নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর বিসিএস প্রথা বাতিল করুন, ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস চালু করুন

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১০

ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস



সরকারি (ক্যাডার, নন ক্যাডার যেখানে স্নাতক নুন্যতম যোগ্যতা) চাকুরিতে আগ্রহীদের জন্য ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস প্রবর্তিত হবে।



২ বছর ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস এর স্কোপ এরকম হতে পারে-



১। প্রথম ২ মাস সেনা নৌ বিমান বাহিনী, ডিক্টেটিভ ব্রাঞ্চ সমূহ, পুলিশ, বিজিবি, আনসার সমন্বয়ে সম্মিলিত আন্ত বাহিনী নিয়মানুবর্তিতা পেশাদারিত্ব এবং শৃঙ্খলা ট্রেনিং।



২। সরকারী আইন এবং ইন্টার ডিপার্টমেন্টাল ফাংশনালিটির উপর ব্রিফিং - ২ মাস (ইন্টার্ন শীপ-পরিকল্পনা, সংসদ,বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন ইমপ্লিম্নেটেশন প্রজেক্ট, একাডেমিক ফিল্ড রিলেটেড মন্ত্রণালয় এর আইন এবং ওয়ার্ক প্রসেস ফ্লো সম্পর্কিত জ্ঞান।



৩। কালচারাল এক্সেপ্টিবিলিটির জন্য নিজ জেলার বাইরে ভিন্ন জেলায় ৮ মাসের শিক্ষা এটাচমেন্ট, প্রাথমিক-২ মাস, মাধ্যমিক-৩ মাস এবং উচ্চ মাধ্যমিক ৩ মাস।



৪। নিজ একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড এর রোলে ১ বছরের ন্যাশনাল জব সার্ভিস।



এই পুরো সময় (২ বছর ) সরকার একজন গ্রাডুয়েট কে বেতন দিবেন, একটি মানসম্পন্ন কিন্তু ফ্রেশারস স্কেলে।



এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা মানের সমন্বয় করতে হবে, মানে গ্রাডুয়েশন ডিগ্রির কি ধরনের শিক্ষা মান থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের গ্রাডুয়েট কে সরকার ঐ প্রতিষ্ঠানের গ্রাডুয়েট দের ইন্টার্ন হিসেবে এব্জরব করতে বাধ্য থাকিবে। এই স্ট্যান্ডার্ড সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত শিক্ষা মান নিশ্চিত করনে বাধ্য করবে। বিশেষ ভাবে পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় যাদের স্নাতকদের চাকরির বাজারে চাহিদা কম এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় জাদের বিরুদ্ধে নাম সরবস্ব সার্টিফিকেট এডুকেশন দেয়ার অভিজোগ রেয়েছে।



এই বিধান শিক্ষা জীবন কন্টিনিউ করা শিক্ষার্থী দের বেলায় প্রযোজ্য হবে না বরং (শুধুমাত্র) ফুল্টাইম জব এ আগ্রহীদের বেলায় বাধ্যতামূলক।



বর্তমানের মেডিক্যাল ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। বর্তমানের ইন্টার্ন ব্যবস্থা কে বাধ্যতামূলক একাডেমিক এটাচমেন্ট এ নিয়ে, চাকুরী প্রার্থীদের জন্য ন্যাশনাল ইয়ুথ সার্ভিস প্রযোজ্য হবে। (এই ক্ষেত্রে মেডিক্যাল প্র্যাক্টিসিং কন্টিনিউয়েসন কে মাথায় রেখে ৩ নং ধাপ কিছুটা শিথিল যোগ্য। শিক্ষা এটাচমেন্ট, প্রাথমিক-১ মাস, মাধ্যমিক-২ মাস এবং উচ্চ মাধ্যমিক ২ মাস, পরবর্তী সময় ৪ নং এর সাথে একীভূত হবে)।



সব ধারার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ন্যাশনাল সার্ভিসে আসবেন না। স্নাতকোত্তর শিক্ষা শেষে সরকারি জব এ আসতে চাইলে উনাকে ন্যাশনাল সার্ভিস এ এনরোল করতে হবে। সরকারি জব এ ইন্টারেস্টেড না এমন স্নাতক শিক্ষার্থী ডিক্লেরেশন দিয়ে ন্যাশনাল ইয়ুথ সার্ভিস কে ডিনাই করে সরাসরি বেসরকারি জব করতে পারেন। সেক্ষেত্রে উনাকে একটি নিরদিস্ত সময়ের রি ডিসিশন টাইম দেয়া যেতে পারে (যেমন সর্বচ্চ ৫ বসর)। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পর রিসার্চ লেভেলের শিক্ষার্থীও ন্যাশনাল সার্ভিস এর আওতামূক্ত।





BCS এবং সকল সরকারি নিয়োগ প্রথা বিলুপ্ত হবে

(যেখানে প্রাথমিক রিকোয়ারমেন্ট গ্রাডুয়েশন )




ন্যাশনাল ইয়ুথ সার্ভিস এর চারটি ধাপ কঠোর ভাবে মান নিয়ন্ত্রিয়ত গ্রেডিং এর আওতায় আসবে (পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন, লিডারশীপ, ইন্নোভেশন এবং ক্রিয়েটিভিটি ইত্যাদির মানদণ্ডে)। এই গ্রেডিং এবং একাডেমিক রেজাল্ট ক্যাডার অন্তুরভুক্তিতে সরাসরি বিবেচ্য হবে। অন্য কোন ধরেনের পরীক্ষা, ভাইভা, সুপারিশ, এপ্টিচুড টেস্ট নেয়া যাবে না। এই প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে আসা স্টুডেন্ট সখম হতে বাধ্য। এই পুরো ধাপে রাজনৈতিক দুরবিত্তায়ন ঠেকিয়ে মেধা ভিত্তিক জন প্রশাসন গড়া সহজ হবে।



অর্থাৎ আমরা বলছি শিক্ষার্থীর একাডেমিক রেজাল্ট এবং ন্যাশনাল সার্ভিস এর গ্রেডঃ এই দুইয়ের সমন্বয় BCS সহ সকল সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন করবে। প্রতি বছরের গ্রেডিং সিরিয়াল থেকে নিজস্ব রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে গাইড লাইন মেনে যে কোন অধিদপ্তর ক্যান্ডিডেট পিক করবেন, কোন ধরনের পরীক্ষা, ভাইবা, এবং সুপারিশ/তদবির ছাড়া। এটা ওপেন সোরসিং।



ন্যাশনাল সার্ভিস এর যে কোন ক্যাডার চাইলে বেসরকারি জব এ যেতে পারবেন। ন্যাশনাল সার্ভিসের ২ বছর প্রফেশনাল জব সার্ভিস হিসেবে গন্য হবে এবং এর স্বীকৃতি জব এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে প্রদান করা হবে।



বিশবিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগঃ



দুর্নীতি ঠেকাতে আমরা বলেছি, সরাসরি মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রথা চালু করতে। যেহেতু ভাল ছাত্র মাত্রই ভালো শিক্ষক নন, তাই বাধ্যতা মূলক শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

এই মূল্যায়ন করবেন প্রথমতা ছাত্র ছাত্রী এবং পরে আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্যানেল যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নিয়ন্ত্রণ করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে ন্যাশনাল সার্ভিসে এক্সসিলেন্স অর্জনকারী প্রারথীকেও শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবেন।





উচ্চ শিক্ষা স্তরে শিক্ষক মূল্যায়ন



স্নাতক পর্যায়ের সকল মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রতিটি কোর্স এ ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষক মূল্যায়ন এ অংশ নেয়া বাধ্যতামুলক। একাধিক বিষয়ের প্রতিটিতে পর পর ২ টি মূল্যায়নে গ্রান্টেড পয়েন্ট না পাওয়া টিচার কে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই শিক্ষক কে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাস নিতে পাঠাবেন, মাস্টার্স করতে বাধ্য করবেন অথবা রিসার্চ এসোসিয়েট হিসেবে কোন প্রফেসর এর সাথে এটাচ করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের (৬ মাস, ১ বছর ) পরে এবার বিভাগীয় শিক্ষক পেনেল শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে গ্রান্টেড না পাওয়া সেই শিক্ষক কে মূল্যায়ন করবেন। পাস করলে পুনরায় স্নাতকের ক্লাসে ফিরবেন, না হলে এই শিক্ষক মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই শিখকতা করবেন।





প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ ন্যাশনাল সার্ভিস থেকেই আসবে ( একাডেমিক রেজাল্ট এবং ন্যাশনাল সার্ভিসের যৌথ গ্রেড পয়েন্ট থেকে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট থেকে আসবে)। আমরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষক দের যোগ্যতাও স্নাতক পর্যায় হিসেবে কামনা করি, এই দুটিই আসলে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ শিক্ষা ধাপ। বর্তমানের প্রাথমিক নিবন্ধন কিংবা মাধ্যমিক নিবন্ধন নয় যাতে এইচ এসসিপাস/ডিগ্রি কে রকোয়ারমেন্ট হিসেবে ধরা হয়। আমরা চাই সর্বোচ্চ শিক্ষিত রাই শিক্ষার ভীত গড়ে দিন আমাদের পরবর্তী প্রজম্ম কে।



এর তাৎপর্য হোল প্রাথমিক, মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ব বিদ্যালয় এই সকল পর্যায়ের শিক্ষক বৃন্দ একই এন্ট্রি যোগ্যতা এবং একই মানের বেতন কাঠামো উপভোগ করবেন।





শিক্ষা এগিয়ে যাক,

দুর্নীতি নিপাত যাক,

জন প্রশাসন দক্ষ এবং যোগ্য হয়ে উঠুক।





বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।










মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫

অ্যামাটার বলেছেন: ইনোভেটিভ। দারুন কিছু প্রস্তাবনা। পরিবর্তন আসতে বাধ্য।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের ভাগ্য উন্নয়ন আমাদেরই করতে হবে। হন্যে হয়ে খুঁজতে হবে (গবেষণা) পরিবর্তনের ভালো পথ।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

++++++

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
সহমত।
++++++++++++

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার অনুপ্রেরনা।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

সাফকাত আজিজ বলেছেন: ভাই আমলারা কিন্তু আপনারে পছন্দ করবে না, তাদের অদৃশ্য পাওয়ার এ আপনি কিন্তু গুম হয়ে যাবেন..... B-))

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সাফকাত আজিজ ভাই,
আমরা চাই অযোগ্য আমলারা ইন্টেলেক্টুয়াল লেভেল থেকে ডিজেপিয়ার হয়ে যাক! পরিবর্তন কে মেনে নিক রাষ্ট্রের কল্যানের তরে।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: কার এত মাথা ব্যাথা!!!!!!!!!!!!!!

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শরীফ মাহমুদ ভাই, আমাদের অগ্রসর নাগরিকদেরই তো বেশি হওয়া দরকার, তাই নয় কি?

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

ড. জেকিল বলেছেন: দেশের কোন জায়গায় আলু বেশি উৎপাদন হয় সেটা জেনে প্রকৌশলী, ডাক্তার বা পুলিশ কি করবে, এই জিনিস আমার মাথায় ঢোকেনা!!! বিসিএস একটা আকামা পরীক্ষা।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বর্তমানের বি সি এস সিস্টেম কে মান হীনতা, দুর্নীত্‌, অনিয়ম, দলীয় করন, ঘুষ বানিজ্য প্রত্যেকটি এঙ্গেল থেকে তীব্র সমালোচনা করা যায়।

আমি সে দিকে না গিয়ে, সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকে নজর দিয়েছি।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

শাফি উদ্দীন বলেছেন: আমি একমত।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: জনাব শাফি উদ্দীন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: অ্যামাটার বলেছেন: ইনোভেটিভ। দারুন কিছু প্রস্তাবনা। পরিবর্তন আসতে বাধ্য।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্দালিব ভাই, পরিবর্তন আনতেই হবে আমাদের। সে যোগ্যতাও আমাদের রয়েছে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সহমত পোষণ করছি।

ধন্যবাদ, এক নিরুদ্দেশ পথিক।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হেনা ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,




সন্দেহ নেই, খুব প্রয়োজনীয় একটি প্রস্তাব করেছেন । আন্তরিকতার সাথেই করেছেন । বিসিএস ক্যাডারদের ভেতর অযোগ্য লোকের অনুপ্রবেশ আপনাকে বিচলিত করেছে বলেই হয়তো এই প্রস্তাব । বতর্মান বিসিএস ক্যাডারদের হালচাল, মেধা দেখে তাদের সম্পর্কে ভালো ধারনা না হওয়ার ধারনাটি একদম ঠিক আপনার । অবশ্য আপনি কেন এই প্রস্তাবটি করলেন সে সম্পর্কে কিছু বলেন নি । উপক্রমনিকায় তা থাকলে ভালো হতো ।
যাই হোক, কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ।
শুরুতেই বলেছেন - “সরকারি (ক্যাডার, নন ক্যাডার যেখানে স্নাতক নুন্যতম যোগ্যতা) চাকুরিতে আগ্রহীদের জন্য ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস প্রবর্তিত হবে। “
ভালো কথা ।
কিন্তু প্রতিবছর যেখানে হাযার হাযার স্নাতক শিক্ষা শেষে বেরুচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের ৯৫ ভাগই তো যেনতেন একটি সরকারী চাকুরীর জন্যে বসে আছেন । সরকারের কি সে সঙ্গতি আছে, যে এভাবে প্রতি বছর হাযার হাযার স্নাতককে চাকুরী দিতে পারবেন ? বিভিন্ন শিক্ষা মানের সমন্বয় না হয় করা গেলো ( যদিও তা একটি মহাযজ্ঞ )এবং আপনার ইয়থ সার্ভিস এর ৪ টি স্কোপ বাস্তবায়নও হয়তো সম্ভব , কিন্তু সরকারের কর্মসংস্থান কই ? অদুর ভবিষ্যতেও হবে কিনা সন্দেহ আছে প্রচুর । তার উপর এদেরকে এই পুরো সময় (২ বছর ) একটি মানসম্পন্ন কিন্তু ফ্রেশারস স্কেলে একজন গ্রাডুয়েটের বেতন দিতে হবে । এটা আদৌ সম্ভব কী ? আমাদের অর্থনীতি কি এতোটাই সবল ? তার উপর লিখেছেন , “ন্যাশনাল সার্ভিস এর যে কোন ক্যাডার চাইলে বেসরকারি জব এ যেতে পারবেন।“ এটা কি হয় । সরকার খামোখা কেন এদের জন্যে গাঁটের পয়সা খরচ করবেন ?

এই সুন্দর এবং সঠিক প্রস্তাবনাটি তো এখানেই মার খেয়ে যাবে ।

আপনি বিসিএস ক্যাডারদের মান দেখে হতাশ হয়েই সম্ভবত এই প্রস্তাবটি করেছেন । হয়তো দেখেছেন, বিসিএস দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের চেহারা –সূরত, বেশ-ভূষা, কথা-বর্তা , চলন -বলন মোটেও দেশের কর্ণধার হওয়ার মাপকাঠিতে ধারে কাছেও নেই । তারপরেও এরাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারী পদে বসেন বা বসবেন । তাই, যেমন গাছ তেমন ফলই ধরবে । এটাই হয়তো আপনার এবং আমাদেরও আক্ষেপ ।
আপনি কি জানেন, বৃটিশ ভারতে এবং পরবর্তীতে তৎকালীন পাকিস্তান ও ভারতেও যথাক্রমে আইসিএস, সিএসপি এবং আইসিএস পদে তাদেরকেই নেয়া হতো, যোগ্যতার পাশাপাশি যাদের থাকতো পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক একটা পরিচয় ? শিক্ষা আর যোগ্যতা থাকলেও শুধুমাত্র পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকার কারনে এদের প্রাথমিক পরীক্ষাতেও বসতে দেয়া হতোনা ? আমাদের এখানে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মোটেই আমলে নেয়া হয়না ?
এখোন প্রশ্ন আসবে , পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রয়োজনটা কি ? যে সততার কথা, যে দূর্নীতিহীনতার কথা, যে নৈতিকতার কথা, যে শিক্ষার কথা আপনি বলেছেন তার বীজ তো রোপিত হয় পরিবারেই । আশেপাশের তেমন পরিবেশ আমাদের সংস্কৃতবান করে তোলে । আমাদের অধিকাংশের বেলাতেই এই পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের দৈন্যতাই প্রকট । তাই এই সব বিসিএস ক্যাডারদের থেকে আপনি হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানটিই পাবেন কিন্তু সততা, সহবত, নীতিবানতা , নৈতিকতা, রুচিশীলতা , ধীমানতা ইত্যাদি যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দিতে ব্যর্থ ; তা পাবেন না ।
বিস্তৃত ব্যাখ্যার সুযোগ যেহেতু এখানে নেই তাই সংক্ষেপে আপনার সাথে সহমত জানিয়ে বলি - ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস সীমিত স্নাতকদের জন্যে হতে পারে ( অথচ আপনার প্রথম দু’লাইনে ঢালাও ভাব দেখা যাচ্ছে ) যা আমাদের সরকারের জন্যেও করা হয়তো সম্ভব । যারা এই ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিস এর আওতায় আসতে চাইবেন তাদের বাছাই প্রক্রিয়ায় একটি চেক লিষ্ট , পজিশান স্পেসিফিকেশান থাকার কথা আপনার প্রস্তাবের পাশাপাশি রাখতে চাই । যেখানে মেধা, মনন, শিক্ষার সাথে সাথে পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যাপারটিও মূখ্য যোগ্যতার একটি হতে হবে । এই ব্যাকগ্রাউন্ডে তার পরিবারটিকে যে “সৈয়দ” বংশীয় হতেই হবে এমোন কোনও কথা নেই । তার পরিবেশটি যে গুলশান-বনানীর হতে হবে তার ও কোনও মানে নেই । আগ্রহী স্নাতকটি একটি ভদ্র কৃষক পরিবার থেকেও আসতে পারেন । আসতে পারেন ভদ্র পরিবেশ থেকেও । মনে রাখবেন “ভদ্র” ।
তবেই হয়তো আপনার কাঙ্খিত ক্যাডারটির দেখা পাবেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আহমেদ ভাই, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। অনেক গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় উঠিয়েছেন। আপনি খুবই পটেনশিয়াল ফিডব্যাক দিয়েছেন। আমি হাই লেভেল প্ল্যান এবং সল্যুশন আলোচনা করেছি। আপনি ডিটেইল লেভেল আলোচনার প্রেক্ষাপট নিয়ে এসেছেন। অনেক গুলো প্ল্যান মিলিয়ে ফান্ডিং সক্ষমতা আলোচনা করার প্ল্যান আছে আমার, ইনশা আল্লাহ্‌ সামনের দিনে এই কাজ করব

প্রতিবছর যেখানে হাজার হাজার স্নাতক শিক্ষা শেষে বেরুচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বেশীর ভাগই তো যেনতেন একটি সরকারী চাকুরীর জন্যে বসে আছেন । এর ভার সরকার নিবে?

এই ব্যাপক সংখ্যাক স্নাতককে ২ বছরের জন্য আর্থিক ভাবে এভেইল করতে গেলেই তবে সরকার ও প্রশাসন বুঝবে আসলে তারা কি কি করছে না, তাদের কোন পর্যায়ের এবং সত্যিকারের কি কি সক্ষমতা দরকার। এটা তাদের অন্য অনেক ভালো কাজের ট্রিগার করাবে, যেমন হতে পারে-

১। বেসরকারি খাত কিভাবে বিকশিত এবং লুক্রেটিভ করে, স্নাতক দের বেসরকারি সেক্টরে যেতে মোটিভেট করা। বেসরকারি খাত বিকশিত এবং লুক্রেটিভ করার সকল বাঁধা উন্মুক্ত করা। দেশের রাজনীতি কে সহনশীল করে কল্যানের দিকে নেয়া। মুদ্রানিতি ব্যবসা বান্ধব এবং বিনিয়োগ বান্ধব করা।
২। দুর্নীতি চাঁদাবাজি মধ্যস্বত্ব দালালি কমিয়ে প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে, রাষ্ট্রের সক্ষমতা বাড়ানো।
৩। রাজনৈতিক বিবেচনায় অহেতুক প্রজেক্ট কমিয়ে বাজেটের উপর চাপ কমানো।
৪। সময় নিয়ন্ত্রিত প্রজেক্ট কমিয়ে প্রকল্প ব্যয় ব্রিদ্ধির লাগাম টেনে ধরে বাজেটের উপর চাপ কমানো।
৫। নতুন স্নাতক দের কোম্পানি খোলার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেয়া, আদায়ের স্টিকি কিন্তু লুক্রেটিভ ধাপ রেখে অতি সহজ ঋণ ব্যবস্থাপনা করা।
৬। ভেঞ্চার ক্যাপিটালিজম কে প্রোমোট করে, স্টুডেন্ট দের আইডিয়া কে প্রোডাক্ট লেভেলে নিতে সাহায্য করা।
৭। শিক্ষার মান বাড়ালে প্রথম দিকে পাস করা গ্রাডুয়েট অনেক কমবে, বছর ৫-১০ পরে আবার ঠিক হবে।
৮। সরকার ও প্রশাসন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে আরো সচেতন এবং স্ট্রিক্ট হবে।
৯। সরকারী চাকরির বয়স সীমা কমিয়ে ইয়ং দের প্রাধান্য দিবে।
১০। রিসার্চ এর ফিল্ড বাড়াবে যাতে ন্যাশনাল সার্ভিসে চাপ কমে।
১১। উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ গামীতাকে এঙ্কারেজ করবে।
১২। প্রতিরক্ষা খাতের লাগাম কিছুটা টেনে ধরা।

ইত্যাদি।

ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা মানের সমন্বয় করা ( যদিও তা একটি মহাযজ্ঞ )

এটা করতেই হবে। ন্যাশনাল সার্ভিস না করলেও এটা করা উচিত।


এই পুরো সময় (২ বছর ) একটি মানসম্পন্ন কিন্তু ফ্রেশারস স্কেলে একজন গ্রাডুয়েটের বেতন দিতে হবে । এটা আদৌ সম্ভব কী ? আমাদের অর্থনীতি কি এতোটাই সবল ?

২০১৩ র একটি আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন অডিট অনুসারে দেশে স্নাতক ১ম বর্ষের আসন সংখ্যা-

১,৩১,৯৩২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ৬০.১৮%
৮৭,২৯৭ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় -৩৯.৮২%

মোট ২,১৯,২২৯ জন।

যদি ধরি, মোট শিক্ষার্থীর ৭৫% নিয়মিত পাশ করবেন (উচ্চাভিলাষী)।তাহলে দাঁড়ায় প্রতি বছর পাস করে বের হবেন ১,৬৪,৪২২ জন স্নাতক।

৮,০০০ টাকা করে ১,৬৪,৪২২*৮,০০০=১৩১,৫৩৭৪০০০ টাকা মাসিক। বাৎসরিক ১৫৭৮,৪৫১২০০০ টাকা।

ম্যাক্সিমাম ১৫৮০ কোটি টাকা, পাস করা সকল গ্রাডুয়েট দের জন্য।
এই টাকার ভার বহনে আমাদের বাজেট পুরোপুরি সক্ষম।

এই হিসেব যথেষ্ট অতিরঞ্জিত, কারন বর্তমানে মাত্র ৩,৫০০ - ৪,০০০ ক্যাডার এবং নন ক্যাডার পিএসসির হাত ধরে সরকারি জবে আসছেন। শিক্ষক, অনান্য প্রথম শ্রেণীর নিয়োগ এবং স্পেশল বি সি এস মিলে মোট বাৎসরিক সরকারি নিয়োগ মোট নিয়োগের অনূর্ধ্ব ৫%। এটা আসলে আমাদের বেসরকারি খাতের সক্ষমতা এবং বিশালতা নির্দেশ করে, মানে বলতে গেলে সবাইকেই এবজরব করছে প্রাইভেট সেক্টর। উপরন্তু, প্রথমেই বলা হয়েছে বেসরকারি খাতে জব করতে চাইলে একজন স্নাতককে ন্যাশনাল সার্ভিসে আসতে হবে না। তাছাড়া ক্যারিয়ার সচেতন স্নাতক হ্যান্ডসাম স্যালারি ছেড়ে ন্যাশনাল সার্ভিসে নাও আসতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক। মোট কথা, মোট পাশ করা স্নাতকদের একটু উল্লেখযোগ্য অংশ ন্যাশনাল সার্ভিসে আসবেন না। সেক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয় আসলে এই হিসেব এর অনেক কমই হবে।


“ন্যাশনাল সার্ভিস এর যে কোন ক্যাডার চাইলে বেসরকারি জব এ যেতে পারবেন।“ এটা কি হয়? সরকার খামোখা কেন এদের জন্যে গাঁটের পয়সা খরচ করবেন ?


রাস্ট্র সকল নাগরিকের। তার উপর এই পাশ করা স্নাতক রাষ্ট্রকে সার্ভিস দিয়েই বেতন নিচ্ছেন। তাছাড়া বেসরকারি খাতে স্কিল সাপ্লাই করাও সরকারের কাজের অংশ। এতে আসলে সরকারের উপর ব্যাপক নিয়োগ দানের বাধ্য বাধকতা কমাবে, কারন এরই মধ্যে রিসোর্স ডেভেল্প করেছে।


বিসিএস দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের চেহারা –সূরত, বেশ-ভূষা, কথা-বর্তা , চলন -বলন মোটেও দেশের কর্ণধার হওয়ার মাপকাঠিতে ধারে কাছেও নেই ।

বেশভূষা দেখে, রেফারেন্স নিয়ে, স্মার্টনেস দেখে চাকরি দেবার দিন শেষ করার সময় হয়েছে। দেখতে গ্রাম্য কিংবা খ্যাত হলেও প্রোডাক্টিভ, ইন্নোভেটিভ, ক্রিটিয়েটিভ বা সতিক্যারের মেধাবী হলে রিক্রুট করতেই হবে। প্রতিযোগিতা বাড়লে বেশ ভুষা দেখার সময় থাকবে না।


যেখানে মেধা, মনন, শিক্ষার সাথে সাথে পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যাপারটিও মূখ্য যোগ্যতার একটি হতে হবে ।

সোশ্যাল ভ্যালূ এবং এথিকস, ডাইভারসিফাইড কালচারাল এডাপ্টিবিলিটি এবং এক্সেপ্টিবিলিটি স্কুল এডুকেশনে ঢুকাতে হবে।

ভিন্ন একটা প্ল্যান আছে এই বিষয়ে।

নির্দিষ্ট পরিমান ভূমি নাই এইধরনের কৃষক, সম্পূর্ণ ভূমি হীন কৃষক, বস্তি বাসী, রিক্সা অয়ালা, ভাসমান শ্রমিক, ভুমি হীন উপজাতি ইত্যাদি এবং বিশেষ ভাবে গার্মেন্টস পরিবারের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা উপকরন দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফ্রি প্রাথমিক, ফ্রি মাধ্যমিক, ফ্রি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, সেই সাথে ফ্রি শিক্ষা উপকরনের বন্দোবস্ত করতে হবে। শিক্ষা উপকরন হিসেবে বই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খাতা-কলম-পেন্সিল, বছরে একটি স্কুল ব্যাগ , একটি স্কুল ইউনিফর্ম এবং একজোড়া জুতা প্রদানকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থী কে একটি জ্যামিতি বক্স ফ্রি দেয়া যেতে পারে। এটি ক্লাস সিক্স এ উঠলেই ফ্রি বই বিতরনের সময় দেয়া যেতে পারে। ফ্রি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থী দের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে, শিক্ষার প্রতি মটিভেশন আনবে।

এন্ট্রান্স ফেসিলিটি লুক্রেটিভ করে বেশি থেকে বেশি পরিবারকে শিক্ষায় আওতায় এনে, এথিক্যাল এবং কালচারাল ভ্যালু এড করতে হবে। দেশাত্ববোধ বাড়বে।


অবহেলিত পেশায় (গার্মেন্টস, বিক্সা চালক, বুয়া, ভাসমান শ্রমিক) একের বেশি জেনারেশন কাজ করলে তারা স্থায়ী ভাবে শোষিত শ্রেণী হিসেবে আত্বপ্রকাশ করে দেশের অর্থনৈতিক সাম্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা নষ্ট করার কারন হবে। তাই রাষ্ট্রকে এই অবহেলিত গ্রুপ কে উন্নত জীবন মানের দিকে লুফিয়ে আনতে হবে।

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫০

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর সব প্রথা বাতিল হোক।।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর সব প্রথা বাতিল হোক।

ফারজুল আরেফিন ভাই, সহমত আপনার সাথে।

বি সি এস বাতিল সকল বাতিল দাবির অগ্রগণ্য, এই প্রথাই রাষ্ট্রের ওয়ার্ক ফোর্স এর নিয়োগ দিচ্ছে।


অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
প্রতিবছর যেখানে হাজার হাজার স্নাতক শিক্ষা শেষে বেরুচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বেশীর ভাগই তো যেনতেন একটি সরকারী চাকুরীর জন্যে বসে আছেন । এর ভার সরকার নিবে?

এই ব্যাপক সংখ্যাক স্নাতককে ২ বছরের জন্য আর্থিক ভাবে এভেইল করতে গেলেই তবে সরকার ও প্রশাসন বুঝবে আসলে তারা কি কি করছে না, তাদের কোন পর্যায়ের এবং সত্যিকারের কি কি সক্ষমতা দরকার। এটা তাদের অন্য অনেক ভালো কাজের ট্রিগার করাবে, যেমন হতে পারে-

১। বেসরকারি খাত কিভাবে বিকশিত এবং লুক্রেটিভ করে, স্নাতক দের বেসরকারি সেক্টরে যেতে মোটিভেট করা। বেসরকারি খাত বিকশিত এবং লুক্রেটিভ করার সকল বাঁধা উন্মুক্ত করা। দেশের রাজনীতি কে সহনশীল করে কল্যানের দিকে নেয়া। মুদ্রানিতি ব্যবসা বান্ধব এবং বিনিয়োগ বান্ধব করা।
২। দুর্নীতি চাঁদাবাজি মধ্যস্বত্ব দালালি কমিয়ে প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে, রাষ্ট্রের সক্ষমতা বাড়ানো।
৩। রাজনৈতিক বিবেচনায় অহেতুক প্রজেক্ট কমিয়ে বাজেটের উপর চাপ কমানো।
৪। সময় নিয়ন্ত্রিত প্রজেক্ট কমিয়ে প্রকল্প ব্যয় ব্রিদ্ধির লাগাম টেনে ধরে বাজেটের উপর চাপ কমানো।
৫। নতুন স্নাতক দের কোম্পানি খোলার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেয়া, আদায়ের স্টিকি কিন্তু লুক্রেটিভ ধাপ রেখে অতি সহজ ঋণ ব্যবস্থাপনা করা।
৬। ভেঞ্চার ক্যাপিটালিজম কে প্রোমোট করে, স্টুডেন্ট দের আইডিয়া কে প্রোডাক্ট লেভেলে নিতে সাহায্য করা।
৭। শিক্ষার মান বাড়ালে প্রথম দিকে পাস করা গ্রাডুয়েট অনেক কমবে, বছর ৫-১০ পরে আবার ঠিক হবে।
৮। সরকার ও প্রশাসন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে আরো সচেতন এবং স্ট্রিক্ট হবে।
৯। সরকারী চাকরির বয়স সীমা কমিয়ে ইয়ং দের প্রাধান্য দিবে।
১০। রিসার্চ এর ফিল্ড বাড়াবে যাতে ন্যাশনাল সার্ভিসে চাপ কমে।
১১। উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ গামীতাকে এঙ্কারেজ করবে।
১২। প্রতিরক্ষা খাতের লাগাম কিছুটা টেনে ধরা।

ইত্যাদি।

ন্যাশনাল ইয়থ সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা মানের সমন্বয় করা ( যদিও তা একটি মহাযজ্ঞ )

এটা করতেই হবে। ন্যাশনাল সার্ভিস না করলেও এটা করা উচিত।


এই পুরো সময় (২ বছর ) একটি মানসম্পন্ন কিন্তু ফ্রেশারস স্কেলে একজন গ্রাডুয়েটের বেতন দিতে হবে । এটা আদৌ সম্ভব কী ? আমাদের অর্থনীতি কি এতোটাই সবল ?

২০১৩ র একটি আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন অডিট অনুসারে দেশে স্নাতক ১ম বর্ষের আসন সংখ্যা-

১,৩১,৯৩২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ৬০.১৮%
৮৭,২৯৭ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় -৩৯.৮২%

মোট ২,১৯,২২৯ জন।

যদি ধরি, মোট শিক্ষার্থীর ৭৫% নিয়মিত পাশ করবেন (উচ্চাভিলাষী)।তাহলে দাঁড়ায় প্রতি বছর পাস করে বের হবেন ১,৬৪,৪২২ জন স্নাতক।

৮,০০০ টাকা করে ১,৬৪,৪২২*৮,০০০=১৩১,৫৩৭৪০০০ টাকা মাসিক। বাৎসরিক ১৫৭৮,৪৫১২০০০ টাকা।

ম্যাক্সিমাম ১৫৮০ কোটি টাকা, পাস করা সকল গ্রাডুয়েট দের জন্য।
এই টাকার ভার বহনে আমাদের বাজেট পুরোপুরি সক্ষম।

এই হিসেব যথেষ্ট অতিরঞ্জিত, কারন বর্তমানে মাত্র ৩,৫০০ - ৪,০০০ ক্যাডার এবং নন ক্যাডার পিএসসির হাত ধরে সরকারি জবে আসছেন। শিক্ষক, অনান্য প্রথম শ্রেণীর নিয়োগ এবং স্পেশল বি সি এস মিলে মোট বাৎসরিক সরকারি নিয়োগ মোট নিয়োগের অনূর্ধ্ব ৫%। এটা আসলে আমাদের বেসরকারি খাতের সক্ষমতা এবং বিশালতা নির্দেশ করে, মানে বলতে গেলে সবাইকেই এবজরব করছে প্রাইভেট সেক্টর। উপরন্তু, প্রথমেই বলা হয়েছে বেসরকারি খাতে জব করতে চাইলে একজন স্নাতককে ন্যাশনাল সার্ভিসে আসতে হবে না। তাছাড়া ক্যারিয়ার সচেতন স্নাতক হ্যান্ডসাম স্যালারি ছেড়ে ন্যাশনাল সার্ভিসে নাও আসতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক। মোট কথা, মোট পাশ করা স্নাতকদের একটু উল্লেখযোগ্য অংশ ন্যাশনাল সার্ভিসে আসবেন না। সেক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয় আসলে এই হিসেব এর অনেক কমই হবে।


“ন্যাশনাল সার্ভিস এর যে কোন ক্যাডার চাইলে বেসরকারি জব এ যেতে পারবেন।“ এটা কি হয়? সরকার খামোখা কেন এদের জন্যে গাঁটের পয়সা খরচ করবেন ?


রাস্ট্র সকল নাগরিকের। তার উপর এই পাশ করা স্নাতক রাষ্ট্রকে সার্ভিস দিয়েই বেতন নিচ্ছেন। তাছাড়া বেসরকারি খাতে স্কিল সাপ্লাই করাও সরকারের কাজের অংশ। এতে আসলে সরকারের উপর ব্যাপক নিয়োগ দানের বাধ্য বাধকতা কমাবে, কারন এরই মধ্যে রিসোর্স ডেভেল্প করেছে।


বিসিএস দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের চেহারা –সূরত, বেশ-ভূষা, কথা-বর্তা , চলন -বলন মোটেও দেশের কর্ণধার হওয়ার মাপকাঠিতে ধারে কাছেও নেই ।

বেশভূষা দেখে, রেফারেন্স নিয়ে, স্মার্টনেস দেখে চাকরি দেবার দিন শেষ করার সময় হয়েছে। দেখতে গ্রাম্য কিংবা খ্যাত হলেও প্রোডাক্টিভ, ইন্নোভেটিভ, ক্রিটিয়েটিভ বা সতিক্যারের মেধাবী হলে রিক্রুট করতেই হবে। প্রতিযোগিতা বাড়লে বেশ ভুষা দেখার সময় থাকবে না।


যেখানে মেধা, মনন, শিক্ষার সাথে সাথে পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যাপারটিও মূখ্য যোগ্যতার একটি হতে হবে ।

সোশ্যাল ভ্যালূ এবং এথিকস, ডাইভারসিফাইড কালচারাল এডাপ্টিবিলিটি এবং এক্সেপ্টিবিলিটি স্কুল এডুকেশনে ঢুকাতে হবে।

ভিন্ন একটা প্ল্যান আছে এই বিষয়ে।

নির্দিষ্ট পরিমান ভূমি নাই এইধরনের কৃষক, সম্পূর্ণ ভূমি হীন কৃষক, বস্তি বাসী, রিক্সা অয়ালা, ভাসমান শ্রমিক, ভুমি হীন উপজাতি ইত্যাদি এবং বিশেষ ভাবে গার্মেন্টস পরিবারের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা উপকরন দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফ্রি প্রাথমিক, ফ্রি মাধ্যমিক, ফ্রি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, সেই সাথে ফ্রি শিক্ষা উপকরনের বন্দোবস্ত করতে হবে। শিক্ষা উপকরন হিসেবে বই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খাতা-কলম-পেন্সিল, বছরে একটি স্কুল ব্যাগ , একটি স্কুল ইউনিফর্ম এবং একজোড়া জুতা প্রদানকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থী কে একটি জ্যামিতি বক্স ফ্রি দেয়া যেতে পারে। এটি ক্লাস সিক্স এ উঠলেই ফ্রি বই বিতরনের সময় দেয়া যেতে পারে। ফ্রি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থী দের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে, শিক্ষার প্রতি মটিভেশন আনবে।

এন্ট্রান্স ফেসিলিটি লুক্রেটিভ করে বেশি থেকে বেশি পরিবারকে শিক্ষায় আওতায় এনে, এথিক্যাল এবং কালচারাল ভ্যালু এড করতে হবে। দেশাত্ববোধ বাড়বে।


অবহেলিত পেশায় (গার্মেন্টস, বিক্সা চালক, বুয়া, ভাসমান শ্রমিক) একের বেশি জেনারেশন কাজ করলে তারা স্থায়ী ভাবে শোষিত শ্রেণী হিসেবে আত্বপ্রকাশ করে দেশের অর্থনৈতিক সাম্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা নষ্ট করার কারন হবে। তাই রাষ্ট্রকে এই অবহেলিত গ্রুপ কে উন্নত জীবন মানের দিকে লুফিয়ে আনতে হবে।

১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,


আবারও আসতে হলো । অনেকটা বিস্তৃত ভাবে দেয়া জবাবের জন্যে ধন্যবাদ ।

একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে আপনার চেতনার প্রশংসা করতেই হয় ।
অনেক গুলো প্ল্যান মিলিয়ে ফান্ডিং সক্ষমতা আলোচনা করার প্ল্যান আছে আপনার । কিন্তু এই বিষয়টি যে একটি মাল্টি-ফ্যাক্টোরাল ব্যাপার । পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিপুল সংস্কারের প্রয়োজন হবে । প্রয়োজন হবে আরো অনেক কিছুর খোল-নলচে পাল্টানোর ।

আর স্নাতকদের চেহারা-সুরত, পোষাক-পরিচ্ছদ এর কথা বলে আমি কিন্তু বোঝাতে চেয়েছি “ মানসিকতা” বা মেন্টাল সেটআপের বিষয়টি । এটার দৈন্যতাই সব কাজের আসল বাধা যেটা আপনিও বলেছেন এভাবে - এন্ট্রান্স ফেসিলিটি লুক্রেটিভ করে বেশি থেকে বেশি পরিবারকে শিক্ষায় আওতায় এনে, এথিক্যাল এবং কালচারাল ভ্যালু এড করতে হবে। দেশাত্ববোধ বাড়বে।

সব মিলিয়ে আবারও অল্পতেই বলি, আপনার সব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের কাজগুলো করবে কে ? মূল উদ্দোগ তো নেবে সরকার , তাইতো ? বাকীটা জনগন । এখোন প্রশ্ন – কোন সরকার ? আমাদের কোন সরকারটি জনবান্ধব ? আপনার আমার ভোটে (আমি ভোট দিইনা ) নির্বাচিত একটি সরকার তো ? এরা তো কমবেশি সবাই –ই সুবিধাবাদী, লুটেরা রাজনীতিক আর ধনিক শ্রেনী । এদের কাছ থেকে আপনি কতোখানি আশা করেন ? আপামর জনগণের কল্যান ? আপনি কি জানেন না , আপনার মতো শত শত উদ্দোগী তরুন মাত্র ৮/১০ লাখ টাকা ঋন পায়না কোনও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বছরের পর বছর ঘুরেও, যা দিয়ে তারা বেসরকারী ভাবে একটা শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলতে পারেন ? সরকারেরও মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে ? অথচ হাযার কোটি টাকা আগ বাড়িয়ে প্রতাপশালীদের দেয়ার জন্যে এই অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ই বসে আছে ?

সরকার ও প্রশাসন বুঝবে আসলে তারা কি কি করছে না, তাদের কোন পর্যায়ের এবং সত্যিকারের কি কি সক্ষমতা দরকার।

একটি সরকারও যদি এটা বুঝতো তবে আপনাকে আজ এ জাতীয় লেখা লিখতে হতোনা ।
জনগণ যদি স্বনির্ভর আর জ্ঞানী হয়েই যায় তবে মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবেন কি করে ? আপনাকে তো ক্ষমতার বড়াই ছেড়ে জনতার কাতার নেমে আসতে হবে ! সংক্ষেপে এটুকু বলা ।

এবার জনগণ । আপনার মতো তরুন মনের , যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন তারা কতোজন ? আপনি নিজেই জানেন এর সংখ্যা । সিংহভাগের ও বেশী তরুন জনগণ তো নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত । তাই এরা যথারীতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সংস্কৃতিতেই জোয়ার দেবেন , মানে ভোটের রাজনীতির পক্ষেই কথা বলবেন যাতে কোনও না কোনও ভাবে আখের গোছানোর পথটি খোলা রাখা যায় । এবং এটা রাখতেই হবে যে কোনও মূল্যে । আমার এই বক্তব্যে আপনার দ্বিমত থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু এই চরম সত্যটি আপনার চোখের সামনেই গত ৪০ বছর ধরেই দেখছেন । দেখতে হবে আরো ।

আপনি একটি কুড়েঘরকে রি-মডেলিং করে আর একটি কুড়েঘরই বানাতে পারবেন , ইমারত নয় । কুড়েঘরের জায়গাতে ইমারত বানাতে হলে আগে কুড়েঘরখানাকেই ভেঙ্গে ফেলতে হবে । তার মানে আপনার এই সুন্দর স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করতে হলে সমাজ-রাষ্ট্রের খোল-নলচে পাল্টাতে হবেই । আগেই বলেছি সমগ্র বিষয়টি একটি মাল্টি-ফ্যাক্টোরাল ব্যাপার । তাই পাশাপাশি আপনার কাছ থেকে সমাজ-রাষ্ট্রের খোল-নলচে পাল্টানোর প্রক্রিয়াটিও আশা করবো ।

আশা করি আমি কি বলতে চেয়েছি তা বুঝতে পেরেছেন । যতোবেশী তরুন আপনার মতো করে ভাবতে শিখবেন, আপনার মতো স্বপ্ন দেখতে পারবেন ততোই আমরা আশাবাদী হতে পারবো । কিছু না পাওয়ার ভেতরে এটাই আমাদের অনেক পাওয়া ।

ধন্যবাদান্তে ।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

গরল বলেছেন: সরকারী সার্ভিসকে তিনটা ধাপে ভাগ করলে কেমন হয়, যেমন জেনারেল লেভেল, প্রফেশনাল লেভেল এবং লিডারশিপ লেভেল। এখন মানুষ শুধু জীবনে একটা ধাপেই চাকুরীতে ঢোকার সুযোগ পায় এবং নির্দিষ্ট বছর পর পর পরের ধাপের প্রমোশণ নিশ্চিত বলে মান উন্নয়নের কোন আগ্রহ থাকে না। গাধা যদি আগে চাকুরীতে ঢোকে তবে ঘোড়াকে দৌড়ে তার পেছনেই থাকতে হয়, এগিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। তাই প্রত্যেককেই জেনারেল লেভেল সম্পন্ন করার পর প্রফেশনাল লেভেলে যাওয়ার জন্য আবার সরকারী বেসরকারী সবার সাথে প্রতিযোগীতা করেই যেতে হবে। একই ভাবে লীডারশিপ লেভেল। তাহলে সব লেভেলেই যেমন যোগ্যতা ও মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে তেমনি ছিটকে পড়ার ভয়ে কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার প্রবণতা ও সেলফ ডেভলপমেন্ট এর আগ্রহ বাড়বে।

১৫| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার বলেছেন :)

তবে ৫ বছর পরেও যা ছিলো তাই আছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.