![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
{ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى صِيَامَ يَوْمٍ فَضَّلَهُ عَلَى غَيْرِهِ إِلّا هَذَا الْيَوْمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَهَذَا الشَّهْرَ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ }
আমি নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ ,রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং এই মাস অর্থাৎ রমজান মাসের রোজার প্রতি। (বোখারী শরীফ:১৮৬৭)
নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ ,রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
صيام يوم عاشوراء، إني أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله
আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।(সহিহ মুসলিম শরীফ:১৯৭৬)
এটি আমাদের প্রতি মহান আল্লাহর অপার করুণা। তিনি একটি মাত্র দিনের রোজার মাধ্যমে পূর্ণ এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। সত্যই মহান আল্লাহ পরম দাতা।
বছরের কোন দিনটি আশুরার দিন
আল্লামা হযরত নববি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তাসুআ, আশুরা দু’টি মদ্দযুক্ত নাম। অভিধানের গ্রন্থাবলীতে এটিই প্রসিদ্ধ। আমাদের সাথীরা বলেছেন, আশুরা হচ্ছে মুহররম মাসের দশম দিন। আর তাসুআ সে মাসের নবম দিন। জমহুর ওলামারাও তা-ই বলেছেন। হাদিসের আপাতরূপ ও শব্দের প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক চাহিদাও তাই। ভাষাবিদদের নিকট এটিই প্রসিদ্ধ। {আল-মজমূ}
এটি একটি ইসলামি নাম, জাহেলি যুগে পরিচিত ছিল না। {কাশফুল কান্না’ ২য় খন্ড, সওমুল মুহররম}
ইবনু কোদামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আশুরা মুহররম মাসের দশম দিন। এটি হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত হাসান বসরি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মত।
কারণ আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন,
أمر رسول الله - صلى الله عليه وسلم - بصوم يوم عاشوراء العاشر من المحرم
নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ ,রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরা-মুহররমের দশম দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। {বর্ণনায় তিরমিজি রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি বলেছেন, হাদিসটি হাসান সহিহ}
আশুরার সাথে তাসুআর রোজাও মুস্তাহাব
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন,
حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى، فَقَالَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ". قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِصَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ }.
অর্থাৎ, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদেরকে) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা বড় জ্ঞান করে, সম্মান জানায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আগামী বছর এদিন আসলে, আমরা নবম দিনও রোজা রাখব ইনশাল্লাহ। বর্ণনাকারী বলছেন, আগামী বছর আসার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত হয়ে গিয়েছে। (সহিহ মুসলিম শরীফ:১৯১৪৬)
হযরত ইমাম শাফেয়ি রহমতুল্লাহি আলাইহিও তাঁর সাথীবৃন্দ, ইমাম আহমাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ বলেছেন, আশুরার রোজার ক্ষেত্রে দশম ও নবম উভয় দিনের রোজাই মুস্তাহাব। কেননা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ তারিখ রোজা রেখেছেন এবং নয় তারিখ রোজা রাখার নিয়ত করেছেন।
এরই উপর ভিত্তি করে বলা যায়, আশুরার রোজার কয়েকটি স্তর রয়েছে: সর্ব নিম্ন হচ্ছে কেবল দশ তারিখের রোজা রাখা। এরচে উচ্চ পর্যায় হচ্ছে তার সাথে নয় তারিখের রোজা রাখা।
তাসুআর রোজা মুস্তাহাব হবার হিকমত
হযরত ইমাম নববি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তাসুআ তথা মুহররমের নয় তারিখ রোজা মুস্তাহাব হবার হিকমত ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে প্রাজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন,
এক. এর উদ্দেশ্য হল,
ইহুদিদের বিরোধিতা করা। কারণ তারা কেবল একটি অর্থাৎ দশ তারিখ রোজা রাখত।
দুই.
আশুরার দিনে কেবলমাত্র একটি রোজা পালনের অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে তার সাথে অন্য একটি রোজার মাধ্যমে সংযোগ সৃষ্টি করা।
এর মধ্যে সর্বাধিক শক্তিশালী তাৎপর্য হচ্ছে, আহলে কিতাবের বিরোধিতা করা।
হযরত আল্লামা ইবন হাজার রহমতুল্লাহি আলাইহি
{ لئن بقيت إلى قابل لأصومن التاسع }
আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে অবশ্যই নয় তারিখ রোজা রাখব।হাদিসের তা’লিকে বলেছেন,
নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ ,রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় তারিখে রোজা রাখার সংকল্প ব্যক্ত করার উদ্দেশ্য কিন্তু এই নয় যে, তিনি কেবল নয় তারিখে রোজার রাখার সংকল্প করেছেন বরং তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দশ তারিখের রোজার সাথে নয় তারিখের রোজাকে সংযুক্ত করা। সাবধানতা বশত: কিংবা ইহুদি খ্রিষ্টানদের বিরোধিতার জন্য। এটিই অগ্রাধিকার প্রাপ্ত মত। সহিহ মুসলিমের কতিপয় বর্ণনা এদিকেই ইংগিত করে। {ফাতহুল বারি:৪/২৪৫}
উল্লেখ্য, মহররম শরীফে ৯, বা ১০ তারিখ রোযা রাখা উত্তম। অথবা ১০,১১ রাখা যেতে পারে। তবে একটি রোযা রাখা নাযায়িয এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৪
ঢাকা থেকে বলেছেন: শুকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫০
রাকি২০১১ বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।