নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
প্রফেসর ডঃ 'মোহাম্মদ আলী চৌধুরী' শ্রদ্ধাঞ্জলি-
নিভে গেছে সেই দ্বীপ্তিমান প্রদীপ, দশ দিগন্ত আলোকিত করেছেন যিনি!
বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার উচ্চমানের বিকাশ ও জনপ্রিয় করণে রোল মডেল হিসেবে আবির্ভুত হয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাবিদ শিক্ষা ও ব্যক্তিত্ব্যের আলো ছাড়িয়ে শিক্ষার্থী মননে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছেন কিনা, তা বিতর্ক সাপেক্ষ। তবে একজন ছিলেন যিনি সুবিধাবাদী, অলস, অসৎ ও লোভীদের সমাজে স্রোতের বিপরীতে চলে মহৎ প্রাণের জানান দিয়ে গেছে জীবনব্যাপী, মেধা ও মননে, উচ্চমান কর্ম ও কর্ম গভীরতায়। তাঁর প্রতিটি চিন্তা ছিল প্রয়োগমূখী, প্রতিটি চর্চা ছিল মহৎ ও নিবেদিত। "মানুষ" এর অভাব থাকা "ব্যক্তিত্ব" হীন সমাজে ব্যতিক্রমধর্মী এই শিক্ষাবিদ "মানুষ" হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। স্রোতের বিপরীতে চলা শক্তিশালী মনোবলের একজন নিবেদিতপ্রাণ, প্রচারবিমুখ ও সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত শিক্ষাবিদ ছিলেন তিনি। প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন ২৯ জানুয়ারি। জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ, কীর্তিমান, মহানুভব, সহজ, সরল সর্ব শ্রদ্ধেয় এই মাটির মানুষটিকে সমাজ কতটা মনে রাখবে এবং কিভাবে মনে রাখবে সেই আলোচনা টানা জরুরী।
কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ ট্রেন্ডের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার কোর্স কারিকুলাম ডাইনামিক করা ও সেভাবে বিভাগ ও সাবজেক্ট বিন্যস্ত করা, ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় থিসিসের পরিসর বাড়ানো, রিসার্চ বেইজ উচ্চমান করা, শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালুর মত বহু কাজের চিন্তা ও চর্চা করেছেন প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। শিক্ষকদের কম্ফোর্ট জোন থেকে বের করে এনে নিবেদিত করার প্রচেষ্টা যেখানে দেশের আমলাতান্ত্রিক শিক্ষা প্রশাসন, অলস ও ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের দ্বারাই ব্যহত হয়েছে সেখানে একজন শিক্ষক হয়েও প্রফেসর চৌধুরী আক্ষরিক অর্থেই বছরের পর বছর ফজর থেকে এশা এশা পর্যন্ত সময় দিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীদের, লেকচার প্রিপারেশনে, ওয়ান টু ওয়ান টপিক এক্সপ্লানেশনে, থিসিস নির্ধারণ ও গবেষণা সহায়তায়, ছাত্র ছাত্রীদের পোষ্ট গ্র্যাড শিক্ষার পেপার ওয়ার্ক তৈরি ও স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে, ক্যারিয়ার মেন্টরিং এবং ইইই'র বিভাগীয় উতকর্ষ আনয়নের নিরন্তর চেষ্টায়। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় নিজ অফিসে পড়ে থেকেছেন গভীর রাত অবধি, আপ্যায়নের ব্যবস্থা সহ। গতানুগতিক এবং মুখস্ত লেকচার নেয়ার বিপরীতে স্বীকৃত মেধা (সিকি শতাব্দী আগে শ্রেষ্ঠ গবেষণাপত্রের জন্য আইইইইর পুরস্কার পেয়েছিলেন) ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতার জ্ঞানভান্ডার থাকার পরেও এই শিক্ষাবিদ প্রিপারেশনহীন ক্লাসে নিয়েছেন বলে যানা যায়নি। ফলে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশলের বিভাগের সবচেয়ে ফাঁকিবাজ ছাত্রটিও স্যারের ক্লাস মিসের চিন্তা করেনি, বরং একই ক্লাস অন্য সেকশনের সাথে উপর্যুপরি করেছে, ফলে স্যারকে কখনও রোল কল করতে হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে পেশাজীবী হয়ে পড়া সাবেক ছাত্রদেরও কারিগরি জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছেন অফলাইনে ও অনলাইনে।
ক্যান্সার আক্রান্ত এই ব্যক্তিত্ব নিয়ে মে'১৬ তে এক লিখনীতে ডঃ মোহাম্মদ কায়কোবাদ লিখেছিলেন "তাঁর রোজনামচা অসাধারণ। ফজরের নামাজ পড়েই অফিসে চলে আসেন। দেশি কিংবা অতিথি পাখির খাবারের ব্যবস্থা করা, চারা গাছে পানি দেওয়া, লেখালেখি, কম্পিউটারে কাজ, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নানা বই ডাউনলোড করে লাইব্রেরিতে দেওয়া, ক্লাসে যাওয়ার আগে পুরো বক্তৃতা স্বহস্তে লেখা, সমস্যা সমাধান করা। এর মাঝে বাজার, ভ্রমণ করা এবং দিন শেষে রাত নয়-দশটার দিকে বাসায় ফেরা। সারা দিন, সপ্তাহে সাত দিন, বছরে ৫২ সপ্তাহ। প্রতি ধর্মীয় উৎসবে সুবিধাবঞ্চিত দারিদ্র্যপীড়িত লোকদের রিকশা কিনে দিতেন, যাতে তাঁরা স্বাবলম্বী হয়। অনেকেই এই সুযোগের অপব্যবহার করেছে। তাই এখন অর্ধশতক রিকশাওয়ালাকে ধর্মীয় উৎসবে এককালীন অর্থ প্রদান করেন। আতিথেয়তা, বিনয় তাঁর চরিত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা তাঁকে কখনো চিন্তাভাবনা করে করতে হয় না। নানা স্বাস্থ্য-সমস্যায় ভুগেছেন, অনেক ছাত্র ও শুভাকাঙ্ক্ষী থাকা সত্ত্বেও কারও মুখাপেক্ষী কখনো হননি আজীবন অকৃতদার এই মানুষটি। কোনো বিষয়েই তেমন কোনো অভিযোগ নেই কারও প্রতি।"। মোট কথা মেধা ও মননে শিক্ষার তরে একজন মাত্র ব্যক্তির এতটা সময় ইনভেস্টমেন্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। স্যার একটি পূর্ণ জীবন আবর্তিত করেছেন শিক্ষা দানে! নিবেদনের এই মডেল অভূতপূর্ব!
আজ অবধি বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোন স্তরের শ্রেণী শিক্ষাকেই আনন্দঘন করে ছাত্র ছাত্রীর কাছে উপস্থাপন করা যায়নি, সেখানে এই প্রফেসরের পদাঙ্ক কিভাবে শিক্ষালয়ে অনুসরণ করা হবে তা নিয়ে ভাবা দরকার। অনন্ত প্রেরণার এই উৎসকে আমরা একটি ভবন কিংবা একটি ল্যাব কিংবা একটি সড়কের নামকরণের মধ্য দিয়ে স্মরণ করতে পারি তবে তা হবে নিতান্তই লোক দেখানো। আমাদের দরকার ছিল স্যার এর উচ্চ মান জ্ঞান ভান্ডারকে "রিপ্রডিউস" করে রাখা। অর্থাৎ আমাদের ছাত্রদের বুঝার ক্যাপাবিলিটি ও কমন গ্যাপ গুলোকে সামনে রেখে আমাদের মেধা ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ মান করতে স্যারকে দিয়ে মাতৃভাষা বাংলা ও কর্মসংস্থানের ভাষা ইংরেজিতে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডোমেইনে প্রচুর টেক্সট বই লিখিয়ে নেয়া, পারিশ্রমিক সহ। ক্লাস গুলোর অডিও ভিজুয়াল রেকর্ড রাখার প্রয়োজন ছিল। যদি কারো কাছে তা থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ডকুমেন্টেড ও আর্কাইভ করে রাখা দরকার। এখনও বিভিন্ন ডোমেইনে এই রকম যারা বেঁচে আছেন তাঁদের উৎসাহ দেয়া ও রিপ্রডিউস করে জ্ঞান ধরে রাখার একটা চেষ্টা হওয়া চাই। চাই সেসব বই ছাপানোর জন্য ফান্ড তৈরির ব্যবস্থা করা। এই কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডমি কিংবা ব্যানবেইস কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করার কথা। দুর্ভাগ্য যে, আমরা কোন দূরদর্শী রাষ্ট্রীয় ইন্সটিটুশন পাইনি।
দুর্বিত্তায়িত মেধাহীন শিক্ষক নিয়োগ, দুর্বিনীতি অপ রাজনৈতিক প্রভাব, দখল সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্ভর মারমূখী ছাত্র রাজনীতি, দলীয় লেজুড়বৃত্তির শিক্ষক রাজনীতি, গবেষণাহীন, ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টতা হীন শিক্ষা মডেল, শিক্ষা বাণিজ্যিকিকরণ, বেপারোয়া প্রশ্ন ফাঁস ও উত্তরপত্র যাচাইয়ের সহনীয় পাশমূখী মডেলের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ আলির চৌধুরীর মত উচ্চ মান শিক্ষক প্রডিউস করার ক্যাপাবিলিটি রাখে না। শিক্ষায় মেধা, মান ও মনন বলতে যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টিতে এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিদারুণ ভাবে অযোগ্য ও ব্যর্থ। তাই যে যে ডোমেইনে এখনও ভালো'রা জীবিত আছেন তাঁদের জ্ঞান রিপ্রডিউস করে রাখা কর্তব্য।
শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবে প্রফেসর মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর মত মান ও মননের নিবেদিত শিক্ষক তৈরি করতে পারবে, সেইরকম একটি মেধা ব্যবস্থাপনার একটা শুভ চিন্তার সূচনা দরকার নেতৃত্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে এবং শিক্ষা প্রশাসনে স্তরে স্তরে। তবেই স্যারের মহৎ প্রাণের নিবেদন সর্বজনের তরে অর্থবহ করে তোলা যাবে।
পরম দয়ালু আল্লাহ্তায়ালা তাঁকে সর্বোচ্চ প্রতিদান দিন-এই দোয়া করি।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হুম হয়ত এর বেশি কিছুই হবে না!
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এ মহান শিক্ষাবিদকে আল্লাহ বেহেস্তবাসী করুন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এ মহান শিক্ষাবিদকে আল্লাহ বেহেস্তবাসী করুন।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই! আমার শিক্ষক ছিলেন।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
আবু সায়েদ বলেছেন: আমি স্যারের ছাত্র। স্যার শুধু শিক্ষক নয়, একজন মহান মানুষ ছিলেন। সবার আর্থিক, সামাজিক, শিক্ষাগত বিভিন্ন উপকার করতেন, সারা জীবন ভাল কাজেই বিলিয়ে দিলেন। আশাকরি, সবাই স্যারের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া, কোরান খতম ও সাদকা করবেন। কারন, ঐ জগতে নেক আমল ছাড়া আর কিছু কাজে আসে না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি স্যারের সরাসরি ছাত্র, মাঝে মাঝে দেখা করতে যেতাম। সর্বশেষ ১৬র সামারে দেখা হয়েছিল। স্যারের জন্য দোয়া করি নিরন্তর।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
সুমন কর বলেছেন: উনার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
+।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: স্যারের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১১
করুণাধারা বলেছেন: ফেসবুকে ওনার সম্পর্কে অনেকগুলো লেখা পড়লাম; প্রতি লেখাতেই তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা এবং তার মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ পেয়েছে। একমাত্র আপনিই ব্লগে উনাকে নিয়ে লিখলেন- সেজন্য ধন্যবাদ। কিন্তু একটা জিনিষ জানতে চাচ্ছিলাম, উনি কতদিন রোগাক্রান্ত ছিলেন এবং উনার কি ক্যান্সার হয়েছিল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: স্যার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, প্রায় বছর চারেক আগে স্ট্রোক অথবা হার্ট এটাক করেছিলেন। উনি বিয়ে করেনি, বুয়েটের ক্যান্টিনের সাধারণ খাবার খেতেন, গরীবী হালতে জীবন জাপন করতেন। নিজের প্রতি যত্ন নেয়ার সময় ছিল না তাঁর!
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই মহান শিক্ষকের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা । এই পোষ্টের মাধ্যমে বহু গুনের অধিকারী এই মহান শিক্ষকের জীবনের অনেক গুরুত্বপুর্ণ জীবনাচার সম্পর্কে জানতে পারলাম । এই গুণী মানুষটির শিক্ষাদানের পথ ও পন্থা অনুসরনীয়। পোষ্টটিতে বর্ণিত সুপরামর্শগুলি যথাযথ কতৃপক্ষের বিবেচনার দাবী রাখে ।
পোষ্ট টি প্রিয়তে গেল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, স্যারের জন্য নিরন্তর দোয়া করি। দোয়া আপনার জন্যও।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা । সবার মাঝে বেঁচে থাকুন। আল্লাহ ওনাকে বেহস্ত দান করুন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা । সবার মাঝে বেঁচে থাকুন। আল্লাহ ওনাকে বেহস্ত দান করুন।
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫২
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: পরিপূর্ণ মহান জীবন এক, শিক্ষার্থী হিসেবে সেই পূর্ণতার অংশ আমিও। শান্তিতে থাকবেন তিনি চিরকাল, বেঁচে থাকবেন অনুভবে আমাদের ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পরিপূর্ণ মহান জীবন এক, শিক্ষার্থী হিসেবে সেই পূর্ণতার অংশ আমিও। শান্তিতে থাকবেন তিনি চিরকাল, বেঁচে থাকবেন অনুভবে আমাদের ।
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৫
আল ইফরান বলেছেন: এই ধরনের মানুষেরা কখনো বিখ্যাত হতে চান না বলেই নিজ দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পেরেছেন। আমাদের সকল শিক্ষকদের ডেডিকেশন লেভেল উনার পর্যায়ে না হোক, আশেপাশে থাকলেও দেশ আজকে সোনার বাংলাই হত। আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন, আমীন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এই ধরনের মানুষেরা কখনো বিখ্যাত হতে চান না বলেই নিজ দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পেরেছেন। হুম ঠিক বলেছেন।
১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৫
সোহানী বলেছেন: এই মহান শিক্ষকের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা । দেশের কিছু গুনীজনের একজন.......... তাঁর চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এই মহান শিক্ষকের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৮
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: এমন মানুষ আরো আসুক বাংলাদেশ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এমন মানুষ আরো আসুক বাংলাদেশে। এই চাওয়া নিরন্তর।
আমার বাবার কাছে শুনেছি, উনার এক শিক্ষক দীর্ঘ পথ হেটে এমনকি অভাব থাকায় জামা কাপড় খুলে খাল সাত্রিয়ে উনাদের পড়াতে আসতেন, ছাত্রদের প্রায় কেউই পারিশ্রমিক দিতে পারত না।
এমন নিবেদিত শিক্ষক এই জনপদে এসেছিলেন, এখন কমে গেছে। আমাদের সভ্যতা পুনঃ জাগ্রত হোক।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এম এম করিম বলেছেন: তাঁর ব্যাপারে শুনেছিলাম। আশা করি বুয়েট তাঁকে মনে রাখবে।
এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে বুয়েটকেই বাঁ তাঁর প্রাক্তন ছাত্রদেরকেই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আসলে, এই মানের এবং এই ডেডিকেশনের শিক্ষক কিভাবে দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রতিটি সাব্জেক্টে তৈরি হতে পারে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ইফতি সৌরভ বলেছেন: অপূরণীয় ক্ষতি বুয়েটের জন্য, জাতির জন্য। আল্লাহ্ তৃতীয় আলাদা তাঁকে জান্নাতে নসীব করুক - আমীন । শিক্ষকদের কলুষিত রাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা আজ অন্ধকারে । খুব কম শিক্ষকই প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ আলী স্যারের মতো আদর্শ শিক্ষক হতে পারছেন বর্তমানে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সংক্ষেপে সুন্দর করে বলেছেন। আদর্শ শিক্ষক আজ সোনার হরিণ।
১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪১
ফাহমিদা বারী বলেছেন: স্যারকে নিয়ে বুয়েটের 'আড়িপাতা' গ্রুপে একটা লেখা দিয়েছিলাম। লেখাটি খানিক বড়। তাই কমেণ্টে দিতে পারলাম না। আর তাছাড়া এটা অন্য একজনের পোস্ট।
স্যারের প্রতি সশ্রুদ্ধ সালাম। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতে সম্মানিত করুন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আড়িপাতার লিখা গুলো স্মৃতিচারণ মূলক, সেখানে বহু লিখা পড়েছি।
শিক্ষার স্তরে স্তরে আমি স্যারের চিন্তা ও চর্চার গভীরতাকে সমাজ উপলভধিতে আনতে চাইছি, বুয়েটের ছেলে মেয়েদের বেশিরভাগই এগুলা নিয়ে ভাবিত নয় বলে মনে হচ্ছে।
লিখকের সুত্র উল্লেখ করে পোষ্ট বা কমেন্টে লিখা পোষ্ট করুন, কোন সমস্যা দেখি না।
স্যারের প্রতি সশ্রুদ্ধ সালাম। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতে সম্মানিত করুন।
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
তপোবণ বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্যারের জন্য। আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দিন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্যারের জন্য। আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দিন।
১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
স্যারের সম্বন্ধে পূর্বে জেনেছিলাম। অসাধারণ জ্ঞানি, গুনি ও দয়ালু মানুষ ছিলেন। আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন এই প্রার্থনা করি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অসাধারণ জ্ঞানি, গুনি ও দয়ালু মানুষ ছিলেন। আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন এই প্রার্থনা করি।
১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
আটলান্টিক বলেছেন:
১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৯
লিমন কিবরিয়া বলেছেন: শান্তিতে থাকুক তাঁর আত্মা,এই প্রার্থনা
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শান্তিতে থাকুক তাঁর আত্মা,এই প্রার্থনা!
২০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
গরল বলেছেন: উনিই বোধহয় সেই ব্যাক্তি যিনি ছাত্রদের দিয়ে একটা প্রিপেইড ডিজিটাল ইলেক্ট্রিক মিটার বানিয়েছিলেন প্রজেক্ট বা থিসিসের অংশ হিসেবে কিন্তু সরকার উনার সেই মেরিটের কোন ব্যাবহার করতে পাড়ল না। তাহলে আমরা এগিয়ে যাব কিভাবে, অনুশোচনা হয় এই জন্যও যে কোন প্রাইভেট খাতের বিনীয়োগকারীও এটা নিয়ে কোন বিজনেস মডেল বানালেন না বড়ংচ বেশী উৎসাহী তারা চায়না থেকে আমদানী করতে। সরকারের উদাসিনতায় যেভাবে উড়ে গিয়েছিল মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের ভবিষ্যত, সেজন্যই বোধহয় কেউ আর আগ্রহী হয় নাই। আমরা আসলে কোন ভিশনারী নেতা বা উদ্যক্তা কাউকেই পাই নাই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: একক ভাবে বুয়েটের ইইই 'র দুজন স্যার মানসম্পন্ন আন্ডার গ্র্যাড ও মাস্টার্স থিসিস/গবেষণাকে প্রমোট করেছেন। ডঃ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী এবং ডঃ লুতফুল বারী (ডিরেক্টর আইআইসিটি, বুয়েট)। বাকিরা ভাবে থাকেন, হেডোম দেখান। বর্তমানে যে দেশীয় ইভিএম নিয়ে কথা হচ্ছে, তাও এই দুজনের তত্ত্বাবাধানে হয়েছে।
"অনুশোচনা হয় এই জন্যও যে কোন প্রাইভেট খাতের বিনীয়োগকারীও এটা নিয়ে কোন বিজনেস মডেল বানালেন না বড়ংচ বেশী উৎসাহী তারা চায়না থেকে আমদানী করতে। সরকারের উদাসিনতায় যেভাবে উড়ে গিয়েছিল মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের ভবিষ্যত, সেজন্যই বোধহয় কেউ আর আগ্রহী হয় নাই। আমরা আসলে কোন ভিশনারী নেতা বা উদ্যক্তা কাউকেই পাই নাই।"
২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,
কবে যে আমরা অধিক সংখ্যক শিক্ষকদের এমন করেই দ্বীপ্তিমান প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করতে পারবো !!!!!!!!
প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ আলীর আত্মা শান্তিতে বিরাজিত থাকুক অনন্তকাল ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, যেদিন অনেক অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষকদের এমন করেই দ্বীপ্তিমান প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করা যাবে সেদিনই সমাজে আলো আসবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আশাকরি ছাত্ররা উনাকে স্মরণ করবেন কিছু কাল।