![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সদাশয় সরকার বাহাদুর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
দেশে আর কোন কাপুরুষ রাখবেন না। নিধনের আওতায় নিয়ে
আসা হবে এদের। জাতীর বোঝা, সমাজের কাধে চেপে বসা
মূর্তিমান ফেউগুলো সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট তত্বকে
ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে অবলীলায় চরে বেড়াচ্ছে,
খুঁটে খাচ্ছে দুষ্প্রাপ্য ফসল। মহামতী ডারউইন মহোদয়ের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকীকে
স্মরণীয় করে রাখতে এর চেয়ে ভাল ব্যবস্থা আর কি হতে পারে!
জনগণও সোৎসাহে মেতে উঠেছে এই আপদ বিদায়ের মহাযজ্ঞে
কাপুরুষগুলোকে খাটের নীচ বা বুক সেলফের আড়াল থেকে টেনে হিঁচড়ে
বের করে আনা হচ্ছে। বাবা মা, প্রতিবেশী ও আত্নীয় স্বজনেরা আহ্লাদিত হয়ে
পৌরসভা কাপুরুষ নিধন টিমের হাতে তুলে দিচ্ছে
হতচ্ছাড়া, অকালকুষ্মান্ড অপদার্থ কাপুরুষগুলোকে।
শালারা! কাজে লাগে না কোন, সাহসের লেশমাত্রও নেই কিছু
বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারে না কোথাও প্রবল বিক্রমে। ঝেঁটিয়ে বিদায় করে,
নিব্বংশ করে তবেই শান্তি হবে সমাজ সংসারে! অগ্নিদগ্ধ পোড়া কাঠের অঙ্গার হলেও
কিছুমাত্র কাজে লাগতো। হতভাগাগুলো দীর্ঘদিনের জারজ, অপপুরুষসম।
রাগে গা রি রি করে সকালবেলা কোনক্রমে মুখদর্শণ হলে নরকের কীট।
আপদ বিদায় করে যখন জনতা হাত পা আর পোষাকের ধূলো ঝাড়ছিল
তখন শহরের শেষ প্রান্তে ভাগাড়ের ধারে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করানো হচ্ছিল তাদের
বিবস্ত্র করে একশত করে ব্যাটন মারা হবে তাদের পৃষ্ঠ ও পশ্চাৎদেশে
এতোদিনের অন্ন ধ্বংশ করার প্রায়াশ্চিত্য করা হবে কিছুটা।
তারপর প্রতিবার দশ পিস করে ঢুকানো হবে কনক্রিট মিক্চার মেশিনে
হাড় মাংশ সব মন্ড বানিয়ে বানানো হবে উর্বর ভার্মিকম্পোস্ট যদি
শেষ বারের মত হলেও কোন কাজে লাগানো যায়!
সেই পরিকল্পনা মত মন্ড বানানো শেষে মাটি চাপা দেয়া হলো শরীরগুলোকে
কিন্তু কি আশ্চার্য! একটাও চোখ গলেনি ইস্পাতের এহেন প্রবল চাপে!
শত শত অক্ষিগোলক গড়িয়ে গড়িয়ে বেড়াচ্ছিল ভাগাড়ের আনাচে কানাচে
আর হাপুস নয়নে সেগুলো তাকিয়ে ছিল বিধিলিপির দিকে
কেন তাদের সৃজন করা হয়েছিল কাপুরুষ হিসেবে - সে প্রশ্ন আঁকা ছিল আঁখিতে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫
মন মোর মেঘের সঙ্গী বলেছেন:
ধন্যবাদ মাক্স! এই দুনিয়ায় কাপুরুষদের (সম্ভবতঃ আমি নিজেও একজন তা) বাঁচার কোন অধিকার নেই। বাঁচবে শুধু চালাক-চতুর বৈষয়িক মানুষগুলো।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনবদ্য! ছোটগল্পের একটা ফ্লেভারও আছে কবিতাটিতে। এবং পাঞ্চলাইনটা চমৎকার।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২
মন মোর মেঘের সঙ্গী বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই! কবিতা নিয়ে ভাঙ্গা-গড়া করলাম আর কি একটু, শেষ পযর্ন্ত কেমন দাড়াবে বিষয়টা বুঝতে পারছিলাম না। যাক, আপনার মন্তব্য পেয়ে আশ্বস্ত হলাম।
আচ্ছা আপনিই বলুন, সমাজ সংসারে সবাইকেই কি চালাক চতুর হতে হবে? সাহসের পরাকাষ্ঠা দেখাতে হবে সবাইকেই? আর যারা পারবে না তাদের কে কি আমরা এভাবেই ক্রমাগতভাবে মেরে ফেলতে থাকবো মানসিক ভাবে??
মানবতা বলে কি কিছুই থাকবে না জনগণের মধ্যে?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
মাক্স বলেছেন: সুন্দর+++++