নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
১।
মির্জা আব্বাসের কল্যাণে নুরুল ইসলাম বাবুল ভূমিদস্যু পরিচয় পেয়েছেন সত্য, তবে বসুন্ধরার মালিক আহমেদ আকবর সোবাহান সহ বড় বড় ভূমিদস্যু বাংলাদেশে রাজার হালতেই আছে। শীর্ষ বেসরকারি ভুমিদস্যু বসুন্ধরা, ইস্টার্ণ, স্বদেশ, মধুমতি, যমুনা, আমিন মোহাম্মদ ইত্যাদির মত খোদ বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশও এদেশের মানুষের জমি হাতানো এবং নদী অববাহিকার নির্বিচার ভরাটের সাথে যুক্ত! একই অভিযোগ রাজউকের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ আছে বুয়েটকে দিয়ে বলানো হয়েছে যে, "বালু নদী" নদী নয় তাই তার অববাহিকা নাই, বালু খালের নিকটস্থ অঞ্চল ভরাট করা যাবে। বালু নদীর অববাহিকায় ‘ডিফেন্স অফিসার্স্ হাউজিং সোসাইটি’ বা সংক্ষেপে ‘ডিওএইচএস‘ এর মত করে গড়ে উঠছে ‘পুলিশ অফিসার্স্ হাউজিং সোসাইটি’ বা সংক্ষেপে ‘পিওএইচএস’।তুরাগ তীরেও এমনটাই হয়েছে।
ফলে নদী ও জলাভূমি রক্ষা এবং ড্যাপ বাস্তবায়নে বাঁধা নুরুল ইসলাম বাবুল একা নন, এখানে আসছে শীর্ষ ভূমিদস্যু বসুন্ধরার সোবাহান সহ বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজউকও। বাবুল এই লাইনের একজন মাঝারি বা বড় খেলোয়াড় শুধু। আসলে মূল সমস্যা বাংলাদেশের আরবানাইজেশান মডেল। এখানে প্লট জমি বিক্রি করে কালো টাকা তৈরির উৎসাহ যেমন আছে, তেমনি লটারিতে প্লট বরাদ্দ করে 'বাড়ীওয়ালা' নামক উচ্চবিত্ত তৈরি আর ভুমীহীন তৈরির বৈষম্যপূর্ণ সিস্টেমও জারি আছে। পাশাপাশি ভূমিকে আবাসন, শিল্প, কৃষি ও সংরক্ষিত জলাশয় হিসবে রেজিস্টার্ড করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে শহরের, নগরায়নের কোন সীমা নেই, নেই সংকুচিত হতে থাকা কৃষি ভূমি ও জলাশয় রক্ষার স্থায়ী পরিকল্পনা।
নিউ সিটি ডেভেলপমেন্ট এর টেকসই অলটারনেটিভ হিসেবে প্লট-জমি কিংবা লটারি-প্লটের পরিবর্তে সমবায় ভিত্তিক ভার্টিক্যাল ইনফাস্ট্রাকচার (সিঙ্গাপুর কিংবা চাইনিজ মডেলও আছে বিকল্প হিসেবে) এবং পরিবেশ বান্ধব আধুনিক নির্মাণ শৈলীর বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা আগেও লিখেছি। রাজউক সিটি ডেভেলপমেন্টের নামে নিজেই ধনী ও কালো টাকার মালিক তৈরির শুরু করেছে বলেই বেসরকারি ভুমিদস্যরাও উৎসাহ পেয়েছে।
যেখানে নগরে ৫-৭% এর বেশি খালি নাই, আবাসন সমস্যা অতি প্রকট, মধ্যবিত্ত বাসা বাড়ির ভাড়ার চাপে পিষ্ট, সেখানে রাজউক স্কুল বাজার হাস্পাতাল সহ সকল নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন অতি উচ্চ বহুতল কাঠামোর দিকে নজর না দিয়ে 'উত্তরা' সহ একের পর এক জলাভূমি ভরাট প্রকল্পেই উৎসাহ দিয়ে গেছে। এই প্রক্রিয়া ফলো করেছে বেসরকারি ভূমিদস্যুরা। এতেই ভরাট হয়েছে ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের খাল, বিল, নালা ও ফসলী জমি। ভূমি হারিয়েছেন বহু কৃষক, জেলে, সাবেক পাটকল শ্রমিক। বাবুল গত হয়েছেন। সোবাহানরা বেঁচে আছেন, আছেন আমাদের 'সর্ব কাজে পারদর্শী' বাহিনী গুলো এবং প্রশাসন। কিন্তু রাজউকের আর্বানাইজেশান মডেল, প্রশাসন ও অর্থনীতি বিকেন্দ্রীকরণ না হলে, কৃষি ভুমি ও জলাশায় শনাক্ত ও সংরক্ষণ না হলে- ভূমিদস্যুতার চক্র চলতেই থাকবে, বাবুলের বদলে অন্যদের হাত ধরে।
২।
ভূমিদস্যু, বদমেজাজি বাবুল বহু কারনে বিতর্কিত হলেও তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা, ৪৬ বছরে ৪১ প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। লক্ষ লক্ষ আন স্কিল্ড, সেমি স্কিল্ড ও স্কিল্ড শ্রমিকের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। শুনা যাচ্ছে, আবদুল মোনেম, লতিফুর রহমানের মত উনিও ঋণ খেলাপি নন।
৯০ এর পরে মুক্তবাজার অর্থনীতির সুবিধা নিতে রাজউকের দেখানো 'সিটি ডেভেলপমেন্টের' পথে নেমে আন্ডারওয়ার্ড সন্ত্রাসী নেটোয়ার্ক গড়ে তুলে বাবুল'রা পূঁজি সংগ্রহের জন্য ভূমিদস্যুতায় জড়িয়েছে। অথচ একটা স্বচ্ছ ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশে পূঁজি সংগ্রহে ভূমিদস্যুতার প্রয়োজন ছিল না যদি সরকার তার আবাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা, শিল্প ও কর্মসংস্থান পরিকল্পনা সমন্বিত ভাবে এগিয়ে নিত।
৩।
আব্দুল মোনেম, লতিফুর রহমান এবং নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পরে দেশের অপরাপর শিল্পপতিদের মধ্যে একটা অজানা মৃত্যুভীতির আশঙ্কা তৈরি হবে বলে মনে করছি। এতে শিল্প গ্রুপ গুলোর কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, ইতিমধ্যেই করোনার কারনে শিল্প ও কর্মসংস্থান ভুগছে। এমতাবস্থায় সরকারকে শিল্প ও কর্মসংস্থান রক্ষায়, নমনীয় কর ও শুল্ক নীতির দিক থেকে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দিক থেকে আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে। (রাতের ভোটে নির্বাচিত অবৈধ, জবাবদিহিতাহীন ও সর্বেসর্বা লুটেরা সরকার এটা কিভাবে করবে এটাই বড় প্রশ্ন)। নতুবা ঝুঁকিপূর্ণ টালমাটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সময়ে শিল্প গ্রুপ গুলো কর্মী ছাটাই করে পাচার ও বৈধ সম্পত্তি হস্তান্তরে লিপ্ত হতে পারে।
এর আগে প্রাণ ও আকিজ গ্রুপের মূল মালিকের স্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রুপ গুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণে সমস্যা হয়নি। মৃত্যু গুলো স্বাভাবিক ছিল। মৃত্যু গুলো স্বাভাবিক ছিল বলে ডিসিশান, স্কিল, এসেট এন্ড স্ট্রাটেজি মাইগ্রেশান ফেইজ ছিল সেখানে, যেটা বর্তমানে নাই। সেরা ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা শীর্ষ শিল্পপতিদের হঠাত মৃত্যুতে নলেজ, স্ট্রাটেজি, পিপল ম্যানেজমেন্ট ও এসেট ট্রান্সফারের দিক থেকে কৌশলগত ক্ষতির বড় বড় কিছু বিষয় থাকে। একটা বিষয় অতি গুরুত্বপূর্ণ যে, শিল্পপতিদের বাঁচিয়ে রাখা না গেলেও তাদের তৈরি করা কর্মসংস্থান বাঁচাতে হবে। পুরানো প্রতিষ্ঠিত গ্রুপগুলির মধ্যে অনেকগুলো যদি একসাথে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে তবে তাদের ব্যবসায় সংকোচনা আসার সাথে সাথে শ্রমবাজারে হঠাত অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এটা আশা করা যায়না যে, সব গ্রুপের উত্তরাধিকারীরাই ব্যবসা পরিচালনার পরিপক্কতা অর্জন করে ফেলেছে।
বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই এই গুরুত্বটা বুঝেনি। এতগুলো বিজনেস টাইকুনের পর পর (স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক) মারা যাবার সংবাদ এই অর্থও বহন করে যে, অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার চেষ্টা তেমন ছিল না, যতটা ছিল রাজনীতির ভিয়াইপি ও লুটেরাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পালাতে দিবার চেষ্টা। শুরু থেকেই ছিল না করোনা প্রতিরোধের সমন্বিত টাক্সফোর্স। ফলে নেতা, সচিব, মন্ত্রী, শিল্পপতি সবাই এখন গণহারে মারা যাচ্ছেন।
যথাযথ তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে সন্ত্রাসী ব্যবসায়ী ও অসত উদ্যোক্তাদের আমরা নিয়মিত যৌক্তিক সমালোচনা করি। (চোরের দল কিভাবে চুরি করে এই আলোচনা অবশ্যই চলবে)। কিন্তু সব সমালচনার পরেও বলি মূল কর্মসংস্থান তৈরির কারিগরদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে হবে যথাসময়ে। ভুলে গেলে চলবে না, সরকার শ্রমবাজারের মাত্র ৩%কে নিয়োগ দেয় যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিন্ম। বাকি ৯৭% এর যারা চাকরি পান তাঁদের নিয়োগ আসে বেসরকারি খাত কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে। তাই আজকে একটা বড় প্রশ্নের উত্তর তৈরি করতে হবে সরকারকে, করোনার উদ্ভূত ভয়াবহ বেকারত্বের সমস্যা সে কিভাবে সমাধান করবে? আগের বেকারের সাথে কাজ হারানো নতুন বেকারের মিছিল থামাবে কে?
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই উপ্লভদ্ধি আসুক যেন, সে তার সৎ কর্মের মাধ্যমে, মানব সেবার মাধ্যমে মৃত্যুর পরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০২
নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: দেশের ৮০% কর্মসংস্থান এই প্রাইভেট সেক্টরের অবদান। যা স্বীকার করতেই হবে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রাইভেট সেক্টর বর্তমানে দেশের অর্থনীতির ড্রাইভার।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: দেশের ৮০% কর্মসংস্থান এই প্রাইভেট সেক্টরের অবদান। যা স্বীকার করতেই হবে।
ঠিক বলেছেন।
প্রাইভেট সেক্টরে কর্মসংস্থান কমে আসলে দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রাইভেট সেক্টরে কর্মসংস্থান কমে আসলে দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তাই সাধু সাবধান।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: বসুন্ধরা অনেক ধনী। তাদের প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার লোক কাজ করছে।
যারা দূর্নীতি করে তারা অনেক ভালো কাজও করে। দূর্নীতির টাকা দিয়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেন তাতে অনেক লোক কাজ পায়। দেশে বেকারত্ব কমে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রতিটি ব্যবসায়ী গ্রুপের মালিকদের মধ্যে এই উপ্লভদ্ধি আসুক যেন, সে তারা সৎ ব্যবসার মাধ্যমে, ভালো সেবার মাধ্যমে মৃত্যুর পরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই আপনি যথার্থ বলেছেন। পুরানো প্রতিষ্ঠিত গ্রুপগুলির মধ্যে কয়েকটি যদি অভিভাবক শুন্য হয়ে পরে তবে এদের ব্যবসায় ধ্বস নামতে পারে। কারণ এদের উত্তরাধিকারীরা এখনও ব্যবসা ছালানর মত পরিপক্কতা অর্জন করেনি। গত দশ বছরে বড় গ্রুপ গুলির ব্যবসার তেমন কাঙ্ক্ষিত প্রসার ঘটেনি। পরিণামে দেশের অর্থনীতি ও চাকরীর বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শম্ভবনা আছে। এদের অনেকে বৈধ ভাবেও অনেক কিছু করতে পারত। কিন্তু লোভে পরে অনেক কিছু করেছে। যমুনা গ্রুপ ব্যাংক ঋণের প্রতি তেমন আগ্রহী না।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পুরানো প্রতিষ্ঠিত গ্রুপগুলির মধ্যে অনেকগুলো যদি একসাথে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে তবে তাদের ব্যবসায় সংকোচনা আসার সাথে সাথে শ্রমবাজারে হঠাত অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এটা আশা করা যায়না যে, সব গ্রুপের উত্তরাধিকারীরাই ব্যবসা পরিচালনার পরিপক্কতা অর্জন করে ফেলেছে
খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা!
মৃত্যু গুলো স্বাভাবিক হলে ডিসিশান, স্কিল, এসেট এন্ড স্ট্রাটেজি মাইগ্রেশান ফেইজ থাকে। যেটা বর্তমানে নাই, করোনা হলে পরে অসম্ভবও বটে। সেরা ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা শীর্ষ শিল্পপতিদের হঠাত মৃত্যুতে নলেজ, স্ট্রাটেজি, পিপল ম্যানেজমেন্ট ও এসেট ট্রান্সফারের দিক থেকে কৌশলগত ক্ষতির বড় বড় কিছু বিষয় থাকে, এতে ডিসিশান, স্কিল, এসেট এন্ড স্ট্রাটেজি মাইগ্রেশান ফেইজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: আভ্যন্তরীন শ্রমবাজারে যে সংকট তৈরী হয়েছে, তার প্রমান হচ্ছে গনহারে মানুষের রাজধানী ছেড়ে গ্রামে প্রত্যাবর্তন। কেন এভাবে মানুষগুলো শহর ছাড়ছে তা নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আভ্যন্তরীন শ্রমবাজারে যে সংকট তৈরী হয়েছে, তার প্রমান হচ্ছে গনহারে মানুষের রাজধানী ছেড়ে গ্রামে প্রত্যাবর্তন।
এই যে মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন, এটাকে আমি যদি সামারাইজ করি সেটা হবে-
-মধ্যবিত্ত থেকে নিন্মবিত্তে নেমে যাবার সিম্পটম,
- শিশু ও সন্তানদের দের জন্য উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নের মৃত্যু
- ফিউচার ইনকামের পথ রুদ্ধ হয়ে বা ফিউচার ইনকামের ইনভেস্টমেন্ট সংকুচিত হয়ে দারিদ্র্য সীমার নিচে যাবার যাত্রা।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের দেশের চিত্রটাই খারাপ। এমন কোন অংশ নাই যেটার চিত্র-চরিত্র ভালো আছে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আফসোস!
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
এইচ তালুকদার বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার।প্রাঞ্জল বিশ্লেষন পড়লাম অসংখ্য ধন্যবাদ।আমার মনে হয় যখন একটা প্রতিষ্ঠান(এক্ষেত্রে যমুনা গ্রুপ)যখন দাঁড়িয়ে যায় সেটা একটা সিস্টেম বা মডেল মেনেই হয়।এই সিস্টেম বা মডেলই প্রতিষ্ঠান কে চালিয়ে নেয় বা নেবে।বাবুল সাহেব বা শীর্ষ ইন্ডস্ট্রিয়ালিস্ট দের মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন ক্ষতি হ্যয়েছে বলে মনে হয় না
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: শীর্ষ ইন্ডস্ট্রিয়ালিস্ট দের মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন ক্ষতি হ্যয়েছে বলে মনে হয় না- সেটাই হোক। কর্মসংস্থান বেঁচে থাকুক!
যে শিল্প গ্রুপ যত বেশি ইন্সটিটিউশনাল ভ্যালু ড্রিভেন হবে, সিস্টেম্যাটিক হবে, স্টান্ডার্ডস কমপ্লায়েন্ট হবে- ব্যক্তির মৃত্যুতে তার তত কম ক্ষতি হবে। এই সত্যতা বাংলাদেশের অনেক শিল্প গ্রুপ উপ্লভদ্ধি করেনি। বহু গ্রুপ মাফিয়া স্টাইলে কোম্পানি চালায়। সাক্ষাৎ উদাহরণ সিকদার গ্রুপ।
৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
অর্ণব তনয় বলেছেন: মালিকের মৃত্যুর পর যদি কোম্পানি ধসে পরে তাহলে বুঝতে হবে ঐখানে একনায়কতন্ত্র চলছিল ।
বেকারের সংখ্যা বাড়ছে নব্য ধনীর সংখ্যাও বাড়ছে ।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মালিকের মৃত্যুর পর যদি কোম্পানি ধসে পরে তাহলে বুঝতে হবে ঐখানে একনায়কতন্ত্র চলছিল ।
বেকারের সংখ্যা বাড়ছে নব্য ধনীর সংখ্যাও বাড়ছে ।
সঠিক বলেছেন।
তবে কোম্পানি গুলো ধ্বসে পড়ে শ্রমবাজারে অস্থিরতা ও ব্যাপক বেকারত্ব তৈরি হোক সেটা চাই না।
১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল এবং সময়োপযোগী পোস্ট । খেয়াল করে পড়লাম , ভাল লাগলো সবার বস্ত্র ছিনতাই করেছেন দেখে । করোনা কালে কে যাবে বা আমাদের ভাগ্যে কি আছে জানিনা । এরা চলে গেছে দেখেই সব বন্ধ হয়ে যাবে তা মানতে রাজি নই । আকিজ সাহেবের ছেলেরা লন্ডনে উচ্চ শিক্ষিত । আকিজ সাহেব তাদের ব্যাবসায়িক কায়দা শিখিয়েছেন , তারা নিরাপদ । অন্য সবার উত্তরসুরি কোন না কোনভাবে তৈরি আছে , ধারনা করি । মহামারীতে অনেকেই বিদ্ধ হব । রাষ্ট্র ব্যাবস্থা এখন বিজ্ঞজনদের নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করে আসন্ন সিডর থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় তার উপায় ভেবে দেখবেন । রাষ্ট্র সবার , দায়িত্ব রাষ্ট্রের ।
ধন্যবাদ নিরুদ্দেশ পথিক , আরও গঠনমুলক লেখার প্রত্যাশায় ।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মহামারীতে অনেকেই বিদ্ধ হব । রাষ্ট্র ব্যাবস্থা এখন বিজ্ঞজনদের নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করে আসন্ন সিডর থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় তার উপায় ভেবে দেখবেন । রাষ্ট্র সবার , দায়িত্ব রাষ্ট্রের ।
খুব সুন্দর করে বলেছেন।
১১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন দিয়ে পড়লাম।
ভাল লাগলো ।
১২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,
বিতর্কিত কারো অন্তিম প্রয়ানের সূত্র ধরে দেশের শিল্পধারাকে অব্যাহত রাখার চমৎকার বিশ্লেষণ, ভাবা যায়না।
পাশাপাশি এইচ তালুকদার এর মন্তব্যও বাস্তবিক। শিল্পতিদের স্বাভাবিক কিম্বা অস্বাভাবিক, যে ভাবেই মৃত্যু হোকনা কেন, তাদের প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবস্থাপনায় চৌকস ও পরিকল্পিত হয় তকে তা চলতে থাকারই কথা স্বাভাবিক ভাবেই। আর যদি ব্যবস্থাপনার কোনও স্তরে কোন্দল থাকে তবে তা মুখ থুবড়ে পড়বেই।
এসব ক্ষেত্রে সরকারের হাত লাগানোর কোনও সুযোগ আছে কি? আমি ঠিক জানিনে, সরকার ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এসব ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তারা যত লোকের কর্মসংস্হান করেছেন তার থেকে বেশি লোককে গৃহহারা করেছেন।
১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধনীদের ব্যাপারে আমিও দুঃখ পাই, এদের ব্রেন নিয়ে গবেষনা করা দরকার। ৪৬ বছরে ৪১টা কো করা এবং সব গুলোই সেরা, এমন শজ কাজ নয়। এদের থেকে আরো হাজার খানেক কোটিপতি হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নুরুল বাবুল মরে গিয়েছেন । উনি এখন সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে সব কিছুর উদ্ধে বাস করছেন।