নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নগর গনপরিবহন ব্যবস্থাপনা এবং ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম ডিজাইন ভাবনা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

ঢাকা মহানগরঃ



ঢাকা মেট্রো ট্রেন


১) ঢাকায় এলেভেটেড এক্সপ্রেস সড়ক ডিজাইন এবং বাস্তবায়নের আগেই ম্যসিভ কানেক্টিভিটি দিয়ে ওভারহেড মেট্রো রেল নির্মাণ এর ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। এলেভেটেড এক্সপ্রেস সড়ক এর কিছু অপরিকল্পিত কাজ শুরু হয়ে গেসে ইতিমধ্যেই, আমাদের কে এটা অনুধাবন করতে হবে যে এই ধরনের প্রকল্প বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরের অপরিকল্পিত রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না। বরং এটা সাধারনের চলার পথ কে অতি সংকুচিত করে ট্রাফিক জ্যাম বাড়াবে। অন্যদিকে উপরের এক্সপ্রেস নামধারি আরেক ন্যারো রোড কে জ্যাম মুক্ত এবং আর্থিক ভাবে লোভনীয় রাখতে ধনীর চলাচলের উপর অতিরিক্ত আর্থিক দেনার ভার চাপাবে। ধনীর সামর্থ্য আছে কি নাই সেটা রাষ্ট্রের ভাবার বিষয় হলেও, এটা আগে ভাবতে হবে যে ধনীর উপর এইধরনের অপরিকল্পিত করারোপ বা ভ্যাট আরোপ অবসেশে তার নিয়ন্ত্রিত শ্রমিকের মাসিক বেতনের উপরই চাপে।



ঢাকায় বাই ডিরেকশনাল (সেপারেট টু এন্ড ফ্রম লাইন) মেট্রো রেল নির্মাণের উপর গুরত্বারোপ করতে হবে যাতে ঘন বসতি পূর্ণ ঢাকা কে মাস কানেক্টিভিটি দেয়া যায়। এই কানেক্টিভিটিতে নিন্ম বিত্ত এবং অধিক ঘন বসতি পূর্ণ এলাকা সমুহকে বেশি গুরুত্ব পূর্ণ।

অধিক ঘনবসতি পূর্ণ হওয়ায় মনো রেল প্রকল্প ঢাকায় কম কার্যকর, অধিক রুটের এবং বেশি অর্থ বহুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে মনো রেলের উপযোগিতা নির্ধারণ এ উচ্চ কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন হাইলি এক্সপার্ট বা কোম্পানী কে দিয়ে করতে হবে।



তেমনি ভাবে বন্যা ও ড্রেন ব্যবস্থাপনার সাথে সামঞ্জাস্য রেখে আন্ডার গ্রাউন্ড মেট্রো রেল এর উপযোগিতা সমীক্ষাও করতে হবে। অধিক রুটের মনো রেল প্রকল্প নিয়েও সমীক্ষা করা যায়, আন্ত রুট (লাইন) সংযোগ, স্পেস এভেইয়াবিলিটি এবং খরচ কে গুরুত্ব দিয়ে। অর্থাৎ ওভার হেড বাই ডিরেকশনাল মেট্রো রেলের প্রস্থাবনা করলেও আমরা বলছি ম্যাসিভ কানেক্টিভিটির মনো রেল কিংবা আন্ডারগ্রান্ড বাই ডিরেকশনাল (সেপারেট লাইন) ইত্যাদি বিকল্প লাইনকেও অত্যন্ত রিচ কারিগরি সমীক্ষার আওতায় আনতে হবে। সবগুলো প্রকল্পকে ফিউচার এক্সপানশন এর কথা মাথায় রেখে ফেইজ বাই ফেইজ ক্যাপাসিটি বাড়ানোর রোডম্যাপ বানাতে হবে। (নোটঃ ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সাথে নগরী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও গুরুত্বপূর্ণ।)



মেট্রো রেল এর গতিপথ ডিজাইন করতে হবে মাস কানেক্টিভিটির কথা মাথায় রেখে। যাতে নগরীর প্রায় প্রত্যেকটি এলাকাকে কভার করা যায়। এবং ডাইমেনশন করতে হবে ট্রাফিক বেইজ এর সঠিক ধারনার ভিত্তিতে, সেই সাথে ৫০-৮০ বছরের ট্রাফিক গ্রোথ কে ফোরকাস্ট করতে হবে নিখুত ভাবে। এই ডিজাইন এবং ডাইমেনশন ফেইজ ই হলো টেকনলজি ইন্ট্রোডাকশন এর সবচাইতে গুরুত্ব পূর্ণ দিক, এর পরেই কেবল আসবে পরবর্তীতে আসবে অর্থায়ন । অন্যথায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের মেট্রো মুখ থুবড়ে পড়বে।



ঢাকার সড়ক ডিজাইনঃ



৬ টি ধাপ, এই ধাপ সমূহ শুধু মাত্র মেট্রো রেল ডিজাইনের পরেই আসবে। সিকোয়েন্স উলট পালট করলে পরবর্তী ট্রান্সপোর্ট টেকনোলজি ডিপ্লয়মেন্ট অনেক অনেক বেশী খরুচে এবং অতি মাত্রায় কমপ্লেক্স হয়ে যাবে। ঢাকায় অতিমাত্রার অপরিকল্পিত এবং মানহীন অবকাঠমোর কারনে এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই কমপ্লেক্স। মেট্রো রেল এবং অন্য ধাপ সমূহ ডিপ্লয়ম্নেট ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বা ফেইজে হতে পারে, কিন্তু ডিজাইন এবং ডাইমেনশন একই সাথে করতে হবে, নতুবা একান্তই না পারলে সিকোয়েন্সিয়ালি করতে হবে। এটা একটা কার্যকর মাস্টার প্ল্যান। এখানে ভকি জকি বা ধুন ফুন বা পলিটিক্যাল হাইপ সম্পন্ন লোক দেখানো কাজ করে লুটপাট করার সুজোগ নাই। এই প্রকল্প সমূহ অতি খরুচে, একটি প্রজেক্ট দিয়ে আরেকটিকে নন টেকনিক্যালি সুপারসিড করলে এই খরচ রাষ্ট্রের সামর্থের বাইরে চলে যাবে।



সিগন্যাল ফ্রি লুপড কানেক্টিভিটি রোড,

ট্রাম লাইন,

বি আর টি (বাস রেপিড ট্রানজিট)

সাধারন রাস্তা

সাইক্লিং ট্র্যাক

ফূটপাথ






২) মেট্রো রেল ডিপ্ল্যমেন্টে ডিজাইনের পর ট্রাফিক সিগন্যাল ফ্রি লুপড ফ্লাই ওভার প্রকল্প (ইউ লুপ ফ্লাইওভার রোড প্রকল্পও হতে পারে বিকল্প হিসেবে), যেখানে মোড় পার হতে ট্রাফিক লাইট দেখতে হবে না। এর মাধ্যমে বর্তমানের অপরিকল্পিত ওভার পাস গুলোকে কানেক্টেড করা যেতে পারে। (নিন্ম মানের হলে কিছু ওভার পাস কে ভেঙ্গে রিডাইমেনশন করতে হবে ভবিষ্যৎ ঢাকার ট্রাফিক গ্রোথ অনুযায়ী)। এই পর্যায়ে "বাস রেপিড ট্রান্সিট বা বি আর টি" এর জন্য প্রয়োজনীয় রোড রিজার্ভ করে ফেলতে হবে। অবশিষ্ট রোড কে নর্মাল ওয়ে তে প্লান করতে হবে, যেখানে ফুটটপাত এবং সাইকেল চলার বন্দোবস্ত থাকবে। সাইকেল ট্র্যাক অবশ্যই মার্কড হতে হবে, মোড় সমূহে সাইকেল ট্র্যাক এর সিগন্যাল মেইন সিগন্যাল এর সাথে সমন্বয় করতে হবে।



বি আর টি রুট কে ট্রাফিক সিগন্যাল মুক্ত রাখতে হবে যথাসম্ভভ।

মনে রাখতে হবে এর উদ্দেশ্য একদিকে গনপরিবহন কে সময়ের নিশ্চয়তা দেয়া, অন্যদিকে ধনীদের রাস্তায় ব্যক্তিগত কার নিয়ে বের হওয়া কে নিরুতসাহিত করা।





৩) একটি কার্যকর মেট্রো রেল ডিজাইন, মাস্টার প্লান শেষ এবং বাস্তবায়ন শুরুর পর মাস কানেক্টিভিটির এলিভেটেড সড়ক ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে "বাস রেপিড ট্রান্সিট বা বি আর টি" প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ গন পরিবহন সর্বত্রই প্রাধান্য পাবে।



৪) এই পর্যায়ের পর "বি আর টি" লাইনের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে কিংবা "বি আর টি" লেইনের উপর "ট্রাম" ডিজাইন করতে হবে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ও দুঃখের যে ১৫০ এর বেশী সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন পরিবহন "ট্রাম" এখনও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মেগা সিটিতে নেই।

অর্থাৎ আমরা বলছি গনপরিবহন পরিকল্পনায় প্রথমেই আসবে ব্যাপক কানেক্টিভিটি সম্পন্ন বাই ডিরেকশনাল ওভার হেড মেট্রো (কারিগরি বিবেচনায় আন্ডার গ্রাউন্ড ও আসতে পারে), তার পর ট্রাফিক সিগন্যাল ফ্রি লুপড ফ্লাই ওভার প্রকল্প (বা ইউ লুপ ফ্লাই ওভার কানেক্টেড রোড ),তার পর আসবে "বাস রেপিড ট্রান্সিট বা বি আর টি" প্রকল্প, এর পর ট্রাম। এই চার ধাপে গন পরিবহন এর জন্য উপযোগী অবকাঠামোকে ডিফাইন ও ডিজাইন করার পর আসবে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে যেখানে ধনী দের প্রাধান্য দেয়া হবে। অন্যথায় বর্তমানের ওসামাঞ্জাস্য পূর্ণ এলিভেটেড ওয়ে উচ্চ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত ধনীদের কিছু সাময়িক উপকারে আসতে পা্রে মাত্র, এই প্রকল্প মাস কানেক্টিভিটির মেট্রো রেল বা ভবিষ্যতের গন পরিবহন প্রকল্প কে অনেক অনেক বেশি এক্সপেন্সিভ করে তুলবে। সময় সাপেক্ষ ও করবে অনেক অনেক বেশি। সবচেয়ে সমস্যা হবে ট্রাফিক ফোরকাস্ট এ। এই সুযোগে এই সব প্রকল্প সমুহকে অধিক ব্যয়ের প্রকল্প ধরে "বি ও টি" র ছুতা ধরে মধ্যবিত্ত্ব নিন্মবিত্ত্ব জনগনের টাকায় সরাসরি বেদেশী কোম্পানীকে ভাগীদার করা হবে।



চট্রগ্রাম মহানগরীঃ



চট্রগ্রাম মেট্রো ট্রেন



এখনই চট্রগ্রাম মহানগরীর জন্য গন পরিবহন হিসেবে মেট্রো ট্রেন ডিজাইন,ভবিষ্যতের ট্রাফিক ধারন ক্ষমতা ডাইমেনশন করতে হবে। মনে রাখতে হবে এখনও এটা না করলে ঢাকার মত সমস্যা তৈরি হবে। অর্থাৎ একই প্রকল্প অনেক অনেক বেশি অর্থে সম্পন্ন করতে হবে। যা সময় সাপেক্ষ ও হবে, মেইনলি সরকারি বেসরকারি অপরিকল্পিত স্থাপনা তৈরির ফলে। বিশেষ করে অপরিকল্পিত ফ্লাই ওভার বা তথাকথিত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে প্লান করে তার পরে যেন চট্রগ্রামে মেট্রো প্রকল্প হাতে নেয়া না হয়। এই ইচ্ছাকৃত কিংবা জ্ঞানহীন ভুল ঢাকায় হয়েছে, এর পুনরাবৃত্তি যাতে দেশে আর না হয়।



এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে "বি ও টি" নামের তথাকথিত প্রাইভেট-পাব্লিক পার্টনারশিপ ব্যবসার অদূরদর্শী এবং শর্ট কাট ধান্ধা, এর মাধ্যমে জনবহুল দেশের অপরিকল্পিত রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম যেমন কমানো যায় না, অন্য দিকে গরীবের রাস্তায় চলার অধিকারে টোল বসানো হয়।



চট্রগ্রাম মেট্রো করার পর পরই ফোকাস করতে হবে, লুপড ফ্লাইওভার ভিত্তিক এলিভেটেড রোড প্রকল্প, যার সাথে "বাস রেপিড ট্রান্সিট বা বি আর টি" প্রকল্প এবং "ট্রাম" প্রকল্প কে সমন্বিত করতে হবে।





নগর পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট-পাব্লিক পার্টনারশিপ যত সম্ভব এভয়েড করতে হবে, এটি সাধারনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের টুটি চেপে ধরবে। তবে ফান্ডিং আলোচনা ভিন্ন প্রসঙ্গ। ভিন্ন ফোরাম এবং ভিন্ন লেভেলের এক্সপার্ট বৃন্দ এর দিকে ফোকাস করবেন।





এভাবে অন্যান্য নগরীকেও সামর্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।



আবকাঠামো নির্মাণ ব্যবহুল, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা কমিয়ে, সময় নিয়ন্ত্রিত মানসম্পন্ন নির্মাণ করে দেশের অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। এই নির্মাণে জিরো টলারেন্স দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহন না করলে খরচ বহন সাধ্যের বাইরে চলে যাবে, দেশী বিদেশী স্বার্থ এবং ঘুরে ফিরে প্রাইভেট-পাব্লিক ধান্ধা মানুষের পকেট কটবে।





নগর ব্যবস্থাপনা কারিগরি জ্ঞান সমৃদ্ধ, দূরদর্শী এবং ফিউচার প্রুফ হোক।





বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।






মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।
এর জন্য সঠিক কান্ডারি দরকার।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

গরল বলেছেন: একটা শহরের আয়তন অনুযায়ি অন্তত ২৫ ভাগ ভুমি রাস্তার জন্য বরাদ্ধ থাকে মোটামুটি ঘনত্বের জন্য। সেখানে উচ্চ ঘনত্বের ঢাকা শহরে রাস্তার আয়তন মাত্র ৮ শতাংস। শুধু সড়ক আর মহাসড়ক নিয়ে চিন্তা করলেই হবে না, মহল্লার অলি গলী নিয়েও ভাবতে হবে। ঢাকা শহরের ৮০ ভাগ গলীতেই ফায়ার সারভিসের গাড়ী এবং ৬০ ভাগ গলীতে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকে না। জ্যাম শুধু প্রাধান সড়কেই না গলীপথেও জ্যাম লাগে এবং জীবন রক্ষার তাগিদে অলি গলীকেই আগে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে। অলি গলী পথ ধরেই যদি ছোট ছোট যান বা রিক্সা ভ্যান শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে চলে যেতে পারে সড়কের উপড় চাপ অনেক কমে যাবে এবং উচ্চব্যায়ের প্রজেক্টগুলো আপাতত না নিলেও চলবে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: উচ্চ ঘনত্বের ঢাকা শহরে রাস্তার আয়তন মাত্র ৮ শতাংশ। তথ্যটির জন্য ধন্যবাদ।

প্রায় ২ কোটি মানুষের শহরে অলি গলি ধরে, এক প্রান্ত ধরে অন্য প্রান্তে......কারন প্রধান রাস্তায় জ্যাম?

ম্যাসিভ গন পরিবহন প্রজেক্ট বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি পূর্ণ শহরে আরো পরে চান?

গতানুগতিক চিন্তার সুজোগ নেই, ভাই। টেকনোলজি ড্রাইভেন গন পরিবহন ডিজাইন করে অলি গলি হাত হিতে হবে। অলি গলি সমস্যার সমাধান ও আছে মর্ডান আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং এ।

লেয়ারড ট্রান্সপোর্ট লেভেল এর বিকল্প নাই। গতানুগতিক চিন্তার সুজোগ নেই, এভেবেই কেটে গেসে ৪২ বছর।

একটা ইন্ডিকেশন পুরাতন একটা লিখায় দিয়েছি, ঢাকার খাল গুলোকে রিক্লেইম করে, এর পথ কে ওভারহেড মেট্রো ডিজাইন এর আওতায় আনা যেতে পারে যদি কানেক্টিভিটি সহজ হয়। দিল্লি মেট্রো প্ল্যানে এই কাজ কিছুটা করা হয়েছে।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

In2the Dark বলেছেন: আপনাদের কর্মকে সাধুবাদ জানাই।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

In2the Dark বলেছেন: আপনাদের কর্মকে সাধুবাদ জানাই।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

In2the Dark বলেছেন: সাধুবাদ জানাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০২

বোকামানুষ বলেছেন: অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে পোস্ট দারুন লিখছেন


পোস্ট পড়তে পড়তেই ভাবছিলাম লেখক একজন আর্কিটেক্ট অথবা নগর পরিকল্পনাবিদ হবে নিশ্চয় প্রোফাইল চেক করে দেখি ধারনা কাছাকাছি গেছে :D

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, তাহলে তো আপনার নিকটি বোকামানুষ রাখা সঙ্গত নয়!

অনেক ধন্যবাদ। সামুতে আমি নুতন। উন্নয়ন, সুশাসন এবং দুর্নীতি দূরীকরণ নিয়ে লিখি, আবোকাঠামো খাত এবং মৌলিক সংস্কার নিয়ে লিখি।

সাথে থাকবেন, হতাশ করব না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১০

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সুমন ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

গরল বলেছেন: ভাই লেখক, ম্যাসিভ গনপরিবহন চাই না সেটা বলি নাই, বলেছি যে আগে মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট টুকু ফুলফিল করা হোক। যে পরিমান রাস্তা, সড়ক, মহাসড়ক এবং অ্যাকসেস ওয়ে থাকা দরকার তা তো আগে থাকতে হবে। যেমন ধরুন ফ্লাই ওভারে উঠার আগেই যদি জ্যামে পড়ে থাকি বা মেট্র স্টেশনে যেতেই যদি এক ঘন্টা লেগে যায় তাহলে লাভ হবে না। আপনি যেহেতু স্থপতি ভালই জানেন। সেই ১৯৮৫ সালে ঢাকায় যতগুলো প্রধান সড়ক ছিল এখনও ততগুলোই আছে, ২-৩ টা লিংক রোড হয়েছে মাত্র। অথচ ৩০ বছরে ঢাকায় লোক, বাড়ী আর গাড়ী বেড়েছে অন্তত দশ গুন। এত বড় একটা শহরে উত্তর-দক্ষিন এবং পূর্ব-পশ্চিমে সমান্তরাল অন্তত দশটা করে প্রধান সড়ক দরকার ছিল কিন্তু আছে মাত্র একটা করে। গাবতলী থেকে গুলিস্তান আর উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ী, এই দুটোকেই কি আপনি যথেষ্ট মনে করেন? এই দুটোকেই আপনি দোতালা তিনতলা করে কি সমস্যা সমাধান করা যাবে বলে মনে করেন? জানিনা আপনি আমার চেয়ে ভাল বুঝেন অবশ্যই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আমি আপনাকে বুঝাতে এবং বুঝতে পারিনি। এখন ব্যাপারটা ক্লিয়ার। আমি খুবই ফোকাসড ভাবে শুধু মাত্র ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম এবং গন পরিবহন নিয়ে সংক্ষিপ্ত পলিসি ভিত্তিক কথা বলেছি।

১। যে পরিমান রাস্তা, সড়ক, মহাসড়ক এবং অ্যাকসেস ওয়ে থাকা দরকার তা তো আগে থাকতে হবে।

সহমত।

এক্সেস ব্যাপারটা ব্যাপকতর। আমাদের সমস্যা সুমূহ ব্যাপকতর। যেটুকু রাস্তা আছে তাঁর কিছু অংশ স্থায়ী ভাবে অকুপাইড, প্ল্যান এ যেসব রাস্তা আছে সেগুলা সব ইমপ্লিমেন্ট করা হয়নি। ম্যাপে কিন্তু পুর্ব পশ্চিমের রাস্তা আছে, উত্তর দক্ষিণের রাস্তা আছে। কিন্তু ১। অকুপাইড ২। ইমপ্লিমেন্টাড না। ৩। যা প্ল্যান করা হয়েছে তা গ্রোথ ফোরকাস্ট অনুযায়ী করা হয় নি। (যেমন এরশাদ সাহেব ইন্ডেমেন্টিটি করে প্রগতি সরণী করেছেন, খুবই ভালো কাজ, কিন্তু রাস্তাটি হওয়া দরকার ছিল ৬+৬=১২ লেন। বর্তমানে আছে ৩+৩=৬ লেন, বাংলাদেশে এই লেইন পরিমাপে ফাঁকি আছে, এটা আন্তর্জাতিক লেন মেজারমেন্ট থেকে একটু ছোট)। আবার এই রাস্তাটি বিকল্প রাস্তা প্ল্যানে আছে। শাতারকুল বাড্ডার পিছন দিয়ে দাসরা কান্দা গ্রামের ভিতর দিয়ে ঢাকা বাইপাস প্ল্যানে আছে, কুড়িল থেকে ডেমরা হয়ে চিটাগাং রোড প্ল্যানে আছে, (বসুন্ধরা স্বদেশ এর মাঝ খান দিয়ে) কিন্তু এসব বাস্তবায়ন হয়নি। আরেকটি আছে রাম্পুরা ব্রিজ থেকে চিটাগাং রোড, বাস্তবায়ন হয়নি। তেমনি আছে আমিনবাজার থেকে যাত্রাবাড়ি, কিন্তু অবহেলিত।

ফলাফল রাস্তার পরিমান মাত্র ৮% , প্রকৃত পক্ষে তারও কম।
এই প্রসঙ্গ গুলো নিয়ে এই লিখাটা না আসলে।



২। যেমন ধরুন ফ্লাই ওভারে উঠার আগেই যদি জ্যামে পড়ে থাকি বা মেট্র স্টেশনে যেতেই যদি এক ঘন্টা লেগে যায় তাহলে লাভ হবে না।


এখানে একটা টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে। এটা আলোচনা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত ভাবে। আমরা বলছি অপরিকল্পিত ফ্লাইওভার করা হবে না। মেট্রো ল্যান্ডিং রাস্তার মাঝখানে হবে না, ল্যান্ডিং স্টেশন বহুতল ভাবনের বিস্তৃত ফ্লোরেও হতে পারে। আন্ডারগ্রাউন্ড ও হতে পারে। এখানে উচ্চ পর্জায়ের ডিজাইন এবং ইন্টেলেকচুয়ালিটির ব্যাপার আছে।

প্রথমে- মেট্রো করে সড়কের উপর থেকে ট্রাফিক সরাতে হবে। এর পরিমান উচাভিলাসি হতে হবে। ৪০-৫০% এর উপর। এর জন্য ব্যাপক কানেক্টিভিটির মেট্রো দরকার।


তারপর- আমরা করবো সিগ্নাল ফ্রি রোড, ইউ লুপড রোড। এই রোড আবার সবাই ইউজ করবে না- ভাগ হয়ে যাবে। ইউ লুপড রোড করতে গিয়ে এবং ট্রাম/বি আরটির সিগন্যাল ফ্রি রোড করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ফ্লাইওভার করা হবে। অন্যথায় নয়!

ট্রাম এবং বি আর টি র অংশ রিজার্ভ করে ফেলতে হবে। এখানে বাকি ট্রাফিকের ৩০% উপর। এর পর করবেন সাইকেল ট্র্যাক। বাকি রোড ধনীদের জন্য। প্রাইভেট কারের জন্য। এখন আসুন ব্যাপক রোড ট্যক্স দিয়ে এবং ফুয়েল কস্ট বাড়িয়ে প্রাইভেট কার অয়ালাদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ। কারন আপনি মেট্রো, ট্রাম এবং বি আর টি দিয়ে সময় নিয়ন্ত্রিত গন্তব্য নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ইউরোপে এটা এমন করেছে যে গাড়ি কিনা হাতি পোষার সমান। আর অবশ্যই গ্যাস দিয়ে গাড়ি চলবে না, শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এখন কথা হচ্ছে, ঢাকার রাস্তা তো সংকীর্ন, এত গুলা কাজ কিভাবে করা যাবে।

হাজার হাজার বাড়ী (এর অনেক গুলাই রাস্তা অকুপাই করে আছে) ভেঙ্গে রাস্তা বাড়ানোর সক্ষমতা যাচাই করতে হবে, প্ল্যানড রাস্তা গুলা তৈরি করতে হবে, অকুপাইড রাস্তা দখল মূক্ত করে আনতে হবে। নতুন রাস্তার ফন্দি বের করতে হবে। (খেয়াল করবেন সামরিক সরকার সমুহ নতুন রাস্তা বের করতে পারেন।তত্তাবধায়ক সরকার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে দিয়ে নুতন রাস্তা করেছেন, অথচ তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকার সমূহ নতুন রাস্তা বানাতে নিদারুন ব্যর্থ)। নতুন রাস্তা বানাতে না পারলে বেশি বেশি টেকনোলজির সহায়তা নিতে হবে।

রাস্তা যত সংকীর্ন গন পরিবহন এর আওতায় তত বেশি ট্রাফিক আনতে হবে! আর গন পরিবহন ডিজাইনে তত বেশি লেটেস্ট টেকনোলজি আনতে হবে! যত দেরি হবে তত বেশি কস্টলি হবে ডিজাইন এবং ইমপ্লিমেন্টেশন কারন দিনকে দিন অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়ে উঠছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব গন পরিবহন মিডিয়াম এবং রুট ডিজাইন করে কাজ করা দরকার। বিচ্ছিন্ন ভাবে ফ্লাইওভার নামে কিছু ওভার পাস করে কিছু হবে না। এতে আপনি যা বলেছেন, ফ্লাইওভারে এক্সেস ই থাকবে না। কারন এই অপরকিল্পিত এবং মানহীন ডিজাইনের ফ্লাইওভার মূল রাস্তার ৩০-৫০% অলরেডি খেয়ে ফেলেছে!



৩। গাবতলী থেকে গুলিস্তান আর উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ী, এই দুটোকেই কি আপনি যথেষ্ট মনে করেন? এই দুটোকেই আপনি দোতালা তিনতলা করে কি সমস্যা সমাধান করা যাবে বলে মনে করেন?


মোটেই না। প্রশ্নই আসে না। উপরে আলোচনা করেছি। আপনি ইতিমধ্যেই লক্ষ করেছেন আমরা লেয়ারড পরিকল্পনা ছাড়া রাস্তা দোতলা তিন্তলা করার বিপক্ষে। এক্সাম্পল দেই একটা - ব্যাংকক। এই শহরে ব্যাপক ভিত্তিতে রাস্তা ২-৩ তলা করা হয়েছে, কিন্তু গন পরিবহন ডিজাইন না করার ফলে রাস্তা থেকে প্রাইভেট কার কমান যায়নি। তাই ব্যাংকক ও জামের শহর যেখানে ঢাকার চেয়ে রাস্তা অনেক বেশি।


৪। অথচ ৩০ বছরে ঢাকায় লোক, বাড়ী আর গাড়ী বেড়েছে অন্তত দশ গুন। এত বড় একটা শহরে উত্তর-দক্ষিন এবং পূর্ব-পশ্চিমে সমান্তরাল অন্তত দশটা করে প্রধান সড়ক দরকার ছিল কিন্তু আছে মাত্র একটা করে।

পুরোপুরি সহমত।

তবে এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। ঢাকা বাইপাস গুলো বাস্তবায়ন করা দরকার, বর্ধিত করা দরকার। নতুন নতুন ঢাকা বাইপাস প্ল্যান করা দরকার।


এবার আসুন প্যাসিভ ২-১ টি ব্যাপার আলোচনা করি।

ঢাকার জনসংখ্যা কে অনিয়িমিত এবং আবাধে বাড়তে দিলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। ঢাকায় কেন্দ্রীভূত প্রশাসনের কারনে ঢাকায় ফ্লটিং মানুষ অকল্পনীয়! একটা এক্সপাম্পল দেই, প্রাইমারি স্কুলের স্যারের বেতন আটকে গেলে কিংবা বদলি তদবির করতে ঢাকায় আসতে হয়। একে তো তদবির ভিত্তিক চরম ফালতু প্রশাসন কাঠামো, তার উপর সবই ঢাকায়। অথচ বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা কাঠামো আছে।

এ কারনে বলেছি সেটা হোল, ক্ষমতার চূড়ান্ত বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। তাইলে ঢাকার বাইরের শহরে কর্ম সংস্থান হবে। প্রোনদনা দিয়ে, কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে এবং নিরাপত্তা দিয়ে কোম্পানি গুলোকে অন্য শহরে টানতে হবে। ইন্টেলেকচুয়াল গেইম খেলতে হবে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:

আমি ফোকাসড ভাবে শুধু মাত্র ট্রান্সপোর্ট মিড়িয়াম এবং গন পরিবহন নিয়ে সংক্ষিপ্ত পলিসি ভিত্তিক কথা বলেছি।

১। যে পরিমান রাস্তা, সড়ক, মহাসড়ক এবং অ্যাকসেস ওয়ে থাকা দরকার তা তো আগে থাকতে হবে।

সহমত।

এক্সেস ব্যাপারটা ব্যাপকতর। আমাদের সমস্যা সুমূহ ব্যাপকতর। জেটুকু রাস্তা আছে তাঁর কিছু অংশ স্থায়ী ভাবে অকুপাইড, প্ল্যান এ যেসব রাস্তা আছে সেগুলা সব ইমপ্লিমেন্ট করা হয় নি। ম্যাপে কিন্তু পুর্ব পশ্চিমের রাস্তা আছে, উত্তর দক্ষিণের রাস্তা আছে। কিন্তু ১। অকুপাইড ২। ইমপ্লিমেন্টাড না। ৩। যা প্ল্যান করা হয়েছে তা গ্রোথ ফোরকাস্ট অনুযায়ী করা হয় নি। (যেমন এরশাদ সাহেব ইন্ডেমেন্টিটি করে প্রগতি সরণী করেছেন, খুবই ভালো কাজ, কিন্তু রাস্তাটি হওয়া দরকার ছিল ৬+৬=১২ লেন। বর্তমানে আছে ৩+৩=৬ লেন, বাংলাদেশে এই লেইন পরিমাপে ফাঁকি আছে, এটা আন্তর্জাতিক লেন মেজারমেন্ট থেকে একটু ছোট)। আবার এই রাস্তাটির বিকল্প রাস্তাও প্ল্যানে আছে। বাড্ডা সাতারকুল বনশ্রীর পিছনের গ্রাম দাসরাকান্দার উপর দিয়ে ঢাকা বাইপাস প্ল্যানে আছে, ত্রিমোহোনী স্বদেশ বসন্ধুরার মাঝ দিয়ে কুড়িল থেকে ডেমরা হয়ে চিটাগাং রোড প্ল্যানে আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আরেকটি আছে রাম্পুরা ব্রিজ থেকে চিটাগাং রোড, বাস্তবায়ন হয়নি। তেমনি আছে আমিনবাজার থেকে যাত্রাবাড়ি, কিন্তু অবহেলিত।

ফলাফল রাস্তার পরিমান মাত্র ৮% , প্রকৃত পক্ষে তারও কম।
এই প্রসঙ্গ গুলো নিয়ে এই লিখাটা না আসলে।



২। যেমন ধরুন ফ্লাই ওভারে উঠার আগেই যদি জ্যামে পড়ে থাকি বা মেট্র স্টেশনে যেতেই যদি এক ঘন্টা লেগে যায় তাহলে লাভ হবে না।



এখানে একটা টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে। এটা আলোচনা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত ভাবে।
আমরা বলছি অপরিকল্পিত ফ্লাইওভার করা হবে না।

প্রথমে- মেট্রো করে সড়কের উপর থেকে ট্রাফিক সরাতে হবে। এর পরিমান উচাভিলাসি হতে হবে। ৪০-৫০% এর উপর। এর জন্য ব্যাপক কানেক্টিভিটির মেট্রো দরকার। মেট্রোর ল্যান্ডিং স্টেশন রাস্তার মাঝে হবে না। পরিকল্পিত হবে। বেসরকারি হাই রাইজের বিস্তৃত ফ্লোরে হতে পারে, আন্ডার গ্রাউন্ড হতে পারে।এর জন্য উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান জ্ঞান এবং কারিগরি সক্ষমতা দরকার। আমাদেরকে বসে থাকলে হবে, এই জ্ঞান এবং সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।


তারপর- আমরা করবো সিগ্নাল ফ্রি রোড, ইউ লুপড রোড। এই রোড আবার সবাই ইউজ করবে না- ভাগ হয়ে যাবে। ইউ লুপড রোড করতে গিয়ে এবং ট্রাম/বি আরটির সিগন্যাল ফ্রি রোড করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ফ্লাইওভার করা হবে। অন্যথায় নয়!

ট্রাম এবং বি আর টি র অংশ রিজার্ভ করে ফেলতে হবে। এখানে বাকি ট্রাফিকের ৩০% উপর। এর পর করবেন সাইকেল ট্র্যাক। বাকি রোড ধনীদের ট্রাফিক এর জন্য। প্রাইভেট কারের জন্য। এখন আসুন ব্যাপক রোড ট্যক্স দিয়ে এবং ফুয়েল কস্ট বাড়িয়ে প্রাইভেট কার অয়ালাদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ। কারন আপনি মেট্রো, ট্রাম এবং বি আর টি দিয়ে সময় নিয়ন্ত্রিত গন্তব্য নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ইউরোপে এটা এমন করেছে যে গাড়ি কিনা হাতি পোষার সমান। আর অবশ্যই গ্যাস দিয়ে গাড়ি চলবে না, শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এখন কথা হচ্ছে, ঢাকার রাস্তা তো সংকীর্ন, এত গুলা কাজ কিভাবে করা যাবে।

হাজার হাজার বাড়ী (এর অনেক গুলাই রাস্তা অকুপাই করে আছে) ভেঙ্গে রাস্তা বাড়ানোর সক্ষমতা যাচাই করতে হবে, প্ল্যানড রাস্তা গুলা তৈরি করতে হবে, অকুপাইড রাস্তা দখল মূক্ত করে আনতে হবে। নতুন রাস্তার ফন্দি বের করতে হবে। (খেয়াল করবেন সামরিক সরকার সমুহ নতুন রাস্তা বের করতে পারেন।তত্তাবধায়ক সরকার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে দিয়ে নুতন রাস্তা করেছেন, অথচ তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকার সমূহ নতুন রাস্তা বানাতে নিদারুন ব্যর্থ)। নতুন রাস্তা বানাতে না পারলে বেশি বেশি টেকনোলজির সহায়তা নিতে হবে।

রাস্তা যত সংকীর্ন গন পরিবহন এর আওতায় তত বেশি ট্রাফিক আনতে হবে! আর গন পরিবহন ডিজাইনে তত বেশি লেটেস্ট টেকনোলজি আনতে হবে! যত দেরি হবে তত বেশি কস্টলি হবে ডিজাইন এবং ইমপ্লিমেন্টেশন কারন দিনকে দিন অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়ে উঠছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব গন পরিবহন মিডিয়াম এবং রুট ডিজাইন করে কাজ করা দরকার। বিচ্ছিন্ন ভাবে ফ্লাইওভার নামে কিছু ওভার পাস করে কিছু হবে না। এতে আপনি যা বলেছেন, ফ্লাইওভারে এক্সেস ই থাকবে না। কারন এই অপরকিল্পিত এবং মানহীন ডিজাইনের ফ্লাইওভার মূল রাস্তার ৩০-৫০% অলরেডি খেয়ে ফেলেছে!



৩। গাবতলী থেকে গুলিস্তান আর উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ী, এই দুটোকেই কি আপনি যথেষ্ট মনে করেন? এই দুটোকেই আপনি দোতালা তিনতলা করে কি সমস্যা সমাধান করা যাবে বলে মনে করেন?



মোটেই না। প্রশ্নই আসে না। উপরে আলোচনা করেছি। আপনি ইতিমধ্যেই লক্ষ করেছেন আমরা লেয়ারড পরিকল্পনা ছাড়া রাস্তা দোতলা তিন্তলা করার বিপক্ষে। এক্সাম্পল দেই একটা - ব্যাংকক। এই শহরে ব্যাপক ভিত্তিতে রাস্তা ২-৩ তলা করা হয়েছে, কিন্তু গন পরিবহন ডিজাইন না করার ফলে রাস্তা থেকে প্রাইভেট কার কমান যায়নি। তাই ব্যাংককও জ্যামের শহর যেখানে ঢাকার চেয়ে রাস্তা অনেক বেশি।


৪। অথচ ৩০ বছরে ঢাকায় লোক, বাড়ী আর গাড়ী বেড়েছে অন্তত দশ গুন। এত বড় একটা শহরে উত্তর-দক্ষিন এবং পূর্ব-পশ্চিমে সমান্তরাল অন্তত দশটা করে প্রধান সড়ক দরকার ছিল কিন্তু আছে মাত্র একটা করে।

পুরোপুরি সহমত।

তবে এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। ঢাকা বাইপাস গুলো বাস্তবায়ন করা দরকার। নতুন নতুন ঢাকা বাইপাস প্ল্যান করা দরকার।

এবার আসুন প্যাসিভ ২-১ টি ব্যাপার আলোচনা করি। ঢাকার জনসংখ্যা কে অনিয়িমিত এবং আবাধে বাড়তে দিলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। ঢাকায় কেন্দ্রীভূত প্রশাসনের কারনে ঢাকায় ফ্লটিং মানুষ অকল্পনীয়! একটা এক্সপাম্পল দেই, প্রাইমারি স্কুলের স্যারের বেতন আটকে গেলে কিংবা বদলি তদবির করতে ঢাকায় আসতে হয়। এটাই আমাদের প্রশাসন। অথচ বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা কাঠামো আছে।

এ কারনে বলেছি সেটা হোল, ক্ষমতার চূড়ান্ত বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। তাইলে ঢাকার বাইরের শহরে কর্ম সংস্থান কমবে। কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে এবং নিরাপত্তা দিয়ে কোম্পানি গুলোকে অন্য শহরে টানতে হবে। ইন্টেলেকচুয়াল গেইম খেলতে হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

গরল বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত এবং ধন্যবাদ ব্যাখ্যা করে বুঝানোর জন্য। এটা ঠিক যে ঢাকার জনসংখ্যা বাড়তে দেওয়া তো উচিৎ না বড়ংচ কমানো উচিৎ। আমার মনে হয় ঢাকা থেকে সব গার্মেন্টস আর শিল্পকারখানা গুলো সরিয়ে দিলেই ধাকার লোকসংখ্যা ৬০ ভাগ কমে যাবে। ঢাকার রাস্তায় অফিস আর স্কুলগামী লোকের চেয়ে গার্মেন্টস কর্মী এবং শিল্পকারখানার কর্মীর সংখ্যা বেশী।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বুঝিনা বিশাল প্লানিং কমিশন করেটা কি?????

তাদের মাথায় ঘিলু না থাকলে উন্মুক্ত আইডিয়া কম্পিটিশন দিক!

সাধারন মানুষ থেকে প্রতিযোগীতামূলক সমস্যা সমাধানে টেকনিক্যাণ ফিনেন্সিয়াল প্রম্তাব নিক!!
এর মধ্য থেকে সবচে কস্ট ইফেক্টিভ এবং বেস্ট ওয়ান গুলো বাস্তবায়ন করুক।

নিজেরাও পারবেনা- যারা বোঝে তাদেরও সাইড দেবেনা!!!

সমস্যায় জর্জর নগরজীবনে হাবুডুব খাচ্ছে কোটি কোটি মানুষ!!!!!!!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমরা চাই রাষ্ট্র এবং সরকার তাঁর নাগরিকদের ইন্টেলেকচুয়াল অংশের কথা মানুক বা না মানুক অন্তত তাঁদের কথা, চিন্তা, আইডিয়া গুলো একটু কান পেতে শুনুক!

জ্ঞান ভিত্তিক উন্নত সমাজ প্রবর্তন করলে এবং জনস্বার্থ ভিত্তিক উন্নয়ন করলে আমাদের নেতৃত্ব (জন প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব) গরিব হয়ে যাবেন না বরং উনাদের আয় বৈধ পথে উপার্জিত হবে, উনারা সমাজে সম্মানের আসনে সিক্ত হবেন।

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

যানজট নিয়ে একজন অর্বাচীন নগর পরিকল্পনাবিদের ভাবনাঃ পর্ব-২

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

উড়াল সেতুর মিথ ও মিথ্যা

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পরিকল্পনাবিদ আসাদ বলেছেন: Click This Link

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার পোস্টের রেফারেন্স থেকে এই নোট টাও পড়েছি, অনেক ভালো লেগেছে। বি আরটি এর চেয়ে মেট্রো কে প্রাধান্য দিতে বলে কমেন্ট দিয়েছি, আমি খুশি যে লিখক সেটা প্রকাশ করেছেন।

আমাদের সম্মিলিত ডিজাইন ভাবনার সাথে শহরের আধিবাসীদের হ্যাবিট এবং ছোট ছোট কালচারাল এলেমিন্ট গুলো সমন্বয় করে ঢাকার জন্য সুন্দর ট্রান্সপোর্টেশন পরিকল্পনা করা যায়, সময় একেবারেই সেশ হয়ে যায় নি। তবে বেশি থেকে বেশি এলেভেটেড এক্সপ্রেস রোড করা হলে সত্যিকারের ম্যাস ট্রান্সপোর্টেশন ইনপ্লিমেন্টেশন দুরুহ হবে, অনেক বেশি কস্টলি হবে, সে ফাঁকে বেশি থেকে পিপিপি আসার চান্স বাড়বে। আর আমাদের দুর্নিতি সংশ্লিষ্টতা এবং অতি বেশি প্রকল্প ব্যয় তো মাথায় রাখতেই হবে।

অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

পরিকল্পনাবিদ আসাদ বলেছেন: গণপরিবহন উন্নয়ন করলেই অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপনার লেখা পড়লাম। ভালো লেগেছে। আপনার চিন্তা ভাবনা অনেক বেশী ম্যাচিওরড (নাগরিক হিসাবে)। এগুলো করার মত অবস্থায় আমরা জাতিগতভাবে এখনো পৌছাই নি (এটা আমার মনে হয়)।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.