![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।
১২ হাজার বাংলাদেশী তালেবানের সন্ধানে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। বড় ধরনের নাশকতা ও আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী আফগানফেরত এই তালেবান যোদ্ধারা সরাসরি কাজ করছে আল-কায়েদা ও তালেবানদের সঙ্গে। এ কারণে তাদের বর্তমান অবস্থান এবং কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বড় ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমে অভিজ্ঞ আফগানফেরত যোদ্ধারা যাতে কোনো দলের আশ্রয়ে এবং অর্থায়নে নতুন করে মাথাচাড়া না দিতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। দেশে এবং দেশের বাইরে থাকা আফগানফেরত যোদ্ধাদের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে অবগত হতে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা জানান, সন্ত্রাসবাদীদের সবসময়ই একটি রাজনৈতিক দল মদদ দিয়ে আসছিল। তাদের প্রশ্রয়েই সন্ত্রাসবাদীরা বিভিন্ন সময় নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িয়েছিল। তবে আফগানফেরত অনেক যোদ্ধা বিভিন্ন সময় র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তবে বাইরে থাকা এসব আফগানফেরত যোদ্ধাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, বিগত বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ২০০১ পর্যন্ত কয়েক দফায় অন্তত ১২ হাজার বাংলাদেশী আফগান যুদ্ধে অংশ নেয়। বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নবিরোধী (বর্তমান রাশিয়া) যুদ্ধের সময় তালেবানদের সঙ্গে সামরিক প্রশিক্ষণের পর তারা সম্মুখ সমরে অংশ নেয়।
নাইন-ইলেভেনের পর আমেরিকার বিরুদ্ধেও তালেবানদের সহযোগী হিসেবে একটি গ্রুপ আফগানিস্তানে দীর্ঘ সময় লড়াই করে। এ সময় তারা কঠিন সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও আল-কায়েদার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে। যুদ্ধ শেষে তাদের অনেকে দেশে ফিরে এলেও অনেকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশে ফেরত আফগান যেদ্ধারা হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি-বি), জামা’আতুল মুজাহিদীন, ক্বেতাল গ্রুপসহ বিভিন্ন নামে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গড়ে তোলে। হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতে আবদুল হান্নান সরাসরি তালেবানদের সঙ্গে কাজ করেছে। তারা দেশের বিভিন্ন কওমী মাদরাসাকে সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যশোরের মনিরামপুরের কমান্ডার মুফতে আবদুর রহমান ফারুকী (মৃত) হরকাতুল জিহাদ নামে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটায়। এর আগে ১৯৮৬ সালে বগুড়ার আলতাফুনন্নেছা মাঠে এক জনসভার আয়োজন করে হুজি’র সদস্যরা। ওই সমাবেশে অংশ নিয়েছিলো মাওলানা আবদুস সালাম (গ্রেফতার), মাওলানা আইনুল হক, মুফতে আবদুল হাই, মুফতে শফিকুর রহমানসহ প্রায় এক হাজার আফগানফেরত যোদ্ধা। মাঝপথে এ সংগঠনের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়লেও ১৯৯৫ সালে মুফতে হান্নান অন্তত তিন হাজার আফগানফেরত যোদ্ধা নিয়ে হরকাতুল জিহাদ অব বাংলাদেশ (হুজি-বি) নামে আবার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে। ওয়ান-ইলেভেনের পর একটি সংস্থা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে হুজি-বি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ আছে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮
ঢাকা থেকে বলেছেন: ওই কেল্লার বিতরেই ওদেরকে দাফন করে দেয়া দরকার।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
বাংলার হাসান বলেছেন: এটা বাংলাদেশ প্রতিদিনের বেশ কিছু দিন আগের নিউজ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ক্লিনহার্ট অপারেশন দরকার। দেশের অবস্থা আসলেই খুব খারাপ ! এখানে বাশেরকেল্লার সাহস দেখেন - আবার পাকিস্তনা হতে চায়-
Click This Link