নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাস-সরকার ও নাগরিকের সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে!

১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

নভেল করোনাভাইরাস কভিড-১৯ থমকে দিয়েছে প্রাণচঞ্চল জনপদ, রাত না জাগা শহর, পর্যটন কেন্দ্র, ব্যস্ত বন্দর শপিংমল বাজার সড়ক মহাসড়ক, ধনী মধ্যবিত্ত দরিদ্র দেশের চালচিত্র। হঠাত বদলে গেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন ধারা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। থেমে গেছে কর্মচঞ্চলতা, উৎপাদন, মন্দায় পড়েছে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। এ যেন এক অজানা পৃথিবী, গৃহবন্ধিত্ব হয়ে উঠেছে মানুষের নতুন অভিজ্ঞতার বিষয়।

করোনার বিস্তৃতি
নতুন করোনা ভাইরাসটি ইতিমধ্যেই ছাড়িয়েছে ১৫৬ দেশ ও অঞ্চলে। চীনের উহানকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ শুরু হয়ে ভাইরাসটি বর্তমানে বেশ কয়েকটি উপকেন্দ্র তৈরি করেছে ইটালি ইরান স্পেইন দক্ষিণ কোরিয়া ফ্রান্স জার্মানি নেদারল্যান্ডস যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলকে কেন্দ্র করে। তাপমাত্রার বৈষম্যকে পাশ কাটিয়ে ভাইরাসটির বিস্তৃতি ঘটেছে শীত প্রধান দেশের সাথে সাথে উষ্ণতর দেশেও।

তথ্যশালা-১

সোর্স- জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি COVIS-19 তথ্যব্যাংক
গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ হাজারের বেশি সংক্রমিত হয়েছে!


তথ্যশালা-২

সোর্সঃ worldometers ১৬ মার্চ- ১৪:৩৭ ইউটিসি টাইম
১৬ মার্চ ২০২০ ইউটিসি টাইম ১৪ঃ৪০ সময়ের আপডেইট অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত মোট রোগী ১ লক্ষ ৭৪ ৬২৫ জন যাঁদের মধ্যে ৭৭ হাজার ৬৫৭ জন রিকোভারি করেছেন, ক্লোজড কেইসে শতাংশ হারে যা ৯২%। অন্যদিকে ৬ হাজার ৭০৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে যা
মোট আক্রান্ত রোগীর ৪ শতাংশের কিছু বেশি। অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতিতে রয়েছেন আরো প্রায় ৫৯৬৬ জন। সংকটাপন্ন এই রোগীদের অনেকেই মারা গেলে মোট মৃত্যু, মোট আক্রান্তের প্রায় ১০ শতাংশ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


গত ২৪ ঘন্টার কিছু বেশি সময়ে দেশে ৭৭৬ জন মারা গেছেন বিশ্বব্যাপী। মাত্র একদিনে ১% বেড়ে ক্লোজড কেইসের মধ্যে মৃত্যুর হার ৯% হয়ে গেছে। আবার একটিভ কেইসে প্রায় ৬% রয়েছেন, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশানে।

সোর্সঃ worldometers ১৭ মার্চ- ১৭:৫৭ ইউটিসি টাইম!
করোনার মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী অভাবনীয় কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত চীনের ঊহানে বাস্তবায়িত নজিরবিধীন লকডাউন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্কুল বন্ধ করা আচ্ছে, বিমান যোগাযোগ বন্ধ করা হচ্ছে, কর্পোরেট কোম্পানিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার ঘোষণা এসেছে। রেস্টুরেন্ট বার গণজমায়েত বড় বড় সেমিনার বন্ধের পদক্ষেপ আসছে। আসছে বৃহৎ পরিসরের নাগরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশেও অনুরূপ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে সরকার।

সংক্রমণ রোগের বিস্তৃতি রোধে করনীয়
মূল কাজ আসলে অতি দ্রুত সংক্রমণ বন্ধ করা, সংক্রমিতদের ইনস্ট্যান্ট কোয়ারেন্টাইন করা, রোগে বিস্তারের এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথকে থামিয়ে দেয়া। কোয়ারেন্টাইন এখানে মূখ্য। এটা করা হয় স্কুল কলেজ গ্যাদারিং লোকসমাগম জনসভা উন্মুক্ত হাট বাজার ছোট বড় অনুষ্ঠান ইত্যাদি বন্ধ করে, কিংবা চূড়ান্ত স্টেইজে শহরের বিশেষ এলাকা বা পুরো শহর আংশিক লকডাউন করে। অর্থাৎ সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং তৈরি করে নির্দিস্ট সময়ে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ও হার না বাড়ে তার ব্যাবস্থা করা (কার্ভ ফ্ল্যাটেনিং যাকে বলে স্ট্যাটিটিক্সের ভাষায়), যাতে একসাথে অনেক রোগীর ট্রিটমেন্ট সক্ষমতা না থাকায় হেলথ সিস্টেম ভেঙে না পড়ে। টুডে ওর টুমোরো এই সংক্রমণ প্রায় সবারই হবে, তবে যত দেরিতে হয় ততই মঙ্গল। এক-সাইমুল্টেনিয়াস আনরিকভার্ড রোগী কমে আসবে, এতে মেডিক্যাল সাপ্লাই ও হেলথ কেয়ারের উপর চাপ কমবে। অন্যদিকে কিছু লোকের ইমিউন সিস্টেম ডেভেলপ হয়ে দ্রুত রিকভারির পথ তৈরি হবে।

এক- বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের নিজস্ব স্বাস্থ্য সেবা সক্ষমতা তৈরির বোধ 
বাংলাদেশের স্বচ্চল নাগরিক দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভারত সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড যুক্তরাজ্য ইত্যাদি দেশে গিয়ে চিকিৎসা করেন। খোদ দেশে রাস্ত্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই চর্চা জারি রেখেছেন স্বাধীনতা অবধি। অথচ নতুন সংক্রমণ রোগের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিদেশের রোগী নিতে অপারগ নামকরা দেশ ও হাসপাতাল গুলো। অর্থাৎ বাংলাদেশের যেনতেন ভাবে ও কোনরকম মানে চালিয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নীতি অতি দ্রুত পরিবর্তন না করলে দেশকে বেশ বড় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংকট, প্রাণহানী এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমূখী পড়তে হতে পারে। এই ক্ষতিগুলো ডেকে আনবে বহু পরোক্ষ সংকট। বাংলাদেশ ঔষধ উৎপাদনে খুব ভালো করছে। সুতরাং ঔষধের পাশপাশি মেডিক্যাল সাপ্লাই ফ্যাসিলিটি গুলো কিভাবে দেশে চাহিদার অনুপাতে স্থানীয় ভাবে উৎপাদন করা যায় তার রোডম্যাপ তৈরি খুবই জরুরী। নাগরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কে জবাবদিহিতা মূলক করে, সঙ্ক্রমিত রোগ সহ সকল জরুরী চিকিৎসার সক্ষমতার গুরুত্ব বুঝে তাতপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিন। বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিবার হীন্মান্যতা বন্ধ করে, দেশের চিকিৎসা সেবা কিভাবে ধনী-গরীব সবার তরে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট মানে উন্নীত হয় তার ব্যবস্থা নিতে সরকারকে পরামর্শ দেই।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যয়
ভাবতে অবাক লাগে, সোয়া পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার বাজেটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের বাজেট ১২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মত, যা বাজেটের ২,৪%। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যেখানে দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট ২৯ হাজার ৬৭ কোটি টাকা সেখানে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সব বরাদ্দ মিলিয়ে স্বাস্থ্য বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে যা বাজেটের ৪,৯%। এই স্বাস্থ্য বাজেটে চিকিৎসা ছাড়াও যেসব স্কোপ আছে তা হচ্ছে-
১. স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা-সংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
২. স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান এবং জনগণের প্রত্যাশিত সেবার পরিধি সম্প্রসারণ;
৩. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সুবিধাসহ জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সংক্রামক-অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও প্রতিকার;
৪. মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন ও বিতরণ এবং আমদানি ও রফতানিযোগ্য ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ;
৫. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা শিক্ষা, নার্সিং শিক্ষা, জাতীয় জনসংখ্যা, স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত কার্যাবলি;
৬. স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ- সংক্রান্ত স্থাপনা, সেবা ইনস্টিটিউট ও কলেজ নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণ;
৭. শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পুষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন;
৮. স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি।

এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, স্বাস্থ্য খাত দেশের অন্যতম একটি দুর্নীতিপরায়ন সেবা খাত। এমতাবস্থায় বহু মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটি অকেজো, বহু হাসপাতাল আন ইকুইপড, থাকলেও দিতে হয় উচ্চ পরিমাণ চাঁদা, আছে হয়রানি। ফলে দুর্যোগে, সংকটে, সংক্রামণ রোগের প্রাদুর্ভাবে যথাযথ চিকিৎসা সেবা অধরাই থাকে। নেতারা, বিত্তবানরা উচ্চ খরুচের বেসরকারি হাসপাতালে যান কিংবা বিদেশে, কিন্তু আমজনতা হয় চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বসান্ত হঙ, নতুবা রোগ নিয়ে মরেন।

পাশাপাশি আছে খরুচে যন্ত্রপাতি কেনায় উচ্চ দুর্নিতি, বিদেশ ভ্রমণের প্রতিযগীতা। ফলে স্বাস্থ্য খাতে "স্বাস্থ্য" না থাকলেও আছে লুটপাট ও বিনোদন।এরই মধ্যে এসেছে, মেডিক্যালের পর্দা কিনতে কোটি টাকার খরচ। অর্থাৎ একদিকে ১৮ কোটি মানুষের জন্য বরাদ্দ অপ্রতুল, অন্যদিকে দুর্নীতির কারনে বরাদ্দকৃত টাকার বাস্তবায়ন ও পরিচালনা "ভ্যালু" কম।

এমতাবস্থায় করোনার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে, ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। কতটা নাযুক হলে পরে, জরুরী চিকিৎসা বরাদ্দ এমন ভঙ্গুর কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে থাকে! নিজেরা মাত্র ৫০ কোটি বরাদ্দ করে পরে আবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এটাকে দ্বিচারিতা বলে মনে করি কেননা দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের অবস্থা ভালো।যেনতেন উছিলায় সরকারের ঋণ নেয়ার এই ঝোককে নিকুচি করি, এই সরকার গত এগার বছরে বৈদেশিক ঋণ প্রায় তিন গুণ করেছে, ফলে ঋণ সুদ আসল প্রদান বাজেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খাতে পরিণত হয়েছে।

করোনার উদ্ভূত সমস্যা
যেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য ফ্যাসিলিটি অপর্যাপ্ত, বেড সীমিত সেখানে নতুন সঙ্ক্রামক রোগের জন্য আলাদা বেডের সক্ষমতা আসলে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর নেই। বর্তমানের সব জটিল রোগীকে ফেলে দিয়ে এই বেড গুলোতে নতুন রোগী ঢুকানোও অবাস্তব। এই বাস্তবতা প্রেক্ষিতেই সরকার হজ্ব ক্যাম্প কিংবা অন্যকোন ক্যাম্প বা স্কুলকে সাময়িক কোয়ারেনটাইন কেন্দ্র করার কথা ভেবেছে। এগুলাতে কোন স্বাস্থ্য ফ্যাসিলিটি নেই। কিন্তু ভবিষ্যত কি? তাই এখনই নতুন করে ভাবুন, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। নতুন নতুন ভাইরাস আসতেই থাকবে!

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা
১। আমরা চাই দেশ স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খাতে বাজেটের দশ শতাংশ বরাদ্দ করুক।
২। মাথাপিচু হিসেবে হাসপাতাল, বেড, ডাক্তার, নার্স, জরুরী বেড, এম্বুলেন্স সহ সকল মেডিক্যাল সাপ্লাই করুন। মেডিক্যাল সাপ্লাই দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা নিন।এতে বাজেটে স্বাস্থ্য বাজেট বাড়বে তবে অনেক পরোক্ষ ব্যয় কমে যাবে।
৩। সার্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা চালুর ব্যবস্থা নিন। সরকারি বেসরকারি হাস্পাতেলে জরুরী, সাধারণ ও সঙ্ক্রমিত সেবা দানের স্কোপ এবং পেমেন্ট মডেল ডেভেলপ করুন।
৪। চিকিৎসা ও ঔষদ সেবনের রেকর্ড নিতে স্বাস্থ্য বই চালু করুন (অনলাইন বা হার্ডকপি)।
৫। সরকারি থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী নিয়ে চিকিৎসকের টাকা কামানোর ধান্ধা বন্ধ করুন।
৬।সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করোনা সহ ডেঙ্গু, চিকুঙ্গুনিয়ার টেস্টকিট সরবারহ করুন। বর্তমানে করোনার টেস্ট সক্ষমতা বর্তমানে শুধু আই ই ডি সি আর এই সীমাবদ্ধ, দেশে একটি মাত্র ল্যাব। ১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারের হাতে মাত্র ১৭৩২টি কিট।এটা অগ্রহণযোগ্য, দেশের সব যায়গা কিংবা সব শহর বা রাজধানীর সব এলাকার কোটি মানুষের বিপরীতে আইইডিসিআর এর নামমাত্র সক্ষমতা মেনে নেয়া যায় না। জরুরি ভিত্তিতে টেস্ট কিট সংগ্রহ করুন, দেশের সব বিভাগীয় সদর হাস্পাতালের টেস্ট ও ল্যাব সক্ষমতা তৈরি করুন। Reverse transcription polymerase chain reaction (rt PCR পদ্ধতি বা এই ধরনের সফস্টিকেটেড বায়ো মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সহ টেস্ট কিটের সাপ্লাই নিশ্চিত করুন প্রতিটি বিভাগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা টেস্টের উপর বেশ জোর দিয়েছে।
৭। হাসপাতালের দর্শনার্থী নীতিমালা খুব কড়াকড়ি করুন।

সব স্থল নৌ এবং বিমন্দরে থার্মাল স্ক্যানার
করোনার পর জানা গেল, দেশে মাত্র তিনটা থার্মাল স্ক্যানার রয়েছে, যার দুটো নষ্ট। চীনা রাষ্ট্রদূত এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলে এই খবর জানাজানি হয়ে পড়ে। দেশের সবগুলো স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে কিভাবে সঙ্ক্রমিত রোগ নির্ণিয়ের কারিগরি আবকাঠামো সাশ্রয়ী ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে তৈরি করা যায়, সেসব কেনার পড়ে সঠিক ভাবে মেইন্টেইনেন্সও করা যায় তা নয়ে প্রশাসন ও সরকার আন্তরিক হোক।

বেসরকারি খাতে মনোযোগ দিন
প্রায়ই অভিযোগ আসে, বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সংকটাপন্ন রোগী ভর্তি করে না, ভাঙচুর জনিত কারনে।এই সমস্যার একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান করুন, দরকার হলে বেসরকারি হাস্পতালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সময় বেসরকারি হাস্পতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো, প্রাইভেট চিকিৎসক গণ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। করোনা'র জন্য এমন আয়োজন কিভাবে করা যায় তার জন্য সরকারের এগিয়ে আসা দরকার। বিভিন্ন সেবার স্কোপ এবং ফি কি হবে, বেসরকারি খাত কিভাবে টেস্ট কিট সহ আমদানি নির্ভর মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটি পাবে তার ব্যবস্থা ও সুনির্দিস্ট নির্দেশনা দেয়া উচিৎ সরকারের।  

দুই- নাগরিক দায়িত্ব ও সচেতনতা

ক। কোয়ারেন্টাইনঃ কার জন্য কি অর্থ বহন করে? 
বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা জানি দেশের বিধিবদ্ধ কোয়ারেনটাইন কেন্দ্র ও মানসম্মত ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় প্রবাসীদের দেশে না ফেরাই উত্তম। মানবিক দিক থেকেও প্রবাসীদের দেশে গিয়ে সংক্রমণ বাড়ানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকা চাই।

সরকার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডিসি, পৌরসভার মেয়র, টিএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিদেশ ফেরতদের বিষয়ে খোঁজ রাখতে বলা হয়েছে, বিদেশফেরতদের শনাক্ত করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে বলেছে। এটা একদিকে সাময়িক ভাবে ওকে, অন্যদিকে হাস্যকর। এই কাজ বিমানবন্দর কেন্দ্রিক হওয়াই ভালো। এর উৎস হওয়া উচিৎ সিটিজেন ডেটাবেইজ যেখানে এনাইডি, পাস্পোর্ট ডেটাবেইজে সিটিজেন এড্রেস আছে। সুতরাং চাইলেই প্রবাসী নাগরিক কে কখন দেশে ঢুকেছেন, তার স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা কোথায় তা ডেটা সর্ট করে নিমিষেই বের করা সম্ভব হবার কথা। চায়না ডেটা মাইনিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রয়োগ করে লকডাউন পিরিয়ডের সময়ে এবং তার আগে উহানের দেড় কোটি মানুষের মধ্যকার সংক্রমিতদের সংস্পর্ষে কে বা কারা এসেছেন, কে কোথায় কখন কোথায়, বাসে ট্রেনে অফিসে বাজারে গিয়েছেন, সেখানে সম্ভাব্য কারা কারা সংস্পর্শে থাকতে পারে, তাঁদের বের করে এনেছে, তাঁদের লক করেছে, খাবার সরবারহ করেছে নজিরবিহীন ভাবে। বাংলাদেশের সরকারের তেমন সক্ষমতা নেই, যদিও আইসিটি খাতের বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা! আবার এধরনের সক্ষমতা কর্তিত্ববাদ জন্ম দেয়, প্রাইভেসি হরণ করে বলে আমরা তা চাইও না, এমনিতেই আমরা পুলিশি গুম খুন ও পিটায়া সংস্কৃতির জাঁতাকলে পিষ্ট। তবে একেবারে বেসিক সিটিজেন ডেটাবেইজ দিয়ে যা সমাধান করা যায় তা না করে, অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর এভাবে দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া কেন?১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ফিরেছে ৪ লাখ ৪৮৭ হাজার ৯০৯,(Click This Link) কোয়ারেন্টাইন মাত্র ১৩৪৫ থেকে ২৫০০ এর মধ্যে। অথচ কোয়ারেন্টাইনই রক্ষা কবচ।এটা তো ঢাকার কর্তাদের দায়িত্বহীনতার জ্বলন্ত প্রমাণ। স্থানীয় প্রতিনিধিরা তো নির্বাচিতও নয়, বরং দলীয়ভাবে সিলেক্টড, কিভাবে তারা জনস্বার্থ্যে জবাবদিহি করবে?এই বোধই তো তাঁদের গড়ে উঠেনি! তদুপরি একজন স্থানীয় নেতার পক্ষে কে বা কারা বাহির থেকে এসেছে তার ডেটাবেইজ রাখা দুস্কার, দেখা যাবে খোঁজ খবর নিবার আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশে প্রবাসী আশা মাত্রই বহু লোকে মোলাকাত করতে আসেন।

হোম কয়ারেন্টাইন থাকা অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু'র নির্দেশনা গুলো মানার চেষ্টা করুন।

উদ্ভূত পরিস্থিতে নাগরিদের এগিয়ে আসতে হবে। যে কোন ধরনের কোলাকুলি, হ্যান্ডশেইক, দল বেঁধে দেখতে যাওয়া কিংবা যে কোন ছোট বড় সামাজিক ও পারিবারিক প্রোগ্রাম এড়িয়ে চলা সবার দায়িত্ব। বিদেশ ফেরতদের নিজ ঘরে থাকতে, এমনকি কিভাবে ঘরের মানুষকে সংক্রমণ মুক্ত রাখা যায় তা নিয়ে সচেতন হতে হবে, টিভি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া'র সতর্কতা ফলো করুন, স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করুন, যদিও আমরা জানি কারিগরিভাবে তারা নিতান্তই অক্ষম।

খ।কোয়ারেন্টাইনের সাময়িক বন্দোবস্ত মেনে নিন
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কোয়ারেন্টাইন সক্ষমতা নেই, তাই বাইরের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনাকে মেনে নিন। ভুল সময়ে মেজাজ হারিয়ে সাময়িক আয়োজনকে ভেস্তে দিবার মানে হয়না। এখন ক্যাচাল না করে ভবিষ্যতের জন্য নাগরিক চাপ তৈরি করার কথা চিন্তা করুন। গোল্ডফিশের মত সব ভুলে যাবে না।স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে আন্দোলন করুন, নিজে না পারলে যারা করে তাঁদের ফিজিক্যালি বা অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সমর্থন-সহায়ত করুন, দেশের স্বার্থ্য নিয়ে যে স্বল্প কয়েকজন নাগরিক প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন জায়গায় গলা ফাটায়, এই দেশের শিক্ষত জনতার তাতে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। মানুষের দায়িত্বহীন আচরণে মনে হচ্ছে, কেবল বাংলাদেশ সরকার নয়, বাংলাদেশীরাও কোভিড-১৯ নিয়ে সিরিয়াস নয়।

গ। হাসপাতালের দর্শনার্থী নীতিমালা কড়াকড়ি হলে তা নিজে মেনে চলুন, অন্যকেও উৎসাহিত করুন, রোগী দেখার নাম করে দলবল নিয়ে গিয়ে, সেবা কর্মী, ডাক্তার ও নার্সদের কাজকে কঠিন করে তুলবেন না।

ঘ। দেশে অবস্থানরত এবং সংক্রমিত নাগরিক কোয়ারেন্টাইনে কঠিন পদক্ষেপ আসবে, এগুলা মেনে চলুন , যথা সম্ভব ঘরে থাকুন, নিতান্তই বেরুনো দরকার পড়লে হ্যান্ড শেইক, হাতাহাতি, ধরাধরি, মাখামাখি, কোলাকুলি পরিহার করুন।

ঙ।এতিমখানা, আবাসিক কওমি মাদ্রাসা, বিশবিদ্যালয়ের গণ রুম বন্ধ করুন
চ। মসজিদের জামাত, জমায়েত, লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করুন। মসজিদের পরিচ্ছনতা ব্যবস্থাপনা যাচাই করুন। সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুন, ওজু করুন সঠিকভাবে, তবে পানি অপচয় থেকে বিরত থাকুন। ওয়াসার পানি সরবারহের উপর এই সময় চাপ বাড়ানো ঠিক হবে না।

ছ। সামর্থ আছে বলেই চাল ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মজুতদারি বন্ধ করুন। সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহের চাল ডাল মজুদ করুন, এর বেশি করলে সরবারহ ব্যবস্থার উপর অনিয়ন্ত্রিত চাপ পড়বে, যার ভুক্তোভোগী হবে সবাই। তাই দায়িত্বশীল হোন, প্লিজ।

তিন- স্কুল প্রোগ্রাম- স্কুল বন্ধ মানেই সব বন্ধ? 

৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হ এক সপ্তাহ পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন শুরু করেছেন। কোচিং সেন্টারও বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে। ছুটির এই সময় শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে হবে। দেরিতে হলেও এটা ভালো সিদ্ধান্ত।

এখন কথা হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ মানেই শিক্ষা বন্ধ? ডিজিটালের নামে তো দেশে হাজার কোটি খরচ করা হয়েছে, কিন্তু অনলাইনে ক্লাস নেয়ার কোন পদক্ষেপ, আগের নেয়া ক্লাসের ভিডিও প্রেজেন্টেশনের ডেটাবেইজ, অনলাইন লার্নিং, ই লার্নিং এ কি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে? দু একটা কম্পিউটার, প্রিন্টার আর ওয়াইফাই দিবার নাম করে এভাবে শত শত কোটি টাকা হাতানোর ডিজিটালাইজেশনের মানে কি? এগুলা নিয়েও ভাবতে হবে।

সাময়িকভাবে অনলাইনে ও টেলিফোন শিক্ষা নির্দেশনা চালিয়ে যাওয়া যায়। যেহেতু স্কুল ক্লাস শিক্ষা বাংলাদেশে উঠে গিয়ে কোচিং ব্যবসা প্রাধান্য পেয়েছে, তাই গোপনে যা কোচিং না চলে তার জন্য নাগরিক উদ্যোগ দরকার।

চার-সেবাকর্মী ও চিকিৎসক সুরক্ষা 
যদি সত্যই করোনা সংক্রমণ বিস্তার পায় বাংলাদেশে, আমার সবচেয়ে ভয় ডাক্তার ও জরুরী সেবা কর্মীদের জন্য। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই দুই পেশাজীবি শ্রেণী খুব আনপ্রটেক্টেড অবস্থায় রয়েছেন। আল্লাহ না করুক অসচেতন রোগী হ্যান্ডেল করতে গিয়ে অনেক ডাক্তার ও সেবাকর্মী সংক্রমণের কবলে পড়লে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাবে।তাই সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডাক্তার নার্স ও সেবা কর্মীদের জন্য পারসোনাল প্রটেকশনের সারঞ্জামাদির ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আছেন-এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সঙ্গে ওই ওয়ার্ডে থাকা রোগী, হাসপাতালের কর্মচারীসহ সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ডাক্তার ও নার্সগণ জরুরী মিটিং এ গেলে রোগী পালিয়ে যান।

চিকিৎসকদের সাথে আলাপে জানা গেছে, ১৫ মার্চ আগে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সরকারি হসপিটালে একটাও প্রটেক্টিভ মাস্ক, প্রটেক্টিভ ইকুইম্পমেন্ট বা পিপিই ইত্যাদি ছিল না।এমন কি ঢাকার বড় বড় হসপিটালে একটিও প্রটেক্টিভ মাস্ক ছিল না। ১৫ মার্চ অনেক গুলো বড় হসপিটালে এই গুলোর সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই গুলো কিভাবে পড়তে হবে তার কোন ট্রেনিং দেওয়া হয় নাই।(পিপিই কিভাবে পড়তে হয়, তা নিয়ে ট্রেনিং লাগে)। ফলে, ডাক্তার নার্স এবং হস্পিতালের কর্মীরা ভয় পাচ্ছেন সবার আগে তারা ইনফ্যাক্টেড হবেন। জরুরী ভিত্তিতে প্রটেক্টিভ মাস্ক, প্রটেক্টিভ ইকুইম্পমেন্ট বা পিপিই আমদানি করুন, শর্ট ট্রেনিং ভিডিও তৈরি ছড়িয়ে দিন।

পাঁচ-জরুরী প্রস্তু্তি
লকডাউনের ইউকোনোমিক ম্যাট্রিক্স এমতাবস্থায় আমার মনে হয়, স্কুল, ট্রান্সপোর্ট ও অফিস কোন্টা আগে পরে শাটডাউন করলে কি কি ইকোনমিক এবং হেলথ সেইফটি লস হবে তার এক্টা সম্ভাব্য ম্যাট্রিক্স তৈরি করে, সরকারি সিদ্ধান্তের সিকুয়েন্স তৈরি করা উচিৎ। যেভাবে করলে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক ক্ষতি কম হয়, সেভাবে।

অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রক সবার সাথে মিলে এগুলা ঠিক করে রাখা উচিৎ যে, পরিস্থিতি আরো খ্রাপ হলে কি করা হবে তার একটা একশন প্ল্যান। কিভাবে সংকটাপন্ন নাগরকিকে ফুড ও মেডিসিন সাপ্লাই দেয়া হবে তার একটা একশন প্ল্যান এখনই তৈরি করা চাই।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে আমাদের স্বস্তি ফিরেছে, তবে তৈরি পোশাক শিল্পের কি হবে? সেখানেও গাদাগাদি করে মেশিনারি বসিয়ে স্বল্প স্থানে বহু লোকের কাজের ব্যবস্থা করা হয়। গার্মেন্টসে কি কি প্রটেকশন ব্যবস্থা করা চাই, কিভাবে কর্মীদের শিফট বাই শিফট ছুটির ব্যবস্থা নেয়া যায় তার বিশদ পরিকল্পনার দরকার আছে। এমনকি ভাসমান শ্রমিকদের জন্য কিছু সামাজিক সুরক্ষা ভাতার ও ব্যবস্থা করা দরকার। কেননা বহু দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমিকরা কাজ হারাবেন।

ছয়-তথ্য সরবারহে  স্বচ্ছতা গুজব রোধে কার্যকরী
সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে, সরকারকে সঠিক তথ্য সরবারাহের জন্য আন্তরিক হতে হবে, তথ্য লুকাতে গিয়ে চেইন রিয়েকশন শুরু হবার চান্স আছে। রাষ্ট্রের উপরে যদি আস্থা না থাকে তবে এই ধরনের একটা ক্রাইসিস জনগণের উপরে ব্যাপক দুর্ভোগ নিয়ে আসতে পারে, করোনাভাইরাস থেকে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব আরো বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিপরীতে সরকারের উচিৎ সংক্রমণের সংখ্যা, স্থান, প্রস্তুতির তথ্য খলামেলা ভাবে প্রকাশ করা।এতে নাগরিক, স্থানীয় নেতৃত্ব, সেবা কর্মী চিকিৎসক গণ সেন্সিবল ব্যবস্থা, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে, হেন আছে তেন আছে, কিংবা প্রবাসীদের অসম্মান করার মত বক্তব্য থেকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়ে যাই। করোনা নিয়ে যে কোন নাগরিক প্যানিক অবশ্যই কাম্য নয়, ভীতি ছড়ানো সমস্যার আকারকে বাড়াবেই। তবে সচেতনতা তৈরির চেষ্টাকে প্যানিক তৈরির চেষ্টা থেকে আলাদা করতে জানতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতিহীনতা, প্রস্তুতি না নিয়েও প্রস্তুত থাকার মিথ্যা তথ্য, স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও কারিগরি অযোগ্যতা, সঠিক বিশেষজ্ঞদের পলিসি মেকিং এ না জড়িয়ে অযোগ্যদের দিয়ে ভুল পলিসি নেয়া কিংবা আক্রান্তের তথ্য আড়াল করার চেষ্টাগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্র নিজেই গুজবের কারখানা হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে কর্মরত এক আনসার সদস্য রেজাউল করিম সর্দি-কাশি ও জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে গত ৪ মার্চ ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যান। পরে ১১ মার্চ তিনি মারা যান তার গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার কেবশপুর গ্রামে। এছাড়া অপর একজন আনসার সদস্যের একই লক্ষণ দেখা দিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি ১২ মার্চ নিজ বাড়িতে চলে যান। নাগরিকের চিকিৎসার দায়িত্ব না নিয়ে, তার সংক্রমণের ধরণ না বুঝে, এভাবে ছুটি দিয়ে গ্রামে পাঠিয়ে তাকে এবং অন্যদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে দায়িত্ব এড়াতে চাইলে, সরকার ও প্রশাসন নিজেই গুজব তৈরির কারখানা জিইয়ে রাখবে! তাই দায়িত্বশীলতাই এখানে মূখ্য! মৃত্যুর কিংবা সংক্রমণের তথ্য লুকানোর মধ্যে কোন ক্রেডিট নেই।

সাত-উষ্ণতা কিংবা খাদ্যাভ্যাস সমাধান নয়

অনেকেই বলছেন গরমে করোনা ছড়াবে না, আবার অনেকেই বলছেন আমিষ খেলে করোনা ছাড়ায়। আমিষ বা ডিম খেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে এসব বিষয়ে কান না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এইমসের অধিকর্তা ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, সব ধরনের মাংস ভালো করে ধুয়ে ও সিদ্ধ করে খেতে হবে। ড. রণদীপবলেন, এই ভাইরাসের প্রভাব সিঙ্গাপুরের মতো উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা ইউরোপের দেশগুলোর মতো শীতল আবহাওয়া উভয় ক্ষেত্রেই গুরুতর।অ্যালকোহল সেবন করোনা সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব এমন দাবিও সঠিক নয়। আর লবঙ্গ বা অন্য কোনো ওষুধ সেবন করলেও এই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না।করোনার থেকে বাঁচতে তিনি সবাইকে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংক্রমণ এড়াতে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। সব ধরনের মাংসই আর সাবান না থাকলে স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আট-ভালোবাসা দিয়ে পরিস্থিতিকে জয় করুন
প্রতিবেশী, নিকট ও দুর আত্মীয়দের খোঁজ নেয়া সব নাগরিক তথ্য প্রযুক্তির আওতায় নেই। এছাড়া আত্মীয় বা বন্ধুদের যারা চারিত্রিক বা স্বভাবগত ভাবে অসচেতন মনে করেন, তাঁদের কিছুটা সময় দিন। আর নাগরিকদের উচিৎ সেবাকর্মী ও চিকিৎসকদের উপদেশ মেনে চলা। বর্ধিত পরিবারের, গ্রামে ও শহরের আত্মীয়দের সবার খোজ খবর নেয়া, সবাইকে সংক্রমণের ব্যাপারে এডুকেইট করার কাজ করুন। সম্ভাব্য সংক্রমণে কি করতে হবে, তানিয়ে চিকিৎসক দের কথা শুনুন, বিশ্বসাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ শুনুন, নিজেরা কোন নতুন কথা চালু করে দিবেননা প্লিজ।আত্মীয়দের যাঁদের সাথে যোগাযোগ নেই,তাঁদেরও খোঁজ নিন, পরামর্শ দিন, আলোচনা করুন।অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই কাজ করলে ব্যাপারটা সরকার ও নাগরিক সবারই কাজে আসবে।   

নয়-অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা নয়
প্লিজ অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা থেকে সবাই নিজেদের কয়েক্টা দিন বিরত রাখি। কেউ গালি দিলেও ভাই হিসেবে তাকে ক্ষমা করে দেন। বিপদের সময় কলহ না করে, ঠান্ডা মাথায় নিজেকে এবং আশেপাশের সবাইকে নুয়ে ভাবুন। সরকার কি করবে না করবে, তার হিসেব নিকেশ ফেলে নিজেদের প্রস্তুতিও নিন। সবাই সবার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। সবাই সংযত থাকি।

পরিশেষে, অগ্রযাত্রার নামে, উন্নয়নের নামে, বিজ্ঞানের নির্বোধ প্রয়োগের নামে, অত্যাধুনিক কৃষির নামে, প্রকৃতি বিনাশ করে নির্বিচারে হাজারো লাখো অণুপ্রাণ হত্যার উপর দাঁড়ানো মানব সভ্যতা আজ মাত্র একটি অণুপ্রাণের আক্রমণেই থমকে গেছে। একের পর আরেক শক্তিমান সংক্রমিত ভাইরাসের এরকম আবির্ভাব হয়ত চলতেই থাকবে। নতুন নতুন ভাইরাসের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ব্যাকটেরিয়াল রেজিস্টেন্স আরেকটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মানব প্রজাতির জন্য। মানবজাতি এক ভয়ংকর উন্নয়ন মডেলে, প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ নষ্ট করেছে, এখন প্রাকৃতিক কিংবা মানবের অনিয়ন্ত্রিত হাত ধরেই প্রাকৃতিক প্রতিঘাত আসছে। তাই আমাদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন মডেলকে সাস্টেইনেবল করার, প্রান ও পরিবেশ বান্ধব করার সময় হয়েছে, তা সে যতটুকই পারা যায়! বাংলাদেশের সর্বগ্রাসী পলিথিন, ধূলী, বাতাস পানি শব্দ নদী সাগর তরঙ্গ ও ভেজাল খাবারের অপ্রতিরোধ্য দূষন রোধে ব্যবস্থা নিবার সময় হয়েছে।করোনা বহু মানব প্রাণের ক্ষতি করলেও বিশ্বের অর্থনীতির কড়া মূল্যে পরিবেশ শোধনে ভূমিকা রাখছে। উন্নয়ন, সরকার পরিচালনা, নাগরিক সচেতনতা, পরিবেশ রক্ষা সবদিক থেকেই বোধ সেন্স ফিরুক। মহান সৃষ্টিকর্তা মানবজাতিকে সমূহ বিপদ ও কষ্ট থেকে রক্ষা করুন। ভালো থাকুক বিশ্ববাসী, ভাল থাকুক বাংলার মানুষ ও বাংলাদেশ।   

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ তুমি দুনিয়ার সব মানুষকে হেফাজত করো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: চারিপাশে এত এত লেখা করোনা নিয়ে, মানূষের এত এত বক বক করোনা নিয়ে- তাই মানশূহ হয়ে পড়েছে দিশেহারা। পেনিক এর কারনে মানূষের শান্তি আনন্দ আর ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
ভাই, বিষয়টা খুব বেশি জটিল, গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় বিশ্বে ৬২৫ জন মারা গেছেন। এটা অপরাপর যে কোন জানা রোগের চেয়ে দ্রুত কিলার। অন্যন্য রোগে দীর্ঘদিন ভুগে লোক মারা যায় এটাতে মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হয়, এবং এর মধ্যে অন্তত এক সপ্তাহ রগ নির্ণয়ের কোন উপায় থাকে না!

মানুষের সচেতনতাকে ভয় বা প্যানিক থেকে আলাদা করতে হবে। দিনশেষে যদি সচেতনতা বাড়ে, মানুষে-মানূষে সংক্রমণ কমে এবং আক্রান্তদের কোয়ারাইটাইনে বাধ্য করা যায় তাতে সবারই লাভ, দেশের ও মানুষের। জীবন ও অর্থনিতির, উভয়ের!

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

জুন বলেছেন: অন্যান্য অনেক দেশের মত যদি আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলো লক ডাউন করে দিত তাহলে হয়ত মহামারীর হাত থেকে কিছু লোক রক্ষা পেত। সারা রাস্তা জুড়ে অযথাই গিজ গিজ করছে লোকজন, ফ্যাত করে প্রকাশ্যে সর্দি ঝাড়ছে, খ্যাক করে রাস্তার উপরের দলা দলা কফ ফেলছে, আপনার মুখের উপরেই হ্যাচ্চো করে হাচি দিচ্ছে। কোন সিভিক সেন্স নাই, বুঝিয়ে বল্লেও শোনে না। আরো আজেবাজে কথা শুনে আসতে হয়। জানি না কি হবে নিরুদ্দেশ পথিক তবে ভালো যে হবে না এটা নিশ্চিত।
আমার এই বক্তব্য ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যা একটি বিশ্ব বিখ্যাত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপু, আই বিয়ার উইথ ইউ!

নির্লিপ্ততা, লজ্জাহীনতা, অব্যবস্থাপনা ও অপ ব্যবস্থাপনার কুফল হয়ত ভোগ করতে হতে পারে আমাদের।

মে গড সেইভ আস, সেইভ হিউম্যানিটি।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৭ই মার্চের পর করোনার আসল খবর জানা যাবে বলে অনেকেই বলছিল। এখন তার প্রমান পেলাম।

( ১) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। এছাড়া নতুন করে আরও ৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। আজ আইইডিসিআর-এর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

(২) দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে তার দাবি।

(৩) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনে কিছু কিছু জায়গা শাট ডাউন করে দেয়া হবে। কারণ সব কিছুর আগে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। আপনাদের বলে রাখি, মানুষকে বাঁচাতে যা যা করা লাগবে, সরকার তাই করবে।আজ করোনা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনে বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হবে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ( ১) আমি মনে করিনা এটাই প্রথম মৃত্যু, আইডিবি ভবনের গার্ড ১১ তারিখ মারা গেছেন। জ্বর-সর্দি-কাশি হবার পর উনাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরকম মৃত্যু আরো হয়ে থাকতে পারে।

(২) দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি, আনফিশিয়াল তথ্যে ইতিমধ্যেই অকেন বড় একটা সংখ্যা জানা গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের লোকেরা সত্য জানেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উচিৎ হবে সত্য জানিয়ে লোকেদের সচেতন করা। দেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালও পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছুই নেই, কোন টেস্ট কিটও নেই। মিথ্যা বক্তব্য না দেয়াই শ্রেয় মনে করি, মিথ্যা বক্তব্য প্যানিক তৈরি করবে। বরং আমরা দেখছি সর্দি কাশি জ্বর শুনলেই কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না। এদিকে ডেঙ্গুর প্রভাবও দৃশ্যমান।

(৩) করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জায়গা গুলোকে আজই শাট ডাউন করা উচিৎ।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২০

রাশিয়া বলেছেন: আমি ড্যাম কেয়ার হয়ে গেছি, আজকেও রাস্তায় তিনজনকে বলেছি থুতু না ফেলতে। দুজন পিজিটিভ রেসপন্স দিয়েছে - একজন আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে 'কোন সমস্যা নাই' বলে হরিণের মত দৌড় দিয়েছে। আমি থামবো না। বলেই যাব। দেখা যাক, কয়জনকে ভদ্র বানাতে পারি।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মানুষকে সতর্ক করে খুব ভালো কাজ করছেন।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

একাল-সেকাল বলেছেন:
যেখানে বিশ্ব আতংকিত, আর আমাদের সিইসি দিচ্ছে চট্টগ্রামে নির্বাচন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনসমাগম, কোলাকোলি, করমর্দন নিষেধ করেছে, সিইসি এগুলার পসরা সাজিয়ে বসেছে, আর সরকার বলছে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ফলাফল আজ ১৮ মার্চ ২০২০ করোনায় ৭০ উধর্ব প্রথম ১ জনের মৃত্যু
আমরা হাজার টন আতশবাজী ফুটাচ্ছি, ওদিকে পিপি র অভাবে আছে হাসপাতাল গুলু। অপর্যাপ্ত হেল্প লাইন নম্বরে কল করে কানেক্ট হতে পারছেনা, তাই রিস্ক বেড়ে যাচ্ছে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নির্লিপ্ততা কতদুর গেলে একে বলা হবে অসভ্যতা!

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল আজ দুপুর নাগাদ!
কোথায় গিয়ে এর যাত্রা শেষ হয়! কে জানে?

গণহারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা এই আতংকজনক খবরও আসছে।
আল্লাহর/স্রস্টার উপর বিশ্বাস (বিশ্বাসীদের জন্য ) সচেতনতা, নির্দেশ মানা এবং সতর্কতাই একমাত্র উপায়।

আজ আরো কিছু খবর মনকে ভীষন খারাপ করে দিয়েছে । নরমাল নিউমোনিয়ার রোগীকে কেউ এডমিটই করতে চায়নি? এ ওর ঘােড় দায় চাপিয়ে, সারা শহরের হাসপাতল ঘুরে অবশেষ তিনি মৃত্যু বরণ করেন!

এই সমন্বয়হীনতার দায় কেউ নেবার নেই জানি! কিন্তু নূন্যতম বিবেকটুকুও কি নেই?
ডাক্তার/নার্স গণ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পোষাক হীনতার ভয়ে রোগীর সেবা দিতে সাহস পাচ্ছেন না। সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন কাল! এই অব্যবস্থাপনা কেন? সময়তো কম পাওয়া যায় নি ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়! তবে?

সমন্বয়হীনতা দূর হোক।
সকলে হাতে হাত মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করি।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সমন্বয়হীনতা দূর হোক।
সকলে হাতে হাত মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করি।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আজ ১৮ই মার্চ সকাল ১১টার দিকে সময় সংবাদের মাধ্যমে জানা গেছে, দেশের করোনা পরিস্থিতি সংক্রমণ বেড়ে এখন ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ বা গণ সংক্রমন পর্যায়ে চলে গেছে। এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ।
এই পরিস্থিতি বলা যায় বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই সময়ে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সর্তকতার সাথে নেয়া প্রয়োজন।
১। আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন। অহেতুক আতংক ছড়াবেন না, আজগুবি পোষ্ট শেয়ার করবেন না, যদি না জেনে বা ভুলে করেও থাকেন, তাহলে সেটা সরিয়ে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করুন।
২। যে যার অবস্থান থেকে মানুষকে সচেতন করুন। নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিন, প্রতিবেশীদের সচেতন করুন। এর মাধ্যমে তৃণমুল পর্যায় থেকে একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
৩। বাসার বয়স্ক এবং শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন।আগামী কয়েকদিন সকল প্রকার যোগাযোগ, মিলনমেলা বন্ধ রাখুন।
৪। বাইরে থেকে এসে অনুগ্রহ করে ভালো করে (নুন্যতম ২০ সেকেন্ড) সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নিন।
৫। বাড়তি পন্য কিনে মজুদ করে অহেতুক বাজারকে অস্থিতিশীল করবেন না। কেউ বাড়তি পন্য কিনতে চাইলে তাঁকে সম্ভব হলে বুঝিয়ে বলুন।
৬। যদি আপনার এলাকায় কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারনা করেন বা জানেন অনুগ্রহ করে মানবিক ভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করুন। কাউকে ঘৃণা করে, অবরুদ্ধ করে এই সমস্যা মোকাবেলা করা যাবে না।
৭। সামান্য জ্বর কাশিতেই আতংকিত না হয়ে, একটু সময় নিয়ে পর্যবেক্ষন করুন, পরিচিত ডাক্তারদের সাথে কথা বলুন, পরামর্শ নিন।
৮। দেশের প্রত্যন্ত বা দুর্গম অঞ্চলে এই সময়ে বেড়াতে যাবেন না। কারন এই সব অঞ্চলে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ফলে কোন কারনে এই সব অঞ্চলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে যে পরিমান মানুষ মারা যাবে তা মোটামুটি গণহত্যার পর্যায় হিসেবে গণ্য হবে।
৯।আগামী দুই সাপ্তাহের জন্য সাধারন মানুষদের চলাচলের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হোক।
১০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাবলী অনুসরন করুন।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

জোবাইর বলেছেন: আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার ৬ থেকে ৮%—তথ্যটি বাস্তবে সঠিক নয়। কারণ এখানে আক্রান্ত রোগী বলতে বুঝাচ্ছে যাদেরকে সনাক্ত করেছে এবং যারা সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের সমষ্টিকে। এর বাইরেও অনেক লোক আছেন যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আবার অনেক আক্রান্ত লোক মৃদুভাবে অসুস্থ হওয়ার পর নিজে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে।

ভাইরাসের কারণে সব মৃত্যুর হিসাব জানা গেলেও ভাইরাসে আক্রান্ত সব রোগীর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা কোনো দেশেই সম্ভব হচ্ছে না! আক্রান্ত সব রোগীর মোট সংখ্যা জানা গেলে প্রকৃত মৃত্যুর হার আরো অনেক কম হবে। যে দেশ যত তাড়াতাড়ি ভাইরাসটির সংক্রমণ বন্ধ করতে পারবে সেদেশে মৃত্যুহার তত কম হবে। যেমন: এ পর্যন্ত জানা তথ্য অনুসারে চীনে মৃত্যুহার প্রায় ৪%, ইটালিতে প্রায় ৮% এবং দক্ষিন কোরিয়ায় মৃত্যুহার মাত্র ১%।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:০৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের লোকদের সাথে করোনা আক্রান্তদের মারামারি ধাক্কাধাক্কি অচিরেই শুরু হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সেই পর্যায়ে না যাক তাই আশা করি, এই সমস্যে সেবাকর্মী, নার্স, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ!

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪১

শের শায়রী বলেছেন: যেহেতু এটা মহামারী এবং মানুষ আক্রান্ত হবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অস্বাভাবিক হল যারা চিকিৎসা দেবে তারাই রোগীকে চিকিৎসা দিতে অনেকটা অনীহা (আতংক জনিত কারনে) যা বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় এসেছে। এর জন্য যে দোষ দেব তারও কিন্তু উপায় নেই, কারন যারা চিকিৎসা দেবে তাদের সুরক্ষা দেবার মত চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা। পেপারে দেখলাম হাসপাতালে সাধারন সর্দি জ্বর হলেও যদি কেউ যায় তাকে এডমিট করছে না। মানুষ যাবে কোথায়? প্যানিকটাকে কোথায় নিয়ে গেছে।

ওদিকে যেখানে সারা বিশ্ব এক রকম লক ডাউন সেখানে আমাদের দেশে ভোট হবে সিইসি বলছে, অথচ সরকার থেকেই বলছে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত যেন না হয়। এই যে বিপরীতমুখী অবস্থান মানুষের প্যানিকটাকে অবিশ্বাসে ঠেলে দিচ্ছে।

আতংকিত জনতার থেকে মারাত্মক আর কিছু নেই।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যেহেতু এটা মহামারী এবং মানুষ আক্রান্ত হবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অস্বাভাবিক হল যারা চিকিৎসা দেবে তারাই রোগীকে চিকিৎসা দিতে অনেকটা অনীহা (আতংক জনিত কারনে) যা বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় এসেছে। এর জন্য যে দোষ দেব তারও কিন্তু উপায় নেই, কারন যারা চিকিৎসা দেবে তাদের সুরক্ষা দেবার মত চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা। পেপারে দেখলাম হাসপাতালে সাধারন সর্দি জ্বর হলেও যদি কেউ যায় তাকে এডমিট করছে না। মানুষ যাবে কোথায়? প্যানিকটাকে কোথায় নিয়ে গেছে।

আতংকিত জনতার থেকে মারাত্মক আর কিছু নেই।
অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাইরাস (COVID-19) জীবানু্টির আচরন
মানুষের দেহ বাদে এই ভাইরাস প্রকৃতিতে বাচে না, অন্য পশু পাখিতেও ভর করতে পারে না।
কোন ব্যাক্তি করনাক্রান্ত হলে সে ৭-৮ দিনের ভেতর কোনমতে টিকে গেলে আর মৃত্যুর ভয় থাকে না, ১৫ দিনে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় (যদি না সে বেশি বয়েসি বা ভিন্ন কোন পুর্বরোগ না থাকে)

যেহেতু এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে, তাই এটাকে সম্পুর্ন নির্মুল করতে সারা পৃথিবীতে একই সময়ে ১৪ দিন ইটালির মত কার্ফিউ দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা দেয়া হলে ভাইরাসটি নির্মুল হয়ে যেত। এই ১৪ দিনে যাদের জ্বর-কাসি হবে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ও সেসব পরিবারকে আরো ১৪ দিন সেলফ বা ফোর্স কোয়ারেন্টাইন।
যদি সবাই সঠিক কঠিন ভাবে মেনে চলে, ২০-৩০ দিনে সারা পৃথিবী করনা মুক্ত করা সম্ভব।

ফেসবুকে ১৪ই মার্চ দেয়া আমার স্ট্যাটাস।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যেহেতু এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে, তাই এটাকে সম্পুর্ন নির্মুল করতে সারা পৃথিবীতে একই সময়ে ১৪ দিন ইটালির মত কার্ফিউ দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা দেয়া হলে ভাইরাসটি নির্মুল হয়ে যেত। এই ১৪ দিনে যাদের জ্বর-কাসি হবে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ও সেসব পরিবারকে আরো ১৪ দিন সেলফ বা ফোর্স কোয়ারেন্টাইন।

ভাল প্রস্তাব। অর্থনীতির ক্ষতি হবে ভেবে বহু দেশ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছে। ইরান ও ইটালি দুই দেশ কিছুটা দেরির খেসারত দিচ্ছে।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনাভাইরাস কভিড-১৯ টেস্টিং কিট তৈরির পদ্ধতি বের করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই টেস্ট কিট কাজ করবে কি করবে না তা নিয়ে কিছুটা মতভেদ তৈরি হয়েছে। বায়োলজিক্যাল রিসার্সের সাথে জড়িত কেউ কেউ বলছেন এর জন্য Reverse transcription polymerase chain reaction (rt PCR) দরকার। এই নিয়ে আমি ড এন্ড্রু রয়, ফ্যাকাল্টি এন্ড কোর রিসার্চার, মাস্ট্রিকট ইউনিভার্সিটি, নেদারল্যান্ডস-এর সাথে কথা বললাম মাত্রই।

যা বুঝলাম সেটা হচ্ছে-
করোনা বা এইধরনের টেস্ট দুটি পদ্ধতিতে করা যায়-
১। ফরেন প্রোটিন এন্টিবডি ডেভেলপ করেছে কিনা এটা এনজাইম পরীক্ষার টেস্ট কিট দিয়ে কিছুটা সহজে করা যায়।
২। তবে খুব নিশ্চিত হবার জন্য পিসিআর ভালো, যেখানে ডিএনএ রেপ্লিকেশন চেইন নিয়ে নিখুঁত ধারনা পাওয়া যাবে।
তাই enzyme-based (ELISA ) স্থানীয় কিট উদ্ভাবনকে নিরুৎসাহিত করা উচিৎ নয় এই মুহুর্তে। তবে ফরেন প্রোটিন এন্টিবডি ডায়াগনোসিস করা গেলেও সেটি স্পেসিফিক নয়। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও এটা পজিটিভ রেজাল্ট দিবে। মানে ফলস করোনা পজিটিভ। প্রথম কয়েকটা টেস্টে একটা কনফিউশন তৈরি হবার একটা চান্স আছে এই পদ্ধতিতে। তবে যেহেতু ডেঙ্গু করোনা ইত্যাদির সংক্রমণে এন্টিবডি/এঞ্জাইম ভিন্ন হয়, বেশ কয়েকটি টেস্ট কেইস পাইলটের পরে রেজাল্টে একুরেসি আসবে, যখন সঠিক এন্টিবডি জানা যাবে।

গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবন করেছেন, এটা ভালো, তবে এটাকে দ্রুত টেস্ট ট্রায়াল, পাইলট ও প্রডাকশনে নিতে হবে। নচেৎ শুধু উদ্ভাবনে লাভ নেই। সবচেয়ে ভালো হয়, কয়েকটা ট্রায়াল করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিবার ব্যবস্থা করা, তাহলে যাবতীয় সংশয় কেটে যাবে। ট্রায়াল ছাড়া এই কিট বাজারজাত করা অসম্ভব।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আঠারো কোটি মানুষের দেশে একটা মাত্র পিসিয়ার টেস্ট ল্যাব থাকবে, আই ই ডি সি আরে, সেটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, উনারা ইচ্ছা করলে স্যাম্পল নিবেন ইচ্ছা করলেই এফোর কাগজে প্রিন্ট করে টেস্টিং বন্ধ করে দিয়ে বলবেন অনলাইনে যোগাযোগ করুন- এইসব হাস্যকর এবং লজ্জাকর দায়িত্বহীনতা।

বর্তমানে করোনার টেস্ট সক্ষমতা বর্তমানে শুধু আইইডিসিআর এই সীমাবদ্ধ, দেশে একটি মাত্র ল্যাব। ১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারের হাতে মাত্র ১৭৩২টি কিট। এটা অগ্রহণযোগ্য, দেশের সব যায়গা কিংবা সব শহর বা রাজধানীর সব এলাকার কোটি মানুষের বিপরীতে আইইডিসিআর এর নামমাত্র সক্ষমতা মেনে নেয়া যায় না। জরুরি ভিত্তিতে টেস্ট কিট সংগ্রহ বা উৎপাদন করুন, সফস্টিকেটেড বায়ো মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সহ ল্যাব ও টেস্ট কিটের সাপ্লাই নিশ্চিত করুন। দেশের সব বিভাগীয় সদরে অন্তত একটি ল্যাব সক্ষমতা তৈরি করুন। চায়নার সহায়তা নিন, দরকার হলে কূটনৈতিক চ্যানেল কাজে লাগান।

সব বড় বড় সরকারি (এমনকি বেসরকারিও) হাসপাতাল করোনা সহ ডেঙ্গুর টেস্টকিট, প্রটেকটিভ মেডিক্যাল সপ্লাই সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে, অতি দ্রুত। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শাখা বাড়ান প্রতি বিভাগে! উন্নয়ন প্রকল্প আর ব্যাংক লুটের ধান্ধা বাদ দিয়ে জনকল্যাণে কিছু খরচ করেন।

আবার বলা হচ্ছে, পিসিয়ার খুব দামি। এই দেশে পুকুর কাটা, বালিশ তোলা, ভবনের মাটি কাটা, বিদেশ ভ্রমনের কাজে কোটি কোটি লোপাট হচ্ছে। সর্বেসর্বা লুট থামিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেল কাজে লাগিয়ে অবশ্যই সাশ্রয়ী দামে একাধিক সফস্টিকেটেড বায়োমেডিক্যাল ল্যাব করা সম্ভব।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৭

সোহানী বলেছেন: যেভাবেই হোক সরকারকে পরিকল্পনা নিতেই হবে। দরকার হলে অন্য কিছু থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এ খাতে দ্রুত বরাদ্দ দিতে হবে। সৎ ও দক্ষ জনবলকে কাজের দায়িত্ব দিতে হবে, চোর বাটপারকে নয় কিছুতেই। তাহলে স্যালাইনের পরিবর্তে পানি দিয়ে সাপ্লাই দিবে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দরকার হলে অন্য কিছু থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এ খাতে দ্রুত বরাদ্দ দিতে হবে। সৎ ও দক্ষ জনবলকে কাজের দায়িত্ব দিতে হবে, চোর বাটপারকে নয় কিছুতেই।

সহমত!

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,




সুলিখিত পোস্ট।
পোস্টের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সবটুকুই যথেষ্ট ওজনদার লেখা। কোনটা রেখে কোনটার কথা বলি!!!!!!
একটা কথাই শুধু বলতে পারি - চাই সবার সদিচ্ছা।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চাই সবার সদিচ্ছা।

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


দোয়া করি এই মহামারীর হাত থেকে আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন ।
সুন্দর ও স্ব্যাস্থ সন্মত জীবন ধারনের জন্য আল্লাহ যে সমস্ত বিধি বিধান দিয়েছেন তার মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আকিদার সাথে
আধুনিক বিজ্ঞান সন্মত সমস্ত ধরনের পরিস্কার পরিছন্নতার স্বাস্থ‌্য সম্পর্কিত বিষয়াবলী প্রতিপালন করতে হবে । এ দায়িত্ব সকলের । তবে দায়িত্ব পালনের ভুমিকায় থাকা সরকারকেই বেশী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে । এই দৃর্যোগময় মহুর্তে
নীজ গৃহে সেল্ফ আইসোলেশন খুবই সহায়ক কর্মসুচী । আজকেই খবরে দেখলাম ইউরোপের করোনা আক্রান্ত একটি দেশ
ইউ কে তে প্রতিটি শহড়ে ও কমিউনিটিতে Corona support network চালু করা হয়েছে । সাপোর্ট ওয়ার্কারগন বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে সকলকে একটি ছোট লিফলেট বিলি করছে । তাতে লেখা আছে
If you are self-isolated I would like to offer my help
My name is..............
I live at ..................
My phone number is ..............

If you have self-isolated due to COVID-19, I can help with
1.Collecting/delivering groceries
2.Picking up posts
3.A phone call to cheer you up
4. Urgent supplies or medicine
5.Pet care/dog walking/Vet visits

Call or text me .I'll do my best to help you- for free.

পরিশেষে leaflet এ বলা হয়েছে
We must work together to help each other to reach out to those who are most vulnerable in our community ,and to network and to coordinate our responses to provide the society we deserve .
Spread only kindness - wash hands frequently , stay six feet from other people, leaves items on
doorsteps. Be kind .

কর্মসুচীটি বেশ সুফল দায়ক । আমাদের দেশের সরকার ও সংস্লিস্ট সকলে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন ।
তবে একটি বিষয় খুব খারাপ লাগছে, সেটি হল আমাদের দেশের সরকারী দায়িত্ব প্রাপ্তগন সদয় হওয়ার চেয়ে যথাযথভাবে সকলের নিকট সচেতনতা সৃজন না করে এবং উপরে উল্লেখিত বিষয়াবলীর মত কমি্‌উনিটি পর্যায়ে সাপোর্ট নেট ওয়ার্ক সৃজন না করে বরং অনেককে নীজ গৃহে সেল্ফ আইসোলেটেট না থাকার জন্য অর্থদন্ড করছে। যাহোক সকলের সচেতনতার প্রয়োজন আছে । শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই এর সাথে সুর মিলিয়ে বলাই সঙ্গত যে - চাই সবার সদিচ্ছা

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চায়না কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ডিটেকশান এন্ড ডেলিভারির সব কাজ করেছে। যেটা বাংলাদেশ করতে পারবে না। তাই টোটাল লক ডাউনে গেলে আমাদেরকে ইউকে'র মত করে সব ব্যবস্থাপনা করতে হবে, খুব কঠিন কাজ। সরকারের স্বদিচ্ছা দরকার, নাগরিকের সহযোগীতাও খুব গুরুওপূর্ণ, এখনও পর্যন্ত দুটিতেই ত্রুটি দেখা যাচ্ছে।
চাই সবার সদিচ্ছা ।

১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: ঢামেকের চার চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে, এপোলোর চার চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে, আনডায়াগনোজড কেসের সংখ্যা বেশী, সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য প্রটেকটিভ পারসোনাল ইকুইপমেন্ট অপ্রতুল। হেক্সিসল হাতে দিয়ে আর গেঞ্জি কাপড়ের মাস্ক পড়ে সন্দেহজনক করোনা রোগী দেখা উচিত নয়। ডাক্তাররা দেখবেনও না। কারন এতে ঐ ডাক্তার ভাইরাসের ক্যারিয়ার হয়ে অন্য দশজনের কাছে ছড়াবেন রোগটা। নীতি নির্ধারকদের পরিকল্পনার অভাব। এর দায় কোনভাবেই ডাক্তারদের উপর চাপে না, চাপে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রশাসনিক লোকদের উপর।

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল এবং প্রয়োজন পোস্ট | ভাইরাসকে কোরানটাইনের মাধ্যমে নির্মূল করার চেষ্টা করা হচ্ছে না, বরং এর সংক্রমণকে শ্লথ করে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্যাপাসিটির মধ্যে রাখাটাকেই অধিকাংশ উন্নত দেশ প্রাধিকার দিচ্ছে | এই ভাইরাস ৩০% - ৭০% জনগণের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, কিন্তু সংক্রমণ ধীরগতিতে হলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো রোগীকে সহায়তা প্রদান করতে পারবে | সুতরাং এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতিকে শ্লথ করাই হচ্ছে সবচাইতে কার্যকরী পন্থা |

বাংলাদেশে যে তথ্যপ্রদান করা হয় তার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু তা সাধারণ জনগণ ভালোই বুঝেন | সবাই ধরে বসে আছেন যে শুধু ইতালি থেকেই এই ভাইরাস বাংলাদেশে এসেছে | কিন্তু এর বাড়িয়ে চ্যানেল দিয়েও যে ভাইরাস ঢুকেছে এবং ঢুকছে এবং বাঙালিদের জনসমাগমপ্রিয়তার কারণে তার অবাধ সংক্রমণ ঘটছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই | সুতরাং প্রকৃত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পরিসংখ্যানের চাইতেও অনেক অনেক গুন্ বেশি হবে বলে আমার বিশ্বাস |

২০| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: উপরের মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারায় সংশোধন হবে:
কিন্তু এর বাইরের চ্যানেল দিয়েও যে ভাইরাস ঢুকেছে এবং ঢুকছে .....

২১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২২

একাল-সেকাল বলেছেন:
গুজব আর আজাব যাই বলুন, করোনা কথনে ব্যারিস্টার সুমন we are dancing on blade. এটা মানতেই হবে!

২২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: করোনাভাইরাসের উপর চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট ।

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

মাঝে-মাঝে আপনার বড় ব্লগ পোষ্ট লেখার ধৈয্য দেখে হিংসা হয়। এত বড় তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট গুছিয়ে লেখন কিভাবে? আমি তো ধৈয্য হারিয়ে ফেলো। অসাধারন পোষ্ট।

আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে

কোন প্রকার সর্দি, কাশি, কিংবা শ্বাস কষ্টের উপসর্গ ছাড়াও শত-শত মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন জাপান, জার্মানি ও আমেরিকার বৈজ্ঞানিকরা।

আমি সংক্ষেপে কিছু গবেষনার কথা উল্লেখ করেছি।

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৯

জুন বলেছেন: আমাদের ড্রাইভার ফোনে জানালো তাদের এলাকায় এক প্রবাসী মারা গেছে। সন্দেহ করছে করোনায় মৃত্যু। এলাকার বুড়ো জোয়ান আন্ডা বাচ্চা সব দৌড়াচ্ছে তাকে দেখার জন্য। কি অবস্থা আমাদের, কতটুকু সচেতনতা আমাদের মাঝে আছে তাই ভাবছি।
বসুন্ধরা শপিং মলে আগুন লাগলো, কৌতুহলী জনতার ভীড়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঢোকা দায় হয়ে পরলো।
আচ্ছা এত কৌতূহল কেন আমাদের!! আমাদেরতো তাহলে অনেক কিছু আবিষ্কার করার কথা।

২৫| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: করোনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।

২৬| ২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

mohiuddin868374325 বলেছেন: কোরোনা থেকে সাভধা।
http://aqbusinesslink.blogspot.com/?m=1

২৭| ২১ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: সরকারের পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি মোটেও সন্তোষজনক নয়।

অবিলম্বে চীনের সহায়তায় করোনা মোকাবিলার সব প্রস্তুতি নিয়ো দরকার। আমাদের হাতে আর সময় নেই্।

২৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৭

সিগনেচার নসিব বলেছেন: এই দেশে ২ নম্বর জিনিস যত সুন্দর সিস্টেমে হয় আসল জিনিস যদি এমন গুছানো, সিস্টেমমত হত তাহলে আজকে অন্য রকম একটা অবস্থা বিরাজ করতো চারেদিক। আমরা ভাই সচেতন হওয়ার আগেই ডিজিটাল হয়ে গেছি। সৃষ্টিকর্তা সকলকে হেফাজত করুন।

২৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৫

নায়লা যোহরা বলেছেন: করোনা করোনা করে অনেকেরই অবস্থা খারাপ। আতঙ্কিত না হয়ে ঘরে কিছুদিন অবস্থান নিলেই হয়। আল্লাহ্‌ সহায়।

৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: ঘরে থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

৩১| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১২

কূকরা বলেছেন:

৩২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

আমি সম্মানের পাত্র নই বলেছেন: সরকার গৃহীত সিদ্বান্তগুলো মেনে চলাই করোনা মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে।ব‌্যক্তিগতভাবে ১৪-১৫ দিন স্বেচ্ছায় গৃহবন্ধি জীবন কাটালে অন্ত।ত নিজের পরিবারটাকে মুক্ত রাখা যাবে।আসুন নিজে ঘরে থাকি অন‌্যকেও ঘরে থাকতে উৎসাহিত করি।

৩৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩৬

আমিনভাই বলেছেন: প্রতি ঘরে একটা করে PPE দেওয়া হোক। যেন অতন্ত আক্রান্ত আত্ত্বীয়কে ধরে হাসপাতালে নিতে পারে। এবং ইউনিয়ন পরজায় সেবা প্রদান বেবস্থা করা হোক। যেন কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।

৩৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১০

সুপারডুপার বলেছেন: ব্লগেও কী আজ করোনা ভাইরাসরা জোট বেঁধে এট্যাক করছে ! ব্লগ মডুরা প্লিজ সতর্ক হন!

৩৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪১

Md. Monjur বলেছেন: বন্ধু, আপনার করনো ভাইরাস সম্পর্কে পোষ্টটি পড়ে ভাল লাগলো। খুব সুন্দর লেখেছেন। ধন্যবাদ। আরো জানতে ঘুরে আসতে পারেন - Click This Link

৩৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
করোনার A to Z
তথ্যব্হুল পোস্ট!
লেখককে ধন্যবাদ।
তবে আমরা এ নিয়ে কতটুকু দ্বায়িত্বশীল আচরণ করছি
তা গবেষণার বিষয়! তার পরেও নিরাশ নই আমরা।
এই ঘোর বিপদে আমরা নিজ নিজ পরিধিতে থেকে
দ্বায়িত্বশীল আচরণ করি এবং নিরাপদ রাখি আপনজন ও
প্রতিবেশীকে সেই প্রত্যাশায়। শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.