![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী! হায় ডাক্তার!!
খবর ০১- সরকারী সহায়তায় দেয়া ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু এবং ঐ ক্যাম্পেইনের প্রায় সব শিশুই অসুস্থ;হাসপাতালে স্বজনের আহাজারি।(শিরোনামটি গতবছরের)
খবর ০২- মাস দুয়েক আগে এক রোগী চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে দীর্ঘ দিন হাসপাতালে শুয়ে থেকে কষ্ট পেয়ে বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর ০৩- মানুষ যখন জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে তখন ডাক্তার রা সবাই কর্মবিরতিতে।
উপরের সব গুলোই মূলত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে টিভি-সংবাদপত্রের শিরোনাম,যদিও প্রতি বছর এ রকম লাখো শিরোনাম হয়। মজার ব্যাপার হল,এমন কোনদিন নেই যেদিন ডাক্তার,হাসপাতাল বা ক্লিনিকের অবহেলা,অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষের প্রাণ যায় না। আর এসব ঘটনার কারণ ব্যাখ্যায় ডাক্তারদের প্রদত্ত মতামত যেন, গোপাল ভাঁড়ের এক একটা জোকসের চেয়েও বেশী হাস্যকর।
(০১)
হায় ডাক্তার!!
গণিতের মতই সহজ সমীকরণ, রোগ হলে গরীবের ঠিকানা হাসপাতালে আর ধনীর ঠিকানা ক্লিনিকে এটা এখন প্রথা;তবে তার চেয়ে বড় প্রথা লাখো-কোটি গরীব-দুঃখীর দেয়া বিভিন্ন করের টাকায়(যা ভর্তুকি দেয় সরকার) পড়াশোনা করে একজন ডাক্তার সরকারী মেডিকেলে চাকরী পেলেও সরকারী হাসপাতালে যায় বেসরকারি ক্লিনিকে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে। এ কথা শুনে কেঊ(ডাক্তার) হয়তো সততা আর কর্মের নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় চিল্লিয়ে উঠবেন।যারা উঠবেন তাদের বলি-ভাই ডাক্তার,নিজের বাড়ীতে রোগী দেখা বা বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখার চেয়ে বেশী যত্ন নিয়ে কি কোনদিনও হাসপাতালের রোগীদের দেখেছেন???আর যদি দেখেই থাকেন তাহলে আপনার এলাকার নিম্নমধ্যবিত্ত লোকটিও কেন সামান্য গুরুতর অসুস্থ হলে “হাসপাতালের আপনার” উপর ভরসা না করে “ক্লিনিকের আপনার” দিকে যান,ভাববেন কি একবার???
ভাবতে অবাক লাগে,একজন ডাক্তার এতো এতো পড়াশোনা করেও অশিক্ষিত বেশ কিছু দালালের হাতে নিজের পারদর্শিতার মালা সঁপে দেয়।কোন ডাক্তার ভালো,কে ভালো অপারেশন করে,কে কিছুটা কমে চিকিৎসাসেবা দিবে এগুলো প্রচারের জন্য ডাক্তাররাই যে তাদের সঙ নেয় এবং বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যাবহার করে সেটা আজ লুকাবার নেই তাদের। সরজমিনে,রোগী নিয়ে যারা বিভিন্ন মেডিক্যালে ঘুরেছেন তাদের সবার এই সব দালালের সাথে কোন না কোন ভাবে সাক্ষাৎ হয়েছে। তখন নিশ্চয়ই সবাই ভাবেন- হায় ডাক্তার!! এতো পড়াশোনা করেও অশিক্ষিত দালালের প্রচারবন্দী তুমি? পৃথিবীর সকল পেশার সেরা এই পেশা নিয়ে সকলের এমন ভাবনা থেকে উত্তরণের পেছনে ডাক্তারদেরও রয়েছে কিছু করার যা তাদের পেশাদারীর পাশাপাশি আন্তরিকতাকেও প্রদর্শন করবে প্রখরভাবে;এটাই প্রত্যাশা তাদের কাছে।
(২)
হায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী!!
মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী,সংসদে বলেছেন, “দুনিয়ার কোথাও ছুটির দিনে চিকিৎসা পাওয়া যায় না”। পৃথিবীতে এমনও দেশ আছে যেখানে টহল পুলিশের মতো এ্যাম্বুলেন্সও রাস্তায় রাস্তায় টহলরত অবস্থায় থাকে প্রতিনিয়ত,এতে ডাক্তারও থাকে সর্বক্ষণ;আর ছুটির দিন তো পরের কথা;সেখানে এই কথাটা কতটা হাস্যকর যদি সে বুঝতো? আমার মনে হয়,একজন মন্ত্রী হিসেবে তার আরো বিবেচক, তথ্যে সমৃদ্ধশালী,কথা বলার ব্যাপারে কূটনীতিসম্পন্ন এবং নিজের দায়িত্বকে বিবেচনা করে সহনশীল হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। আর হ্যাঁ- যেটা কোন দেশে নেই সেটা যদি প্রয়োজনীয় হয় এবং বাংলাদেশে থাকে- তাহলে ক্ষতি কি... এটাও মাননীয় মন্ত্রীর বুঝতে হবে। আর আমরা তো এইসব প্রয়োজনীয় প্রথা ও সমৃদ্ধির প্রচলনের জন্যই আপনাদের কর্মসম্পাদনের আশায় প্রহর গুনি । আর সেটাও যদি না পারেন তবে অন্তত আশাবাদী হয়ে অন্তত আশা তো করতে পারেন বা দেখাতে পারেন (যা সব সময় করেন)।তবে আশা করলে বা দেখালে একটু ভেবেচিন্তেই করবেন নয়তো নিচের কৌতুকের ব্যাঙের মতই আপনার অবস্থা হতে পারে। যাহোক,এবার কৌতুকটা বলা যাক---
এক গ্রামে এক বুড়ো ব্যাঙ ছিল। অতি বৃদ্ধ। সুখেই ছিল। শীতনিদ্রায় কাটিয়ে দেয় পুরো বছর।
একবার বর্ষাকালে সে ডোবার পানিতে অর্ধেক দেহ ডুবিয়ে গভীর সাধনায় মগ্ন ছিল। এমন সময় দেবতা জিউসের আগমন ঘটল। জিউস হাতের লাঠিটা কয়েকবার ঘুরিয়ে বললেন, হে বৃদ্ধ ব্যাঙ, অনেকদিন তুমি আমাকে ডেকেছ।কিন্তু আসতে পারি নি। বড়ই ব্যস্ত ছিলাম। আজ বল তোমার কি চাওয়ার আছে?
বৃদ্ধ ব্যাঙ ক্রোনাস পুত্র জিউসের আগমনে অত্যধিক খুশি হয়ে পড়েছিল।আজ তার ডাক শুনেছেন দেবতা। এতদিনে!আজ নিশ্চয়ই তার আশা পূর্ন হবে। সে বলল, জনাব, অনেক বছর ধরে আপনার সাধনা করছি। আমি বৃদ্ধ। বেশীদিন বাচঁব না। আমার একটাই প্রার্থনা। অতি রূপবতী কোন মেয়ের সাথে যেন অতিসত্ত্বর দেখা হয় যার আমার প্রতি অত্যন্ত আগ্রহ থাকবে।
জিউস বললেন, ঠিক আছে,তাই হবে। প্রচন্ড বর্জ্রপাতের শব্দের সাথে আলোর ঝলকানিতে জিউস অদৃশ্য হলেন।
এরপরদিন-ই একজন লোক এসে ব্যাঙ টাকে ধরে নিয়ে যায়। বৃদ্ধ ব্যাঙ ক্লোরোফরমের গন্ধে জ্ঞান হারানোর আগ মুহূর্তে দেখতে পায় এক অতি রূপবতী মেয়ে বায়োলজী বক্সের ছোট কাচি নিয়ে তার নিয়ে এগিয়ে আসছে।
বি দ্র:-----গল্পের মরালটা বোঝা খুব জরুরী নয়! তবু যদি প্রভু এদের(রাজনীতিক) জ্ঞান দেয়!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন: সামহোয়ার ইন ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রন।
এখানে লিখুন পড়ুন আর প্রাণবন্ত আড্ডায় মেতে থাকুন।
এটাই হউক আপনার ঠিকানা।