নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
ছটি বছর কেটে গেল!
কোন করুণার মেঘ আজো বৃষ্টি হয়ে,
স্নাত করেনি, এই ছোট্র মানবজমিন!
ছটি বছর কেটে গেল,
অনুসন্ধানী কাজ গুলো হারিয়ে গেছে,
প্রাণের বিসর্জনে,বিচারের কথিত মহড়ায়।
ছটি বছর কেটে গেল,
সাগরের করুণা ধারায় সিক্ত হয়নি,
পাপড়ি পল্লবের কোন নেত্র,
স্নিগ্ধ জোছনায় উদ্ভাসিত হয়নি,
কোন শিশির বিন্দু।
শুধু রাতের তিমির ছুয়েছে তাতে।
ছটি বছর কেটে গেল!
একটি রাতেও হিরন্মোয়ী চাঁদোয়ার,
মায়াবী মননে প্রেম জাগেনি কারো।
এই কায়া ছায়ার ছোট্র জীবনে।
মেঘ, তবুও তুমি বড় হও,
নির্বাক রোদনে, প্রাণের আর্তনাদে।
স্মৃতিহীন, মায়াহীন এই জড় ভূবনে।
জানবে,তবে!
এখানে কথিত সমাজ আছে, আছে রাষ্ট্রও
যাতে বস্তু ও ভোগ কাড়াকাড়ি করে,
লুটেরা বিলাস ও অবৈধ বৈভবের জমকালো আয়োজনে।
ছটি বছর কেটে গেল! "মেঘ"!
এই ছিল তোমারই-
জন্ম দাতাদাত্রীর পদধূলীর দেশ,
রাষ্ট্রসভা যাতে শত্রু খুঁজে ক্লান্ত থেকেছে শুধু।
দেশপ্রেমিক নাগরিকে,
মর্মন্তুদ নির্মমতায়, নৃশংসতায়।
উৎসর্গ-
নৃশংস ভাবে হত্যার শিকার হওয়া সাংবাদিক সাগর রুনি'র শিশু পুত্র "মেঘ"কে,
বিচারহীনতার ষষ্ঠ বছরে।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ছটি বছর কেটে গেল অথচ এখনো চব্বিশ ঘন্টার নাগাল পেল না, সেলুকাস!
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০২
সোহানী বলেছেন: বিচারের দাবী নিরবে কেঁদেই গেল বছরের পর বছর.............
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: তাদের কথা মনে হলে খুব কষ্ট হয়।
৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
হাঙ্গামা বলেছেন: ৬ বছর আগে এরকম এক সকালে অফিসে এসে খবরটা পড়ছিলাম।
এই বিচার কোনদিন ও শেষ হবে না। শুধু কৌতুহলের কারনে মরার আগে জানতে চাই কার কি স্বার্থের কারনে এই দুইটা মানুষকে মরতে হল।
বিচারের দরকার নাই।
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২২
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আফসোস, যদি বিরোধী দলীয় কোন রাজনীতিবিদ এর সাথে সম্পৃক্ত থাকতেন তবে ১ সাপ্তাহের মধ্যেই আমরা মিছিলে মিছিলে মিষ্টি বিতরণ করতে পারতাম।
বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের যখন আমার পাশে সগর্বে হাটতে দেখি তখন মাটিতে থুথু ফেলতেও আমি লজ্জাবোধ করি।
কোন একদিন বিচার হবে। ধ্বংস হবে প্রশাসনতন্ত্র।
৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: যে কেস এ রাঘব-বোয়ালদের ডুবে যাওয়ার ভয় থাকে সে কেস বেশিদূর এগুতে পারেনা ।
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: ৭ নং মন্তব্যটি যথার্থ মনে করছি এবং মত প্রকাশ করছি।
৬ষ্ঠ বছরে তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: সব আলামত পাবার পর খুনি ধরতে ছয় বছর লাগে!!!!
১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:২৬
কেএসরথি বলেছেন: আমাদের পুলিশের হাতে আসলে কি ক্ষমতা রয়েছে? যদি কোন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকে - তাহলেও কি পুলিশ খুনীদের ধরতে পারবে? আমাদের পুলিশের কি সেই রকম শিক্ষা-প্রযুক্তি রয়েছে? আছে কোন ডাটাবেস যা ক্ষনিকের মাঝেই সম্ভাব্য অপরাধীদের সমস্ত ইনফরমেশন দিতে পারবে?
কিছুই নেই - তাই সবকিছুর পিছনে রাজনীতিই দোষী নয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দোষ পুলিশের না, রাজনীতিরও না, দোষ কারো না, ওদের কেউ খুন করে নি। সব দোষ নাগরিকের।
পুলিশি রাস্ট্রে পান থেকে চুন খস্লে হামলা মামলা হয়। আসলে ব্যাপার হচ্ছে যে টুলস আসে তা দিয়েই বেশিরভাগ অপরাধের কুল কুনারা করা যায়। শুধু দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
প্রায় শত ভাগ লোকের বায়োমেট্রিক আছে, তাও একটা না, পাঁচ টার মত ডিপার্টেম্নটে। পুলিশের সব কিছুই আছে, বহু মধ্য ও গরীব দেশে এত টুলস কেনা হয় না পুলিশের জন্য, শুধু গডফাদারদের যেখানে কাজে লাগে সেখানে ব্যবহার হয়। সাগর রুনিকে ক্ষমতা বলয় হত্যা করেছে, তাই বিচার হবে না।
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
কেএসরথি বলেছেন: আপনি হয়তো আমার লেখাটা বুঝতে পারেন নি। আমি পুলিশের সাফাই গাইছি না। আমি শুধু মাত্র বলছি, আমাদের পুলিশের সেই শিক্ষাও নেই - আর তাদের খুনী ধরার ইচ্ছাও নেই। আমাদের পুলিশেরা চাকুরী পাবার আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখে, পুলিশ হবার পর, কোথায় পোস্টিং নিয়ে কত টাকা ঘুষ খাওয়া যাবে। তারা কখনও এটা ভাবে না যে, পুলিশ হবার পর, দেশে আইনের-শাসন জারি রাখবে।
যাদের গলদ শুরুতেই, তারা কি করে সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করবে?
যে পাচটা/দশটা ডিপার্টমেন্টের কথা বললেন, ওখানে কি কোন কাজ হয় নাকি? সারাদিন ১০ কাপ চা আর সমুচা আর ফাইল চালাচালি - এইটাই তো তাদের দায়িত্ব, এইটাই তো তাদের একমাত্র কাজ! আর মন্ত্রীদের সালাম ঠোকা! ব্যাস এইভাবেই কয়েক বছর কাটিয়ে দাও - সঠিক জায়গায় টাকা ঢালো - প্রমোশন পাও - ফিনিশ!
তাদের যদি ইচ্ছা থাকত, তারা ১০ দিনের মাঝে এই কেসের সমাধান করত। তাদের যদি কেউ বাধা দেয় - তাও তারা কেসের মূল আসামীকে খুজে বের করতে পারত। কিন্তু নাহ তারা সেটা করবে না।
আজ পর্যন্ত এই ****র বাচ্চারা কয়টা খুনের সমাধান করেছে??
কয়টা ডাকাতীর, ধর্যনের আসামীকে ধরেছে ডিএনএ দিয়ে???
এইসব ডিপার্টমেন্ট বানানো হয়েছে টাকা খাওয়ার জন্য!
আর আমাকে হাম্বা বলার কারনটা ধরতে পারলাম না। সঠিক জায়গায় সঠিক শব্দ ব্যবহার করুন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কমেন্ট মডিফাই করে দিয়েছি।
(সাধারণত এগ্রেসিভ মন্তব্য করি না। আসলে শিক্ষামূলক কিছু না বলতে পারলে মন্তব্য থেকেও বিরত থাকি।)
পুলিশ প্রশাসন অনৈতিক ও দুর্বিত্ত রাজনৈতিক ক্ষমতার কাঠামোকে টিকিয়ে রাখার প্রথম রক্ষা ব্যূহ। এটা রাস্তার আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে সব ধরণের বিরোধী মত দমনের প্রতিরোধী মেশিন। এটা তদবির ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রশাসন জারি রাখার প্রধানতম বর্ম।
পুলিশের লোকেদের বুদ্ধি কম বা তারা আধুনিক ডিক্টেটিভ নলেজে পিছিয়ে পড়েছে এটা আমি পরোক্ষ ভাবে স্বীকার করি, তবে কথা হচ্ছে পুলিশ স্বধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে চেষ্টা করেনি, আর কোন সরকারই তাদের রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া ব্যবহার করেনি। ফলে তাদের যোগ্যতা কতটুকু সেটা সত্যিকার ভাবেই অজানা। তাদের সব কাজই ষড়যন্ত্র, দমন ও চাহিদার উদ্দেশ্য ব্যবহৃত। তাই আপনার এই বক্তব্যের সাথে সহমত।
যাদের গলদ শুরুতেই, তারা কি করে সুষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করবে?
তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা হচ্ছে, পুলিশের টুলসের অভাব নেই, তবে সেগুলোর ব্যবহার নেই। রাজনৈতিক প্রয়োজনে যেহেতু যে কোন আসামীকে ধরা যায়, পিটানো যায়, হয়রানি করা যায়, হামলা মামলা করা যায়, গুম করা যায় এবং খুন ও ক্রস্ফায়ার দেয়া যায় জবাবদিহিতা ছাড়া তাহলে এই প্রায় শতভাগ দলীয় করণ করা প্রতিষ্ঠান দিয়ে কোন উদ্দেশ্য হাসিল সম্ভব না। বরং সরকার ২ জন বিরোধী দরতে বললে এটা নিজের টাকা খাওয়ার জন্য ২০০ জন ধরে। এভাবেই চলছে।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: সাগর রুনীদের জন্ম ভুল দেশে হয়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১৭
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: মাত্র ছয় বছর কাঁটছে আরো ১৪ বছর পার হোক ২০ বছরের মাথায় চিন্তা করে দেখা যাবে কি করা যায়