নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিৎকার করে বলি হাত দুটি ধরে তোমার, তুমি আমার রাজকন্যা

টম এন্ড জেরি

আমি টম এন্ড জেরি মিয়াও

টম এন্ড জেরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশাল ভোগান্তিতে আছি (পরামর্শ চাই)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫





প্রায় তিন মাস আগে থ্রিজি চালাব ভেবে অনেক শখ করে একটা ওয়ালটন প্রিমো জি ওয়ান হ্যান্ডসেটটি কিনেছিলাম। ভেবেছিলাম দেশি পণ্য কিনব আবার দাম ও দেখলাম অনেক কম। যদিও মনে একটা সন্দেহ ছিল, কেননা স্যামসাং কিংবা সনির মত বিশ্বমানের একটি কোম্পানি যে কনফিগারে যেই দাম রাখে ওরা সেম কনফিগারেশনে এত কম দাম কিভাবে রাখে!! কেনার পর সেট চালিয়ে বুঝলাম ঘটনা কি। এত বাজে অভিজ্ঞতা হবে সেটা ভাবিনি। যেমন কেনার সময় দেখলাম ২১০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার হার্জের ব্যাটারি, কিন্তু কিছুদিন সেট ব্যাবহারের পর দেখলাম চার্জ থাকেই না থ্রিজি তে! অথচ আমার বন্ধু স্যামসাং গ্যালাক্সি গ্যালাক্সি এস ডুয়োস সেটে থ্রিজি চালায় এবং তার ফোনে সারাদিন চার্জ থাকে অথচ তার আর আমার সেটের ব্যাটারির রেটিং একই!! সারাদিন ফোনে চার্জ দেয়া যে কি বিরক্তিকর ব্যাপার সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। এ তো গেল ব্যাটাটির কথা। নেট ইউজ করলে সেট হ্যাং হয়ে যায়। মূলত আমার সবসময় নেটে একটিভ থাকা লাগে বলেই কিন্তু স্মার্টফোন এবং থ্রিজি সিম নেয়া। নেটে থাকলে একটু পর পর যদি হ্যাং হয়ে যায় তবে আর লাভটা কি হল আমার থ্রিজি ব্যাবহার করে! আবার হুটহাট কত সমস্যায় যে পড়তে হয় সেগুলোর হিসেব দেয়া সম্ভব না। যেমন খুব জরুরি একটা মেইল করতে হবে, ল্যাপটপ সাথে নেই কারণ আমি তখন বাইরে। ভাবলাম ফোন থেকেই করি। একটা ডকুমেন্ট এটাচ করার জন্য ৩ বার চেষ্টা করলাম কিন্তু কোন লাভ নাই। প্রত্যেকবার আশি ভাগ আপলোড হওয়ার পর দেখি প্রোগ্রাম আর রেসপন্ড করে না। কোন লেভেলের মেজাজ খারাপ হয় তখন! পরে আমি খবর নিয়ে দেখি এইসব ফোন যারা কিনেছে তাদের সবাই এ ধরণের ভোগান্তিতে আছে। এবং আরও জানলাম ওদের দেশি পণ্য বলাটা একটা ব্যবসায়িক কৌশল মাত্র কেননা এরাও চায়না থেকে নিম্নমানের সেট আমদানি করে দেশি পণ্য বলে চালায়। আমি কয়েকটা সমস্যা নিয়ে ওদের সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

এ ব্যাপারে আমার মনে হয় সচেতন মানুষের দৃষ্টিপাত করার সময় এসেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এবং আরও জানলাম ওদের দেশি পণ্য বলাটা একটা ব্যবসায়িক কৌশল মাত্র কেননা এরাও চায়না থেকে নিম্নমানের সেট আমদানি করে দেশি পণ্য বলে চালায়। আমি কয়েকটা সমস্যা নিয়ে ওদের সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে আমার মনে হয় সচেতন মানুষের দৃষ্টিপাত করার সময় এসেছে।

ঘটনা সথ্যি হলে খুবই দু:খজনক!

আসলে বানিজ্যের নামে যখন প্রতারণা হয় তখন এমনই হয়!!!!

এদের বিবেক বুদ্ধি রুচি মনুষ্যত্ব কোন বিচারেই সুস্থ বলা যায় না!!!

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: এরা উচুঁ শ্রেণীর প্রতারক।
তালিকায় আছেঃ
প্রথমেই সিম্ফনি। (নেট ঘেটে বিদেশী মনে হলো না।)
তারপর ওয়ালটন। (চায়না মাল সম্বন্বয় কারী একটা বাংলাদেশী উদ্যোগ)
আরএফএলঃ কিছু মাল এখানে তৈরী, বাকী মাল চাইনীজ।
সিঙ্গার ঃ আগে ভালো ব্রান্ডের প্রতিনিধি ছিল। এখন এরাও ঐ কাতারে।
রহিম আফরোজ ঃ ওদের সাভির্স সেন্টারের কিউ দেখলে বোঝা যায় কি তারা করতেছে। ওদের ব্যাটারী সন্দেহজনক।

সম্প্রতি ফার্নিচার কোম্পানীগুলো প্রতারণার ঐ মিছিলে সামিল হয়েছে।

আরো ভয়াবহ হোল, বৈধ স্যামসাং, সনি, নোকিয়া বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের পণ্য সম্ভারে ভেজাল মাল আসল মালের সাথে মিলিয়ে বিক্রি করছে।

বাংগালী চোরই রয়ে গেল, মানুষ হোল না।

সচেতনতা ছাড়া গতি নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.