![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উন্নয়নশীল ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দরিদ্র, শিশু মৃত্যর হার কমা, সেই সাথে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও বিগত বছর গুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার শিক্ষার্থীদের হার হ্রাস কিংবা ভালো ফলাফল নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, সাধারণ জনগনের মনে আশার সঞ্চারণ জাগে যখন এ-দেশেরেই অনেক উদ্ভাবনী মানুষ নানান সময়ে বিভিন্ন কিছু আবিস্কার করে আমাদের অবাক করে। পানি চালিত গাড়ি, কিংবা বাতাস চালিত ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন উদ্ভাবনীর খবর আমরা পত্রিকা কিংবা টেলেভিশন এর মাধ্যমে জানতে পারি প্রায়ই। স্বল্প তেলে অধিক পথ গমনকারী গাড়ি সহ নানান সময় নানান ধরনের আবিষ্কারে দেশের সবোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েট-সহ নানান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নেতৃত্ব দিলেও অজানা কারনে সেই আবিস্কার কিংবা উদ্ভাবন গুলোর দেখা আর মেলে না। প্রতি বছরই প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি নতুন উদ্ভাবনীর খবর দেশীয় বিভিন্ন পত্রিকায় দেখা গেলেও কিছুদিন পর পরই এসব উদ্ভাবনী জিনিস গুলো অজানা তলে হারিয়ে যায়। মূলত পৃষ্ঠপোষকতা, উৎসাহ ও তদারকিহীনতা যে এর পিছনে দায়ী,সেটি স্পষ্টও সত্য। বাংলাদেশে-ই বোধয় একমাত্র দেশ যেখানে অনেক উদ্ভাবনী মানুষের খোঁজ মেলে যারা পাঠ্য শিক্ষার মধ্যে না থেকেও উদ্ভাবন করে বিশ্বকে অবাক করেছে এবং করছে । অথচ, আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রানালয় থাকলেও তারা এসব আবিষ্কারকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে ব্যথ হচ্ছে। মূলত অবহেলার কারনেই এসব প্রতিভা যে নিরুৎসাহিত ও বিলীন হওয়ার পথে সে দায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয় এড়াতে পারে না।
অন্যদিকে বিজ্ঞান ও আবিষ্কার চর্চা উৎসাহিত করতে তাদের(মন্ত্রানালয়ের) বিভিন্ন সময় বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতামালা কিংবা স্কুলে স্কুলে বিজ্ঞান মেলা ও কর্মশালা করলেও এ কার্যক্রম বছরে একবার এবং শুধু শহর কেন্দ্রিক স্কুল গুলোতে হওয়ায় বিভিন্ন প্রান্তে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাগুলো অন্বেষণে তাদের আয়োজন মূলত ব্যথ হচ্ছে। তাছাড়া এসব আয়োজনে নতুন উদ্ভাবন খুবই কম মিলছে মূলত, অধিকাংশ শিক্ষকদের বিষয়টিকে আরো গুরুত্ব সহকারে না নেয়া ও স্কুল গুলোতে গবেষণার ব্যাবস্থা ও উপযোগী পরিবেশ খুবই স্বল্প ও নাজুক হওয়ার কারনে। অপরদিকে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ভাবনী বিভিন্ন প্রতিভাবানকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিবেশ না দেয়ায় এবং তাদের আবিষ্কার গুলোকে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেটির ব্যাবস্থা করার উদ্যোগ না নেওয়ায় আমাদের ভবিষ্যৎ যে আবিষ্কার সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে বা পারে তার আশংকা করাই যায়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে মনে রাখতে হবে, ‘নিরুৎসাহিতকরণ প্রতিভা ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট’। আবিষ্কার করে যে দেশেকে এগিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তাকে আর সুযোগ দিতে পারলেই মন্ত্রানলয়ের ভূমিকা আরো কার্যকর হবে।সেই সাথে দেশও হয়তো পেয়ে যাবে আগামীর জগদীশ চন্দ্র বসু, ডঃমাকসুদুল আলমের মত বিজ্ঞানী।
০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৪
মোঃ ফিরোজ সোহাগ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো বলেছেন। ভালো লাগলো।
তবে কলাবাগান১ ভাইয়ের মন্তব্য অনেকাংশ বিবেচ্য
০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৭
মোঃ ফিরোজ সোহাগ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: "পানি চালিত গাড়ি, কিংবা বাতাস চালিত ইঞ্জিন" - এগুলি আবিস্কার না.....এগুলি ভুডু সাইন্স.......।পানি চালিত ইন্জিন violate the first or second law of thermodynamics......তাই এগুলি শুধু বাংলাদেশে না...পৃথিবীর অনেক দেশে ই এসব বলে টাকা পয়সা ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে তারপর দেখা যায় অচল।
এখানে দেখুন
https://en.wikipedia.org/wiki/Water-fuelled_car