![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাধারণ একজন বালক এবং আশাবাদী যে, আধা গ্লাস পানি কে এক গ্লাস পানি হিসাবে দেখি, খালি দেখিনা।
চাকরি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে বের হই বেড়ানোর উদ্দেশ্যে। তবে মাঝে কয়েকমাস বেড়ানোর জন্য ঢাকার বাইরে খুব একটা যাওয়া হয় নাই। তাই এবার প্লান করলাম যে, এই বরষায় সিলেট যাব।
সেই উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা দিলাম আর অমনি ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। তার পরও যেহেতু ঘুরতে বের হইছি, তাই আর বৃষ্টি কে ভয় পেয়ে কি লাভ?
সিলেটে টানা ৩-৪ দিন সারাদিন এইরকম বৃষ্টি ছিল।
সকালে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়েই রওনা দিলাম জাফলং এঁর দিকে। প্রথমে সিলেট শহর থেকে বাসে রওনা দিলাম 'আলুর বাগান' নামে এক যায়গায় নেমে সকালের নাস্তা করে নিলাম গরম খিচুড়ি ও সাথে ডিম দিয়ে।
আলুর বাগান এর রেস্তোরাঁ থেকে দেখা পাহাড়।
বৃষ্টি অনেক বেশি হওয়ায় 'আলুর বাগানে' কিছুক্ষন অপেক্ষা করে লেগুনায় করে জাফলং এঁর দিকে রওনা দিলাম। জাফলং সত্যি খুব সুন্দর জায়গা। আর বর্ষায় যেন তার রুপ আরও বেশি করে ফুটে উঠেছে।
চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। পাহাড়গুলো যেন সবুজের চাদরে ঘেরা। আর পাহাড়ের গা দিয়ে সাদা তুলার মত মেঘ উড়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য সত্যি কল্পনা করাও কঠিন। এটি শুধু দেখার বিষয়। এত সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা দিয়েও ভাল করে উঠানো সম্ভব না।
জাফলং ও মেঘালয়ের সংযোগ ব্রিজ।
মেঘালয়ের পাহাড় ঘিরে ঘরবাড়ি।
জাফলং থেকে নৌকায় করে জিরো পয়েন্ট হয়ে খাসিয়া পল্লির দিকে রওনা দিলাম। সেখানে চা বাগানের ভিতর গিয়ে আরও অন্য রকম অনুভুতি।
আপনার যদি মন খারাপ থাকে তাহলে সিলেট গিয়ে চা বাগানের ভিতর দিয়ে ১-২ ঘণ্টা হাটলে আপনার মন ভাল হতে বাধ্য।
সেখানে ঘুরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম।
খাসিয়া পল্লির ভিতরে তোলা কয়েকটি ছবি।
পরদিন রওনা দিলাম 'বিছানা কান্দির' উদ্দেশ্যে। সিলেট শহর থেকে সি,এন,জি যায়, প্রতিজন ৮০ টাকা করে ভাড়া। এঁর পর অইখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা যায় বিছানাকান্দির উদ্দশ্যে। ১০-১২ জনের দল হলে যাতায়াত এঁর জন্য নৌকা রিজার্ভ করে নিয়ে যেতে পারেন। ভাড়া ১০০০টাকার মত।
নৌকা য় করে যেতে ১ ঘনটার মত লাগে। সেখানে গিয়ে জিরো পয়েন্টের পাহাড় গুলোর সামনে দাঁড়ালে আপনার গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবে। পাহাড়গুলো যেন আকাশ ছুয়েছে। আর মেঘ গুলো পাহাড়ের ভিতর দিয়ে উড়ে উড়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার অনুভুতি আপনি কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না।
***বৃষ্টির জন্য ক্যামেরা ভাল করে ব্যবহার করতে না পারায় ভাল ছবি উঠাতে পারি নাই। ইনশাল্লাহ ঈদের পর আবার যাব। সে সময় আরও ঘুরব ও ভাল ছবি দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরও ছবির জন্য সাথে থাকুন। আমার ফ্লিকারঃ
///ফেসবুক///
২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৮
ফারুক রহ্মান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনি সকালে আলু বাগান এর যে হোটেলে নাস্তা করেছেন তা 'জৈন্তাপুর রিসোর্ট্' এর রেস্টুরেন্ট। আর আপনি যে ব্রিজ এর ছবি দিয়েছেন তা ডাউকি'র ব্রিজ, ওই এলাকার নাম "ডাউকি"।
২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৯
ফারুক রহ্মান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার তথ্যের জন্য। বৃষ্টির কারনে নাম খেয়াল করার সময় পাই নাই।
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
জল ঝড় বলেছেন: সিলেটবাসী হিসেবে নিজেকে গর্বিত লাগছে।
২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৫০
ফারুক রহ্মান বলেছেন: আসলেই ভাই, আপনারা গর্ব করার মত এক জায়গায় জন্মেছেন
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:১২
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: সিলেটে মাসখানেক আগে গিয়েছিলাম। বন্ধুদের সাথে ট্রিপ ছিল। চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। জাফলং এর স্বচ্ছ জলে জীবনের সব ক্লান্তি ধুয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। তবে খারাপ লাগলো এই দেখে, নিয়মের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে থেকে পাথর তোলায়। সৌন্দর্য অনেকটা খর্বিত হচ্ছে।
৫| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
বৃতি বলেছেন: চমৎকার!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন হয়েছে। দূর্দান্ত!