নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

াহো

াহো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাল-কামাল- দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। শেখ কামাল ওসমানীর এডিসি ছিলেন। শেখ মণি মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৩

জামাল-কামাল- দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। শেখ কামাল ওসমানীর এডিসি ছিলেন। শেখ মণি মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন













প্রথমেই শেখ কামালের কথা বলি। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়। এরপর সেকেন্ড

লেফট্যানেন্ট শেখ কামাল প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ জামাল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিব বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের যেসব আলোকচিত্র আসে তার একটিতে সীমান্তের ১০ মাইল ভেতরে একটি রণাঙ্গনে সাবমেশিনগানধারীদের একজন হিসেবে ছবি ওঠে জামালের। শেখ কামালের ছবি আছে অজস্র, তার পাসআউটের, ওসমানীর সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধাঞ্চলের।





শেখ জামাল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিব বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের যেসব আলোকচিত্র আসে তার একটিতে সীমান্তের ১০ মাইল ভেতরে একটি রণাঙ্গনে সাবমেশিনগানধারীদের একজন হিসেবে ছবি ওঠে জামালের।











১>http://www.prothom-alo.com/detail/news/85832

২>ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ নামে একটা এলবাম আছে আমার। সেখানে গুতালেও কিছু চমকপ্রদ খবর চোখে পড়বে আপনাদের

Click This Link

৩>কামাল-জামালের মুক্তিযুদ্ধ---অমি রহমান পিয়াল

http://www.amarblog.com/omipial/posts/116278

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৮

াহো বলেছেন:



১৮ ই ডিসেম্ভর ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধা সমাবেশে কাদের সিদ্দিকীর সাথে শেখ জামাল।

Click This Link

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪১

াহো বলেছেন:



১৮ ই ডিসেম্ভর ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধা সমাবেশে কাদের সিদ্দিকীর সাথে শেখ জামাল।

Click This Link

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫০

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে সুপ্রশিক্ষিত মুজিব বাহিনীর কোন অবদান ছিল বলে শুনি নাই।
আর যুদ্ধের ময়দানে বা প্রশাসনিক কাজে মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিলেন বলে শেখ কামাল বা জামালকে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান করব। আর যাই হোক, আমরা ছাগু বা অমি পিয়ালের মত মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করিনা।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০৭

হিমাংশু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাই।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৫

াহো বলেছেন:


'বাংলাদেশ!' নামে এই তথ্যচিত্রটি ১৯৭২ সালে এবিসি টেলিভিশনের প্রযোজনায় নির্মিত। সে বছরের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে দেখায় প্রামান্যচিত্রটি দেখায় এনবিসি। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফেরার কয়েকদিন পর তার মুখোমুখি হন দুই মার্কিন সাংবাদিক হাওয়ার্ড টাকনার এবং পিটার জেনিংস।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩৮

শয়ন কুমার বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ।অপনাকে ধন্যবাদ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৫

াহো বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৪

শয়ন কুমার বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ।অপনাকে ধন্যবাদ

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪৫

ঘুমকাতুর বলেছেন: াহো ভাইয়া কাদের সিদ্দিকীর সাথে শেখ জামাল ছবি দিতে আপনার লজ্জা লাগেনি দেখে ভালো লাগলো। হাম্বা বলতেই এমন, নিজ স্বার্থে যে কাউরো ঠ্যাং যেমন ধরতে পারে ঠিক তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের ছাগুও কইতে পারে। ঠিক বলছি না? বিশ্বাস না খাইলে বমি শিয়ালরে িগান

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

াহো বলেছেন: শেখ কামাল ওসমানীর এডিসি ছিলে

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৬

নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: কাদের সিদ্দীকিকে রাজাকার বলা থেকে শুরু করে এমন কোন বাজে কথা নাই যা আওয়ামী রাজাকার উরফে বরাহছানারা বলে নাই। দিন কয়েক আগেও দেখিলাম ব্লগে কাদের সিদ্দিকীর গুষ্টী উদ্ধার করছে এই প্রজন্মের ব্লগীয় মুক্তিযোদ্ধা উরফে চাপাতি লীগের সদস্যরা। আর এখন কাদের সিদ্দিকীর সাথে ছবি দিয়ে এক হাম্বা প্রমান করতে চাইছে কামাল না জামাল মুক্তিযোদ্ধা। লজ্জা জিনিসটা আসলেই মানুষের জন্য, চাপাতি লীগের জন্য না। ভুট্টোর ছবি আছে মুজিবের সাথে, তাতে ভুট্টো নিরপরাধ হয়ে যায় না। তেমনি কাদের সিদ্দিকীর সাথে ছবি থাকলেই কেউ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় না। কামাল-জামাল কোন জাতের মুক্তিযোদ্ধা ছিলো তা '৭২ এর পর দেখা গিয়েছিলো, অসংখ্য লেখায় সেইসব কথা উল্লেখ ও আছে। ব্ঙ্ক ডাকাত, চরিত্রহীন লম্পট এখন মুক্তিযোদ্ধা ঘোষনা পাচ্ছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩২

াহো বলেছেন: শেখ কামাল ওসমানীর এডিসি ছিলে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

াহো বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

াহো বলেছেন: চরিত্রহীন লম্পট

শয়ন কুমার বলেছেন: আমার উদ্দেশ্যে যারা মন্তব্য করেছে তারা বোধহয় আমার মন্তব্যটি বুঝতে পারে নি .এজন্য আবারও দিলামঃ

"লীগের কতিপয় পোলাপান গুজব ছড়ায়ে বেড়ায় ' খালেদা জিয়ার লগে বিম্পি নেতা ফালুর নাকি------------------------- ' এখন আপনে যদি এই গুজবের সত্য-মিথ্যার পর্যালোচনা/ বিবেচনা না কইরা গাধার মত বিশ্বাস করেন যে ' খালেদা জিয়ার লগে বিম্পি নেতা ফালুর----------------------- ' তাহলে আপনের মত গাধা এই দুনিয়াতে আর নাই "

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩১

ালামগীর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়।

মুক্তিযুদ্ধ কালিন বাংলাদেশ সরকার কোথায় ছিল, সেটা তো প্রবাসি সরকার, তাহলে কামাল কে
পাসিং দিল কারা, কোন সরকার , ৯ অক্টোবর সেটা কার নিয়ন্তরনে ছিল জানবার ইছ্ছা করে। বিজয় পরবর্তিতে কোন মুক্তি যুদ্ধার(বর্তমনে রাজাকার) সাথে ছবি থাকলেই কি মুক্তিযুদ্দা হওয়া যায়। এখন কইবেন শেখ মুজিবও মুক্তি যুদ্ধা ছিল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

াহো বলেছেন:

এদিকে একদিন সকালে বন্দিনী মা আবিষ্কার করলেন জামাল উধাও। বেগম মুজিব পাকিস্তানিদের দায়ী করলেন শেখ জামালকে অপহরণ করার অভিযোগ এনে। সারা বিশ্বে আলোড়ন, বিদেশি পত্রপত্রিকায় ছাপা হলো পাকিস্তানিরা শেখ মুজিবের মেজ সন্তানকে গায়েব করেছে। সেই জামালকে আমি আবিষ্কার করলাম বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ নম্বর সেক্টরে। পরবর্তী ঘটনা বিবৃত করার আগে বলে নিই, জামালকে আমার বরাবরই মনে হতো মুখচোরা ও নিরীহ চরিত্রের অন্তর্মুখী চাপা স্বভাবের কিশোর। কোনো দিন সকালে ৩২ নম্বরে গেলে, খাবারঘরের পশ্চিম কোণে একটি কামরায় তাকে দূর থেকে দেখতাম লেখাপড়া করছে। মুখচোরা, লাজুক তরুণটি, সদ্য আইএ তথা এইচএসসি পাস করা অন্য চরিত্রের এক অসম সাহসী জামালের দেখা পেলাম যুদ্ধক্ষেত্রে একটি পরিখায় অস্ত্র হাতে। সাংবাদিকেরা যাকে বলে ‘স্কুপ’, সেই সুযোগ ছাড়তে আছে? আমি তখন মুজিবনগরে বিবিসি, লন্ডনের দি টাইমস ও সানডে টাইমস-এর জন্য খবর সংগ্রহ করছি। একটি চমক লাগানো খবর আবিষ্কার অথবা স্কুপের সুযোগ ছাড়ে কে? আমার ক্যানন এসএলআর ক্যামেরায় জামালের ছবি তুলে পাঠালাম লন্ডনের সানডে টাইমস-এ। সেই খবর আর ছবি মুজিবনগর সরকারকে মহা ক্ষিপ্ত করল। ভারত সরকারের গোয়েন্দা দপ্তর এল খোঁজ করতে। তাদের রুষ্ট হওয়ার কারণ জামালের নিখোঁজের খবর পাকিস্তান সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিল। আমার অপরাধ আবিষ্কৃত জামাল পাকিস্তানিদের একটি গুরুতর অভিযোগের হাত থেকে রেহাই দিল।


এবিএম মূসা
http://www.prothom-alo.com/detail/news/85832

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০২

নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: যখন দেশে সবাই যুদ্ধ করছে , লাখ লাখ মানুষ মরছে তখন জামাল-কামাল ভারতে বইসা ক্যাডেটগিরি চোদাইছে। তেনারা ক্যাডেটগিরি কোথায় চোদাইছে, কলকাতারা সোনাগাছিতে? বালগুলান আর মানুষ হইলো না। বালই রইলো।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৩

াহো বলেছেন: এদিকে একদিন সকালে বন্দিনী মা আবিষ্কার করলেন জামাল উধাও। বেগম মুজিব পাকিস্তানিদের দায়ী করলেন শেখ জামালকে অপহরণ করার অভিযোগ এনে। সারা বিশ্বে আলোড়ন, বিদেশি পত্রপত্রিকায় ছাপা হলো পাকিস্তানিরা শেখ মুজিবের মেজ সন্তানকে গায়েব করেছে। সেই জামালকে আমি আবিষ্কার করলাম বোধহয় মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ নম্বর সেক্টরে। পরবর্তী ঘটনা বিবৃত করার আগে বলে নিই, জামালকে আমার বরাবরই মনে হতো মুখচোরা ও নিরীহ চরিত্রের অন্তর্মুখী চাপা স্বভাবের কিশোর। কোনো দিন সকালে ৩২ নম্বরে গেলে, খাবারঘরের পশ্চিম কোণে একটি কামরায় তাকে দূর থেকে দেখতাম লেখাপড়া করছে। মুখচোরা, লাজুক তরুণটি, সদ্য আইএ তথা এইচএসসি পাস করা অন্য চরিত্রের এক অসম সাহসী জামালের দেখা পেলাম যুদ্ধক্ষেত্রে একটি পরিখায় অস্ত্র হাতে। সাংবাদিকেরা যাকে বলে ‘স্কুপ’, সেই সুযোগ ছাড়তে আছে? আমি তখন মুজিবনগরে বিবিসি, লন্ডনের দি টাইমস ও সানডে টাইমস-এর জন্য খবর সংগ্রহ করছি। একটি চমক লাগানো খবর আবিষ্কার অথবা স্কুপের সুযোগ ছাড়ে কে? আমার ক্যানন এসএলআর ক্যামেরায় জামালের ছবি তুলে পাঠালাম লন্ডনের সানডে টাইমস-এ। সেই খবর আর ছবি মুজিবনগর সরকারকে মহা ক্ষিপ্ত করল। ভারত সরকারের গোয়েন্দা দপ্তর এল খোঁজ করতে। তাদের রুষ্ট হওয়ার কারণ জামালের নিখোঁজের খবর পাকিস্তান সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিল। আমার অপরাধ আবিষ্কৃত জামাল পাকিস্তানিদের একটি গুরুতর অভিযোগের হাত থেকে রেহাই দিল।


এবিএম মূসা
http://www.prothom-alo.com/detail/news/85832

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৫

াহো বলেছেন:
লেফট্যানেন্ট শেখ কামাল প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ জামাল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১

ালামগীর বলেছেন: আমার একটি প্রশ্নের উত্তর চেপে গেলেন দক্ষতার সাথে।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭

শার্লক বলেছেন: আরো কত নতুন নতুন তথ্য পাবো। যুদ্ধ তো সাধারন মানুষ করে নাই মুজিব বাহিনী করছে তাই না?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০

াহো বলেছেন: রথমেই শেখ কামালের কথা বলি। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়। এরপর সেকেন্ড
লেফট্যানেন্ট শেখ কামাল প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ জামাল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দী ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিব বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের যেসব আলোকচিত্র আসে তার একটিতে সীমান্তের ১০ মাইল ভেতরে একটি রণাঙ্গনে সাবমেশিনগানধারীদের একজন হিসেবে ছবি ওঠে জামালের। শেখ কামালের ছবি আছে অজস্র, তার পাসআউটের, ওসমানীর সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধাঞ্চলের।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫১

াহো বলেছেন: মুজিবনগর সরকার ১৯৭১
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

(পাকিস্তানের জেলে বন্দী)।
উপরাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম
(রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি)।
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দীন আহমদ।
আইন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খোন্দকার মোশতাক আহমদ।
অর্থমন্ত্রী: এম মনসুর আলী।
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি: জেনারেল মো. আতাউল গনি ওসমানী।
চিফ অব স্টাফ: মেজর জেনারেল আবদুর রব।

সচিবালয়
মুখ্য সচিব: রুহুল কুদ্দুস, সংস্থাপনসচিব: কাদের খান, স্বরাষ্ট্রসচিব: আবদুল খালেক, প্রতিরক্ষাসচিব: আবদুস সামাদ, তথ্যসচিব: আনোয়ারুল হক খান, পররাষ্ট্রসচিব: মাহবুব-উল-আলম চাষী, মন্ত্রিপরিষদের সচিব: হোসেইন তৌফিক ইমাম, অর্থসচিব: খন্দকার আসাদুজ্জামান ও কৃষিসচিব: নুরুদ্দিন আহমেদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫১

াহো বলেছেন: জামালকে আমার বরাবরই মনে হতো মুখচোরা ও নিরীহ চরিত্রের অন্তর্মুখী চাপা স্বভাবের কিশোর। কোনো দিন সকালে ৩২ নম্বরে গেলে, খাবারঘরের পশ্চিম কোণে একটি কামরায় তাকে দূর থেকে দেখতাম লেখাপড়া করছে। মুখচোরা, লাজুক তরুণটি, সদ্য আইএ তথা এইচএসসি পাস করা অন্য চরিত্রের এক অসম সাহসী জামালের দেখা পেলাম যুদ্ধক্ষেত্রে একটি পরিখায় অস্ত্র হাতে। সাংবাদিকেরা যাকে বলে ‘স্কুপ’, সেই সুযোগ ছাড়তে আছে? আমি তখন মুজিবনগরে বিবিসি, লন্ডনের দি টাইমস ও সানডে টাইমস-এর জন্য খবর সংগ্রহ করছি। একটি চমক লাগানো খবর আবিষ্কার অথবা স্কুপের সুযোগ ছাড়ে কে? আমার ক্যানন এসএলআর ক্যামেরায় জামালের ছবি তুলে পাঠালাম লন্ডনের সানডে টাইমস-এ। সেই খবর আর ছবি মুজিবনগর সরকারকে মহা ক্ষিপ্ত করল। ভারত সরকারের গোয়েন্দা দপ্তর এল খোঁজ করতে। তাদের রুষ্ট হওয়ার কারণ জামালের নিখোঁজের খবর পাকিস্তান সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিল। আমার অপরাধ আবিষ্কৃত জামাল পাকিস্তানিদের একটি গুরুতর অভিযোগের হাত থেকে রেহাই দিল।


এবিএম মূসা
http://www.prothom-alo.com/detail/news/85832

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৫৬

ালামগীর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ কালিন বাংলাদেশ সরকার কোথায় ছিল, সেটা তো প্রবাসি সরকার, তাহলে কামাল কে
পাসিং দিল কারা, কোন সরকার , ৯ অক্টোবর সেটা কার নিয়ন্তরনে ছিল জানবার ইছ্ছা করে। বিজয় পরবর্তিতে কোন মুক্তি যুদ্ধার(বর্তমনে রাজাকার) সাথে ছবি থাকলেই কি মুক্তিযুদ্দা হওয়া যায়। এখন কইবেন শেখ মুজিবও মুক্তি যুদ্ধা ছিল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০১

াহো বলেছেন: ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বিবরণ

মুজিবনগর, বাংলাদেশ

তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১

যেহেতু ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল; এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল;

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সনের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন; এবং

যেহেতু তিনি আহূত এই অধিবেশন স্বেচ্ছার এবং বেআইনীভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন; এবং

যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পারষ্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করেন; এবং

যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং

যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং এখনও বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে; এবং

যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্য এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনার দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের পক্ষে একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব কে তুলেছে; এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকরি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে;

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারষ্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে

বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি; এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন; এবং

তাঁর কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে; এবং

বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, কোন কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসাবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে তা যথাযথভাবে আমরা পালন করব। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আমরা অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ ও নিযুক্ত করলাম।

স্বাক্ষর: অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী

বাংলাদেশ গণপরিষদের ক্ষমতা দ্বারা

এবং ক্ষমতাবলে যথাবিধি সর্বাধিক ক্ষমতাধিকারী।


wikipedia
Click This Link

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০১

াহো বলেছেন: ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বিবরণ

মুজিবনগর, বাংলাদেশ

তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১

যেহেতু ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল; এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল;

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সনের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন; এবং

যেহেতু তিনি আহূত এই অধিবেশন স্বেচ্ছার এবং বেআইনীভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন; এবং

যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পারষ্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করেন; এবং

যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং

যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং এখনও বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে; এবং

যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্য এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনার দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের পক্ষে একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব কে তুলেছে; এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকরি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে;

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারষ্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে

বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি; এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন; এবং

তাঁর কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে; এবং

বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, কোন কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসাবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে তা যথাযথভাবে আমরা পালন করব। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আমরা অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ ও নিযুক্ত করলাম।

স্বাক্ষর: অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী

বাংলাদেশ গণপরিষদের ক্ষমতা দ্বারা

এবং ক্ষমতাবলে যথাবিধি সর্বাধিক ক্ষমতাধিকারী।


wikipedia
Click This Link

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০৮

াহো বলেছেন: ১০ এপ্রিল এর মধ্যে কলকাতায় পৌছতে সক্ষম হন তাদের নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন।তার নির্দেশেই অধ্যাপক রেহমান সোবহান আরো কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রণয়ন করেন[১]।এরপর ব্যরিস্টার আমীর-উল-ইসলাম এই ঘোষণাপত্রের আইনগত দিক গুলো সংশোধন করে একে পূর্নতা দান করেন[২]। এই ঘোষণাপত্রটি প্রথমে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে প্রচার করা হয়[৩]।এরপর আবার এপ্রিল ১৭ তারিখে মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী স্থান বৈদ্যনাথতলায় (পরবর্তী নাম মুজিবনগর) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন[৪]। এই ঘোষণার মাধ্যমে নবগঠিত প্রবাসী আইন পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে সাথে সাথে এ ঘোষণাপত্র প্রবাসী সরকারের অবস্থান ও যৌক্তিকতা দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠা করে[৫]। এদিনই ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয় এবং একই সাথে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও বৈধ বলে স্বীকৃত হয়। এ ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে চেইন অফ কমান্ড স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।

Click This Link

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৫

ালামগীর বলেছেন: আমি চাইলাম কি আর দিল কি ? আর পরের লেখা কপি করা তো আওয়ামিলীগের চামচাদের বৈশিষ্ট , তারা যুক_তি বোঝে না, গোজা মিলই তাদের একমাত্র অস্ত্র।


আপনারা লেখা ও উত্তর পরে আমি নিজেকে মহামানব ভাবছি কারন অনেক কিছুই জেনেগেছি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৮

াহো বলেছেন:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে অফিশিয়ালি প্রথম অফিসার হিসেবে ’৭৫ সালে কমিশন পাওয়া ব্যাচ উল্লেখ করা হয়। আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচ কমিশন পেয়েছিল ’৭১ সালের ৯ই অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রেনিং এ। ভারতের জলপাইগুঁড়ি শহরের অদূরে মূর্তি নামের যায়গায় এক অস্থায়ী একাডেমিতে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঐতিহ্য অনুযায়ী সে পাসিং আউট অনুষ্ঠানে সদস্য কমিশন প্রাপ্ত অফিসারদের অভিবাদন গ্রহন করেন, উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন, সেনা প্রধান ওসমানী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম সহ আরো অনেকে [২,৪]। এই ব্যাচের লেফটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ মাত্র এক মাস পরেই ১৯শে নভেম্বর কুড়িগ্রামে, এবং আরেকজন লেফটেন্যান্ট সামাদ ২০শে নভেম্বর জয়পুরহাটে শহীদ হন [২]। শুধু এই ব্যাচই নয়, অফিসারদের আরেকটি ব্যাচের ট্রেনিং অক্টোবরে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারী ’৭২ সালে শেষ হয় (কিছু সূত্রমতে আগষ্ট, ৭২)। এরা সেনাবাহিনীতে নিয়মিত কমিশন প্রাপ্ত অফিসার হিসেবেই স্বাধীন বাংলাদেশে চাকরি করেছেন। দুই ব্যাচে ১৩১ জন অফিসার ছাড়াও হাজার তিনেক সাধারন সৈন্যকেও এই ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।


'৭১ সালের বাংলাদেশ-ভারত গোপন গোলামি চুক্তির কিছু গোপন কথা-২
লিখেছেনঃ আদিল মাহমুদ (তারিখঃ শুক্রবার, ১৮/১১/২০১১ - ১৯:৩৯)

Click This Link

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯

াহো বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট অফিসারদের একজন। ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর এদের পাসিং আউট হয়।

১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৩৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: শেখ সাবের পরিবার দেশকে দিয়েই গেলো, আমরা অকৃতজ্ঞতা করেই গেলাম! তাদেরকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.