নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

িফল্ড মার্শাল

অবসর সময় টুকু এখানেই কাটাই । ব্লগে এসে প্রচুর আনন্দ পাই । খারাপ লাগে যখন আমাকে ব্যান করে দেয় বা ব্লক করে দেয় । অনেকবার ব্যান খেয়েছি । জানাপার হাতে পায়ে ধরে আবার ব্লগে আসি । ব্লগের সবাইকে আমার অভিন্ন্দন । [email protected]

িফল্ড মার্শাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক বিকেলে

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

চলো আমরা ওই নদীর ধারে বেড়িয়ে আসি। আশপাশের বাড়িগুলোর স্থান গোসলের ঘাটটার দুই ধারে, পাশের ঝোপ আর গাছে গাছে অনেকটা জায়গা নদীটার সঙ্গে সঙ্গে একে-বেকে চলে গেছে। একটা স্নিগ্ধ, কোমল, সুন্দর রূপ নিয়ে সেদিনের বিকেলটা গড়িয়ে চলছিল। তখন নদীর ধারে বাশ বাগানের সরু পাতাগুলো ঝির ঝির বাতাসের হালকা ঢেউ গাছের পাতাগুলোকে দুলিয়ে একটা ঠান্ডা, শান্ত, ধীর পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল। মেহগনির সবুজ পাতাগুলো নদীটার ছোট ঢেউয়ে কোনো অন্ধত্বের দৃষ্টিতে আবছা আবরণটা সরিয়ে নিয়ে একটা পরিষ্কার নতুন রঙের সাক্ষাৎ এনেছে যেন। এমন একটা মুহূর্তে দুটি চোখের একটা দৃষ্টি।

কে সে?



ওর নাম রিমঝিম। মামুনের মামাতো বোন।



মামুন মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।



বিমঝিম বাবার একমাত্র মেয়ে। অনার্স পড়ছে। সেদিন ওরা দুজন নদীর ধারে বেড়াতে গিয়েছিল।



মামুন পাশের একটু খালি উচু জায়গায় আপন খেয়ালে বসে পড়লো।



কচি কলাপাতা রঙের সালোয়ার-কামিজ পরেছিল রিমঝিম। কোনো এক ছলে আরক্তিম দেহের গলাটার আরো কিছুটা নিচ পর্যন্ত বেরিয়ে পড়ছিল। হালকা সুতার ওড়না দুলছিল তখন। মৃদু মিষ্টি বাতাসটা ওর মেঘলা চুলের বেণী থেকে দুই-একটা চুল খুলে নিয়ে ঢেউ খেলিয়ে চলছিল। কখনো ভ্রু দুটোর নিচে হরিণ টানা দুটি চোখের নিষ্পলক দৃষ্টিটুকুর ওপর এলিয়ে পড়ে পালক মেখে দেয়, কখনো ভার মাখা ম্লান মুখটায় দুলিয়ে পড়ে লাল দুটি অধরে এক টুকরো হাসির রেস মেখে দেয়। সূর্যের গাঢ় গোলাপি আভা রিমঝিমের হলদে রঙের মুখের ওপর ঝলমল করছিল।



নদীটার এপারে সারি গাছগুলোর ডালের বড় ফাকগুলো পেরিয়ে রিমঝিম সোজাসুজি ঠিক থাকতে চেয়েছিল।



মামুন নিষ্পলকভাবে রিমঝিমের দিকে তাকিয়ে ছিল।



কিছু সময় পরে সন্ধ্যা নামবে। ঘন অন্ধকারে ছেয়ে যাবে চারিপাশ। এই সুন্দর বিকেলের সবটা আবেদন ভাষাহারা হয়ে যেতে পারে। তাই এমন একটা আবেগী ভাবাবেগের আশংকায় মামুনকে ঘরে ফেরার তাগাদা দিচ্ছিল রিমঝিম।



না, মামুন কিছুতেই ঘরে ফিরবে না। রিমঝিমের হাতটা আলতো করে চেপে ধরলো।



আগে কখনো এমনটি হয়নি। আজ কেন এমন লাগছে!



ভালোবাসার মুহূর্তগুলো দ্রুত পার হয়ে যায়। আজকের মতো করে কি কালকের বিকেলটা হবে? নদীর বুকে ছোট-বড় মিলিয়ে শত শত ঢেউ উঠছিল।







মামুন হাতটা বাড়িয়ে দিল।



রিমঝিম খুব কাছাকাছি হয়ে গভীর ভাবে মামুনকে আলিঙ্গন করলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.