নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদই হলো সবচেয়ে বড় জিহাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই, হতে হবে।

ঢাকা থেকে

অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।

ঢাকা থেকে › বিস্তারিত পোস্টঃ

⋐⋑⋐⋑⋐⋑⋐⋑রাজাকার, বাংলার ইহুদী ওরফে সাইদীর যতকুকর্ম⋐⋑⋐⋑⋐⋑⋐⋑পর্বঃ ৪

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

১৯৭১ সালে জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে ভূমিকা পালন করেছিল, তার কিছু নমুনাঃ

========================================

========================================



পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদী পাড়েরহাট বন্দরটি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। সে বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণদের ধরে আনতো এবং আল-বাদর বাহিনীতে ভর্তি হতে বাধ্য করতো। কেউ এর বিরোধিতা অথবা আপত্তি করলে তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হতো।’ শাবি’র শিক্ষক লেখক জাফর ইকবালের পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জড়িত ছিলো বলে তার কন্যা সুফিয়া হায়দার এবং জামাতা আলী হায়দার খান অভিযোগ করেছেন। তারা জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সহযোগিতায় ফয়জুর রহমান আহমেদকে পাকিস্তানি সৈন্যরা হত্যা করে এবং হত্যার পরদিন সাঈদীর বাহিনী পিরোজপুরে ফয়জুর রহমান আহমেদের বাড়ি সম্পূর্ণ লুট করে নিয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যা ও নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছে সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী। পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতন, লুটতরাজসহ নানা যুদ্ধাপরাধের অন্যতম হোতা দেইল্যা রাজাকার সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী। তার এসব অপকর্মের বহু নজির ও সাক্ষী আজো পাওয়া যাবে তার হাতে নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেঁচে থাকা পিরোজপুরের স্বজনহারা মানুষের ঘরে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪০ বছর পর দেইল্ল্যা রাজাকার সাঈদী তার ঘাতক, যুদ্ধাপরাধীর চেহারা গোপন করে ধর্মের নাম ভাঙিয়ে প্রধানত তরুণ প্রজন্মের অজ্ঞতার সুযোগে তাদের কাছ থেকে ভোট পাওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পিরোজপুর ও নাজিরপুরের যাদের বয়স ৩০-৩৫ বছরের নিচে তারা দেইল্যা রাজাকার সাঈদীর আসল চেহারা চেনে না বলেই তার মতো নরঘাতক পার হয়ে যায় নির্বাচনী বৈতরণী।

তাছাড়া ক্ষমতার লোভে এরা ইসলামকে অবমাননা করতে এমনকি কৃষ্ণ ও রামের পূজারি হতেও লজ্জা বোধ করে না।

কৃষ্ণ ও রামের পূজারী দেইল্যা রাজাকার মুরতাদ সাঈদীঃ



গত ৩১শে মার্চ-২০০৬ ঈসায়ী দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘পিরজপুর-১ আসনের এমপি ও জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় দলের উপনেতা মালানা দে হো সাঈদী হিন্দুদের রামকৃষ্ণ আশ্রমে এক অনুষ্ঠানে যোগদানকরতঃ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে। আলোচনাকালে সাঈদী বলে যে, “কৃষ্ণ ও রামকে শ্রদ্ধা করি।”

‘দৈনিক সমকাল’-এ ‘সাঈদীর ধর্ণা’ শিরোনামে প্রথম পাতায় ছোট্ট একটি খবর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘পিরোজপুর-১ আসনের সাংসদ ও জামাতে ইসলামীর সংসদীয় দলের নেতা মালানা দে হো সাঈদী আগামী নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট আদায়ের লক্ষ্যে মন্দির-আশ্রমে ধর্ণা দিতে শুরু করেছে। বুধবার পিরোজপুর পৌর এলাকার ঘুমুরিয়া বিপিন চাঁদ ঠাকুরের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী ও মতুয়া সম্মেলনে সাঈদী উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখে এবং আশ্রমে ৫০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা দেয়। এর কিছুদিন আগে সে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে পিরোজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম, কালীবাড়ি মন্দির, বিপিন চাঁদ সেবাশ্রমসহ বিভিন্ন আশ্রম ও মন্দিরে আলোচনা অনুষ্ঠানে মিলিত হয়।” (সমকাল, ২১ এপ্রিল-২০০৬)

উল্লেখ্য, সাঈদী যে কতোটুকু হিন্দু স্বার্থরক্ষক তা হিন্দুরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। সে ’৭১-এ অনেক হিন্দুদেরকে হত্যা করেছে, বাড়ি-ঘর লুট করেছে। ক্ষমতায় আসার পরে আবারো সে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন চালিয়েছে।





(চলবে:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.