![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।
১৯৭১ সালে জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে ভূমিকা পালন করেছিল, তার কিছু নমুনা হিসেবে বর্তমানে জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অপর্কীতি তুলে ধরা হল। পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করতে গিয়ে সে যেরূপ অমানবিকতায় মেতে উঠেছিল, তা পড়েই পাঠক বিচার করবেন সে কতো বড়ো যুদ্ধাপরাধী!
’৭১-এ রাজাকার বাহিনীর সদস্য ও জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা, খুনি, লুটেরা, ধর্ষক, সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রয়েছে স^াধীনতা বিরোধিতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।
এছাড়া বিগত জামাত-জোট সরকারের আমলে গডফাদারে পরিণত হয়েছিল সে। ৫ বছরের শাসনামলে রাজাকার সাঈদী ও তার ক্যাডার বাহিনীর হিংসাত্মক তৎপরতায় এলাকার প্রতিপক্ষের রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক কেউই রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী ও নরঘাতক সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর দুষ্কর্মের কিছু বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট’-এ। ওই রিপোর্ট হতে জানা যায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযদ্ধের সময় এই কুখ্যাত জামাত নেতা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নিজ এলাকায় আল-বাদর, আল-শামস এবং রাজাকার বাহিনী গঠন করে এবং তাদের সরাসরি সহযোগিতা করে। ১৯৭১ সালে সে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা ছিল না, তবে তথাকথিত মাওলানা হিসেবে সে তার স্বাধীনতাবিরোধী অপতৎপরতা পরিচালনা করেছে। তার এলাকায় পাক সেনাদের সহযোগী বাহিনী গঠন করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লুটতরাজ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ইত্যাদি অপতৎপরতা পরিচালনা করেছে। এছাড়াও মিজান তালুকদার বলেন, একাত্তর সালের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে মাও. সাঈদী তার বড়ো ভাই আব্দুল মান্নান তালুকদারকে ধরে পাড়ের হাটে। পিস কমিটির অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আব্দুল মান্নান তালুকদারের উপর দেইল্যা রাজাকার সাঈদী পাশবিক নির্যাতন করে এবং তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা মিজান তালুকদার কোথায় আছে জানতে চায় ও তার সন্ধান দিতে বলে। গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা পিরোজপুরের অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খানও দেইল্যা রাজাকার সাঈদীর বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেইল্ল্যা রাজাকার সাঈদীর সহযোগিতায় তাদের এলাকার হিমাংশু বাবুর ভাই ও আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে। পিরোজপুরের মেধাবী ছাত্র গণপতি হালদারকেও দেইল্যা রাজাকার সাঈদী ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তৎকালীন মহকুমা এসডিপিও ফয়জুর রহমান আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত এসডিও আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, স্কুল হেডমাস্টার আব্দুল গাফফার মিয়া, সমাজসেবী শামসুল হক ফরাজী, অতুল কর্মকার প্রমুখ সরকারি কর্মকর্তা ও বুদ্ধিজীবীদেরকে দেইল্যা রাজাকার মাও. সাঈদীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হত্যা করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তথ্য সরবরাহকারী ভগীরথীকে তার নির্দেশেই মোটরসাইকেলের পিছনে বেঁধে পাঁচ মাইল পথ টেনে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
পাড়ের হাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন খান জানিয়েছেন, দেইল্যা রাজাকার সাঈদীর পরামর্শ পরিকল্পনা এবং প্রণীত তালিকা অনুযায়ী এলাকার বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের পাইকারি হারে নিধন করা হয়।
রুহুল আমীন নবীন আরো জানান, দেইল্ল্যা রাজাকার সাঈদী এবং তার সহযোগীরা তদানীন্তন ইপিআর সুবেদার আব্দুল আজিজ, পাড়ের হাট বন্দরের কৃষ্ণকান্ত সাহা, বানীকান্ত সিকদার, তরুণীকান্ত সিকদার এবং আরো অনেককে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। (সূত্র: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র)
চলবে∷∷∷∷∷
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
পীরসাহেব বলেছেন: ঝুলাইদে!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৬
ঢাকা থেকে বলেছেন: সময়মত ঝুলবো।
চিন্তার কারন নাই।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: কিছু ছাগুর দল কয় ৭১ এ বলে দিল্যা রাজাকার ফিডার দিয়া দুধ খাইত ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৪
ঢাকা থেকে বলেছেন: ছাগুদের পক্ষে এধরনের কথা বলা খুবই স্বাভাবিক।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫০
আমি মুখতার বলেছেন: পীরসাহেব বলেছেন: ঝুলাইদে!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৭
ঢাকা থেকে বলেছেন: না ঝুললে, জনগন সাইজ করে দিবো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
অপর্না হালদার বলেছেন: দেখবো কি লিখেন নজরে রাখা হচ্ছে ।
সাঈদীকে এখন ছাই-দী