![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আকাশের দিকে উদাস হয়ে তাকিয়ে বললাম,
-আজ চাঁদের চতুর্থ দিন
-চাঁদের আবার চতুর্থ, পঞ্চম দিন কি?
-আছে, প্রতিদিন চাঁদ একটু করে সুন্দর হয়। ঠিক ১৫ দিন পর থেকে আবার অসুন্দর হওয়া শুরু করে।
-তুমি এইসবের হিসাব রাখ?
-রাখতে হয়।এখন থেকে কথা হবে চাঁদের হিসাবে।
-চাঁদের হিসাবে কথা হবে মানে?
-যখন চাঁদ থাকবে না, চাঁদের আলো থাকবে না। তখন বুঝে নিও আমিও থাকব না। আলো নিয়ে অন্য কোনো ভুবনে ফিরে গেছি।
হঠাৎ করেই চারপাশ নীরব, নিস্তব্ধ। তাঁর ধীর নিঃশ্বাস নেওয়ার শব্দ পাচ্ছি। ভারী নিঃশ্বাস। আমার হাতের মধ্যে তাঁর হাত একটু যেন কেঁপে উঠলো।
মেঘের সাথে চাঁদের লুকোচুরি শুরু হয়েছে। আমি তার দিকে তাকালাম। ক্ষণিকের আলোয় তাঁর চোখের কোনে কিছু একটা চকচক করতে দেখলাম।
তারপর হঠাৎ করেই অস্পষ্ট জড়ানো গলায় আস্তে আস্তে সে বলে উঠলো,
-আমি আসি।
-এখুনি যাবে? আচ্ছা সাবধানে যেও।
সে খুব দ্রুত হাতে ওড়নার পাড় দিয়ে চোখ থেকে কিছু যেন মুছলো। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে হাটতে শুরু করলো।
সে চলে যাচ্ছে। আমি বসে আছি। যতক্ষণ জ্যোৎস্না থাকবে আমিও থাকব। ১৫ দিনে যতটা সম্ভব জ্যোৎস্না মাখতে হবে। এক জনমে তাঁর কাছে অনেক ঋণ হয়ে গেছে। এই ঋণ শোধরাবার জন্য আমাকে আরোও জ্যোৎস্না মাখতে হবে, কৃষ্ণপক্ষে তাঁর জন্য চাঁদ হতে হবে...
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
শাব্দিক হিমু বলেছেন: ভালো লাগলো