নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোফিয়াই মারাইবেন নাকি টেক-মারানিও হবেন!!!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:২০

রাষ্ট্রীয় প্রণোদনায় বিদেশী অটোমেশনের বাজার তৈরি করে দিবেন নাকি অটোমেশন সক্ষমতার দেশীয় ইনফাস্ট্রাকচার তৈরিতে কিছু করবেন?

এডভান্স কম্পিউটিং, এজ কম্পিউটিং, ন্যানো টেক,কন্ট্রোল সিস্টেমস, সিলিকন সিরামিক্স, মেশিন লার্নিং, ফেসিয়াল রিকগ্নিশান, ভয়েস রিকগ্নিশান, ভিজুয়াল ডাটা প্রসেস, ইমোশনাল এক্সপ্রেশান রিকগ্নিশান, আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি এমেইজিং কারিগরি উতকর্ষের ছোঁয়ায় আজকের রোবটিক্স এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

এদিকে টেলিকম ও আইটি এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দ্রুতই সম্পূর্ণ ফিফথ জেনারেশন (ফাইভ জি) সার্ভিস লঞ্চ হতে শুরু করবে দেশে দেশে। ফাইভ জি এক্সট্রিমলি হাই ডেটা, এক্সট্রিমলি লো লেটেন্সি (১ থেকে ৫ মিলি সেকেন্ড) এবং ম্যাসিভ কানেক্টিভিটি নিয়ে হাজির হয়ে দুরুত্ব ও ডেটাকে রিয়েল টাইম ট্রান্সফর্মেশন রূপ দিতে যাচ্ছে। ফলে ইতিমধ্যেই আলোড়ন তোলা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি রিমোট মেশিন অপারেশন, রিমোট সার্জারির, রিমোট ক্লাস ও কন্ট্রল সিস্টেমে এক অনন্য উচ্চতার যোগ এনে দিবে।

আগামীর দিনে রোবটিক্সের সাথে ৫ম প্রজন্মের টেলিকম টেকনোলোজি যোগ হয়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির রাজত্ব সব ইন্ডাস্ট্রিতে কায়েম হবে, বহু ইন্ডাস্ট্রি ও সেবা খাত এক নব রূপে আবির্ভূত হবে। শুরু হবে রিমোট সার্ভিস ও অপারেশন্স এর নব অধ্যায়। এর মধ্যমে কানেক্টেড কার, সেলফ ড্রাইভ ভেহিকল, প্রায় লেটেন্সি ফ্রি রিয়েল টাইম রিমোট রোবোটিক্স সার্জারি, লেটেন্সি ফ্রি রিয়েল টাইম রোবোটিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অপারেশন্স, রোবোটিক মেডিক্যাল এসিস্টেন্স, রিমোট ক্ল্যাস, ডিসট্যান্ট লার্নিং, রিয়েল টাইম ডিসট্যান্ট কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট, রিয়েল টাইম ডিসট্যান্ট সেলস সাপোর্ট, যেকোন হার্ডোয়ার ট্র্যাকিং,যোকোন ভেহিকল ম্যানেজমেন্ট, স্মল ও লার্জ এন্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ইনভেন্টরি, যে কোন রিমোট হার্ডোয়ার ও সফটওয়্যার এপ্লিকেশন, এমনকি ইন্টার‍্যাক্টিভ রোবোটিক সেক্স পার্টনারের কন্সেপ্ট গুলো ধারণা থেকে বাস্তব রুপ পাবে। এই ধরনের বহু ট্রায়াল ইতিমধ্যেই হয়েও গেছে। অর্থাৎ শ্রম ঘন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ গুলো দিন দিন অটোমেশনের আওতায় আসবে। মানুষ নির্ভর সেবা খাত দিনকে দিন মেশিন সার্ভিসে রূপান্তরিত হবে।

এখন কথা হচ্ছে এই অভাবনীয় কারিগরি উতকর্ষের যুগে বাংলাদেশের ইন্টেলেকচুয়াল, একাডেমিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট স্টেইক কেমন হবে। বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রোবোটিক্স পড়ানোর ইনফাস্ট্রাকচার নেই। ল্যাব নেই টেলিকমের ৪জি'র, ৫জি 'র সিলেবাস কভারেইজ নেই কারিকুলামেও। যেখানে ৪র্থ ও পঞ্চম জেনারেশনে টেলিকম তার বেইজ স্টেশন থেকে শুরু করে কোর নেটোয়ার্ক সর্বত্রই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে এসে গেছে, যেখানে আধুনিক সব আইটি'র রাউটার ভেন্ডর "এ আই" নিয়ে এসে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার সিলেবাসে বহুবিধ ডোমেইনের সাধারণ "এ আই" কনটেন্ট আনার বোধও তৈরি হয়নি, রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট তো দুরের ব্যাপার।
কিন্তু বিদেশি কোম্পানির হাত ধরে বাংলাদেশে টেকনোলোজির ইমপ্লিমেন্টেশন (ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন) একেবারেই বসে নেই। ইপিজেড গুলোতে রোবোটিক ইন্টাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন শুরু হয়ে গেছে, এডভান্সড কন্ট্রোল সিস্টেম এসেছে বহু আগেই। এতে করে টেকনোলোজি আমদানির শুরু করে দিলেও বাংলাদেশের নিজের টেকনোলজি ভিত্তি তৈরির হুঁশ তৈরি হয়নি এখনও।
এই ভিত্তি বলতে আমাদের বুঝতে হবে-
ক। রোবোটিক্স,আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ও ৫জির একাডেমিক সক্ষমতা,
খ। রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সক্ষমতা,
গ। অপারেশন্স ও সাপোর্ট সক্ষমতা,
ঘ। "এ আই" ক্যাপাবল হাই টেক পণ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন সক্ষমতা (দেশীয় অথবা বিদেশী ম্যানুফ্যাকচারের বেইজ তৈরি)।

মানুষের জীবন-জীবিকাকে সহজ ও আরামদায়ক করে আনার প্রযুক্তিগুলো এখন ব্যবসায়ের বড় বড় পণ্য। "অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ‘দ্য ফিউচার অব এমপ্লয়মেন্ট’ নামের এক গবেষণায় অনুমান করেছেন, আসন্ন দশকগুলোয় রোবট টেকনোলজি প্রচুর ‘কাজ’ নিয়ে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তাদের অনুমান, ভবিষ্যৎ দুই দশকে প্রায় ৪৭ শতাংশ কর্মজীবী সেখানে কাজ হারানোর ঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে যেসব ‘কাজ’ দীর্ঘ সময় ধরে পুনঃপুন একই ধাঁচে করা করা হয়, সেগুলোতে মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে রোবট। হিসাববিজ্ঞানের নামকরা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি এ বছরের ২৪ মার্চ এক অনুমান প্রকাশ করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতোই যুক্তরাজ্যে কর্মহীনতার একই ঘটনা ঘটবে আগামী ১৫ বছরে অন্তত ১০ মিলিয়ন স্বল্প দক্ষ কর্মজীবীর বেলায়। অল্প পরিমাণ ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ দিয়েই অনেক ধরনের এমন সব কাজ করা সম্ভব, যেগুলো এখন মানুষ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে হিসাব কষে এও বলে দেওয়া হয়েছে, ৩১ লাখ ট্রাক-ট্যাক্সি-ডেলিভারি ভ্যানের চালক স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের কাছে কর্মসংস্থানের বাজারে পরাজিত হতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে। ওয়ালস্ট্রিটে ইতিমধ্যে ট্রেড করছে রোবট। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজার ট্রেডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত লাখ লাখ কর্মীর জন্য এটা একটা বড় খবর বটে। যদিও উদ্বেগজনক খবর। এ রকম গবেষণা আরও হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়, ডিজিটাল ভয়েস সার্ভিস দিয়ে এমন অনেক কাজ সারা যায়, যা এত দিন ইউরোপ-আমেরিকা তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের ‘অনলাইন লেবার’দের দিয়ে করাতে। কেবল যে এগুলো গবেষণা অনুমান তাও নয়; অনেক সত্য বাস্তবেই দেখা যাচ্ছে। জাপানে বৃদ্ধ মানুষের সেবায় ইতিমধ্যে কাজ করছে রোবটরা। অথচ একসময় অনুমান করা হতো, জাপানে বা উন্নত বিশ্বে প্রচুর নার্স দরকার হবে। বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ সেখানে নার্সের বাজার নিয়ে আশাবাদী ছিল, কিন্তু এখন আর এই সেমি স্কিল্ড শ্রম বাজারেরও বাস্তবতা নেই, রোবোটিক ম্যাডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট এখন বাস্তবতা। বাংলাদেশের মতো মধ্য আয়ের অনেক দেশেই নির্মাণ খাত গুরুত্বপূর্ণ। রোবোটিকস যেসব খাত নিয়ে সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখছে, তার একটি নির্মাণ খাত। অতি স্বল্প সময়ে অনেক বড় নির্মাণ সমাধা করবে আগামী দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আপাতত যেসব খাতকে রোবটবিদ্যা বেশি টার্গেট করেছে, তার মধ্যে আছে খাবার বিতরণ খাত, জিনিসপত্র তৈরির ফ্যাক্টরি, পরিবহন ও কৃষি খাত।" (আলতাফ পারভেজের লিখা হতে)।

সোফিয়া রোবোটের নির্মাতা ‘হানসেন রোবোটিকস’-এর ওয়েব পেজ বলছে, ‘এমন এক জিনিয়াস প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় তারা, যা কেবল বাঁচবে না, ভালোও বাসবে!’। এই বক্তব্যের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অর্থ আছে। এর মানে হতে পারে জীবন যাপন, উপভোগ ও কর্মসংস্থানের বহু সেবা রোবোটিক এপ্লিকেশনে নিয়ে আশার বাস্তবতা আমাদের কড়া নাড়ছে। এই ধরণের দ্রুতগতির অটোমেশন উতকর্শের যুগে শ্রম ঘন দেশে গুলোর আন্সকিল্ড ও সেমি স্কিল্ড বৈদেশ শ্রম রপ্তানির বাজার, ঘনবসতি পুর্ণ অভ্যন্তরীণ জনমিতিক বাজারে উতপাদন ও কর্মসংস্থান সম্পর্ক কেমন হবে তার ভাবনা চূড়ান্ত করা জরুরী।

যেহেতু বাংলাদেশে কারিগরি বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া দেশের তলানিতে তাই রোবোটিক্সের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আধুনিক টেলিকমের দুরন্ত সেবার মিশেলে তৈরি অটোমেশনের কাছে এখনই নিজের অভ্যন্তরীণ শ্রম ঘন কর্মসংস্থান বাজার হারিয়ে ফেলবে ব্যাপারটা সেরকম নয়। তবে বাংলাদেশের আমেরিকা, ইউ ও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রম বাজারের ব্যাপ্তি যে কমে আসবে, আন্সকিল্ড ও সেমি স্কিল্ড শ্রম বাজারের রোডম্যাপ যে মার্জিনালি টার্মিনেইট হবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। হলফ করে বলা যায় আগামী ১ দশকের ভিতরে বিদেশে বাংলাদেশের ফিজিক্যাল সার্ভিস ওরিয়েন্টেড ম্যানপাওয়ার বাজার (মেশিন অপারেটর, সুইপার, ড্রাইভার, নার্স, সাধারণ টেকনিশিয়ান ইত্যাদি) সিগ্নিফিক্যান্টলি হারাবে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ভবিষ্যৎ বিকল্প কি হবে?


বাংলাদেশ কি সামনের দিনে তার উচ্চ মান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপে মন দিবে? প্রতিবেশী ভারতের উচ্চ সক্ষমতার আই আই টি 'র এত সুবিশাল সাফল্যও কি দেশটিকে কোন অনুপ্রেরণা বা দুরদর্শিতা এনে দিয়েছে? আমরা দেখেছি ভারত রোবোটিক্স, আইটি ও টেলিকম খাতে প্রোডাক্ট উৎপাদনে সক্ষম না হলেও বিশ্ব ব্যাপী এই খাতগুলোতে অপারেশন ও কারিগরি সাপোর্ট সক্ষমতা তৈরি করে স্কিল্ড কর্ম সংস্থান ও রেমেটেন্স বাজারকে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ কি প্রতিবেশী হয়েও এই দুরদর্শিতা ও ইন্টেলেকচূয়াল স্ট্রাটেজী বুঝতে পেরেছে? বাংলাদেশ কি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বিদেশের বাজার চাহিদা উপযোগী করবে, দেশীয় কারিগরি উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে নাকি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশী ব্যবসায়ীদের রোবোটিক পণ্য প্রমোট করবে????


বাংলাদেশকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে কি সোফিয়াদের কিনে আনবে নাকি সোফিয়া তৈরির নলেজ বিল্ড, রোবোটিক্সের ফরোয়ার্ড ব্যাকোয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রি লিংকেইজ, সোফিয়া সচল রাখার টেক সাপোর্ট দিবার মত যোগ্য ইনফাস্ট্রাকচার তৈরি করবে!!!

মার্কেট কম্পিটিশন খুবই র‍্যাডিয়ান্ট। ভারত-চায়না, কোরিয়া-জাপানের কারিগরি উতকর্ষের বিপরীতে এশিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতির দেশকে উৎপাদন শিল্পায়ন শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে টিকে থাকতে হলে টেকনোলজি ডেভেলপ না করতে পারলেও অন্তত বাস্তবায়ন ও অপারেশন্স সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। টেকনোলোজি ট্রান্সফারে করিতকর্মা হতে হবে। নচেৎ নিজের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক শ্রমবাজার হারিয়ে সোফিয়া তুষ্টিতে আহলাদ মিটাতে হবে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ সরকারে চাকুরীর ১ম শর্ত হলো, চাকুরেকে গলাবাজ হতে হবে, ও বস থেকে কম জনাতে হবে; ফলে, 'ফাদার অব ডিজিটেল বাংলাদেশ'ও আপনার পোষ্ট পড়লে বুঝবে না।

আগামী ১০ বছরে সাধারণ কাজে রবোটিকের বিস্ফোরণ ঘটবে না; রাস্তাঘাট পরিস্কার, রাস্তা তৈরিতে, রাস্তা মেরামতে, কার্পেটিং'এ শ্রমিক কম লাগবে।

শ্রমিক যতই কম লাগুক না কেন, বাংগালী শ্রমিকের বাজার থাকবে; কারণ, সরকার তাদেরকে কম দামে বিক্রয় করবে; তারপরও সরকার তাদের উপর লাভ করবে। অপরদিকে, ভারত ও অন্যান্য দেশে 'অদক্ষ' শ্রমিকের সংখ্যা কমে আসবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শ্রমিক যতই কম লাগুক না কেন, বাংগালী শ্রমিকের বাজার থাকবে; কারণ, সরকার তাদেরকে কম দামে বিক্রয় করবে; তারপরও সরকার তাদের উপর লাভ করবে। অপরদিকে, ভারত ও অন্যান্য দেশে 'অদক্ষ' শ্রমিকের সংখ্যা কমে আসবে।

গুরুত্বপূর্ণ উপ্লভধি!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: 'ফাদার অব ডিজিটেল বাংলাদেশ!!

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারীর মন্তব্যের সাথে একমত।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

আল ইফরান বলেছেন: আপনার এই লেখাটা প্রিন্ট করে সরকারের এই সংক্রান্ত সবকয়টা পলিসি মেকিং এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশান ডিপার্টমেন্টে প্রচার করা দরকার। তবুও তাতে যদি তাদের ঘুম ভাংগে।
ইতিমধ্যে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে, সামনে আমাদের যে কি হবে আল্লাহই ভালো জানেন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

কালীদাস বলেছেন: আপনার এই পোস্টের গুরুত্ব পরের কথা, পোস্ট বোঝার মত এবিলিটি এই মুহুর্তে এই ব্লগে কয়জনের আছে সেটা নিয়ে ডাউট আছে আমার। আমলারা তো আরও কয়েক যোজন পরের জিনিষ :(

একটা ছোট, কোর জিনিষ নিয়ে বলি। এআই এর ফুল ফেসিলিটি পাওয়ার লোয়েস্ট রিক্যোয়ারমেন্ট হিসাবে সেন্ট্রাল ডেটাবেজ এখনই সিনক্রোনাইজ শুরু করা উচিত দেশে। ডিজিটাল ডেটাবেজ বেশ কয়েকটা গড়ে উঠেছে স্ক্যাটার্ডভাবে; ইউটিলাইজ করা যাচ্ছে না ওয়েল কানেক্টেড না থাকায়। আইটি সেক্টরে দেশে অনেক জিনিয়াস আছে, এরা পারবে। আমলাতন্ত্রের জটিলতাই খালি পারবে এদের স্লো করতে।

একটা ছোট কারেকশন: দ্রুতই ফোরজি চালু হতে যাচ্ছে দেশে যতটুকু জানি।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এআই এর ফুল ফেসিলিটি পাওয়ার লোয়েস্ট রিক্যোয়ারমেন্ট হিসাবে সেন্ট্রাল ডেটাবেজ এখনই সিনক্রোনাইজ শুরু করা উচিত দেশে।

ভাইয়া, অনেক গুরুত্ব পুর্ণ কথা বলেছেন। এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি লিখায় প্রাসঙ্গিক ভাবে বলেছিও। এই বিষয়ের একটি বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করার ইচ্ছা আছে।

আমি ৪টি ভিন্ন ভিন্ন যায়গায় (নির্বাচন কমিশন, মোবাইল অপারেটর, বি আর টি এ, পাস্পোর্ট অফিস) নিজেই বায়োমেট্রিক ডেটার আলাদা আলাদা ইনপুট নিতে দেখেছি। এ আই কিংবা অন্য সকল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পোষ্ট প্রসেসিং এর বাইরেও এই প্রতি মন্ত্রণালয় ও সেবা খাতের আলাদা আলাদা বায়োমেট্রিক নেয়া কেন্দ্রিক ব্যবস্থা অতি খরুচে (এই খাত দুর্নিতি ও লুটপাটের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে), এটা নাগরিকের শ্রম ঘন্টা নষ্ট করছে, নগরীতে যানজট বাড়াচ্ছে, অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা বাড়াচ্ছে এবং সর্বোপরি ইনটেলিজেন্ট ম্যানেজমেন্টকে বাধ গ্রস্ত করছে।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মূল্যবান ও উচ্চমান মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত কিছু বুঝি না। আমি তো জানতাম বুয়েটই একমাত্র বিশ্বমানের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়...

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



টেকনোলজি এবং মেশিন সম্পর্কে আমাদের ভ্রান্ত ধারণাই আমাদের প্রধান সমস্যা।

অনেকের ধারণা টেকনোলজি এবং মেশিন যত উন্নত হবে, মানুষের কর্ম সংস্থান তত কমে যাবে। মানুষ বেকার হয়ে যাবে।
আবার অনেকেই মনে করে টেকনোলজি এবং মেশিন ভবিষ্যতে এত উন্নত হবে, মেশিনই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

এই দুই ধারণার কোনটাই সঠিক না। টেকনোলজি এবং মেশিনের উন্নয়নের পিছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করে তা হলো, মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো সহজ এবং আরো আরামদায়ক করা।

এছাড়াও আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকরা অর্থাৎ আমলারা খুবই রক্ষণশীল। তারা যেকোনো পরিবর্তনে ভয় পায়। তারা নতুন টেকনোলজিকে ভয় পায়; তারা নতুন কোন মেশিনকে ভয় পায়। যার ফলে তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে নতুন টেকনোলজির আগমন ঠেকিয়ে রাখতে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেকের ধারণা টেকনোলজি এবং মেশিন যত উন্নত হবে, মানুষের কর্ম সংস্থান তত কমে যাবে। মানুষ বেকার হয়ে যাবে।

এটা কারো জন্য সত্য, কারো জন্য আধা বা সিকি সত্য এবং কারো জন্য মিথ্যা। টেকনোলোজির ১। উদ্ভাবন ২। বিকাশ এবং ৩। ট্রান্সফর্মেশন তিন ধারাতে একটি দেশের কতটুকু পারদর্শিতা তার নির্ভর করে এই "সত্য" এর মাত্রা।


আবার অনেকেই মনে করে টেকনোলজি এবং মেশিন ভবিষ্যতে এত উন্নত হবে, মেশিনই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে।


কম্পিউটিং, ম্যাশিন ল্যাঙ্গুয়েজ, প্রোগ্রামিং, কন্ট্রল সিস্টেমস টেকনোলজি ইত্যাদির বিপরীতে রোবোটিক্স এর টেকনোলজি ন্যাচারে এবং প্রয়োগে ভিন্ন। ১ম ধারা চিন্তা ও উদ্ভাবন করে, ২য় ধারা তার মেশিন লার্নিং ও ১ম ধারায় প্রয়োগ কৃত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে কাজ করে।

আগে যে শ্রম ঘন কিংবা পুনঃ পুনঃ ধাপের কাজ বা প্রয়োগ মানুষ করতো তার রিপ্লেইস্মেন্ট রোবোট হয়ে গেলে কর্ম সংস্থানের সঙ্কোচন হওয়ায়ই স্বাভাবিক। তবে চিপ ফেব্রিকেশন, সিলিকম সিরামিক্স, মাউক্রো ও ন্যানো সিলিকম সিরামিকসে ও প্রসেসর শিল্পে রোবটের বিকল্প নাই, এগুলা হাতে করা যায় না।

কম্পিউটিং, প্রোগ্রামিং, কন্ট্রল সিস্টেমস টেকনোলজি মেশিন ও অটোমেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড নলেজ ফাউন্ডেশন, আর রোবোট হল এই কারিগরি উতকর্শগুলোর সমন্বয়ে তৈরি হিউম্যানোয়েড প্রোডাক্ট। একদিকে জ্ঞান ও ইনোভেশন ব্যবস্থাপনা, অন্যদিকে স্বল্প কারিগরি ও পুনঃ পুনঃ করা লাগে এইসব শ্রম ঘন কাজের জন্য তৈরি হিউম্যান রিসোর্সের বিল্পক বা রিপ্লেইস্মেন্ট।

ইন্ডিস্ট্রিয়ালাইজেশনের চরম রূপে স্কিলড ও সেমি স্কিল্ড কর্মজীবী শ্রমিকের ছুটি, ট্যাক্স, হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স কস্ট ও কস্ট অফ লাইফ এডজাস্টমেন্ট এর যাবতীয় কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করতে মাস প্রডাকশন রোবটে ঝুঁকছে। সুতরাং কাজের সঙ্কোচন তো হবে। হতে পারে আজ থেকে ২০ বছর পরে কার সেলফ ড্রাইভ হবে এটাই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের ৫০ লক্ষ প্রাইভেট কারের বিপরীতে ৫০ লক্ষ ড্রাভাইরের চাহিদা থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক।

সুতরাং বিকল্প কর্মসিংস্থান নতুন নতুন টেকনোলজি আয়ত্ব করেই বের করে নিতে হবে। আনস্কিল্ড ও সেমি স্কিল্ড ম্যানপাউয়ার ট্রান্সফর্মেশনের রোডম্যাপ বানিয়ে ফেলতে হবে।

আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকরা অর্থাৎ আমলারা খুবই রক্ষণশীল। তারা যেকোনো পরিবর্তনে ভয় পায়। তারা নতুন টেকনোলজিকে ভয় পায়; তারা নতুন কোন মেশিনকে ভয় পায়। যার ফলে তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে নতুন টেকনোলজির আগমন ঠেকিয়ে রাখতে।

এর প্রধান কারণ কারিগরি অটোমেশন সঠিক ভাবে প্র্যোয়োগ করলে তদবির ভিত্তিক প্রশাসনের আর কাজ থাকবে না ফলে ঘুষ ও দুর্নিতির সুযোগ উঠে যাবে। তাই তারা এর প্রতিবাদ করে, বাঁধা দেয়, অটোমেশন প্রয়োগ করলেও ম্যানুয়াল ইন্টারভেনশন রেখে অসমাপ্ত বাস্তবায়ন করে যাতে ঘুষের যুযোগ ধরে রাখা যায়।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



লেখকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমার উল্লেখিত তিনটা পয়েন্টেরই চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন। আমি লেখার কলেবর বেড়ে যাবে এই কারণে শুধু পয়েন্টগুলিই উল্লেখ করেছিলাম কোন উদাহরণ বা ব্যাখ্যা দেই নাই।

আপনি আপনার লেখায় একটা সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেছেন রোবট টেকনোলজির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭ শতাংশ কর্মজীবীর কাজ হারানোর ঝুঁকি আছে। অর্থনীতিবিদদের এই তাত্ত্বিক অমূলক ধারণার জবাবে আমি আমার প্রথম পয়েন্টে বলেছি উদ্ভাবন, বিকাশ বা ট্রান্সফরমেশন এর কোনটার কারণেই মানুষের কর্ম সংস্থান কমবে না। নতুন নতুন টেকনোলজির কারণে কাজের ধরণ পালটাবে; কাজটা সহজ এবং আরো সুন্দর হবে। কিন্তু এই মেশিনের পিছনে, এই মেশিনের সামনে, বা এই মেশিনের সাথে মানুষকেই থাকতে হবে।

আমলাদের টেকনোলজি ভীতির যে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সমীক্ষা গুলোর তথ্য সত্যের কাছকাছি। আমরা যারা অত্যাধুনিক টেকনোলোজি "ন্যারো ব্যান্ড আইওটি", "এলটিই আইওটি" এবং "ফাইভ জি" নিয়ে কাজ করছি, যারা "রোবোটিক্স" এবং "আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স" নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের কাছে ব্যাপারটা যত ক্লিয়ার অন্যদের এই ধারণা দেয়া কিছুটা মুশকিলের বটে!

আলোচনার মূল উদ্দেশ্য "দেশের নেতৃত্বকে একটা তাগাদা দেয়া যেন তারা নতুন নতুন বিদেশী টেকনোলজির দেশীয় বাজার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি টেকনোলোজি ট্র্যান্সফার, বিকাশ এমনকি উদ্ভাবনে দেশের সক্ষমতা তৈরির দিকে মনোযোগ দেন"।

২টি বিশ্বমান সমীক্ষার তথ্য আবারো শেয়ার করছি-


১। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনজি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট এক গবেষণার মাধ্যমে রোবটদের জন্য দারুণ এক সংবাদ দিয়েছে। তবে এ তথ্যে মানুষের হতাশ হওয়ার কথা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪৬টি দেশে ৮০ কোটি কর্মসংস্থান দখল করবে রোবট। অর্থাৎ রোবোটিক অটোমেশনের উন্নতির কারণে চাকরি হারাবে ৮০ কোটি মানুষ।

২। "অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ‘দ্য ফিউচার অব এমপ্লয়মেন্ট’ নামের এক গবেষণায় অনুমান করেছেন, আসন্ন দশকগুলোয় রোবট টেকনোলজি প্রচুর ‘কাজ’ নিয়ে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তাদের অনুমান, ভবিষ্যৎ দুই দশকে প্রায় ৪৭ শতাংশ কর্মজীবী সেখানে কাজ হারানোর ঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে যেসব ‘কাজ’ দীর্ঘ সময় ধরে পুনঃপুন একই ধাঁচে করা করা হয়, সেগুলোতে মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে রোবট। হিসাববিজ্ঞানের নামকরা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি এ বছরের ২৪ মার্চ এক অনুমান প্রকাশ করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতোই যুক্তরাজ্যে কর্মহীনতার একই ঘটনা ঘটবে আগামী ১৫ বছরে অন্তত ১০ মিলিয়ন স্বল্প দক্ষ কর্মজীবীর বেলায়। অল্প পরিমাণ ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ দিয়েই অনেক ধরনের এমন সব কাজ করা সম্ভব, যেগুলো এখন মানুষ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে হিসাব কষে এও বলে দেওয়া হয়েছে, ৩১ লাখ ট্রাক-ট্যাক্সি-ডেলিভারি ভ্যানের চালক স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের কাছে কর্মসংস্থানের বাজারে পরাজিত হতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে। ওয়ালস্ট্রিটে ইতিমধ্যে ট্রেড করছে রোবট।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আমি আমার কতগুলি বুঝতে পারি নাই, এটা আমার ব্যর্থতা।

আমি আমার আগের লেখা দুইটা লাইন পুনরাবৃত্তি করছি।

"নতুন নতুন টেকনোলজির কারণে কাজের ধরণ পালটাবে; কাজটা সহজ এবং আরো সুন্দর হবে।
কিন্তু এই মেশিনের পিছনে, এই মেশিনের সামনে, বা এই মেশিনের সাথে মানুষকেই থাকতে হবে।"


১. কাজের ধরণ পাল্টাবে -- যেমন, অনলাইন কেনা-কাটা বেড়ে যাওয়াতে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতার অভাবে অনেক রিটেইলার চেইন স্টোর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এবছর ম্যাসির প্রায় ৬০০ দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। এই দোকানের কর্মচারীরা কাজ হারাবে। আবার অন্যদিকে অনলাইন কেনা পণ্যগুলি ক্রেতার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য অনেক ডেলিভারি ম্যানের চাকরি হচ্ছে। অর্থাৎ একই ঘটনায় একদল লোক কাজ হারাচ্ছে আরেক দল লোক নতুন কাজ পাচ্ছে। গড়পড়তায় বেকারের সংখ্যা বাড়ছে না। উল্লেখিত সমীক্ষাগুলিতে কি পরিমাণ লোক কাজ হারাবে সে সংখ্যাটা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এটা দেখাচ্ছেন কি পরিমাণ লোক নতুন পরিবেশে কাজ পাবে।
ম্যাসির একেকটা দোকানে যদি ২৫ জন করে কাজ করে তা হলে এই বছর ৬০০ দোকানের ১৫ হাজার লোক কাজ হারাবে। কিন্তু এই বছরই ১৫ হাজারেরও বেশি ডেলিভারি ম্যানের নতুন চাকরি হবে।

২. এই মেশিনের পিছনে, এই মেশিনের সামনে, বা এই মেশিনের সাথে মানুষকেই থাকতে হবে -- অর্থাৎ রোবট বা মেশিন গুলি বানাতে মানুষ লাগবে, চালাতে মানুষ লাগবে, রক্ষণাবেক্ষণ করতে মানুষ লাগবে। অর্থাৎ দেখা যাবে যেই লোক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসাবে কাজ করছিল, রবোটিক ওয়েটার আসার পর সে ওয়েটারের চাকরি হারিয়ে, রোবট বানানোর কোম্পানিতে রোবট বানাচ্ছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। ম্যাসির একেকটা দোকানে যদি ২৫ জন করে কাজ করে তা হলে এই বছর ৬০০ দোকানের ১৫ হাজার লোক কাজ হারাবে। কিন্তু এই বছরই ১৫ হাজারেরও বেশি ডেলিভারি ম্যানের নতুন চাকরি হবে।

ভাই ব্যাপারটা মোটেই এরকম না। পশ্চিমা দেশে স্টাব্লিশড পোস্টাল সিস্টেম ইতিমধ্যেই আছে, সরকারি বেসরকারি। যেমন, নেদারল্যান্ডস এও বহু শপ বন্ধ হচ্ছে। এখানে অনলাইন সপ খুবই জনপ্রিয়। ডিএইচ এল , ইউপিএস, ফেডেক্স, টি এন টি, ডি পি ডি সহ সকল বড় বড় ডেলিভারি ইতিমধ্যেই কাজ করছে। আরো চমকপ্রদ ব্যাপার এখানে সরকারি পোস্টাল এখনও মার্কেট লিডার। সুতরাং শপিং সেন্টার বন্ধ হলে তাঁর সমুদয় কর্মচারী (সাপ্লাই চেইনের সব ডোমেইন) অন্য যায়গায় এত সহজে কাজ পেয়ে যাবে এত ইজি না ব্যাপারটা। বিশ্ব ব্যাপি বেকারত্বের হার বাড়ছে।

বরং যেটা হচ্ছে, আমরা ২০১৭ তে নতুন টেকনোলোজি ন্যারো ব্যান্ড আইওটি এবং এল্টিই আইওটি নিয়ে আসছি ৪জি তে, ৫ জিতে এটা আরো ইভিওভ হবে। ফলে ভেহিকল ট্র্যাকিং এবং প্রোডাক্ট ট্র্যাকিং এক অভুতপূর্ব যায়গায় পৌঁছে যাবে। একজিস্টিং ইনফাস্ট্রাকচার ও লোকবল দিয়ে অরো কয়েক গুন বেশি মালামাল ডেলিভারি দেয়া যাবে।


২. এই মেশিনের পিছনে, এই মেশিনের সামনে, বা এই মেশিনের সাথে মানুষকেই থাকতে হবে -
এটা ঠিক আছে। তবে এখানেও কথা আছে।

রোবোট দিয়ে কাজ করাতে যদি তার পিছনে আগের মতই মানুষ লাগে তাইলে রোবট কেন? (উল্লেখ করার যায় রোবটের পিছনে যে মানুষ লাগবে সে আরো বেশি টেকনিক্যাল এবং এক্সপেন্সিভ)।

মূল কথা হল একই ভলিউম বা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি কাজ অনেক কম লোক দিয়ে করতে হবে সেটা অটোমেশনের মূল আলোচ্য। এখানে ম্যানুয়াল কাজের স্কোপ ধীরে ধীরে কমে যাবে। হিউম্যান ম্যানেজমেন্ট, লাইফ স্টাইলের পরিবর্তন, বাজার, ম্যানেজমেন্টের নতুন নতুন ধারা সৃষ্টি হচ্ছে, যার সব হাই টেক। নতুন নতুন ডোমেইনে টেকনিক্যাল কাজের স্কোপ বাড়বে তবে তা লাগামহীন না। এই নতুন ডমেইন গুলোকে উন্নত দেশের বিশ্ব বিদ্যালয় গুলো টার্গেট করছে, তারা নতুন নতুন সাবজেক্ট খুলছে, দ্রুত পুরানো সাব্জেক্টের কারিকুলাম এডাপ্ট করছে। এই আলোচনার উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে এই তাগাদা দেয়া যে নিজের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগুপযোগী করেন। এখানে কর্মসংস্থান কমবে না এই লজিকের বয়ান দেয়া মেইন উদ্দেশ্য নয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এই দোকানের কর্মচারীরা কাজ হারাবে। আবার অন্যদিকে অনলাইন কেনা পণ্যগুলি ক্রেতার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য অনেক ডেলিভারি ম্যানের চাকরি হচ্ছে।

দেখা যাবে যেই লোক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসাবে কাজ করছিল, রবোটিক ওয়েটার আসার পর সে ওয়েটারের চাকরি হারিয়ে, রোবট বানানোর কোম্পানিতে রোবট বানাচ্ছে।


স্কিল সেট কি দুইটার এক হল? কিভাবে এত সহজে চাকরি হারানো স্কিল্ড লোক অন্যত্র নিজেকে সেট করবে?
রেস্টুরেন্টের ফুল টাইম ওয়েটার কিসের যোগ্যতায় রোবোট কোম্পানিতে কাজ করবে? সেখানকার গেইটও তো এটোমেটিক হবে! দরজা, জানালার পর্দা, লাইট, এগুলা সব সেন্সরে এবং রিমোট এপ্লিকেশনে যাবে।

হাইয়েস্ট স্কিল সেট গুলোতে কাজ বাড়বে, যে অবশ্যই হারানোর রেটে হবে না। অনেক অনেক কম হবে। আর নিন্ম স্কিল সেটে কাজ বাড়া সুযোগ নাই। সেখাও টেকনোলিজি আস্তেসে। নতুন টেক এরকমই যে, এখানে কম লোকে বেশি কাজ করে।

এইচপি, সিস্কো, এরিক্সন সব বড় বড় হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিও লোক ছাটাই করছে!! যে এরিক্সন ৫ জি আন্তেসে যেটা কিনা মানুষের সব কাজের ডোমনে নাক গলাবে, সেই ২০১৭ তে ত্রিশ হাজার লোক ছাটাই করেছে বিশ্বের ১৩০টা দেশে।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



১. ধন্যবাদ একটা প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য।

২. মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা যুগোপযোগী করতে হবে; প্রযুক্তি শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে ইত্যাদি বিষয়ের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

৩. আমি যে বিষয়টা সহজ করে বলতে চেয়েছি, সেটা হল নতুন নতুন প্রযুক্তির কারণে কাজের পরিধি কমবে না বরং বাড়বে।
সহজ কথা যায় না বলা সহজে। তাই কথাটা বার বার কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

৪. আমি অনলাইন শপিং এর উদাহরণ দিয়েছি। আপনি বললেন, ডেলিভারি দেয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সিস্টেম আছে। এ কথা সত্য আছে। এই সিস্টেমটা আছে বর্তমান চাহিদা অনুসারে। ধরেন বর্তমানে দৈনিক ১০০টা ডেলিভারি হচ্ছে, এর জন্য ৫ জন লোক আছে। যখন দৈনিক ১০০০টা ডেলিভারি হবে তখনও কি ঐ ৫ জনই থাকবে? ওখানে লোক বাড়াতে হবে। নতুন কর্ম সংস্থান হবে।

৫. আপনি জানতে চেয়েছেন, "রোবোট দিয়ে কাজ করাতে যদি তার পিছনে আগের মতই মানুষ লাগে তাইলে রোবট কেন?"
আমি ৬ নম্বর মন্তব্যে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, "টেকনোলজি এবং মেশিনের উন্নয়নের পিছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করে তা হলো, মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো সহজ এবং আরো আরামদায়ক করা।" পণ্যের এবং সেবার গুণগত মান উন্নয়ন আরেকটা উদ্দেশ্য।

৬. নতুন ধরণের কর্ম সংস্থান কেমন হবে, এটা বুঝানোর জন্য রেস্টুরেন্ট ওয়েটার এবং রোবট ওয়েটারের একটা সরল উদাহরণ দিয়েছিলাম।
আপনি প্রশ্ন করেছেন, "স্কিল সেট কি দুইটার এক হল?"
উত্তর হচ্ছে, দুইটার স্কিল সেট এক না বরং সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আমি এই উদাহরণ দ্বারা এটা বুঝাতে চাই নাই, যারা ওয়েটার ছিল তারা আজকে ওয়েটারের কাজ হারিয়ে, আগামীকাল থেকে রোবট বানানো শুরু করে দিবে।
আমি এটা বুঝতে চেয়েছি, এক দল লোক যেমন ওয়েটারের কাজ হারাবে, অপরদিকে আরেক দল লোক একই সময়ে রোবট বানানোর কাজ পাবে।

৭. আপনি শেষ করেছে এই কথা বলে, "হাইয়েস্ট স্কিল সেট গুলোতে কাজ বাড়বে, যে অবশ্যই হারানোর রেটে হবে না। অনেক অনেক কম হবে।"
যার অর্থ আমি বুঝতে পারছি, আপনার কথা মত প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে কর্মসংস্থান কমবে।
পুরা লেখাতে এই পয়েন্টেই আপনার সাথে আমি বিনয়ের সাথে দ্বিমত করছি।

আপনার কথা মত, নতুন নতুন উন্নত প্রযুক্তির কারণে, শত শত মানুষ বেকার হওয়া মানে হচ্ছে, শতশত মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়া।
আর মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেলে এই নতুন প্রযুক্তি কে কিনবে আর কারাই বা নতুন প্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করবে।

সুতরাং বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির পিছনে যে পুঁজি লগ্নিকারীরা আছে, তারা তাদের লগ্নি কৃত পুঁজি হারানোর ঝুঁকি নিবে বলে মনে হয় না।

১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

গরল বলেছেন: ভাই আমরাতো এখনও PCB বানাতে পারি না, সিম্পল সিম্পল ইলেক্ট্রিক সার্কিটও এখনও আমরা আমদানি করে থাকি। ওপেনসোর্স এর সাগরে কি না পাওয়া যায়, সেগুলোই কাস্টমাইজ করে কোন বিজনেস সলুশন দিতে পারছি না। অথচ কোটি কোটি না হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সরকারি পোর্টাল বানানোর জন্য ওরাকল আর হেক্সাডাটা কিনছি। সেখানে মেশিন লার্নিং আর এআইতো অনেক পরের ব্যাপার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.