![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।
(রাজাকার চেলা চামুন্ডাদের প্রবেশ নিষেধ) বুলেট যে জাতিকে পরাজিত করতে পারেনি, সেই জাতি এখন ভারতীয় সংস্কৃতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। হিন্দির আধিপত্যে বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি বিপন্ন হতে চলেছে। পরিবারের ভেতরে ও বাইরে নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠেছে।
আশির দশকে বাংলাদেশী গৃহবধূদের মনোরঞ্জনের জন্য ভিডিও ক্যাসেটে চড়ে এ দেশে ভারতীয় হিন্দি সিনেমার আগমন। এরপর নব্বইয়ের দশকে এসে আকাশ সৃংস্কৃতির অবাধ প্রবাহের পথ খুলে দেয়া হয়। তারপর চলমান দশকে মোবাইলফোন ও ইন্টারনেটের বেড়াজালে আটকে আছে আমাদের সব বয়সী মানুষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্টারনেটে অন্তত ৫০টি পর্নো সাইট রয়েছে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভারত থেকে। এখানে নৈতিকতার কোনো বালাই নেই। চটি নিয়ে যেসব সাইট রয়েছে সেগুলো অসম যৌন অভিজ্ঞতা ও ধর্মে নিষিদ্ধ নারীদের সাথে যৌনাচার সম্পর্কে গল্পে ভরপুর।
সূত্র মতে, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে এ রকম ৮৪টি সাইটের তালিকা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেগুলো বন্ধের অনুরোধ করে। এরপর শুধু বিডি সেক্স ফর ইউ ডট কম দেখা যাচ্ছে না; বাকি সব সাইটই চলছে নির্বিঘ্নে। বাংলাদেশী ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যের মেয়েদের পর্নো ছবি নিয়ে গড়ে তোলা ব্লগ দেবনায়ার, সেক্সচুয়াল কার্টুন নিয়ে গড়ে ওঠা সবিতা ভাবী, চটি নিয়ে বিডি সিক্সটিনাইনসহ অন্তত অর্ধশত ওয়েবসাইট রয়েছে, যার মাধ্যমে পর্নো ছড়ানো হচ্ছে। তা ছাড়া ভারতীয় নায়িকারা যেসব সিনেমায় অভিনয় করে তার মধ্য থেকে আইটেম সং কেটে ইন্টারনেটে আপলোড করা হচ্ছে। আছে গরম মসলা নামে একাধিক সাইট। এসবের মধ্যে কোনো কোনো সাইট অবশ্য টাকা খরচ করে দেখতে হয়।
দেশের সাইবার ক্যাফেগুলোয়, মোবাইলফোনে ও ঘরে ঘরে কম্পিউটারের সুবাদে ব্যবহৃত ইন্টারনেটে এখন পর্নো সাইট সার্চের মাত্রা বেড়ে গেছে। অনেক তরুণ নিজেই উৎসাহী হয়ে চটি গল্প লিখে ইন্টারনেটে ছাড়ছে। হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ সিনেমার সংলাপ ও মিসির আলী চরিত্রের উপন্যাস নকল করে চটি গল্প লিখে নেটে দেয়া হয়েছে।
হালে বাংলা নাটকের নায়িকাদের অশালীন ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে ও এসব দেখার প্রবণতাও বাড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেটে বাংলাদেশ, বাঙালি, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-কেন্দ্রিক যেসব পর্নো সাইট রয়েছে তার প্রায় সবই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে ভারত থেকে। এসব দেশকে ঘিরে একটি সাইট নিয়ন্ত্রণ করছে জার্মানি।
এমনকী এসব কারণে এখন হিন্দির কাছে বাংলা ভাষা বিপন্ন। এখন পর্যন্ত এ থেকে সুরক্ষার কোনো ভাবনা সরকারের নেই। ভারতীয় ৪০টির মতো চ্যানেল দেখানো হয় এ দেশে; তার মধ্যে ৩০টিই হিন্দি ভাষায়। শিশুরা যেসব কার্টুন দেখে তাও হিন্দিতে অনুবাদ করা।
অনেক অভিভাবকের ভাষায়, নগরজীবনে যেখানে খোলা মাঠ ইতিহাস হতে চলেছে, বসার বারান্দা যেখানে শিশুর বেড়ে ওঠার জায়গা, সেখানে কার্টুন চ্যানেলের বোতাম আটকানো কঠিন।
আর এ সুযোগটাই নিচ্ছে ভারতীয়রা। এখানে তারা তাদের ধর্মের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী তুলে ধরার সুযোগ নিচ্ছে। এসব দেখে দেখে বড় হচ্ছে আমাদের শিশু-কিশোরেরা।
দেশের শিশু-কিশোর এবং তরুণী ও গৃহবধূরা হিন্দি ভাষায় চোস্ত কথা বলতে পারে। এটি হিন্দি চ্যানেল দেখে দেখে শেখা। তরুণী-তরুণেরা যারা এসএমএস করেন বন্ধুদের, তারা এখন প্রায় কথা হিন্দিতে লিখে থাকে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেটেও দেখা যায় হিন্দি ব্যবহার করতে।
মগবাজারের বাসিন্দা জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, তার সন্তান তাকে হিন্দিতে প্রশ্ন করে, হিন্দিতেই জবাব চায়।
মোহাম্মদপুরের গৃহিণী রামিসা বলেন, হিন্দি ভাষা তুলনামূলক সহজ। আমার ভালো লাগে। আমি খুব ভালো হিন্দি বলতে পারি। এতে তিনি দোষের কিছুই দেখেন না।
কিন্তু এভাবে কী বাংলা ভাষা টিকে থাকবে? এমন উত্তরে নিশ্চিত করেই বলা যায়, ভারতীয় চ্যানেলের মাধ্যমে হিন্দি সংস্কৃতির আধিপত্য, এটা বাংলা ভাষাকে নিশ্চয়ই প্রভাবিত করছে।
উল্লেখ্য, মুসলিম পরিবারের একটা ঐতিহ্য আছে আমাদের। নগরায়নের সাথে ও সংস্কৃতির প্রভাবে এটি বিপন্ন। একক পরিবার গঠনে উদ্যোগী চলমান প্রজন্ম। ভেঙে পড়ছে পারিবারিক শৃঙ্খলা। পার্টি কালচার, বিভিন্ন দিবস উদযাপন এবং তাকে ঘিরে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মধ্য দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেহায়াপনা।
পরিবারের ভেতরে-বাইরে একজন মানুষকে নৈতিকভাবে ভিত্তি গড়ে দেয়ার প্রচেষ্টা ছিল একসময়। আগে ছোটবেলায় ভোরে ঘুম থেকে উঠে যে কুরআন শরীফ পড়াতেন; তারপর বের হতেন কাজে। এখন আর তা হয় না।
স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে সিরিয়াল ও সিনেমার নামে যা দেখানো হচ্ছে এর একটা প্রভাব পড়ছে পরিবারে তরুণী বধূদের ওপর। তরুণেরাও এর প্রভাব থেকে দূরে নন। পরচর্চা, পরশ্রীকাতরতা, ভ-ামি, অবৈধ যৌনজীবন, পরকীয়াসহ বিভিন্ন বিষয়কে উসকে দিচ্ছে এ মাধ্যম-এ মন্তব্য সংস্কৃতি পর্যবেক্ষকদের।
এসব টিভি চ্যানেল ও সিনেমায় ব্যবহৃত পোশাক এবং নায়ক-নায়িকার শরীরের গঠন তরুণ-তরুণীদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তাই ঈদ-উৎসব এলে ভারতীয় পণ্যের বিশাল বাজার হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ভারতীয় নায়িকা, সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামে পোশাক-আশাক থেকে কানের দুল পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এখানে।
মূলত, হিন্দির মাধ্যমে আমাদের সেক্স আফিম খাওয়ানো হচ্ছে, ভোগবাদিতার দিকে উসকে দেয়া হচ্ছে। তরুণসমাজকে নৈতিক বোধহীন, ভোগবাদী ও সামাজিক মূল্যবোধহীন করে তুলছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমার মতে, হিন্দি সিরিয়ালে শেখার মতো কিছু নেই, কিন্তু ছোটবেলা থেকে দেখে অভ্যাস। তাই ছাড়তে পারি না। তবে মূল্যবোধটা তিনি একান্তই নিজের মনে করেন। তার মতে, যার ক্ষয়ে যাওয়ার তার এমনিতেই যাবে।
স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের ওপর ভর করে বিশ্বে সৌন্দর্যশিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটছে। স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং হিন্দি ও ইংরেজি সিনেমার নায়িকার মতো ফিগারের প্রতি এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছে সমাজে।
বাংলাদেশের দিকে তাকালেও আমরা এটি দেখতে পাবো। পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে একের পর এক বিউটি পার্লার। ব্র্যান্ড বিউটি পার্লারের সংখ্যাও বাড়ছে। যেমন পারসোনা আগে কেবল গুলশানেই তাদের কার্যক্রম ছিল; এখন ঢাকার অন্তত তিনটি স্থানে তারা শাখা খুলেছে। ছেলেদের জন্যও আলাদা শাখা খুলেছে তারা।
নারীর দেহসৌন্দর্যকে ঘিরে পৃথিবীজুড়ে বিশাল বাণিজ্য চলছে। বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায় করছে ওজন কমানো ইন্ডাস্ট্রি প্রতি বছর এবং এই বাণিজ্য টিকেই আছে নিজের দেহের ওপর নারীর ঘৃণা তৈরি করে। এসব সৌন্দর্য ইন্ডাস্ট্রি লাখো নারীকে বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের মুখের ওপর কেমিক্যাল আবর্জনা, তোলা চিকন ভ্রƒ যা কিনা আবার এঁকে ভরাট করতে হবে, এগুলোই হচ্ছে সৌন্দর্যচর্চা। মডেলিং ইন্ডাস্ট্রি যেমনটি বলেছে, স্পোর্টস সুইমসুট এডিশন, কসমো, কভার গার্লের সাবেক কভার মডেল আন সিমনটন, আয়ত্তে আনা সম্ভব নয় এমন এক অলীক সৌন্দর্যের পক্ষে প্রচারণা চালায়।
সংশ্লিষ্ট হওয়ার জন্য স্লিম হওয়ার মেয়েরা না খেয়ে থাকে, বমি করে, স্টমাক স্টাপল করে রাখে, চোয়ালকে তার দিয়ে বেঁধে রাখে ও মেদ বের করে ফেলে। নারীরা মোটা শুধু এ কথা বলেই ক্ষান্ত নয় সৌন্দর্যশিল্প। নারীদের বলা হয়, তাদের শরীরের সব কিছুরই উন্নয়ন দরকার। তাদের দাঁত যথেষ্ট সাদা নয়, সাদা নয় যথেষ্ট তাদের ত্বক, তাদের চোখ যথেষ্ট নীল নয়, চুল নয় যথেষ্ট উজ্জ্বল তাদের শরীরের কিছুই ঠিক নয়। আমাদের দেশে ত্বক ফর্সাকারী উপাদানের প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন পাশ্চাত্যে ত্বক তামাটে করার বাণিজ্য রমরমা।
আমেরিকান সোসাইটি ফর এসথেটিক প্লাস্টিক সার্জনসের হিসাব মতে, ২০০১ সালে ৮৫ লাখ কসমেটিক সার্জারি হয়েছে। ২০০০ সালের তুলনায় তা এক বছরের বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। ২০১৫ সাল নাগাদ কসমেটিক সার্জারির সংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এ বৃদ্ধি এশিয়াতে বছরে ঘটছে ২০ শতাংশ হারে।
ঢাকায় নামীদামি হাসপাতাল ছাড়াও আলাদাভাবে প্লাস্টিক সার্জারির প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেখানে এখন এ জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। ঢাকার রাস্তায় এখন হামেশাই চোখে পড়ছে- তরুণীটির কোমর কত হবে, বুক কত কিংবা মুখের দাগ-ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর এসব চিকিৎসার বিজ্ঞাপন। (নাঊযুবিল্লাহ)
(সংগৃহীত।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪
ঢাকা থেকে বলেছেন: সহমতের জন্য শুকরিয়া।
কেউ বিশ্বাস না করলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ধর্মই মানুষকে নৈতিকতা শেখায়। আর নৈতিকতা না থাকলে বেহায়া, বেলেল্লাপনা তো ঝেঁকে ধরবে এটাই স্বাভাবিক। ধর্মহীন জীবন চর্চার কুফল সবাইকেই ভোগ করতে হবে।(নাউযুবিল্লাহ)।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
ভাবসাধক বলেছেন: হিন্দির আধিপত্যে বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি বিপন্ন হতে চলেছে।
নারীকে এখন পণ্য ছাড়া আর কীই বা বলা যায়? চামড়া সাদা হলে নাকি চাকরি পাওয়া যায়। লেখাপড়া যতই হোক, যোগ্যতা যতই থাকুক চাকরি পাবে না কারণ চামড়া সাদা না। এই হল বিজ্ঞাপনের শিক্ষা।
ঠিক ঠিক ঠিক !!!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৬
ঢাকা থেকে বলেছেন: শুধু ঠিক বললেই চলবে?
কিছু একটা করা দরকার না?
পূর্ব পুরুষ ভাষার জন্য জান দিয়েছে।
আমাদের তো এ ভাষার মান-মর্যাদা রক্ষা করা উচিত।
কি বলেন?
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৯
ঢাকা থেকে বলেছেন: @ লালন রিটার্ন , কিছু মনে করবেন না।
ইসলামে গান বাজনা উভয়টাই হারাম।
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
দেশকে ভালোবাসার সাথে দেশের ভাষাকে ভালো বাসতে হবে।
আর এ জন্য ইসলামী ধর্মীয় অনুশাসনের বিকল্প নেই।
ইসলামই মানুষকে নৈতিকতা শিখায়। দেশপ্রেম শেখায়।
কাজেই অপসংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেই হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
লালন রিটার্ন বলেছেন: তর্কে যেতে চাইনা। এব্যাপারে হাদিস খুলে দেখুন কি আছে?
গান গাওয়া হারাম এই যক্তিটা যারা দেয় তাদের জন্য এই মূহুর্তে ওস্তাদ শাহ আলম সরকারের একটি গান মনে পড়ছে: ‘না করে গন্ডগোল খোল তোরা হাদিস খোল, বেলাল কেন বাজায় ঢোল সেই দিন সেই দিন..যে দ্বীনের নবী ছেড়ে যান পৃথিবী, ঢোল বাজিয়ে ক্ষমা চাইনি চাইনি?
গায়ক আরো বলেছেন-সুরেতে দেয় আজান, সুরেই পড়ে কোরান সুরেতে ওয়াজ করে উয়াজিন....।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
ঢাকা থেকে বলেছেন: এ সম্পর্কিত ইলম দু’প্রকার। (১) “ইলমে আরুজী” অর্থাৎ ছন্দ প্রকরণ যেমন- বালাগাল উলা বি কামালিহী ......... ও মীলাদ শরীফ-এ পাঠকৃত ক্বাছীদাসমূহ, যা গানের সুরে পাঠ করা হয় না। (২) “ইলমে মুসীক্বী” অর্থাৎ রাগ-রাগিণী বা গানের সুর। কাজেই বাদ্যযন্ত্র বা বাজনা তো শরীয়তে সম্পূর্ণই নাজায়িয। সাথে সাথে বাদ্যবিহীন ইলমে মুসীক্বীও নাজায়িয।
মূলত “গান-বাজনা” বা সঙ্গীত কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অকাট্য ও কেৎয়ী দলীল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালাম পাক-এর অসংখ্য স্থানে “গান-বাজনা” বা সঙ্গীত নিষেধ করেছেন। যেমন “সূরা লোকমান”-এর ৬ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ ফরমান, “মানুষের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে। যারা ‘লাহওয়াল হাদীছ’ খরিদ করে থাকে। যেনো বিনা ইলমে মানুষদেরকে আল্লাহ পাক উনার পথ থেকে বিভ্রান্ত করে এবং হাসি-ঠাট্টা রূপে ব্যবহার করে, তাদের জন্যে অপমানজনক শাস্তি রয়েছে।”
অনুসরণীয় মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এ আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত “লাহওয়াল হাদীছ” দ্বারা “গান-বাজনা বা সঙ্গীতকে” সাব্যস্ত করেছেন।
যেমন, বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “তাফসীরে ইবনে কাছীর”-এর ৮ম খণ্ড, ৩-৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ‘লাহওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- ‘গান-বাজনা’ বা সঙ্গীত।” ...... হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত জাবের, হযরত ইকরামাহ, হযরত সাঈদ বিন জুবাইর, হযরত মুজাহিদ, হযরত মাকহুল, হযরত আমর ইবনে শোয়াইব ও হযরত আলী ইবনে বোযায়মা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এ ব্যাখ্যাই করেছেন। আর বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উক্ত আয়াত শরীফ গান ও বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।
এছাড়াও তাফসীরে কুরতুবী, তাবারী, দুররে মানছুর, রুহুল মায়ানী, মাদারেক, কাশশাফ, মায়ালিম, ছায়লবী ও ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আদাবুল মুফরাদ” কিতাবে “লাহওয়াল হাদীছ” অর্থ: “গান-বাজনা”, “বাদ্যযন্ত্র” বলে উল্লেখ করেছেন। অনুরূপ সূরা নজম ও বণী ইসরাঈল-এও “গান-বাজনা” হারাম হওয়ার ব্যাপারে আয়াত শরীফ রয়েছে। অতএব, কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ যা কিৎয়ী দলীল, তাদ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে, “গান-বাজনা” বা সঙ্গীত ও “বাদ্যযন্ত্র” ইত্যাদি সম্পূর্ণই হারাম ও আযাবের কারণ।
“গান-বাজনা” ও “বাদ্যযন্ত্র” নিষেধ হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এও বর্ণিত রয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “গান শোনা গুনাহর কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসিকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।”
অন্য হাদীস শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পানি যেরূপ যমীনে ঘাস উৎপন্ন করে “গান-বাজনা” তদ্রূপ অন্তরে মুনাফিকী পয়দা করে।” (বায়হাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান)।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, “আমি ‘বাদ্যযন্ত্র’ ও ‘মূর্তি’ ধ্বংস করার জন্যে প্রেরিত হয়েছি।”
কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর আলোকে ইমাম-মুজতাহিদ তথা ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা ফতওয়া দেন যে, “গান-বাজনা” সঙ্গীত বা “বাদ্যযন্ত্র” সম্পূর্ণই হারাম। এটাকে হালাল বলা কুফরী।
যেমন আল্লামা হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “তাফসীরে আযীযী”-এর ১ম খণ্ডের ৬৫ পৃষ্ঠায় লিখেন, “মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে, “লাহওয়াল হাদীছ” হচ্ছে- “গান-বাজনা”, সঙ্গীত। সূরা লোকমান-এর ৬ নম্বর আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফির হবে।
“জামিউল ফতওয়াত” কিতাবে উল্লেখ আছে, “গান-বাজনা” শ্রবণ করা, “গান-বাজনার” মজলিসে বসা, “বাদ্যযন্ত্র” বাজানো, “নর্তন-কুর্দন” করা সবই হারাম, যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফির।” অনুরূপ প্রায় সকল ফিক্বাহর কিতাবেই “গান-বাজনা”, “বাদ্যযন্ত্র” ইত্যাদিকে হারাম ফতওয়া দেয়া হয়েছে।
কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দলীল দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, “গান-বাজনা”, “বাদ্যযন্ত্র” ইত্যাদি সব নাজায়িয ও হারাম। এগুলোকে হালাল মনে করা কুফরী। কাজেই কোনো অবস্থাতেই “গান-বাজনা” করার অনুমতি শরীয়তে নেই তা যে কোনো প্রকার গানই হোক না কেন।
যারা বলে বুখারী শরীফ-এর ৫ম খণ্ডে “গান-বাজনা” জায়িয লেখা আছে তারা চরম জাহিল ও গুমরাহ। আর জাহিল বলেই বুখারী শরীফ-এর ৫ম খণ্ড দলীল হিসেবে পেশ করে থাকে। অথচ মূল বুখারী শরীফ-এর কোন ৫ম খণ্ডই নেই। মূলত বুখারী শরীফ-এর কোথাও যদি “গান-বাজনা” জায়িয লিখা থাকতো তবে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “আদাবুল মুফরাদ” কিতাবে “গান-বাজনা” হারাম বললেন কেন? কাজেই যারা এ ব্যাপারে বুখারী শরীফ-এর দলীল দেয় তারা চরম জাহিল, গুমরাহ, বিদয়াতী ও প্রতারক।
মূলকথা হচ্ছে- কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দৃষ্টিতে সর্বপ্রকার সঙ্গীত যেমন, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দৃষ্টিতে সর্বপ্রকার সঙ্গীত যেমন, নবীতত্ত্ব, মুর্শিদী, জারী, কাওয়ালী, পল্লীগীতি, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, লালনগীতি, ভাওয়ালী, ভক্তিমূলক, আধুনিক গান, ছায়াছবির গান, ব্যান্ডসঙ্গীত ইত্যাদি সর্বপ্রকার গানই লেখা, গাওয়া ও শোনা হারাম এবং কবীরা গুনাহ। জায়িয বলা বা মনে করা কুফরী। যারা বুখারী শরীফ-এর দোহাই দিয়ে গান-বাজনা বা সঙ্গীতকে জায়িয বলে তারা গুমরাহ ও চরম মিথ্যাবাদী। যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে তাহলে প্রকাশ্য বাহাছে এসে দলীল পেশ করুক। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো তবে দলীল পেশ করো।”
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫
বেঈমান আমি বলেছেন: আই হেট হিন্দি ।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৩
লালন রিটার্ন বলেছেন: আপনারাতো দেখি দলিল খুব মেনে চলেন?
লাইফ এ গান কখনো শুনেন নাই মনে হয় ? শিলা ও বোধ হয় দেখেন নাই ! আপনি এতো ভালো কেনো ভাই ?
০২ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:০৯
ঢাকা থেকে বলেছেন: জী, মানার চেষটা করি,
গান এক সময় শুনছি, এখন শুনিনা,
ভালো হতে চাইলে তো!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
নভোচারী বলেছেন: আপনার এমন একটা কথাও পেলাম না যার সাথে দ্বিমত করব। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে "দেখা মাত্র গুলি" টাইপের কোনো আদেশ জারি করা ছাড়া উপায় নেই।
নারীকে এখন পণ্য ছাড়া আর কীই বা বলা যায়? চামড়া সাদা হলে নাকি চাকরি পাওয়া যায়। লেখাপড়া যতই হোক, যোগ্যতা যতই থাকুক চাকরি পাবে না কারণ চামড়া সাদা না। এই হল বিজ্ঞাপনের শিক্ষা।