নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরাপদ পানি সরবারহের জন্য নাগরিক সচেতনতা!

২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০১

বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, চঞ্চল চৌধুরী 'পানি ফুটানো' এটা নিশ্চিত হবার সাথে সাথেই পানিটা ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন! এই কাজকে বহুজাতিক পণ্যের খরুচে বিজ্ঞাপনের অনুকূলে ওয়াসা, দেশের সিটি/পৌর কর্পোরেশান গুলোর পানীয় জল সরবারহের মৌলিক সেবাকে ধৃষ্টতা দেখানোর মত বিষয় বলে মনে হয়েছে!

এটা ঠিক যে, কিছু কিছু এলাকার ওয়াসা সরবারহকৃত পানি ফুটিয়ে পানযোগ্য করাও মুশকিল। তবে সব এলাকার চিত্র এটা নয়। ঢাকার অধিকাংশ এলাকার মানুষই পানি ফুটিয়ে পান করছেন এবং এটাই নিরাপদ পদ্ধতি। এই নিরাপদ পদ্ধতিকে ব্যবসায়ীক পণ্য দিয়ে প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানানো যায় না। কেননা এতে নিরাপদ পানির মত মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হবার এবং নিন্ম ও মধ্য আয়ের মানুষের জীবনযাপনের খরচ বাড়ার পথ তৈরি হচ্ছে।

কিছুদিন পুর্বে ঢাকাবাসী ব্যানারে আমাদের প্রিয় মানুষ পরিবেশকর্মী মিজানুর রহমান পূর্ব জুরাইনের ময়লা পানির বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এবং ওয়াসার এমডিকে সরবারহকৃত পানির শরবত পান করাতে গেছেন। আমরা দেখিনি যে, দেশের তারকাদের কেউ এই আন্দোলনে সাড়া দিয়েছেন, অংশ নিয়েছেন কিংবা নিরাপদ পানি বিষয়ে কিছু বাক্য ব্যয় করেছেন। সমস্যা সমাধানের আলাপ না তুলে দেশের তারকরা অর্থ তৈরিতে নেমেছেন, এটা খুব হতাশার। দেখা যাচ্ছে দেশের সমস্যার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের তারকাদের আয়ের পথও! ওয়াসার দুর্নীতি ও জবাব্দিহিতাহীনতার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে যাব, কিন্তু পানীয় জল সরবারহের যে মৌলিক সেবা এটাকে কোন ভাবেই অবজ্ঞা করা যাবে না।

ইউনিলিভার কয়েক ধরনের ফিল্টার বিক্রি করে। ফুটানো পানি ছুঁড়ে ফেলার বিজ্ঞাপনে একটা ফিল্টারের প্রমোশান করা হচ্ছে যেখানে উচ্চ ঘনত্বের পানি চাপের ফলে নিন্ম ঘনত্বের অংশে যায়, ফিল্টারের ভিতর দিয়ে, এতে পানি পরিষ্কার হয়। ফিল্টারের উপরের পানি প্রায় প্রতিদিনই বদল করে ফেলতে হয়, নাইলে পানিতে জীবানু হয়, দুর্ঘন্ধযুক্ত হয়। এতে পানিও নষ্ট হয়। এই ফিল্টারের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ মাইক্রো ফাইবার ম্যাশ বা ছাঁকনি প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করার পাশাপাশি বছরে কয়েকবার না বদলাতে পারলে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেকাংশেই কমে যায়।

মূল বিষয় হচ্ছে, ফিল্টার করা এই পানিতে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান একেবারেই থাকে না। ফিল্টার্ড হয়ে যায়। ফলে শুধু তৃষ্ণা নিবারাণ হয় কিন্তু পানি পুষ্টির উপাদান রাখে না। দীর্ঘমেয়াদে এই পানি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব তৈরি করে মানব শরীরে যা ভিটামিন ও মিনারেল নামে আলাদা কিনে খওয়া লাগে। সমস্যা হচ্ছে- নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা হীন দেশে বুঝে উঠার আগে বিশেষ করে শিশুদের পুষ্টিহীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে। অন্যদিকে খনিজ উপাদানহীন পানি মানবদেহের ইলেকট্রোলাইটিক ব্যালেন্স দ্রুত নষ্ট করে দিয়ে, সুদুরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

এর বাইরে ইউনিলিভার আল্টিমা ফিল্টার বিক্রি করে। কেন্ট নামে আরেকটা ব্রান্ড বেশ চলে এবং এরকম বহু আছে। এই ফিল্টার গুলোতে এক লিটার পানি পরিশোধিত করতে গিয়ে অন্তত দুই লিটার পানি ফেলে দিতে হয়। একটা নল দিয়ে সবসময় ময়লা পানি আলাদা করার নামে পানি অপচয় ২৪/৭ চলতেই থাকে। হোটেল রেস্টুরেন্ট সহ বাসাবাড়ির সর্বত্রই এখন কেন্ট টাইপের ওয়াটার ফিল্টারের ব্যবহার বাড়ছে। এতে ভূগর্ভস্ত পানির ব্যাপক অপচয় হচ্ছে। শহুরে ভূগর্ভস্ত পানি স্তর যেখানে দিনকে দিন গভীর হচ্ছে, সেখানে এভাবে ভূগর্ভস্ত পানি অপচয়ের বিপদ ভয়াবহ। শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতেও এর কারণ থাকবে।

এটা ঠিক যে, পানি ফুটাতে গ্যাসের অপব্যবহার হচ্ছে। একটা প্রচলিত ভুল ধারণা আছে যে, পানি ২০ মিনিট বা কেউ কেউ বলেন ৩০ মিনিট ফুটাতে হয়। আসলে সেটা সম্পুর্ণ ভুল, এ জন্যই গ্যাসের অপচয় বেশি হচ্ছে। পানি রোলিং বয়লিং টেম্পারেচারে চলে আসলে (রোলিং বয়লিং বা উৎরানো শুরু হয়ে গেলে) সর্বোচ্চ ১ মিনিট অপেক্ষা করাই এনাফ। বুয়েটের স্যারদের একটা লেখার লিংক এখানে দিচ্ছি।

কেউ কেউ মনে করেন, উর্ধ্বপাতন পানীয় জল পরিশোধনের সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি, এটা ভুল কথা। কারণ, উর্ধ্বপাতন জাত পানি আসলে পুষ্টি ও খনিজ উপাদান হীন 'পরীক্ষাগার পানি'। মরুভূমির দেশগুলো সাগরের স্যালাইন পানি ডিস্যালাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে, সেখানে পরে তারা পুষ্টি উপাদান যুক্ত করে অর্থাৎ মিনারেল যুক্ত করে। অন্যথায় দীর্ঘ মেয়াদে মিনারেলহীন পানি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করার কারণ হতে পারে। নিকট ভবিষ্যতেই বাংলাদেশেরও সি-ওয়াটার ডিস্যালাইনেশান লাগতে পারে, কেননা উপকূলে স্যালাইন পানির পেনিট্রেশান বাড়ছে, আবার বুড়িগঙ্গা শীতলক্ষা ও ধলেশ্বরীর পানি শোধন অযোগ্য হওয়ায় জশলদিয়ায় পদ্মার পানি শোধনে প্রকল্প নেয়া লেগেছে। অন্যদিকে সারফেইস ওয়াটারকে কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করা লাগবে শুকনো মৌসুমে, বৃষ্টির পানি ব্যবহারের বড়সড় পরিকল্পনা লাগবে, শহরে আবাসিক কম্পাউন্ডে ও শিল্পে পানি রিসাইকেলের বড় পরিকল্পনা লাগবে। মোটকথা ডিস্যালাইন্ড পানিতে খনিজ উপাদান যোগ করা লাগবে। আর যে কোন খনিজ উপাদান (আর্সেনিক, আয়রন) মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, দরকার তার স্বাস্থ্যসম্মত পরিমাণ। ক্ষতিকর হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ যা কিছু কিছু এলাকায় এখন দেখা যাচ্ছে। ওয়াসা সহ পানি সরবারহকারী আঞ্চলিক সিটি/পৌর কৃর্তিপক্ষের উচিৎ সরবারহকৃত পানির গুণগত মানের স্টান্ডার্ড সেট করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু, রিভার্স ওস্মোসিসের খনিজ হীন পানি পানের ব্যাপারের বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে। বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন-"এটি পর্যাপ্তরূপে প্রমাণিত হয়েছে যে স্বল্প খনিজ পদার্থের জল গ্রহণের ফলে শরীরের হোমিওস্টেসিস প্রক্রিয়া গুলিতে ও বিপাক প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ে।'' রিভার্স অসমোসিস জলের ব্যবহার "দেহের জলে ইলেক্ট্রোলাইট দ্রবীভবন বেড়ে যায়। দেহের অঙ্গগুলোর মধ্যে অপর্যাপ্ত খনিজ বিতরণ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্রিয়াকলাপে আপোস করে। এই অবস্থার একেবারে শুরুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘ্যমেয়াদী গুরুতর লক্ষণগুলি হ'ল পেশী ক্র্যাম্পিং,হৃদস্পন্দন এবং প্রতিবন্ধীত্বের লক্ষণ"

সবমিলে পানীয় জলের একটা টেকসই সমাধান দরকার। আমরা ওয়াসাকে নিরাপদ পানীয় জলের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিবার দাবী জানাই। ঘুষ ও দুর্নীতিকে পশ্রয় দেয়া হয়েছে বলেই যত্রতত্র পানির লাইন টেম্পার করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সরবারহের লাইনে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। সমাধান হচ্ছে সরকার সিটি ও পৌর করপোরেশান গুলোর প্রায় শত বছর পুরানো পানীয় জল সরবারহের স্টান্ডার্ড এ গুণগত মান আনবে। ওয়াসার ঘুষ দুর্নীতি বন্ধে এবং দুর্বিত্তদের লাইন টেম্পারিং যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নিবে।

ওয়াসা ঢাকা-নাগঞ্জ, চট্রগ্রামে পানি সরবারহ করে যার কিছু এলাকায় সরবারকৃত পানির মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ সিটি ও পৌর কর্পোরেশানের পানি ফুটিয়ে পান করা নিরাপদ। কিছু এলাকায় আর্সেনিক ও আয়রনের প্রভাব রয়েছে তার সমধানও আছে। সারাদেশ বিবেচনায় আনলে 'ফুটানো পানি ছুঁড়ে ফেলা' বড় রকম ধৃষ্টতা মনে হয়।


তারকরা দেশের মৌলিক সমস্যাগুলোর ব্যাপারে বেখবর, নাকি অর্থরুজির ধান্ধায় তারা ফুটানো পানি ছুঁড়ে ফেলে মৌলিক সেবাকে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন, সেটা একেবারেই বোধগম্য নয়!

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ওয়াসা যদি সঠিক কাজটি করত তাহলে তো ইউনিলিভারের এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ ছিল!!

২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সেটা ঠিক, তারা নিজেরাই কিছু কিছু এলাকায় ময়লা পানি সরবারহ করছে। আসলে যত্রতত্র পানি সরবারহ লাইন কাটা এবং তার মানসম্পন্ন ফিক্স না থাকায় পানির লাইনে ময়লা ঢুকছে। এখানে দুটা বিষয় আছে দুর্নীতি এবং একই সাথে আমাদের নাগরিদের মস্তানি। অনেকেউ ওয়াসাকে না জানিয়েই লাইন থেকে পানি চুরি করছে। এই নৈরাজ্য থামানো গেলে ইউনিলিভারের ফিল্টার বাণিজ্যের বিপক্ষে আমাদের অবস্থানটা শক্ত হত।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ওয়াসার পানি পান করার কথা মনে পড়লেই ভয় লাগে ঘৃণা লাগে । চঞ্চল চৌধুরীরা টাকার জন্য সব করতে পারে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দুঃখ জনক। নিকট অতীতে ওয়াসার পানি পান করা যেত। দিনকে দিন সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ওয়াসার পানি পান করার কথা মনে পড়লেই ভয় লাগে ঘৃণা লাগে । চঞ্চল চৌধুরীরা টাকার জন্য সব করতে পারে।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ঢাকায় -সরকারী ইউটিটিলটি যে কোন সেবার-ই কোন বিশ্বস্ততা নেই - জনগণের কাছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সরকারী ইউটিটিলটি যে কোন সেবার-ই কোন বিশ্বস্ততা নেই - জনগণের কাছে।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২০

করুণাধারা বলেছেন: ইউনিলিভার আমাদের ভালভাবেই বোঝাতে পেরেছে যে ফোটানো পানি খাবার উপযোগী নয়। এখন এই লকডাউনের মধ্যেও তারা ফিল্টার বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে...

ফিল্টার ব্যবহারের খরচের তুলনায় পানি ফোটাতে গ্যাসের খরচ অনেক কম। ওয়াসার অদক্ষতা আর ইউনিলিভারের মার্কেটিংয়ের দক্ষতার কারণেই মানুষ ফিল্টার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ইউনিলিভার আগে বলতো তাদের পানি ফুটানো পানির মতই নিরাপদ, এখন বলছে ফুটানো পানির চেয়ে নিরাপদ। কয়দিন পরে বলবে ওদের ফিলটারের পানি ছাড়া বাকি সব অনিরাপদ।

ফেয়ার এন্ড লাভলী'র মাধ্যমে বাজারে গেড়ে বসা রেসিস্ট কোম্পানী ইউনিলিভার। এদের ব্যবসায়িক ধান্দার জন্য দীর্ঘ্য মেয়াদে পুষ্টি হীনতা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

ওয়াসার দায়িত্বহীনতা এই ব্যবসাকে সুবিধা করে দিচ্ছে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারকাদের পণ্য সম্পর্কে ভালো করে জেনে বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়া উচিত।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সঠিক পরামর্শ।
বাজে পণ্য, মিথ্যা তথ্য সম্বলিত পণ্য, প্রাণ ও পরিবেশ বিরুদ্ধ পণ্যে তারকাদের অর্থ উপার্জনের লাগাম টানা চাই।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রয়োজনীয় একটা বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছেন। ধন্যবাদ।

আমাদের বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রনে কোন অথরিটি নাই মনে হয়।
বিদেশী বিজ্ঞাপন, বিদেশী নায়ক নায়িকাদের অংশগ্রহন নিয়ে মাঝে হালকা পাতলা কিছু
আপত্তি উঠেছিল। পড়ে আবার সব থিতিয়ে গেছে।
আর বিজ্ঞাপনের কন্টেন্ট, ভাষা, দেশ, কৃষ্টি কালচারে তার প্রভাব, পক্ষ বিপক্ষ এগুলো তো তাদের ভাবনাতেই নেই মনে হয়।

বহুজাতিক কোম্পানীর বানিজ্যক লাভের কাছে এভাবে দেশ, জাতি, আমজনতার গণ স্বার্থ উপেক্ষা অনুচিত।


২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আর বিজ্ঞাপনের কন্টেন্ট, ভাষা, দেশ, কৃষ্টি কালচারে তার প্রভাব, পক্ষ বিপক্ষ এগুলো তো তাদের ভাবনাতেই নেই মনে হয়।
বহুজাতিক কোম্পানীর বানিজ্যক লাভের কাছে এভাবে দেশ, জাতি, আমজনতার গণ স্বার্থ উপেক্ষা অনুচিত।


আন্তরিক ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াসা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। ওয়াসায় একজন দক্ষ, যোগ্য এবং পরিশ্রমী এমডি'র দরকার।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ওয়াসা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। ওয়াসায় একজন দক্ষ, যোগ্য এবং পরিশ্রমী এমডি'র দরকার।

তবে চোরা এমডির পরিবর্তে আরেক চোরা আসলেই সমস্যার সমধান হবে না। দরকার দক্ষ ও সৎ জনবল যারা পানি সরবারহ ব্যবস্থায় মান আনবে, গ্রাহকের অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত পানি সরবারহ নিরাপদ করবে। এবং পানি অপচয় নিয়ন্ত্রণ করবে।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ওয়াসার পানিতে ইদানীং বেশ সমস্যা । তাই বাধ্য হয়ে ফিল্টার ইউজ করতে হয়েছে। ওয়াসা কিছু এলাকায় ফিল্টার বসানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে ।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দীর্ঘমেয়াদে ফিল্টার পানির বিপদ সম্পর্কে যেহেতু গবেষণালভদ্ধ সিদ্ধান্ত চলে এসেছে তাই ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি প্রশাসনিক পর্যায়ের সচেতনতা দরকার হয়ে পড়েছে।

খনিজ পানির প্রাকৃতিক উৎস গুলোকে সংরক্ষন করা চাই। ওয়াসার ফিল্টার পানি প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পুষ্টি হীনতা তৈরি করবে। এই অদুরদর্শী পথ থেকে সরে এসে তাদের নিরাপদ পানি সরবারহে মন দেয়া দরকার।

দরকার পানির গুণগত মান রক্ষ, উচ্চমান সরবারহ নিশ্চিত করা।

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন। ফিল্টার আমার বাসায়ও আছে। তবে বিষয়টা আপনার মত এভাবে ভেবে দেখিনি।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, প্রায় সবার বাসায় এখন ফিল্টার আছে!

তবে দীর্ঘমেয়াদে ফিল্টার পানির বিপদ সম্পর্কে যেহেতু গবেষণালভদ্ধ সিদ্ধান্ত চলে এসেছে তাই ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি প্রশাসনিক পর্যায়ের সচেতনতা দরকার হয়ে পড়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.