![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ হিসেবে একটু ভাবুক টাইপের , যেসব ভাবনার সমাধান আগে হয়নি আর সামনেও হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই ।
টার্ন ব্যাক !
( লেখাটি চুরি হলেও সমস্যা নেই, আরো কিছু লোক তো পড়তে পারবে!)
========
ফেরদৌস
জীবনে কে না চায় নিজের একটা অবিশ্বাস্য ইতিহাস গড়তে, তাক লাগিয়ে দিতে চায় সমস্ত পৃথিবীটাকে শুধুই নিজের সামর্থ্য দিয়ে, নিজের জন্য একটা উঁচু মর্যাদার আসন পাকা করতে! সবকিছুর জন্যই তো প্রয়োজন শুধু একটা ‘টার্ন ব্যাকের’। যার ভালো বাংলা হতে পারে ‘ঘুরে দাঁড়ানো’। সেই ঘটনার কথা আমরা কমবেশি সকলেই জানি-নোংরা ও জীর্ণ কাপড়-চোপড়ের জন্য যে অনাথ বালকটিকে পার্কে ঢুকতেই দেয়া হয়নি সেই বালকই ঠিক তখনই সিদ্ধান্ত নিল যে, একদিন এই পার্কটি কিনে তারপরেই সে এখানে ঢুকবে। তারপর সে সিদ্ধান্তের উপর অটল থেকেই একদিন সত্যি সত্যি সমস্ত বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পার্কটি সে কিনে নিল। এরপর সে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিল যাতে লেখা ছিল-‘এখন থেকে যেকোন বয়সের মানুষ, যেকোন পোশাক পরে, এখানে যেকোন সময় প্রবেশ করতে পারবে।’ যেন গায়ের লোম খাড়া হওয়ার মত ঘটনা। মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত অসাধারণ কিছু করতে না পারে ততক্ষণ পর্যন্ত সে ভাবতেই পারেনা সে আসলে কী। একটি প্রবন্ধে পড়েছিলাম, একজন মানুষ চাইলে শুধু নিজেই স্রোতের বিপরীতে যেতে পারে না, সমস্ত স্রোতরাশিকেই উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। পৃথিবীতে মহানায়ক যৌথভাবে খুব কমই আছে। একটি অসাধারণ ঘটনার জন্য মহানায়ক বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই একজনই দেখে আসছি আমরা। এখন আপনি বা আমি বিশ্বাস করতে পারব কিনা যে আমরা মহানায়ক! হাস্যকর লাগছে, তাই না ? ভাগ্য অনেক সময় নাকি অনেক পরিশ্রমের পরেও সহায় হয়না! মিথ্যে কথা! আপনি যে পরিকল্পনা করছেন, যদি আপনার পরিকল্পনার কোথাও ভুল না থেকে থাকে আপনি শেষ হাসি হাসবেনই।
নেপোলিয়ন ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বিশ্ববিখ্যাত বীর হবেন। একদিন জ্যোতিষীকে হাত দেখিয়ে জানতে চাইলেন, তিনি বড় হয়ে ভুবনজয়ী বীর হতে পারবেন কিনা। জ্যোতিষী খুব মনযোগ দিয়ে হাত দেখার পরে জানালেন যে, নেপোলিয়ন কোনদিনও সেরকম কিছু হতে পারবেন না। কেননা তার হাতে সেরকম কোন রেখারই অস্তিত্ব নেই। নেপোলিয়ন জানতে চাইলেন, হাতের ঠিক কোন অংশে রেখাটি থাকার কথা ছিল। জ্যোতিষী জায়গাটি দেখিয়ে দিলেন। নেপোলিয়ন বাড়িতে ফিরে চাকু দিয়ে হাতের তালু কেটে ঐ রকমই একটি রেখা সৃষ্টি করলেন। এরপর কাটা দাগটি স্পষ্ট হলে তিনি আবার একদিন জ্যোতিষীকে জিজ্ঞেস করলেন-‘এবার দেখুন তো আমি বিশ্বখ্যাত বীর হতে পারব কিনা।’ সেদিন জ্যোতিষী শুধু হা করেই ছিলেন, মুখ দিয়ে আর কোন কথাই তার বের হয়নি। এরপর বাকীটা আমাদের জানা ইতিহাস! এখন প্রশ্ন হল আপনি বা আমি সেরকম করে জীবনে টার্ন ব্যাক বা ঘুরে দাড়াতে চাই কিনা। চাই কিনা আমায় মনে রাখুক বিশ্বমণ্ডলের মানুষগুলো! কেউ চাই, কেউ চাই কম করে, কেউ আবার চায়ই না!কীভাবেই বা সেটি হতে পারে বলুন তো ? যদি আপনি দেশের নামকরা দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেন-আপনার জীবনের লক্ষ্য কী? আপনি উত্তর পাবেন-ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার। কেউ কেউ আবার নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতেই পারবে না! তাই বলে আমি এগুলোর কোনটিকেই ছোট করে দেখছি না, বলতে চাইছি না যে, এগুলো থেকে মহৎ কিছু করা যায় না; শুধু বলতে চাইছি- গড়পরতাই আমরা সবাই প্রায় এই একই রকম চিন্তা করি। সেই ছোটবেলায় শেখানো তোতা পাখির বুলি। কেউ একটি বারের জন্য বলবে না, আমার জীবনের লক্ষ্য পুরো পৃথিবীটাকেই ইতিবাচকভাবে আমূল বদলে দেয়া, আগামী বিশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে আমেরিকার মত অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত করা, সকল প্রকার ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করা বা কেউ বলবে না, আগামী পাঁচ বছর পরে আমি নোবেল পেতে চাই! কারণ ও রকম বুকের পাটা নিয়ে আমাদের কেউ চলাফেরা করে না। সেটা কদাচিৎ দু একজন যাদের আমরা পাই, কারণ সেই মহান মানুষগুলো আমাদের সারি থেকে উঠে গিয়ে নিজেদের অবিশ্বাস্য রকমের সাহসী মনে করে বলেই। তাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, আবার কাদা ছিটাছিটিও করি অনেক সময়।
যাই হোক টার্নব্যাক করতে চান? স্বপ্ন দেখতে চান? নিজের নামে বিশ্ব-ইতিহাস দলিল করে নিতে চান? খেয়াল করুন, আপনার শরীরের মধ্যে একধরণের উষ্ণ স্রোত ছোটাছুটি করছে। একটা অন্যরকম অনুভূতিতে আপনি যেন জেগে উঠছেন। কেন জানি মনে হচ্ছে, আপনি পারবেন। এখানে আসলেই না পারার কিছুই নেই। ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিতে এক বন্ধু আরেক বন্ধুর হাতে পেস্ট ঢেলে দিয়ে বলেছিল, “এভ্রিথিং ইজ পসিবল? দেখি পেস্টগুলো আবার প্যাকেটে পুরে ফেল্ তো?” বন্ধুটি কিন্তু সেসময় হা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল! তখন আমার মাথায় সাথে সাথে একটা বুদ্ধি এসেছিল। সেটি হল, একটা মোটা সিরিঞ্জ দিয়ে তো পেস্টগুলো আবার প্যাকেটের ভেতরে সত্যি সত্যি ঢুকানো সম্ভব। সেবার আমার কেন জানি মনে হয়েছিল, অন্তত পৃথিবীর ক্ষেত্রে “দ্য স্পীচ - ‘এভ্রিথিং ইজ পসিবল’ ইজ রিয়েলি পসিবল।” শুধু আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে নেপোলিয়নের মত করে, ভাবতে হবে আর দশজন সাধারণ মানুষের চাইতে একটু ভিন্নভাবে, আর পরিশ্রমী হতে পিঁপড়াদের মত!
এবার দেখুন তো, শরীর আরেকটু গরম হয়ে উঠছে কিনা নিজের প্রতি প্রবল আত্মবিশ্বাসে!গা ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিন সকল হতাশা, পিছুটান আর অজুহাতের মত ফালতু জঞ্জাল্গুলোকে। আমি ইদানীং প্রায়ই খেয়াল করি যে, কোন কাজে সফল না হলে অজুহাত দিতেই পছন্দ করি বেশী। পরে দেখলাম, আমি আসলে অলস, ভীতু আর কাপুরুষ হয়ে গেছি। অজুহাত দেখানো আসলে কাপুরুষ আর ব্যর্থ মানুষদেরই প্রধান বৈশিষ্ট। তাই এখন কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্তত কোন কাজের ব্যর্থতার জন্য সকল দায় নিজের কাঁধে নিব কিন্তু অজুহাত দিবনা কোনমতেই। আমি যদি শেষ পর্যন্ত সফল নাও হই তাহলেও আমি স্বীকার করতে পিছপা হবো না যে-আমি আমার কাপুরুষতাকে ঝেড়ে ফেলতে পারিনি। এখন কথা হল, উৎসাহ পেয়ে কেউ কেউ প্রচণ্ড রকমের উৎসাহ নিয়ে সবকিছু শুরু করে এবং অতি মাত্রায় আবেগী হয়ে যায়। তাই কারো কারো এত আবেগে উদ্বেলিত হওয়ার পরে সে আগুনে সামান্য পানি পরলেই তা আবার নিভে যায়। সামান্য বাঁধা, সমস্যা, দুশ্চিন্তা, দায়িত্ব আসলেই সে রকম আবগে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের সকল পরিকল্পনা জলে ভেসে যায়। সে জন্য আবেগ হতে হবে আগ্নেয়গিরির মত, সহজে বের হবেনা আড়াল থেকে; কিন্তু যখন বের হবে তখন আশেপাশের সকল কিছুকে সে আগুনে জ্বালিয়েই ছাড়বে। আর এসব কারণেই টার্ন ব্যাক করতে চাইলে আগে নিজের জীবনের খুটিনাটি বিষয়গুলো-যেগুলো আপনার আমার সেই ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোর মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে।
১) বিছানা, টেবিল, বই-পত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং আসবাব-পত্র চমৎকারভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করুন। একটি বইয়ে পড়েছিলাম-‘যার আসবাব-পত্র অগোছালো সে আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ। কথাটাও আসলে সত্যি! আর আপনার চারপাশটা গোছানো দেখলে আপনার কী রকম ভালো লাগে তাও খেয়াল করুন। দেখবেন, আপনি যা করতে চান তার জন্য আপনার পরিবেশই আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে!
২)মিছে মায়া, আলেয়ার হাতছানি-ইত্যাদি বদ-অভ্যাস বা নেশা টাইপের জিনিসগুলো-যেগুলো থেকে আপনার লক্ষ্যের জন্য কোন ফায়দা পাবেন না – সেগুলো খুব খুব দ্রুত ত্যাগ করুন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মানিত গভর্নর ড. আতিউর রহমান এক অনুষ্ঠানে আমাদের বলেছিলেন-“জীবনে একটি সেকেন্ডও এমনভাবে ব্যয় করবে না যার কোন উপযোগিতা নেই।” কী চমৎকার কথা, তাই না ?
৩) যে ধরণের বিষয়ে বিষয়ে সফল হতে চান, সেই ধরণের বিষয়ে সফল ও মহৎমানুষদের সাহচর্যে, দীক্ষার ছায়ায় ও বৃত্তে নিজেকে প্রবেশ করান।কয়লাও নাকি হীরার সাহচর্যে এসে কয়লার খণ্ড থেকে ধীরে ধীরে হীরাই হয়ে যায়!
৪)যখনই কোন বিপদ বা বাঁধা আসবে, তখনই খেয়াল করুন-আপনি আপনার লক্ষ্যের উপর কতটুকু টিকে থাকতে পারছেন। কারণ এটাই আপনার আমার ‘রিয়েল টাইম এক্সাম’!
৫) আজ সময়ের অভাবে আর কিছুই লিখছি না। কারণ আর কিছুক্ষণ পরে আমাকেও আমার লক্ষ্যের উপর কাজ করতে হবে তো। ভার্সিটি লাইফের যে রুমটিতে সর্বশেষ ছিলাম তার ভেতরে দেয়ালে সুন্দর করে একটা অসাধারণ কোটেশন লিখে রেখেছিলাম তার সুত্র ছাড়াই- “ You are your problem and you are your solution.” অর্থাৎ আমিই আমার সমস্যা আর আমিই আমার সমাধান। তাই আমাকেই আগে গড়ে নিই।
একজন অন্ধ মানুষ ‘ব্রেইল’ নিজেই যদি সমস্ত অন্ধ মানুষদের জন্য ব্রেইলী পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারে, আমরা সুস্থ-সবল মানুষগুলো শুধু নিজের ভাগ্যটাকেই কেন পরিবর্তন করতে পারবো না? কেন পারবো না আমি সুদ্ধ পুরো পৃথিবীটাকেই বদলে দিতে?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা নিবেন!
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩৭
কালনী নদী বলেছেন: very inspirational. . . . আপনার ভার্সিটির কোটোটা You are your problem and you are your solution অসাধারন, এইটা কি আপনার লিখা? অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা নিবেন!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: এই কোটোটা একটা বইয়ে পড়েছিলাম!
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
কাবিল বলেছেন: আমিই আমার সমস্যা আর আমিই আমার সমাধান। তাই আমাকেই আগে গড়ে নিই।
সুন্দর, ভাল লিখেছেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা নিবেন!
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: na. ekta boite porechilam!
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: একটু ভিন্নধর্মী পোস্ট।
চমৎকার গুছিয়ে লেখেছেন।
কিন্তু আমার মনে হয়, আপনার এই চমৎকার পোস্টটা গুটি কয়েক ব্লগারের মন্তব্য পেতে পারে।
জানিনা আপনি আশাবাদী হবেন, না নিরাশায় ডুবে যাবেন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২১
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: কেউ যদি পাহাড়কে একখণ্ড ছোট্ট মাটির টুকরো দিয়ে ঢিল মেরে বলে, দেখ, কেমন লাগে ? পাহাড় মিটি মিটি হাসবে! আমি আশাবাদী। সবসময়ই! কেউ পড়ুক বা না পড়ুক! আমি আমার লেখার চর্চা তো করতে পারছি! এটুকু হলেই চলবে। অনেক মানুষ আমার লেখা পড়লে, মন্তব্য করলে , আমি সত্যি অনেক খুশি হব। কিন্তু তা না হলে মন খারাপ করতে রাজি নয়। আপনার অসাধারণ এই মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আচ্ছা ভাই, একটা প্রশ্ন করি? কী করলে অনেক ব্লগার আমার লেখা পড়বে? জানলে একটু বলবেন প্লিজ! লোভ জেগেছে তো!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আশা জাগানিয়া পোস্ট।
দারুণ