![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ভার্চুয়াল ঘর, যেমন ইচ্ছে তেমন সাঁজাই। অতিথিকে স্বাগতম।
হ্রদ হল ভূ-বেষ্টিত লবণাক্ত বা মিষ্টি স্থির পানির বড় আকারের জলাশয়। হ্রদ উপসাগর বা ছোট সাগরের মত কোন মহাসমুদ্রের সাথে সংযুক্ত নয়, তাই এতে জোয়ার ভাটা হয় না। বিভিন্ন ভূ-তাত্ত্বিক কারণে মাটি নিচু হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হতে পারে। স্তরীভূত শিলায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে, অনেক বড় আকারের শিলাস্তর ফল্টের আকারে স্থানচ্যুত হলে, কিংবা ভূমিধ্বসের ফলে পাহাড়ী নদীর গতিপথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া হিমবাহের মাধ্যমেও অনেক হ্রদ তৈরি হয়। হিমবাহগুলি এদের গতিপথে ভূ-পৃষ্ঠে গভীর খাঁজের সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে কোন কারণে হিমবাহগুলি সরে গেলে এসব স্থানে হ্রদের সৃষ্টি হয়। উত্তর আমেরিকার অনেক হ্রদ এভাবেই তৈরি হয়েছে।
সরাসরি বৃষ্টিপাত ও হ্রদে পতিত হওয়া নদী বা জলধারা হ্রদে পানির সরবরাহ করে। বৃহত্তর ভৌগোলিক কালের প্রেক্ষাপটে হ্রদগুলি গঠিত হয়েছে, অদৃশ্য হয়েছে ও আবার গঠিত হয়েছে। ঊষর জলবায়ু অঞ্চলে হ্রদ শুকিয়ে বদ্ধ জলাভূমিতে পরিণত হয়। স্বল্প-বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে ঋতুভদে হ্রদগুলি পানিতে ভরাট হয় ও আবার বহুদিনের জন্য শুকিয়ে যায়। যেসমস্ত হ্রদে বাষ্পীভবনের হার বেশি ও পানি উপচে পড়ার প্রবণতা কম, সেগুলিতে পানিতে দ্রবীভূত উপাদানগুলির ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং এদের মধ্যে প্রধান উপাদানের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে অনেক সময় হ্রদের শ্রেণীবিভাগ করা হয়। যেমন লবণ হ্রদগুলির মূল দ্রব হচ্ছে সাধারণ লবণ, তিক্ত হ্রদগুলির মূল দ্রব হচ্ছে বিভিন্ন সালফেট; ক্ষারীয় হ্রদগুলিতে কার্বনেট; বোরাক্স হ্রদে বোরেট, ইত্যাদি।
সমুদ্র সমতল থেকে যেকোন উচ্চতাতেই হ্রদ গঠিত হতে পারে। সারা বিশ্বের হ্রদগুলি বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থিত। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক হ্রদ কানাডাতে অবস্থিত। উচ্চ অক্ষাংশের অঞ্চলে, বিশেষত পার্বত্য অঞ্চলে, যেখানে হিমবাহের ক্রিয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে প্রচুর হ্রদ দেখা যায়।
অনেক হ্রদ মাছ ও খনিজ পদার্থের উৎস হিসেবে, অবকাশ কেন্দ্র হিসেবে ও অন্যান্য দিক থেকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কাস্পিয়ান সাগর, লেক সুপিরিয়র ও লেক ভিক্টোরিয়া বিশ্বের বৃহত্তম তিনটি হ্রদ। এদের মধ্যে কাস্পিয়ান সাগর সবচেয়ে বড় ও এর আয়তন ৩,৭০,৯৯৮ বর্গ কিলোমিটার। মৃত সাগর বিশ্বের নিম্নতম হ্রদ; এটি সমুদ্র তলদেশের ৪০৮ মিটার নীচে অবস্থিত। বৈকাল হ্রদ বিশ্বের গভীরতম মিষ্টি পানির হ্রদ; এটি সর্বোচ্চ ১৬৩৭ মিটার পর্যন্ত গভীর।
আয়তন অনুযায়ী পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হ্রদসমূহের তালিকা:
১। কাস্পিয়ান সাগর : অবস্থান: আজারবাইজান-রাশিয়া-কাজাখস্তান-তুর্কমেনিস্তান-ইরান; ক্ষেত্রফল ৩,৭০,৯৯৮ বর্গ কি.মি.
২। মিশিগান-হিউরন : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ১১৭,৭০২ বর্গ কি.মি.
৩। সুপিরিয়র : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ৮২,৪১৪ বর্গ কি.মি.
৪। ভিক্টোরিয়া : অবস্থান: কেনিয়া-তানজানিয়া-উগান্ডা; ক্ষেত্রফল ৬৯,৪৮৫ বর্গ কি.মি.
৫। টাংগানিইকা : অবস্থান: তানজানিয়া-ডিআরসি-বুরুন্ডি-জাম্বিয়া; ক্ষেত্রফল ৩২,৮৯৩ বর্গ কি.মি.
৬। বৈকাল : অবস্থান: রাশিয়া; ক্ষেত্রফল ৩১,৫০০ বর্গ কি.মি.
৭। গ্রেট বিয়ার : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৩১,০৮০ বর্গ কি.মি.
৮। মালাবি : অবস্থান: মালাবি-মোজাম্বিক-তানজানিয়া; ক্ষেত্রফল ৩০,০৪৪ বর্গ কি.মি.
৯। গ্রেট স্লেভ : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ২৮,৯৩০ বর্গ কি.মি.
১০। এরি : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ২৫,৭১৯ বর্গ কি.মি.
১১। উইনিপেগ : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ২৩,৫৫৩ বর্গ কি.মি.
১২। ওন্টারিও : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ১৯,৪৭৭ বর্গ কি.মি.
১৩। বালখাশ : অবস্থান: কাজাখস্তান; ক্ষেত্রফল ১৮,৪২৮ বর্গ কি.মি.
১৪। লাডোগা : অবস্থান: রাশিয়া; ক্ষেত্রফল ১৮,১৩০ বর্গ কি.মি.
১৫। অরাল সাগর : অবস্থান: কাজাখস্তান-উজবেকিস্তান; ক্ষেত্রফল ১৭,১৬০ বর্গ কি.মি.
১৬। মারাকাইবো : অবস্থান: ভেনিজুয়েলা; ক্ষেত্রফল ১৩,৩০০ বর্গ কি.মি.
১৭। টনলে সেপ : অবস্থান: কম্বোডিয়া; ক্ষেত্রফল ১০,০০০ বর্গ কি.মি.
১৮। ওনেগা : অবস্থান: রাশিয়া; ক্ষেত্রফল ৯,৮৯১ বর্গ কি.মি.
১৯। টিটিকাকা : অবস্থান: বলিভিয়া-পেরু; ক্ষেত্রফল ৮,১৩৫ বর্গ কি.মি.
২০। নিকারাগুয়া হ্রদ : অবস্থান: নিকারাগুয়া; ক্ষেত্রফল ৮,০০১ বর্গ কি.মি.
২১। আথাবাস্কা : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৭,৯২০ বর্গ কি.মি.
২২। তুরকানা : অবস্থান: কেনিয়া; ক্ষেত্রফল ৬,৪০৫ বর্গ কি.মি.
২৩। রেইনডিয়ার হ্রদ : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৬,৩৩০ বর্গ কি.মি.
২৪। আয়ার : অবস্থান: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া; ক্ষেত্রফল ৬,২১৬ বর্গ কি.মি.
২৫। ইসসায়াক-কুল : অবস্থান: কিরগিজস্তান; ক্ষেত্রফল ৬,২০০ বর্গ কি.মি.
২৬। উরমিয়া : অবস্থান: ইরান; ক্ষেত্রফল ৬,০০১ বর্গ কি.মি.
২৭। ডংটিং : অবস্থান: চীন; ক্ষেত্রফল ৬,০০০ বর্গ কি.মি.
২৮। টরেন্স : অবস্থান: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া; ক্ষেত্রফল ৫,৬৯৮ বর্গ কি.মি.
২৯। ভেনার্ন : অবস্থান: সুইডেন; ক্ষেত্রফল ৫,৫৪৫ বর্গ কি.মি.
৩০। উইনিপেগোসিস : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৫,৪০৩ বর্গ কি.মি.
৩১। আলবার্ট : অবস্থান: উগান্ডা-জায়ার; ক্ষেত্রফল ৫,২৯৯ বর্গ কি.মি.
৩২। মেওরু : অবস্থান: ডিআর কঙ্গো-জাম্বিয়া; ক্ষেত্রফল ৫,১২০ বর্গ কি.মি.
৩৩। নেটটিলিং : অবস্থান: বাফিন দ্বীপ, কানাডা; ক্ষেত্রফল ৫,০৫১ বর্গ কি.মি.
৩৪। নিপিগন : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৪,৮৪৩ বর্গ কি.মি.
৩৫। ম্যানিটোবা : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৪,৭০৬ বর্গ কি.মি.
৩৬। গ্রেট সল্ট হ্রদ : অবস্থান: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ৪,৬৬২ বর্গ কি.মি.
মহাদেশ অনুযায়ী বৃহত্তম হ্রদসমূহ:
আফ্রিকা - ভিক্টোরিয়া হ্রদ, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম সুপেয় পানির হ্রদ।
অ্যান্টার্কটিকা - ভস্তক হ্রদ (তুষারাচ্ছাদিত)
এশিয়া - লবণাক্ত: কাস্পিয়ান সাগর; মিঠা: বৈকাল হ্রদ
অস্ট্রেলিয়া - লেক আয়রে (লবণাক্ত হ্রদ)
মধ্য আমেরিকা - নিকারাগুয়া হ্রদ
ইউরোপ - লাডোগা হ্রদ
উত্তর আমেরিকা - মিশিগান-হিউরন হ্রদ
দক্ষিণ আমেরিকা - ঈষৎ লোনা: মারাকাইবো হ্রদ ও সুপেয়: টিটিকাকা হ্রদ
উল্লেখযোগ্য কিছু হ্রদের বিশ্লেষণ:
কাস্পিয়ান সাগর
কাস্পিয়ান সাগর আয়তর অনুসারে পৃথিবীর বৃহত্তম আবদ্ধ জলাশয়। একে পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যার আয়তন একটি সম্পূর্ণ সাগরের সমান। এর পৃষ্ঠতলীয় ক্ষেত্রফল ৩৭১,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৪৩,২৪৪ বর্গ মাইল) এবং আয়তন ৭৮,২০০ ঘন কিলোমিটার (১৮,৭৬১ ঘন মাইল)। ধারণা করা হয় ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগর হয়ে কাস্পিয়ান সাগরের উৎপত্তি। এছাড়া কাস্পিয়ান সাগর ক্ষেত্রফল ও আয়তন উভয় দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্রদ, যদিও এর পানি লবণাক্ত।
লেক সুপিরিয়র
লেক সুপিরিয়র উত্তর আমেরিকার পাঁচটি বৃহত্তম লেক গুলোর একটি। এটির উত্তরে কানাডার প্রদেশ ওন্টারিও, এবং দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন ও মিশিগান। এটি আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাদু পানির হ্রদ, এবং একই সাথে এটি ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হ্রদ। প্রথম দুইটি হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর ও লেক মিশিগান-হিউরন। লেক হিউরন, সেন্ট মেরিস রিভার এবং সু লকস-এর মধ্য দিয়ে এটি শেষ হয়েছে।
লেক সুপিরিয়রের ক্ষেত্রফল ৩১,৮২০ বর্গ মাইল (৮২,৪১৩ বর্গ কি.মি.), যা পুরো সাউথ ক্যারোলাইনার থেকেও বড়। এছাড়াও এর গড় গভীরতা প্রায় ৪৮২ ফুট (১৪৭ মিটার), এবং সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ১,৩৩২ ফুট (৪০৬ মিটার)। লেক সুপিরিয়রের পানির পরিমাণ প্রায় ২,৯০০ ঘন মাইল (১২,১০০ ঘন কিলোমিটার)। লেক সুপিরিয়রের মোট পানি পুরো উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ভূ-খণ্ডকে ১ ফুট পানির নিচে ঢেকে দিতে পারে। এটি গ্রেট লেকসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়, গভীর, এবং শীতলতম হ্রদ। লেক সুপিরিয়রের আয়তন গ্রেট লেকসের বাকি তিনটি হ্রদের মোট আয়তনের চেয়েও বেশি, এবং লেক ইরির প্রায় তিনগুণ।
মারাকাইবো হ্রদ
মারাকাইবো হ্রদ উত্তর-পশ্চিম ভেনেজুয়েলার একটি অগভীর জলাশয়। ১৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হ্রদটি উত্তরে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তাবলাসো প্রণালীর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলা উপসাগরের সাথে সংযুক্ত। কাতাতুম্বো, সান্তা আনা, ও চামা নদীগুলি হ্রদটিতে মিষ্টি পানি বয়ে নিয়ে আনে। হ্রদটির উত্তরের অংশের পানি কিছুটা লোনা।
মারাকাইবো হ্রদটি মারাকাইবো এবং কাবিমাস বন্দরগুলির জন্য একটি প্রধান জাহাজপথ হিসেবে কাজ করে। হ্রদটির নীচে ও আশেপাশে মারাকাইবো বেসিনে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আছে, ফলে এটি ভেনেজুয়েলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। উত্তরে হ্রদের মুখের কাছে ৮.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৯৬২ সালে নির্মিত জেনারেল রাফায়েল উর্দানেতা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুগুলির একটি।
তিতিকাকা হ্রদ
তিতিকাকা পূর্ব-মধ্য দক্ষিণ আমেরিকার একটি হ্রদ। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ হ্রদ, সমুদ্রসমতল থেকে এর উচ্চতা ৩৮১০ মিটার। হ্রদটি দক্ষিণ-পূর্ব পেরু থেকে পশ্চিম বলিভিয়ায় বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ১৯৬ কিমি ও গড় প্রস্থ ৫৬ কিমি। হ্রদটির আশেপাশের এলাকায় প্রাচীন আদিবাসী আমেরিকানদের সভ্যতা ছিল। এগুলিতে ইনকা পর্বের অনেক স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।
আসাল হ্রদ
আসাল হ্রদ জিবুতিতে অবস্থিত একটি লবণাক্ত পানির হ্রদ। এটি সমুদ্র সমতলের ১৫৩ মিটার নীচে অবস্থিত এবং আফ্রিকার নিম্নতম বিন্দু। জিবুতির রাজধানী জিবুতি শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে আফ্রিকার সবচেয়ে শুষ্ক ও উষ্ণ অঞ্চলে 'আসাল হ্রদ অবস্থিত। পৃথিবীপৃষ্ঠের আগ্নেয় কর্মকাণ্ডের ফলে ভূ-পৃষ্ঠের উত্থান পতনের কারণে প্রায় ১০ থেকে ৪০ লক্ষ বছর আগে হ্রদটি বর্তমান রূপ পায়। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, আরও আগের একটি ভৌগোলিক যুগে হ্রদটি সমুদ্র সমতলে অবস্থিত ছিল। হ্রদের আশেপাশের এলাকায় এখনও ভূমির চ্যুতি ও আগ্নেয় কর্মকাণ্ড বিরাজমান। সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে এরকম ঘটনা ঘটেছিল। লবণাক্ত পানির হ্রদ বলে 'আসাল হ্রদের আশেপাশে কোন বড় লোকালয় বা অর্থনৈতিক কাজকর্ম গড়ে ওঠেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক দশকগুলিতে জিবুতিতে শক্তি সরবরাহের উদ্দেশ্যে হ্রদের আশেপাশে কিছু ভূ-উত্তাপ সংগ্রহকারী কূপ খনন করা হয়েছে। হ্রদ থেকে লবণ আহরণ করা হয়।
আয়ার হ্রদ
আয়ার হ্রদ অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি লবনাক্ত পানির হ্রদ। ঊষর অঞ্চলে অবস্থিত হ্রদটি প্রায়ই শুকনো থাকে। মূলত বর্ষাকালেই এতে পানি সঞ্চিত হয় এবং তখন এটি মধ্য অস্ট্রেলিয়ার এক বিরাট অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনস্থল হিসেবে কাজ করে। হ্রদটি উত্তর আয়ার হ্রদ ও নিম্ন আয়ার হ্রদের সমন্বয়ে গঠিত, এবং এই দুইটিকে গয়ডার চ্যানেল সংযুক্ত করেছে। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৯,৩০০ বর্গকিমি। এটি সমুদ্র সমতলের ১৬ মিটার নীচে অবস্থিত এবং এটিই অস্ট্রেলিয়ার নিম্নতম বিন্দু। হ্রদটিকে ব্রিটিশ পর্যটক এডওয়ার্ড জন আয়ারের নামে নামকরণ করা হয়েছে। আয়ার ১৮৪০ সালে হ্রদটি আবিষ্কার করেন।
ইর হ্রদ
ইর হ্রদ চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানে অবস্থিত সুন্দর একটি হ্রদ। এটি ইরহাই হ্রদ নামেও এটি পরিচিত। ইরহাই মানে "কান আকৃতির সাগর"।
ইর হ্রদ মালভূমিতে যেন মুক্তো; অপূর্ব এর নৈসর্গিক শোভা। হ্রদের বিখ্যাত জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ। যেমন জিনসুও, চিওয়েন ও য়ুজি। চারটি ভূখণ্ড যেগুলোর নাম ম্যালিয়ান, ম্যান্ডারিন, ডাক, কিংশা ও দ্যাগুয়াপেং। হ্রদের চারটি বাঁকও নয়ন জুড়ানো। এসব মোহিনী দৃশ্য ছাড়াও এখানে রয়েছে তিন বুরুজের ছায়া, তিন খিলানের পাথুরে সেতু ইত্যাদি। ইর হ্রদের চারপাশে রয়েছে অনেক নয়নাভিরাম দ্রষ্টব্যস্থল। যেমন ইরহাই উদ্যান, জি-ঝাউ মধ্যসাগর প্যাভিলিয়ন, স্বর্গীয় আয়না প্যাভিলিয়ন, ছোট পুতুও পাহাড় ইত্যাদি। স্থানীয় বাই জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যের উৎস এ হ্রদ। বাইরা প্রশিক্ষিত পাখির (করমোর্যান্টস) সাহায্যে মাছ ধরে। এ পাখি হ্রদ থেকে মাছ ধরে জেলেদের কাছে নিয়ে আসে।
ভিক্টোরিয়া হ্রদ
ভিক্টোরিয়া হ্রদ আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম হ্রদ। ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশুদ্ধ পানির আধার। তবে গভীরতা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এটি পানির আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বে সপ্তম বৃহত্তম। তানজানিয়া, কেনিয়া এবং উগান্ডার মধ্যবর্তী একটি সুউচ্চ মালভূমির উপর এটি অবস্থিত। এ হ্রদে প্রায় ৩০০০ টি ছোট-বড় দ্বীপ রয়েছে, যার অনেকগুলোতেই মানব বসতি রয়েছে। নীল নদ এর দীর্ঘতম উৎস সাদা নীলের উৎপত্তি এ হ্রদ থেকেই।
ভিক্টোরিয়া তুলনামূলকভাবে নবীন একটি হ্রদ। বর্তমান জলাধারটি সৃষ্টি হয় ৪,০০,০০০ বছর পূর্বে। ১৭,৩০০ বছর পূর্বে এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। ১৪,৭০০ বছর পূর্বে এটি পুণরায় ভরে উঠে। ভিক্টোরিয়া হ্রদের কথা প্রথম শোনা যায় আরব বণিকদের বিবরণীতে। সোনা, হাতির দাঁতের খোঁজে আরবরা আফ্রিকার অভ্যন্তরে নৌপথগুলো ব্যবহার করতো। ১১৬০ সালের একটি আরব মানচিত্রে ভিক্টোরিয়া হ্রদকে সুস্পষ্টভাবে সঠিক অবস্থানসহ চিহ্নিত করা হয়। ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী জন হানিং স্পেক মধ্য আফ্রিকায় অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সর্বপ্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ভিক্টোরিয়া হ্রদের তীরে উপস্থিত হন। বিশাল জলরাশি দেখে তার মনে হয়, এটিই নীল নদের উৎস। মহারাণী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে তিনি এটির নামকরণ করেন।
ব্রিটিশ মিশনারী ও অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন স্পেকের দাবীর সত্যতা যাচাই করতে ব্যর্থ হন। তিনি আরও পশ্চিমে কঙ্গো নদীর কাছে পৌঁছান। অবশেষে আমেরিকান আবিষ্কারক হেনরি মরটন স্ট্যানলি এর সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হন।
মৃত সাগর
ডেড সি (মৃত সাগর : সি অব সল্ট) এর পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল, পূর্বে জর্ডান অবস্থিত। জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত পানির প্রাকৃতিক আধার। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার (১,৩৭৮ ফিট) নিচে এটি পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি। এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ এবং এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত।
প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগরএর পানিতে বারবার প্লাবিত হত ।এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয় । উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত ছিল। প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরএর মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে । ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়।
ইসলাম ধর্মে এ অঞ্চলকে হযরত লূত (আঃ) এর অনুসারীদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমকামের দরুণ এই জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতারা ভূমি উল্টে এ জাতিটিকে মাটি চাপা দেন। আল-ক্বুরআনে সূরা রুম এ ঘটনা উল্লেখ করা আছে। এর দরুন এ এলাকা কে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু এলাকা বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
খ্রিস্ট ধর্ম মতে, দুর্গম এ অঞ্চল বাইজেন্টাইন শাসকদের আমল থেকে গ্রিক অর্থোডক্স সন্নাসীদের আকৃষ্ট করতে শুরু করে ।ওয়াদি কেল্টে অবস্থিত সেইন্ট জর্জ গীর্জা এবং জুদাই মরুভূমিতে মারসাবা মন্দির খ্রিস্টানদের তীর্থস্থান
ইহূদী ধর্মে
মৃত সাগরের উত্তর তীরবর্তী "জেরিকো" শহরকে ইহূদী ধর্মগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। বুক অব জেনেসিস এ উল্লেখিত নবী আব্রাহামের সময়কালে ধ্বংসপ্রাপ্ত সোডম এবং গোমোরা শহর এবং তিনটি "সমতল ভুমির শহর" আদমাহ , জেবোইম এবং জোয়ার শহরের অবস্থান সম্ভবত মৃত সাগরের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে।
মৃত সাগর সম্পর্কে কিছু ভবিষদ্বাণী রয়েছে। বাইবেলে মৃত সাগরের লবণাক্ততা বিলুপ্ত হওয়ার সম্পর্কে ভবিষদ্বাণী রয়েছে। এজেকেইল এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে "মৃত সাগরের পানি স্বাদু হয়ে যাবে, এমনকি মাছের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে" । জেকরিয়াহ তে উল্লেখ আছে "জেরুজালেমের পানি দু'ভাগে ভাগ হয়ে যাবে, একভাগ জমা হবে পূর্ব সাগরে (মৃত সাগর)", অন্য ভাগ জমা হবে পশ্চিম সাগরে (ভূমধ্যসাগর)
বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু হাইওয়ে "হাইওয়ে ৯০" মৃত সাগরের পাশে অবস্থিত। সমুদ্র সমতল থেকে ৩৯৩ মিটার নিচে অবস্থিত এ হাইওয়েটি ইসারায়েল এবং পশ্চিম তীরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। ব্রিটিশরা উত্তর উপকূলে গড়ে তুলেছিল "সোডম এবং গোমোরাহ" নামের একটি গলফ কোর্স। ইসরায়েলের আরাদ এর নিকটবর্তী অঞ্চলে প্রধান হোটেলগুলোর নির্মাণ শুরু হয় বিশ শতকের ৬০ এর দশক থেকে। সমসাময়িককালে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের ফলে জর্ডান উপকূলও ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
বৈকাল হ্রদ
বৈকাল হ্রদ রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি সুপেয় পানির হ্রদ। এর উত্তর-পশ্চিম অংশ ইর্কুৎস্ক ওবলাস্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বুরিয়াত প্রজাতন্ত্রে পড়েছে। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। এর সর্বাধিক গভীরতা ১,৬৩৭ মিটার। তিনশোরও বেশি নদীর পানি এসে এই হ্রদে পড়েছে। কেবল মাত্র নিম্ন আঙ্গারা নদীর মাধ্যমে হ্রদের পানি বাইরে নিষ্কাশিত হয়। প্রকৃতির এক আশ্চর্য বিস্ময় এই হ্রদটি মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ এবং এর আশেপাশের অরণ্য অঞ্চল জীববৈচিত্রের এক বিপুল প্রাকৃতিক সম্ভার। বৈকাল হ্রদ এলাকায় ১৭০০-রও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বৈকাল হ্রদের পানি অত্যন্ত অক্সিজেনসমৃদ্ধ; হ্রদের পাঁচ হাজার ফুট গভীরেও জলজ প্রাণীর বাস আছে। ১৯৯৬ সালে এটিকে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করা হয়। বৈকাল হ্রদ "সাইবেরিয়ার নীল নয়ন" বা "সাইবেরিয়ার মুক্তা" নামে পরিচিত। সঞ্চিত পানির আয়তন অনুযায়ী এটি বিশ্বের বৃহত্তম মিষ্টি পানির হ্রদ। এখানে মিষ্টি পানির পরিমাণ উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেক্সের সবগুলি হ্রদে সঞ্চিত মিষ্টি পানির চেয়ে বেশি। বৈকাল হ্রদ প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পুরনো; এটিই বিশ্বের প্রাচীনতম হ্রদ।
ছিংহাই হ্রদ
ছিংহাই হ্রদ চীনের সবচেয়ে সুন্দর হ্রদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। তা পাঁচটি বড় হ্রদের মধ্যে প্রথম এবং চীনের বৃহত্তম অভ্যন্তরমুখী লবনাক্ত পানির হ্রদ। এর আয়তন অনেক বড়, প্রায় ৪ হাজার ৫শ' বর্গকিলোমিটার। এর আয়তন ছিংহাই প্রদেশের রাজধানী সিনিং শহরের প্রায় অর্ধেক। এখনকার আবহাওয়ায় ছিংহাই হ্রদের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত মোট ৭ ধরনের রঙ আছে। সুতরাং কাছাকাছি তিব্বত জাতির অধিবাসীরা তাকে সাত রঙের হ্রদ বলেন। তাদের জন্য এটা একটি পবিত্র হ্রদ।
রবীন্দ্র সরোবর
রবীন্দ্র সরোবর (পূর্বনাম ঢাকুরিয়া লেক) দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। লোকমুখে এটি "দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস" হিসেবে আখ্যায়িত। ঢাকুরিয়া লেক নামটি এই হ্রদসংলগ্ন অঞ্চলটিরও পরিচায়ক।
১৯২০-এর দশকের প্রথম দিকে কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিতকলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি) ১৯২ একর জলাজঙ্গলময় জমি অধিগ্রহণ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলটি বসতিযোগ্য করে তোলা – রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, আশপাশের জমিকে সমাতল করা এবং হ্রদ ও উদ্যান গড়ে তোলা। এ সময়ই একটি বৃহদাকার হ্রদ খনন করার কাজ শুরু হয়। এই হ্রদটিই পরিচিত হয় ঢাকুরিয়া লেক নামে। ১৯৫৮ সালের মে মাসে কেআইটি কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক তথা নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নামে এই হ্রদটির নামকরণ করেন রবীন্দ্র সরোবর।
কাপ্তাই হ্রদ
কাপ্তাই হ্রদ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় এবং এ হ্রদের সৃষ্টি হয়। মূলত পানি বিদু্ৎ উৎপাদনের জন্য এই বাঁধ নির্মিত হয়।
বগাকাইন হ্রদ
বগাকাইন হ্রদ বা বগা হ্রদ বা স্থানীয় নামে বগা লেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগাকাইন হ্রদের অবস্থান কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২,০০০ ফুট (কিওক্রাডাং-এর উচ্চতা ৩,১৭২ ফুট)। ফানেল বা চোঙা আকৃতির আরেকটি ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা লেকের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো।
ফয়েজ লেক
ফয়েজ লেক চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। এটি ১৯২৪ সালে খনন করা হয়; রেল প্রকৌশলী ফয়-এর নামে লেকটির নামকরণ করা হয়।
পৃথিবীর ব্যতিক্রমী হ্রদ - কঙ্কাল হ্রদ
এটি একটি হিমবাহ হ্রদ। এটির অবস্থান ভারতের উত্তরখণ্ডে। হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬৪৯৯ ফুট উপরে অবস্থিত। এই জনবিরল অঞ্চল কেন আলোচনার শীর্ষে চলে এল তা এক করুণ কাহিনী। এখানে ৫০০এর মত মানুষের কংকাল পাওয়া গিয়েছে। এই কারনে রূপকুণ্ডু হ্রদের নাম হয়ে গেছে কংকাল হ্রদ।
১৯৪২ সালে নন্দা দেবী রিসার্ভ পার্কের রেঞ্জার এইচ কে মাধওয়াল এই কঙ্কালগুলো প্রথম আবিষ্কার করেন। যদিও অনেকে বলেন উনবিংশ শতাব্দী থেকে মানুষ জানত এই কংকালগুলোর কথা। এই অঞ্চলের নিচের জনপদ গুলোতে লোককাহিনী প্রচলিত আছে যে, প্রাচীনকালে কৌনুজের রাজা জাসয়াল এখানে আসেন নন্দ দেবীর উপাসনা করতে। কিন্তু সাথে নিয়ে আসেন বাইজী। এতে এই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট হয়। তাদের উপর অভিশাপ বর্ষিত হয়। তাদের উপর শিলাবৃষ্টি হয়। এবং তারা হ্রদের ভিতর নিক্ষিপ্ত হয়।
পৃথিবীর ব্যতিক্রমী হ্রদ - লাভা হ্রদ
আফ্রিকার পাহাড়ি অঞ্চলের ঠিক কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে একটি খাদ, যার নাম Nyiragongo হ্রদ। Nyiragongo বিশেষ একটি যায়গা, কারণ এটি একটি ফুটন্ত লাভার হ্রদ। এটিই পৃথিবীর বৃহত্তম লাভা হ্রদ।
বিঃদ্র্রঃ পোস্টটি কোন পীর বাবা, দয়াল বাবা, চিন্ডিফাদার বা চিন্ডিমাদার কর্তৃক সার্টিফাইড নয়। তথ্য ও উপাত্ত - ইউকিপিডিয়া এবং গুগল মামু'র থেকে নেয়া হয়েছে।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: Plusius Koshius De Priyous
০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
থ্যাঙ্কু।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখন, ঘটনা হল,
এত সুন্দর পোস্ট আবার সার্টিফাইড হতে হবে কেন?
এই কম্পোজিশনটা কি হাওয়া থেকে ভেসে এসেছে?
ভাই থাকল। এ ধরনের পোস্টগুলো পোস্ট নয়, একটা কালেকশন অভ জুয়েলস।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: সবাইকে নয়, কিছু মানুষকে সবসময় জবাবদিহিতার ভেতরেই থাকতে হয়!
মনে হচ্ছে মজায় মজায় মজার পৃথিবীটা বুঝি এবার চিনেই ফেলবো!
ধন্যবাদ ভাই।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৮
েরজা , বলেছেন:
লগইন করায়ে ছাড়লেন রে ভাই ।
এত পরিশ্রম করে এ রকম একটি তথ্যবহুল পোস্ট দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধণ্যবাদ ।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকবেন।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৬
আবু সালেহ বলেছেন: সুন্দর দেখতে দেখতে চোখটা সয়ে যাচ্ছিলো তখন শেষ বেলায় এই দুইটা কি দিলেন....
একটা কঙ্কাল হ্রদ আরেকটা লাভা হ্রদ......ভয় ধরাইয়া দিছেন......
+++++
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: রোজার দিন তো - বুঝতে হবে।
বেশি বেশি সুন্দর দেখতে দেখতেই কবরে কঙ্কাল, তারপর দোজখে এর চেয়ে বেশি আগুনে পুড়ানো হবে।
ধন্যবাদ ভাই।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অসামান্য ক্লাসিক পোষ্ট। খুব ভালো খুব।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম বস। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অসাধারণ। হ্রদের উপর একটা পিএইচডি কোর্স করে ফেললাম।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
যে হ্রদগুলোর বিবরণ বাকি আছে সেগুলো নিয়ে থিসিস পেপার ইমেইলে জমা দিলে আপনাকে পিএইচডির সার্টিফিকেট প্রদান করা হইবে।
ধন্যবাদ ভাই।
৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৮
এ্যাপেলটন বলেছেন: ....আপনার পরিশ্রম সাথর্্যক হোক !!!!.
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
এই যে অনেক নতুন কিছু শিখছি, সার্থকতাটা এখানেই বেশি।
৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইনকারা তিতিকাকা হ্রদের উপর খড়ের তৈরি স্থাপত্য বানায় শুনতাম, কখনো অনুভব করিনি এত সুন্দর নৌকা বানানো যায় স্রেফ খড় দিয়ে।
ইর হ্রদের পাশে চৈনিকরা ছোট ছোট ডিঙি নিয়ে মাছ ধরে বিশাল পানকৌড়ি পাখির সহায়তায়। আরো মজার একটা তথ্য আছে এই পোষা শিকারী পানকৌড়িগুলোকে নিয়ে। এরা প্রতি ছটা মাছ ধরলে একটা খেতে পায়। এরা করে কী, ছটা ধরা হয়ে গেলে আর পানিতে যায় না, দাড়িয়ে থাকে। যদি ওর প্রভু ভুলে গিয়ে থাকে, তাহলে মনে করিয়ে দেয়। মানে, এই পাখিরা গুণতে জানে।
ডেড সি'র মজাই আলাদা, চাইলেও মানুষ পানিতে ডুবে যেতে পারবে না। একটু পর আবার ভূস করে ভেসে উঠবে।
রবীন্দ্রসরোবরের বিষয়টাই জানা ছিল না।
আর কাপ্তাই হ্রদ কিন্তু আমাদের বিশেষ করে চাকমা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রলয়ঙ্করী কান্না বয়ে এনেছিল। আয়ুব খা সবকিছু জোরজবরদস্তি করতে জানত। তখন, চাকমাদের রাজধানী পুরোটাই তলিয়ে যায় কৃত্রিম লেকের জলরাশির তলায়। একটা জাতির রাজধানী পানির তলায় তলিয়ে দেয়া, মুখের কথা?
এই ধাক্কা কাটিয়ে চাকমাদের স্বাবলম্বী হতে অনেক অনেক লম্বা সময় লেগেছে।
তবে এই লেক না হলে বাংলাদেশ যে কী পরিমাণ পিছিয়ে থাকত তা কল্পনারও অতীত। লেকটার স্বাদুপানিমাছ নাকি চরম টেস্টি। খাবেন নাকি?
বগার ছবি দেখে নতুন করে মুগ্ধ হলাম। যাওয়া হয়নি এখনো।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আমি তো ভেবেছিলাম ইনকারা ঐ এলাকা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন কিছুটা জানলাম তাদের সম্পর্কে। ইনকাদের কাজকর্ম দেখে অবাক হচ্ছি।
চৈনিকদের দারুণ তথ্য দিলেন তো, ভাল লাগলো। ঐ রকম একটা পাখি আমার দরকার।
পাকিস্তানিরা আসলে এদেশের মানুষকে মনুষই ভাবতো না।
আপনি কিন্তু আমাকে অনেক লোভ দেখাচ্ছেন। সাবধান করে দিচ্ছি, বেশি লোভ দেখালে কিন্তু এখনই রওনা দিবো। :!>
ব্লগে বগার অনেক ছবি আছে। বেঁচে একদিন নিশ্চয়ই যাবো।
আরো কোন মজার তথ্য জানা থাকলে বলবেন কিন্তু।
১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৮
সাজিদ ঢাকা বলেছেন: হ্রদ ময় পৃথিবী , , , , এত গুলার মধ্যে মাত্র ২ টা দেখসি , , বগা আর ফয়েজ , , ,
দেখার সম্ভাবনা আছে কাপ্তাই আর রবিন্দ্র , , আর অন্য গুলান যদি কপালে কুলায় তাইলে বোনাস
৯-১০ এ থাকতে হ্রদের প্রকার ভেদ পড়ছিলাম , , মনে পইড়া গেল ছুট্টু বেলার কথা , ,
উম হ্রদ দেখতে হইলে কানাডা যাইতে হবে , , , কানাডা - দ্যা ল্যান্ড অফ হ্রদ
০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৮
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ক্যান, ধানমন্ডি লেক দেখো নাই?
অনলাইনে নিজের চোখ দিয়ে দেখতে থাকো, মরার আগে সব দেখে যেতে পারবা। লাগলে গুগল আর্থ ইউজ করো, সব এক্কেরে ফকফকা।
মনে মনে কানে কানে তাইলে কানাডা
আর দুইডা বছর দেখমু, ভাল কিছু না হইলে আইতাছি। কিন্তু সমস্যা হইতেছে সবার নজর এখন কানাডায়।
ধন্যবাদ সাজিদ।
১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১০
মরে যওয়া স্বপ্ন বলেছেন: ভালো জিনিস।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৭
মুনসী১৬১২ বলেছেন: ওরে +++++++++++++++++++++++
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৭
মেহেরুন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টগুলো সুন্দর, সময় করে পড়ে আসবো।
আপনিও ভাল থাকবেন, শুভকামনা।
১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৭
এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: আপনি এভাবে প্রতিটা বিষয় বিস্তারিত লিখতে থাকলে ,আমরা প্রকৃত পক্ষেই অনেক কিছু জানবো।
তথ্যবহুল পোষ্ট।
আপনার পরিশ্রম স্বার্থক হোক, ভাল থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: পরিশ্রম সার্থক ফারুক ভাই।
সময় পেলে নিশ্চয়ই অন্য বিষয় নিয়ে পোস্ট দিব।
পৃথিবীর মাত্রচিত্রটা মুখস্ত করার চেষ্টায় আছি তবে তা খেলার ছলে। সাথে থাকুন, মানচিত্রগুলো খেয়াল করুন আগের পোস্ট থেকেও।
আপনিও ভাল থাকবেন ভাই।
অশেষ ধন্যবাদ।
১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৬
নীল রংঙা আকাশ বলেছেন: simply awesome...++++
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: থ্যাংকস এ্যা লট ব্রো
ভাল থাকুন।
১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৭
আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: দারুন
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৮
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
অচল স্বপ্ন বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট.....।
অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনার বকুল ফুলের প্রো পিকটা ভাল লাগছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
শুভ কামনা।
১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৮
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: awesome post.wow........................Dhanmondi lake Er Ekta O Chobi nai keno???????????
post er pichone asombhob porishrom ter pawa jachche ........................
++++++++++++++++++++++++++++++++
post priyo te.
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ঐতিহ্যবাহী ধানমন্ডি লেক আসলেই দেয়া উচিত ছিল। ধানমন্ডি লেক -
প্লাসের রেলগাড়ির জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকবেন।
১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫
রুদ্রাক্ষী বলেছেন:
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ
২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাইরে ভাই এই পোষ্টে তো মনে হয় বহুত কষ্ট হইছে।
০২ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: হ রে ভাই একটু কষ্ট তো হইছে। এই একটা পোস্ট না দিয়ে ভেঙে ভেঙে দিলে ৪-৫টা পোস্ট সহজেই আরামে দেয়া যেতো। যাই হোক, মেগা-গিগা পোস্টের মজাই আলাদা।
অনেক ধন্যবাদ রাতুল ভাই।
ভাল থাকবেন।
২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪১
নীলঞ্জন বলেছেন: জ্ঞান ও বিনোদন - দু'টোই লাভ করলাম ফারজুল ভাই।
পোস্টে ++++++++
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৫
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৫
রবি_জল বলেছেন: পোস্টে ++++++++
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:১৪
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: ভাল লেগেছে অনেক কিছু জানলাম।
++
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩১
তামিম ইবনে আমান বলেছেন:
বরাবরের মত ক্লাসিক অসাধারন পোস্ট। একটি প্লাস এই পোস্টের জন্য কম হয়ে যায়।
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
একটা প্লাসই যথেষ্ট। সময় করে দিয়ে যায়েন।
২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৪
শিপু ভাই বলেছেন:
এইসব আবার কইত্থ্যে চুরি করলেন???!!!??? আফনের নামে ৪২০ ধারায় মামলা দিমু কইলাম!!!
সেইরকম পোস্ট ব্রো!!!
++++++++++++++++
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
লোকটা মানসিকভাবে অসুস্থ। তার পড়া পানির গুণে অনেকে দেখি গেরুয়া শাড়ি পড়ছে।
প্লাস পড়ে নাই, আবার আইসা দিয়া যায়েন।
২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৭
জুন বলেছেন:
অনেক ভালোলাগলো পোষ্ট আরেফিন
+
ভারতের উড়িষ্যার চিল্কা হৃদের কথা লিখলেনা !!
১.১০০ স্ক.কিমি জায়গা জুড়ে পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম লেগুন চিল্কা।
বেশ কয়েকবছর আগে আমরা দুবোন আর দুই খালা মিলে গিয়েছিলাম পুরী ভুবনেশ্বর সাথে চিল্কা বেড়াতে। ছৈ আলা সাধারন নৌকায় করে বিশাল সাগরের মত সেই লেকের মাঝখানে এক মন্দির দেখাতে নিয়ে গেল গাইড আমাদের। আসার সময় আরেক নৌকার ইন্জিন নষ্ট।আমাদের নৌকার সাথে বেধে দিল। সে কি ধাক্কা এক নৌকার সাথে আরেকটার। ভেংগে পরার অবস্থা। অনেক ভয় লেগেছিল সাতার না জানা আমাদের। আর জানলেই বা কি সেই বিশাল সাগরে
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জুনাপু।
চিল্কার কথা এত পড়েছি, শুনেছি অথচ দেয়া হয়নি এখানে - অপূর্ণতা এবার বুঝতে পারলাম। ভয়ের অভিজ্ঞতা শুনে ভালই লাগলো। ঐ বিশাল সাগরে যাওয়ার সুযোগ হলে লাইফ জ্যাকেট নিয়েই যাবো, নয়তো একটা মোটাসোটা কলাগাছ অন্তত নিতেই হবে।
এবার আপুকে চিল্কার কথা ভালভাবে মনে করিয়ে দিতে চাই, দেখি পারি কিনা -
Chilka Lake is a brackish water lagoon, spread over the Puri, Khurda and Ganjam districts of Orissa state on the east coast of India, at the mouth of the Daya River, flowing into the Bay of Bengal, covering an area of over 1,100 sq. km. It is the largest coastal lagoon in India and the second largest lagoon in the World. It is the largest wintering ground for migratory birds on the Indian sub-continent. The lake is home to a number of threatened species of plants and animals.[5][6] The lake is an ecosystem with large fishery resources. It sustains more than 150,000 fisher–folk living in 132 villages on the shore and islands. The lagoon hosts over 160 species of birds in the peak migratory season. Birds from as far as the Caspian Sea, Lake Baikal, Aral Sea and other remote parts of Russia, Kirghiz steppes of Mongolia, Central and southeast Asia, Ladakh and Himalayas come here. These birds travel great distances; migratory birds probably follow much longer routes than the straight lines, possibly up to 12,000 km, to reach Chilika Lake. Geological evidence indicates that Chilika Lake was part of the Bay of Bengal during the later stages of the Pleistocene period (1.8 million to 10,000 years BP).
চিল্কায় সকাল - বুদ্ধদেব বসু
কী ভালো আমার লাগল আজ এই সকালবেলায়
কেমন ক'রে বলি।
কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর,
যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান
দিগন্ত থেকে দিগন্তে :
কী ভালো আমার লাগল এই আকাশের দিকে তাকিয়ে;
চারদিক সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা, কুয়াশায় ধোঁয়াচে,
মাঝখানে চিল্কা উঠছে ঝিলকিয়ে।
তুমি কাছে এলে, একটু বসলে, তারপর গেলে ওদিকে,
ইস্টেশনে গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে, তা-ই দেখতে।
গাড়ি চ'লে গেল। - কী ভালো তোমাকে বাসি,
কেমন ক'রে বলি।
আকাশে সূর্যের বন্যা, তাকানো যায় না।
গোরুগুলো একমনে ঘাস ছিঁড়ছে, কী শান্ত।
- তুমি কি কখনো ভেবেছিলে এই হ্রদের ধারে এসে আমরা পাব
যা এতদিন পাইনি?
রুপোলি জল শুয়ে-শুয়ে স্বপ্ন দেখছে, সমস্ত আকাশ
নীলের স্রোতে ঝ'রে পড়ছে তার বুকের উপর
সূর্যের চুম্বনে। - এখানে জ্ব'লে উঠবে অপরূপ ইন্দ্রধনু
তোমার আর আমার রক্তের সমুদ্রকে ঘিরে
কখনো কি ভেবেছিলে?
কাল চিল্কায় নৌকোয় যেতে-যেতে আমরা দেখেছিলাম
দুটো প্রজাপতি কত দুর থেকে উড়ে আসছে
জলের উপর দিয়ে। - কী দুঃসাহস ! তুমি হেসেছিলে, আর আমার
কী ভালো লেগেছিল
তোমার সেই উজ্জ্বল অপরূপ সুখ। দ্যাখো, দ্যাখো,
কেমন নীল এই আকাশ। - আর তোমার চোখে
কাঁপছে নীল এই আকাশ, কত মৃত্যু, কত নতুন জন্ম
কেমন ক'রে বলি।
ভাল থাকবেন আপু
২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪২
মাক্স বলেছেন: +++
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৫
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭
শিপু ভাই বলেছেন:
পেজ লোড না হইলে + দিমু ক্যাম্নে।
ঐগুলাতো অন্তর থিকা দিছি।
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১১
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অন্তরেততন দেওনরে ভালা পাই না, অহনতে মন থাইকা দিবাইন।
:!>
রোদের মধ্যে ঘুরাঘুরি করে আজ শরীর চলতেছে না
ভালা থাহুইনজে।
২৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮
জুন বলেছেন: ৩নং ছবির মন্দিরটায় গিয়েছিলাম ৪নং ছবির মত দেখতে নৌকায় চড়ে ।
বুঝো কি অবস্থা :-&
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: মন্দির আর নৌকার ছবি দেখে আমি নিজেই ভয় পেয়েছি। সাঁতার জানলেও লাভ হবে না।
উড়িষ্যার ঐ অঞ্চলটি তেমন উন্নত মনে হচ্ছে না। আমাদের দেশের নৌকাগুলো ঐগুলোর চেয়ে অনেক ভাল।
৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
মুদ্দাকির বলেছেন: দারুন দারুন দারুন +++++++
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৩১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:১২
বেঈমান আমি বলেছেন: পোস্ট আরেকটু ছোটো করা যায়না? +++++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:২৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
টপিকটাই যে বড়! এখন মাসে দুই তিনটা পোস্ট দেই - একটু বড় না হলে কি আর চলে। এই মাসে ব্যস্ততা অনেক, আর পোস্ট দেয়ার সময়ও হয়তো পাবো না। চেষ্টা করবো ছোট ছোট করে বেশি পোস্ট দিতে।
ধন্যবাদ ব্রো। ভাল থাইকেন, সেফ থাইকেন।
৩২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৫
শোশমিতা বলেছেন: দারুণ এবং পরিশ্রমি পোষ্ট।
অনেক অনেক ভালো লাগলো + +
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শুভ কামনা সবসময়......।
৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৩০
পুরান ঢাকাইয়া বলেছেন: দারুন +++++++ফারজুল আরেফিন
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ঢাকাইয়া ভাষা শুনতে চাই।
৩৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩১
মিথী_মারজান বলেছেন: অ--নে---ক সুন্দর!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিথী।
৩৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৩৭
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো,দেখা হলো চমৎকার সব ছবি,যথেষ্ট পরিশ্রমী পোস্ট।
ভালো লাগা আরেফিন।
ভালো থাকা হোক
০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রিয় মানুষদের এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য একটু কষ্টে কিছু যায় আসে না।
দোয়া করবেন ভাইয়া।
আপনিও ভাল থাকুন।
৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৯
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: ফিরে এসে পেলাস দিয়ে গেলাম
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ফান করে বলেছি তো।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০২
নক্ষত্রচারী বলেছেন: ভৌগোলিক স্বাদ পাইলাম, তাও আবার দ্বীপ নিয়ে ।
সম্ভ্রান্ত পোষ্ট +++++++++++++
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৮
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনার মুখে ভালই রুচি আছে মনে হচ্ছে।
কিন্তু দ্বীপের পোস্ট তো অন্যটা, এটা হ্রদের পোস্ট। :!>
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: চিল্কা দেখেতো আমি ভেসে গেলাম ভাই...
আমি শেষ, আমি নাই।
বাংলা বিহার উড়িষ্যার হে মহান অধিপতি,
আর একটু হলে, আপনি শাসন টিকিয়ে রাখতে পারলেই তো-
চিল্কাও আমাদের হত!
না-না, সিরিয়াসলি! এইটা সমুদ্রস্য সমুদ্র!
১০ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:২৮
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ঠিক আছে আপনাকে আরেকটু শেষ করে ভাসিয়ে দিই -
আমাদের অনেক আছে, তবুও তো ক্ষুধার্ত। আরো বেশি কিছু থাকলেও কোন লাভ হতো না হয়তো.....।
৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৬
যাযাবর৮১ বলেছেন: +++++++++++
প্রিয়তে নিলাম
শুভকামনা দিলাম
দিলাম আমি দুইটা পোস্টু
পড়লে পাবেন অনেক টেস্টু
১০ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক দিন পর এলেন
ধন্যবাদ সহকারে শুভেচ্ছা নিয়েন,
একখানা পড়েছি, প্লাস খানাও দিয়েছি,
আরেক খানায় ভিমরতি
বিবেকের মাঝে দেখেছি জোচ্চুরি।
৪০| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:০০
জর্জিস বলেছেন: http://i.imgur.com/4lmqS.jpg
লেক ভিক্টোরিয়া (ফেব্রুয়ারী,২০১২)
http://i.imgur.com/B2W3L.jpg
লেক টাংগানিইকা (জুন ২০১২)
১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
৪১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:০৩
জর্জিস বলেছেন:
লেক ভিক্টোরিয়া (ফেব্রুয়ারী,২০১২)
লেক টাংগানিইকা (জুন ২০১২)
১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জর্জিস ভাই।
সুন্দর ছবিগুলো
৪২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: valo laglo
১১ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
তিনটি হাসি তিন জনের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৪৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:১৪
যাযাবর৮১ বলেছেন:
নতুন আর এক পোস্টু
পাবেন আপনি টেস্টু
না আসলে পাবো কষ্টু
যাযাবরের শ্রম নষ্টু।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪১
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: দারুণ কবিতার পোস্টু
পাইলাম অনেক টেস্টু
থ্যাঙ্কু, থ্যাঙ্কু
৪৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৭
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: ওরে.........কি সুন্দর পোষ্ট! ইচ্ছে করে ছুটে যাই!.............অপূর্ব।..............কৃতজ্ঞতা ভাইয়া।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
যেতে চাই - পারিনা। তাই ভার্চুয়ালি ঘুরাঘুরি। :!>
ভাল থাকবেন।
৪৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তা ঠিক,
চাওয়ার শেষ নেই। এটা মানব জীবনের সবচে বড় ট্রাজেডি নয়, একমাত্র ট্রাজেডি।
এই কী কিউট সব ভয়ানক ডলফিনের ছবি অ্যাড করেছেন, ওরাও কি চিল্কাবাসী? কষ্ট পাওয়া বুকে শেল মারলেন আরকী!
১৩ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
হুমম, একমাত্র ট্রাজেডি।
জ্বী জনাব, ওরাও চিল্কাবাসী। খবরে পড়লাম ওদের সংখ্যা নাকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘুরে আসুন তাড়াতাড়ি।
৪৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৯
শাহেদ খান বলেছেন: অনেক ধৈর্য আপনার ! আমার তো একটানে এতটা পড়ার ধৈর্যও থাকে না, আর আপনি পোস্ট করে যাচ্ছেন স্বচ্ছন্দে!
অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন। পোস্টগুলো খুব সমৃদ্ধ হচ্ছে ! শুভকামনা সবসময়ের জন্যে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ শাহেদ ভাই।
খুব খুশি হলাম এমন অনুপ্রেরণায়।
ভাল থাকবেন।
ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো।
৪৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এত তথ্য ও ছবি একজায়গায় জড়ো করা চাট্টিখানি কথা নয়, আমিতো পড়তে পড়তেই হাঁপিয়ে উঠছিলাম প্রায়, আর তুমি অসীম ধৈর্য্য নিয়ে সবাইকে জানানোর আগ্রহে পোস্ট করেছো।
কখনও বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে সার্টিফিকেট প্রদানকারী (!) কারও বাকা কথায় মাথা গরম করে এই ধরনের তথ্যবহুল পোস্ট ডিলিট করে দিও না.......এডভান্স বলে রাখলাম। ভাল থেকো........
২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: পোস্টটি তৈরী করতে আমার খুব ভাল লেগেছে। কতো যে নতুন বিষয় জানা হল তার হিসেব নেই। এটা তো সত্য - আপনাদের স্নেহ-ভালবাসা না পেলে অনেক আগেই ব্লগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতাম।
বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবেই। সামুতে ঐ নোংরা মানুষগুলো আছে বলেই তো ভাল মানুষগুলোর অস্তিত্ব বুঝতে পারি। পোস্টগুলো মুছবো না কিছুতেই। এটাকে স্ট্যান্ডবাই রেখে নতুন নিকের কথা ভাবছি অবাধ ব্লগিং এর জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনিও ভাল থাকুন........
৪৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শায়ক বলেছেন: এত সুন্দর পোস্ট দেখে লগ ইন না করে আর পারলাম না| অসম্ভব ভালো হয়েছে| ঘুরতে যে আমার কি ভালো লাগে!
চট্টগ্রামের হ্রদ গুলো দেখা হয়েছে| the way back মুভি তে দেখে বৈকাল হ্রদ দেখার আগ্রহ খুব প্রবল|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন:
অনেক খুশি হলাম ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভ্রমণ সহায়ক আমার সংকলন পোস্ট আছে, আপনার ঘুরাঘুরি চলতে থাকুক।
আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হোক, ভালো থাকবেন।
৪৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:১৭
বশিষ্ঠ বলেছেন: তিতিকাকা হ্রদের মাঝখানে অইগুলা কি মিষ্টির ছবি?
পাতিলের মধ্যে?
আপনার সঙ্কলন সুন্দর!
বিসিএস পরীক্ষার্থিদের কাজে দিবে!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪২
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ওগুলো ওদের ঐতিহ্যবাহী আলু। ইনকারা শত প্রজাতির আলু উৎপন্ন করতো যা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যেত না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫১
বশিষ্ঠ বলেছেন: আলু!
বাহ! জেনে ভালো লাগল!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ওদের সবকিছুই আকর্ষনীয় ও অন্যরকম সুন্দর!
৫১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:১৭
রাকিব আলি বলেছেন: খুব চমৎকার লাগলো++++++++++++++++++++++++++
১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:২৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৫২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭
কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন: খুব চমৎকার প্রকৃতি । +++++
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
নিরীহ জন বলেছেন: আপনি ও আপনার েলখার প্রতি এক অসীম ভােলালাগা। +++++++++++++++++
০১ লা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ....
শুভকামনা.......
৫৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
পিদিম বলেছেন: চমৎকার
০১ লা জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে....।
৫৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
গরম কফি বলেছেন: অসাধারন ।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৬
জানকিরান বলেছেন: দারুন ভাই।