নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
১। প্রান্তিক পরিবার সমূহের প্রধান কর্মক্ষেত্র গার্মেন্টস সেক্টরের প্রায় ৪০% শ্রমিক গত কাল পর্যন্ত হালনাগাদ বেতন পায়নি। বি দ্রঃ এদের ভাতা বলে কিছু নাই।
২। দেশের প্রায় চল্লিশ লাখ পরিবহন শ্রমিক ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত।
৩। দেশের লক্ষ লক্ষ শিশু শ্রমিকের ঈদ বোনাস বলে স্বীকৃত কিছু নেই।
৪। দেশের লক্ষ লক্ষ দিনমজুর, রিক্সা ওয়ালা, ভাসমান শ্রমিকের ঈদ বোনাস বলে স্বীকৃত কিছু নেই।
৫। দেশের লক্ষ লক্ষ কাজের বুয়া দের ঈদ বোনাস বলে স্বীকৃত কিছু নেই।
এই ধরনের সমাজ বাস্তবতায় খুশির "ঈদ" হয়ে উঠেছে শুধু মাত্র আমাদের মধ্য বিত্ত, উচ্চ মধ্য বিত্ত এবং উচ্চ বিত্তের বা ধনিক শ্রেণির উৎসব।
তাই রমজানের ঐ রোজার শেষে যে খুশির "ঈদ" এবং "ঈদ মোবারক" এল, তা সার্বজনীন নয়, অন্তত সমাজের মুখোশ এবং লেবাসের হিসেব বাদ রাখলে।
৬।
ভিন্ন ঈদঃ বিগত বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলনে যে সব পরিবারের (বিএনপি, জামাত শিবির, রাজাকার, হেফাজত,পুলিশ, আনসার, পথচারী, হরতালের আগুনে ঝলসিত মানুষ এবং অন্য ভিক্টিম) কর্মক্ষম সদস্য প্রান হারিয়েছেন কিংবা পঙ্গু হয়েছেন, সেই সব পরিবারের আর্থিক পরাজয়ের মধ্যে হাজির হয়েছে এই ঈদ। সেই সব পরিবাবের জন্য সমবেদনা। আশা করি, একদিন রাষ্ট্র বুঝে উঠবে তাঁর চোখে নাগরিক যেই হোক না কেন, সে সমান অধিকার রাখে।
"আজ ঈদ, ঘরে ঘরে আনন্দ" , এই ঘর গুলোর মধ্যে যেন আমাদের প্রান্তিক মানুষের ঘর, বস্তি ঘর, কৃষকের কুঁড়ে ঘর অথবা ঘর হীনের উন্মুক্ত প্রান্তর অন্তর্ভুক্ত হয়। আমাদের রাষ্ট্র যেন সেই, নিয়তে কাজ করে আগামীতে। আমাদের অর্থনীতি ও রাজনীতি যাতে সেই লক্ষ্যে নিবেদিত হয়।
এইসব বস্তিবাসী "ফকিন্নির পো" রা যতদিন না শক্তি মান এবং প্রিভিলেজড হবে আমার আপনার মত, তত দিন স্বাধীনতার তাৎপর্য বৃথা। স্বাধীনতার সুফল যদি কারো ভোগ করার অধিকার থাকে, তাহলে রাষ্ট্র কাঠামোয় একেবারেই অবহেলিত এই প্রান্তিক গোষ্ঠীরই রয়েছে সবার আগে। মুক্তির আন্দোলন সংগ্রামে এরাই বুক চিতে দেয়, এদের রক্তেই সিক্ত হয় মাটি, রাজপথ।
মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পাক বাংলার সকল কর্মজীবি শিশু, সকল প্রান্তিক মানুষ। বাঁচার তাগিদে আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় যেন কাজ করতে না হয় কোন শিশুর। অর্থনৈতিক মুক্তি আসুক সকল নিন্ম বিত্ত বিশেষ করে বস্তির মানুষের।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গত এক বছরে প্রায় তিন মাস সরকার বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধ বিচার, নির্বাচন জনিত কারনে অর্থনীতি বলতে গেলে প্রায় অচল ছিল। প্রান্তিক কর্মসংস্থান এবং ক্ষুদ বিনিয়োগ তি সীমিত হয়ে পড়েছিল। সেখানে "বাংলাদেশ পরিসখ্যান ব্যুরো" কিভাবে এই সব আজগুবি দারিদ্র্য হ্রাসের হিসেব দেখায়?
""১৯৭১ থেকে ২০০৯ সালে, অর্থাৎমু ক্তিযুদ্ধের ৩৮ বছরে প্রতিবছর আমাদের মাথাপিছু আয় হয়েছে ৮৪৩ ডলার।
কিন্তু পরের দুই বছরে শেয়ার মার্কেটে বাড়ি খেয়ে মধ্যবিত্তের আয়-রোজগার দেশের অল্প কিছু লোকের হাতে গিয়ে, আবাসন সেক্টর ধ্বসে, ঋণের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে এবং তার পরে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের চাপে কৃষি উৎপাদনের মূল্য হ্রাস পেয়ে, গ্রামীণ অর্থনীতি ধ্বসে পড়ার পরেও— শুধু মাত্র রেমিটেন্স এবং পোষাক শিল্পের রফতানি বৃদ্ধি দেখিয়ে সরকার, দুই বছরে আমাদের দেশের গড় মাথাপিছু আয় দেখাচ্ছে ১১৯০ ডলার। তার মানে সব চেয়ে খারাপ সময়টাতে মানুষের গড় আয়, ১১৯০-৮৪৩ = ৩৪৭ ডলার, মানে ২৬৭১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে!
এর মানে বাংলাদেশের পরিবার প্রতি আয়, সরকারি হিসেবে গড়ে ৪.২ জন উপার্জনকারী হিসেব করে, এ ৪ বছরে, গড়ে প্রতি পরিবারে বৃদ্ধি পেয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা।
১৯৭১ সালের পরে ৩৭ বছরে আমরা ৮৪৩ ডলারে পৌঁছিয়েছি আর সরকারি হিসেবে মাত্র ৪ বছরে সেটির ৪১% বৃদ্ধি হয়েছে।"
নাগরিক হিসেবে আমিও, আশায় আছি আগামী ২০ বছরে দারিদ্র্য শুন্যের কোটায় নেমে আসবে, তবে বাংলাদেশ পরিসখ্যান ব্যুরো" র ডাটাবেইজ এ নয়, বরং বাস্তবে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কিন্তু যদি দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য আসতো এবং শিক্ষার উপর আরও গুরুত্ব দিতাম আমরা তাহলে হয়তো ১০ বছরেই সে সাফল্য আসতো।
আংশিক সহমত।
রাজনৈতিক দুরবিত্তায়ন, চাঁদাবাজি, ভঙ্গুর আর ঘুষ নির্ভর জনপ্রশাসন, দুর্নীতি পরায়ণ আদালত এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের সকল বাঁধা বিদ্যমান রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা দাঁড়া করানো যাবে না, গেলেও তা ফলদায়ক হবে না।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৫
মুকতোআকাশ বলেছেন: ভাইরে,আওয়ামি লিগ কোরলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যান
ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না।বাস্তবতা অন্য।গত চার বছরে মাথা পিছু আয় বেড়েছে ঠিকই। কিনতু কাদের? যারা আওয়ামি লিগ করেন তাদের,আর ধরুন যাদের আয় ছিল(!)১১৯৯ টাকা তাদের।ধরুন এদের আয় বেড়েছে ১০০ গুন।কিন্তু যাদের ৭/৮ শত ডলার মাথ পিছু আয় ছিলো তাদের তো আয় বাড়েনি।অর্থাৎএক শ্রেনীর মানুষের আয় বেড়েছে আকাশ চুম্বি,অন্যদের বাড়েনি। গড় কোরলে দেখা যাবে দেশের আয় অনেক বেড়েছে। ফাঁকিটা এখানেই।
২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই আমরা আর কত দিন এরকম থাকবো, ৪২ টা বছর তো হয়ে গেল। ২ দল আর তাদের সাগরেদরা শোষণের যে চক্র তৈরি করেছে তার কি অন্ত নাই, আমরা নাগরিকেরা কি সামাজিক প্রতিষ্ঠান রক্ষার কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু করতে পারি না!
গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের মুদ্রানীতি নিয়ে নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এ চাকুরি করেন এমন মধ্য ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তারা ডেটাবেইজ নিয়ে যা বলছেন তা রীতিমত ভয়ংকর। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইনফ্লো রেকর্ড সপ্তাহ ওয়ারী দেবার কথা, বাংলাদেশে যেহেতু ই ট্রন্সাকশন এর প্রচলন সীমিত তাই এটা করা খুব কঠিন ব্যাংক এর জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বলছেন, উনারা দৈব চয়নে রেফেরেন্স চেক করতে চান, সাধারনত বৃহৎ লেনদেন দেখলে। আধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এসব ফেইক, বলা হয় "স্যার, সম্ভভত আমাদের ভুল হয়েছে।" এরকম ডেটাবেইজ এর উপর দাঁড়িয়ে আমরা।
ডাটাবেইজ এ মূল একটা ফাঁক দেখিয়েছি এই লেখায়-
Click This Link
দুই মহা চোরের দলের কে ক্ষমতায় থাকবে সেটা নিয়ে এখন আর মাথাব্যাথা নেই। এই মাথা আর সইতে পারছে না এসব।
তবুও চাই এই ডাকাত দল আর তাদের সর্দার ঠিক পথে আসুক, অনেক তো মারল দেশের সম্পদ, কত চাই তাদের???
শুধু চাই তারা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক, সুশাসন আনুক, গরীব ও মাধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে কিছু করুক। তাদের তো জীবনের মানের ঢের উন্নয়ন হয়েছে। তাদের আর কত চাই, হাজার হাজার কোটি টাকা লূটপাট হয়েছে, এবার কি ক্ষান্ত দেয়া যায় না?
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
মুকতোআকাশ বলেছেন: আপনার সাথে শতভাগ একমত। অনেক হয়েছে লুটপাট। আর না।আসুন জনগণের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করি। দেশ যেহেতু জনগণের তাই জনগণেরই অধিকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করার। কোন পার্টি বা বিশেষ কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নয়। আর"ভেঙ্গে করি সব চুরমার" করতে একজন পাগলা রাজা দরকার। এই দেশের দুর্নীতি গ্রস্থ প্রতিস্থান,ও পচে যাওয়া রাজনৈতিক দল গুলোকে সোজা পথে আনতে হলে নজরুলের -"ভেঙ্গে করি সব চুরমার" গোছের পদক্ষেপ ছাড়া হবে বলে আমার মনে হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৯
রাজিব বলেছেন: "দেশে দারিদ্র্যের হার এখন ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত এক বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি অতি দারিদ্র্যের হার এখন ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এই হিসাব গত জুন মাস পর্যন্ত।"
২০ বছর পর বাংলাদেশে আর গরীব বলে কেউ থাকবে না বলে আশা করছি। কিন্তু যদি দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য আসতো এবং শিক্ষার উপর আরও গুরুত্ব দিতাম আমরা তাহলে হয়তো ১০ বছরেই সে সাফল্য আসতো।