিখতে গেলে জানতে হবে ঠিক যেমনই সেই গানের মত বাঁচতে হলে জানতে হবে
তাই তো বলি কোর্স চাই কোর্স চাই .... ব্লগিং কমেন্টিং এর কোর্স চাই ......
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সৃষ্টিশীল মানুষের ধর্ম যাই হোক না কেনো ব্লগিং ইউটিউবিং ফেসবুকিং সকল কিছুরও তো আলাদা ধর্ম আছে ভাইয়া!!!!!!!!!!
হ্যাঁ, প্রতিটা প্ল্যাটফর্মেরই আলাদা কিছু ধর্ম আছে। আমি মনে করি, যারা ব্লগিং করেন, তারা সবাই জানেন বেশি কমেন্ট, বেশি লাইক পাওয়ার টেকনিকটা কী? তবে সবাই হয়ত সেই টেকনিকটা অবলম্বন করবেন না। - নানা কারণেই করবেন না। আবার সবাই সেই টেকনিকে ট্রাই করে সফল হবেন, ব্যাপারটা এমনও না।
যাই হোক, অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। আপনার কমেন্টের যথাযথ রিপ্লাই দিতে পারি নি সময়ের অভাবে। মাইন্ড কইরেন না আপু। শুভেচ্ছা।
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশের আজকের কবি এবং কবিতা লেখকদের (দুটোর মান ভিন্ন বলেই আলাদা করে উল্লেখ করলাম, আমাকে দ্বিতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত বলা ধরে নেয়া যায়) মানদণ্ডের বিচারে আমার মতে আপনি একজন মানোত্তীর্ণ কবি। তাই, নিজের লেখা কবিতাটি, বা অন্য কোন লেখাও, যখন আশানুরূপভাবে পাঠক-সমাদৃত হয়না, তখন আপনার মনোক্ষুন্ন হবারই কথা। তাই এটা আপনার পক্ষে বলা খুবই স্বাভাবিকঃ "যা অবাস্তব, আমি তা সাপোর্ট করি না।"
আমার কথা ভিন্ন। "প্রতিটা সৃষ্টিশীল মানুষই চান, তার সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষ জানুক, এইজন্য তা প্রচারের জন্য উন্মুখ থাকেন" - আপনার এই কথার সাথে একমত পোষণ করেও আমি আমার কম পঠিত কবিতাগুলো নিয়ে নিজেকে সন্তুষ্ট রাখতে পারি এই ভেবে যে আজ না হোক, দশ বছর পরেও তো কোন অবসরী কবিতাপ্রেমী পাঠক আমার অন্ততঃ একটি পুরনো কবিতা খুঁজে বের করে পড়ে আনন্দ পেতে পারেন, যেমন আমি মাঝে মাঝে করি এবং পাই।
ব্লগের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে থাম্ব রুল হিসেবে একজন কবি'র কবিতা যদি অন্ততঃ ১৫০ বার পঠিত হয়, পাঠককূল থেকে পাঁচটি মন্তব্য এবং পাঁচটি 'লাইক' অর্জন করতে পারে, তবে সে কবিতাকে উৎরে গেছে বলে ধরে নেয়া যায় বলে আমি মনে করি।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবি ও কবিতালেখকের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কিনা, আমি অবশ্য তা নিয়ে কখনো ভাবি নি স্যার। কবি'র প্রতিশব্দ হিসাবেই দেখে আসছি। এ শব্দটা যে খুব পুরোনো, তাও না। গানলেখক, কবিতালেখক, গল্পলেখক, ব্যাপারটা আমি এভাবেই দেখে আসছি।
খুবই লজ্জার মধ্যে ফেলে দিলেন স্যার আমাকে 'মানোত্তীর্ণ' বলে। এটা আসলে একটা আপেক্ষিক টার্ম। ব্লগে যারা কবিতা লেখেন, তাদের মধ্যে নিজের একটা অবস্থান হয়ত সৃষ্টি হয়েছে এতদিনে। কিন্তু দেশীয় কবি ও কবিতার মানদণ্ডে, আই অ্যাম নো-হোয়্যার।
লাইক, কমেন্ট দিয়া আমি স্যার কোনোকালেই কোনো পোস্ট, গল্প বা কবিতার মান বিচার করি নাই। উৎরে যাওয়া কনসেপ্টেও আমি নাই। প্রথম লাইনটা পড়ে কবি ও কবিতা, গল্প বা গল্পকারের মান বোঝা যায়। সময় খুব কম, তাই সব পোস্টে যাওয়া হয় না, কিন্তু ভালো কবিতা, গল্প, মিসেলিনিয়াস পোস্ট পড়তে ও কমেন্ট করতে আমি কার্পণ্য করি না।
যাচ্ছি আপনার পরের পোস্টে স্যার।
১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর এই পোষ্টে আপনার ভালো মন্তব্য এসেছে।
১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: জনৈক ফেসবুকার Monowar Hossain "কবি এরশাদ নাবালেগ খান পারকির চরে বসে খায়রুল সাহেবের কবিতা নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে লেখার হাতেখড়ি" শিরোনামে গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে তার ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তিনি আমার অপরিচিত। সেই কবিতাটি যখন কবিতা লিখি আমি লিখেছিলাম ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে এবং ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে। ব্লগে প্রকাশের মাত্র চার দিনের মাথায় চট্টগ্রামবাসী সেই জনৈক "কবি এরশাদ নাবালেগ খান" আনোয়ারার পারকির চরে বসে কবিতাটি লিখেছিলেন বলে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছিলেন। তার প্রায় দশ বছর পর জনাব Monowar Hossain কষ্ট করে ব্লগ থেকে মূল কবিতাটি খুঁজে বের করে কুম্ভীলকের ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করে দেন। সাথে সাথে কুম্ভীলক তার পোস্টটি মুছে দিয়ে জনাব Monowar Hossain কে ব্লক করে দেন। সেখানে আমার মূল কবিতাটি দেখতে পেয়ে সামু'র একজন ব্লগার আমার কাছে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান।
কবিতাটি ব্লগে প্রকাশের প্রায় দশ বছর পর জনৈক অনুসন্ধানী পাঠক ব্লগে এসে মূল কবিতাটি পাঠ করে কবিতা চোরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। কেউ পড়ুক বা না পড়ুক, সেটা না ভেবে সেদিন কবিতাটি ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম বলেই তো এটা সম্ভব হলো। পাঠকের উপর কবি-লেখকদের ভরসা রাখতে হবে। পাঠক নেই ভেবে কলম বন্ধ রেখে বসে থাকা কিংবা অন্যত্র মনোনিবেশ করা চলবে না।
ভিন্নমত পোষণ করলেও, চমৎকার ৭ নং প্রতিমন্তব্যটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, এবং প্রতিমন্তব্যটি 'লাইকড'। +
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাষাণ ফকির কিন্তু লেখা বন্ধ করেন নাই। তিনি একজন বিখ্যাত কবি। গল্পে দেখানো হয়েছে যে, আমরা তাকে ব্লগে নিয়ে এসেছি তাকে দিয়ে ব্লগিং করানোর জন্য। ধরুন, শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ যদি নিয়মিত আমাদের সাথে ব্লগিং করতেন, তাহলে আমরা গর্ব করে বলতাম, আমাদের সাথে শামসুর রাহমানও ব্লগিং করেন। ব্যাপারটা এমন আর কী পাষাণ ফকিরের আছে ব্যাপক ভুবন। তিনি ব্লগ ছেড়ে নিজের ভুবনেই ব্যস্ত আছেন, বিষয়টা হলো এই।
যারা লেখেন, তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না, সেটা নিশ্চিত। তবে, মাথা মাঝে মাঝে ব্লক হয়ে যেতে পারে (রাইটার'স ব্লক), সেটা সাময়িক।
এই গল্পের মূল বিষয়টা শঙ্খচিল ভাই ধরলেও ধরতে পারেন, কিন্তু আগেও এ গল্পটা পোস্ট করেছিলাম, সেই পোস্ট প্লাস এই পোস্টে মূল বিষয়টাতে কেউ হিট করেন নাই, একটু আফসোস থেকে গেল আর কী
লেখা চুরি করেন দুই ক্যাটাগরির চোর, (১) উন্নত জ্ঞান ও যশের অধিকারী। তারা অবশ্য মূল লেখা নয়, লেখার থিম চুরি করেন। (২) অমেধাবী চোরেরা, যারা বোঝেন না কী চুরি করছেন। চুরি করা লেখা নিয়া বইমেলায় মাঝে মাঝেই বই বের হয়, ধরা পড়ার পর হইচই হয়। কাজেই লেখা চুরি নিয়া শঙ্কিত হওয়ার চেয়ে গর্বিত হওয়াই অধিক সঙ্গত বলে মনে করি। লেখাচোর কোনোদিন আপনার লেখার মূল থিম ধরতে পারবে না, এবং কোনো না কোনোদিন সে ধরা খাবেই, যেমন আপনার লেখায় খেলো।
এ নগণ্য পোস্টে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনামূলক কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার। আপনি এবং শায়মা আপু এ পোস্টকে মহিমান্বিত করলেন। আমি গর্বিত।
১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩১
কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: ফকির মিসকিন ভিক্ষা করবে, সে কেন কবিতা লেখে? এই দেশে সব কিছু উল্টাপাল্টা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও, অনেক ভালো বলেছেন তো!
মুরলী শব্দের অর্থ জানতে যেয়ে জানতে পারলাম মুরলী অর্থ বাঁশি। কৃষ্ণের 'বাঁশি'। মুরলীধর - যে মুরলী ধরে।
মুরলী নামক একটা ভাজাপুরি খাবার আছে, লাল রঙের হয়, আমাদের খুব প্রিয়।
আমার ব্লগে স্বাগতম।
বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি লালন ফকিরের নাম শুনেছেন?
১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার কবিকে আমি চিনিয়াছি
তাই তাকে দিই ফুল
তোমার কবিকে তুমি চেনো নাই
তাকে বুঝিয়াছো ভুল।
তোমার কবিকে ব্যাথা দিও তুমি
যতোখানি সাধ হয়
আমার কবিকে ভালোবেসে যাবো
এতেই আমার জয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈকত ভাই। একজন লেখকের জন্য এটা একটা বড়ো প্রাপ্তি।
অন্বেষা, ৬১ নাম্বার সিকোয়েল।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: আহারে কবি চলেই গেলেন!!!
নিজের মনে আপন মনে.....

তবে কবির কাজ কবিতা লেখা। কেউ পড়লো কি বুঝলো কবির তাতে কি?
বিশেষ করে ব্লগে নিজে নিজে লিখে যাবে....