![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে সকল মিডিয়া ইদানিং খুনি কর্নেল তাহেরের ফাঁসি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য 'বীর উত্তম যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা' ইস্যুটা ব্যবহার করছেন, তারা কী ভবিষ্যতে 'বীর উত্তম যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা' মেজর ডালিমের প্রতিও এই সহানুভূতি সৃষ্টির জন্য মাঠে নামবেন?
প্রকাশিত মার্কিন কেবলে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ইউজিন বোস্টার ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহের ও তার গণবাহিনীর হাতে ৩০ জন অফিসার নিহত হবার বার্তা প্রেরণ করেছিলেন। সেই সময়ে কর্নেল তাহেরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হাসানুল হক ইনু সাহেব এই তথ্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন যে উনারা মাত্র(!) ১২ জনকে হত্যা করেছিলেন
প্রশ্ন হচ্ছে মেজর মহিউদ্দিন, মেজর আজিম, ক্যাপ্টেন আনোয়ার, ক্যাপ্টেন খালেক, লেফটেন্যান্ট মস্তাফিজ, লেফটেন্যান্ট সিকান্দার, লেফটেন্যান্ট নাসিম, ডেন্টাল সার্জন করিম, লেডি ডাক্তার হামিদা সহ আরো ২১ জনকে হত্যাকারী কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া কেন বেঠিক হবে? আর সেই হত্যাকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ১২ তে কমিয়ে এনে স্বঘোষিত হত্যাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া হাসানুল হক ইনুকে কেন মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার করার ব্যবস্থা করা হবে না?
একজন মুক্তিযোদ্ধা যদি অপরাধ করেন তবে অবশ্যই তাঁকে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শাস্তি সশ্রম কারাদণ্ড হলে, জেলে তাঁকে ডিভিশন দিতে হবে এবং শাস্তি ফাঁসি হলেও মৃত্যুর পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা মানেই সাতখুন মাফ নয়। আর সেনা সদস্যরা যদি সেনা আইন ভঙ্গ করেন, তবে তাদের বিচার সেনা আইনেই হয়। এটা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য লিফসুলজ এর মত পতিতার প্রয়োজন নেই। লিফসুলজের দেশেও সেনা আইন ভঙ্গ করে সেনা হত্যার বিচার ও শাস্তি কোর্ট মার্শালেই হয়। সেনা সদস্যরা অবসরেরর পরও এমনকি একজন সিভিলিয়ান ও যদি সেনা আইন ভঙ্গ করে সেনা হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করেন, তবে তার শাস্তিও ঐ কোর্ট মার্শালেই হবে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই।
কাজেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাও যদি সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটানো এবং সেনা হত্যায় জড়িত প্রমানিত হন, তবে তার বিচার অবশ্যই সেনা আইনে হবে। যারা গরম মাথায় এতগুলো সেনা কর্মকর্তাকে খুন করলেন, তাদেরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির শাস্তি প্রদান করা অবশ্যই 'ঠাণ্ডা মাথায় খুন' এবং এই খুন করেই আমাদের বিচার বিভাগ অতীতে নিয়মিতভাবে হত্যাকারীদের শাস্তি প্রদান করেছেন। বর্তমানেই বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি ভিডিওতে খুনিদের স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও সানাউল্লাহ নূর বাবুর হত্যাকারীদের আদালত খালাস দিয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায়, রাষ্ট্রের আদালত কী তবে 'শিষ্টের দমন আর দুষ্টের পালন' নীতি অনুসরণ করছে?
একেএম ওয়াহিদুজ্জামান ভাইয়ের ফেসবুক থেকে কালেক্টেড
২| ২৩ শে মে, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯
অারমান বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা মানেই সাতখুন মাফ নয়। আর সেনা সদস্যরা যদি সেনা আইন ভঙ্গ করেন, তবে তাদের বিচার সেনা আইনেই হয়। এটা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য লিফসুলজ এর মত পতিতার প্রয়োজন নেই। লিফসুলজের দেশেও সেনা আইন ভঙ্গ করে সেনা হত্যার বিচার ও শাস্তি কোর্ট মার্শালেই হয়। সেনা সদস্যরা অবসরেরর পরও এমনকি একজন সিভিলিয়ান ও যদি সেনা আইন ভঙ্গ করে সেনা হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করেন, তবে তার শাস্তিও ঐ কোর্ট মার্শালেই হবে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই।
রাষ্ট্রের আদালত কী তবে 'শিষ্টের দমন আর দুষ্টের পালন' নীতি অনুসরণ করছে?
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান? সরমেয় লীগের তো এইটার উত্তর দেওয়ার কোন দরকারই নাই। খালি আইসা এক কথা কইবো ছাগু। দ্যাটস অল।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১৭
ঠগী বলেছেন: কোর্ট মাশাল মানে এমন নয় যে সে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবে না। কোর্ট মার্শাল মানে এমন নয় যে সে নিজের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে না। কোর্ট মার্শাল মানে এমন নয় যেখানে অভিযোগের সর্বোচ্চ বিচার ১০ বছর তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। এসব চিন্তা করে মত দেয়ার অনুরোধ করি।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩২
ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
কোর্ট মাশাল হোক বা সাধারন আদালত হোক, মামলার শুনানি বা বিচার তো হয়নি।
হয়েছে সুধু রায়!
৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: অন্যায় হলে নির্ধারিত নিয়মেই বিচার চালিয়ে তাকে শাস্তি দেয়া যেত। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একতরফাভাবে বিচার করা হল কেন ... এটার কি উত্তর দেয়া যায় জনাব ?
তাছাড়া অভিযোগ অনুযায়ী জেল হতে পারত, ঐ ধারায় তো ফাসি দেয়ার কোন বিধানই নেই। নাকি আছে ?
৬| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
শহীদুল্লাহ খান বলেছেন: একেএম ওয়াহিদুজ্জামান ভাইয়ের ফেসবুক থেকে কালেক্টেড
এসব সেন্সেটিভ কথাবার্তা কারো কাছ থেকে কালেক্ট করে নয়, নিজের মেধা ও বুঝ দিয়ে লিখতে হয়। এক কথায় জানুন কর্ণেল তাহের একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। মেজর জিয়া কিছু আর্মি অফিসারদের তুস্ট করতে কর্নেল তাহেরকে ফাসি দিয়েছিলেন।
ইতিহাস পড়ুন এটাই জানবেন।
৭| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
মিজান আফতাব বলেছেন: এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: অন্যায় হলে নির্ধারিত নিয়মেই বিচার চালিয়ে তাকে শাস্তি দেয়া যেত। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একতরফাভাবে বিচার করা হল কেন ... এটার কি উত্তর দেয়া যায় জনাব ?
তাছাড়া অভিযোগ অনুযায়ী জেল হতে পারত, ঐ ধারায় তো ফাসি দেয়ার কোন বিধানই নেই। নাকি আছে ?
agree
৮| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
েরজা১৩েহপী বলেছেন: ১. আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই
২. আসামীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে দেয়া হবে না
৩. অভিযোগের সর্বোচ্চ বিচার ১০ বছর হলে আসামীকে দেয়া হবে মৃত্যুদন্ড
এটাকে যারা বিচার বলবে তারা ছাগলের চেয়েও নিকৃস্ট কোন চতুস্পদ।
৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: মিজান আফতাব বলেছেন: এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: অন্যায় হলে নির্ধারিত নিয়মেই বিচার চালিয়ে তাকে শাস্তি দেয়া যেত। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একতরফাভাবে বিচার করা হল কেন ... এটার কি উত্তর দেয়া যায় জনাব ?
তাছাড়া অভিযোগ অনুযায়ী জেল হতে পারত, ঐ ধারায় তো ফাসি দেয়ার কোন বিধানই নেই। নাকি আছে ?
agree
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান? সরমেয় লীগের তো এইটার উত্তর দেওয়ার কোন দরকারই নাই। খালি আইসা এক কথা কইবো ছাগু। দ্যাটস অল।