নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফজলুল করিম ফারাজী

ফ্‌জলূল করিম

কল্পনায় আজো পুষেরাখি তোরে স্মৃতির পাতাঁয় স্বর্ণাক্ষরে বেধেঁছিলে মোরে যেমন করে বিনিসূতায় রঙিন খামে।

ফ্‌জলূল করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘবতী ফিরে এস

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

শ্রাবণের রাত দীর্ঘ রাত। এপাশ ওপাশ করে কাত হয়ে কখনও বা সোডিয়াম লাইটের মৃদু আলোয় কল্পনার রথে বিচরন করছে শুভ্র নামের এই মানুষটি। কেন জানি তার এ অস্তিরতা । ধ্যানের অবয়বে চোখের কোনে কখন যে মেঘবালিকা সান্ত্বনা দিয়েছে একটুও টের পায় নি। মাঝ বয়সী এ মানুষটা শুধু আজকার এ রাত ই না বিগত তেরটি বছর নিদ্রাহীন কেটেছেন এভাবে। আজও ব্যতিক্রম হয় নি। চোখের নিছে কালো দাগটি এখনও অপেক্ষা করে কিছু পাবার আশায়। সময়ের টানাপোড়নে ফুলে থাকা পাপড়িগুলোও ঝড়ে যাচ্ছে একটি দুটি করে । যে আমাবশ্যা রাতের জন্য দেবতাদের প্রহর কাটত। সেই রাত যেন প্রতিদিন উকি দিয়ে যায় শুভ্রের জানালায়। লক্ষভ্রষ্টে হারিয়ে যাওয়া পথে আজও স্বপ্ন আকেঁ। তবে সেটা রংহীন স্বপ্ন। মনের ক্যানভাসের সমস্ত রং যে অশ্রুজলে একাকার হয়েছে শুভ্র কোন ভাবেই মানতছে না। পুরোনো স্বপ্নগুলো সেদিনও শাসিয়েছে। আর কখনও আসবে না বলে। নিয়তি তো বরাবরই লেপাত্তা। শুভ্রের কাছের মানুষ বলতে একজনই আছে দিঘি। শুভ্রের ঘরে তিন বেলা খাবার পাঠানোর দায়িত্ব্যটা খুব সহজে মানিয়ে নিয়েছে প্রাইমারী পড়ুয়া মেয়েটি। ছোট ভাইয়ের মেয়ে দিঘিকে দেখে যেন ভিতরের কষ্টটা প্রচন্ড বাড়ে। নাক বেয়ে উষ্ন পানির ফোটা খেলা করে জামার আস্তিনে। ভাই পোর দৃষ্টি এড়াতে শুভ্র ভান করে চোখে কিছু পড়েছে। ছোট মেয়েটির কাছেও অভিনয়ে সে ব্যর্থ। দিঘি শুভ্রকে এর কারন জানতে চাইলে। শুভ্র নিবার্ক চেয়ে থাকে। কোন প্রতিত্তুর না করে প্রসঙ্গ পাল্টানোর চেষ্টা করে। জেদ বলে কথা। শুভ্রকে বলতেই হল নিজের আত্মার কথা ভাল লাগার কথা। আর যে স্বপ্নে একাকি পথ চলা। হ্যা তখন আমি তোমার আব্বু একসঙ্গে কলেজ যেতাম। আমাদের পাড়া থেকে কলেজ দুরত্ব মাইল দুয়েক। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার পথ চেয়ে থাকত শ্রাবনী নামের মেয়েটি। ক্রমাগত শুভ দৃষ্টির মন্থনে হ্রিদয়ে কিসের যেন সাড়া অনুভব করি। কলেজ যাওয়ার প্রবণতার চেয়ে নীল চোখের আড়ি চাহনি আমায় যেন উন্মাদ করে তোলে। আবেগের মোহনায় ভাসিয়ে থাকা বিন্দুটি তীব্র ছুটে যায় শ্রাবনীর কাছে। সাহস নিয়েও বললাম ভালবাসি। সেই থেকে পথ চলা তিনটি বছর। লাজুক মেয়েটি অনেক ভালবেসেছিল আমায়। বিন্দু বিন্দু করে গড়ে তোলা প্রেম টিলা পাহাড়সম হতে চেয়েছিল। কিন্ত কোথা হতে উড়ে আসা দৈত মানব এক ঝাপটায় বিচুর্ন করে দিল সব স্বপ্নকে । আমার আরাধনার চাওয়া এই পাখিটি মিশে গেল দুর আকাশে। পাখির চলে যাওয়া ছায়া এখনও মেঘেদের সাথে কথা বলে লুকোচুরি খেলে । আমিও পথ চলি স্বপ্ন আকি পথ চেয়ে থাকি ছায়ার অপেক্ষায় দীর্ঘরাত পর্যন্ত ভোর এই বুঝি এল বলে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: ভাল লাগল :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.