নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
নন টেকসই নির্মান ও টপ সয়েল ইটের মাত্রাতিরিক্তি ব্যবহারঃ ইটের ভাটা মাটি, পানি, জলজ বাস্তুসংস্থান,মাটির অণুজীব ও উর্বরতা ব্যবস্থা (হিউমাস) অর্থাৎ বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশের জন্য মরণ ফাঁদ!
১। বর্ষায় গঙ্গা ও যমুনার প্রতিটি প্রতি বছর আনুমানিক ১ থেকে ১.৫ লাখ টন বালি বহন করে এনে বাংলাদেশ অংশে নদী গুলোকে মেরে ফেললেও (সিল্টেড আপ) এবং নদীপথ ভয়ংকর পর্যায়ে কমিয়ে আনলেও আমাদের দেশে বালি উত্তোলন ও ব্যবহারের সমন্বিত পরিকল্পনা নেই। (১৯৭২ সালে প্রথম জরিপে নদীপথ ছিল ৩৭০০০ কিলোমিটার, বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে দেশের নদীপথ নেমে এসেছে মাত্র ২৬০০ কিলোমিটারে)। এত বিপুল পালির সমাহার স্বত্বেও এখনও বালির তৈরি ইটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না।
২। ভূমির উপরিভাগের মাটি উর্বর। মাটির উপরিভাগের অণুজীব ও উর্বরতা ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়ে বর্তমানে বছরে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয় কমবেশি ২ হাজার ৫০০ কোটি পোড়ামাটির ইট। এর কাঁচামাল হিসেবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টন কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি নষ্ট হয়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিবছর ১ শতাংশ কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এর ৯৭ ভাগ নষ্ট হচ্ছে অপরিকল্পিত গ্রামীণ গৃহায়ণ ও ইটের ভাটার কারণে।
উপরের মাটি তুলে ফেললে সেই জমির উর্বরতা (হিউমাস) কমপক্ষে ২০ বছরের জন্য নষ্ট হয়ে যায়।
৩। অন্যদিকে ইট তৈরির কারণে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ টন কয়লা ও ৩০ লাখ টন জ্বালানি কাঠ। প্রতি বছর প্রায় ১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ইট তৈরি হয় প্রায় পাঁচ হাজার ইটভাটার মাধ্যমে। এ ইট তৈরি করতে প্রায় ১০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়, যা জনপ্রতি দিনে শূন্য দশমিক ২ কেজির সমতুল্য। যা দেশের মোট নির্গত কার্বনডাই-অক্সাইডের প্রায় ৩০ ভাগের বেশি। এর বাইরে আছে বিপুল পরিমাণ সালফার ডাই অক্সাইড নির্গমন। এক হিসাবমতে, ৫০ শতাংশ বায়ুদূষণ হয় নির্মাণের শিল্পের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য ঢাকা শহরে প্রতিবছর সাড়ে তিন হাজার মানুষ বায়ুদূষণজনিত অসুখে মারা যায়। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ঢাকা শহরের বাতাসে ৪০ ভাগ ক্ষুদ্র কণা আসে ঢাকার চারপাশের ইটভাটার মাধ্যমে। অন্য আরেকটি তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকার চারপাশের ইটভাটার মাধ্যমে ১৫ হাজার ৫০০ টন সালফার ডাই-অক্সাইড, ৩ লাখ ২ হাজার টন কার্বন মনো-অক্সাইড, ৬ হাজার টন ব্ল্যাক-কার্বনের ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রতি বছর নির্গত হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জনপ্রতি বছরে ১০৮টি ইট ব্যবহূত হয় নির্মাণকাজের জন্য। প্রচুর ইট ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন আমাদের কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বায়ুমণ্ডল তথা পরিবেশের ব্যাপক দূষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
৪। যে ৫০ লাখ টন কয়লা ইটের ভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে তা দুনিয়ার নিকৃষ্টতম ভারতীয় কয়ালা যাতে অশোধনযোগ্য সালফারের পরিমান ৬% এর বেশি (যা অনুর্ধ্ব ০,০৬% হওয়া শ্রেয়), উচ্চ মানসম্পন্ন হিসেব কয়লার মান হিসেবে প্রায় ২০ থেকে ১০০ গুণ বেশি খারাপ এই কয়লা । এর অশোধিত অপদ্রব্য বাংলাদেশের জল স্থল এবং বাতাস বিষিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের কৃষকের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে ইটের ভাটার অশোধিত হাই পার্টিক্যাল এবং ভারত-বাংলাদেশের যাতবতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ক্যামিক্যাল হ্যাজার্ডে সয়লাব নদীর পানি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ খাবারের পানিতে দূষণ থাকে যা স্বাস্থ্য বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং হাস্পাতালে রোগীর মিছিল তৈরি করছে ।
৫। মাটি, পানি, জলজ বাস্তুসংস্থান এবং মাটির অণুজীব ব্যবস্থাপনা ধ্বংস হয়ে পড়ায় আমাদের কৃষককে অতি বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার বীজ কিটনাশাক ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে ফলনের উৎপাদন খরচ লাগামহীন হচ্ছে, ভূমি আরো বেশি বিষাক্ত হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে পোড়া ইট তৈরি করায় দিন দিন খাদ্যের হুমকিতে যাচ্ছে দেশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তা পুরোপুরি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৬। বাংলাদেশে মাঝে মাঝেই ইট ভারতে (ত্রিপুরায় বিশেষ করে) বিক্রি করছে। ইট তৈরিতে ভারতে মাটির উপরিভাগ ব্যবহার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। অথচ আমরা মাটির উপরিভাগ বিক্রি করে দিয়ে কৃষি ও পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছি। যেকোনো মূল্যে দেশের বাইরে ইট বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
৭। ইট ভাটায় কাজ করা শ্রমিক ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের শিকার।
৮। ইটের বিকল্প হিসেবে ফেরো সিমেন্ট, স্যান্ড সিমেন্ট, অটোক্লেভড অ্যারেটেড কনক্রিট (এসিসি), সেলুলার লাইটওয়েট কংক্রিট (সিএলসি), সিসি ব্লক/হলো ব্লকের ইত্যাদি বিকল্প পণ্য ও প্রযুক্তি এসে গেছে। বাংলাদেশকে এখনই ইটের ব্যবহার একেবারেই সংকুচিত করে ফেলতে হবে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ইট বিক্রি বন্ধ করুক। বিনিময়ে বালু্র সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ইট তৈরিতে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, ব্লক ব্যবহারে তা ৪০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসবে। ব্লক দিয়ে তৈরি দেয়ালের ওজন ইট দিয়ে তৈরি দেয়ালের ওজনের ৩৫ শতাংশ কম হয়। ফলে ভূমিকম্প ঝুঁকির বিপরীতে স্থাপনা টেকসই হয়।
৯। অন্যদিকে বালু দ্বীপায়নের অনুষঙ্গ, ফলে বালির ব্যবহারের ড্রেজিং যেন অপরিনামদর্শী না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ড্রেজিং এমনভাবে করা চাই যাতে নদীর নাব্যতা থাকে (নদী গর্ভ সিল্টেড আপও না হয়ে যায়) ও আবার তার ব-দ্বীপায়ন প্রক্রিয়াও চালু থাকে। এ দুয়ের ট্রেইড অফ করে বালি উত্তোলন নীতিমাল করে নির্মাণ শিল্পে বালির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার।
১০। এর বাইরেও রয়েছে স্টোন চিপস এর উপর শুল্ক কমানোর ব্যাপার। উচ্চ শুল্কের কারনে পাথুরে চিপস আমদানির পরিবর্তে ব্যাপক হারে দেশীয় ব্রিক চিপস ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে এক, দুই বা তিন তলার স্বল্প উচ্চতার ও স্বল্প লোডের আবাসিক ভবন নির্মানে হোলো ব্লকের ব্যবহার একেবারেই নেই। সব ক্ষেত্রেই সলিড (ঢালাই) কনক্রিটের ব্যবহার হচ্ছে। এইসব কারনে ইটের ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্ত চাপ তোইরি হয়েছে।
বিদ্যমান নির্মাণকৌশল ও প্রযুক্তি কোনোভাবেই পরিবেশবান্ধব বা কৃষিবান্ধব নয়। নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা আমাদের মাটি, পানি, উর্বরতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছি।
টেকসই নির্মান টেকসই কৃষি, টেকসই স্বাস্থ্য ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার পূর্বশর্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সবকিছু একটা পাওয়ার হাইজে সীমাবদ্ধ। বিদ্যালয়কে একা দোষ দিয়ে লাভ কি। তাদের কথা কে শুনে। তাই তার চিন্তা ও সমাধান বাদ দিয়ে তেলের ডিব্বা নিয়ে ব্যস্ত। ইটের ব্যবহার নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। সবাই ক্লান্ত হয়ে চুপ করে যান। বছর কিছু আগে প্রথম আলো একটা গোল টেবিল করেছিল টেকসই নির্মাণ বিষয়ক।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় কে জাগান, কিছু কাজ হবে। হ্যা এই পজশনে আসার জন্য সব পেশাজীবী ও তাদের সংঘ গুলোর দায় আছে।
ভারতীয় কয়লার বাজার নিয়ন্ত্রক লবি, দেশী মাফিয়া রাজনীতির ইট ভাটা ব্যবসায়ী সবার প্রতিবন্ধকতার ফসল এই অবস্থা।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই দারুন তথ্য সমৃদ্ধ গবেষনা ধর্মী দারুন এক পোষ্ট!
কিন্তু ভয় পাইয়ে দিলেনতো পুরাই!
হায়! দেখার কেউ নাই! সবাই শুধু নগদার পিছে ছুটছে!
সচেতনতামূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
++++
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ব্যাপারটা খুব ভয়ের বটে।
মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে একটি দেশ চতুর্থ বৃহত্তম চাল উতপাদনকারী থেকে ১ম বা ২য় শীর্ষ আমদানিকারকে পরিনত হয়েছে। কারণ জিজ্ঞেস করলে শুধু বন্যার কথা বলে মন্ত্রী সচিব ও কর্মকর্তারা।
অথচ বন্যা, খরার বাইরেও যে বহু কারণ আছে তার কোন স্ট্যাডী ও সচেতনতা নেই।
ফারাক্কা, গজল্ডোবা, আন্তঃ নদী যুক্ত করার প্রকল্প গুলো দেশের সারফেইস পানি কমিয়ে দিয়েছে শুস্ক মৌসূমে।
ভারতে উজানের পাহাড় খনন জনিত নব্য সমস্যা গুলো যেমন এসিড মাইন ড্রেইনেজ, বালি নুড়ী কাঁকড় বাহিত পাহাড়ি ঢল নিয়ে কোন কথা নেই।
নিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক চাষাবাদের বিপরীতে বেপারোয়া রাসায়নিকের অপব্যবহারে দেশে কৃষি জমি ও পানি-প্রাণী নষ্ট হচ্ছে।
সর্বপরি ইটের ভাটায় নিয়ে আসা হচ্ছে সারা দেশের কৃষি ভূমির উর্বর অংশ (টপ সয়েল) যা উর্বরতা, অনুজীব ও হিউমাস নষ্টের চিরস্থায়ী কিংবা দীর্ঘমেয়াদী কারণ তৈরি করেছে। ।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: বালি দিয়ে তৈরি ইটের গুণাগুণ কেমন?
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। কনক্রিটের দালানের ওয়ালে ইট হোল বেড়া। স্ট্রাকচারে ভার বাড়ানো ছাড়া এর আর কোন ভূমিকা নাই। এই ভারে বিল্ডিং ভূমিকম্পে ঝুকিপুর্ণ হয় বেশি। শুধু ওয়ালে ইটের ব্যবহার বন্ধ করা গেলেই ব্যবহার ৫০% এর মত কমে যাবে।
২। আরসিসি কনক্রিটে ইটের চিপস (খোয়া বা কংকর) পাথরের চিপ্সের বিকল্প। দেশে পাথরের দাম বেশি থাকায় এর বিকল্প হিসেবে ইট এর খোয়া চলে। তবে ইটের কংকর আবার ভূমিকম্পের জন্য টেকসই না।
কৃষি জমির উপরি ভাগের হিউমাস নষ্ট ছাড়াও, নির্মান শিল্পের সব দিক থেকেই এটা বোঝা, শুধু দামে সস্থা।
চাইলেই পাথরের উপর থেকে শুল্ক উঠিয়ে নিয়ে পাথর আমদানি সহজ করা যায়। বালি আমাদের নিজস্ব, ব্লক ইট তৈরিও কারিগরি দিক থেকে খুবই সহজ, সারা বিশ্বে এটাই ব্যবহার হচ্ছে। আর ছোট ভবনে ঢালাই ছাদের পরিবর্তে হোলো ব্লক (ফাফা কংক্রিটের) ব্যবহার করেও ইট বা পাথর উভয়েরই ডিপেন্ডেন্সি কমানো যায়।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: আমি মাটি দিয়ে তৈরি ইটের গুণাগুণ জানতে চাই নি!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মরুচারী বেদুঈন, খোঁজ নিয়ে দেখুন মুরুভূমিতে যেহেতু আমাদের দেশের মত হিউমাস মাটি নাই তারা ভবন নির্মাণে কি ইট ব্যবহার করে! তার পর তার গুনাগুণ নেটেও দেখে নিতে পারেন।
তার পর উপরের আলোচনা পড়ুন, পড়ুন কমেন্টও। বুঝার চেস্টা না করলে আমি আপনাকে জোর করে বুঝাতে পারবো না। বিচ্ছিন্ন কমেন্ট না করে পোস্ট পড়ুন। ব্লক ইটকে ক্ষেত্র বিশেষে মাটির ইটের রিপ্লেইস্মেন্ট বলা হয়েছে, কেন তাও কিছু বলা হয়েছে।
বালির তৈরি ইট ভাবনের ওয়াল/বেড়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটা বানানো সহজ, ওজনে হাল্কা এবং এটা ভবনের তাপমাত্রা এক্সট্রিম করে না। ব্লক ইটের বাড়ি কম্ফোর্টেবল। আর এটা মাটির তৈরি ইটের ৫০% কে রিপ্লেইস করতে পারে। বাকি অংশ হোল ছাদে- এখানে প্রথমে দরকার হোলো কনক্রিট ব্যবহার করা, দ্বিতীয়ত দরকার পাথরের আমদানি সহজ করা। এগুলা করা গেলে দেখা যাবে ইটের ব্যবহার সীমিত হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে অতি সস্তায় পাওয়া যায় বলে ওয়ালে ও ছাদের ঢালাইয়ে সবখানে মাটির ইটা ব্যবহার হয়। এর উপর শুল্ক নাই।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১০
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: পুনঃ প্রতিউত্তর করায় ধন্যবাদ!
এটা ফেবু নয় এটা ব্লগ সুতরাং সবার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেওয়া উচিৎ।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা।
আমি ফোটোগ্রাফী করার জন্য ঢাকার আশে পাশে পাঁচ টি ইটভাটা ঘুরেছি।
খুব কঠিন পরিস্থিতি।
২১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:০২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রাজীব ভাই, এখনকার পরিস্থিতি জানালে ভাল হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি আবারো লিখতে চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভয়ংকর অবস্হা! বুয়েট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি আংগুল চুষছে বসে বসে!