নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদই হলো সবচেয়ে বড় জিহাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই, হতে হবে।

ঢাকা থেকে

অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।

ঢাকা থেকে › বিস্তারিত পোস্টঃ

⋐⋑⋐⋑⋐⋑⋐⋑রাজাকার, বাংলার ইহুদী ওরফে সাইদীর যতকুকর্ম⋐⋑⋐⋑⋐⋑⋐⋑পর্বঃ ৩

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

১৯৭১ সালে জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে ভূমিকা পালন করেছিল, তার কিছু নমুনাঃ

========================================

========================================

ধর্মব্যবসায়ী দেইল্যা রাজাকারের ধর্মব্যবসা ও আত্মগোপন থাকার কাহিনীঃ

জয়পুরহাটে আত্মগোপন থাকার সময় এক ওয়াজ মাহফিলে নির্ধারিত মাওলানা না আসায় দেলাওয়ার হোসাইন ওয়াজ কমিটির অনুমতি নিয়ে সেখানে ওয়াজ শুরু করে। এভাবেই তার ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মব্যবসা শুরু হয়। এরপর সে ভৈরব, সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে এবং ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন শুরু করে। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সে আত্মগোপনে ছিলো। ‘দেইল্যা’ রাজাকার সাঈদীর ব্যাপারে একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশন রিপোর্টে বলা হয়েছে, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই জামাত নেতা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নিজ এলাকায় আল-বাদর, আল শামস এবং রাজাকার বাহিনী গঠন করে ও তাদের সরাসরি সহযোগিতা করে। ১৯৭১ সালে সে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলো না, তবে তথাকথিত মাওলানা হিসেবে সে তার স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতা পরিচালনা করেছে। তার এলাকায় পাক সেনাদের সহযোগী বাহিনী গঠন করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লুটতরাজ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ইত্যাদি তৎপরতা পরিচালনা করেছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ‘দেইল্যা’ রাজাকার সঈদী ’৭১ সালের ১৬ আগস্ট গোপাল বণিক নামে পাড়েরহাটের এক ব্যবসায়ীকে পাক সেনাদের হাতে তুলে দেয়। ৬ ডিসেম্বর আবদুল আজিজ নামে একজনকে হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল জামাত নেতা সাঈদী বিভিন্ন ওয়াজ তাফসিরের নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখে। পবিত্র ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে একজন ‘মাওলানা’ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে সাঈদীর অপকর্মের নজীর শুধু বিগত নির্বাচনেই নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও রয়েছে। ঐসময় সে ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজ জেলা পিরোজপুরে মক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদেরসহ হিন্দুদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, সম্পদও লুট করেছে।

সে কতো বড়ো যুদ্ধাপরাধী! জোরপূর্বক বাড়িদখল করে সম্ভ্রমহরণ ও অসামাজিক কাকলাপ পরিচালনায় দেইল্যা রাজাকার সাঈদী: দেইল্যা রাজাকার সাঈদীর বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ, পাক বাহিনীর ভোগের জন্য বলপূর্বক মেয়েদের ধরে সে তাদের ক্যাম্পে পাঠাতো। গণ তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ‘পিরোজপুরের অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক খান গণতদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন, সাঈদী যুদ্ধের সময় পাড়েরহাট বন্দরের বিপদ সাহার বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে এবং তখন সে এ বাড়িতেই থাকতো। সে ওখানে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতো। এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করে পাক সেনাদের কাছে সরবরাহ করতো রাজাকার সাঈদী। অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক আরো জানিয়েছেন, সাঈদী পিরোজপুরে পাকিস্তানি সেনাদের ভোগের জন্য জোরপূর্বক মেয়েদের ধরে এনে তাদের ক্যাম্পে পাঠাতো। পাড়েরহাট বন্দরের হরি সাধু এবং বিপদ সাহার বাড়ি লুটপাটের পর তার মেয়েদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে রাজাকার সাঈদী। বিখ্যাত তালুকদার বাড়িতে লুটতরাজ করেছে। ওই বাড়ি থেকে ২০-২৫ জন মহিলাকে ধরে এনে পাক সেনাদের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়।





চলবে∷∷∷∷∷

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

অজানাবন্ধু বলেছেন: রাজাকারদের ফাসি চাই

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

ঢাকা থেকে বলেছেন: শুধু ফাঁসি নয়, গণ ফাঁসি চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.