নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা সংস্কারে কিছু প্রস্তাবনা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৫



শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা সম্প্রসারন



দেশের অবহেলিত সামাজিক এবং আর্থিক শ্রেণী গুলোকে সনাক্ত করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম এর প্রসার এর জন্য রোডম্যাপ ডিফাইন করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার সকল ধাপ কে অবইতনক করতে হবে। এখানে ছেলে মেয়ে ডিস্ক্রিমিনেশন রাখা যাবে না। উপব্রিত্ত ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে দিতে হবে। তবে ডেটাবেইজ অনুসারে শুধু এই অবহেলিত শ্রেণী শিক্ষায় উপবৃত্তি পাবে। সমাজের উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শিক্ষা উপবৃত্তি পাবে না কিন্তু অবৈতনিক শিক্ষা সুবিধা পাবেন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে। এই পর্যায়কে "লাইফ স্কিল" অর্জনের ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করে এই সময়ের মধ্যে ছাত্র ছাত্রী দের সামাজিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, দেশপ্রেম , দায়িত্ব সচেতনা এবং কমিউনেকেশন স্কিল (বাংলা এবং উপার্জনের ভাষা হিসেবে ইংরেজি) শিখানো হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হবে যে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মধ্যেই একজন ছাত্র উপার্জনের ভাষা হিসেবে দরকারি কমুনিকেশন -ইংরেজি লিখতে বলতে পারেন, বাংলাদেশ এর জন প্রশাসনের বেসিক ফাংশনালিটি জানেন এবং উচ্চ শিক্ষার ফাউন্ডেশন বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ের ব্যবসা এবং টেকনিক্যাল শিক্ষার জন্য উপযোগী হয়ে উঠেন।



নির্দিষ্ট পরিমান ভূমি নাই এইধরনের কৃষক, সম্পূর্ণ ভূমি হীন কৃষক, বস্তি বাসী, রিক্সা অয়ালা, ভাসমান শ্রমিক, ভুমি হীন উপজাতি ইত্যাদি এবং বিশেষ ভাবে গার্মেন্টস পরিবারের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা উপকরন দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফ্রি প্রাথমিক, ফ্রি মাধ্যমিক, ফ্রি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, সেই সাথে ফ্রি শিক্ষা উপকরনের বন্দোবস্ত করতে হবে। শিক্ষা উপকরন হিসেবে বই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খাতা-কলম-পেন্সিল, বছরে একটি স্কুল ব্যাগ , একটি স্কুল ইউনিফর্ম এবং একজোড়া জুতা প্রদানকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থী কে একটি জ্যামিতি বক্স ফ্রি দেয়া যেতে পারে। এটি ক্লাস সিক্স এ উঠলেই ফ্রি বই বিতরনের সময় দেয়া যেতে পারে। ফ্রি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থী দের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে, শিক্ষার প্রতি মটিভেশন আনবে।



শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় কে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করতে হবে। এতে পঞ্চম শ্রেণীর পর আরেকটি স্কুল বা আরেকটি শিক্ষা ধাপে ভর্তি হবার মনস্তাত্ত্বিক বাঁধা দূর হবে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাই শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে স্বীকৃত হবে।



নবম এবং দশম মাধ্যমিক শিক্ষা ধাপ এবং একাদশ এবং দ্বাদশ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ধাপ। বরতমানের মতই থাকবে। সকম মাধ্যমিক স্কুল কে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক উত্তরণ করতে হবে। এতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত একজন ছাত্র ছাত্রী কে ৩ টি র জায়গায় ২ টি মাত্র স্কুল এ ভর্তি (এনরোল) হতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে শিক্ষা ধাপ পরিবর্তনের সময় অধিকাংশ স্টুডেন্ট ঝরে পড়ে। ২ টি ধাপ হলে কম সংখ্যক ধাপ অতিক্রমের মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি আসবে।





টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর সমন্বয়, ট্রেনিং পরিধি এবং সক্ষমতা বাড়ানো



বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের বিদ্যমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পর্যাপ্ত নয়। এগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানোর যোগ্যতা সম্পন্ন করে তোলা হচ্ছে না শিক্ষকদের। শিক্ষাদানের মাধ্যম, স্টুডেন্ট কমিউনিকেশন এবং ব্যবস্থাপনা শিখানোর পাশাপাশি ক্লাস মেটেরিয়াল, লেকচার কনটেন্ট এর মান এবং বিষয় ভিত্তিক লেকচারে শিক্ষক কি কি বিষয় পড়াবেন, ধারণা দিবেন, প্রেজেন্টেশন করবেন, স্টুডেন্ট কে প্রেজেন্টেশন করতে বলবেন এবং টেক্সট বইয়ের বাইরে বর্ধিত শিক্ষার রেফারেন্স দিবেন (বই এবং ইন্টারনেট ) সেসব ব্যাপারে কার্যকর নির্দেশনা দিতে হবে, নির্দেশনা দিতে হবে পাঠ্যবই এবং পাঠ্য ক্রমের প্রতিটি সাবজেক্ট এবং টপিক্স এর জন্য। বিজ্ঞান এবং গনিত শিক্ষার জন্য এটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষায় বিজ্ঞান এবং গনিত এখনও মুখস্ত করা এবং করানো হচ্ছে। শিক্ষক এবং ছাত্র উভয় দিক থেকেই।



বর্তমানে দেশে ৫৩টি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ১০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কলেজ, ১ টি শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কলেজ, ১ টি কারিগরি শিক্ষণবিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, ১ টি মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ ও ঢাকায় ১৫টি বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের জন্য বি.এড কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি বি.এড (সম্মান) কোর্স চালু আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বাংলাদেশ দূরশিক্ষণ ইনস্টিটিউট উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে ১৯৮৫ সাল থেকে ‘ব্যাচেলর অব এডুকেশন’ (বি.এড) প্রোগ্রাম চালু করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কর্মসূচির অধীনে বি.এড প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। ১৯৯২ সাল থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সি.এড, বি.এড এবং এম.এড প্রোগ্রাম উন্মুক্ত এবং দূরশিক্ষণ মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছে।



এই সকল কোর্স , ইন্সটিটিউট এবং বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কারিকুলাম এর এর মধ্যে সমন্বয় এবং আপগ্রেডেশন প্রয়োজন। কত দিন পর পর পাঠ্য ক্রম আপডেট হবে তা শিডিউল্ড করতে হবে সেই অনুযায়ী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ / ইন্সটিটিউট সমূহের একাডেমিক কারিকুলাম / সিলেবাস আপডেট করতে হবে। প্রতিটি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অনেকগুলো প্রদর্শনী স্কুল যুক্ত করতে হবে যেখানে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকগণ গিয়ে শিক্ষাদান এবং তাদের তত্ত্বাবধায়কগণ প্রশিক্ষণার্থীদের তৎপরতা মূল্যায়ন করতে পারেন। এই মূল্যায়ন প্রতিটি কোর্স এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। আধুনিক শ্রেণী শিক্ষাদান (ক্লাস প্রেজেন্টেশন, বিষয় ভিত্তিক প্রজেক্টর উপস্থাপন), ডেটা প্রসেস- গ্রাফ - ট্রেন্ড , ফোরকাস্ট ইত্যাদি উপর গুরুত্ব দিয়ে, শুধু পাঠ্য বই ভিত্তিক মুখস্ত এবং গৎবাঁধা নোট নির্ভর ক্লাস লেকচার কে পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর সক্ষমতা বহু গুনে বাড়তে হবে।



টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর ডিগ্রি শিক্ষাদানের মাধ্যম, স্টুডেন্ট কমিউনিকেশন এবং ব্যবস্থাপনা শিখানোর শিক্ষকের বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান, সাবজেক্ট টপিক এক্সসেলেন্সির নিশ্চয়তা দিবে। যাতে শিক্ষক নিজে পাঠ্য বইয়ের অনুশীলনের বাইরে এসে নিজেই প্রশ্ন বানাতে পারেন কোর্স কনটেন্ট এর ভিতরে থেকেই। সত্যিকারের "ক্রিয়েটিভ" প্রশ্ন ব্যবস্থার উপযোগী করে তুলতে হবে শিক্ষক দের।



কোর্স রেফারেন্স ব্যাংক



NCTB, পাঠ্য বইয়ের লেখক বৃন্দ এবং টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট যৌথ ভাবে একটি অনলাইন পাঠ্যক্রম রেফারেন্স ব্যাংক তৈরি করবেন, যাতে ছাত্র এবং শিক্ষকের অধিকতর জ্ঞানার্জন সহজ হয়। আগ্রহী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী নিজেদের "এক্সট্রা মাইল" অর্জন করতে পারেন। এটা ছাত্র শিক্ষক এর গবেষণা এবং ক্রিয়েটিভিটি বাড়াবে। মুখস্থ বিদ্যা কে দূর করতে সহায়ক হবে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় ইন্টারনেট সার্চ এবং মানহীন কন্টেন্ট ডাউনলোড , স্ট্যাডি এবং সময় অপচয় থেকে রক্ষা করবে। পাঠ্য ক্রম তৈরির সময় NCTB পাঠ্য বইয়ের লেখক বৃন্দ এটা সহজেই করতে পারেন। ডেটা সার্ভার, নির্দেশনা এবং আন্তরিকতা থাকলে এই কাজটি খুবই সহজ। এই কাজে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সার্ভার ব্যবহার করা যেতে পারে।



উচ্চ শিক্ষা কারিকুলাম



আন্তর্জাতিক মানের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে সমন্বয় করে (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিটি বিষয়ের উপর এরকম ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় নমিনেট করতে পারে) প্রতি ২ বছরে একবার অন্তত সকল সরকারী এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর কোর্স কারিকুলাম আপডেট করবে। কোর্স কারিকুলাম একাডেমিক কোর্স কন্টেন্ট, ক্যালেন্ডার এবং শিডিউল হিসেবে পাবলিশ করতে হবে। এই কারিকুলাম এর পড়ার উপযোগী করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক কারিকুলামও ২ বছর পর পর আপডেট করতে হবে।



উচ্চ শিক্ষা ভর্তির ডেটাবেইজ এবং গার্ডিয়ান ফলো আপ



উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির সময় সিটিজেন ডেটাবেইজ আপডেট করা হবে, বাবা -মা এবং একাধিক গার্ডিয়ান এর এর ফোন, ই মেইল, বর্তমান ঠিকানা নিয়ে সিটিজেন ডেতাবেইজ ফিড করতে হবে। সিটিজেন ডেটায় থাকা ফিল্ড গুলোর সব তথ্য চাওয়া দরকার নাই। পিতা মাতার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন হলে বিশ্ববিদ্যালয় কে জানানো এবং ডেটা আপডেট বাধ্যতা মূলক, নাইলে বড় আর্থিক শাস্তির ব্যবস্থা। বাবা -মা এবং একাধিক গার্ডিয়ান কে শিক্ষার্থীর রেজাল্ট জানানো হবে, ৪ ধাপে- বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ওয়েব সাইট আর বাবা মা কে ইমেইল , SMS এবং চিঠি দিয়ে। বাবা -মা এবং একাধিক গার্ডিয়ান কে এই ব্যবস্থা আগেই জানিয়ে দেয়া হবে। বাবা -মা এবং একাধিক গার্ডিয়ান কে আচরন গত ব্যাপার জানানো হবে, যদি স্টুডেন্ট অপকর্মে জড়িত থাকে। (চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজি , ভাংচুর এবং ছাত্র রাজনীতি) । স্টুডেন্ট এর ফলাফল, রিসার্চ ওয়ার্ক, পাবলিকেশন এবং আচরন জনিত বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ওয়েব সাইট এ প্রকাশিত হবে যা গার্ডিয়ান এবং ভবিষ্যৎ এমপ্লয়ার দেখতে পাবে। ছাত্র রাজনীতি আইন করে বন্ধ করা হবে না। রেজিস্টার্ড সব দলের (বিশ্ববিদ্যালয় এ সিকুরিটি মানি দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে) কাউন্সিলর সহ কমিটির সব নেতা কে একই ডেতাবেইজ এ নিবন্ধন করতে হবে যা বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ওয়েব সাইট এ স্টুডেন্ট তথ্যে প্রকাশিত হবে। এর ফলে এমপ্ল্যার রেজাল্ট , রিসার্চ, লিডারশীপ এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে আগাম রিক্রুট করতে পারেন।



মাধ্যমিক শিক্ষক মূল্যায়ন



মাধ্যমিকের শিক্ষক মূল্যায়ন এর কাজ মূলত টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করবে। তবে নিজ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক মূল্যায়ন এ অংশ নিবেন। মূল্যায়ন পত্রে ছাত্রের কোন তথ্য উল্লেখ থাকবে না বা সোর্স জানা যাবে না। এখানে শিক্ষকের ক্লাস লেকচার এর গুনগত মান, প্রেজেন্টেশন স্কিল, বিষয় ভিত্তিক পড়ানর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। এই মূল্যায়ন স্কুল এবং ঐ শিক্ষকের রেজিস্টার্ড টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটুট আমলে নিবেন। এখানে শিক্ষক কে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। পর পর ২ টি মূল্যায়নে গ্রান্টেড পয়েন্ট না পাওয়া টিচার কে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করে নিচের স্তরে/ প্রাথমিকে নামিয়ে দিতে হবে। দরকার হলে শিক্ষককে টিচার্স ট্রেনিং একাডেমিতে কোর্স নিতে বাধ্য করবেন এবং ফলাফলের ভিত্ততে উচ্চ স্তরের ক্লাসে পুনঃ নিয়োগ দিবেন।



উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক মূল্যায়ন



একই ভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষক মূল্যায়ন এর কাজ মূলত টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করবে। তবে নিজ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক মূল্যায়ন এ অংশ নিবেন। মূল্যায়ন পত্রে ছাত্রের কোন তথ্য উল্লেখ থাকবে না বা সোর্স জানা যাবে না। এখানে শিক্ষকের ক্লাস লেকচার এর গুনগত মান, প্রেজেন্টেশন স্কিল, বিষয় ভিত্তিক পড়ানর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। এই মূল্যায়ন স্কুল এবং ঐ শিক্ষকের রেজিস্টার্ড টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটুট আমলে নিবেন। এখানে শিক্ষক কে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। পর পর ২ টি মূল্যায়নে গ্রান্টেড পয়েন্ট না পাওয়া টিচার কে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করে নিচের স্তরে/মাধ্যমিকে নামিয়ে দিতে হবে। দরকার হলে শিক্ষককে টিচার্স ট্রেনিং একাডেমিতে কোর্স নিতে বাধ্য করবেন এবং ফলাফলের ভিত্ততে উচ্চ স্তরের ক্লাসে পুনঃ নিয়োগ দিবেন।



উচ্চ শিক্ষা স্তরে শিক্ষক মূল্যায়ন



স্নাতক পর্যায়ের সকল মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রতিটি কোর্স এ ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষক মূল্যায়ন এ অংশ নেয়া বাধ্যতামুলক। পর পর ২ টি মূল্যায়নে গ্রান্টেড পয়েন্ট না পাওয়া টিচার কে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই শিক্ষক কে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাস নিতে পাঠাবেন, মাস্টার্স করতে বাধ্য করবেন অথবা রিসার্চ এসোসিয়েট হিসেবে কোন প্রফেসর এর সাথে এটাচ করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের (৬ মাস, ১ বছর ) পরে এবার বিভাগীয় শিক্ষক পেনেল শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে গ্রান্টেড না পাওয়া সেই শিক্ষক কে মূল্যায়ন করবেন। পাস করলে পুনরায় স্নাতকের ক্লাসে ফিরবেন, না হলে এই শিক্ষক মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই শিখকতা করবেন।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: পুরা শিক্ষা ব্যবস্থাই তো ধ্বংস হয়ে গেছে। এই সব থিওরি কপচাইয়া লাভ কি আর?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিশ্বাস করি, এই অন্ধকারের শেষ হবে, অভিশপ্ত এই লুটেরা রাজনীতির ধারা একদিন বিদায় নিবে লজ্জা জনক ভাবে।

যদি কখনও ঠিক করার সুযোগ আসে! সেই দিনের প্রিপারেশন নিচ্ছি।

দীর্ঘ লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কার কাছে প্রস্তাব করছেন দাদা ??? এইসব নিয়ে কারওকি ভাবার মতো সময় আছে ???

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: লা জবাব।
দাদা, এই প্রশ্নের কোন উত্তর নাই আমার কাছে। হতে পারে নিজ বিবেকের কাছে পেশ করা প্রস্তাবনা।

যদি কোন দিন দেশ কে সার্ভিস দেবার সুযোগ আসে, সেই সময়ের প্রিপারেশন নিচ্ছি। বা ভুলে কেউ যদি শুনে বা যদি সমাজ সচেতনতা তৈরি হয়!

নির্লজ্জের মত বিশ্বাস করি, দেশের ভালোর জন্য কাজ করার সুযোগ একদিন আসবে! যদিও সে সুযোগ তৈরিতে আমার কোন অবদান নাই।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পরবর্তী লিখা / আলোচনায় আসবে-

ভর্তি প্রক্রিয়া
সকল সরকারী এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি এবং উত্তর পত্র মূল্যায়ন ধারার সামাঞ্জস্য আনা
আন্ত বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর পত্র মূল্যায়ন
শিক্ষক নিয়োগ
ইত্যাদি।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.