নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

িফল্ড মার্শাল

অবসর সময় টুকু এখানেই কাটাই । ব্লগে এসে প্রচুর আনন্দ পাই । খারাপ লাগে যখন আমাকে ব্যান করে দেয় বা ব্লক করে দেয় । অনেকবার ব্যান খেয়েছি । জানাপার হাতে পায়ে ধরে আবার ব্লগে আসি । ব্লগের সবাইকে আমার অভিন্ন্দন । [email protected]

িফল্ড মার্শাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত বিয়ে

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

সীমা তার বান্ধবী সোহেলীকে ফোন দিতে গিয়ে একটি ডিজিট ভুল করায় অন্য নাম্বারে ঢুকেছিল।

ওপাশ থেকে একটি পুরুষ কণ্ঠ বললো, হ্যালো, কে বলছেন?



সীমা আমতা আমতা করে বললো, এখানে সোহেলী আছে?



ওপাশ থেকে বললো, সোহেলী নামে এখানে কেউ থাকে না। এটা র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প।



সীমা সরি বলে লাইন কেটে দিল।







পরের দিন সীমার মোবাইল ফোনে গতকালের ভুল করা নাম্বার থেকে ফোন আসে।



সীমা রিসিভ করে ওই লোকটির সঙ্গে কথা বললো। সীমার সঙ্গে তার পরিচয় বিনিময় হলো।



তার নাম রেজা, র‌্যাবের অফিসার।



তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব হয়। পরে সেটা প্রেম, ভালোবাসায় রূপ নেয়।







শুরু হলো সীমা ও রেজার মধ্যে চলছে গভীর প্রেম।



ওরা দুজন দুজনের সঙ্গে প্রয়ই দেখা-সাক্ষাৎ করে। একেক সময় একেক জায়গা, পার্ক, সিনেমা, রেস্টুরেন্টে যায়।



সীমা সম্পর্কে রেজা সব তথ্যই জানে। কিন্তু সীমা রেজার সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। শুধু এইটুকুই জানে, রেজা র‌্যাবের অফিসার, থাকে ঢাকায়, গ্রামের বাড়ি রংপুর।



সীমাকে নিয়ে রেজা একদিন পার্কের কটেজে নিয়ে গেল রেজার যৌন চাহিদা মিটিয়ে নিল।



সীমা তেমন বাধা দেয় না। কারণ রেজা কথা দিয়েছিল, কিছুদিন পর সীমাকে বিয়ে করবে।



রেজা অল্পদিনে সীমার পরিবারের সবার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। মাঝে মধ্যে সীমাদের বাড়ি গিয়ে রাত কাটায় সীমার সঙ্গে।



এলাকায় কথা হতে লাগলো, সীমার বিয়ে হচ্ছে র‌্যাবের অফিসারের সঙ্গে। এলাকার লোকজন সীমাদের বাড়ির সকলকেই সমীহ করে চলে।



রেজাকে সীমার মা-বাবা জামাই আদর করেন। কারণ কয়েকদিন পর তো সে তাদের জামাই হবেই।



রেজা সুযোগ বুঝে সীমার বাবা কাছ থেকে নিজের বড় ধরনের প্রমোশনের কথা বলে এক লাখ টাকা নেয়।



সীমার বাবাও মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে টাকা দেন।



কথা অনুযায়ী রেজা ও সীমার বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।



রেজা বরবেশে আর পাশেই সীমা কনে বেশে বসে ছিল।



কাজি সাহেব বিয়ের পয়গাম নিয়ে ওদের দুজনের সামনে হাজির। সীমাকে তিনবার কবুল বলতে বললেন।



সীমা যখন কবুল বলবে ঠিক তখনই র‌্যাবের দশ-বারো সদস্য বিয়ের আসরে উপস্থিত। সবাই ভাবলো, সীমার জামাই তো র‌্যাবের অফিসার, হয়তো তার সব বন্ধু এসেছে। কিন্তু ঘটনা ছিল এর উল্টো।



র‌্যাব সদস্যরা সরাসরি বিয়ের আসরে এসে রেজাকে টেনে-হেচড়ে নিচে নামিয়ে কিছু উত্তম-মাধ্যম দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গাড়িতে তুললো।



সীমার বাবা র‌্যাব সদস্যদের কাছে জানতে চাইলেন, রেজাকে গ্রেফতার করছেন কেন? ওর অপরাধ কি?



সীমা অবাক হয়ে দেখছিল ওর হবু স্বামীর সঙ্গে র‌্যাব সদস্যদের ঘটনা এবং শুনছিল র‌্যাব সদস্যদের সঙ্গে ওর বাবার কথোপকথন।



র‌্যাব কর্মকর্তারা বললেন, রেজা নিজেকে একেক সময় একেক অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্নজনের সর্বনাশ করেছে। ও হচ্ছে প্রফেশনাল প্রতারক। ওর নামে এমন এক ডজন প্রতারণার মামলা আছে। আমরা ওকে হন্যে হয়ে খুজছিলাম।







সীমার সব স্বপ্ন-সাধ ধুলায় মিশে গেল।



রেজাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা নিয়ে গেলেন।



সীমার বিয়ে ভেঙে গেল।



সীমা বিয়ের আসরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আহা রিদয় বিদারক ঘটনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.