![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সনাতন ঘোষ ব্যক্তিটি যে কতটা রহস্যময় আর অদ্ভুত সেটা তার ডাইরি না পড়লে বোঝা যাবে না।মিহির বাবুর ভূত গল্পটা পড়ার পর নীলক্ষেত ঘুরে তাঁর আরও ৭ খানা ডাইরির সন্ধান পেলাম।হাতে টাকা না থাকায় দুইটার বেশি কিনতে পারলাম না। সেই দুটোর মধ্যে প্রথমটায় একটা কাহিনী পড়ে বেশ ভালই লাগলো।প্রথম ডাইরি পড়ে তার শেষ অংশে গিয়ে পূজা দেবীর সাথে তাঁর বিয়ের কথা পাওয়া যায় আর দ্বিতীয় ডাইরির শুরুতে তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কার জন্মের কথা পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ডাইরির শেষ অংশে এসে মেয়ে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বেশ মজার এক ঘটনার কথা লেখেন তিনি।আমি সেই ঘটনা সনাতন বাবুর জবানিতে তুলে ধরছি-
চাকরিতে যে বেতন পাচ্ছি তাতে বেশ চলে যাচ্ছে আমার। তবে এখন শুধু আমার নিজেকে নিয়ে ভাবলে হবে না।পূজা আর প্রিয়াঙ্কাকে নিয়েও ভাবতে হবে। পূজার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে বাবা যেন তাঁর খ্যাপা গরুর গলায় দড়ি বাঁধলেন।তবে পূজাকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়াটা সত্যিই বড় ভাগ্যের ব্যাপার। সুগৃহিণী হিসেবে ওর কোনই জুড়ি নেই।স্বপাক ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে হওয়ায় আমাদের বাড়ির মানুষ গুলোর সাথে ভালভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছে।আমাদের দুই ভাইয়ের বিয়ে দিয়ে বাবা স্বর্গযাত্রা করলেন।আমাদের জন্য সবই করেছেন ঠিকই কিন্তু ছোটবোন চৈতীর আর বিয়ে দেওয়া হয়নি।তাই বড় সন্তান হিসেবে সেই দায়িত্ব এসে পড়ে আমার উপর।
আমার একমাত্র মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দেখতে হুবহু আমার মত হলেও ওর চরিত্রের
সাথে পূজার আশ্চর্য মিল রয়েছে।যদিও আমি চাইনা আমার মত বদ লোকের অভ্যাস আমার মেয়ের মধ্যে দেখা যাক।বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রিয়াঙ্কাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলাম।কারণ এটাও চাই না আমার কিংবা পূজার মত অকাট মূর্খে পরিণত হোক।তাঁর পড়াশুনা ঠিকঠাক মত যাতে হয় তাই তার জন্য একটা পড়ার ঘর তৈরী করে দিলাম। ওই ঘরে পড়ার সময় কেউ তার কাছে যায় না কারণ যাতে তার পড়ার কোন ক্ষতি না হয়।
অন্যদিকে আমার চাকরিও বেশ ভালই চলছে।নিজের সততা,কর্মনিষ্ঠা সব মিলিয়ে উপরওয়ালাদের সুনজর পেয়ে গেলাম সে সাথে বেতন কিছুটা বেড়েছে আগের থেকে বেশী।তাই বেশ সুখেই আছি।কিন্তু ভগবান কিছুতেই বেশিদিন স্থায়ী হতে দিলেন না।চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ একদিন চিঠি পেলাম বাড়ি থেকে যে-প্রিয়াঙ্কা খুবই অসুস্থ।তাঁর পুরো শরীর ফুলে উঠেছে আর প্রচণ্ড ব্যাথায় ভীষণ জ্বরে পড়েছে।গ্রামের বৈদ্য-কবিরাজ কেউই কিছু করতে পারছে না।এমনকি গ্রামের বিখ্যাত জীবন দত্ত প্রিয়াঙ্কার স্বর্গ যাত্রাওনিশ্চিত করে ফেলেছেন।আমি যেন তাড়াতাড়ি গ্রামে ফিরে আসি।
একমাত্র মেয়ের এই অবস্থা শুনে আর ঠিক থাকতে পারলাম না।দ্রুতই ছুটি নিয়ে গ্রামে ফিরে এলাম।এসেই দেখি পুরো পরিবারের সবাই দুঃখে অস্থির আসলে প্রিয়াঙ্কার এই অবস্থা কেউই মানতে পারছে না।আদুরে মেয়ে ছিল সবারই তাই প্রিয় মেয়েটার এই অবস্থাটা কেউই মানতে পারছে না।আমিও প্রিয়াঙ্কা দেখে প্রায়ই কেঁদে দিয়েছি।প্রিয়াঙ্কার নরম ছোট্ট দেহ যেন এক কুৎসিৎ প্রাণীর দেহে পরিণত হয়েছে।পুরো দেহ ফুলে ঢোলে পরিণত হয়েছে আর সে সাথে লাল লাল ছোপ সব মিলিয়ে যেন প্রিয়াঙ্কা নয় এক আজব এক প্রাণী শুয়ে আছে।পাশেই দঁড়িয়ে পূজা অঝোরে কান্না করছে।ওর কান্না দেখে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না.... অঝোরে কান্না শুরু করলাম।এমন সময় বাড়িতে আসল কবিরাজ জীবনদত্ত।লোকটাকে আমি তেমন একটা দেখতে পারি না কিন্তু কবিরাজিতে সে সম্পূর্ণ অপরাজেয় কিন্তু কোন অজানা কারণে তাকে আমার ভণ্ড বলেই মনে হয়।ঘসে এসে আমার কাধেঁ হাত রেখে বলল,"ও সনাতন, কেঁদোনা বাবা গিয়ে মেয়ের স্বর্গযাত্রার আয়োজন কর"
কথাটা শুনে আমার রক্ত মাথায় উঠে গেল।পাশেই থাকা একটা লাঠি নিয়ে করলাম তাড়া......তবে বিপদে ধৈর্য না হারানোর মত সাহস আমি আমার চাকরির সুবাধে পেয়েছিলাম।জীবন দত্তকে তাড়া করে এসে আমি আমার ব্যাগ থেকে একটা পেইন কিলার ইনজেকশন বার করে সেটা প্রিয়াঙ্কাকে দিলাম আর কিছু ঔষধও দিলাম তাকে।বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে হয় বলে এসব আমার ব্যাগে সবসময় থাকে।
ইনজেকশন আর ঔষন দেওয়ার ঠিক ঘণ্টাখানেক পর সবাইকে অবাক করে প্রিয়াঙ্কা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল।সে সাথে তার শরীরের ফোলা আর লাল লাল ছাপ গুলো কোথায় যেন মিলিয়ে যেতে লাগল।আর তারও প্রায় ঘণ্টাখানেক পর প্রিয়াঙ্কা শোয়া থেকে উঠে সারা ঘরময় ছুটোছুটি করতে লাগল।
জীবন বাবুকে তাড়া করেছি শুনে আমাদের বাড়িতে এমনিতেই ইতিমধ্যে পুরো গ্রাম এসে হাজির হয়েছে।কিন্তু এই কাণ্ড দেখে এতক্ষণ যারা আমার মুণ্ডুপাত করছিল তারাই এখন আমার মুণ্ডুউত্তোলন করতে লাগল।কেউ কেউ আমাকে মস্ত জাদুকর আখ্যাও দিয়ে দিল।যদিও জাদুকর বা ডাক্তার কোনটাই আমি নই,চাকরির সুবাধে পাওয়া অভিজ্ঞতারই প্রতিফলন ঘটালাম কেবল।তবে এ কারণে জীবন দত্তের প্রতিপত্তি যে কমে যাবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।আর তিনি যে এমুখী আর হবেন নাএ ব্যাপারেও আমার কোন সন্দেহ নেই।তবে এ ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই-যুগে যুগে ভণ্ডদের এভাবেই সাজা দিতে হয়।
এদিকে প্রিয়্ঙ্কার চঞ্চলতা সময় সময় যেন আরও বেড়ে গেল।এজন্য বাড়ির সবাই বেশ খুশি এমনকি পূজাও।পূজার খুশি হওয়ার প্রমাণ পেলাম দুপুরে আমার জন্য মজার মজার খাওয়ার আয়োজন দেখে।এসব দেখে ওর প্রতি আমার ভালবাসা দ্বিগুণ বেড়ে গেল ঠিকই তবে আমার জাদু দেখে আমার প্রতি ভালবাসা তার বেড়েছে কি না কে জানে....নারীর মন.... বোঝার সাধ্য নেই আমার।
সারাদিন আর তেমন কিছুই ঘটল নাতবে রাতের দিকে খেতে আসার সময় দেখি প্রিয়াঙ্কা বেশ চুপচাপ।সেটিকে তেমন কোন গুরুত্ব দিলাম না।কারণ সদ্য সুস্থ হয়েছে আর সে সাথে মায়ের ভয়ে পড়তে যাওয়া আর অতিরিক্ত চঞ্চলতা সব মিলিয়ে হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
কিন্তু সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সবার কান্নার রোল শুনে বেশ ভয় পেয়ে গেলাম।গিয়ে দেখি প্রিয়াঙ্কা আবার সেই কুৎসিত জীবে পরিণত হয়েছে ঠিক আগের দিনের মতই সারা শরীর ফোলা এবং লাল লাল ছোপ। আগের দিনের ঘটনার পর থেকে আমার গ্রামে জনপ্রিয় হয়ে পড়েছিলাম তাই অসুখের কথা শুনে পুরো গ্রাম আমাদের এখানে এসে পড়ল।আমাকে দেখেই তারা অনুরোধ করতে লাগল যেন গতদিনের জাদু আবার প্রয়োগ করি।কিন্তু গতদিনের পেইন কিলারের ব্যাপারটা যে কোন জাদুই নয় সেটা আমার পক্ষে ওদের বোঝানো সম্ভব নয়।তবুও মেয়ের কষ্ট আর সইতে না পেরে আবার সেই পেইন কিলারটা তার উপর প্রয়োগ করলাম। আর ঠিক ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সব স্বাভাবিক।তবে আমার এসব তথাকথিত 'জাদু' গ্রামের মানুষ যেভাবে দেখছে ভয় হতে লাগল শেষমেশ আমাকে ফরেস্টের চাকরে ছেড়ে ডাক্তারির কাজ করতে নাহয়।
. কিন্তু অদ্ভুত যেন কিছু ভর করেছে আমার মেয়ের উপর।কারণ ঠিক পরদিনই আবার ঠিক আগের মত অসুস্থ হয়ে পড়ল আর আমিও আমার পেইন কিলার জাদু প্রয়োগ করলাম।আবারও সব আগের মত।এভাবে একই ঘটনা পর পর চারদিন ঘটল।কিন্তু স্থায়ীভাবে আমার মেয়ে আর সুস্থ হতে পারল না।এ দিকে আমার ছুটির মেয়াদও প্রায় শেষ তাই আবার চাকরিতে গেলাম ছুটির মেয়াদ আরও কিছু বাড়াতেআর পেছনে রেখে গেলাম পূজার কান্না আর প্রিয়াঙ্কার অনিশ্চিত রোগের শঙ্কা।
চাকরিতে ফিরে বড় বাবুদের মেয়ের কথা বলতেই তাঁরা ছুটি আরও সপ্তাহ খানেকের জন্য বাড়িয়ে দিলেন।
ছুটি নিয়ে ট্রেন করে বাড়ি ফিরছি।ফেরার পথে চিন্তা করছি কি করে এমন হল।চিন্তা করতে প্রথমদিন প্রিয়াঙ্কা কোথায় কোথায় গিয়েছিল।মনে করে দেখলাম সুস্থ হওয়ার সময় প্রিয়াঙ্কা তেমন বাইরে কোথায় যায় নি বিশেষত ওর মা পূজা কোথাও যেতে দেয়নি।তবে হঠাৎ মনে পড়ল যে ও খানিক সময়ের জন্য পড়ার ঘরে পড়তে গিয়েছিল আর তখনই ও আমাদের চোখের আড়ালে ছিল।তবে কি ওই পড়ার ঘরে এমন কিছু আছে যাতে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে?
তাই বাড়ি ফিরে এসে সোজা ঢুকলাম প্রিয়াঙ্কার পড়ার ঘরে।এসেই আঁতিপাতি করে খুঁজলাম পুরো ঘর তখনই তার চেয়ারের নিচে একটা সাদা রঙের খোলস পেলাম যেটা একটা মাকড়সার ডিমের খোলস।খোলসটা হাতে নিতেই আমার মনে পড়ে গেল ঠিক তিন মাস আগের একটা ঘটনা-আমাদের এক ভ
বন্ধু নাম রিফাত একবার এক মাকড়সার কামড় খেয়ে এভাবেই অসুখে পড়েছিল পরে অনেক চেষ্টায় তাকে সুস্থ করা যায়।তাই আমি মনে মনে সন্দেহ করলাম যে-কোন মাকড়সারই কর্ম এটা আর দেখাই যাচ্ছে সেই মাকড়সা তার উপস্থিতি এই ডিমের খোলস দিয়ে প্রমাণ করেছে।তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আজ রাতে প্রিয়াঙ্কা যখন পড়তে আসবে তখন আমিও আসব তার সাথে দেখা যাক কি হয়.....
রাত আনুমানিক ৮টা তখন প্রিয়াঙ্কা তার ঘরে এসে পড়তে আসল।আমার পেইন কিলার জাদুর বদৌলতে ও এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।ও যখন পড়তে বসল তার ঠিক পাঁচ মিনিট পর আমিও আসলাম ওর ঘরে।আমাকে খানিকটা অবাক হল সে জিজ্ঞেস করল,"বাবা,তুমি এখানে যে?"
তখন আমি একটা গামছা মেঝেতে বিছাতে বিছাতে বললাম,"তোর মা আজ আমায় ঘর থেকে বার করে দিয়েছেন,তাই তোর কাছে আসলাম।আমায় থাকতে দিবি না মা?"
প্রিয়াঙ্কা তখন হেসে বলল,"মা বকা দিয়েছে?
ঠিক আছে মাকে আমি আচ্ছা করে বকে দিব।"
মেয়েকে ইচ্ছা করেই বলতে হল মিথ্যেটা না বলা ছাড়া উপায় ছিল না।
এইভাবে ও পড়তে শুরু করল আর আমিও শুয়ে শুয়ে মেয়ের দিকে লক্ষ্য রাখলাম।এভাবে ঘণ্টাখানেক কেটে গেল।হঠাৎ দেখলাম একটা মাকড়সা প্রিয়াঙ্কার শরীর বেয়ে উপরে উঠতে লাগল।তবে সেদিকে প্রিয়াঙ্কার কোন দৃষ্টি নেই সে বেশ মন দিয়ে পড়ছে।তবে মাকড়সাটা ওর কনুইয়ে উঠার সাথে সাথে আমি লাফ দিয়ে উঠে খপ করে মাকড়সা ধরে ফেললাম।আমার এই কাণ্ড দেখে প্রিয়াঙ্কা বেশ অবাক হয়ে বলল,"কি ব্যাপার বাবা?"
আমিও পরম স্নেহে ওর মাথায় হাত দিয়ে বললাম,"কিছু না মা।তুমি পড়ে নাও।"
এই বলে আমি মাকড়সা হাতের মুঠোয় নিয়ে বাইরে চলে এলাম।তারপর মুঠো খুলে দেখলাম একটা বেশ বড় আকারের একটা মাকড়সা তার গায়ে ছোট ছোট দাগ দেখে বুঝলাম বেশ বয়সও হয়েছে।মাকড়সা দেখেই বাইরে ফেলে দিতে পারতাম কিন্তু এই আমার মেয়েকে কষ্ট দিয়েছে তাই এটাকে বধ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।এই চিন্তা করে মাকড়সাটাকে হাতের চাপে মেরে ফেলতে চাইতেই একটা চিঁ চিঁ আওয়াজ শুনে বেশ অবাক হলাম।বুঝলাম এটা সেই মাকড়সাটা করছে অর্থাৎ বাঁচার চেষ্টা করছে কিন্তু আমি সে সব গ্রাহ্য করলাম না হঠাৎ একটা ঝাঁ ঝাঁ করে শব্দ হল তারপর সেই চিঁ চিঁ আওয়াজটা আমার কাছে একটা মানুষের আওয়াজে পরিণত হল-মাকড়সাটা হুবহু মানুষের মতই বলতে লাগল-"মাফ করবেন সনাতন বাবু আমি এক মন্ত্রসিদ্ধ মাকড়সা।মন্ত্র বলেই আমি আপনার কর্ণকে দিব্যকর্ণে পরিণত করলাম।আগে আমার কথা শুনুন তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন আমায় বধ করবেন কি না।
তখন আমি খানিকটা অবাক হয়ে বললাম,"ঠিক আছে বল।"
তখন মাকড়সাটা বলল,"আজ আপনি আমায় মারতে চাইছেন আপনার কন্যাকে কামড়েছি বলে কিন্তু আপনার মেয়ে আমার ডিম ফুটে বের হওয়া দুই পুত্রকে পিষে মেরেছে।তাই আমি রেগে আপনার মেয়েকে কামড়েছি।এখানে কি আমার কোন দোষ আছে? আমি চাইলে আপনার মেয়কে মন্ত্র দিয়ে অনেক ক্ষতি করতে পারতাম কিন্তু তা করি নি।এখন আপনি যদি আমায় দোষী মনে করেন তবেই আমাকে বধ করবেন"
সব শুনে আমি বললাম,"না তোমার কোন দোষ নেই সব দোষ আমার মেয়ের।তবে আমি আমার হয়ে আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি আপনি আমার মেয়েকে ছেড়ে দিন।আমি কালকেই আমার মেয়েকে শাস্তি দেব।"
তখন মাকড়সাটা খানিকটা খুশি হয়ে বলল,"আপনি যদি শাস্তি দেন তাহলে আমি কিছুই করব না।তবে এবার আমায় ছেড়ে দিন।"
কথাটা শুনে আমি মাকড়সাটাকে ধীরে মাটিতে নামিয়ে দিলাম আর সাথে সাথে সেটা চলে গেল।
পরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত- পুরো ঘটনাটা আমি পূজা আর প্রিয়াঙ্কাকে বললাম।আর জীব হত্যার দায়ে প্রিয়াঙ্কাকে সারাদিন কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখলাম।
আগের বার প্রিয়াঙ্কাকে বাঁচায়ে ছিলাম তাই আমার প্রতি পূজার ভালবাসা উথলে উঠেছিল বলা যায় তবে এবার স্থায়ীভাবে বাঁচালাম তবে কান ধরানোর মাধ্যমে তাই ভালবাসার বদলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল ভালবাসা তো দূরে থাক একটা মিষ্টি কথাও মুখ দিয়ে বেরুলো না-মেয়েদের মন,বোঝা বড় দায়.....
©somewhere in net ltd.