নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরের পক্ষে

ফারুক১

ওমর ফারুক রাঃ এর নামে আমার মা নামার নাম দিয়েছিলেন।

ফারুক১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেতনা ও রাজনীতি

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

আজকালকার অনেক মুক্তমনা টাইপ লোকের কথাগুলোতে বুঝার কিছু নেই। আওয়ামীলীগের জনসভায় গেলেই এসব পাওয়া যায়। কোন প্রমাণ নাই দোষ একটা দিয়ে সেটা নিয়ে শুরু করে খাজ কাটা, খাজ কাটার কাহিনী। তারেক জিয়া নিয়ে কত কথা! জয়ের ব্যাপারেও অনেক কিছুই জানা যায়। এমনকি বুশ-ব্লেয়ার-ক্লিনটন ও তাদের দেশের রাজনীতিতে কম কানাঘুসার শিকার নন। অথচ আমাদের দেশের মত নোংরা রাজনীতি ওদের দেশে নাই। রাজনৈতিক কৌশল থেকে মুক্তচিন্তার প্রকাশ, বিকাশ, বিতর্কের স্থানটা দূরে রাখতে হবে।

অর্থাৎ, আমরা পাঠক শ্রেণী তাদের কাছে রাজনৈতিক স্ট্যান্ট শুনতে চাইনি।
আশা করি যা এতদিন বলতে চেয়েছি তারা ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন। একটা দেশের মানুষ যা চায় তার পক্ষে না থাকার অযাচিত মানসিকতাই সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়। জোর করে চাপিয়ে দেয়া, যাকে বলে। আমি মনে করি, মানুষের চাহিদার নাম যদি গণতন্ত্র হয় তাহলে সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। পাকিস্তান, তালেবান, জঙ্গি বলে গণতন্ত্রে শর্তারোপ, একমাত্র অসভ্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মুক্তবুদ্ধি এটাই বলে আপনার প্রচারনা চালাতে হবে, কিছু মানদন্ডকে রেস্পেক্ট করতে হবে। কিছু আইনকে স্বার্বজনীন করতে পারলেই একদিন মানবতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে। মানবতার সংজ্ঞায় নবায়ন হতেই পারে। আধুনিকতার সীমা নাই। উদাহরন স্বরুপ, সরকারী রাস্তাঘাটে উৎকট চাঁদাবাজ কোন যুক্তিতেই মানায় না। রাস্তা পরিস্কার রাখতে হবে। চেতনা বলেন আর আদর্শই বলেন প্রতীষ্ঠান গুলোকে ওইসব দলীয় ছাইপাস থেকে মুক্ত রাখতে হবে। চেতনার নাম দিয়েই তো পুজা মন্ডপ গুলোতে ষড়যন্ত্র মূলক হামলা করার পর সংখ্যালঘু ভাইদের নিয়ে উচ্চকিত থাকা ছাত্রলীগও ধরা পড়ে! এদেশে রাজনীতিই তো ঐ 'রাজনৈতিক চেতনার' বিনিময়! চেতনা দিয়ে মানবতা তো আর তারা প্রতীষ্ঠা করেনা।

বঙ্গবন্ধু, জিয়া, এরশাদ সবাই যার যার মহিমায় ভাস্মর হতে পারবেন যদি মানবিক এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলো হস্তক্ষেপ মুক্ত হয়, মানুষের স্বাধীনতা রক্ষিত হয়। কারন, তা না হলে সিজন স্বাপেক্ষে কোন ব্যাক্তিত্ব বা আদর্শের ভুল গুলোও জোর করে চাপিয়ে দেয়ার চর্চা থাকবে।

নিছক মানুষ হিসেবেই ব্যাক্তিত্বদের দেখতে হবে। উন্নত ধ্যানধারনা সমৃদ্ধ হলেও তারা দিন শেষে রক্তে-মাংসের মানুষ। নষ্ট ছেলের জন্মদাতা হতেই পারেন! ক্ষোভে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং তাদের থাকতেই পারে! বড় বড় ভুল তারাও করবেন! লিঙ্কন আমেরিকায় যেভাবে ক্রিটিসাইজড হন ঠিক সেভাবেই দলমত নির্বিশেষে সম্মানিত হন। লিঙ্কনকে বা তার দলকে আমাদের মত করে পুজার বস্তু বানালে, তারা বিরোধী পক্ষ থেকে কেবল তিরোস্কৃতই হত।

লীগ বা বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে স্বাধীনতার নামে ইশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাতে তারা একটা অংশের কাছে শুধুই ঘৃনিতই হন। তাদের ভুল গুলো বলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এক শ্রেনীর কাছে তাদের গুন গুলোও বিলীন হয়ে যায়। মানব জন্মের পর বাঙ্গালী জাতি ১৯৭১ এই স্বাধীনতা পায়নি। কোন্দিন কোন মুক্তিযুদ্ধ প্রথম ও শেষ নয়। একটা অর্জন নিয়ে জীবন থেমে থাকেনা। শত শত যুদ্ধের পর স্বচ্ছলতা আসতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ শেষ যুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধই প্রথম যুদ্ধ নয়। তাই মুক্তিযুদ্ধ আলটিমেট মুক্তিযুদ্ধ নয়। আমাদের বুঝতে হবে, এ বাঙ্গালীর ১৬ কোটি মানুষের বাইরেও বাঙ্গালী জাতি আছে। তারা আজ ইন্ডিয়ার সাথে ভালো আছে। বাংলাদেশী মানেই শতভাগ বাঙ্গালী নয়। তাই বঙ্গবন্ধু বলি আর জাতীর জনক বলি সবই খন্ডিত।

মানুষ নিয়ে যখন রাজনীতির উদ্দেশ্য, তখন মানুষের বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখেই নীতি প্রবর্তন করা উচিৎ। শুধু বক্তব্য দিয়ে যদি জাতি চলত তাহলে ৭৫ এর ঘটনার সাথে সাথে, ৭১ এ হার না মানা বীর বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মেরে-কুটে সাফা বানায় দিত। কিন্তু এটাই ঠিক যে মানুষ একনায়কতন্ত্র পছন্দ করেনা। আফ্রিকান স্বর্গ লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফীর মত ব্যাক্তি সুখী লিবিয়া গড়েও একনায়ক রক্ষা করতে পারেননি। এটা গোলামীর যুগ না।

মানুষ সুখী হতে চায়, সাথে কিছু বিরোধীতাও করতে চায়। বিরোধীতার পথ বন্ধের পরিনতিই বানের মত এক সময় একনায়ককে হঠাত ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

কল্পনায় আঁকুন সেই দৃশ্য- ৭৫ এর সময়কার কুখ্যাত রক্ষী বাহিনী প্রধানের বৌ যখন প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদের মায়ের পায়ে জড়িয়ে ধরে নিরাপত্তা চেয়েছিল! নিরাপত্তা রক্ষীর ওয়াইফ কীনা সাধারন নাগরিকের পায়ে পড়ে নিরাপত্তা চায়! এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা পৃথিবীর প্রত্যেক যুগেই উদাহরন হয়েছে। আমাদের দেশের আদর্শিক প্রতিপক্ষগুলোকে হত্যা করা, দমিয়ে রাখা, নির্যাতন করার ধারাবাহিকতা এখন তীব্রতর পর্যায়ে চলে এসেছে। এ থেকে ব্যাক গিয়ারে যাওয়া সময়ের দাবি। ব্যার্থ হলে এদেশটা স্বাধীন থাকবে না। দেশ স্থির না থাকলে, দেশের অভ্যন্তরে একটা শক্তি যেকোন মূল্যের বিনিময়ে সরকারের পতন চাইতে থাকলে একসময় বিনিময় হিসেবে তাদের সামনে স্বার্বভৌমত্বের অফার চলে আসে। যা দেশপ্রেমিক কেউ কোনদিন চায়না। সুস্থ সমাজ এই ধারা শুরুতেই বন্ধ করে দেয়, আমরা সেক্ষেত্রে ব্যার্থ হয়েছি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

ব্লগে হয়তো, ২/৩ হাজার বাংগালী লিখছেন; ১৭ কোটীর মাঝে যদি ১৭ লাখ লিখার ক্ষমতা অর্জন করেন, তা'হলে ১৭ লাখ দেশের জন্য ১৭ লাখ উপায়ে প্রস্তাব রাখবেন; এগুলোকে কিভাবে জাতির কল্যানের জন্য একত্রিভুত করা যাবে?

আপনি এই পোস্টে যা লিখেছেন, তা করতে একটা পুরো সরকার লাগবে।

তাই সবকিছুকে সবার জন্য 'কমন' করতে, এক করতে, আমাদের অর্থনীতিতে ৪ মৌলিক অধিকারকে: ফ্রি শিক্ষা, চাকুরী সৃস্টি, সবার বাসস্হান, ফ্রি চিকিৎসাকে সর্বাধিক উন্নতমানের করতে হবে; সরকার গঠনে গণতন্ত্র অনুসরণ করতে হবে; নাগরিককেও তা মানতে হবে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

ফারুক১ বলেছেন: যে কোন ভাবে মানদন্ডে পযাচ লাগানো যদি বাঙ্গালীর চিরো স্বভাব হয় তাহলে সেই স্বভাবের কারনেই এদেশে একবার মুক্তিযোদ্ধার জুলুম আরেকবার রাজাকারের জুলুম পাল্টাপাল্টি চলবে। এরমাঝে দুই পাশে দুই দল মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নিয়ে গোলাগুলি করতেই থাকবে।

সোজা কথাগুলোও আপনার পছন্দনীয় হলনা!

'কিছু মৌলিক নীতির ব্যাপারে ছাড় থাকতেই হবে। এগুলোতে কারো হস্তক্ষেপ চলবেনা।'- এ কথাটা দশ কোটি বিবেকবান লোকের মাঝে দশকোটি লোকই বলবে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

ফারুক১ বলেছেন: শেখ মুজিবের হত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম হয়তো ষড়যন্ত্রকারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লীগের পক্ষে বলা হবে। কিন্তু তাতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেইনিং জমা নেয়া যায়না।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

উচ্ছল বলেছেন: গঠনমূলক স্বপ্ন নয়, অন্যের দোষ খোঁজাই বাঙ্গালী চরিত্র।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

ফারুক১ বলেছেন: এক্সাক্টলি :(

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

মোঃ আসাদুল আল গালিব বলেছেন: সহমত

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

ফারুক১ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.