নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে লেনদেনের যৌক্তিক ফি কত হতে পারে?

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৫

বাংলাদেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ট্যারিফ আলোচনা নিয়ে বণিক বার্তা উপসম্পাদকীয়তে এপ্রিল ২৪, ২০১৭ তারিখে সমাজতাত্ত্বিক ও গবেষক জনাব খন্দকার সাখাওয়াত আলীর লেখা কলাম আমার নজরে আসায় টেলিকম বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইউএসএসডি-সংক্রান্ত একটি টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ উপস্থাপনের প্রয়াস পাচ্ছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এতে রেগুলেটর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসি, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং নেটওয়ার্ক অপারেটরদের বহুমুখী আলোচনার অনুকূলে কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি হাই লেভেল কিন্তু অতিস্বচ্ছ ধারণার সৃষ্টি করবে। আশা করি, এর আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত ব্যবহারকারীর অধিকার রক্ষাপূর্বক বাংলাদেশের নাগরিকদের আর্থিক লেনদেনকে সহজ, নিরাপদ করে অতিস্বল্প খরচের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

টেলিকম ভয়েস এবং ডাটা ডোমেইনে বিভক্ত। ভয়েস ডোমেইন রেডিও এক্সেস সাব-ডোমেইন, অ্যাকসেস ও কোর ট্রান্সমিশন, ভয়েস কোর, মিডিয়া রিসোর্স সাব-ডোমেইন, চার্জিং সাব-ডোমেইন, ডাটা বেইজ ও প্রভিশনিং ইত্যাদি সাব-ডোমেইনগুলোর সিগনালিং (কন্ট্রোল প্লেইন) এবং ইউজার প্লেইন (ট্রাফিক প্লেইন) রিসোর্স ব্যবহার করে থাকে। ভয়েস ডোমেইনের উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এটা ইউজার টু ইউজার হওয়ার কারণে এ-পার্টি (কলিং লেগ) ও বি-পার্টি (কল্ড লেগ) এ উভয় দিককেই নেটওয়ার্ক ডোমেইন ও সাব-ডোমেইনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে।

অন্যদিকে ডাটা ডোমেইন অ্যাকসেস রেডিও সাব-ডোমেইন, অ্যাকসেস ও কোর ট্রান্সমিশন, ডাটা বেইজ ও প্রভিশনিং, সার্ভিং গেটওয়ে, চার্জিং সাব-ডোমেইন, পলিসি কনট্রোল এবং প্যাকেট গেটওয়ে হয়ে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এখানেও ডাটা কল সাব-ডোমেইনগুলোর সিগনালিং (কন্ট্রোল প্লেইন) এবং ইউজার প্লেইন (ট্রাফিক প্লেইন) রিসোর্স ব্যবহার হয়ে থাকে।
তবে ভয়েস ও ডাটা উভয়েরই চার্জিং মূলত বহু ধরনের ট্রাফিক বিয়ারার (ইউজার প্লেইন)-এর এট্রিবিউট, বিয়ারার ওয়েট, বিয়ারার থ্রোপুট, কোয়ালিটি গ্যারান্টি ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। এ বিয়ারারগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকে সিগনালিং, যা ভয়েস ও ডাটা কল সেটাপের জন্য বাধ্যবাধক, তবে কন্ট্রোল প্লেইন সিগনালিংয়ের ওপর চার্জিং হয় না। ভয়েস ডোমেইনে চার্জিং ন্যারো ব্যান্ড ভয়েস কোডেক কিংবা আরো উন্নত ওয়াইড ব্যান্ড কোডেক অথবা সর্বোচ্চ কোয়ালিটির ভলটি কোডেকের অ্যালোকেশনের ওপর হতে পারে, তবে অপারেটর চাইলে ফ্ল্যাট চার্জিংও করতে পারে। লো-কোয়ালিটি কোডেকনির্ভর সস্তা এমভিএনও নেটওয়ার্ক থাকে অনেক দেশে। ভয়েস বিয়ারার ট্রাফিক কোডেকগুলো রেডিও নেটওয়ার্ক এন্ডে চ্যানেল এলিমেন্ট ব্যবহার করে, যার জন্য অপারেটরকে লাইসেন্স কিনতে হয় টেলিকম ভেন্ডরের কাছ থেকে।

ডাটা ডোমেইনে বিয়ারারগুলো ১৬, ৩২, ৬৪, ১২৮, ২৫৬, ৩৮৪ কেবিপিএসের ইউনিটে থাকে, থ্রোপুট স্যাভি ডাটা ট্রাফিক প্রয়োজনসাপেক্ষে এ ডাটা ইউনিটগুলোর এক বা একাধিক ইউনিট ব্যবহার করে। এ বিয়ারারগুলো রিয়েল টাইম, ব্যাকগ্রাউন্ড, ইন্টারঅ্যাক্টিভ, ভিডিও ও স্ট্রিমিং এসব ডিলে ও জিটার ক্ল্যাসিফিকেশনে বিন্যস্ত, বিয়ারারের ক্ল্যাসিফিকেশন মূলত ত্রিজিপিপি নির্দেশিত কোয়ালিটি অব সার্ভিস রিকোয়্যারমেন্ট ও ইমপ্লিমেন্টেশনের ওপর হয়ে থাকে। ডাটা বিয়ারারগুলো রেডিও নেটওয়ার্ক এন্ডে ‘চ্যানেল এলিমেন্ট’ ব্যবহার করে, যার জন্য অপারেটরকে লাইসেন্স কিনতে হয় টেলিকম ভেন্ডরের কাছ থেকে।
ভয়েস বিয়ারার টাইম সেনসিটিভ। ডাটা বিয়ারার কিছুটা টাইম ও ডিলে সেনসিটিভ, আবার কিছুটা থ্রোপুট সেনসিটিভ। টেলিকমের ট্যারিফ ও চার্জিংয়ে ট্রাফিক বিয়ারারের স্পর্শকাতরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, ট্রাফিক বিয়ারারের স্পর্শকাতরতা ও ওজন যা-ই হোক না কেন, এর নিজ নিজ কন্ট্রোল প্লেইন সিগনালিংকে বাধ্যবাধকতাভাবে উচ্চ প্রাধিকার দেয়া হয়, যা সেটআপ সবসময় প্রবেশগম্য হয়।
এখন আমরা ‘ইউএসএসডি’র কারিগরি আলোচনায় আসি।

ইউএসএসডি টেকনোলজি ব্যাকগ্রাউন্ড:
১। ইউএসএসডি শুধু সিগনালিং ট্রাফিকের কোনো ট্রাফিক বিয়ারার কাউন্টারপার্ট নেই। এটা পিউর এসএস৭/ ম্যাপ/এস এন এম পি সিগনালিং।

২। একটি ভয়েস কিংবা ডাটা কলে মোট যে পরিমাণ সিগনালিং ফ্লো কলিং ইউজার টু নেটওয়ার্ক এবং নেটওয়ার্ক টু কল্ড ইউজার, তার তুলনায় ‘ইউএসএসডি’ সেশন এক-দশমাংশের চেয়েও কিছু কম সিগনালিং ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ এখানে বহু সাব-ডোমেইন ব্যবহার হয় না। এখানে বিয়ারার সেটআপ নেই, তাই ইউজার প্লেইন পুরোপুরি অনুপস্থিত। (৮ থেকে ১২টি সিগনালিং ট্রানজেকশন, বিপরীতে ভয়েস ও ডাটা সেশনে ১০০টিরও বেশি মাল্টি ডোমেইন ফ্লোর বাইরে থাকে।)

৩। ইউজার প্লেইন বা বিয়ারার না থাকার অর্থ নেটওয়ার্ককে ডেডিকেটেড কোনো চ্যানেল রিজার্ভ এবং প্রতিষ্ঠা করে রাখতে হয় না। বিয়ারের বিপরীতে কোনো ধরনের ভয়েস আর্লং কিংবা ডাটা থ্রোপুট পাঠানোর প্রয়োজন নেই। বরং ইউএসএসডি গ্লোবাল টাইটেল ব্যবহার করে ম্যাপ সিগনালিং করে থাকে। তাই ইউএসএসডি অত্যন্ত হালকা।

৪। ইউএসএসডি সেশনে ব্যবহূত সিগনালিং মেসেজ ফ্লোগুলো সাধারণত পিএসএসআর, পিএসএসআর এসিকে, ইউএসএসআর, ইউএসএসআর এসিকে, ইউএসএসএন, ইউএসএসএন এসিকে -এর সঙ্গে রয়েছে কিছু লাইট ফ্যাসিলিটি মেসেজ ট্রানজেকশন ও একনলেজমেন্ট। ইউএসএসডি ট্রেইস অ্যানালাইসিসে দেখা যাচ্ছে, এ মেসেজগুলোর ইনডিভিজুয়াল ভলিউম বা ডাটা ওয়েট মাত্র ২২৪ বাইট, ২৪০ বাইট, ১৫২ বাইট, ২৫২ বাইট ইত্যাদি খুব হালকা ধরনের। ইউজার ইনিশিয়েটেড, নেটওয়ার্ক ইনিশিটিয়েটেড উইথ মেনু কিংবা নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটেড উইথ একনলেজমেন্ট অনলি যে রকমই পুশ বা পুল সেশন হোক না কেন, একটি সম্পূর্ণ ইউএসএসডি সেশনের মোট ডাটা ভলিউম সর্বোচ্চ ১০০০ বাইট বা ১ কিলোবাইট। দীর্ঘ সময় ধরে কন্টিনিউয়াস মেনু ব্রাউজিংয়ের ওপর নির্ভর করে এটা কিছুটা বাড়তে পারে কিনা।

৫। যেসব ইউএসএসডি সেশন ইউএসএসডি একনলেজমেন্টের বাইরেও এসএমএস নোটিফিকেশনে শেষ হয়, তার টোটাল ভলিউম ২০০০ বাইট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। উল্লেখ্য, এই এসএমএস নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটেড, যা সাধারণ এসএমএস ফ্লোর চেয়েও হালকা। আগেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এ পরিমাণ কন্ট্রোল সিগনালিং শুধু একটি ভয়েস কল বা ডাটা কলের তুলনায় এক-দশমাংশের কম। বিস্তৃত বিশ্লেষণে দেখা যাবে, একটি নেটওয়ার্ক অপারেটরের মোট কন্ট্রোল সিগনালিং ব্যবহার-সক্ষমতার অতি নগণ্য পরিমাণই শুধু ইউএসএসডি ব্যবহার করে, প্রকৃতপক্ষে এ লাইটনেসের জন্যই এ সাপ্লিমেন্টারি আন্সট্রাকচার্ড সার্ভিসের উত্পত্তি ও বিকাশ।

মূলকথা ইউএসএসডি চ্যানেল খুবই লো থ্রোপুট-লো রিসোর্স সিগনালিং চ্যানেল, টেলিকমে আমরা একে ইউই (মোবাইল) টু কোর ডিরেক্ট কন্ট্রোল সিগনাল বলে থাকি, যা বহু নেটওয়ার্ক এলিমেন্টে ট্রান্সপারেন্ট (মানে এ এলিমেন্টগুলো রিসোর্স ব্যবহার করে না)। এটা খুবই লাইট সিগনালিং ডাটা, অ্যাপ্লিকেশন লেভেলে এর চেয়ে কম নেটওয়ার্ক রিসোর্স ব্যবহারকারী কোনো চ্যানেল হতে পারে না। এমনকি একটি এসএমএসের চেয়েও ইউএসএসডি চ্যানেল কম নেটওয়ার্ক রিসোর্স ব্যবহার করে।

৬। ইউএসএসডি সেশনের সাফল্য-ব্যর্থতা ইউএসএসডি রেকর্ড ইউএসএসডি সার্ভারে বা ইউএসএসডি গেটওয়েতে পোস্ট স্টোর হওয়ার কথা, যদিও সেটা তাত্ক্ষণিক বা রিয়েল টাইমে পাওয়া যাবে না। (এ ধরনের পোস্ট প্রসেসিং ভেন্ডর কিংবা থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস মডিউলও রয়েছে, যা গেটওয়ে থেকে ডাটা ফেচ করে রি-প্রসেস করে)।

কনজেশন মেকানিজম ও কোয়ালিটি গ্যারান্টি
৭। কন্ট্রোল সিগনালিংকে ত্রিজিপিপি গাইডলাইনের কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউ ও এস) ইমপ্লিমেন্টেশনে উচ্চ প্রায়োরিটি অর্ডারে রাখা হয়। যদিও লো-কোয়ালিটি নেটওয়ার্কগুলোয় রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক, ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং কোর নেটওয়ার্কে এন্ড টু এন্ড কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউ ও এস) ইমপ্লিমেন্টেশন থাকে না। বাংলাদেশের বাস্তবতায় রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক, ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কে কিউওএস ইমপ্লিমেন্টেশন নেই বলেই ধারণা করি।

৮। কনজেশন মেকানিজম শুধু ইউএসএসডি সার্ভার গেটওয়ে এবং রেডিও নেটওয়ার্কের সিগনালিং চ্যানেলের অ্যাভেইলঅ্যাবিলিটির ওপর নির্ভর করে। রেডিও নেটওয়ার্ক ছাড়া অন্য কোথাও সিগনালিং চ্যানেল কনজেশনের কোনো অবকাশ নেই। সিএস কোর কিংবা এইচএলআর ডাটাবেজে কনজেশন আসার প্রশ্নই আসে না, কেননা সেখানে অতি উচ্চ ক্যাপাসিটির সিগট্রান সিগনালিং থাকার কথা। আর রেডিও নেটওয়ার্ক চ্যানেল ক্যাপাসিটি অপারেটরের নিয়মিত ট্রাফিক গ্রোথের সাপেক্ষে এমনিতেই আসার কথা। ইউএসএসডি শুধু অ্যাড অন হিসেবে গ্রোথ ফোরকাস্টে আসতে পারে, যদিও এ লো-সিগনাল মেইন ডাইমেনশন ক্রাইটেরিয়া হতে পারে না। টেলিকম টেকনোলজির উত্তরোত্তর অগ্রগতিতে কন্ট্রোল চ্যানেল কনজেশনের সম্ভাবনা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়। অর্থাত্ টেলিকম নেটওয়ার্কের সফটওয়্যার আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে (বছরে ২ থেকে ৪টি মেজর আপডেট) এবং নতুন নতুন ফিচার ইমপ্লিমেন্টেশনের সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল চ্যানেলের ক্যাপাসিটি এমনিতেই বৃদ্ধি পায়, কারণ এটা সফটওয়্যার ইভোলিউশন, আধুনিক ওপেন বেইজব্যান্ড কিংবা কোর প্লাটফর্মের হার্ডওয়্যারের সঙ্গে এর সম্পর্কে পরোক্ষ।

তুলনামূলক দাম বিশ্লেষণ দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে ১ মেগাবাইট ডাটার আনুমানিক মূল্য ২৫ পয়সা। দেখা গেছে, অপারেটর ও প্যাকেজভেদে এটা সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা, যদিও এ রেট সময়ের সঙ্গে কমছে। অর্থাত্ গড়ে ১ মেগাবাইট (১০০০ কিলোবাইট) ডাটার গড় মূল্য ৩৭.৫ পয়সা। এ অনুসারে একটি নোটিফিকেশনসহ একটি সম্পূর্ণ ইউএসএসডি সেশনের (যেমন— একটি সম্পূর্ণ মোবাইল মানি ট্রান্সফার) মোট ভলিউম ২০০০ বাইট (২ কিলোবাইট) ধরলে এর মূল্য পড়ে ৩৭.৫*২/১০০০=০.০৭৫ পয়সা। উল্লেখ্য, যেহেতু এটা ডাটার মার্কেট প্রাইসের মধ্যেই নেটওয়ার্কগুলোর প্রফিট মার্জিন অর্ন্তভুক্ত।

টেলিকম অপারেটরগুলো রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক এবং ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ত্রিজিপিপি গাইডলাইনের কোয়ালিটি অব সার্ভিস (এন্ড টু এন্ড কিউ ও এস ডিএসসিপি ৪৬, ইএফ) ইমপ্লিমেন্টেশনের নিশ্চয়তা দিলে অতি উচ্চ সেশন সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে। সেশন মনিটরিং, রিপোর্টিং, পোস্ট অ্যানালাইসিস রিপোর্টিং, সিকিউরিটি রিপোর্টিং এবং টেলিকম গ্রেড কোয়ালিটি অফ সার্ভিস (কিউ ও এস) ইমপ্লিমেন্টেশন ও কন্ট্রোল প্লেইন ক্যাপাসিটি অ্যাভেইলঅ্যাবিলিটি বাধ্যতামূলক রেখে ইউএসএসডি সেশনকে গ্যারান্টেড বিট রেটের আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করা গেলে অপারেটরদের জন্য একটা বাড়তি প্রফিট ট্রেড অফ রেখে একটি সম্পূর্ণ ইউএসএসডি সেশনের (যেমন— একটি সম্পূর্ণ মোবাইল মানি ট্রান্সফার) সমপরিমাণ ডাটা ওয়েটের বা সেশন কস্ট ০.০৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ০.০৭৫-এর সঙ্গে আরো ০.৯২৭ পয়সা যোগ করে সর্বোচ্চ ১ পয়সা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, এ প্রস্তাবনায় এরই মধ্যে ইউএসএসডির প্রস্তাবিত মূল্য অ্যাকচুয়াল কস্ট হতে ১৩.৩৩ গুণ বর্ধিত, যা আক্ষরিক অর্থেই বড্ড বেশি। তবে এন্ড টু এন্ড গ্যারান্টেড কোয়ালিটি অব সার্ভিস বাস্তবায়ন না করলে রেট ০.০৭৫ পয়সার বেশি হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এর বাইরে যেকোনো দাম প্রস্তাবনা সরকার ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো যাতে প্রত্যাখ্যান করে, নাগরিক হিসেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

প্রকাশ থাকে যে, উল্লেখ্য কারিগরি আলোচনার সূত্র ধরে বা অন্য যেকোনো কারিগরি আলোচনার জন্য কিংবা সার্ভিস প্রভাইডারদের দিক থেকে আসা অন্যায্য দাবিকে চ্যালেঞ্জ করতে সরকারকে সহায়তা দিতে নাগরিক হিসেবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।


মে ১৪, ২০১৭ বণিকবার্তায় প্রকাশিত।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
লেখক: সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিস্ট, প্রকৌশলী, ইইই, বুয়েট। সফটওয়্যার সলিউশন আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন নেদারল্যান্ডস। সাবেক টেলিকম সলিউশন আর্কিটেক্ট, এরিকসন (নাইজেরিয়া, ঘানা, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস); কোর নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকটেল এবং অ্যালকাটেল-লুসেন্ট বাংলাদেশ
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

এম এ কাশেম বলেছেন: কিচচু বুঝি নাি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: একেবারেই টেকনিক্যাল আলোচনা। জাস্ট সার্চের স্বার্থে এখানে দেয়া।
তবে লিখার প্রাপ্যতা ও কার্যকরিতার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই আমাকে মেইলে জানিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.