নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

াহো

াহো › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যালেন গিন্সবার্গ সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:০০

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড



অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ দিকে ভারতের কলকাতায় এসেছিলেন। কলকাতার বেশ কয়েকজন সাহিত্যিকের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল যার মধ্যে একজন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সুনীলের বাড়িতেই উঠেছিলেন। তখন বাংলাদেশ থেকে অনেক শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গ ও সীমান্তবর্তী অন্যান্য শহরে আশ্রয় নিয়েছিল। ব্রিটিশ রাজের সময় পূর্ব বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের সংযোগকারী সড়ক হিসেবে কাজ করতো "যশোর রোড"। অনেক বৃষ্টি হওয়ায় তখন যশোর রোড পানিতে ডুবে গিয়েছিল। সড়ক পথে না পেরে গিন্সবার্গ অবশেষে নৌকায় করে বনগাঁ পেরিয়ে বাংলাদেশের যশোর সীমান্তে পৌঁছেন। তার সাথে সুনীলও ছিলেন। তারা যশোর সীমান্ত ও এর আশপাশের শিবিরগুলোতে বসবাসকারী শরণার্থীদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন।



এই অভিজ্ঞতা থেকেই গিন্সবার্গ এই কবিতাটি লিখেছিলেন। এই দীর্ঘ কবিতার সাথে সুর দিয়ে এটিকে গানে রূপ দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকায় ফিরে গিয়ে তার বন্ধু বব ডিলান ও অন্যান্য বিখ্যাত গায়কদের সহায়তায় এই গান গেয়ে কনসার্ট করেছিলেন। এভাবেই বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন গিন্সবার্গ।





সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড (ইংরেজি ভাষায়: September on Jessore Road) বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচিত একটি কবিতা যা থেকে পরে গান করা হয়েছিল।







কবিতার কয়েকটি লাইন এরকম:“

Millions of souls nineteenseventyone

homeless on Jessore road under grey sun

A million are dead, the million who can

Walk toward Calcutta from East Pakistan



Taxi September along Jessore Road

Oxcart skeletons drag charcoal load

past watery fields thru rain flood ruts

Dung cakes on treetrunks, plastic-roof huts



Wet processions Families walk

Stunted boys big heads don't talk

Look bony skulls & silent round eyes

Starving black angels in human disguise ”



যশোর রোডে সেপ্টেম্বর



অ্যালেন গিন্সবার্গ |

১৯৭১ সালে প্রখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ ভারতে এসেছিলেন। একপর্যায়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।

‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ সে অভিজ্ঞতারই নির্যাস।



লক্ষ শিশু দেখছে আকাশ অন্ধকার

উদর স্ফীত, বস্ফািরিত চোখের ধার

যশোর রোডে—বিষণ্ন সব বাঁশের ঘর

ধুকছে শুধু, কঠিন মাটি নিরুত্তর।



লক্ষ পিতা ভিজছে হিমেল বৃষ্টিতে

লক্ষ মাতা দুঃখ দেখে দৃষ্টিতে

লক্ষ ভাইয়ের হৃদয় শুধু যন্ত্রণা

লক্ষ বোনের নেইকো ঘরের সান্ত্বনা।



লক্ষ মাসী ভাতের জন্য যায় মরে

লক্ষ মাতুল মাতাল হয়ে শোক করে

লক্ষ পিতামহের গৃহ চূর্ণপ্রায়

পিতামহী হচ্ছে পাগল নিঃসহায়।



হাঁটছে পাকে লক্ষ পিতার কন্যারা

অবোধ শিশু ভাসিয়ে নিলো বন্যারা

লক্ষ মেয়ে করছে বমন আর্তনাদ

লক্ষ পরিবারের আশা চূর্ণ সাধ



লক্ষ প্রাণের উনিশ শত একাত্তর

উদ্বাস্তু যশোর রোডে সব ধূসর

সূর্য জ্বলে ধূসর রঙে মৃতপ্রায়

হাঁটছে মানুষ বাংলা ছেড়ে কলকাতায়।



সিক্ত মিছিল হাঁটছে মানুষ নিঃসহায়

ত্রস্ত ভীত ক্ষুব্ধ বালক থমকে চায়

স্তব্ধ আঁখি শীর্ণদেহ অস্থিসার

মানববেশ এ ক্ষুধার্ত সব ফেরেশতার।



কাঁদছে মাতা উঁচিয়ে আঙুল ঐ দেখায়

দাঁড়িয়ে আছে সন্ন্যাসিনীর মতোই প্রায়

সন্তানেরা শীর্ণপদে প্রার্থনায়

পাঁচটি মাসের অন্নবিহীন যন্ত্রণায়।



দুইটি শিশু দাঁড়িয়ে আছে বৃক্ষছায়

নীরব চোখে আমায় শুধু দেখেই যায়

অন্নজোটে সপ্তাহেতে একটি বার

দুধের গুঁড়ো ক্লান্ত শিশু চায় না আর।



সব্জি বিহীন অন্ন খেয়েই কাটছে দিন

সপ্তাহেতে তিনটি দিনই অন্নহীন

দুধের ছেলে করছে উপোস মৃতপ্রায়

যা কিছু খায় করছে বমি যন্ত্রণায়।



সামনে আমার কাঁদছিলো মা অন্ন চাই,

বাংলা ভাষায় ডাক দিলো কে ‘শুনুন ভাই’

পরিচয়ের পত্র ছেঁড়া মাটির গায়

ক্যাম্প অফিসের দ্বারে স্বামী দাঁড়িয়ে ঠাঁয়।



খেলছে শিশু বানের পানি চারটি ধার

শেষ হয়েছে দেবেনা আজ খাদ্য আর

আমার ব্যাগে পয়সা—এ কি আমার পাপ

শিশুর চোখে দেখছি মোদের মৃত্যুশাপ।



হাজার বালক লাইন দিয়েছে একটি ধার

খাদ্য দেবে প্রতীক্ষাতেই দাঁড়িয়ে তার

হল্লা কিছু করছে ছেলে নিরন্তর

উঁচিয়ে লাঠি ছুটছে পুলিশ ক্রুব্ধস্বর।



এমনি করে দাঁড়িয়ে এ কোন শিশুর দল

হল্লা করে দিচ্ছে কিউ ঝড় বাদল

মাথায় নিয়ে কান্না হাসির মাঝখানে

খাদ্য কেন হচ্ছে দেয়া এইখানে



অফিস থেকে বেরিয়ে এলো একটি লোক

হাজার বালক দেখলো চেয়ে কি উত্সুক

প্রার্থনা এ? “আজ আর কোন খাদ্য নাই”

হল্লা করে হাজার ছেলে লক্ষ ভাই।



ছুটলো সবাই তাঁবুর ঘরে প্রতীক্ষায়

বসেই আছেন মাতাপিতা একটি ঠাঁয়

কঠিন খবর ছুড়লো ছেলে—খাদ্য শেষ

রুগ্ন শিশু চমেক উঠে জীর্ণ বেশ।



মাতার কোলে নবজাতক শিশুর শব

অদ্ভুত সব রোগে এখন ভুগছে সব

দুঃখ-শোকের মদ গিলে আজ সব মাতাল

শরণার্থী শিবিরটাইতো হাসপাতাল।



সীমান্তে আজ বানের পানি তা থৈ থৈ

সব ডুবেছে, খাদ্য দেবে পথটা কৈ?

মার্কিন সব দেবতারা কোথায় আজ?

বিমান থেকে শিশুর গায়ে ছুড়ছে বাজ?



রাষ্ট্রপতি, কোথায় তোমার সৈন্যদল?

বিমানবহর নৌবাহিনী অর্থবল?

তারা কি আজ খাদ্য ওষুধ আনতে চায়?

ফেলছে বোমা ভিয়েত্নামে নিঃসহায়?

(অংশবিশেষ)



অনুবাদ: খান মোহাম্মদ ফারাবী



1.wikipedia

2.







মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২৮

হাম্বা বলেছেন: পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

২২ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

াহো বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৩৭

হাম্বা বলেছেন: + বাটন খুজে পাচ্ছি না

২২ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

াহো বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

কায়কোবাদ বলেছেন: কবিতাটা পড়লে বুকটা যেন কেমন হাহাকার করে ওঠে......


৪| ২২ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রাজসোহান বলেছেন: পোষ্টের জন্য+

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৩৩

হাম্বা বলেছেন: +++++++++++

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৪১

মিরাজ is বলেছেন: +++++
আমার কাছেও এই কবিতাটা আছে অনুবাদ সহ এবং গানটাও ।
ভাই গানের লিঙ্কটাও দিয়ে দিয়েন, গানটাও অসাধারন ।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৪৪

কথক পলাশ বলেছেন: দারুণ!
আমার এই পোস্টটাও ছিল গিনসবার্গ কে নিয়েঃ একটি রোমহর্ষক কবিতা ও একটি গানের উপপাদ্যঃ September On Jessore Road

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.