![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন বাসে একটি ছোট্ট ঘটনা মনে বেশ দাগ কেটে যায়। তিনসারি সামনে বসেছিলেন এক প্রবীণ ভদ্রলোক। কন্ডাক্টর, বয়স ১৮-১৯ হবে, ভাড়া নিতে আসলে লেগে যায় গোলমাল। কি নিয়ে লেগেছিল খেয়াল করিনি। কিন্তু পরবর্তি কথামালা কিছুটা এরূপঃ
প্রবীণ যাত্রীঃ বেয়াদপি করস, বয়স্কদের সাথে কেমনে কথা বলতে শিখস নাই?
কন্ডাক্টরঃ বেয়াদপি কিছু না। ভাড়া যেটা দিবেন।
প্রবীণ যাত্রীঃ (আশে পাশে তাকিয়ে) তোমরা চেয়ে দেখতেস কি? আমি ৭১ এ যুদ্ধ করসি। মাইর দাও না কেন।
**অন্যান্য যাত্রী নিরুত্তর**
কন্ডাক্টরঃ আপনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
প্রবীণ যাত্রীঃ দেখস? দেখস? ধরো ওরে। মাইর লাগাও। ( মারতে তিনিই কিন্তু পারেন। হাত পা ভালই আছে দেখেছিলাম।)
**এবারও যাত্রীরা নিরুত্তর**
কন্ডাক্টর আর কিছু না বলে এগিয়ে যায়। ঘটনা এখানেই শেষ।
আমার মনে তখন চিন্তার ঝড় বইছে। ধরে নেই, তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। সন্দেহ এ জন্যই যে, মুক্তিযোদ্ধার ব্যাবহার এরকম হয় না। তিনি এভাবে বলতে পারেন না যে, ধরো ওকে- মাইর লাগাও। যুদ্ধ করেছিলেন যে প্রজন্মের জন্য, তাদেরই এভাবে পিটুনি দিতে বলা তার শোভা পায় না। তাছারা পাক হানাদার বাহিনির সাথে যুদ্ধ করেই থাকেন যদি, বাস কন্ডাক্টরকে পিট্টি দিতে তিনি একাই একশো।। ব্যাপারটা কতটা খারাপ অনুধাবন করতে কষ্টই হয়। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার টপিক নিয়ে মাঝে মাঝেই আলোচনা দেখি। মন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের নিচ পর্যন্ত এ রকম হাজার মানুষ আছে যারা মুক্তিযোদ্ধা খেতাব নিয়ে সুবিধা ভোগ করতে চায়। উপরওয়ালাই জানেন, তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার মাঝে কতজন আসল আর কতজন ভুয়া।।।
এখন ধরে নেই, তিনি আসলেই মুক্তিযোদ্ধা। তাহলে তখন তাঁর মনে কি চলছিল? তিনি কি ভাবছিলেন না যে কাদের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। কি দরকার ছিল এই জাতির জন্য রক্ত দেবার?? হয়ত তাই ভাবছিলেন।
সারমর্মঃ
আমরা আসলেই কি পেরেছি দিতে জাতির বীরদের উপযুক্ত সম্মান? মুক্তিযোদ্ধা কোটা আর ভাতাই তাদের ত্যাগের প্রতিদান? তালিকার বাইরে আরও কত মুক্তিযোদ্ধা আছেন তার কোন হিসাব নেই। কতজন যে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন আমাদের জানা নেই। মাঝে মাঝে হয়ত মিডিয়াতে কারও ফিচার ছাপা হলে আমরা জানতে পারি। জেনেও বা আমরা কি করি? কিছুই না। কথায় আছে, যে জাতি বীরদের সম্মান দিতে জানে না, সে জাতিতে বীরের জন্ম হয় না। কথাটি যে কতটা সত্য, আমরা এখন প্রতিটা মুহুরতে টের পাই। এটা কোন সমস্যা না যে এর সমাধান নিয়ে কিছু ভাবব। এটা জাতির ব্যর্থতা। আমার, আপনার, আমাদের সবার।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব; উনারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে রাখলে, কেহই উনাদের হত্যা করতে পারতো না, জাতি সঠিক হাতে থাকতো, মুক্তিযু্দ্ধের স্বপ্ন সফল হতো।
আপনাদের তেমন কিছু করার নেই; ওঁদের নিয়ে লেখেন, পড়েন, আফসোস করেন, এটুকুই!
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৮
ফজলে মাহ্বুব জয় বলেছেন: What do you have to do?
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: What do you have to do?
Nothing, the youngest FFs are now 62 years old; and the oldest one is 118 years old(Colonel Rob); they will be gone in next 25 years, that all.
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
বাসের লোকটা অবশ্যই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। কারণ, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা কখনো বাসের ভাড়ার জন্য নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ব্যবহার করতো না।
তবে, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সঠিক সম্মানটা দেওয়া হয়নি কখনোই। শুধু কোটাটাই দেওয়া হয়েছে। সেটাও অবশ্য তাদের সন্তান-সন্তুতিদের উপকারের জন্য আসছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাঁতাও তো অপ্রতুল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাই মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা এভাবে আড়ালে পড়ে থাকায় - ভুয়ারা সুযোগ পেয়ে গেছে সুবিধা আদায় করার।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০০
মার্কো পোলো বলেছেন:
বলার কিছু নাই।