নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়লা শকুনের দখলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ন উপকূল

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৬

বিস্তৃত উপকূলে ভারতীয় ও চায়নিজ নিন্ম মানের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মহড়া বসছে যেন!

বাংলাদেশের কয়লার মান খুব উঁচু, কিন্তু অত্যন্ত ঘনবসতি পুর্ন বলে ফসলি জমি নষ্ট করে এবং প্রান্তিক অর্থনিতির গরীব মানুষকে ডিস্প্লেইস করে কয়লা উৎপাদন অদুরদৃষ্টি সম্পন্ন। বিপরীতে আমরা ভালো গ্যাসিফিক্যাশন বা অন্য টেকনোলোজির সহজ লভ্যতার জন্য অপেক্ষা করে আমাদের কয়লা সম্পদ ভবিষ্যতের জন্য রিজার্ভ করতে পারি।

কিন্তু তাতে!

ভারত তার অতি নিন্ম মানের কয়লা কি করবে? তার উপর ভারতের উপর ডার্টি এনার্জি ব্যবহার এবং কার্বন এমিশন রোধের চাপ আছে। চায়নারও একই সমস্যা! ভারতের উচ্চ মান কয়লাতেই ১-৪% সালফার যেখানে বাংলাদেশের বড় পুকুরিয়ায় মাত্র ০.৬%। ভারতের পরিবেশ বিভাগ কোথাও নিন্ম মানের কয়লায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশ গত ছাড়পত্র দিচ্ছে না।ফলে চুক্তি হচ্ছে সব ০.৬% সালফারের কথা বলে। কিন্তু চুক্তির পরে আসবে সব ভারতীয় কয়লা। এরকম চূক্তি গঙ্গায় হয়েছে, চুক্তি মত পানি শুধু বর্ষায় আসে! দায়িত্ব হীন দেশের সাথে মাসম্পন্ন চূক্তি!!!

কয়লা অতি নিন্ম দামের,এখানে কয়লার দামের চেয়ে ট্রান্সপোর্টেশন বেশি। অনেকটা বালুর মত। তাই এতে দরকার শর্টেস্ট এবং চিপেস্ট ট্রান্সপোর্টেশন পাথ, আর তাই ইন ল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশনে ইনভেস্টরদের অনীহা। এতেই বাংলাদেশের উপকূল হয়ে উঠেছে বিপদ সংকূল!

ফলে বাংলাদেশের উপকূল হয়েছে গরিবের সুন্দরী বউ।


পরাশক্তিদের গায়ের জোরে বসানো অবৈধ ক্ষমতা বলয় দেশের ভবিষ্যৎ উদোম করে ইতিমধ্যেই ৯.৮+২+২+১+১ ~ ১৫.৮ বিলিয়ন ডলার এর মত বা তারো বেশি বৈদেশিক ঋণ নিয়েছে বা এম ও ইউ সাইন করেছে। এতে গত ৫ বছরে আমাদের বৈদেশিক ঋন দ্বিগুন হতে চলেছে। তাতেও খান্তি নেই, এই ঋণের ডলার আবার নিন্ম মানের কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে খরচ হবে, হবে ভারতীয় রেল ক্রয়ে, চাইনিজ ডেমু ক্রয়ে, ইস্পাত ক্রয়ে! ৭৫% এর বেশি ম্যান পাওয়ার, ডিজাইন, প্রডাক্ট এবং সার্ভিস সোর্স দেশ থেকে আসবে! উদোম আর কাকে বলে! রামপাল-মহেশখালী-মাতারবাড়ি-পায়রা- বাঁশখালী থেকে সাঙ্গু কিছুই বাদ যাবে না।

মহেশখালীতে তিন তিটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা। অথচ একই স্থানে মিয়ান্মারের গ্যাস ভিত্তিক প্ল্যান্টকে অতিতে না করে দেয়া হয়েছে, সে সুযোগ এখন অন্যদেশ লুফে নিয়েছে! আমাদের উপকূল, তার পানি বিন্যাস আর তার জনসাধারণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈদেশিক বলি! অবৈধ ক্ষমতার সমর্থন আনতে যে যা চাচ্ছে সব বায়না মানতে রাস্ট্র উদোম!

সরকারের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বেসরকারি মাফিয়ারা, এ এক ভাগাড় যেখানে পরিবেশ এবং কৃষি ভূমি রক্ষার দায় নেই।যে বাংলাদেশ জলবায়ু রক্ষার তহবিল পেতে হাত পাতে দেশে দেশে সেই বাংলাদেশ ডার্টিয়েস্ট জ্বালানির কার্বন আর সালফার দিয়ে তার বিস্তীর্ন উপকূল আর তার জলরাশি বিষিয়ে তোলার পরিকল্পনায় নির্ঘুম! সত্যি সেলুকাস!

আরো প্যাকেজ আছে!


ইনভায়রনমেন্ট সার্ভে,
ইকোনোমিক সার্ভে,
এগরিকালচারাল সার্ভের মায়েরে বাপ!
দিস ইজ বাংলাদেশ! কান্ট্রি অফ এবিউজড স্টেট পাওয়ার।




পুনশ্চ!
বাঁশখালীতে নিহতদের পরিজনদের স্বান্তনা দেবার কিছু নেই।
বসত বাড়ি এবং পেটের খাবার জোগানো জমির অধিকার রাখতে রাষ্ট্রের গুলি খেয়েছেন উনারা, একই রাষ্ট্রকে স্বাধীন করতে মাত্র চার দশক আগেও গুলি খেয়েছেন উনারা!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩১

বিজন রয় বলেছেন: সব শেষ হয়ে গেল রে!

ভাল পোস্ট।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদের বিদ্যুৎ দরকার, দরকার উন্নয়ন। কিন্তু রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর সাথে ম্যাক্রো- মাইক্রো ইকোনোমিক্যাল ফ্যাক্টর গুলো সমন্বিত না থাকলে সমস্যা প্রকট হবে।

বসত বাড়ি এবং পেটের খাবার জোগানো জমির অধিকার তো কেউ ছাড়তে চাবে না, তাই প্রতিবাদ আসবে। কিন্তু পুলিশ কি এভাবে গুলি করে মারবে????

আমার আইডিয়া হোল, ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশন করে কৃষি ভূমির উপর আবাসনের চাপ কমানো হোক। আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমিএকয়ারের জন্য রাইট গাইড লাইন তৈরি হোক যাতে আনপ্রডাক্টিভ জমি ই শুধু একোয়ার করা হয়। গরীব লোকের আবাস এবং কৃষি ভূমি রক্ষা জরুরি। এটাই টেকসই!

এনার্জির জন্য সোলার একটা বিকল্প! এল এন জি আরেকটা রাইট এপ্রোচ।চায়নাকে কাজে লাগিয়ে মিয়ানমার এর গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ ছিল, সাথে নিজেদের গ্যাস উত্তোলন সঞ্চালন পরিকল্পনা ম্যাচূর করা যায়, সব ব্লক এক এক করে বিদেশীদের দেয়া হয়েছে। বায়ু নেই। এখন হাতে সোলার ছাড়া ভালো কিছু বিকল্প নেই!


দরকার মান সম্পন্ন সমীক্ষার ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ, দরকার এনার্জির রাইট প্ল্যান।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

"অবৈধ ক্ষমতার সমর্থন আনতে যে যা চাচ্ছে সব বায়না মানতে রাষ্ট্র উদোম! "

একটা ১৮+ কিন্তু সত্য ঘটনা বলি। দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের পাশ দিয়ে ট্রেনের লাইন চলে গেছে। দিনাজপুর, রংপুর ও নীলফামারী জেলার অনেক বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা হিলি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে নিজেদের শরীরে পেঁচিয়ে ৩ থেকে ৫ টা শাড়ি নিয়ে আসে প্রতি টিপে। সে শাড়ি গুলো গ্রামে ঘুরে বিক্রি করে।লাভ খুব বেশি হয় না। শাড়ি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা। রেলওয়ে পুলিশ খুব ভাল করেই চিনে বা জানে ঐ সকল মহিলাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু কাছে শুনেছি ঐ সকল মহিলা ঘুষ হিসাবে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের শরীর দেয় রেলওয়ে পুলিশ কিংবা টিটিদের। টাকার চেয়ে নিজের শরীরের মূল তাদের কাছে অনেক কম। কারণ ১ টা শাড়ি বিক্রি করে তারা লাভ করে গড়ে মাত্র ২০ থেকে ৫০ টাকা। কারণ ঐ সকল শাড়ির দামি ১৫০ থাকে ২৫০ টাকা।

৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালের স্ব-নির্বাচিত সরকারের অবস্থা হয়েছে ঐ সকল চোরাকারবারি মহিলাদের মতো। বাংলাদেশে নামক রাষ্ট্রটিকে অন্য রাষ্ট্র বা তাদের কোম্পানির স্বার্থে বিক্রি করা ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার আর কোন উপায় নাই।



৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সর্বৈব সত্য বলেছেন, কিন্তু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া মনে হয় আর কিছুই করার নেই ! :(

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস নয়।
ইস্যূ ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম থেকে নাগরিক বিপ্লব দরকার, যেখানে দুর্বিত্তায়নকে রুখার সৎ শপথ থাকবে!

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমরা কবে সচেতন হব? কবে একটা জনদরদী সরকার পাব?

আপনি নিয়মিত মহাগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিয়ে চলেছেন। পড়তেও ভাল লাগে। কিন্তু ভেবে পাই না শেষ পর্যন্ত উত্তরণের উপায় কি?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পরের পর্বে স্পেশাল ইকোনোমিক জোন এর ভূমি অধিগ্রহন নিয়ে লিখবো ইনশাল্লাহ!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদের বিদ্যুৎ দরকার, দরকার উন্নয়ন। কিন্তু রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর সাথে ম্যাক্রো- মাইক্রো ইকোনোমিক্যাল ফ্যাক্টর গুলো সমন্বিত না থাকলে সমস্যা প্রকট হবে।

বসত বাড়ি এবং পেটের খাবার জোগানো জমির অধিকার তো কেউ ছাড়তে চাবে না, তাই প্রতিবাদ আসবে। কিন্তু পুলিশ কি এভাবে গুলি করে মারবে????

আমার আইডিয়া হোল, ভার্টিক্যাল কন্সট্রাকশন করে কৃষি ভূমির উপর আবাসনের চাপ কমানো হোক। আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জমিএকয়ারের জন্য রাইট গাইড লাইন তৈরি হোক যাতে আনপ্রডাক্টিভ জমি ই শুধু একোয়ার করা হয়। গরীব লোকের আবাস এবং কৃষি ভূমি রক্ষা জরুরি। এটাই টেকসই!

এনার্জির জন্য সোলার একটা বিকল্প! এল এন জি আরেকটা রাইট এপ্রোচ।চায়নাকে কাজে লাগিয়ে মিয়ানমার এর গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ ছিল, সাথে নিজেদের গ্যাস উত্তোলন সঞ্চালন পরিকল্পনা ম্যাচূর করা যায়, সব ব্লক এক এক করে বিদেশীদের দেয়া হয়েছে। বায়ু নেই। এখন হাতে সোলার ছাড়া ভালো কিছু বিকল্প নেই!


দরকার মান সম্পন্ন সমীক্ষার ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ, দরকার এনার্জির রাইট প্ল্যান।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: লেখেন। সাথেই আছি, ইনশাল্লাহ!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: লিখে কি আর কিছু হচ্ছে! সুন্দরবন নিয়ে কম আন্দোলন হয়েছে, কম সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে। সরকার কি কারো কথা শুনছে!

এই সময়ের ভাবনা গুলো রেকর্ড করে রাখা ছাড়া অন্য কোন ফল তো দেখি না!

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

নেক্সাস বলেছেন: মায়েরা ছোট বেলায় ঘুমপাড়ানি গান গাইত। খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে।

খোকা নয় পুরা দেশটাই ঘুমিয়ে আছে। সে সুযোগে বর্গীর খপ্পরে পড়েছে প্রিয় স্বদেশ।
বিনা ভোটে নির্বাচিত আনএথিক্যল সরকারের ক্ষমতার একামত্র জিয়নকাঠি হয়ে উঠেছে বর্গী।
তার বর্গীর করতলে নিবেদিত আমার বাবার রক্তে কেনা স্বদেশ।

জেগে উঠ জাতি-
পুরোপুরি সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার আগে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে। খোকা নয় পুরা দেশটাই ঘুমিয়ে আছে। সে সুযোগে বর্গীর খপ্পরে পড়েছে প্রিয় স্বদেশ।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



উদোমত হয়েই গেছে এখন চামড়া বিক্রি চলছে। সমস্যা হলো এইসব থেকে উত্তরণের জন্য মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াবার মতো সাহসী কেউ নাই। সবাই আমার মতো অথর্ব।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আশা করি আমরা আর্থ সামাজিক এবং সাস্টেইনেবল ইকোনোমিক আধোগতির ট্রেন্ড থেকে একটা ইউটার্ন নিতে সমর্থ হব।
এই সময়টা ট্রাঞ্জিশন।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সরকার শুনছে না বলেই আমাদের এখন এমন একজন নেতা দরকার যার ডাকে আমরা নির্দ্বিধায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমাদের এখন বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা দরকার যার ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন বিলিয়ে দেবে অকাতরে। আমি নিশ্চয়ই খালেদার মতো কারও ডাকে জীবন বিলানোর বোকামি করব না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: জ্ঞানী লিডারশীপ দরকার, এট দি এন্ড অফ দি ডে ইন্সটিটুশনাল এবং পলিটিক্যাল লিডারকেই কাজ করতে হবে, দুর্নিতি ঘুষ তদবির ভিত্তিক অপশাসন আপসারন করে দেশের মানুষের জীবনের মান এর সত্যিকারের উন্নয়ন করতে পারবেন।

আমর মনে হয়, একজন মানুষ ৪০ বছর বয়সের কোটায় এসে নিজের একাডেমিক এন্ড কন্সেপচূয়াল ডেভেলপমেন্ট (কন্সেপ্সশন অফ সোসাইটি, নলেজ অফ সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট) কার্ভের শেষ দিকে আসেন। এর পরে যা আসে তা অভিজ্ঞতা তা আগের তাত্বিক নলেজকে শুধু রিচ করে, ভুল থাকলে শুধরায়। কিন্তু একেবারেই নলেজ ব্যাকবোন হীন মানুষ ৪০ এর পরে এসে ফান্ডামেন্টাল এন্ড ইন্সটিটুশনাল নলেজ বুঝেন না। তাকে যতই ট্রেনিং দেন না কেন, এক্সসেপ্সহনাল কেইস ছাড়া তার নলেজ কার্ভের উন্নতি অসম্ভভ!

মানে ৪০ এর মধ্যে আপনি আমি আমাদের শিক্ষা দিয়ে সমাজকে কি কি ডেলিভার করবো বা ডেলিভারি করার ক্যাপাবিলিটি আনবো তা ঠিক করবো, ৪০ এর পরে শুধু ডেলিভার করার পালা। এর আগেই ডেলিভারি অনেক সময় অসম্পূর্ন হয়, তবে এক্সসেপ্সহন আছে।

এখন দেখুন, আমাদের লিডার সব বাতিল মাল! কি আশা করেন তাদের কাছ থেকে। এরা কাশ তে পাদে টাইপের বৃদ্ধ! সেই ছাত্র অবস্থা থেকে দেখে আসছি। তাদের ভিতর ফাফা। ডেলিভারি ডিবার কিছু নেই তাদের। ডোন্ট এক্সপেক্ট এনিথিং, ব্রাদার।

আমাদের প্রচেস্টা সমাজে টুক টাক নলেজ ড্রিভেন আলোচনা, যা ভবিষ্যতের সমাজ সচেতনতাকে রিডিফাইন করার সূচনা!

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

পুলহ বলেছেন: সমস্যা ধরতে পারলেই নাকি সমাধানের একটা বিরাট অংশ হয়া যায়। আমাদের দেশের সমস্যাগুলা সবই ওয়েল ডিফাইন্ড, কিন্তু তারপরো কেনো আমরা সমাধানের কাছাকাছিও পৌছাইতে পারতেছি না?! মাঝে মাঝে খুব ডিমোরালাইজড হয়া যাইতে হয়...

এসইজেড নিয়া লেখা পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম..

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "গ্রেট মেন থিং এলাইক!"
এ কথাটা প্ল্যানিং এন্ড ডিজাইন লেভেল চাকরি জীবনের প্রতি স্তরে এসে টের পাই। হাইলি ক্যাপাবল এক্সপার্ট গণ এর মধ্যে মতবিরোধ এত কম যে, প্রজেক্ট প্ল্যানিং এ টেকনিক্যাল মতবিরোধ একেবারেই কম, বরং খুব দ্রুতই ভুল উঠে আসে! ১-২ টা ডিজাইন রিভিউয়ের পরই ডিজাইন একটা স্টান্ডার্ড লেভেল পৌছে যায়। হাঁ ইমপ্লিমেন্টেশন ওয়ে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ম্যানেজার ভিন্ন ভিন্ন মেথড এপ্লাই করেন।


কিন্তু দেখবেন বাংলাদেশে আমাদের অবস্থা ভিন্ন।

"তিনজন বাঙালী দুটি মতে উপনীত হতে পারেন না"।

আগে মনে হোত, এটা আমাদের কালচারাল দৈন্যতা। এখন মনে হয় তা না। আসলে আমাদের সোসাইটি ফান্ডামান্টাল নলেজ এর যে স্তান্ডার্ড স্ট্রাকচার তাতেই পৌঁছাতে পারিনি। এজন্য সাব্জেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট কম, রাইট পিপল রাইট কাজ করছেন না। সবাই আন্দাজের উপর ঢিল দিচ্ছে, কিছু লাগে কিছু লাগে না।

খোদা আমাদের রহম কর!

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "আমরা জান দেবো, তবু জমি দেবো না। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে আমার বসতভিটা, চাষের জমি ছিনিয়ে নিতে দেবো না। এই এলাকায় কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেবো না। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পরিবেশের ক্ষতি করতে দেবো না। নিজেদের দাবি থেকে আমরা এক ইঞ্চিও নড়বো না, আন্দোলন আরও জোরদার করবো।"

জান নিলেও জমি দেবেন না স্থানীয়রা

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৩

জনৈক শ্রেয়াস বলেছেন: জরুরী একটা লেখা।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: IPCCর সায়েন্টিস্টরা কি নকল করে পাশ করেছেন? জাতীয় পত্রিকায় এস আলমের (মিথ্যাচারের) ৮ যুক্তির জবাব।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.