নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোরের পাখি ও আহ্বানের স্বর!

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১:০৫

রমজানের ভোরে সেহরির আগের ঘুম ভাঙা পাখীদের ডাক ইসলামী সংস্কৃতির একটি পালক। সমবেত দরদী কন্ঠে হামদ নাত গেয়ে ভোরের রমজানীয় আবহকে আধো ঘুম আধো জ্রাগ্রত আলসতার এক মধুর ঈমানী খোয়াবে ভরে তোলে। ঘুমের ঘোর আলস্য জড়ানো শেষ রাতের ইবাদতের ডাক মুত্তাকীর প্রত্যয়কেই শানিত করে।

আর রোজার শেষে, সেলামি নিতে এসে কিছু বেশি নিবার কাঁচুমাচুও আমার বেশ লাগে!

কথা হচ্ছে, কলিকালে এই মধুরতা মাইকের উচ্চ কর্কশ ধ্বনিতে বিলুপ্ত প্রায়। উচ্চ ভলিউমে সেট করা আনটিউন্ড নিন্ম মান মাইক্রোফোনে বহু লোকের গলা ফাটানো ওয়াজ, মনগড়া ডাক মনকে টানে না, বরং মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তির উদ্রেক করে।

মধুর মুখর যে ধ্বনি,
মলিন শ্রুতিময় অর্থবহ যে আহ্বান!


তাকে কেন এত কর্কশ ভাবে উপস্থাপন করা?

মসজিদ ব্যবস্থাপনার ব্যক্তিরা মাইক্রো ফোন ও সাউন্ড সিস্টেমের শ্রুতি মধুর দিক গুলো জানেন না। ফলে এর অতি ব্যবহার দৃষ্টি কটু হয়ে আবির্ভুত হয়। ভলিউম টিউনার বারের "মধ্য থেকে সর্বোচ্চ" এই অর্ধেকে সেটা করা প্রায় সব সাধারণ মাইক্রোফোনই নয়েস তৈরি করে। তাই মসজিদের সাউন্ড সিস্টেমের ভলিউম ২৫% থেকে সর্বোচ্চ ৫০% এর মধ্যে সীমিত রাখা উচিৎ। প্রায় সব খানেই ভলিউম বার ১০০% এ সেটা করা থাকে।

মাসজিদে মাইকের অতি ব্যবহার আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায়। বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির সর্বত্র স্বল্প জ্ঞানীকে মাইক ধরিয়ে দিবার বিপদ নগণ্য নয়। মসজিদে কিংবা বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে একে টেনে আনার বিপদ আরো বেশি। আল্লাহ্‌ ভীরুতা, মেধা ও আমলের বাইরেও ইমাম নিয়োগে একটা স্টান্ডার্ড চেক লিস্ট থাকা চাই যা মুড অফ কমিউনিকেশন এর যথার্থতা নিশ্চিত করবে। ইমামের এর পূর্ব শর্ত হওয়া উচিৎ এলেম এর গভীরতা, তাকওয়া ও আমল, কমিউনিকেশন ট্রেনিং ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আসতে পারে। ইমামের বক্তব্য দেয়ার পদ্ধতি হোক লিখিত, বিষয়ভিত্তিক, অপরাধ প্রবণ সমাজের সমস্যা কেন্দ্রিক। সুমধুর হলে সেটা শুধু একটা প্লাস! ধীমান ও জ্ঞানী লোকে অপ্রাসঙ্গিক আলতু ফালতু কথা বলেন না, বরং নিন্ম স্বরে কাজের কথা বলেন।

গলা ফাটানোর যে ঝোঁক তা কাউকে টানছে না আসলে, জুমার খুৎবা এবং নামাজ শেষে মাইকে এর ওর নাম হাকানো দোয়ার (পশ্চাৎ এ হাদিয়া আয়ের বাণিজ্য) যে কালচার তৈরি হয়েছে, তার অবসান দরকার। কিছু কিছু ঈমাম দোয়ার সময় এমন চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করেন যেন তিনি যুদ্ধ জয় করবেন। অথচ এটা দোয়ার আদবই নয়। আমরা বোধ করি এটা নিজেকে জাহির করে পশ্চাৎ এ অর্থ হাদিয়া পাওয়ার কুকৌশল।

খুৎবায় বিষয় ভিত্তিক লিখিত বক্তব্য দিবার দাবী তোলা দরকার সব মসজিদে, তাইলে গলাবাজি, অনির্ধারিত ও অপ্রাসঙ্গিক গল্প ভিত্তিক ওয়াজের লাগাম ও ট্রেন্ড বন্ধ হবে। এগুলা ইসলামী সংস্কৃতিকে ভুল দিকে নিচ্ছে, আর ক্ষতি করছে মসজিদে নামাজের পরিবেশকে। কিছু মসজিদ ফরজ নামাজের আগে ও পরে স্রেফ টাকা তোলার স্থান হয়ে উঠে।


"'আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয়ই স্বরের মধ্যে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা শ্রুতিকটু।"
সুরা লুকমান, আয়াত-৩১। ৩১-১৯। আল কুর'আন।

সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: কিছু ইমাম আছেন যারা বয়ান করতে করতে উত্তেজিত হয়ে যান। শুরু করেন চিৎকার। এ অবস্থায় মাইকের ভলিউম বাড়ানো থাকলে সমস্যা তো হবেই। তবে শান্ত ও ধীরস্থির স্বরে কুরআন-হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে বয়ান করাটাই সর্বাপেক্ষা উত্তম বলে মনে হয়।

২| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামী গান লেখার লোক নাই দেশে। অথচ ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বে মুসলমানদের যে অবস্থা, তাতে সবচেয়ে বেশী হামদ, নাত, গজল হওয়ার কথা। ঘুরে ফিরে সেই নজরুলেই ভরসা। অনেস্টলি দেড়শ বছর আগের গানগুলি আর চলে না। মরা বাড়িতে বিলাপের মত শোনায়।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সাহসী লেখা আপনার। অভিনন্দন!
শব্দ নিয়ন্ত্রণেই শ্রুতির মাধুর্য আনা সম্ভব, তা আমাদের দেশের মোল্লা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বুঝেন না।
ধর্মের কর্মে হাদিয়ার লেনদেন অন্তরালে সকল ধর্মেই চলে আসছে।
সর্বোপরি আপনার লেখার প্রত্যেকটা কথাই ভাল লেগেছে আমার, মনে ধরেছে খুব।
ভাল থাকবেন সব সময়, সুস্থ জীবন কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.