![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তলব করল বাংলাদেশ প্রতিদিনের দুই সাংবাদিককে। আর তাতেই পুলিশের বেপরোয়া ভাব ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত পুলিশ নিয়ে একটি সংবাদের বিষয়ে ‘অনুসন্ধানের স্বার্থে’ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে তলব করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পত্রিকাটির সম্পাদক বরাবর চিঠি পাঠিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ওই প্রতিবেদককে ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বদরুল হাসানের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
বদরুল হাসানের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, “গত ১১.০৮.২০১৫ তারিখে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকায় প্রকাশিত ‘বাড়াবাড়িতে অর্জন ম্লান, পুলিশ সদস্যরা বেপরোয়া, সম্মানিত নাগরিকদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের আলোকে বিষয়টি অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত পত্রিকার শাহবাগ ও ধানমণ্ডি এলাকায় নিয়োজিত প্রতিবেদককে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। তাই তাঁকে আগামী ২০.০৮.২০১৫ তারিখ বিকাল ১৬.০০ ঘটিকার সময় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্যাদিসহ নিম্ন স্বাক্ষরকারীর অফিসে হাজির করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘পুলিশ এবার যেটা করেছে সেটা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ এভাবে কাউকে ডাকতে পারে না। কোনো সাংবাদিককে তো নয়ই।’
জ্যেষ্ঠ এ সাংবাদিক বলেন, ‘তদন্তের প্রয়োজনে তারা আমাদের কার্যালয়ে ফোন করে কথা বলতে পারত। তবে চিঠি পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাটা তাদের এখতিয়ার ও আইন বহির্ভূত বাড়াবাড়ি কাজ বলে আমি মনে করি। তাদের কাছে আমি আমার কোনো রিপোর্টারকে পাঠাব না। তারা তদন্ত করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা পরিপূর্ণ সহায়তা করব। কিন্তু কোনো মিডিয়াকে তো তারা নোটিশ করতে পারে না। এটা গণমাধ্যমের জন্য হেলদি না। এটা শালীনতার মধ্যে পড়ে না। এটা পুরোপুরি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।’
এর আগেও এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছিল কি-না জানতে চাইলে নঈম নিজাম বলেন, একবার পুরো বাংলাদেশের খেলাধূলার বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন নড়াইল থানার ওসি। সেখানে তাঁর নামে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। সেই মামলা এখনো চলছে বলেও জানান নঈম নিজাম।
পুলিশের এ চিঠি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আখতার উল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের হাতে শক্তিশালী ৫৪ ধারা আছে। এই ধারা অনুযায়ী তারা যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারে। প্রয়োজনে অ্যারেস্ট করতে পারে। যেকোনো অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এই ধারায় পুলিশকে এমনই অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষমতা অনুযায়ী অপরাধ সংঘটনের কোনো ধরনের আলামত পেলে পুলিশ যে কাউকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।’
একটি প্রতিবেদনের কারণে কোনো সংবাদকর্মীকে এভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা যায় কি-না তা জানতে পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বদরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা জাস্ট একটা এনকোয়ারি (অনুসন্ধান)। জিজ্ঞাসাবাদ শব্দটাকে আপনারা কীভাবে নিচ্ছেন জানি না। জাস্ট কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছে। এটাকে অন্যভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আমরা আমাদের সদস্যদের সম্পর্কে এনকোয়ারি করছি। সে বিষয়ে তথ্য নিতেই তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদের ডেকেছি।’
যদি চিঠি পাওয়ার পর প্রতিবেদকরা পুলিশের কার্যালয়ে না আসেন তাহলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না তা জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র-
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার আইনশৃঙ্খলা অবনতি সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের কণ্ঠনালী ছিঁড়ে ফেলা ও মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ওসি শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের। এমন অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন শফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক।
পরে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের মামলাটি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বি-সার্কেলকে ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেন।
বাদী শফিকুল ইসলাম সোনারগাঁ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনতা পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি।
এর আগে তিনি সোনারগাঁ থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরেও অভিযোগ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেনকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। ঘটনাটি ঘটায় ঝাউচর গ্রামের আরিফ ও কাদিরগঞ্জ গ্রামের সাঈদের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী।
ওই সংবাদ ২৯ জুলাই জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ, মানবকণ্ঠ, দৈনিক জনতা, আমাদের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সোনারগাঁ থানার ওসি শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের ক্ষিপ্ত হন।
একপর্যায়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম থানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ওসি তাকে দেখা মাত্রই ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, কণ্ঠনালী ছিঁড়ে ফেলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে লাঞ্ছিত করেন। পরে তাকে থানা থেকে বের করে দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওসি তাকে লাঞ্ছিত করার পরপরই তিনি মোবাইল ফোনে ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনকে জানান।
সূত্র-
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১১
প্রামানিক বলেছেন: