নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
জাহাজ থেকে জাহাজে কন্টেইনার স্থানান্তর, পণ্য খালাস হবে না বলে কাস্টমস ছাড়াই বন্দর ব্যবহারের পরে ফ্রি বাংলাদেশী সড়ক ব্যবহারের পর ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে পৌঁছানোর যে আয়োজন সেটা প্রায় করিডোরই, শুধু পার্থক্য হচ্ছে ট্রাক বা ট্রেন বাংলাদেশী হবে। তবে ভারত সেখানেও বসে থাকেনি- ট্রাক ও মালবাহী ট্রেনও নিজস্ব করার চাপ দিয়েছিল। কাস্টমস চেক ও অডিট নিরীক্ষাহীন ফ্রি পণ্য পারাপারের আয়োজন প্রায় করিডোরই, কেননা এই নিশ্চয়তা নেই যে কনটেইনার গুলো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্যারিয়ারেই পারপার করা হবে!
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভারতের চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবহারের চুক্তির প্রেক্ষিতে বলার জন্য আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নৃশংসভাবে হত্যা করে। আবরারের লাশের উপর আজ ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্ট চালু হয়ে গেল, বড়ই বৈষম্যপূর্ণভাবে। ৩৪ বছরের পুরানো ১৯৮৬ সালের নৌ প্রটোকলে নির্ধারিত হারেই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার চার্জ ঠিক হল, যেখানে দেশীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বন্দর ব্যবহারের চার্জ চারগুণ করার আলোচনা চলছে (লিংকে)। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ প্রতি টন পণ্যের জন্য ১০ টাকা হারে ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি আদায়ের প্রস্তাব করেছিল, তবে খরচ অনেক বেড়ে যাবে বলে ওই প্রস্তাবে আপত্তি জানায় ভারত। এর পরিবর্তে প্রতি চালানে মাত্র ৩০ টাকা ডকুমেন্ট প্রসেসিং চার্জ নির্ধারণ করা হয়।
সুত্রমতে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারের জন্য এখনও কোনো চার্জ নির্ধারণ করা হয়নি। খুব হতাশার বিষয় হচ্ছে, সড়ক ব্যবহার মাসুল বাংলাদেশ প্রথম প্রস্তাবই করে নাই। মিডিয়ায় সমালোচনার পর এক টাকা আট পয়সা প্রস্তাব করে সড়ক বিভাগ। কিন্তু আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ নিয়েও আপত্তি উঠে। পরবর্তীদে দুই টাকা ১০ পয়সা প্রস্তাব করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য কোন কোন রুটে চলবে, ফি কত হতে পারে এর একটি ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছিল। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর পর্যন্ত পথের জন্য ১৫ টনের একটি ট্রাককে ১৫ হাজার টাকা ফি দিতে হবে ভারতকে। তবে ভারতের সঙ্গে সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাবে সম্মত হয়নি দেশটি। এক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হয়, বন্দর ব্যবহার ফি দেওয়া হলে আবার সড়ক ব্যবহার ফি কেন দিতে হবে! অর্থাৎ ভারত সড়ক ব্যবহার মাসুল দিবে না, বাংলাদেশ ভারতের জন্য বৈদেশিক ঋণ নিয়ে রাস্তা বানাবে, বছর বছর রাস্তা সংস্কার করবে, আর ভারত সেটা ফ্রি ফ্রি ব্যবহার করবে। কি আবদার!
জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের তুলনা হিসাব করে ট্রানজিট ফি আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন বলে ড মজিবুর রহমানকে ট্যারিফ কমিশন থেকেই বদলিই করে দেয়া হয়। স্টেইট উইদিন কি স্টেইটের বিষয়ে কি আলাদা করে কিছু বলতে হবে!
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইনের অধীনে ২০১০ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ‘ট্রান্সশিপমেন্ট ও ট্রানজিট পণ্যের কাস্টমস ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১০’ শীর্ষক ওই বিধিমালায় ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বিধিমালায় বলা হয়, সড়ক বা রেলপথে প্রতি টিইইউ কনটেইনারের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট ফি প্রযোজ্য হবে। সড়কপথে কাভার্ড ভ্যান বা কাভার্ড ট্রাকে পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট ফি হবে এক হাজার টাকা। আর নন-কনটেইনার জাহাজ বা রেলপথে পরিবহনের জন্য প্রতি টন বাল্ক পণ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট ফি হবে এক হাজার টাকা। এছাড়া ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট পণ্যের জন্য বিমা কাভারেজ বাধ্যতামূলক বলা হয়। আর কনটেইনার স্ক্যানিং চার্জ শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত হবে। স্ক্যানিং ফির দেশীয় ব্যসায়ীদের সমান রেখে বর্তমান সরকার আগের সব ট্রানজিট ফি বাদ দিয়ে শুধু বন্দর ব্যবহারের কয়েকটা নামমাত্র ফি ধার্য করেছে।
একদিকে রাস্তা ব্যবহারের ফি নাই অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পণ্য খালাস না হওয়ায় কোনো কাস্টমস ফিও নেই, শুধু বন্দরের অপারেশনাল কিছু নামমাত্র চার্জ দিতে হবে। সেটাও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ঘুষ যোগে প্রদত্ত ফির চেয়ে কম। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে নামমাত্র খরচ হবে দেশটির। এই পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন কবে নাগাদ নিয়মিত হবে, তা জানা যায়নি। মুনশী আবদুল মাননান লিখেছেন, ''‘পরীক্ষামূলক’ কথাটি শুনলে আমাদের অতীতের একটি বিষয় মনে পড়ে যায়। অনেকেই জানেন, ভারত ১৯৭৪ সালে ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল। সেই যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল, এখনো চলছে। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার আর প্রয়োজন হয়নি।''
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'বন্দরে যদি একই সময়ে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ ও বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ আসে তবে ভারতীয় জাহাজ অগ্রাধিকার পাবে।' দুই ঈদে, ঘুর্নীঝড়ের অচলাবস্থার পরে, ইউরোপীয় সামারের আগে বা ক্রিসমাসে যখন বন্দরের উপর চাপ পড়ে তখন ভারতীয়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিক বন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবন তৈরি করবে সেটা ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলেছেন।
কথা হচ্ছে, আঞ্চলিক সংযোগ সম্পর্ক উন্নয়নের গলাভরা সব কথাবার্তা আর নৌ, স্থল, বন্দর- রেল ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট সব দিবার পরেও আপনি বাংলাদেশ-নেপাল এবং বাংলাদেশ-ভূটান স্থল ট্রানজিট কিংবা করিডোর আনতে পারলেন না কেন? বাংলাদেশ-নেপালের এরিয়াল কিরডোর মাত্র ১৫ কিমি'র, বাংলাদেশ ভুটানের মাত্র ৬৪ কিমি'র। দেশের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মানে বাধাদানকারী পক্ষকে সব মাগনা সুবিধাই যখন দিলেন, নিজের ব্যবসায়িক অর্থনৈতিক অধিকার আনতে পারলেন না কেন?
উপরন্তু, ট্রান্সশিপমেন্টের আড়ালে যখন করিডোরই দিবেন তখন, মংলা কিংবা পায়রা বন্দর নয় কেন? কেন আমাদের অর্থনীতির প্রাণভোমরা চট্রগ্রামকেই নতুন ভারে ভারাক্রান্ত করতে হবে। ভারতকে মংলা-কুমিল্লা- ত্রিপুরা-আসাম কিংবা পায়রা-কুমিল্লা- ত্রিপুরা-আসাম সরাসরি রাস্তা নির্মাণে বিনিয়োগ অংশ নিয়ে, তার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ জুগিয়ে এই রুটেই করিডোরে দেয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য শ্রেয়তর, যেহেতু চট্রগ্রাম বন্দর নানবিধ ক্যাপাসিটি সংকটে বছর পার করে।
এত কাছে থাকার পরেও ভারতীয় অনীহায় স্থলবেষ্টিত দেশ নেপালের ভদ্রপুর বিমানবন্দরের সাথে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের মহানন্দার তীর কিংবা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সংযোগ করা যায়নি। বর্তমানে যে সংকীর্ন রাস্তা আছে তাতে দুরুত্ব পড়ে মাত্র ৫০ থেকে ৬১ কিমি। বাংলাদেশ চাইলে সরাসরি নতুন রাস্তা বা এলিভেটেড এক্সপ্রেস নিজ খরচে নির্মাণ করতে পারে। আঞ্চলিক সংযোগের নামে গোলাম সরকারকে দিয়ে ভারত শুধু তার একপাক্ষিক স্বার্থই হাতিয়ে নিচ্ছে, কিন্তু পানির অধিকার সহ আন্তঃদেশীয় ট্রানজিট বা করিডোর কোনটাই দিচ্ছে না বাংলাদেশকে। এই বৈষম্যগুলোর অবসান নিশ্চয়ই একদিন হবে!
২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক।
এক মন্ত্রীমহোদয় তো বলেই দিয়েছেন ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক - স্বামী স্ত্রীর......
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এদের নির্লজ্জ্বতা সীমাহীন।
‘ভারতকে যা দিয়েছি সেটি তারা সারা জীবন মনে রাখবে’
৩০ মে, ২০১৮ বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কোনো প্রতিদান চাই না। আমরা ভারতকে যা দিয়েছি সেটি তারা সারা জীবন মনে রাখবে।’
আজ বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারত সফর নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজারে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে করা সাংবাদিকনেতা মনজুরুল আহসান বুলবুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন পত্রিকা এসব নিউজ করেছে তা আমি জানি না। আমি কারো কাছে কোনো প্রতিদান চাই না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারো কাছে কিছু চাই না। আমি নিতে পছন্দ করি না। সব সময় অন্যকে দিতে বেশি পছন্দ করি। আর আমরা ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা সারা জীবন মনে রাখবে।’
সোর্স- বাংলা ট্রিবিউন, এনটিভি
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চোখ ফেটে আর জল পড়ে না পড়ে রক্ত!
কিছু চেতনাবাজ বিস্ময়কর নিলর্জজ্তায় এখনো বলে বেড়ায় আওয়ামীলীগ আসলে বাংলাদেশ নাকি ভারত হয়ে যাবে!
তা নাকি ১৫ বছরেও হয়নি! তারা জিরাফের মতো শুধু উপরের পাতা খায়, নীচে দেখার ক্ষমতা তাদের নাই!
ফারাক্কার কথাতো বললেনই, তিস্তা অমিমাংসীত রেখে উল্টো ফেনি নদীর পানি সেধে দিয়ে আসে
অবশ্য যে দেশের পররাস্ট্রমন্ত্রীর মূখ দিয়ে বের হয় দুই দেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো
সেখানে অন্য কিছু বলা বাতলতাই বটে!!!
যা হচ্ছে এ অন্যায়। অন্যায়ের প্রতি রেখে গেলাম তীব্র ঘৃনা।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: জিরাফের মতো শুধু উপরের পাতা খায়, নীচে দেখার ক্ষমতা তাদের নাই!
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমলাদের অদক্ষতার কারণে অনেক সময় দেশকে মাসুল দিতে হয় ।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমলাদের অদক্ষতার কারণে অনেক সময় দেশকে মাসুল দিতে হয়। কথা আংশিক সত্য, কিন্তু আমলারা সবাই দেশের অবকাঠামো ফ্রি দিতে চায় না। দেশের প্রাইম মিনিস্টার যা চান, দিনশেষে তাই করতে হয়! ভিন্ন কিছু বললে বা করলে আমলার ক্যারিয়ার শেষ।
এখানে আরেকটা গুঞ্জন উঠেছে, প্রাইম মিনিস্টার যা চান তাকেও ভারতীয় লবিস্ট উলটে ফেলছেন। পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক!
৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
তবুও চেতনাবীজের দল বলে
"দেশপ্রেম মোদের সারা শরীরে আছে মাখামাখি হয়ে"
প্রশ্ন তুলিলেই রাজাকার বানিয়ে দিবে এরা, এদের হৃদয়ের ভারত, মুখে বাংলাদেশ। (আমি ভারত বিরোধী নই তবে দেশের স্বার্থে সবার বিরোধী)
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এটাই তো হচ্ছে।
বৈষম্যের তথ্য, উপাত্ত, অকাট্য প্রমাণ দিলেও বলে ভারত বিরোধীতা। এমন দাসবৃত্তি কিভাবে দেশের মানুষের মধ্যে এল।
ট্রান্সশিপমেন্টের আড়ালে যখন করিডোরই দিবেন তখন, মংলা কিংবা পায়রা বন্দর নয় কেন? কেন আমাদের অর্থনীতির প্রাণভোমরা চট্রগ্রামকেই নতুন ভারে ভারাক্রান্ত করতে হবে। ভারতকে মংলা-কুমিল্লা- ত্রিপুরা-আসাম কিংবা পায়রা-কুমিল্লা- ত্রিপুরা-আসাম সরাসরি রাস্তা নির্মাণে বিনিয়োগ অংশ নিয়ে, তার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ জুগিয়ে এই রুটেই করিডোরে দেয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য শ্রেয়তর, যেহেতু চট্রগ্রাম বন্দর নানবিধ ক্যাপাসিটি সংকটে বছর পার করে।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬
মা.হাসান বলেছেন: ভাতার-মাগের রোমান্টিকতায় বাগড়া দেয়ার দরকার কি? তা ছাড়া তেনারা তো ২ বিলিয়ন ডলার প্রায় বিনা সুদে ধার দিয়েছেন, রাস্তা ইত্যাদি ঠিক করা যাবে, তবে শর্ত এই যে কোন কাজে খরচ করবো আগে তার অনুমতি নিতে হবে আর ম্যাটেরিয়াল সব তেনাদের কাছ থেকে তেনাদের বেধে দেয়া দরে কিনতে হবে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
'বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী'।
তাই রোমান্টিকতায় বাগড়া দেয়ার দরকার আছে।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এশিয়ার মধ্যে আমাদের আমলাদের অদক্ষতা সবার মধ্যে অন্যতম।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সেটা মানি, তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কমিটমেন্ট এর বাইরে আমলাদের যাবার সুযোগ নেই। ব্যক্তিগত ভাবে আমলাদের কেউ কেউ দুই দেশের জন্য উইন উইন ইকনোমিক প্রাস্তাব দিয়ে বদলির শাস্তি পেয়েছেন।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দেখার কেউ নাই, বলার কিছু না, করার কিছু নাই।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেখার কেউ নাই, বলার কিছু না, করার কিছু নাই।
আসলেই নাই। ক্ষমতার জমিন শক্ত থাকাই মূল কাজ, দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ্য গোল্লায় যাক!
৯| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা আর কি করলে দাদা আরো বেশী কৃতজ্ঞ হবে তাই বলুন। কারণ আমার চাই ক্ষমতা ।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এরা কখনো কৃতজ্ঞতা দেখাবে না। বরং আপনাকে বার বার ৭১ এর কথা মনে করিয়ে দিয়ে আবারো ক্ষতি করবে।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৩
জনৈক অপদার্থ বলেছেন: আমলাদের অদক্ষতা খেয়ে দিবে আমাদের
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রাজনৈতিক ক্ষমতার হীন্মান্য শর্ত দিয়ে খত দিয়ে আসা নেতাদের গোলামী আমাদের খেয়ে দিবে। আমলাদের অদক্ষতাও আমাদের বড় সমস্যা।
১১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হলো আমাদের দেশে দক্ষ, যোগ্য ও পরিশ্রমী লোকের অভাব।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদের দেশে দক্ষ, যোগ্য ও পরিশ্রমী লোকে কম আছে, তবে তাদের সঠিক জায়গায় তুলে আনার প্রক্রিয়া নেই।
আমাদের দেশে দক্ষ, যোগ্য ও পরিশ্রমী নেতা নেই। যারা আছে তারা বিদেশিদের গোলাম।
১২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৫
এইচ তালুকদার বলেছেন: এসব নিয়ে কথা বলার সাহস হয় না।আসলে দেশটা বারো ভুতে লুটেপুটে খাচ্ছে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই--
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
সাহস করে সম্মিলিত প্রতিবাদ করতেই হবে।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একই ধরনের চুক্তি চীন কোরিয়া বা মালয়েশীয়ার সাথে করলে কোন সমস্যা হয় না।
যেমন শৃলংকা তাদের একটি বন্দর ব্যাবহার করতে না, লিজও না, পুরো বিক্রিই করে দিয়েছে। অর্থনৈতিক সুবিধার জন্যই করেছে। কোন বিতর্ক হয় নি।
পাকিস্তান দখল করা কাশ্মিরের একটি বড় অংশ সাফ কবলা বিক্রি করে দিয়েছে, চীনের কাছে। কোন সমস্যা হয় নি।
ভারতের সাথে কিছু করলে বড় সমস্যা। এটা অর্থনীতির চেয়ে বেশী রাজনৈতিক সমস্যা। পাকিস্তানি আমল থেকেই 'ভারত যুজু' একটি বিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক মহলের কাছে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
চট্টগ্রাম বন্দর তো বিক্রিও করেনি লিজও দেয় নি, ল্যান্ড লকড ত্রিপুরাতে কমসময়ে কম খরচে পন্য ইউটিলিটি সরবরাহ করতে দেয়া হচ্ছে শুধু।
ত্রিপুরাকে আগেও সাহায্য করা হয়েছে।
এতে বাংলাদেশও কম বেশি লাভবান হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে। এখানে বন্দর ব্যাবহার বিক্রয় মুল্য কম মনে হতে পারে, ব্যাবহার বাড়লে বাজার মুল্য অনুসারে অবস্যই বাড়বে। সেটা বন্দর কতৃপক্ষ বুঝবে।
৭১এ ত্রিপুরা বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে। প্রতিবেশীর সাথে অকারন ভ্যাজাল করা কোন ভাল কাজ হতে পারে না।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে পণ্য, মালামাল এবং সামরিক জিনিসপত্রে পরিহনের এমন করিডোর চুক্তি চীন, মালোয়েশিয়া কিংবা অন্য কোন দেশের পক্ষে সম্ভব না। ভারত কিরীডোরের ইউনিক সুবিধা নিচ্ছে।
নিন্মোক্ত ফি গুলো দিতেই হবে নতুবা এটাকে গোলামী চুক্রিই বলা হবে-
১। বন্দর ব্যবহারের হালনাগাদ ব্যয়ের প্যাকেজ, ১৯৮৬ সালের রেইটে না।
২। বন্দর ব্যবহারের ট্রান্সশিপমেন্ট কষ্ট
৩। বাংলাদেশী রাস্তা ব্যবহারের (নির্মাণ ও মেইন্টেনেনেন্স) প্যাকেজ খরচ, রুট পারমিট ট্যাক্স
৪। বাংলাদেশী ট্রানজিট ব্যবহারের খরচ
এগুলা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত খরচ। একটা কার রেন্ট নিতেও সরকারকে ট্যাক্স দেয়া লাগে। এখানে উনারা ফ্রি সব চাচ্ছেন। বাংলাদেশের রাস্তা নির্মাণ খরচ পৃথীবীতে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ দীর্ঘ মেয়াদী সুদে বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে রাস্তা বানাবে, বছর বছর মেইন্টেইন করবে আর সেটা ভারত ফ্রি ব্যবহার করবে? এটা কি মগের মুল্লুক?
দ্বিতীয়ত, ৪৯ বছর থেকে তারা বাংলাদেশ নেপালের ৪৯ কিমি করিডোর দিচ্ছে না। নিজেরা কোন বাণিজ্য সুবিধা না নিয়ে উদোম করে সব দিয়ে দিবার মানে কি?
চুক্তি যদি উইন উইন না হয়, তাইলে সে চুক্তির দরকার নাই। কন্টেইনার প্রতি ৩০ টাকায়, টন প্রতি ৩০ টাকায় না উঠবে বন্দর ব্যয়ের খরচ না আসছে রাস্তার নির্মাণ, সংরক্ষণ ও সংস্কারের খরচ!
অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণের প্রামাণ্য তথ্যকে সস্তা ভারত বিরোধীতা বলে উড়িয়ে দেয়া হাস্যকরই নয়, নির্লজ্জোতাও বটে!
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: উপরন্তু, ট্রান্সশিপমেন্টের আড়ালে যখন করিডোরই দিবেন তখন, মংলা কিংবা পায়রা বন্দর নয় কেন? কেন আমাদের অর্থনীতির প্রাণভোমরা চট্রগ্রামকেই নতুন ভারে ভারাক্রান্ত করতে হবে। ভারতকে মংলা-কুমিল্লা- ত্রিপুরা-আসাম কিংবা পায়রা-কুমিল্লা- ত্রিপুরা-আসাম সরাসরি রাস্তা নির্মাণে বিনিয়োগ অংশ নিয়ে, তার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ জুগিয়ে এই রুটেই করিডোরে দেয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য শ্রেয়তর, যেহেতু চট্রগ্রাম বন্দর নানবিধ ক্যাপাসিটি সংকটে বছর পার করে।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৪৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: যারা ... নিয়ে সাফাই গাইছেন। খুব কষ্ট হয় এগুলো হজম করতে, কিন্তু হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি যে।
এরকম বক্তব্য শুনে,আমি যদি বিদেশী হতাম তবে বলতাম WTF! কিন্তু বাংলাদেশ বলে হজম করে নিতে হচ্ছে। কিন্তু এইভাবে নিজের স্বার্থ না বুঝা একমাত্র ভৃত্যই করতে পারে।
আমি তো বলব পাগলও নিজের স্বার্থ বুঝে। কিন্তু এইখানে দেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করা কোন ভাল কিছু বয়ে আনবে না।
অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণের প্রামাণ্য তথ্যকে সস্তা ভারত বিরোধীতা বলে উড়িয়ে দেয়া হাস্যকরই নয়, নির্লজ্জোতাও বটে! - সহমত।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেশের কিছু লোকের সাফাই গাওয়ায় খুব কষ্ট হয়।
১৫| ২১ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৩
সোহানী বলেছেন: কাপড় চোপড় খুলে দিতে দিতে এখনতো পড়নের নেংটিটাই বাকি আছে। সেটা দিতে আর ক'দিন লাগে কে জানে।
তবে এ থবরটা পড়ে একটু নড়ে বসলাম........। আমাদের এখনই দরকার চুলচেরা হিসেব করা।
https://m.sangbadpratidin.in/article/india-to-send-new-envoy-to-bangladesh-to-mend-ties/432921?fbclid=IwAR3x0s_Fk6aFo90IWNMofIrWDbrpmQMpia_HuN2rnYzUFywt4G1EaTjnuFQচিনের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ, পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া দূত পাঠাচ্ছে ভারত
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিশ্ব মিডীয়ায় যেভাবে নেতিবাচক খবর উঠে আসছে, তাতে লেংটা রাজার লিংটি আর থাকছে না!
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ক্ষমতা ক্ষমতা এবং ক্ষমতা। এর বিনিময়মূল্য যাহাই হোক না কেন তাহাই শিরধার্য
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ক্ষমতা ক্ষমতা এবং ক্ষমতা। এর বিনিময়মূল্য যাহাই হোক না কেন তাহাই শিরধার্য
খুবই হতাশার!
১৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতজানু পররাষ্ট্র নীতির অবসান যে কবে হবে কে জানে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নতজানু পররাষ্ট্র নীতির অবসান চাই।
রাজনৈতিক ক্ষমতা পোক্ত করতে বিদেশী প্রভু তোষণের সংস্কৃতি বন্ধ হোক!
১৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১২
নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: সব যাক। শুধু পাছার কাপড় ঠিকঠাক আর ক্ষেমতা থাকলেই চলবো।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দুঃখ জনক!
১৯| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আর ভালো লাগে না। এতো ঝামেলা না করে দেশটা ভারতের হাতে তুলে দিলেই তো হয়। তাহলে দুই দিন পরে পরে আমাদের হা-হুতাশ করতে হয় না। হুদাই ক্যাচাল করার দরকার কি?
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নাহ! ভারতের হাতে দেশ তুলে দিব না!
'বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী'।
২০| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন: এ হলো চেতনার বোতলে ভারতীয় "র" এর সুধা.... চলে.. এক ঢোক গিলে তৃিপ্তির ঢেকুর তুলে জোরে সোরে বলি " জয়য়য়য় বাংলা"
২১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: পাপাটের নিজের কিছু করার ক্ষমতা থাকেনা। পাপেটিয়ার যা করাতে চায় তাই করে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেখুন, নেপালও কিন্তু রিভার্ট করেছে।
২২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২১
রাকু হাসান বলেছেন:
এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক । ব্যক্তিগতভাবে চাই .... এসব দাবি নিয়ে ব্লগাররা স্লোগান তুলুক। রাস্তায় নামুক।আমি থাকবো ।আমৃত্যু
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: ট্রান্সশিপমেন্টের নামে ভারত বলতে গেলে প্রায় 'করিডোর'ই নিয়ে নিল, কিন্তু নেপাল-ভূটানের সাথে স্থল ট্রানজিট কিংবা করিডোরের পুরানো দাবী টেবিলে উঠেনি কেন?
টেবিলে দাবি ওঠানোর দায়িত্ব যাদের তারা দাবি করতে লজ্জা পান। এছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করলেও জান নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে।
২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: টেবিলে দাবি ওঠানোর দায়িত্ব যাদের তারা দাবি করতে লজ্জা পান। এছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করলেও জান নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে।
কি দুঃখজনক!
২৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৯
মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: নেপালের গাটস্ আছে, আমাদের নেই। পার্থক্য এখানেই।
গত মাসে নেপালের বর্ডার গার্ডের গুলিতে ১ ভারতীয় কৃষক নিহত এবং আরও ২ জন আহত হয়। এই ঘটনায় ভারত পাল্টা গুলি না ছুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ভাবা যায়?
এরই মধ্যে নেপালিরা ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত সীতা গুহার সামনে একটি সীমানা পিলার গুড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের সীমান্ত পিলার গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেপালিরা
২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নেপালের গাটস্ আছে, আমাদের নেই। পার্থক্য এখানেই।গত মাসে নেপালের বর্ডার গার্ডের গুলিতে ১ ভারতীয় কৃষক নিহত এবং আরও ২ জন আহত হয়। এই ঘটনায় ভারত পাল্টা গুলি না ছুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ভাবা যায়?
বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিবাদ করে নেপাল ও নেপালের জনগণ সম্মানের আদায় করে নিয়েছে। দুর্ঘটনা ছাড়া নেপাল সীমান্তে কখন ভারত গুলি করবে না আর!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা চট্রগ্রাম বন্দর নিন্মোক্ত সংকট গুলোতে ভূগছে-
১। অবকাঠামো, কনটেইনার হ্যান্ডলিং সারঞ্জাম
২। কনটেইনার হ্যান্ডলিং স্পেইস (বন্দর স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ৩০% যায়গা খালি রাখা জরুরি)।
৩। নাব্যতা
৪। এলএনজি টার্মিনালের কারনে সংকুচিত কর্ণফুলী চ্যানেল
৫। পরিচালন ব্যবস্থাপনা, জনবল সংকট, পণ্য পরিদর্শন
৬। অসুম্পূর্ণ অটোমেশান ও দুর্নীতি
৭। চট্রগ্রাম শহর, চট্রগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বন্দরের ট্রাফিক সেপারেশান। এন্ট্রান্স-এক্সিটে ভয়াবহ যানজটে শ্রমঘন্টা নষ্ট, উচ্চ পরিবহণ সময় ও খরচ।
৮। বন্দর থেকে ঢাকায় সরাসরি ও ডেডিকেটেড/কার্গো রেল ট্র্যাক না থাকা।
স্বাভাবিক সময়ে চট্রগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাসের সময়কাল এশিয়া মহাদেশের বন্দরগুলোর মধ্যে সবচাইতে দীর্ঘ। উপরন্তু দুই ঈদ এবং ঘন ঘন ঘুর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে বন্দরের কার্যক্রমে স্থবিরতা আসে, এতে ভয়ানক কন্টেইনার জট তৈরি হয়। তা কাটিয়ে উঠতে মাস লেগে যায়। ৪৯ হাজার টিইইউস এর ক্যাপাসিটি সম্পন্ন বন্দরের ব্যবহার বছরে বেশ কয়েকবার ৪২/৪৩ হাজার টিইইউস এ পৌঁছে যায়। এমতাবস্থায় বন্দর সচল রাখার জন্য দরকারি ৩০% খালি স্পেইস পাওয়া খুবই কঠিন। এই হিসেবে বন্দরের ইফেক্টিভ সক্ষমতা ৩৫ হাজার টিইইউস। অথচ প্রতিবেশী ভারতের গোলামী করতে গিয়ে সরকার এই স্পেইসকে অতিরিক্ত দেখিয়ে ভারতের সাথে চুক্তি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ভারতীয় কনটেইনার হাই প্রায়োরিটিতে হ্যান্ডেল করা হবে। অথচ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আর্থিক লেনদেনের লাভের বিবেচনায় শুধু মাত্র লো প্রায়োরিটিতে, কিছুটা উচ্চ মাশুলেই শুধু বন্দর ট্রান্সশিপমেন্ট দেয়া যায়।
বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৪ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চট্রগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাসে এগার দিনেরও বেশি সময় লাগে যেখানে রটার্ডাম পোর্টের পণ্য খালাসের সময় মাত্র ৮ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ২ দিন।
বিজেএমইএর সাবেক প্রথম সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমদানি পণ্য হাতে বুঝে পেতে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের। ঈদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাজেটের আগে-পরে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ জট তীব্র হয়ে পড়ে। তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক মাস সময় লাগে। এমন অবস্থায় ভারতীয় পণ্য অগ্রাধিকার পেলে দেশের অর্থনীতিতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তৈরি পোশাক ক্রেতাদের কাছে জাহাজের গড় অবস্থান ও পণ্য খালাসের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়বে এবং রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।’
নিজের দেশের অর্থনীতির সমূহ ক্ষতির উপলক্ষ তৈরি করে বৈষম্যপূর্ণ গোলামী চুক্তি এমন একটি দেশের সাথে কথা হল, যে দেশ বাংলাদেশের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরিতে কূটনৈতিক চ্যানেলে বাঁধা দিয়েছে।