নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃসময়ের বিনীত কথক

ফিরোজ রিয়েল

আমি কেউ না...

ফিরোজ রিয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসংগঃ গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না...

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

গতকাল ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ তম ব্যাচের প্রথম ক্লাস । গতকাল থেকেই ফেসবুকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আই.টি বিভাগের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থীর লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা আলোচিত হয় । সেটি পড়ে অনেকে তা ফেসবুকে শেয়ার করছেন এবং একটি সনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই বলে বেড়াচ্ছেন । আসুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন বর্তমান ছাত্র শশী হিমুর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে দেখে নেই বাস্তব চিত্র-



গতকাল রাত থেকেই ফেসবুকে একটি খবর সবাই শেয়ার করেছেন “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আই.টি. - ১ম বর্ষের একজন ছাত্রীকে জাহানারা ইমাম হলের সিনিয়র আপুরা র‍্যাগ (rag) দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে।” প্রমাণ সহ বলতে পারি এই খবরটি সম্পূর্ণ একটই গুজব ছাড়া আর কিছুই না।



জা.বি’র একজন বর্তমান ছাত্র আমি, আমি যখন গতকাল রাতেই এই খবর শুনতে পাই সাথে সাথেই খবরের সত্যতা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছি। এবং আজ সকাল ১০ টা থেকে সশরীরে ক্যাম্পাসে থেকে এর সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছি। এবং অনুসন্ধান করে জেনেছি এটি একটি গুজব। অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এবং এটি যে একটি গুজব তাঁর প্রমাণ নিচে দিচ্ছি।



১. রাতে মাহাবুব হাসান ভাই প্রথম এই খবরের স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন এবং রাতেই আমি তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ‘কথিত’ লাঞ্ছিত মেয়েটির নাম এবং রোল নাম্বার সংগ্রহ করেছিলাম। এবং রাতেই জাহানারা ইমাম হলে আমার সহপাঠী এবং জুনিয়র মেয়ের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করেছি মেয়ের পরিচয় গোপন রেখে। রাতে কিছুই জানতে পারিনি কারন তখন প্রায় মধ্যরাত।



২. আজ সকালে মাহাবুব ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে কথিত ভিক্টিম মেয়ের ‘কথিত’ ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি এবং তার সাথেও যোগাযোগ করি। কিন্তু সে এই ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলতে নারাজ ছিলেন। তখনি সন্দেহ করছিলাম এটি একই গুজব।



৩. এর পর আমি যোগাযোগ করি জাহানারা ইমাম হলের হল সুপারের সাথে এবং প্রভোস্ট এর সাথে। জাহানারা ইমাম হলে আইটি- ১ম বর্ষের মাত্র দুইজন মেয়ে হলে উঠেছে। এবং সেই জুইজনের কেউই র‍্যাগের স্বীকার হয়নি এবং এই সম্পর্কে কিছুই জানে না। এবং পরবর্তীতে আমি হল সুপারের কাছে কথিত ভিক্টিম মেয়ের নাম বলেছি এবং হলের রেজিস্ট্রি খাতা খুঁজে জানতে পেরেছি, যেই মেয়ের নাম আমাকে বলা হয়েছে সেই নামের মেয়ে এখনো হলেই উঠেনি। সেখানে তাকে র‍্যাগ দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এখানে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করতে চাই- হলে প্রথম যেদিন কেউ উঠে সেদিনই একটা স্লিপের মাধ্যমে তাকে হলের রুম নাম্বার ঠিক করে দেয়া হয়, অর্থাৎ সেই নামের কেউ হলে উঠে থাকলে সেটার প্রমাণ তো থাকবেই। এখানেও প্রমান হয় ঘটনা গুজব ছাড়া কিছুই না।



৪. এর পর আমি যোগাযোগ করি ‘ব্লগার শারমিন রেজওয়ানা’ আপুর সাথে। তিনিও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রী। তিনিও গতকাল রাত থেকে ভার্সিটির ‘এসিস্ট্যান্ট প্রোক্টর’ এর সাথে যোগাযোগ করেছেন, এবং জাহানারা ইমাম হলের দুই জন হল সুপারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনিও এই ঘটনার কোনও সত্যতা খুঁজে পান নি। অর্থাৎ এটি একটি গুজব ছাড়া আর কিছুই না।



৫. সব শেষ যখন আমি নিশ্চিত হলাম এটি একটি গুজব, তখম আমি আবার সেই ‘কথিত ভিক্টিম’ মেয়ের কথিত লতায় পাতায় ভাইকে (কাজিন) ফোন করেছি, যার মাধ্যমে মাহাবুব ভাই এই ব্যাপারে জেনেছিলেন। সেই কথিত ভাইকে ফোন করে ঝাড়ি দেয়ার পর তিনি নিজে আমাকে বলেছেন, “সরি ভাই, আমি পুরো ব্যাপারটার জন্য দুঃখিত। আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কখনো এমন কাজ করবো না।” সব শেষে আবারো প্রমাণ হয় এটি একটি রটানো গুজব।



অনেকেই দেখলাম সকালে ফেসবুকে বলেছেন, ভিক্তিম মেয়েটি নিরাপদে আছে বলে ভার্সিটির ভিসি আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, ভিসিকে মেয়েটির নাম ধাম, রোল নাম্বার কিছুই জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে ভিসি কিভাবে আশ্বস্ত করেছেন যেখানে ভিক্টিমেরই কোনও খবর তিনি জানেন না, আর অস্তিত্ব নেই! এটিও একটি গুজব।



একটি অসাধু মহল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সব সময়েই খারাপ কথা গুজব আকারে প্রচার করে আসছে। জাবি প্রশাসন সব ধরণের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে সোচ্চার। আর র‍্যাগিং নামক কুপ্রথা ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরো বেশি সোচ্চার। ক্যাম্পাসের প্রতিটি ভবনে , মূল গেইটে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ কয়ার জন্য প্রক্টর, মহিলা প্রোক্টর এবং প্রশাসনের ফোন নাম্বার পোস্টারিং এর মাধ্যমে দেয়া আছে। একটি মাত্র ফোন করলেই দ্রুততম সময়ে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়। সেখানে এমন র‍্যাগিং কখনোই হওয়া সম্ভব না। বিগত কয়েক বছর ধরেই র‍্যাগিং নামক অসামাজিক কাজটি একেবারেই বন্ধ আছে।



সব শেষে বলব, গুজবে কান দিবেন না। এবং গুজব ছড়িয়ে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবেন না। গতকাল রাতে যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি ইতোমধ্যে ডিস্ক্লেইমার ও দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর তিনি বলেছিলেন “প্রথমে র‍্যাগিং দিয়ে শুরু হলেও পরে ভার্সিটির বড় ভাই/নেতাদের মনোরঞ্জনে শরীরটাও বিকিয়ে দিতে হয় টিকে থাকতে হলে।" এতি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। গত ৪১ বছরের ইতিহাসে জাবিতে এমন কিছুই হয়নি। বরং আমি নিশ্চিত করতে পারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে যে সুসম্পর্ক বিরাজমান টা দেশের অন্য কোনও ভার্সিটিতে পাওয়া যাবে না। এই বিসয়ে গতকালকের স্ট্যাটাসদাতা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।



আবারো বলছি, গুজবে কান দিবেন না। র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন। র‍্যাগিং প্রতিরোধ করতে জাবি যেমন বদ্ধ পরিকর তেমনি ভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যেন ব্যাবস্থা নেয়া হয় সেই আশা করছি।

-

গতকাল রটে যাওয়া গুজব ঠেকাতে এবং সত্য ঘটনা সবাইকে জানানোর জন্য ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে বলবো, এই স্ট্যাটাসটি সেয়ার করে সবাইকে সত্য জানার সুযোগ করে দিবেন।



ধন্যবাদ




কেউ ফেসবুকে শশী হিমুর স্ট্যাটাসটি দেখতে চাইলে এই লিংক এ যেতে অনুরোধ করছি



গতকালের মূল ফেসবুক পোস্টপ্রদানকারী মাহবুব হাসানের ভুল স্বীকার করার বক্তব্য দেখতে পাবেন নিচের লিংক দুটিতে-

প্রথম লিংক

দ্বিতীয় লিংক

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

লোনা স্বপ্ন বলেছেন: যা রটে তা কিছু তো ঘটে। ব্যাপার টা ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে X((

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: আপনি জানেন কিনা জানিনা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে খুবই সোচ্চার । জায়গায় জায়গায় বিলবোর্ডের মাধ্যমে র‌্যাগিং এর অভিযোগ করার জন্য প্রক্টরদের নাম্বার দেয়া হয়েছে । সেখানে অভিযোগ না করে, ফেসবুকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পর্কে অসম্মানজনক তথ্য ছড়ানো কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এ সম্পর্কে আপনি যদি একটু জানার চেষ্টা করে, আশাকরি আপনার ভুল ধারণার অবসান হবে। ধন্যবাদ ।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

লোনা স্বপ্ন বলেছেন: গত ৪১ বছরের ইতিহাসে জাবিতে এমন কিছুই হয়নি কিন্তু মানিক ঠিক ই সেঞ্চুরী করে ফেলসে X(

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: হ্যাঁ আপনারা মানিকের কথা বলবেন, কিন্তু এই আমরাই আন্দোলন করে মানিককে তাড়িয়েছিলাম, একদিন আমরাই তার সহযোগী আনিসকে বাধ্য করে ছিলাম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করতে। রাস্ট্র তাকে শাস্তি দিতে ব্যার্থ হয়েছে, সে দায় জাবির নয় ।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

বিডি আইডল বলেছেন: বাংলাদেশের আর কোন ভার্সিটিতে বিলবোর্ড দিয়ে রেগিং এর বিরুদ্ধে কি সচেতনতা তৈরি করতে হয়েছে? পরিস্হিতি কোন পর্যায়ে গেলে এটা হয়??

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

বিডি আইডল বলেছেন: মানিকের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায় নেই?? ধর্ষণের পর ধর্ষণ যখন চলছিলো তখন বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্র-ছাত্রীরা কি করেছিলো?? কয়টি ধর্ষণের মামলা হয়েছিলো??

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

অরিন্দম007 বলেছেন:
গত ৪১ বছরের ইতিহাসে জাবিতে এমন কিছুই হয়নি। বরং আমি নিশ্চিত করতে পারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে যে সুসম্পর্ক বিরাজমান টা দেশের অন্য কোনও ভার্সিটিতে পাওয়া যাবে না।

ভাই হাসালেন । আমি ১৯৯৬ সালের কথা বলেছি । আমরা ১৯৯৮ সালের জসিম উদ্দিন মানিকের ধর্ষণের সেঞ্চুরীর কথা জানি । এটা কি ৪১ বছরের বাহিরের কিছু ?


Click This Link


তারপর,লিভ টুগেদারের এক পর্যায়ে ছাত্রীদের অনেকে আত্মহত্যা করে সেগুলো কি মিথ্যা ।

শিক্ষক ছাত্রীর সাথে প্রেম করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়..... তারপর ছাত্রী আত্মহত্যা করে ।

অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন আছে । কিন্তু আপনি বেমালুক অস্বীকার করছেন কেন? আমরা অভিভাবকরা কি বোকা । আমরা কি পড়াশোনা করি নাই ।



৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

বিডি আইডল বলেছেন: তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ এর বেশী ছাত্রী ধর্ষিতা এবং ৩০০ এর বেশীর শ্লীলতাহানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ এর বেশী ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছেন এবং ৩০০ এর বেশী শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অস্ত্রধারী গুন্ডাদের দ্বারা । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে । ধর্ষণের ঘটনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের ছাত্র বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ আগস্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয় । উপাচার্য অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদের কাছে ২১ সেপ্টেম্বর কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ।

গতকাল ডেইলি স্টার প্রতিবেদনটির একটি কপি পেয়েছে । যাতে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে, নির্যাতিতারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের "অবহেলা" এবং ক্যাম্পাসের সশস্ত্র গুন্ডাদের অত্যাচারের শিকার । কমিটির প্রতিবেদন মতে,"কিছু ছাত্রী বহুবার ধর্ষিতা হয়েছেন, কিছু ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং কিছু ছাত্রী ঘটনার পর ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন " । এ প্রতিবেদনের তথ্য ," এমনকি ছাত্রীদের অনেকেই তাদের আবাসিক হলের সামনে বন্দুকের মুখে দিনের আলোতেই সম্ভ্রম হারিয়েছেন " । এসব দুর্ঘটনা হুমকি, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ও প্রতিকূল সামাজিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার ভয় দেখিয়ে ধামা – চাপা দেওয়া হয়েছিল । "এই ঘটনা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়েছিল কিন্তু তারা নির্যাতিতাদের জন্য কোনো পদক্ষেপ ও সুবিচার নিশ্চিত করেননি " প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে । "হাস্যকর ভাবে, ক্যাম্পাস একটি অপরাধমূলক কর্মকান্ডের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশয়ে ছাত্রদের একটি অংশ শুধুমাত্র ধর্ষণ কর্মতেই জড়িত হয়ে পরেনি, তারা চাঁদাবাজি, বাস ডাকাতি, আবাসিক হলে বেশ্যা আনা, মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও ব্লাক মেইলিয়েও জড়িত হয়ে পড়েছিলো " প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কর্মের জন্য অভিযুক্তদের তালিকায় শীর্ষ সাত ছাত্রের মধ্যে শীর্ষে ছিল নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের জমিম উদ্দীন মানিক । "জমিম উদ্দীন মানিক ১০০তম ধর্ষণ শেষ করে বন্ধুদের মাঝে মিষ্টি বিতরন করেছিল এবং একটি ককটেল পার্টি দিয়ে উৎসব পালন করেছিল," প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ।

জসিম উদ্দীন মানিক বাংলাদেশ ছাত্র লীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । তাকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ বহিস্কার করা হয় । ধর্ষণ কর্মের জন্য অভিযুক্ত অন্য ছয় ছাত্রদের মধ্যে আছেন বাংলা বিভাগের হাসিবুর রহমান, ভূতত্ত্ব বিভাগের বরকত, ইতিহাসের মোহাম্মদ আলী ডালাস, সরকার ও রাজনীতির নবীউল হক রনি,ইতিহাসের আতিকুর রহমান নাইম এবং ইংরেজি বিভাগের আনিসুর রহমান ।তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র লীগের প্রভাবশালী ছয় নেতা । প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে, শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এবং বহিরাগত কিছু সশস্ত্র গুন্ডা ধর্ষণ কর্মে জড়িত ছিল । বহিরাগতদের মধ্যে ছিল সোহেল, মুকুল এবং রাজ ।টিটু, ফেরদৌস, রফিক, রুহুল, সোহাগ এবং কাজল অপরাধের সাহায্যকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । তারা ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্র লীগ নেতা ।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২০ টি স্হান যেগুলোতে ধর্ষণ কর্ম সংগঠিত হয়েছিল সেগুলো যথারীতি চিহ্নিত করা হয়েছে । স্হানগুলোর মধ্য রয়েছে শহীদ মিনার, গ্রন্হাগার চত্তর, মীর মোশাররফ হোসেন হল ও এর ব্যায়ামাগার এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের গ্রীণ রুম । যখন ধর্ষণ কর্মের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্হারা হলের প্রভোস্টদের এবং সাবেক পোক্টর আফসার আহমেদের কাছে গিয়েছিল, তখন তারা প্রতিকুল সামাজিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্রতিকার পায়নি । ২১৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে আলোচিত হচ্ছে । তথ্য অনুসন্ধান কমিটি ছাত্র-ছাত্রী ও অন্য লোকদেরসহ ১৮ অপরাধী ও ৩০ প্রত্যক্ষদর্শীর ২৫০ গোপন চিঠি ও সাক্ষাৎকারতন্ন তন্ন করে যাচাই করছেন । কমিটি অভিযুক্ত স্হানগুলোও পরিদর্শন করেছেন । প্রতিবেদনে উল্লেখে করা হয়েছে । সাত সদস্য বিশিষ্ট্য তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হক শরীফ সহ অন্য সদস্যরা হলেন ড. এ মান্নান চৌধুরী,প্রোক্টর: অধ্যাপক আবুল হোসেন, আলবেরুনী হলের প্রোভোস্ট; কাঞ্চণ চৌধুরী, প্রীতি লতা হলের প্রোভোস্ট;অধ্যাপক নাসিমা আক্তার হোসেন, নবাব ফয়জুন্নেসা হলের প্রোভোস্ট;এ এন রাসেদা, সিন্ডিকেট সদস্য এবং সাউদা আক্তার, বাংলা বিভাগের শিক্ষীকা ।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমি মানিককে দেখিনাই । কারণ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ২০০৯ সালে এবং আমি হলফ করে বলতে পারি এই ৪ বছরে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটে নাই ।
আর ফেসবুক স্ট্যাটাসের মূল লেখক, ৪১ বছর বলতে বুঝাতে চাইছে যে, "বড় ভাইদের মনোরঞ্জন" টাইপের কথা বলে আমাদের সকলের নামে যে আসম্মানজনক উক্তি করা হয়েছে তা গত ৪১ বছরে কখনোই সত্য ছিল না । আন্দোলনের মাধ্যমে মানিককে অপসারণ করাই তার বড় প্রমাণ ।

তবে আমি এখানে ইতিহাস শুনাতে আসিনাই । আমার বক্তব্য যা ছিল তা হচ্ছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও তার ছাত্রদের নিয়ে গতকালের অপপ্রচার অসত্য এবং অগ্রহনযোগ্য ।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

রক্তাক্ত সাগর বলেছেন: ভাই, মানিকের ক্থা খুব আসতেছে, ১৯৯৬ সাল, আমরা স্কুলে পড়ি ঐ আমলে। তখন মানিক তাড়ানোর আন্দোলন জা বির ছাত্ররাই করছে,নাকি??

আর আজ থেকে ১৭ বছরের আগের ঘটনার জন্য জাবির দুরনাম এখনো করবেন কেন? এত দিন ঢা বি , চ বি , প্রাইভেট ভার্সিটি গুলাতে কোনো অপকর্ম হয় নাই? তাদের দোষ কেউ দেখবেন না, কারন আপনাদের ছেলেমেয়েরাই পড়ে ওখানে, জাবিতে খারাপরাই পড়তে আসে।

দোষ সব নন্দঘোষ, সব জাবির দোষ।

এখন পর্যন্ত কোনো নিউজ সাইট এ গতকালের ২৬-১-২০১৩ ঘটনার "মেয়েকে র‌্যাগ দেয়ার" সত্যতা পাই নাই।আপনারা পাইলে জানাবেন।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

কষ্টসখা বলেছেন: ওরকম মানিক ঢাবি ,রাবি,চবি ,ইবি সব যায়গাতেই ছিলো বা আছে।আর গতকালকের ঘটনাতো উদ্দেশ্য প্রনোদিত সেটা মাহবুব হোসেন নামক কুলাঙ্গার টার স্টাটাস দেখলেই বোঝা যায়।জাবিই একমাত্র ক্যাম্পাস যেখানে সিনিয়র জুনিয়র সম্পক অনেকটা বন্ধুর মত এবং এটাই একমাত্র ক্যাম্পাস যেখানে হলে সিট পতে কোন বিশেষ গোষ্ঠির পা চাটাচাটি করা লাগে না

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: যথার্থই বলেছেন ।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০২

ধানের চাষী বলেছেন: ঘটনা সম্পূর্ণ বানানো, এ ধরণের কোন ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে নি, মিডিয়াতে নিজে নোংরামি না প্রকাশ করলেও চলে, আজাইরা পাবলিক গুলারে পিডানোর কাম

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১১

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: আজাইরা পাবলিকের লাফালাফিতেই এই মিথ্যা কথাটা আরও ছড়াইছে ।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

টাইম নাই রাস্তা বেশি বলেছেন: ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে দিতে পারেন , কিন্তু যে মেয়েটার মনের উপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে গেল তাকে কি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় সহজে নিয়ে আসতে পারবেন ??? পারবেন না । ভার্সিটির সুনাম রক্ষা করার প্রচেষ্টা ভালো কাজ । কিন্তু সেটা নিশ্চয় সত্য চাপা দিয়ে নয় ।

আমার এক বন্ধু জাহাঙ্গীরনগরে পড়ত । ওর কাছে ওর র‍্যাগিং হওয়ার কাহিনী শুনেছি । ও এক বছর পরে ঢাকা ভার্সিটি চলে আসে তীব্র ঘৃণা নিয়ে ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: যা জানেন না, তা নিয়ে প্লিজ কথা বইলেন না ভাই । ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আমার মত সাধারণ ছাত্রের কোন লাভ নাই । মেয়েটাকে আপনি চেনেনও না যে তার মনের কথা বুঝতে পাবেন। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার সাথে কথা বলেছে ।

আর আপনার বন্ধু এখানে এক বছর পড়েছে, আর আমি পড়ছি চার বছর । আমার তো কোন সমস্যা হয়নাই, আপনার বন্ধুর কেন হল ? একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন । আশা করি এরপর থেকে কোনটা সত্য সেটা যাচাই করে নির্ধারণ করবেন।

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: লোনা স্বপ্ন বলেছেন: যা রটে তা কিছু তো ঘটে। ব্যাপার টা ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: যা জানেন না, তা নিয়ে প্লিজ কথা বইলেন না ভাই । পুরাটা পড়লে আপনি ঠিকই বুঝতে পারবেন । ঘটনা ঘটলে, তা ধামাচাপা দিয়ে আমার মত সাধারণ ছাত্রের কোন লাভ নাই ।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭

টাইম নাই রাস্তা বেশি বলেছেন: আপনি সাধারন নাকি অসাধারন ছাত্র সেটা আমার বিবেচনার বিষয় না । কিন্তু আপনি যে আপনার সুবিখ্যাত (!!!) ভার্সিটির সুনাম বাচাতে অতি তৎপর সেটা যে কেউই বুঝতে পারে । আর ওই মেয়েটা হতে পারে তার ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় মুখ খুলতে চাচ্ছে না ।

আমার বন্ধুর সমস্যা সে মানুষের সমাজে লেখাপড়া করতে চেয়েছিল , জংলি সমাজে নয় । তাই সে জাহাঙ্গীরনগর ছেড়ে ঢাকা ভার্সিটি চলে এসেছিল ।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬

টাইম নাই রাস্তা বেশি বলেছেন: Click This Link

এই পোস্টে কিছু অভিযোগ করা হয়েছে । আসা করি সেগুলার জবাব দিবেন ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: আপনি যদি অন্য মানুষের শোনা কথা শুনে ফাল পাড়েন, এটা আপনার ব্যাপার । আমি যা সত্য তাই বললাম, সেটা বুঝার ক্ষমতা আপনার নাই ।

আর আপনার ভাষ্যমতে এই জংলি সমাজেই প্রতি বছর কয়েক লাখ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষা দেয় । চান্স পায় মাত্র কয়েক হাজার । যাদের যোগ্যতা হয়না এরকম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার তাদের খুব জ্বলে আমরা জানি । তখন তারা বাইরে থেকে ফাল পাড়ে । আপনার প্রতি সমবেদনা রইলো ।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

টাইম নাই রাস্তা বেশি বলেছেন: আমি জাহাঙ্গীরনগরের চারটা সাবজেক্টে পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং চারটাতেই চান্স পেয়েছিলাম । কিন্তু আমার সৌভাগ্য জাহাঙ্গীরনগর এর তুলনায় অনেক ভালো একটা ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে ওখানে ভর্তি হই এবং গ্রাজুয়েশন শেষ করি ।আমার ভার্সিটিতে জাহাঙ্গীরনগরের অধিকাংশ স্টুডেন্টের ভর্তি পরীক্ষা দেবার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকে না ।

যাইহোক কে কোথায় পড়াশুনা করছে এইসব ব্যাপার নিয়ে আমার হুদা প্যাঁচাল পারতে ভালো লাগে না এবং সে ব্যাপারে আমি এখানে আলোচনা করতে আসি নাই ।শুধুমাত্র আপনি কথা অন্য দিকে ঘোরানোর যে নোংরা চেষ্টা করেছেন সেজন্যই আমাকে এই অপ্রয়োজনীয় কথাগুলা বলতে হল ।

আমি সম্ভবত খুব প্রয়োজন না হলে আপনার পোস্টে আর কমেন্ট করব না । আর আপনার কাছে আমার অনুরোধ আপনি দয়া করে আমার পূর্ববর্তী কমেন্টগুলার রিপ্লাইয়ে যে কমেন্টগুলা করেছেন সেগুলা মুছবেন না । মানুষ দেখুক আপনাদের নোংরা মানসিকতা । আর নোংরা মানসিকতার মানুষরাই পারে এত নোংরা ভাবে র‍্যাগিং করতে এবং তার প্রতি সমর্থন জানাতে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

ফিরোজ রিয়েল বলেছেন: আপনার মত একজন মানুষ আমার পোস্টে কমেন্ট করল কি করল না, এতে আসলে আমার কিছুই যায় আসে না সরি । আপনি যেখানেই পড়াশুনা করে থাকেন না কেন, যে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জংলি যায়গা বলতে পারে সে কতটুকু শিক্ষিত এ নিয়ে আসলে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে । আরে কথা যে বলতে পারে, তার মুখে অন্তত আন্যকে নোংরা বলা বোধ হয় মানায় না ।
আজকের প্রথম আলো, বাংলানিউজ দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে সেদিনের আলোচ্য ঘটনাটা মিথ্যা ছিল । এটাই আমার মূল কথা ছিল , যদিও আপনার উল্টা-পাল্টা কথার জবাব দিতে গিয়ে আমার অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা তুলতে হয়েছে।
যা হোক আর কথা বাড়াবো না । আমার পোস্টে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.