নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু কথা কিছু ব্যথা

ফেরদৌস প্রামানিক

আমি মানুষ হিসেবে একটু ভাবুক টাইপের , যেসব ভাবনার সমাধান আগে হয়নি আর সামনেও হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই ।

ফেরদৌস প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুনশ্চ বিলাসী !

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩০



ফেরদৌস

বিলাসীর সাথে আবার দেখা হবে তা আমার কল্পনার অতীত ছিল, তার উপর আবার মৃত্যুঞ্জয়কে সাথে নিয়ে - এ যেন অলৌকিকতাকে হার মানিয়ে দিল৷ যখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র, হালকা বাতাসে মাথার সামনের চুলগুলো ফুরফুর করে উড়ে যেতে চায়, আর মনটা সেই বাতাসের আগে আগে ছুটে চলে, তখনই হুট করে একদিন বিলাসীর দর্শন পেলাম ৷ খুব নিরীহ গোছের এক গ্রাম্য মৌলভি সাহেবের ঘরে তার আগমন, যেন বাবার চেয়ে সে আরও বেশী নিরীহ, সাদামাটা, বেশ খানিকটা সরলা আর নুইয়ে পড়া বন্য লতার মত লাজুক৷ ৷ চোখ জোড়ার ভ্রু তরবারীর মত বাকা ও তীক্ষ্ণ, হরিণীর নেত্রের মত নিবিড় কালো৷ মুখটা ভারী মমতায় ভরা৷ দৃষ্টি বিনিময়মাত্র সে মমতা জোয়ারের মত ফুলে ফেঁপে কয়েকগুণ হয়ে উঠে মনের অজান্তেই ৷ হাল ফ্যাশনের দুনিয়াদারীর ঘোরপ্যাঁচ তার সরলা মনকে এখনও চালাক- চতুর বালিকা বা কিশোরীতে পরিণত করতে পারেনি ৷ তাই তারে অবুঝ বললেও অত্যুক্তি হবেনা৷ যাহোক, সেদিন ছিল কলেজের প্রথম দিন ৷ বালকপ্রাণ আজ হতে কৈশোর বা কেউ কেউ তারুণ্যের আঙ্গিনায় পা রাখবে, তারুণ্যের ছটায় তাদের চোখে মুখে পরিপক্বতা ফুটে উঠবে, পিতামাতার শাসনের খোলস হতে শামুকের মত মুখটা বের করে উঁকি মেরে দুনিয়ার তাবৎ মজা সামান্য পরিমানে চেখে নেবে - এই খুশিতে তাদের চোখমুখ যেন জ্যোৎস্না আলোয় চকমক করছে ৷ ঘণ্টা বাজামাত্র শিক্ষক মহোদয় ক্লাসে উপস্থিত ৷ আমরা পুরাতন ছাত্রগুলি এই স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল পর্ব শেষ করে কলেজের অধিপতি বনে গেছি ৷ আর যারা দূর দুরান্ত থেকে এসে ভর্তি হয়েছে তারা আমাদের উজির, মন্ত্রী, পেয়াদার আসন নিয়েছে - এইরকম ভাব আমাদের মনের মধ্যে আনাগোনা করছে ৷ নতুনদের স্যার জেরা শুরু করলেন ৷ কে কোথা হতে, কোন গ্রাম হতে, স্কুল হতে এখানে এসে ভর্তি হয়েছে, কার জিপিএ কত ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ স্যারের জেরার সুবাদে আমাদের জানা হল বিলাসী নিকটের নয়; বরং কিছুটা দূরের গ্রাম হতে পায়ে হেটে অতঃপর ভ্যানযোগে এবং তারপরে চার চাকার বাসে করে এখানে আসে৷ আর এদিকে মৃত্যুঞ্জয় আমার একেবারেই বাল্যবন্ধু, তবে পাড়ার বা গাঁয়ের নয়, এই স্কুলেরই ৷ একসাথে দু'জনের এতই জমতো যে, যখন হাসি একজনের মুখে উঠত তখন আরেকজন তাতে যোগ দিয়ে পুরো এলাকা কাপিয়ে তুলতো৷ মৃতুঞ্জয় বেশ বড় ঘরের ছেলে৷ তার বাপের গোলায় বোরো মৌসুমেই কয়েকশ মন ধানে নবান্ন উৎসব বেশ করে জমে উঠে, কয়েক প্রকারের ব্যবসা আরও কত কি নিয়ে তাদের অর্থ-খ্যাতি ইদানীং অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ৷ সেদিক থেকে বিলাসীর বাপের অবস্থা নিতান্তই শোচনীয় ৷ তাদের ঘরের চৌকাঠে কখনও প্রাচুর্যের ফেরেশতার পা পড়েনি , তবে সুখ নামক পরীর যাতায়াত রয়েছে নিয়মিত৷ হয়তো সে কারণেই বিলাসীর অবয়বে প্রকৃতির শোভা মাখামাখি হয়ে রইলেও তাতে প্রাচুর্যের ছিটেফোটাও নেই একদমই৷ বিলাসী স্বল্পভাষী, মুখের কথা ফোটে একদম যথেষ্ট মেপে মেপে ৷ তার মধ্যে যা কিছু বলে তা একেবারেই প্রয়োজনীয় ৷ যাকে আপন করে নেয় তাকে উজাড় করে বলে হৃদয়-নিংড়ানো হাসি কান্না আর সুখ দুখের সকল পাচাঁলী ৷ বিলাসী জীবনে কখনও বিলাসিতার মুখ দেখেনি, দেখেনি আকাশছোয়া কোন স্বপ্ন ৷ অল্পসুখে কাতর আর অধিক সুখে পাথর- এমনটাই তার ক্ষেত্রে ঠিক মানিয়ে যায় ৷ কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় জীবনে যা পেয়েছে তা আগাগোড়াই দামী, খুব সহজে না চাইতেই, অনেক সময় চাওয়ার চাইতে পাওয়াটাই বেশী, আর সে কারণেই তার দামও নেহায়েত কোন অংশেই কম নয় ৷

দুপুরের টিফিন পিরিয়ডে বিলাসীর সাথে আমাদের কথা হল ৷ কথা যা হল তা প্রধানত মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে, আমি ন্যাড়া হয়ে তাদের পার্শ্ব-দর্শক ৷ মৃত্যুঞ্জয় বলল,
– আপনার নাম বলতে হবেনা, ক্লাসেই জেনেছি ৷ কিন্তু আরো কিছু তো জানতে ইচ্ছে হয় যে! বিলাসী প্রতুত্তরে বলল,
– একদিনে সবই জানলে হবে ? ধীরে ধীরে আপনা আপনি জানতে পারবেন ৷
– আপনাদের বাড়ী তো আকাশতলী গাঁয়ে , কিন্তু তা স্কুল থেকে কোনদিকে ?
– ঠিক আগে যে দিকটায় ছিল এখনো সে দিকটাতেই আছে ৷ বলেই তার উচ্ছ্বসিত হাসি ছড়িয়ে পড়লো ৷ মৃত্যুঞ্জয় তা ঢোক গিলে হজম করলো, বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে! বিলাসী বলল,
– সব তো আজ বলবনা, আপনাকে বললামই ৷ না হয় ঐটুকু পরেই শুনবেন ! এইটুকু বলেই সে মেয়েদের কক্ষের দিকে ত্বরিৎবেগে করে হাটা শুরু করল ৷ মৃত্যুঞ্জয়ের মুখটা খানিক কালো হল, তবে তার ফর্সা ত্বকে আরক্তিম হয়েই ফুটল যা ন্যাড়ার চোখের আড়াল হতে পারলনা কিছুতেই ৷

তার দু চার দিন পর থেকে কলেজে নিয়মিত বিলাসীর সাথে মৃত্যুঞ্জয়ের দেখা হতে থাকল এবং বিলাসী তার জবানকলি হতে একটু একটু করে পাপড়ি মেলে ফুল হয়ে দেখা দিল ৷ সে ফুলের ঘ্রাণে মৃত্যুঞ্জয় ক্রমেই বেহুশ হতে চলল৷ খুব ধীরে ধীরে, লোকালয়ের আড়ালে; তার ভাবনার আপন কক্ষপথে সকাল, বিকাল, দুপুর আর রাত্রির কোন সময়-জ্ঞানের নিয়ম না মেনেই৷ আমি তার খাটি দোস্ত হওয়া সত্ত্বেও উপেক্ষিত হলাম তার মুখ হতে জানার সৌভাগ্য হতে৷ কিন্তু লক্ষণ যা প্রকাশ পেল তাতে আগাগোড়া কিছুই এই ন্যাড়ার কাছে গোপন থাকলো না৷ রোগের লক্ষণ সবটুকুই প্রকাশ পেল৷ এর পরে ক্রমেই কথা চালাচালি বাড়লো, নিকট হতে নিকটতর বন্ধনে বাঁধা পড়লো দুজনেই, তবে তা মোটেই প্রেমের বা ভালোবাসার নয়; শুধুই অসাধারণ এক বন্ধুত্বের ৷ বিলাসী ধীরে ধীরে সমস্ত পাপড়ি মেলে বসন্তের বাতাসে দুলতে শুরু করলো পরিপূর্ণ পুস্পিত ফুল হয়ে৷ কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে আমি আর মৃত্যুঞ্জয় ভার্সিটি অ্যাডমিশান নিলাম ৷ আর বিলাসী জেলা কলেজেই থেকে গেলো ৷ এই বিচ্ছিন্নতার দরুণ বিলাসীর সাথে মৃত্যুঞ্জয়ের মাখামাখির কোন কমতি তো হলই না বরং দূরত্বের প্রসারতায় তাদের মনের যোগাযোগের পথের দৈর্ঘ্য সংকুচিত হয়ে আরও কাছে এসে জমজমাট ভাবে জমে উঠল৷ একের সাথে অপরের খুনসুটি আর অভিমান বাড়তে লাগলো দিনের পর দিন, সে মেঘাভিমান যখন বৃষ্টি হয়ে ঝরতে থাকলো তখন মোমের মত মন দুটি আগুনের স্পর্শ ছাড়াই গলতে শুরু করলো৷ তৃতীয় চরিত্র শুধু আমি, দূরে দাঁড়িয়ে এই জীবননাট্য বেশ করে উপভোগ করছিলাম৷

ছুটির ফাঁকফোকর পাওয়ামাত্রই দুজনে আরো কিছু বন্ধুসমেত ছুটতাম বিলাসীদের বাড়ির পানে৷ যাতায়াত বাড়লো, বিলাসীর বাবা মার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়লো, আমার চাইতে মৃত্যুঞ্জয়ের ঢের বেশী৷ সীমিত সামর্থ্য তাদের কিন্তু আতিথেয়তার আন্তরিকতা দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হলাম৷ মানুষ হিসেবে উনারা অনেক বড় মনের, যথেষ্ট সুশীল ও সভ্য, এবং নিখাদ মানবপ্রেমে হৃদয়গুলো ভরাট তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে টের পেলাম এই ঘন ঘন তাদের বাড়িতে হানা দেওয়ার সময়ই ৷ বিলাসী ধীরে ধীরে তার আপন সীমানা পেরিয়ে বাইরে আসলো, হারিয়ে যেতে চাইলো, তার অসীম আকাশে কল্পনায়, মুক্ত পাখি হয়ে ডানা মেলে। বিলাসী কথাবার্তায় টালমাটাল হয়ে গেল, কাজে কর্মে এলোমেলো হয়ে গেলো, পড়াশুনা করতে গিয়ে বইয়ের পাতা উল্টে বটে কিন্তু বিদ্যে বই থেকে আর মস্তিষ্কে ঢোকেনা কিছুতেই । কড়া পরা পুরোনো কাঠের চেয়ারে হেলান দিয়ে বারান্দায় বসে সে কোন দূরে তাকিয়ে থাকে, বাড়ির সামনের শস্যের খেত খামারগুলো যেন বিলাসীর কাছে স্বর্গরাজ্যের রূপ নিল । উঠোনের ধারের কলমি ফুলগুলোই যেন তার চোখে গোলাপ আর রজনীগন্ধাকে হার মানিয়ে দিতে লাগলো । বিলাসী ভাবনা বিলাসে ধীর লয়ে বয়ে চলে সমুদ্র বক্ষে, সে বক্ষ অবশ্যই অন্য কারো নয় ; শুধু আমাদেরই মৃত্যুঞ্জয়ের । কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় দ্বিতীয় বারের মত জাত বিসর্জন দিতে রাজী কি না- তা বিলাসী কখনোই জানতে চায়নি । আর তাই একপেশেভাবে শুধু বিলাসীই মৃত্যুঞ্জয়ের হল, মৃত্যুঞ্জয়েরই অজান্তে । এদিকে ভার্সিটিতে মৃত্যুঞ্জয়ের পরীক্ষার ফলাফল খুবই খারাপ হল । বিলাসী কাঁদল, তার মৃত্যুঞ্জয়ের জন্য, সময়ে অসময়ে । কোমরে ওড়না পেচিয়ে গ্রাম্য বালিকা যেমন দড়ি বা বদম দাড় খেলা খেলতে নামে বিলাসী তেমনই মৃত্যুঞ্জয়কে উদ্ধারের জন্য সমুদ্রে ঝাপ দিল । দিনের পর দিন তাকে কড়া শাসনের চাদরে রেখে হৃদয়ের বিগলিত ভালোবাসায় সিক্ত করতে থাকলো । মৃত্যুঞ্জয় তার স্বাদ পেল কিন্তু জানলো না যে এ তার না চাইতে পাওয়া যত জিনিস ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে অমুল্য পাওয়া । যে না চাইতেই দামী কোন জিনিস পেয়ে যায় সে হয় তার মূল্যই বুঝেনা অথবা তাকে অবজ্ঞা করে আরও বেশী মূল্যের কোন কিছু খুঁজতেই থাকে যা অধরাই হয়ে থাকে জীবনভর । মৃত্যুঞ্জয় সত্যই তা বুঝলো না । বিলাসীর বছর জুড়ে ক্লান্তিহীনভাবে রাত্রি জেগে মৃত্যুঞ্জয়কে পড়ার জন্য জেগে দেওয়া, সিলেবাস সঠিক সময়ে শেষ হল কিনা তার তদারকি করা, ক্লাসে স্যারের লেকচার ঠিকমত নোট খাতায় উঠল কিনা- এই জাতীয় আদুরে শাসনের ফলে মৃত্যুঞ্জয় পরীক্ষার ফলাফল অসম্ভব ভালো করল ।

এর কিছুদিন পরে বিলাসী নিজেই রোগী সেজে মৃত্যুঞ্জয়কে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মানার চেষ্টা শুরু করল । রোগটা ছিল মানসিক, মৃত্যুঞ্জয়ের ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই শুধু সে রোগের ভান কর । প্রথম প্রথম অল্প বিস্তর সাড়া পেলেও তাই যেন বিলাসীর কাছে বেহেশতের সুঘ্রাণ মনে হতে লাগলো । হঠাৎ একদিন মৃত্যুঞ্জয় তার ফোনের জবাব দিতে দেরি করল, বিলাসী মনে মনে অভিমান করল, বালিশ মুখে চেপে কেঁদে কেঁদে দিন পার করলো, কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় তার কোন খোঁজ খবর না রেখে ক্রমেই দূরের বাসিন্দা হয়ে পড়ল । দিনের পর দিন মৃত্যুঞ্জয় আরও দূরে থাকতে লাগলো ! হয়তো বিলাসী যেদিন ফোন করত সেদিন সে তা ধরতই না ; বরং তার তিন চার দিন পরে ফোন দিয়ে খোঁজ নিলেও তার মনের কোণে জমানো অভিমানের কোন পাত্তা না দিয়ে অন্য কথার ফাঁকে বিলাসীর অভিমানের জগতকে এড়িয়ে চলতো নিঃশব্দে । মৃত্যুঞ্জয় কিছু জানত না বা বুঝতো না- এমন কিন্তু নয় । মৃত্যুঞ্জয় যা বুঝতো তা বাস্তবতার বুঝ, স্বার্থপরতা , শুধু নিজের জন্য নয় বরং জাত-বংশ, পারিবারিক ঐতিহ্য আর লোকসমাজের জন্য; বিলাসী তা বুঝত না, তার পলিমাটির মত নরম মন সেসব কিছুই পাত্তা দিত না । মৃত্যুঞ্জয় বুঝেছিল এ যুগটা আর ঐ যুগের মত জাত বিসর্জনের জন্য নয় বরং নিচু জাত হতে উচু জাতে উঠার। আর তা পুরুষের জন্যই বেশী প্রযোজ্য । আর তাই সে বিলাসীকে দূরে ঠেলে দিল, শিকড়সহ উপড়িয়ে ফেলল তার সকল প্রেমের কচি বৃক্ষ, পিতামাতার অবাধ্য হয়ে বিলাসীর ভাবনা বিলাসের প্রশ্রয় দিতে পারলোনা কোনভাবেই । শেষের দিকে মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীর আর কোন খোঁজই নিত না । বিলাসী অনেক বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করল এটা দেখার জন্য যে, তার ভালোবাসার ক্ষমতার বিশুদ্ধতা কতটুকু, তা কি মৃত্যুঞ্জয়কে টেনে আনতে পারে কিনা । কিন্তু বিলাসীর অমূল্য প্রেম অনেক বিশুদ্ধ হলেও তা হয়তো মৃত্যুঞ্জয়ের জন্য নয়; তাই সে আর ফিরে আসেনি, বিলাসীর মৃত্যুঞ্জয় আর ফিরে তাকায়ওনি একটিবারের জন্য। এর অনেক দিন পরে বিলাসীর বিয়ে হয়, অনেক ধনী কোন বরের সাথে । প্রাচুর্য আর ঐশ্বর্যের বিলাসিতায় আজ বিলাসী সতিকারের বিলাসী, তবে তা মনের দিক থেকে নয়, আলংকারিক, শারিরীক ও আর্থিক - সেটাই চিরন্তন সত্য ! মৃত্যুঞ্জয় যে খ্যাতি, অর্থ আর মোহের জন্য বিলাসীকে ছেড়ে এসেছিল, সে আজও সেসব কিছু পায়নি; সেদিক থেকে আজও সে বিলাসীর ধারে কাছেও যেতে পারেনি। ( আমার প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্রের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী গল্পের নামটি ‘ পুনশ্চ বিলাসী’ রাখার কারণে এবং চরিত্রগুলির নাম ব্যবহারের ক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: শরৎবাবুর অবলম্বনে চমৎকার লেখা।
ধন্যবাদ লেখক।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ধৈর্য্য নিয়ে পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.