![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে মনের গহিনে জেগে ওঠা শব্দরা জীবন্ত হয়ে উড়াউড়ি করে মনের আকাশে । তখন আনমনেই লিখতে বসি এলোমেলো কথাগুলো ।
অষ্টাদশী বালিকা আমি তখন,
নিত্য নতুন স্বপনের ভেলায় আমার চোখে তৃষ্ণার্থের আকুতি ।
অনেকটা নিজের জেদের বশেই এই শহরটাকেই নিজের আপন আলয় ভেবে নিলাম ।।
নতুন শহরের মানুষগুলো যেন মানুষ নয় ; বরং কতকটা ফানুস সদৃশ ,
তবুও এই নতুন কিছু মানুষের পদশব্দে মুখর এই ক্যাম্পাস
অসংখ্য অচেনা মুখের ভিড়ে কিছু যেন চেনা মুখ, অপরিচিতের ভিড়ে একটু যেন পরিচিতি
ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যকার দূরত্বগুলো গতিপ্রাপ্ত হয়,
শুরু হয় নিকটে আসার প্রতিযোগিতা ।।
যে ইলেকট্রনটি অরবিটের অনেক দূরে ছিল,
সেই যেন নিউক্লিয়াসের খুব কাছাকাছি অবস্থান নেয় ,
যেন তারা বহুকালের সঙ্গী-সাথী ।
কেউ কেউ খুব দ্রুতই নিজের দ্বিতীয় সত্ত্বাটিকে খুঁজে নেওয়ার দৌড়ে মেতে ওঠে ,
যারা খুঁজে পায়, তাদের কাছে হলুদাভ ম্যাড়ম্যাড়ে চাঁদটাকেও মনে হয় ভরা পূর্ণিমা ।।
যোজন যোজন দূরে থেকেও তারা যেন নিজেদের হৃদয়ের অতি নিকটে থাকে ,
এখান থেকেই আরেকটি গল্পের সূচনা পর্বের উদ্ভব হয় ।
কেউ কেউ খুঁজে না পাওয়ার আক্ষেপে , কেউ বা খুঁজে পেয়েও তাকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণায় দগ্ধ হয় ,
জন্ম হয় নতুন একটি জীবনানন্দের , যার বনলতার থাকে অন্ধকার বিদিশার নেশার মতো কেশরাশি ।।
একসময় আবার কিছু অষ্টাদশীদের আগমনী বার্তায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন,
ফানুস, পরিচিতি অপরিচিতি , চেনা অচেনা , জীবনানন্দ-বনলতা , প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির শব্দগুলো কিয়দংশ শুন্য পড়ে রয় ।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
আজীব ০০৭ বলেছেন: +++