![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাধারণ একজন বালক এবং আশাবাদী যে, আধা গ্লাস পানি কে এক গ্লাস পানি হিসাবে দেখি, খালি দেখিনা।
১৯০৫ সালের জুলাই মাসে ভারতের ভাইস রয় লর্ড কার্জন বাংলা ও আসাম নিয়ে একটা প্রভিন্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এবং ঢাকাকে তার রাজধানী হিসাবে ঘোষণা দেন। উদ্দেশ্য ছিলো এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন যাত্রা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কিছুটা অতিরিক্ত নযর দেয়া। এটা কে মেনে নিতে পারেনি কলকতার হিন্দু বাবুরা। কারন এতে বেনিফিসিয়ারী হতে যাচ্ছিল এই এলাকার মেজরিটি প্রজা তথা মুসলমানেরা।
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলার জমিদার। হাজারো চাষা ভুষো মুসলিম প্রজা ছিলো তার দাসের তালিকায়। বাংলাভাষার এই রাজা সেদিন এই সব দাসদের মুখে যে আনন্দের ঝিলিক দেখতে পেয়েছিলেন তাতে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালো বাসি’ গান গেয়ে তাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেন। এক দিকে মুসলমানদের সুখনিদ্রার ব্যবস্থা করলেন তিনি, অন্য দিকে হিন্দু সমাজকে উদ্দীপ্ত করতে ‘শিবাজী’ বন্দনাও শুরু করেন।
"ধ্বজা ধরি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরী বসন
দরিদ্রের বল।
এক ধর্মরাজ্য হবে ‘এ ভারতে’ এ মহাবচন
করিব সম্বল।"
সেই অনলবর্শী বন্দনায় উজ্জীবিত হয়ে হিন্দুরা কোলকাতার যুগান্তর পত্রিকায় ১৯০৮ সালের ৩০মে এটাও লিখলোঃ “মা জননী পিপাসার্ত হয়ে নিজ সন্তানদেরকে জিজ্ঞেস করছে, একমাত্র কোন বস্তু তার পিপাসা নিবারণ করতে পারে। মানুষের রক্ত ও ছিন্ন মস্তক ব্যতিত অন্য কিছুই তাকে শান্ত করতে পারেনা”।
স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তো বলেই ফেললেনঃ ‘বাংলাদেশ বিভক্ত করে হিন্দুদেরকে অপমান ও অপদস্ত করা হয়েছে”। শেষে ১৯১১ সালে বংগভংগ রদ না করা পর্যন্ত উনারা ছাড়েননি।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটাকে চাষা ভুষাদের প্রতিষ্ঠান হবে বলে মন্তব্য করেই শুধু ক্ষান্ত হননি, বিশ্ববিদ্যালয় না হোক তা নিয়ে তিনি ছিলেন মহাব্যস্ত।
সে যাক, ঐ সময় আমার জন্ম হয় নি, কাজেই বই পড়ে আর কি সব বুঝা যায়? কিন্তু আমরা যে দাদাবাবুদের চোখে কত হীন ও তুচ্ছ তা বুঝতে পেরেছি গত ৮ বছরে। আমাদের সেনাপতি মইনুল সাব কে ডেকে নিয়ে কিছু ঘোড়া ও প্রশিক্ষিত কুকুর উপঢৌকন দেয় ভারত সরকার। এই আনন্দে গদগদ হয়ে তিনি বলে গেছেন, তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এমন এক বন্ধন তৈরি করে যাচ্ছেন যা থেকে বাংলাদেশ আর পেছনে তাকাবেনা।
সেও যাক, আমাদের ব্রেইন কি অত ভালো যে পুরানো কথা মনে রাখব? এই সেদিন সুজাতা ম্যাডাম এসে আমাদের ‘বাঁদরীয় সভ্যতার’ জনক সেনাপতি এরশাদ সাহেব কে ধমকি দিয়ে গেলেনঃ ‘আপনি নির্বাচনে না এলে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসবে’। এরশাদ সাহেব এর পরেও নির্বাচন করবে না বললে, তাকে হস্পিটালে নিয়ে কিভাবে গলফ খেলনো হল, আমরা তা চোখ মুদে দেখলাম, আর বল্লাম, দাদা বাবুরা যা ইচ্ছা তাই করেন।
মাত্র একসপ্তাহ আগে র’ এর শিব শংকর মেনন আমাদের ‘আয়রন লেডী’ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেনঃ ভারত বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা করবে, কাজেই শক্ত হয়ে থাকবেন (আর.........)।
এইসব দৃশ্যদেখি, আর ভাবি, আমরা বাংলাদেশের মুসলমানেরা পাশের দাদাদের চোখে যে কত হীন ও তুচ্ছ, তা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি আমাদের জাতীয় নেতারা।
পন্ডিত নেহেরু তার বই এ আশাবাদ ব্যক্ত করে ছিলেন, যে দুরত্ব ও সাংস্কৃতিক বিভাজনে পাকিস্থান রাষ্ট্র হলো, তার ভবিষ্যত হবে মাত্র ক’টা বছর।
এরপর ১৯৭১ সনে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেনঃ “আজ দ্বিজাতি তত্ব কে আমরা বংগোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি”। আমার মনে হয় পাকিস্থান ভাঙ্গার পর বাংলাদেশ ৪০/৫০ বছর টিকে থাকা যেন দাদাদের চোখে এক মহাবিপদ। সব চেয়ে খারাপ লাগলো যখন দেখলাম, একতরফা নির্বাচনে আওয়ামি লীগ জয়লাভের পর এমপিরা মন্ত্রীত্ব নেয়ার জন্য তাদের ‘আয়রন লেডী’ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যেয়ে কদম বুছি না করে, ভীড় করলো ঢাকাস্ত ইন্ডিয়ান দুতাবাসে। যাতে দাদারা শেখ হাসিনা কে তাদের মন্ত্রী বানাতে বাধ্য করেন। আমরা আম জনতা ভারতের কাছে তো তুচ্ছই, কিন্তু খারাপ লাগছে তারা আমাদের জাতীয় নেতাদের কেও কত হীন ও তুচ্ছ ভাবে!!!
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
ফারুক রহ্মান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: জাতীয় নেতারা তুচ্ছ হবার যোগ্যই বটে!
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
ফারুক রহ্মান বলেছেন: হুম
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
সোহানী বলেছেন: জাহিদ মজুমদার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আজকাল সত্য বলতে গেলেও কেমন যেন কুকড়ে যেতে হয়।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
ফারুক রহ্মান বলেছেন: হুম একদম ঠিক
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
rakibmbstu বলেছেন: বাংলাদেশীরা যে কত নীচ, তা দেখিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুজাতা সিং এবং শিবশংকর মেনন
বাঙ্গালী হবে বাংলাদেশী নয়.............
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
জাহিদ মজুমদার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আজকাল সত্য বলতে গেলেও কেমন যেন কুকড়ে যেতে হয়।