![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আিম খুব পিজিটভ মানুষ। ইেচছ কের খারাপ সব িকছু বদেল িদই, তেব পারতপেক্ষ লড়াই কের নয়, ভালবাসা িদেয়।অািম হাত বািড়েয়ই রািখ-িপিছেয় পেড়েছ েয, আসুক না েস জীবেনর পেথ। কারন, জীবন েতা একটাই।
আমার দেশ আর দেশের মানুষকে নিয়ে দারুণ গর্ব, আমার। এই দেশ আর দেশের মানুষকে নিয়ে আমার গর্ব এমন পর্যায়ে যে-মাঝে মাঝে মাটিতে পা না ফেলে যেন উড়ে উড়ে বেড়াই আমি। কিন্তু আজকাল মনটা ভীষণ খারাপ। প্রতিদিন এত আগুন, এত রক্ত আর পরস্পরকে এত ঘৃণার কথা শুনে, দেখে-কেমন যেন মানুষ হিসেবে নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত..............কারণ, আমি তো এসবের বাইরের কেউ নই; আমি এই মানুষদের ই একজন।
তারপরও আমার প্রবল আশাবাদী মন বলে- খুব শীঘ্রই নতুন দিন আসবে, আমরা দ্রুত বের হয়ে আসবো এসব আগুন, রক্ত আর ঘৃণার বলয় থেকে। অবশেষে আমাদের সবার জন্য সবার ভালবাসাই জয়ী হবে। সব সময় ভালবাসাই জয়ী হয়।
আজ আমি সবার সাথে ছোট্ট একটি ভালবাসার গল্প শেয়ার করতে চাই। হয়তো গল্পটি অনেকের জানা থাকতে পারে। এই গল্পের সাথে দেশ, দেশের মানুষকে ভালবাসার যোগাযোগ স্থাপন মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। যাহোক, গল্পটি হচ্ছে এমন-
কোন এক গ্রামের একজন গ্রামপ্রধান- ভেতরে-বাইরে খুব সুন্দর একজন মানুষ। গ্রামের সবাই তাঁকে খুব ভালবাসে, খুব সম্মান করে। তাঁর ঘরেও রয়েছে দারুন সুন্দরী, খুব বুদ্ধিমতী, অনেক মায়াবতী এক স্ত্রী। ওরা দু-জন দু-জনকে পাগলের মতো ভালবাসে। তাঁদের রয়েছে সাত/আট বছর বয়সের একটি পুত্রসন্তান। গ্রামপ্রধানের স্ত্রী আবার সন্তান-সম্ভবা। প্রধানের ইচ্ছে এবার তাঁর একটি কন্যাসন্তান হবে, ওঁর স্ত্রীর ইচ্ছে আরো একটি ছেলে হবে আর ওঁদের ছেলের ইচ্ছে-ওর একটি বোন হবে। নতুনশিশুর অপেক্ষায় কাটছে দিন......।
এইসময় সেই গ্রামে ছোট্ট একটি শিশুকন্যা কোলে নিয়ে এক যুবতী আসে, খুঁজতে থাকে গ্রামপ্রধানকে।
গ্রামপ্রধানকে পেয়ে যুবতী জানালো “ শুনুন, আমি আর বাঁচবো না। আপনি তো জানেন আমার পরিবারে আমি আর ফিরে যেতে পারবো না; এই মেয়েকে আমি কোথায় রেখে যাবো, কার কাছে রেখে যাবো! দয়া করে আপনি আপনার মেয়ের দায়িত্ব নিন।“
ঠিক সেই মুহূর্তে কোন একটি কারণে তাঁদের পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল গ্রামপ্রধানের স্ত্রী। যুবতীর কথা শুনে রাগে, ঘৃণায়, অবিশ্বাসে পাগলপ্রায় হয়ে যায় সে। ছুটতে গিয়ে আহত হয় গ্রামপ্রধানের স্ত্রী আর মারা যায় ওঁর পেটের সন্তান। ওদিকে আগন্তুক যুবতী তার শিশুকন্যাটিকে গ্রামপ্রধানের কোলে দিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। গ্রামপ্রধান কিংকর্তব্যবিমূড়......।
গ্রামপ্রধানের ছেলে বড়দের এতসবকিছু বুঝতে পারে না, বাবার কোলে কন্যাশিশু দেখে দারুন খুশি। সে বাবার কাছে জানতে চায়- এই বাচ্চামেয়েটি কে? বাবা বলেন- ওর বোন। ছেলে তার কাঙ্ক্ষিত বোন পেয়ে দারুণ খুশি! সে মনে করে-ঈশ্বর তার প্রার্থনা শুনেছেন আর তার জন্য বোন পাঠিয়ে দিয়েছেন।
গ্রামের লোকজন ঘটনার পরম্পরায় বুঝতে পারে যুবতীর সাথে গ্রামপ্রধানের সম্পর্ক। তারা সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয় যুবতী ও গ্রামপ্রধানের দিক থেকে। যুবতীর মৃতদেহ সৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনা। এগিয়ে আসেন গ্রামপ্রধান নিজে। অনেকে গ্রামপ্রধানকে পরামর্শ দেন যে-যেহেতু যুবতীর সাথে গ্রামপ্রধানের সম্পর্কের কোথাও কোন প্রমান নেই সেহেতু গ্রামপ্রধান এই মৃত যুবতী ও তার শিশুকন্যার দায়িত্ব না নিলেও তো পারে! কিন্তু গ্রামপ্রধান দায়িত্ব এড়াতে পারেন না, চানও না। সবার ঘৃণার মুখেই যুবতীর মৃতদেহের সৎকার করেন। ক্ষমা চান গ্রামের সবার কাছে। স্ত্রীর কাছেও ক্ষমা চান, এর কারন ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওঁর স্ত্রী তখন স্বামীর বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনায় এতটাই মুরষে পড়েছে যে- কিছুতেই মেনে নিতে পারে না ওঁর প্রিয়তম পুরুষের এই বিশ্বাসঘাতকতা।
ঘরে-বাইরে এত ঘৃণার ভার সইতে না পেরে গ্রামপ্রধান একদিন গ্রাম ছেড়ে বহুদূরে চলে যায়। যাবার আগে স্ত্রী-র জন্য একটি চিঠি লিখে রেখে যায় আর ছেলেকে শিশুকন্যাটির দায়িত্ব দিয়ে যায়।
গ্রামপ্রধান নিরুদ্দেশ হবার কিছুদিন পর স্বামীর লেখা চিঠিটি গ্রামপ্রধানের স্ত্রীর হস্তগত হয়। চিঠিটি পড়ে স্ত্রী যুবতীর সাথে গ্রামপ্রধানের ঐ সম্পর্ক আর অবস্থানের কারন বুঝতে পারে। গ্রামপ্রধানকে স্ত্রী ক্ষমা করে দেয় আর নিশিদিন অপেক্ষায় থাকে কবে ফিরে আসবেন ওর অনেক ভালবাসার প্রিয়পুরুষ, তার পাগল ভালবাসার-গ্রামপ্রধান।
ওদিকে গ্রামপ্রধানের স্ত্রী যেহেতু গ্রামপ্রধান এর অন্যসম্পর্কের শিশুকন্যাটিকে মেনে নিতে পারেনি তাই মায়ের ব্যপারে মনে কিছুটা বিস্ময় (!) নিয়ে গ্রামপ্রধান এর ছেলেটিই হয়ে যায় ঐ শিশুকন্যাটির “মা”, “অদ্ভুত-অসাধারন এক মা”। নিজের সব সুখ-সুবিধা ভুলে ঠিক মায়ের মতোই বড় করে তুলতে থাকে বাবার সপে যাওয়া কন্যাশিশুটিকে। অপার যত্নে-ভালবাসায় নিজের মেয়ের মতো করে দেখাশুনা করতে থাকে। ছেলেটির জন্য তার বোনই হয়ে উঠে- পুরো পৃথিবী। বোনের প্রতি ভাইয়ের এই অসাধারন ভালবাসা দেখে গ্রামপ্রধানের স্ত্রী আস্তে আস্তে মেনে নেয় মেয়েটিকে-তবে নিজের মেয়ে হিসেবে নয়, তার ছেলের বোন হিসেবে।
তো এই ভাই, গ্রামপ্রধানের ছেলে একদিন ঘটনাচক্রে গ্রামের অন্য একটি ছেলের মাধ্যমে জানতে পারে- বোনটি তার মায়ের পেটের বোন নয়; আর এই মেয়েটির কারনেই ওর বাবা বাড়িছাড়া, গ্রামছাড়া.........। ব্যপারটি জেনে ভাইটি একেবারে ভেঙ্গে পড়ে, দূরত্ব তৈরী হয় বোনের সাথে, দূরত্ব তৈরী করে.........সে। কিন্তু ছোটবোনটি ভাই এর এই আচরণের কোন কারন বুঝতে পারে না। সে তো ভাইকে ছাড়া এক মুহূর্তও কাটায় না, ফলে বুঝতে ই পারে না সে কি করবে!
গ্রামপ্রধানের স্ত্রী ভাই-বোনের এই দূরত্বের কষ্ট সহ্য করতে পারেনা, কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। ছেলেকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে মেয়েটির সাথে মিলেই মা-মেয়ে বুদ্ধি বের করে, একটি।
গ্রামপ্রধানের স্ত্রী ছেলেকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওর বোনের সাথে চরম খারাপ আচরন করে, এমনকি আহত পর্যন্ত করে। এভাবে একদিন, দুইদিন.........ভাই আর সহ্য করতে পারে না বোনের কষ্ট, প্রচন্ড ক্ষেপে যায় মায়ের সাথে। বোনের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়, বোনকে আবার বুকে তুলে নেয়। ছোটবোন আবার ফিরে পায় তার প্রিয়ভাইকে। আর ভাই-বোনের এই পুনর্মিলনে মার বুক ভরে উঠে............। চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু, ভালবাসার অশ্রু.........।
তবে মায়ের সাথে ভাই এর এই আচরণ ছোটবোন কিছুতেই মেনে নিতে পারে না, হোক না সেটা ওর জন্যই। ভাইকে ফিরে পাবার জন্য মায়ের সাথে মিলে করা এই নাটকের কথা বোন ভাইটিকে বলে দেয়। ছেলে তখন মায়ের ভূমিকা আর নিজের ভুল বুঝতে পারে। ছেলে-মেয়ে জড়িয়ে ধরে মা-কে।
জয়ী হয় ভালবাসা। ছেলের জন্য মায়ের ভালবাসা, বোনের জন্য ভাইয়ের ভালবাসা আর মা-ভাইয়ের জন্য শিশুকন্যার ভালবাসা। এমনকি------- ভাই-বোনের সম্পর্কের জন্য, বিশ্বাসঘাতক স্বামী (!), স্বামীর গোপন কন্যা (!) এর জন্য এক বুদ্ধিমতী-হৃদয়বতী গ্রামপ্রধানের স্ত্রীর ভালবাসা।
আমার বিশ্বাস-দিনশেষে একদিন আমরাও ঘৃণা আর হানাহানির এই অশুভ বলয় থেকে বেড়িয়ে আসবো আর আমাদের বুকের গভীরে মানুষের জন্য যতনে পুষে রাখা ভালবাসার পাখিটাই জয়ী হবে।
We Shall Overcome Someday
Oho Deep in My Heart
I Do Believe that-
We Shall Overcome Someday………………….
২| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: We Shall Overcome Someday
Oho Deep in My Heart
I Do Believe that-
We Shall Overcome Someday
সহমত পোস্টে ১ম +++
৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
এফ এইচ শিখা বলেছেন: লেখাটি পড়বার জন্য আর সহমত প্রকাশ করবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ভালবাসার পাখিটাই জয়ী হবে... এই বিশ্বাস আমাদেরও...
৫| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
এফ এইচ শিখা বলেছেন: এত ঘৃণা আর ভাল লাগে না------------। জয় হোক আমাদের ভেতরের শুভ বোধ আর ভাল্বাসার!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: We Shall Overcome Someday
Oho Deep in My Heart
I Do Believe that-
We Shall Overcome Someday………………….
আই ডু বিলিভ উ ই শ্যাল ওভারকাম।