নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যাধিক্যের দম্ভ!

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৯

অবাঙালী পাহাড়ি, অবাঙালী সমতলি এবং শরণার্থী (বিহারি এবং রোহিঙ্গা) এই তিন ধারার মানুষের অধিকার জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশে দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। ভূমির স্থায়ী অধিকারহীন এই মানুষ গুলোকে আমাদের রাষ্ট্র আর ভূমি গ্রাসী দুর্বৃত্তরা সবসময়ই নিগৃহীত করেছে। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ, ৭১ এর বাংলাদেশ বিরোধিতা, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, শান্তিবাহিনী, সেনা অপারেশন, পাহাড়ে অনুপ্রবেশ, শান্তি চুক্তি, চুক্তি ভঙ্গ- এই সব নিয়ে পার্বত্য জেলা সমূহের নৃতাত্ত্বিক উপজাতীয় দের সাথে আমাদের রাষ্ট্রের সংযোগ সেই নিশ্চয়তার বেড়াজালেই বন্দী। আমরা তাদের আদিবাসী স্বীকৃতি এবং জাতিয়তার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছি। একই সংকটে আবর্তিত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের উপজাতিয়দের ভাগ্য । এই ধরনের সংকটে যুক্ত হয়েছে বিহারীরা। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা সম্ভভত সামনে নতুন কোন মহাসংকট নিয়ে আসছে।



৪৬ এবং পরবর্তী সময়ের হিন্দু আগ্রাসন, বিহারের দাঙ্গা, জীবন নিয়ে পালিয়ে পাকিস্তান আসা, সেই সাহায্যের কারনে আর উর্দু ভাষী হবার কারনে পাকিস্তানের অখন্ডতা চাওয়া এবং সর্বোপরি পাক হানাদারদের সহায়তা করা, প্রায় সব জায়গাতেই বিহারি শরণার্থীরা সহায় সম্বল আর জীবন হারিয়েছে, তারা সব ক্ষেত্রেই লুজার। ৫৪র আদমজী দাঙ্গা, ৭১ এর পরে চাক্তাই খালে আর কর্ণফুলীর স্রোতে অগুনিত বিহারির লাশ ভাসা, সান্তাহারের বিহারী গনকবর কিংবা ১৯৭২ সালের ১০ মার্চ খুলনার বিহারী গনহত্যা, ঢাকা স্টেডিয়ামে বিহারিদের জড়ো করে রক্ষীবাহিনীর সেই নির্বিচার হত্যা , এই সব বাংলার মানুষ বিলকুল ভুলে গেসে। একদিকে আমরা তাদের জীবনের উপর সরাসরি হামলা চালিয়েছি, অন্যদিকে সে সময়ের আশ্রয় দেয়া রাষ্ট্র পাকিস্তান তাদের সাথে বিশ্বাসঘতকতা করেছে, তাদের সরিয়ে নেবার মিথ্যা আশ্বাসই খালি দিয়েছে। লক্ষণীয় যে, বিহারীদের ধর্মীয় পরিচয় তাদের কোন উপকারে আসছে না।



সামান্য ছুতায় এদের সহায় সম্বল কেড়ে নেওয়াই দুর্বৃত্তদের টার্গেট, জেনেভা ক্যাম্পের জমি দখল যেখানে এই নৃশংস অগ্নিকান্ড আর ঘুমন্ত শিশু ও নারী হত্যার অন্তরালের কারন সেখানে পুলিশ সক্রিয় সহায়ক। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের চিরবিবাদমান রাজনৈতিক বাঙ্গালী আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীরা এই ইস্যুতে আগ্রাসী স্থানীয়দের জুলুমের পক্ষে। পাহাড়ে এবং সমতলে যেখানেই বাঙ্গালী আর বাংলাদেশীর বাইরে ক্ষুদ্র কোন জনগোষ্ঠী আছে, তাদের উচ্ছদের এই একই ধারার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। খোদ রাজধানীতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তৎক্ষণাৎ আমরা কিছু মানবতাবাদি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি ভূমি দস্যু আর রাজনৈতিক গুন্ডাদের বিরুদ্ধে। কিন্ত আমাদের অগচরে উত্তর বঙ্গের (বিশেষ করে নাটরের সাঁওতাল) উপজাতি সম্প্রদায় সর্বস্বান্ত হয়েছে। পাহাড়ে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি, আবাদী ভূমি নষ্ট করেছি, অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছি। রেশন দিয়েছি শুধু বাঙ্গালিদের, জমি হারানো উপজাতিদের করেছি বঞ্চিত করে। এখনও তাদের ভুমি সংস্কারের, ভুমির অধিকারের কার্যকর কিছু করিনি আমরা। আমাদের রাষ্ট্র তাদের জাতীয়তা কেড়ে নিয়েছে, তাদের সংস্কৃতি কড়ে নিয়েছে, তাদের ভাষা রক্ষায় আমরা খরচ করতে অনিচ্ছুক। কর্পোরেট বনায়নে আর হাউজিং ব্যবসায় তাদের ভুমি কেড়ে নেবার পরিকল্পনা হয়েছে এবং আজও হচ্ছে।



রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কৌশল ঠিক রেখেও যে অপ্রধান জাতিসত্তার আধিকার স্বীকার করা যায়, সেই যোগ্যতা আমরা দেখাতে পারিনি বরং সেখানে আমরা বার বার ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা দেখাচ্ছি। আমরা অপ্রধান জাতি সমূহের উপর আর্থিক আর সামাজিক আগ্রাসনই অব্যহত রাখিনি, তাদের বেচে থাকার অধিকার কে সংকুচিত করেছি, এখন তাদেরকে প্রানে মারার পরিকল্পনা করছি।



ছোট পরিসরেও কি এই সব এথনিক্যাল ক্লিঞ্জিং এর অপরাধের সম পর্যায়ে পড়ে না? পাক হানাদারদের দ্বারা ইতিহাসের এক নৃশংস গনহত্যায় যে জাতির রক্ত নদীর স্রোতের মত বয়েছে সেই জাতি নিজ রাষ্ট্রেরই অতি ক্ষুদ্রাকায় জাতির উপর হামলায় নিমিয়ত হয়ে পড়ছে, এটা লজ্জার আর গ্লানির। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এই আমরাই আগ্রাসী ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছি আমাদের পানি অধিকার রক্ষায়, সীমান্ত অধিকার রক্ষায় আর অর্থনৈতিক আধিকার রক্ষায়!



নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আতশবাজির কারনে যদি ১০ কিংবা ততোধিক শিশু, নারী কিংবা ঘুমন্ত মানুশকে মেরে ফেলা যায়, তাহলে বলব এই দেশের সাবেক এবং বর্তমানের সকল নির্বাহী থেকে শুরু করে অপরাধের সকল সাবেক ও বর্তমান হোতাদের এই শাস্তি দেয়া হোক। এইসব নির্বাহী এবং তাদের চেলারা হেন অবিচার, হেন জুলুম আর হেন পাপ নাই যেটা করে নাই বা করছে না।



অন্তঃসার শূন্য এবং নতজানু পররাষ্ট্রনীতির করনে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়া, করাচিতে আটকে পড়া লাখো বাঙ্গালীদের নিজ বাসভূমে ফেরত আনার কোন কার্যকর ভূমিকা নিতে কাউকে দেখি নাই। অথচ কথায় কথায় দেশপ্রেম আর চেতনার জিকির। বাংলাদেশের নদীর পানি আটকে দিতে, জল স্থল অন্তরীক্ষে ট্রানজিটের বন্দোবস্ত দিতে বাংলাদেশকে উদোম করে ফেলা হয়েছে, কিন্তু ভারতীয় ছিটমহল গুলোর মানুষও যে বিহারীদের মত একইরকম আগুনের ভয়ে দিনাতিপাত করে সেই খবর এই দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক জানোয়ারের দল রাখে না। করাচীর বস্তি পল্লীতে আটকে পড়া গরীব বাঙ্গালীরা যে একই মর্মান্তিক সামাজিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দিন গুনে সেই খবর এই পশুদের কানে যায় না।



কূটনৈতিক বন্দোবস্ত করার মুরোদ লুটেরা শাসকদের নেই। সমস্যা টিকিয়ে রেখে লুটপাটের আর ভূমি গ্রাসের রাজনীতি করাটাই এদের লক্ষ্য। এই মুরোদ যে নেই তা আজ মিয়ানমার জেনে গেছে। তাই রোহিঙ্গা দের পাশাপাসি পাহাড়ি আর বাঙ্গালীরা তাদের আগ্রাসনে পড়ছে। সীমান্তের নাগরিক আবিচারের আরেক কঠিন পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছেন।মুরোদ যে নাই তা নতুন ভারতীয় সরকার জেনে গেছে, তাই বিহার থেকে কথিত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী পুশব্যাক করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।



লক্ষণীয় হোল, দেশের গরীব বাঙ্গালী, পাহাড়ি আদিবাসী কিংবা উপজাতি, সমতলের উপজাতি এমনকি শরণার্থী (রোহিঙ্গা, বিহারি) সবাই একদিকে ভূমি সন্ত্রাসের আরেকদিকে সামাজিক অর্থনৈতিক নিগ্রহ এবং অবিচারের একই শৃঙ্খলে বন্ধী। সার্বিক ভাবে এরা সবাই গরীব, সবার সামান্য সহায়, ভিটা, ভূমি আর জীবনের দাম দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক জানোয়ারের হাতেই নির্ধারিত। গরীবের অসহায়ত্ত্বকে পুঁজি করে তাকে পরিকল্পত বিপদে ফেলে ভুমি থেকে উচ্ছেদের সেই চেনা মহাজনী ফন্দি আজো আমাদের দেশে উপস্থিত। পরিকল্পিত কলহ বাধিয়ে লাগিয়ে দেয়া বস্তির আগুনের কালো ধোঁয়ার পেছনো লূকায়িত বহুতল ভবন করার বিলাস চিরিচেনা। একই ধারার অবিচার হলেও গরীব বাঙালী আর অবাঙালীর সীমারেখাও খুবই চেনা, অবাঙালীরা নিগৃহীত হলেও সংখ্যাধিক্যের তেমন সহানুভূতি পায় না।



দুর্বৃত্তরা ধরাছোঁয়ার বাইরে সবসময়। কারন তারাই কিংবা তাদের গডফাদাররাই দেশের নির্বাহী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। সংখ্যাধিক্যের দম্ভ! -এই শিরোনামে দেশের সংখ্যাধিক্যের মাইন্ডসেট প্রকাশ হয়।
২। আমরা তাদের আদিবাসী স্বীকৃতি এবং জাতিয়তার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছি। -জবাব দিয়েছেন কিছু, আসলে আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাখায় নিজের স্বার্থ সমর্থক সংজ্ঞা কে বেছে নিয়েছেন। সেটা দোষের কিছু নয়!

আমার স্টেইটমেন্ট একটা বাস্তবতা। আমি এর পক্ষে বিপক্ষে লিখিনি, লিখার মূল উদ্দেশ্য ভিন্ন। সেটা আপনি এখনও বুঝে উঠতে পারেননি।

দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার ভিতরে বসবাস কারি সকল নাগরিকের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা না দিতে পারলে সেটা রাষ্ট্রই না, খুব ভারি কথা, আশা করি বুঝার চেস্টা করবেন।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কৌশল ঠিক রেখেও যে অপ্রধান জাতিসত্তার আধিকার স্বীকার করা যায়, সেই যোগ্যতা আমরা দেখাতে পারিনি বরং সেখানে আমরা বার বার ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা দেখাচ্ছি।

আপনি লিখক কিনা? লিখক হলে আরো দায়িত্ব নিয়ে যত্ন সহকারে মন্তব্য দিতেন।

৩। পাহাড়ে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি, আবাদী ভূমি নষ্ট করেছি, অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছি।
১৯৭১ পার্বত্য এলাকায় কত % বাঙালি ছিল, এখন কত % আছে? ১৯৯৭১ এ বাঙালি % ভূমির অধিকারী ছিল এখন কত % এ আছে, জবাব দিবেন।

রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করায় কোন আপত্তি চলতে পারে না। -মোটেই না রাস্ট্র নাগরিকের জন্য। দেখুন লীগ আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর করতে পারে নি।

আর আবাদী ভূমি নষ্ট করিনি, করেছে পাকিস্তান সরকার, তার দায় বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপানো অন্যায়। -সাবেক পাকিস্তানের পুর্ব অংশই কি বাংলাদেশ নয়? পাকিস্তানের সব আবকাঠামোর (তারা এদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪৭ টা কাপড়ের কল যার কিছু বিশ্ব বিখ্যাত , বিমানবন্দর, স্টেশন করেছে এগুলা অস্বীকার করা যাবে না, শোষণও করেছে ) সুজোগ নিতে পারবেন কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না সেটা কি করে সম্ভভ?

পাকিস্তান কিন্তু অনুপ্রবেশ ঘটায়নি। মুজিব কথায় কথায় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা কে হুমকি দি্তেন- বেশি বাড়াবাড়ি কোরো না, তাইলে কয়েক লক্ষ লোক ঢুকিয়ে দিবো। জিয়া সেটা বাস্তবায়ন করেছেন।

আমি অনুপ্রবেশের পুরাপুরি বিরোধী না, দেশের নদী ভাঙ্গা বা ভূমি হিনদের অপেক্ষাকৃত কম ঘন বসতি পুর্ন এলাকায় নেয়া যায়, কিন্তু সেটা সকলের স্বার্থ রেখে। একটা অপরিচ্ছন্ন সিস্টেমে ডুকানো হয়েছে প্রকৃত অপ্রকৃত ভূমিহীনদের যা দীর্ঘ দিন চলেছে। রাজনৈতিক লোকদের টাকা দিলে জমি পাওয়া যায়। কিভাবে আসে, কার জমি কোন হিসেব নেই, বিবেচনা নেই। মনবতা নেই। একজন লম্পট ওয়াদুদ ভূইয়ার আর আওয়ামী লিগের এম্পিদের লোকেরা কত মানুষের ভূমি হাতিয়ে নিয়েছে!

বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটা অঞ্চলের মানুষের ৯০% আবাদী ভূমির নষ্ট করেছে, এটা আপনার কাছে কিছুই না। নিজের যায়নি তো, তাই কখনই বুঝবেন না! বুঝে রোহিঙ্গারা, বুঝে সংখ্যা লঘুরা।

কাপ্তাই বিদ্যুৎ প্রকল্প যখন করা হয় তখন সেটা দেশের জন্য বিরাট মাইল ফলক ছিল, তখনকার চাহিদার তুলনায় সেই উৎপাদন অনেক ছিল। তখন উপজাতীয়দের কিছু কম্পেসেট এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখানে ভারত উতপাত করে সমস্যা বিচ্ছিন্ন বাদিতার দিকে ঠেলেছে।

এসব নিয়ে কথা বললেই আপনারা মনে করেন, আমরা পার্বত্য চট্রগ্রাম হারাতে চাই! কি অদ্ভুত। দেশের মানুষকে সুবিধা বঞ্চিত রেখে দেশ গড়া! পাকিস্তান কত চেস্টা করলো, আজো করছে!

কিন্তু বটম লাইন হোল বর্তমানের চাহিদার তুলনায় কাপ্তাইয়ের উৎপাদন অতি নগন্য, জানেন কত? যদিও ১৭৫ মেগাওয়াট হবার কথা, আসল উৎপাদন মাত্র ৫০ মেগাওয়াট। তিনটি বেল্ট এর মধ্যে ২ অকেজো বহু দিন ধরে। যেখানে দেশের মোট উতপাদনের লক্ষ ১০,০০০্ মেগাওয়াট।

সুতরাং আগের বাস্তবতা নেই। তাই নতুন করে দেশের নাগরিকের স্বার্থ নিয়ে চিন্তার সুজোগ এসেছে।

৪। রেশন দিয়েছি শুধু বাঙ্গালিদের, জমি হারানো উপজাতিদের করেছি বঞ্চিত করে। - আপনি যা বলেছেন তা কাগজের কথা, ঘুষ দিয়ে প্রায় সব বাঙালি ই ঘুষের ব্যবস্থা করেছে। সরেজমিন দেখে আসুন। হৃদয় গল্লেও গলতে পারে। বেসরকারি দানের কথা বলছেন কেন? খ্রিষ্টান মিশনারি তো পৃথিবীর প্রায় সব খানে কাজ করে! এগুলা কথা বলে লোক হাসান কেন?

৫। এখনও তাদের ভুমি সংস্কারের, ভুমির অধিকারের কার্যকর কিছু করিনি আমরা। - তাদের এক্টাই দুর্বলতা ছিল। উপজাতীয় প্রথায় জমি ব্যক্তি নামে থাকে না। সার্কেল হেড / রাজার নামে থাকে। কিন্তু কে কত টুকু ভোগ করতো সেটা রেকর্ড ছিল।

কথা হচ্ছে আন্তরিকতা থাকলে এই সমস্যা সমাধান করা যেত, যাদের নির্দিস্ট পরিমানের বেশি আছে তাদের কাছ থেকে নিয়ে বাঙ্গালীদের মধ্যে দেয়া যেত, একটা উইন উইন সিটুয়েশন তৈরি করা যেত।

(লোক মুখে শুনেছি, পাকিস্তান আমলে কবি বেনজির আহমদের যায়গা নিয়ে কমলাপুর রেল স্টেশন করা হয়েছিল, কিন্তু তাকে বাস্তু চ্যূত করা হয়নি, একই ভাবে মুজিব ফরিদপুরের জমিদার ময়েজ মিয়াদের জমি সরকারি আয়ত্তে আনার ডিক্রি দিয়েছেন উনাদের পুরাপুরি বঞ্ছিত করেন নি )

৬। আমাদের রাষ্ট্র তাদের জাতীয়তা কেড়ে নিয়েছে, তাদের সংস্কৃতি কড়ে নিয়েছে, তাদের ভাষা রক্ষায় আমরা খরচ করতে অনিচ্ছুক। কর্পোরেট বনায়নে আর হাউজিং ব্যবসায় তাদের ভুমি কেড়ে নেবার পরিকল্পনা হয়েছে এবং আজও হচ্ছে।

উপরে আপনার সুইপিং কমেন্ট??????

চাকমা, মারমা, মুরং, সাঁওতাল এদের উপজাতীয় স্বীকৃতি কোথায় আছে বলেন? সংসদে দেয়া মানবেন্দ্র যে বলেছেন, আমি বাঙ্গালী নই, সে প্রশ্নের উত্তর আছে আপনার কাছে?
কয়টি উপযাতীয় ভাষা বিলুপ্তির পথে বলুন?
বাদ দেন ভাষা, নাটোরে কয় জন সাঁওতাল অবশিষ্ট আছে সেটা বলুন?


৭। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কৌশল ঠিক রেখেও যে অপ্রধান জাতিসত্তার আধিকার স্বীকার করা যায়, সেই যোগ্যতা আমরা দেখাতে পারিনি বরং সেখানে আমরা বার বার ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা দেখাচ্ছি।

এটা বুঝার জন্য জ্ঞান এবং মানবিকতার সমন্বয় দরকার, আশা করি মূল লিখক হলে উত্তর আসতো।

৮। ছোট পরিসরেও কি এই সব এথনিক্যাল ক্লিঞ্জিং এর অপরাধের সম পর্যায়ে পড়ে না?

লিখাটা বিহারি হত্যার সময় লিখা, শেয়ার দিবার সময় বলে দিয়েছি। এটা সকল সংখ্যা লঘু দের আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা সংকট নিয়ে লিখা। দেশে হিন্দু বৌদ্ধ সাঁওতাল চাকমা মারমা সবার অনুপাতিক সংখ্যা কমেছে, অনেকগুল উপজাতি বিলীন হতে চলেছে। তাদের ভাষা বিলীন হতে চলেছে। এগুলো স্বীকার করা অমানুষী কাজ কারবার।

নিয়মিত বিরতিতে হামলা হচ্ছে। কিভাবে অস্বীকার করেন। পার্বত্য উপযাতীয়রা বিচ্ছিন্ন তার আন্দোলন করে বাকিরা তো করে না। সাঁওতাল দেরকে শত শত বছর আগে চিপায় চাপায় থাকতে দিয়েছিল এখন সেগুলো থেকেও উচ্ছেদ হচ্ছে।

এইসব উচ্ছেদ ধর্মের নামে হচ্ছে না, (এখানে অন্য কিছু টেনে আনবেন না প্লিজ) ক্ষমতার জোরে হচ্ছে, এটাই সংখ্যাধিক্যের দম্ভ! এটাকে আস্কারা দিবেন না। দেশের দখল সংস্কৃতি দিন দিন নাজুক হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত নিকে ব্লগ করেও যদি মানুষের জীবনের কষ্ট না বুঝেন, কি আর করা। তাত্বিক না থেকে আপনি আর আপনার লিখক কে বলি, দয়া করে ঘুরে আসুন এলাকা গুলো, মানুষের অনুভূতি বুঝুন।মানুষ যে কত কস্টে থাকে সেটা বুঝার চেস্টা করুন, হ্যাঁ সবাই না, কিন্তু গরীবই তো বেশি।

হুজুর পাক (স) সম্ভভত এজন্যই হিজরতের গুরুত্ব দিয়েছে। হিজরত জ্ঞান সন্ধানে অতুলীনীয়।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: http://www.samakal.net/2015/08/09/154258

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.